নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

না মাঠে, না কাজে—কোনো দিক দিয়ে আলোচনায় না এলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে ঘিরে ঝড় উঠেছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। জি এম কাদেরের সমালোচনায় সব সময়ই মুখর বিদিশা। সুযোগ পেলেই নানা কথা বলে আলোচনায় আসেন। তবে বিদিশাকে নিয়ে কথাই বলতে চান না জাপার চেয়ারম্যান ও প্রয়াত এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের।
সম্প্রতি পুরোনো বিরোধ ভুলে রওশন এরশাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছিলেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা। এ ঘটনার রেশ কাটতে না–কাটতেই সন্তান এরিকের পরিচয় নিয়ে পাল্টা অভিযোগ এসেছে তাঁর বিরুদ্ধেও। সব মিলিয়ে বিদিশাকে ঘিরে বর্তমানে বেশ সরগরম রয়েছে জাপা।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাপার প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ। তাঁর মৃত্যুর পরে জাপার চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে দুই পক্ষের টানাটানি শুরু হয়। ওই সময় এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে পার্টির চেয়ারম্যান করতে তৎপর হন তাঁর সমর্থকেরা। পরে কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান হন এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের। দলকে সুসংহত রাখতে রওশনকে পার্টির ‘চিফ প্যাট্রন’ করা হয়। পাশাপাশি রওশনবলয়ের নেতাদের পদপদবি দিয়ে ভাঙনের হাত থেকে দলকে বাঁচান জি এম কাদের।
এ ঘটনার পরে পার্টিতে মোটামুটি একটা স্থিতাবস্থা ফিরলেও সময়ে সময়ে জি এম কাদেরের নেতৃত্ব নিয়ে নানা কথা বলে আসছিলেন বিদিশা সিদ্দিক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘রওশন এরশাদ যেন আজীবন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, আমি সেটাই চাই।’
বিদিশার এই বক্তব্যের পরে কয়েক দিন ধরে দলে ও দলের বাইরে নানা কথা চাউর হচ্ছে। দলেও উঠেছে নানা প্রশ্ন। পুরোনো দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে হঠাৎ কেন বিদিশা রওশনের পক্ষে অবস্থান নিলেন? এ নিয়ে আলোচনার মাঝেই এরশাদের ছেলে শাহাতা জারাব এরশাদ এরিকের জন্মপরিচয় নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এরিক।
রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদ ট্রাস্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাপার চেয়ারম্যান ও তাঁর চাচা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এরিক। তিনি বলেন, ‘আমার ও আমার মা বিদিশার যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে দায়ী থাকবেন চাচা জি এম কাদের।’ তাঁদের বিরুদ্ধে জি এম কাদের কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ করাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন এরিক।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জাতীয় পার্টির অফিশিয়াল পেজে এরিক ও বিদিশার নিউজ শেয়ার করা হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্রের জন্য জি এম কাদের দায়ী। এরিককে সরাতে পারলে তিনি সম্পদ দখল করতে পারবেন। তিনি বলেন, জি এম কাদের এরশাদ পরিবারকে ধ্বংস করার যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এরশাদের জীবদ্দশায় এরিকের জন্ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন না করলেও এখন অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।
এরশাদের ব্যবসার অংশীদার ও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত সাতক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ ও হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এরশাদের সম্পত্তি বাগিয়ে নিতে বিদিশা সন্তান নিয়ে নাটক করছেন। এরিক এরশাদের ছেলে হতে পারে না। প্রমাণ করতে চাইলে তিনি (বিদিশা) আদালতে আসতে পারেন।’
এরিক ও এরশাদ ট্রাস্টের অভিযোগ বিষয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন জাপার অনেক নেতা। তাঁদের অভিযোগ, এরশাদের জীবদ্দশায় বিদিশা এরিকের কোনো খোঁজখবর রাখতেন না। বিদিশার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরে আরও অনেক দিন এরশাদ বেঁচে ছিলেন। এই সময়ে বিদিশা এরিকের কোনো খোঁজখবর রাখেননি। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন নিকেতনের বাসায় এরিক তাঁর মায়ের কাছে থেকেছেন। বাকি সময়টা প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদের কাছেই ছিলেন। এরশাদ মারা গেলে হঠাৎ করেই প্রেসিডেন্ট পার্কে উঠলেন বিদিশা। এরপর থেকেই এরিকের প্রতি অতিমাত্রায় মনোযোগী হন বিদিশা।
ট্রাস্টের বিষয়েও অভিযোগ করে তাঁরা বলেন, ‘এরশাদ তাঁর সম্পত্তি ট্রাস্টে দিয়ে গেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এরিকের ভরণপোষণ এই ট্রাস্ট থেকেই নির্বাহ করা হবে। বাকি টাকা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা বলে গেছেন এরশাদ। বিদিশা এখন সেই ট্রাস্টকে তাঁর নিজের লোকদের নিয়ে ইচ্ছেমতো সাজিয়েছেন, যেখানে এরশাদ পরিবারেরও কেউ নেই। সব ভুঁইফোড় লোকজন। আসলে সম্পত্তি বাগিয়ে নিতেই বিদিশা তৎপর রয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ‘এরশাদ সাহেবের বিশাল সম্পত্তি। এগুলো ভোগদখলের ব্যাপার-স্যাপার আছে। সন্তানের নামটা না দিলে তো এটা হয় না।’

