কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সবার।
বিষয়টি অবশেষে আরও একটু পরিষ্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যও আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
সরকার ও শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করবে—এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় ইউনূস এসব কথা বললেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গতকাল এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৭ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাঁর (হাসিনা) দলের ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) স্বাধীনতার পর দেশে ভয়াবহতম বেসামরিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর। শত শত মানুষ খুন হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। কয়েক শ শিক্ষার্থী হয় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অথবা হারাতে চলেছে। আর কোথাও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, পরিবেশবান্ধব ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে, এমন একটি দেশের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এত মূল্য দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান।
ইউনূস বলেন, দেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে নির্মম নিষ্পেষণ চলেছে। নির্বাচনে নগ্ন কারচুপি হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের কোষাগার লুটে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন এমন একটি দেশ চায়, যেখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়নির্বিশেষে মানুষ নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক্স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দিন লাগবে, তত দিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে।
সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার, এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘকে সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর করার কাজও হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ ও গভীর সংস্কার চায়। যাতে প্রকৃত ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা বেশ বড় কাজ। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। সংস্কার শেষ করতে কত দিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ইঙ্গিত দেননি সরকারপ্রধান।
আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সই করা চুক্তি ও অঙ্গীকারগুলো সরকার মেনে চলবে, বিদেশি দূতদের এমন বার্তাও দেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আয়োজনটি মূলত দেখা-সাক্ষাতের হওয়ায় রাষ্ট্রদূতেরা অনুষ্ঠানে কোনো প্রশ্ন করেননি।
গণমাধ্যমে কী সংস্কার আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় সরকার।
গতকাল বেলা ১১টায় শুরুর কথা থাকায় কূটনীতিকদের বেশির ভাগ তার আগেই পৌঁছে যান হোটেলে। কিন্তু ড. ইউনূস যখন এলেন, তখন বেলা প্রায় ১টা। তার আগেই একাধিক রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রভাবশালী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এসেছি। তিনি এখনো এলেন না। হয়তো তাঁর ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কেউ আমাদের কিছু বলছে না!’
অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের লোকেরা ২-৩টি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। তিনি তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে দেরি হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ স্থানীয় অন্য ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকেরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সবার।
বিষয়টি অবশেষে আরও একটু পরিষ্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যও আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
সরকার ও শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করবে—এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় ইউনূস এসব কথা বললেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গতকাল এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৭ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাঁর (হাসিনা) দলের ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) স্বাধীনতার পর দেশে ভয়াবহতম বেসামরিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর। শত শত মানুষ খুন হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। কয়েক শ শিক্ষার্থী হয় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অথবা হারাতে চলেছে। আর কোথাও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, পরিবেশবান্ধব ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে, এমন একটি দেশের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এত মূল্য দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান।
ইউনূস বলেন, দেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে নির্মম নিষ্পেষণ চলেছে। নির্বাচনে নগ্ন কারচুপি হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের কোষাগার লুটে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন এমন একটি দেশ চায়, যেখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়নির্বিশেষে মানুষ নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক্স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দিন লাগবে, তত দিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে।
সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার, এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘকে সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর করার কাজও হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ ও গভীর সংস্কার চায়। যাতে প্রকৃত ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা বেশ বড় কাজ। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। সংস্কার শেষ করতে কত দিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ইঙ্গিত দেননি সরকারপ্রধান।
আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সই করা চুক্তি ও অঙ্গীকারগুলো সরকার মেনে চলবে, বিদেশি দূতদের এমন বার্তাও দেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আয়োজনটি মূলত দেখা-সাক্ষাতের হওয়ায় রাষ্ট্রদূতেরা অনুষ্ঠানে কোনো প্রশ্ন করেননি।
গণমাধ্যমে কী সংস্কার আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় সরকার।
গতকাল বেলা ১১টায় শুরুর কথা থাকায় কূটনীতিকদের বেশির ভাগ তার আগেই পৌঁছে যান হোটেলে। কিন্তু ড. ইউনূস যখন এলেন, তখন বেলা প্রায় ১টা। তার আগেই একাধিক রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রভাবশালী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এসেছি। তিনি এখনো এলেন না। হয়তো তাঁর ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কেউ আমাদের কিছু বলছে না!’
অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের লোকেরা ২-৩টি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। তিনি তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে দেরি হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ স্থানীয় অন্য ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকেরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সবার।
বিষয়টি অবশেষে আরও একটু পরিষ্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যও আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
সরকার ও শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করবে—এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় ইউনূস এসব কথা বললেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গতকাল এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৭ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাঁর (হাসিনা) দলের ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) স্বাধীনতার পর দেশে ভয়াবহতম বেসামরিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর। শত শত মানুষ খুন হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। কয়েক শ শিক্ষার্থী হয় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অথবা হারাতে চলেছে। আর কোথাও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, পরিবেশবান্ধব ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে, এমন একটি দেশের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এত মূল্য দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান।
ইউনূস বলেন, দেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে নির্মম নিষ্পেষণ চলেছে। নির্বাচনে নগ্ন কারচুপি হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের কোষাগার লুটে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন এমন একটি দেশ চায়, যেখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়নির্বিশেষে মানুষ নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক্স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দিন লাগবে, তত দিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে।
সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার, এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘকে সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর করার কাজও হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ ও গভীর সংস্কার চায়। যাতে প্রকৃত ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা বেশ বড় কাজ। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। সংস্কার শেষ করতে কত দিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ইঙ্গিত দেননি সরকারপ্রধান।
আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সই করা চুক্তি ও অঙ্গীকারগুলো সরকার মেনে চলবে, বিদেশি দূতদের এমন বার্তাও দেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আয়োজনটি মূলত দেখা-সাক্ষাতের হওয়ায় রাষ্ট্রদূতেরা অনুষ্ঠানে কোনো প্রশ্ন করেননি।
গণমাধ্যমে কী সংস্কার আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় সরকার।
গতকাল বেলা ১১টায় শুরুর কথা থাকায় কূটনীতিকদের বেশির ভাগ তার আগেই পৌঁছে যান হোটেলে। কিন্তু ড. ইউনূস যখন এলেন, তখন বেলা প্রায় ১টা। তার আগেই একাধিক রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রভাবশালী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এসেছি। তিনি এখনো এলেন না। হয়তো তাঁর ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কেউ আমাদের কিছু বলছে না!’
অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের লোকেরা ২-৩টি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। তিনি তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে দেরি হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ স্থানীয় অন্য ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকেরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সবার।
বিষয়টি অবশেষে আরও একটু পরিষ্কার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সেই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যও আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
সরকার ও শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করবে—এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় ইউনূস এসব কথা বললেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গতকাল এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৬৭ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাঁর (হাসিনা) দলের ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) স্বাধীনতার পর দেশে ভয়াবহতম বেসামরিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর। শত শত মানুষ খুন হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। কয়েক শ শিক্ষার্থী হয় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অথবা হারাতে চলেছে। আর কোথাও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, পরিবেশবান্ধব ও মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে, এমন একটি দেশের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এত মূল্য দিতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান।
ইউনূস বলেন, দেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হাসিনার সরকার গত দেড় দশকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে নির্মম নিষ্পেষণ চলেছে। নির্বাচনে নগ্ন কারচুপি হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের কোষাগার লুটে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন এমন একটি দেশ চায়, যেখানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়নির্বিশেষে মানুষ নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক্স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দিন লাগবে, তত দিন সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবে।
সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার, এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘকে সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর করার কাজও হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থবহ ও গভীর সংস্কার চায়। যাতে প্রকৃত ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা বেশ বড় কাজ। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। সংস্কার শেষ করতে কত দিন লাগতে পারে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো ইঙ্গিত দেননি সরকারপ্রধান।
আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সই করা চুক্তি ও অঙ্গীকারগুলো সরকার মেনে চলবে, বিদেশি দূতদের এমন বার্তাও দেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকারসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আয়োজনটি মূলত দেখা-সাক্ষাতের হওয়ায় রাষ্ট্রদূতেরা অনুষ্ঠানে কোনো প্রশ্ন করেননি।
গণমাধ্যমে কী সংস্কার আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় সরকার।
গতকাল বেলা ১১টায় শুরুর কথা থাকায় কূটনীতিকদের বেশির ভাগ তার আগেই পৌঁছে যান হোটেলে। কিন্তু ড. ইউনূস যখন এলেন, তখন বেলা প্রায় ১টা। তার আগেই একাধিক রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রভাবশালী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এসেছি। তিনি এখনো এলেন না। হয়তো তাঁর ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কেউ আমাদের কিছু বলছে না!’
অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের লোকেরা ২-৩টি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। তিনি তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে দেরি হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে থাকায় অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ স্থানীয় অন্য ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকেরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্র
১৯ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। হাদির মরদেহ কবরে শায়িত করা হয় ৩টা ২০মিনিটের দিকে। সমাধিস্থলে নিয়ে আসা হয় ৩ টা ২ মিনিটে। দাফন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। হাদির মরদেহ কবরে শায়িত করা হয় ৩টা ২০মিনিটের দিকে। সমাধিস্থলে নিয়ে আসা হয় ৩ টা ২ মিনিটে। দাফন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্র
১৯ আগস্ট ২০২৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্র
১৯ আগস্ট ২০২৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও বলছে, সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা তারা করবে। তবে সেই নির্বাচন কবে হবে, তা জানার আগ্র
১৯ আগস্ট ২০২৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে