Ajker Patrika

পাকিস্তানকে দূরে রাখতে সার্কের বদলে বিমসটেকে জোর ভারতের, বাংলাদেশ চায় দুটোই

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯: ৫১
ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত
ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অতি সম্প্রতি বৈঠক করেছেন। গতকাল রোববার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশেন কনফারেন্স তথা ভারত মহাসাগর সম্মেলনের ফাঁকে তাঁরা বৈঠক করেন। এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থানের কারণে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর বলেছেন, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) অধীনে সহযোগিতা। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে তৌহিদ হোসেন দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক আহ্বানে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

২০১৬ সালে উরি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনের প্রতিবাদে সার্কের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকে এই কমিটির আর কোনো বৈঠক হয়নি। সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রসচিবরা থাকেন।

সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ভারতের কাছে সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে।

জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে তৌহিদ হোসেন গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে নিয়েছে এবং এসব সমস্যা সমাধানে যৌথভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে।

ঢাকার মতে, এ সপ্তাহে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনার আগে আশা করা হচ্ছে যে, সীমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় এই বৈঠকে আলোচিত ও সমাধান করা হবে। বাংলাদেশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ স্বীকার করেছে যে, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সেগুলো সমাধানে একসঙ্গে কাজ করা জরুরি।

জয়শঙ্কর মাসকাটে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের, বিশেষ করে নেপাল ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ভারত আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য এই সংস্থাটিকে সার্কের তুলনায় বেশি প্রাসঙ্গিক মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, কারণ সার্ক কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।

জয়শঙ্করের বক্তব্যে বিমসটেকের উল্লেখ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের কাছ থেকে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। বিমসটেকের মহাসচিব আইএম পাণ্ডে গত সপ্তাহে বলেন, ‘চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ বিমসটেকের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাবে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মিলে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার উদ্যোগ নিতে পারবে এবং এটি হবে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনরায় তুলে ধরার একটি সুযোগ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিমসটেকের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি অটুট রেখেছে।’

জয়শঙ্কর ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ইতিবাচক পরিবেশে গঠনমূলক ও পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। ভারত গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছিল, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত দেওয়া বিবৃতিগুলোতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা দুঃখজনক, যেখানে অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন ইস্যুর জন্য ভারত সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে।

এদিকে আগামী ৩-৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য সাক্ষাৎ নিয়ে আলোচনা চলছে। ভারত বিমসটেককে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, কারণ এই সংস্থাটিতে পাকিস্তান নেই।

যদি এই বৈঠক হয়, তবে ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি হবে দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। মোদি ও ইউনূস উভয়েই বিমসটেক সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোদি গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না।

জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।

ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত