নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘোষণা দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলের ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন তিনি।
ঘোষণাপত্র পাঠের আগে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা করেছি। আমরা কেবল সামনের কথা বলতে চাই। সভাবনার বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলতে চাই। জুলাই অভ্যুৃত্থানে ছাত্র-জনতার মধ্যে স্লোগান উঠেছিল, তুমি কে আমি কে, বিকল্প বিকল্প।’
বাংলাদেশে ভারত বা পাকিস্তানপন্থী কোনো রাজনীতি হবে না। আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে রাজনীতি ও রাষ্ট্র নির্মাণ করব।
ঘোষণাপত্রে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই ২০২৪ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে, আমরা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা এই মর্মে ঘোষণা করছি, আমরা হাজার বছরের ঐতিহাসিক পরিক্রমায় বঙ্গীয় বদ্বীপের জনগোষ্ঠী হিসেবে এক সমৃদ্ধ ও স্বকীয় সংস্কৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের পত্তন ঘটে। তবে শোষণ ও বৈষম্য থেকে এ দেশের গণমানুষের মুক্তি মেলেনি। ফলে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের জনগণকে বারবার গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হয়েছে।
১৯৯০ সালে ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সামরিক স্বৈরাচারকে হটিয়েছে। তথাপি, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়েও আমরা গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে পারিনি। বরং বিগত ১৫ বছর দেশে একটি নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল, যেখানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে বেপরোয়া ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকে একটি রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে পরিণত করা হয়েছে।
জুলাই ২০২৪-এ ছাত্র-জনতা বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্যই ঘটেনি। জনগণ বরং রাষ্ট্রের আষ্টেপৃষ্ঠে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা থেকে এই অভ্যুত্থানে সাড়া দিয়েছিল, যাতে করে জনগণের অধিকারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠিত হয়। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিচ্ছি। এটি হবে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল।
আমরা মনে করি, জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াই সূচনা করেছে। একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদেরকে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা এবং তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা হবে আমাদের রাজনীতির অগ্রাধিকার। এর মধ্য দিয়েই কেবল আমরা একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারব।
আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই, যেখানে সমাজে ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য, প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না।
আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে মূলধারায় তুলে আনা হবে। আমাদের রিপাবলিকে সাধারণ মানুষ, একমাত্র সাধারণ মানুষই হবে ক্ষমতার সর্বময় উৎস। তাদের সকল ধরনের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের শক্তিশালী সুরক্ষাই হবে আমাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র। আমরা ঐতিহ্য, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রক্ষার মাধ্যমে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই। আমাদের রিপাবলিক সকল নাগরিককে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে শক্তিশালী সুরক্ষা প্রদান করবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর কোনো অংশকেই অপরায়ণ করা হবে না; বরং রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিককে সমান গুরুত্ব প্রদান ও সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
অর্থনীতিতে, আমরা কৃষি-সেবা-উৎপাদন খাতের যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে এমন একটি জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই, যেটি হবে স্বনির্ভর, আয়-বৈষম্যহীন। আমাদের অর্থনীতিতে সম্পদ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে পুঞ্জীভূত হবে না, বরং সম্পদের সুষম পুনর্বণ্টন হবে আমাদের অর্থনীতির মূলমন্ত্র। আমরা বেসরকারি খাতের সিন্ডিকেট ও গোষ্ঠীস্বার্থ নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভোক্তা ও জনস্বার্থ সংরক্ষণ করব। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাধ্যমে এই অঞ্চলের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব নিশ্চিত করব এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতে জোর দিয়ে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি টেকসই, আধুনিক অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে।
পরিশেষে, আমরা একটি ন্যায্যতা ও সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংকল্প আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধেই বিজয় নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণেরও শপথ। চলুন, আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত রেখে এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হবে, যেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকারের সংগ্রামই হবে রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য। যেখানে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। এখনই সময়—নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথচলার এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার!
তাই আসুন, প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শপথ করি। ঐক্যবদ্ধ হই। এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাই। আমাদের দেশ, আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ—আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক অধরা কোনো স্বপ্ন নয়, এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা!

জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘোষণা দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলের ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন তিনি।
ঘোষণাপত্র পাঠের আগে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা করেছি। আমরা কেবল সামনের কথা বলতে চাই। সভাবনার বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলতে চাই। জুলাই অভ্যুৃত্থানে ছাত্র-জনতার মধ্যে স্লোগান উঠেছিল, তুমি কে আমি কে, বিকল্প বিকল্প।’
বাংলাদেশে ভারত বা পাকিস্তানপন্থী কোনো রাজনীতি হবে না। আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে রাজনীতি ও রাষ্ট্র নির্মাণ করব।
ঘোষণাপত্রে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই ২০২৪ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে, আমরা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা এই মর্মে ঘোষণা করছি, আমরা হাজার বছরের ঐতিহাসিক পরিক্রমায় বঙ্গীয় বদ্বীপের জনগোষ্ঠী হিসেবে এক সমৃদ্ধ ও স্বকীয় সংস্কৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের পত্তন ঘটে। তবে শোষণ ও বৈষম্য থেকে এ দেশের গণমানুষের মুক্তি মেলেনি। ফলে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের জনগণকে বারবার গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হয়েছে।
১৯৯০ সালে ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সামরিক স্বৈরাচারকে হটিয়েছে। তথাপি, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়েও আমরা গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে পারিনি। বরং বিগত ১৫ বছর দেশে একটি নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল, যেখানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে বেপরোয়া ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকে একটি রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে পরিণত করা হয়েছে।
জুলাই ২০২৪-এ ছাত্র-জনতা বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্যই ঘটেনি। জনগণ বরং রাষ্ট্রের আষ্টেপৃষ্ঠে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা থেকে এই অভ্যুত্থানে সাড়া দিয়েছিল, যাতে করে জনগণের অধিকারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠিত হয়। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিচ্ছি। এটি হবে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল।
আমরা মনে করি, জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াই সূচনা করেছে। একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদেরকে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা এবং তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা হবে আমাদের রাজনীতির অগ্রাধিকার। এর মধ্য দিয়েই কেবল আমরা একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারব।
আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই, যেখানে সমাজে ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য, প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না।
আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে মূলধারায় তুলে আনা হবে। আমাদের রিপাবলিকে সাধারণ মানুষ, একমাত্র সাধারণ মানুষই হবে ক্ষমতার সর্বময় উৎস। তাদের সকল ধরনের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের শক্তিশালী সুরক্ষাই হবে আমাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র। আমরা ঐতিহ্য, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রক্ষার মাধ্যমে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই। আমাদের রিপাবলিক সকল নাগরিককে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে শক্তিশালী সুরক্ষা প্রদান করবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর কোনো অংশকেই অপরায়ণ করা হবে না; বরং রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিককে সমান গুরুত্ব প্রদান ও সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
অর্থনীতিতে, আমরা কৃষি-সেবা-উৎপাদন খাতের যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে এমন একটি জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই, যেটি হবে স্বনির্ভর, আয়-বৈষম্যহীন। আমাদের অর্থনীতিতে সম্পদ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে পুঞ্জীভূত হবে না, বরং সম্পদের সুষম পুনর্বণ্টন হবে আমাদের অর্থনীতির মূলমন্ত্র। আমরা বেসরকারি খাতের সিন্ডিকেট ও গোষ্ঠীস্বার্থ নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভোক্তা ও জনস্বার্থ সংরক্ষণ করব। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাধ্যমে এই অঞ্চলের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব নিশ্চিত করব এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতে জোর দিয়ে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি টেকসই, আধুনিক অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে।
পরিশেষে, আমরা একটি ন্যায্যতা ও সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংকল্প আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধেই বিজয় নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণেরও শপথ। চলুন, আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত রেখে এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হবে, যেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকারের সংগ্রামই হবে রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য। যেখানে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। এখনই সময়—নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথচলার এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার!
তাই আসুন, প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শপথ করি। ঐক্যবদ্ধ হই। এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাই। আমাদের দেশ, আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ—আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক অধরা কোনো স্বপ্ন নয়, এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা!

নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন
৬ মিনিট আগে
২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
২ ঘণ্টা আগে
দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল করে আসন্ন নির্বাচনের আগে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। প্রয়োজনে এফবিআই-স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গোয়েন্দা সংস্থাকে এই হত্যার তদন্তে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রার্থীরা, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতারা ঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন সৈয়দ এহসানুল হুদা।
নবাগতদের অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজকে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হলেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে এবং একইসঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি এবং চেয়ারপাসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থা রেখে তারা বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন। আমরা আশা করছি, তাদের এই যোগদান বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে।’
বিএনপিতে যোগ দিয়ে সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী দল। আমরা এই মুহুর্তে দেশের এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্রের পথে বিএনপিতে যোগ দিলাম।’
এহসানুল হুদা আরও বলেন, ‘আজকে নির্বাচন বানচালের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই মুহুর্তে আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমি আজকে আমার দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করছি। আশা করছি, অতীতে যেভাবে রাজপথে সংগ্রাম করেছি, একটি সুন্দর বাংলাদেশ ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারব।’
যোগদানের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন সৈয়দ এহসানুল হুদা।
নবাগতদের অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজকে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হলেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে এবং একইসঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি এবং চেয়ারপাসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থা রেখে তারা বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন। আমরা আশা করছি, তাদের এই যোগদান বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে।’
বিএনপিতে যোগ দিয়ে সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী দল। আমরা এই মুহুর্তে দেশের এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্রের পথে বিএনপিতে যোগ দিলাম।’
এহসানুল হুদা আরও বলেন, ‘আজকে নির্বাচন বানচালের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই মুহুর্তে আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমি আজকে আমার দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করছি। আশা করছি, অতীতে যেভাবে রাজপথে সংগ্রাম করেছি, একটি সুন্দর বাংলাদেশ ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারব।’
যোগদানের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘোষণা দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলের ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
২ ঘণ্টা আগে
দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল করে আসন্ন নির্বাচনের আগে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। প্রয়োজনে এফবিআই-স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গোয়েন্দা সংস্থাকে এই হত্যার তদন্তে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রার্থীরা, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতারা ঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘২৫ তারিখ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার হচ্ছে ২৬ তারিখ। শনিবার ২৭ তারিখ নির্বাচনকালীন এই সময়ে নির্বাচন কমিশন অফিস সব খোলা থাকে। সেই দিনই এই ভোটার হওয়া, আইডি কার্ড বা ভোটার আইডি বা ন্যাশনাল আইডি হওয়া-সংক্রান্ত যা কিছু আছে, তিনি এই ২৭ তারিখে করবেন।’
তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর সাধারণ নিয়মে বা মাঠপর্যায় থেকে ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকে না। তখন বিষয়টি চলে যায় পুরোপুরি কমিশনের হাতে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। ফলে এখন কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সেটি নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।
সব ঠিক থাকলে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তারেক রহমান যেহেতু ঢাকার বাসিন্দা, সে হিসেবে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে তাঁর ভোটার-সংক্রান্ত সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ২৯ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় ভোটার হয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তিনিও তফসিল ঘোষণার পর শেষমুহূর্তে ভোটার হয়েছিলেন।

২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘২৫ তারিখ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার হচ্ছে ২৬ তারিখ। শনিবার ২৭ তারিখ নির্বাচনকালীন এই সময়ে নির্বাচন কমিশন অফিস সব খোলা থাকে। সেই দিনই এই ভোটার হওয়া, আইডি কার্ড বা ভোটার আইডি বা ন্যাশনাল আইডি হওয়া-সংক্রান্ত যা কিছু আছে, তিনি এই ২৭ তারিখে করবেন।’
তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর সাধারণ নিয়মে বা মাঠপর্যায় থেকে ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকে না। তখন বিষয়টি চলে যায় পুরোপুরি কমিশনের হাতে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। ফলে এখন কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সেটি নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।
সব ঠিক থাকলে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তারেক রহমান যেহেতু ঢাকার বাসিন্দা, সে হিসেবে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে তাঁর ভোটার-সংক্রান্ত সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ২৯ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় ভোটার হয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তিনিও তফসিল ঘোষণার পর শেষমুহূর্তে ভোটার হয়েছিলেন।

জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘোষণা দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলের ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন
৬ মিনিট আগে
দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল করে আসন্ন নির্বাচনের আগে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। প্রয়োজনে এফবিআই-স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গোয়েন্দা সংস্থাকে এই হত্যার তদন্তে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রার্থীরা, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতারা ঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল করে আসন্ন নির্বাচনের আগে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। প্রয়োজনে এফবিআই-স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গোয়েন্দা সংস্থাকে এই হত্যার তদন্তে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় ইনকিলাব মঞ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। এই হত্যার ঘটনা তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে এফবিআই বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে (মুহাম্মদ ইউনূস) প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছে জনগণের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য। ওসমান হাদির জানাজার মাঠে তিনি বলেছেন, তিনি ওসমান হাদিকে ধারণ করেন। কিন্তু একবারের জন্যও তিনি জানাজার ময়দানে বলেননি যে, এই খুনের বিচারের ব্যাপারে তিনি কী করবেন। মানে তাঁর এই অসহায়ত্ব, তাঁরা দেখতে পেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা আসলে কীসের কারণে অসহায়, সেটা তাঁরা জানতে চান। প্রধান উপদেষ্টাকে কে অসহায় করে তুলল, এটা তাঁদের কাছে তাঁকে জানাতে হবে। এটা না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দিয়ে এরপর তিনি চলে যাবেন, এটা হবে না। নির্বাচনের আগে এই হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এরপর নির্বাচন। এর আগে কোনো নির্বাচন না।’
ওসমান হাদির বিচার হবে না কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সরকার আমাদের সঙ্গে বসে লিয়াজোঁ করবে এমন টিম ওসমান হাদি বানিয়ে যান নাই বলেও মন্তব্য করেন জাবের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদিকে যারা খুন করেছে, তারা দেশে থাকলে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করুন। আর তারা যদি দেশে যদি না থাকে, তাহলে বিদেশে যেখানেই থাকুক, সেখান থেকে দেশে আনার ব্যবস্থা করুন।’
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনি ও তাদের মদদদাতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইনকিলাব মঞ্চ রাজপথ ছাড়বে না বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়।
দলটি আরও জানায়, আজ সোমবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। দলনেতারা বলেন, এই সরকারের সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চ আছে, নাকি এই সরকারের পতনের আন্দোলন ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে শুরু হবে, তা এই কর্মসূচি থেকে জানা যাবে।

দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল করে আসন্ন নির্বাচনের আগে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। প্রয়োজনে এফবিআই-স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গোয়েন্দা সংস্থাকে এই হত্যার তদন্তে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় ইনকিলাব মঞ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। এই হত্যার ঘটনা তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে এফবিআই বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে (মুহাম্মদ ইউনূস) প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছে জনগণের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য। ওসমান হাদির জানাজার মাঠে তিনি বলেছেন, তিনি ওসমান হাদিকে ধারণ করেন। কিন্তু একবারের জন্যও তিনি জানাজার ময়দানে বলেননি যে, এই খুনের বিচারের ব্যাপারে তিনি কী করবেন। মানে তাঁর এই অসহায়ত্ব, তাঁরা দেখতে পেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা আসলে কীসের কারণে অসহায়, সেটা তাঁরা জানতে চান। প্রধান উপদেষ্টাকে কে অসহায় করে তুলল, এটা তাঁদের কাছে তাঁকে জানাতে হবে। এটা না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দিয়ে এরপর তিনি চলে যাবেন, এটা হবে না। নির্বাচনের আগে এই হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এরপর নির্বাচন। এর আগে কোনো নির্বাচন না।’
ওসমান হাদির বিচার হবে না কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সরকার আমাদের সঙ্গে বসে লিয়াজোঁ করবে এমন টিম ওসমান হাদি বানিয়ে যান নাই বলেও মন্তব্য করেন জাবের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদিকে যারা খুন করেছে, তারা দেশে থাকলে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করুন। আর তারা যদি দেশে যদি না থাকে, তাহলে বিদেশে যেখানেই থাকুক, সেখান থেকে দেশে আনার ব্যবস্থা করুন।’
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনি ও তাদের মদদদাতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইনকিলাব মঞ্চ রাজপথ ছাড়বে না বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়।
দলটি আরও জানায়, আজ সোমবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। দলনেতারা বলেন, এই সরকারের সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চ আছে, নাকি এই সরকারের পতনের আন্দোলন ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে শুরু হবে, তা এই কর্মসূচি থেকে জানা যাবে।

জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘোষণা দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলের ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন
৬ মিনিট আগে
২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
২ ঘণ্টা আগে
প্রার্থীরা, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতারা ঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রার্থীরা, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতারা ঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার পর ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা এই ছাত্র উপদেষ্টা। ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে আসিফ মাহমুদ জানান, প্রচারণার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে তাই তিনি স্বাভাবিক প্রচারণা করতে পারছেন না।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির হত্যার আসামিদের এখনো পর্যন্ত সরকার গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এটি সরকারের ব্যর্থতা। প্রার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে যাঁরা জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা, তাঁরা ঝুঁকিতে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে প্রার্থীসহ জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ ওসমান হাদির মতো অবস্থা যাতে আর কারও না হয়।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন আসিফ মাহমুদ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত ১০ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে ১২ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন আসিফ মাহমুদ।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর আসিফ মাহমুদের সমর্থকদের ধানমন্ডি এলাকায় উল্লাস করতে দেখা যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অন্যতম এই সমন্বয়কের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা তরুণ ভোটারদের মধ্যে বাড়তি উদ্দীপনা তৈরি করেছে।
ঢাকা-১০ আসনটি রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এখানে ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এই আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী মনোনয়ন দিয়েছেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমকে এই আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসীম উদ্দিন সরকার।

প্রার্থীরা, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতারা ঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার পর ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা এই ছাত্র উপদেষ্টা। ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে আসিফ মাহমুদ জানান, প্রচারণার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে তাই তিনি স্বাভাবিক প্রচারণা করতে পারছেন না।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির হত্যার আসামিদের এখনো পর্যন্ত সরকার গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এটি সরকারের ব্যর্থতা। প্রার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে যাঁরা জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা, তাঁরা ঝুঁকিতে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে প্রার্থীসহ জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ ওসমান হাদির মতো অবস্থা যাতে আর কারও না হয়।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন আসিফ মাহমুদ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত ১০ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে ১২ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন আসিফ মাহমুদ।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর আসিফ মাহমুদের সমর্থকদের ধানমন্ডি এলাকায় উল্লাস করতে দেখা যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অন্যতম এই সমন্বয়কের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা তরুণ ভোটারদের মধ্যে বাড়তি উদ্দীপনা তৈরি করেছে।
ঢাকা-১০ আসনটি রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এখানে ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এই আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী মনোনয়ন দিয়েছেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমকে এই আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসীম উদ্দিন সরকার।

জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘোষণা দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলের ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন
৬ মিনিট আগে
২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
২ ঘণ্টা আগে
দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল করে আসন্ন নির্বাচনের আগে শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। প্রয়োজনে এফবিআই-স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গোয়েন্দা সংস্থাকে এই হত্যার তদন্তে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
২ ঘণ্টা আগে