নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করলে তাদের গায়ে লাগে। কেন? তাহলে তারা কি এখনো সেই পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের পদলেহনকারী, খোশামুদে, তোষামোদীর দল এমন প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের ভালো কিছু হলে ভালো দেখে না। বাংলাদেশ এগিয়ে গেলে তাদের ভালো লাগে না।
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করাল ড. ইউনুস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটা এমডির পদে তাকে থাকতে হবে। তাকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে। একটা উপদেষ্টা হিসেবে থাকার আরও উচ্চ মানের। সেটা সে ছাড়বে না তাঁর এমডিই থাকতে হবে। কিন্তু তাঁর বয়সে কুলায় না। ড. ইউনুস কিন্তু আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু কোর্ট আর যাই পারুক, তাঁর বয়স তো কমিয়ে দিতে পারে না ১০ বছর। কারণ গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে আছে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। তখন তাঁর বয়স ৭১ বছর। এই বয়সটা কমাবে কীভাবে? সেই মামলায় সে হেরে যায়। কিন্তু প্রতিহিংসা নেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনুস এবং যেটা আমরা শুনেছি মাহ্ফুজ আনাম, তারা আমেরিকায় চলে যায়। স্টেট ডিপার্টমেন্টে যায়। হিলারির কাছে ইমেইল পাঠায়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মি. জোলি যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাঁর শেষ কর্মদিবসে কোনো বোর্ড সভায় না পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেয়। যাক, একদিকে শাপেবর হয়েছে। কেন হয়েছে? বাংলাদেশ যে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারে সেটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। কিন্তু আমাদের এখানের একজন জ্ঞানী লোক বলে ফেললেন যে পদ্মা সেতুতে যে রেল লাইন হচ্ছে ৪০ হাজার কোটি টাকার খরচ হচ্ছে। ৪০ হাজার কোটি টাকা তো ঋণ নিয়ে করা হচ্ছে। এই ঋণ শোধ হবে কীভাবে? দক্ষিণবঙ্গের কোনো মানুষ তো রেলে চড়বে না। তারা তো লঞ্চে যাতায়াত করে। তারা রেলে চড়তে যাবে কেন? এই রেল ভায়াবল হবে না।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘সেতুর কাজ হয়ে গেছে এখন সেতু নিয়ে কথা বলে পারছে না। এখন রেলের কাজ চলছে, এখন রেলের কাজ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয় আমাদের সকলের ওনাকে চিনে রাখা উচিত। রেল গাড়ি যখন চালু হবে তখন ওনাকে নিয়ে রেলে চড়ানো উচিত। আর খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। কারণ বিভিন্ন স্প্যানগুলি যে বসাচ্ছে ওটা ছিল তার কাছে জোড়াতালি দেওয়া। তো বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না, চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে তার কিছু দোসররাও। এখন তাদের কী করা উচিত?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটা চুবানি দিয়ে উঠাইয়া নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। পদ্মা নদীতে দুটা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়। বড় বড় অর্থনীতিবিদ, জ্ঞানী-গুণী এই ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলে কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। মেগা প্রজেক্টগুলি করে না কী খুব ভুল করছি। তারা আয়েশে বসে থাকে আর আমার তৈরি করা সব টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করি। সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি সেটা নিয়েও এত টাকা দিয়ে স্যাটেলাইট করে কী হবে? এই প্রশ্নও কিন্তু তুলেছে তারা। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করলে তাদের গায়ে লাগে। কেন? তাহলে তারা কি এখনো সেই পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের পদলেহনকারী, খোশামুদে, তোষামোদীর দল? গালিটালি দিই না, দেওয়ার রুচিও নাই। তবে একটু না বলে পারি না যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশের মেয়েদের ওপর অত্যাচার করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে পোড়ামাটি নীতি নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। সেই পাকিস্তানিদের পদলেহনকারীর দল এখনো বাংলাদেশে জীবিত এটা হচ্ছে সব থেকে দুঃখজনক। এখনো তারা বাংলাদেশের ভালো কিছু হলে ভালো দেখে না। বাংলাদেশ এগিয়ে গেলে তাদের ভালো লাগে না।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশে আমরা ২০০৯-এর পরে যে সরকার গঠন করেছি তার পরেও আমাদের কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। অগ্নি সন্ত্রাস করে বিএনপি জীবন্ত মানুষ গুলিকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারে। পেট্রল বোমা মারে। আমরা রাস্তাঘাট বানাই, তারা রাস্তাঘাট কাটে। আমরা বৃক্ষরোপণ করি তারা গাছ কাটে। এই ভাবে দেশকে তারা বারবার ধ্বংসের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। সরকার উৎখাত করার তারা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাদের ডাকে তো জনগণ সাড়া দেয়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। ওই দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়েছিল জীবনে কোনো দিন রাজনীতি করবে না। এই মুচলেকা দিয়েই কিন্তু দেশ ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু এই মামলায় বিচারের রায়ে সে সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া। কারাগার থেকে এখন বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি এখন অসুস্থ সেই জন্য। এইটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে বারবার তাকেই আমি এই করুণা ভিক্ষা দিয়েছি যে সে এখন বাসায় থাকতে পারে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিও এখন বাসায় থাকতে পারে-এটা নির্বাহী আদেশেই দেওয়া হয়েছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমার এখানে একটা প্রশ্ন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিএনপির আমলে নির্বাচনের ইতিহাস এতই কলুষিত যে তাদের তো এ নিয়ে কথা বলার অধিকারই নাই। কোনো মুখে তারা বলে? ঢাকা-১০ এ ফালু ইলেকশন করেছিল সেই ইলেকশনের চিত্র নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। মাগুরা ইলেকশন, যে ইলেকশন নিয়ে আমরা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে উৎখাত করলাম। মিরপুর ইলেকশন, প্রত্যেকটা সময় তো আমরা দেখেছি তাদের ইলেকশনের চিত্র। আর এমনিতে সেই ৭৭-এর হ্যা/না, ৭৮-এর রাষ্ট্রপতি, ৭৯-র সাধারণ নির্বাচন, ৮১-র নির্বাচন। প্রত্যেক নির্বাচনই তো আমাদের দেখা। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। যাদের নির্বাচনের এত কলুষিত রেকর্ড তাদের মুখে এখন নির্বাচনের প্রশ্ন।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সেগুলি আমাদেরই সিদ্ধান্ত। আমাদেরই চিন্তা। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ইভিএম-একটা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এর সবকিছু তো আমরা। নির্বাচনে যাতে মানুষ ভোট দেওয়ার অধিকার পায়, সে অধিকারটাই তো সব থেকে বড়। সেটাই আমরা করতে চেয়েছি। এটা নিয়ে তো তাদের প্রশ্ন তোলার কোনো অর্থই হয় না। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। এটাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তিটা আছে বলেই এবং জনগণের শক্তিতে আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পেরেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এর ভেতরে আমাদের কিছু আঁতেল আবার জুটেছে। একজন অর্থনীতিবিদ বলেই দিল আমরা যে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছি এটা না কী অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ ক্ষতিকর। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র-এটা হচ্ছে সব থেকে পরিবেশবান্ধব। গ্যাস তো চিরদিন থাকে না। একেকটা কূপ খনন করে তার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। তেল ভিত্তিক, গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ আমরা করি। অনেক খরচেরও ব্যাপার। যদি কোনো দিন এমন হয় যে আমাদের গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টই তো আমাদের বিদ্যুৎ দেবে। এটা সব থেকে পরিবেশবান্ধব একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এখানে বিনিয়োগটা বড় করে দেখা যায়। কিন্তু এর বিদ্যুৎ যখন উৎপাদন হবে। আর এই বিদ্যুৎ যখন মানুষ ব্যবহার করবে আমাদের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি বলেই সারা বাংলাদেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আমরা পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা যখন শুরু করলাম রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে তখন সেটা নিয়েও অনেক কথা বলে গেছে। আজকে যে বিদ্যুৎ আমরা করেছি সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করেই আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই ঘোষণা নিয়ে ব্যঙ্গ করে। আজকে সেই ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেই আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। এটা বোধ হয় ভুলে যায় তারা যে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে সেটা কিন্তু আমরা দিচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আমলে, জিয়ার আমলে, এরশাদের আমলে তাদের কী কথা বলার কোনো সুযোগ ছিল? কতটুকু অধিকার ভোগ করত তারা? বেসরকারি টেলিভিশন এত দিয়ে দিয়েছি যে সারা দিন রাত টকশো করে। আমি মাঝে মাঝে বলি এত টক টক কথা না বলে একটু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। কত আর টক টক কথা বলবেন। টকশো তারা করে যাচ্ছে। কেউ তো তাদের গলা চিপে ধরে নাই। মুখ চেপেও ধরি না। কথা বলেই যাচ্ছে। তবে হ্যা, সব কথা বলার শেষে বলে কথা বলতে দেওয়া হয় না।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের বিএনপির এক নেতা তো সারা দিন মুখে মাইক লাগিয়েই আছে। সারাক্ষণ কথা বলেই যাচ্ছে। একবার কথা বলতে বলতে গলায় অসুখও হলো। যাক, চিকিৎসা করে এসে আবার কথা বলছে। তার কথা তো কেউ বন্ধ করছে না। তাদের আন্দোলনে যদি জনগণ সাড়া না দেয়, সে দোষটা কাদের? রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যে অর্থনীতিবিদ কথা বলে, তাকে আমি বলব তিনি কি এটা প্রকৃতপক্ষে জেনেই বলছেন নাকি না জেনে বলছেন? আমি তাঁর জ্ঞান নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলব না, তারা অনেক ভালো লেখাপড়া জানেন। কিন্তু একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেয়ে মানুষের একটা জাতির যে কতটুকু উন্নতি হতে পারে সেটা আজকের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নটা বাইরের লোকও দেখে কিন্তু তারা দেখে না।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করলে তাদের গায়ে লাগে। কেন? তাহলে তারা কি এখনো সেই পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের পদলেহনকারী, খোশামুদে, তোষামোদীর দল এমন প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের ভালো কিছু হলে ভালো দেখে না। বাংলাদেশ এগিয়ে গেলে তাদের ভালো লাগে না।
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করাল ড. ইউনুস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটা এমডির পদে তাকে থাকতে হবে। তাকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে। একটা উপদেষ্টা হিসেবে থাকার আরও উচ্চ মানের। সেটা সে ছাড়বে না তাঁর এমডিই থাকতে হবে। কিন্তু তাঁর বয়সে কুলায় না। ড. ইউনুস কিন্তু আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু কোর্ট আর যাই পারুক, তাঁর বয়স তো কমিয়ে দিতে পারে না ১০ বছর। কারণ গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে আছে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। তখন তাঁর বয়স ৭১ বছর। এই বয়সটা কমাবে কীভাবে? সেই মামলায় সে হেরে যায়। কিন্তু প্রতিহিংসা নেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনুস এবং যেটা আমরা শুনেছি মাহ্ফুজ আনাম, তারা আমেরিকায় চলে যায়। স্টেট ডিপার্টমেন্টে যায়। হিলারির কাছে ইমেইল পাঠায়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মি. জোলি যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাঁর শেষ কর্মদিবসে কোনো বোর্ড সভায় না পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেয়। যাক, একদিকে শাপেবর হয়েছে। কেন হয়েছে? বাংলাদেশ যে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারে সেটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। কিন্তু আমাদের এখানের একজন জ্ঞানী লোক বলে ফেললেন যে পদ্মা সেতুতে যে রেল লাইন হচ্ছে ৪০ হাজার কোটি টাকার খরচ হচ্ছে। ৪০ হাজার কোটি টাকা তো ঋণ নিয়ে করা হচ্ছে। এই ঋণ শোধ হবে কীভাবে? দক্ষিণবঙ্গের কোনো মানুষ তো রেলে চড়বে না। তারা তো লঞ্চে যাতায়াত করে। তারা রেলে চড়তে যাবে কেন? এই রেল ভায়াবল হবে না।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘সেতুর কাজ হয়ে গেছে এখন সেতু নিয়ে কথা বলে পারছে না। এখন রেলের কাজ চলছে, এখন রেলের কাজ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয় আমাদের সকলের ওনাকে চিনে রাখা উচিত। রেল গাড়ি যখন চালু হবে তখন ওনাকে নিয়ে রেলে চড়ানো উচিত। আর খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। কারণ বিভিন্ন স্প্যানগুলি যে বসাচ্ছে ওটা ছিল তার কাছে জোড়াতালি দেওয়া। তো বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না, চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে তার কিছু দোসররাও। এখন তাদের কী করা উচিত?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটা চুবানি দিয়ে উঠাইয়া নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। পদ্মা নদীতে দুটা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়। বড় বড় অর্থনীতিবিদ, জ্ঞানী-গুণী এই ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলে কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। মেগা প্রজেক্টগুলি করে না কী খুব ভুল করছি। তারা আয়েশে বসে থাকে আর আমার তৈরি করা সব টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করি। সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি সেটা নিয়েও এত টাকা দিয়ে স্যাটেলাইট করে কী হবে? এই প্রশ্নও কিন্তু তুলেছে তারা। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করলে তাদের গায়ে লাগে। কেন? তাহলে তারা কি এখনো সেই পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের পদলেহনকারী, খোশামুদে, তোষামোদীর দল? গালিটালি দিই না, দেওয়ার রুচিও নাই। তবে একটু না বলে পারি না যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশের মেয়েদের ওপর অত্যাচার করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে পোড়ামাটি নীতি নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। সেই পাকিস্তানিদের পদলেহনকারীর দল এখনো বাংলাদেশে জীবিত এটা হচ্ছে সব থেকে দুঃখজনক। এখনো তারা বাংলাদেশের ভালো কিছু হলে ভালো দেখে না। বাংলাদেশ এগিয়ে গেলে তাদের ভালো লাগে না।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশে আমরা ২০০৯-এর পরে যে সরকার গঠন করেছি তার পরেও আমাদের কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। অগ্নি সন্ত্রাস করে বিএনপি জীবন্ত মানুষ গুলিকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারে। পেট্রল বোমা মারে। আমরা রাস্তাঘাট বানাই, তারা রাস্তাঘাট কাটে। আমরা বৃক্ষরোপণ করি তারা গাছ কাটে। এই ভাবে দেশকে তারা বারবার ধ্বংসের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। সরকার উৎখাত করার তারা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাদের ডাকে তো জনগণ সাড়া দেয়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। ওই দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়েছিল জীবনে কোনো দিন রাজনীতি করবে না। এই মুচলেকা দিয়েই কিন্তু দেশ ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু এই মামলায় বিচারের রায়ে সে সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া। কারাগার থেকে এখন বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি এখন অসুস্থ সেই জন্য। এইটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে বারবার তাকেই আমি এই করুণা ভিক্ষা দিয়েছি যে সে এখন বাসায় থাকতে পারে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিও এখন বাসায় থাকতে পারে-এটা নির্বাহী আদেশেই দেওয়া হয়েছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমার এখানে একটা প্রশ্ন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিএনপির আমলে নির্বাচনের ইতিহাস এতই কলুষিত যে তাদের তো এ নিয়ে কথা বলার অধিকারই নাই। কোনো মুখে তারা বলে? ঢাকা-১০ এ ফালু ইলেকশন করেছিল সেই ইলেকশনের চিত্র নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। মাগুরা ইলেকশন, যে ইলেকশন নিয়ে আমরা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে উৎখাত করলাম। মিরপুর ইলেকশন, প্রত্যেকটা সময় তো আমরা দেখেছি তাদের ইলেকশনের চিত্র। আর এমনিতে সেই ৭৭-এর হ্যা/না, ৭৮-এর রাষ্ট্রপতি, ৭৯-র সাধারণ নির্বাচন, ৮১-র নির্বাচন। প্রত্যেক নির্বাচনই তো আমাদের দেখা। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। যাদের নির্বাচনের এত কলুষিত রেকর্ড তাদের মুখে এখন নির্বাচনের প্রশ্ন।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সেগুলি আমাদেরই সিদ্ধান্ত। আমাদেরই চিন্তা। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ইভিএম-একটা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এর সবকিছু তো আমরা। নির্বাচনে যাতে মানুষ ভোট দেওয়ার অধিকার পায়, সে অধিকারটাই তো সব থেকে বড়। সেটাই আমরা করতে চেয়েছি। এটা নিয়ে তো তাদের প্রশ্ন তোলার কোনো অর্থই হয় না। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। এটাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তিটা আছে বলেই এবং জনগণের শক্তিতে আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পেরেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এর ভেতরে আমাদের কিছু আঁতেল আবার জুটেছে। একজন অর্থনীতিবিদ বলেই দিল আমরা যে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছি এটা না কী অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ ক্ষতিকর। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র-এটা হচ্ছে সব থেকে পরিবেশবান্ধব। গ্যাস তো চিরদিন থাকে না। একেকটা কূপ খনন করে তার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। তেল ভিত্তিক, গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ আমরা করি। অনেক খরচেরও ব্যাপার। যদি কোনো দিন এমন হয় যে আমাদের গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টই তো আমাদের বিদ্যুৎ দেবে। এটা সব থেকে পরিবেশবান্ধব একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এখানে বিনিয়োগটা বড় করে দেখা যায়। কিন্তু এর বিদ্যুৎ যখন উৎপাদন হবে। আর এই বিদ্যুৎ যখন মানুষ ব্যবহার করবে আমাদের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি বলেই সারা বাংলাদেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আমরা পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা যখন শুরু করলাম রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে তখন সেটা নিয়েও অনেক কথা বলে গেছে। আজকে যে বিদ্যুৎ আমরা করেছি সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করেই আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই ঘোষণা নিয়ে ব্যঙ্গ করে। আজকে সেই ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেই আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। এটা বোধ হয় ভুলে যায় তারা যে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে সেটা কিন্তু আমরা দিচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আমলে, জিয়ার আমলে, এরশাদের আমলে তাদের কী কথা বলার কোনো সুযোগ ছিল? কতটুকু অধিকার ভোগ করত তারা? বেসরকারি টেলিভিশন এত দিয়ে দিয়েছি যে সারা দিন রাত টকশো করে। আমি মাঝে মাঝে বলি এত টক টক কথা না বলে একটু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। কত আর টক টক কথা বলবেন। টকশো তারা করে যাচ্ছে। কেউ তো তাদের গলা চিপে ধরে নাই। মুখ চেপেও ধরি না। কথা বলেই যাচ্ছে। তবে হ্যা, সব কথা বলার শেষে বলে কথা বলতে দেওয়া হয় না।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের বিএনপির এক নেতা তো সারা দিন মুখে মাইক লাগিয়েই আছে। সারাক্ষণ কথা বলেই যাচ্ছে। একবার কথা বলতে বলতে গলায় অসুখও হলো। যাক, চিকিৎসা করে এসে আবার কথা বলছে। তার কথা তো কেউ বন্ধ করছে না। তাদের আন্দোলনে যদি জনগণ সাড়া না দেয়, সে দোষটা কাদের? রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যে অর্থনীতিবিদ কথা বলে, তাকে আমি বলব তিনি কি এটা প্রকৃতপক্ষে জেনেই বলছেন নাকি না জেনে বলছেন? আমি তাঁর জ্ঞান নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলব না, তারা অনেক ভালো লেখাপড়া জানেন। কিন্তু একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেয়ে মানুষের একটা জাতির যে কতটুকু উন্নতি হতে পারে সেটা আজকের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নটা বাইরের লোকও দেখে কিন্তু তারা দেখে না।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক
২৪ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে
২৯ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগ্রহী সংস্থাগুলো ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।
৩২ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের তারিখ পেছানো হয়েছে। আজ রোববার এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি যে, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, কোনো প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া বা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা কখনোই কাম্য নয়। সরকার এ ধরনের অন্যায় ও গর্হিত কাজ বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। হামলাকারীরা কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে কার্যালয় দুটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাংবাদিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাঁরা বলছেন, এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা।
ছায়ানট ভবনে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি।’
এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাককর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেন ধর্ম উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, সরকার কোনোভাবেই কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেবে না। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি যে, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, কোনো প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া বা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা কখনোই কাম্য নয়। সরকার এ ধরনের অন্যায় ও গর্হিত কাজ বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। হামলাকারীরা কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে কার্যালয় দুটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাংবাদিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাঁরা বলছেন, এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা।
ছায়ানট ভবনে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি।’
এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাককর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেন ধর্ম উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, সরকার কোনোভাবেই কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেবে না। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে।

পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটা চুবানি দিয়ে উঠাইয়া নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। পদ্মা নদীতে দুটা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত...
১৮ মে ২০২২
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে
২৯ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগ্রহী সংস্থাগুলো ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।
৩২ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের তারিখ পেছানো হয়েছে। আজ রোববার এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এই নির্দেশ দেন।
অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
দুদকের সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে মেঘনা-গোমতী সেতুতে ২০১৬ সালে নীতিমালা উপেক্ষা করে ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড’কে (সিএনএস) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। টাকার অঙ্কে কাজের মূল্য নির্ধারণ না করে বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মোট ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল তুলেছে। দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩০৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় দুদক ১২ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তকালে দুদক জানতে পেরেছে, এ মামলার আসামিরা যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। তাঁরা দেশত্যাগ করলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ থেকে ভারতে চলে যান। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এই নির্দেশ দেন।
অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
দুদকের সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে মেঘনা-গোমতী সেতুতে ২০১৬ সালে নীতিমালা উপেক্ষা করে ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড’কে (সিএনএস) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। টাকার অঙ্কে কাজের মূল্য নির্ধারণ না করে বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মোট ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল তুলেছে। দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩০৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় দুদক ১২ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তকালে দুদক জানতে পেরেছে, এ মামলার আসামিরা যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। তাঁরা দেশত্যাগ করলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ থেকে ভারতে চলে যান। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটা চুবানি দিয়ে উঠাইয়া নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। পদ্মা নদীতে দুটা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত...
১৮ মে ২০২২
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক
২৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগ্রহী সংস্থাগুলো ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।
৩২ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের তারিখ পেছানো হয়েছে। আজ রোববার এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগ্রহী সংস্থাগুলো ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।
আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদন করার কথা ছিল। তবে বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতি পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরবরাহ করা হবে। অন্যদিকে, স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য এই পরিচয়পত্র ও স্টিকার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দেওয়া হবে।
পরিচয়পত্র সংগ্রহের সময় অনুমোদিত পর্যবেক্ষকের এইচএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও নির্ধারিত ফরম (EO-2 ও EO-3) পূরণ করে জমা দিতে হবে।
পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ এবং প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা ও অন্যান্য ফরম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd) পাওয়া যাবে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে, যারা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই পর্যবেক্ষকদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগ্রহী সংস্থাগুলো ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।
আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদন করার কথা ছিল। তবে বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতি পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরবরাহ করা হবে। অন্যদিকে, স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য এই পরিচয়পত্র ও স্টিকার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দেওয়া হবে।
পরিচয়পত্র সংগ্রহের সময় অনুমোদিত পর্যবেক্ষকের এইচএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও নির্ধারিত ফরম (EO-2 ও EO-3) পূরণ করে জমা দিতে হবে।
পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ এবং প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা ও অন্যান্য ফরম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd) পাওয়া যাবে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে, যারা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই পর্যবেক্ষকদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটা চুবানি দিয়ে উঠাইয়া নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। পদ্মা নদীতে দুটা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত...
১৮ মে ২০২২
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক
২৪ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে
২৯ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের তারিখ পেছানো হয়েছে। আজ রোববার এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২৩ ডিসেম্বর। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
এর আগে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে আজ সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনসুরুল হক চৌধুরী এই মামলায় শুনানি করতে সময় আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে শুনানি করতে আগামীকাল এবং আদেশের জন্য ২৩ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেন।
এই মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে রোববার শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এই মামলায় পলাতক রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
এর আগে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২৩ ডিসেম্বর। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
এর আগে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে আজ সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনসুরুল হক চৌধুরী এই মামলায় শুনানি করতে সময় আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে শুনানি করতে আগামীকাল এবং আদেশের জন্য ২৩ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেন।
এই মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে রোববার শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এই মামলায় পলাতক রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
এর আগে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটা চুবানি দিয়ে উঠাইয়া নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। পদ্মা নদীতে দুটা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত...
১৮ মে ২০২২
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক
২৪ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে
২৯ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগ্রহী সংস্থাগুলো ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।
৩২ মিনিট আগে