না মাঠে, না কাজে—কোনো দিক দিয়ে আলোচনায় না এলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে ঘিরে ঝড় উঠেছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। জি এম কাদেরের সমালোচনায় সব সময়ই মুখর বিদিশা। সুযোগ পেলেই নানা কথা বলে আলোচনায় আসেন। তবে বিদিশাকে নিয়ে কথাই বলতে চান না জাপার চেয়ারম্যান ও প্রয়াত এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের।
সম্প্রতি পুরোনো বিরোধ ভুলে রওশন এরশাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছিলেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা। এ ঘটনার রেশ কাটতে না–কাটতেই সন্তান এরিকের পরিচয় নিয়ে পাল্টা অভিযোগ এসেছে তাঁর বিরুদ্ধেও। সব মিলিয়ে বিদিশাকে ঘিরে বর্তমানে বেশ সরগরম রয়েছে জাপা।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাপার প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ। তাঁর মৃত্যুর পরে জাপার চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে দুই পক্ষের টানাটানি শুরু হয়। ওই সময় এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে পার্টির চেয়ারম্যান করতে তৎপর হন তাঁর সমর্থকেরা। পরে কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান হন এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের। দলকে সুসংহত রাখতে রওশনকে পার্টির ‘চিফ প্যাট্রন’ করা হয়। পাশাপাশি রওশনবলয়ের নেতাদের পদপদবি দিয়ে ভাঙনের হাত থেকে দলকে বাঁচান জি এম কাদের।
এ ঘটনার পরে পার্টিতে মোটামুটি একটা স্থিতাবস্থা ফিরলেও সময়ে সময়ে জি এম কাদেরের নেতৃত্ব নিয়ে নানা কথা বলে আসছিলেন বিদিশা সিদ্দিক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘রওশন এরশাদ যেন আজীবন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, আমি সেটাই চাই।’
বিদিশার এই বক্তব্যের পরে কয়েক দিন ধরে দলে ও দলের বাইরে নানা কথা চাউর হচ্ছে। দলেও উঠেছে নানা প্রশ্ন। পুরোনো দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে হঠাৎ কেন বিদিশা রওশনের পক্ষে অবস্থান নিলেন? এ নিয়ে আলোচনার মাঝেই এরশাদের ছেলে শাহাতা জারাব এরশাদ এরিকের জন্মপরিচয় নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এরিক।
রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদ ট্রাস্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাপার চেয়ারম্যান ও তাঁর চাচা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এরিক। তিনি বলেন, ‘আমার ও আমার মা বিদিশার যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে দায়ী থাকবেন চাচা জি এম কাদের।’ তাঁদের বিরুদ্ধে জি এম কাদের কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ করাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন এরিক।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জাতীয় পার্টির অফিশিয়াল পেজে এরিক ও বিদিশার নিউজ শেয়ার করা হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্রের জন্য জি এম কাদের দায়ী। এরিককে সরাতে পারলে তিনি সম্পদ দখল করতে পারবেন। তিনি বলেন, জি এম কাদের এরশাদ পরিবারকে ধ্বংস করার যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এরশাদের জীবদ্দশায় এরিকের জন্ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন না করলেও এখন অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।
এরশাদের ব্যবসার অংশীদার ও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত সাতক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ ও হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এরশাদের সম্পত্তি বাগিয়ে নিতে বিদিশা সন্তান নিয়ে নাটক করছেন। এরিক এরশাদের ছেলে হতে পারে না। প্রমাণ করতে চাইলে তিনি (বিদিশা) আদালতে আসতে পারেন।’
এরিক ও এরশাদ ট্রাস্টের অভিযোগ বিষয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন জাপার অনেক নেতা। তাঁদের অভিযোগ, এরশাদের জীবদ্দশায় বিদিশা এরিকের কোনো খোঁজখবর রাখতেন না। বিদিশার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরে আরও অনেক দিন এরশাদ বেঁচে ছিলেন। এই সময়ে বিদিশা এরিকের কোনো খোঁজখবর রাখেননি। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন নিকেতনের বাসায় এরিক তাঁর মায়ের কাছে থেকেছেন। বাকি সময়টা প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদের কাছেই ছিলেন। এরশাদ মারা গেলে হঠাৎ করেই প্রেসিডেন্ট পার্কে উঠলেন বিদিশা। এরপর থেকেই এরিকের প্রতি অতিমাত্রায় মনোযোগী হন বিদিশা।
ট্রাস্টের বিষয়েও অভিযোগ করে তাঁরা বলেন, ‘এরশাদ তাঁর সম্পত্তি ট্রাস্টে দিয়ে গেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এরিকের ভরণপোষণ এই ট্রাস্ট থেকেই নির্বাহ করা হবে। বাকি টাকা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা বলে গেছেন এরশাদ। বিদিশা এখন সেই ট্রাস্টকে তাঁর নিজের লোকদের নিয়ে ইচ্ছেমতো সাজিয়েছেন, যেখানে এরশাদ পরিবারেরও কেউ নেই। সব ভুঁইফোড় লোকজন। আসলে সম্পত্তি বাগিয়ে নিতেই বিদিশা তৎপর রয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ‘এরশাদ সাহেবের বিশাল সম্পত্তি। এগুলো ভোগদখলের ব্যাপার-স্যাপার আছে। সন্তানের নামটা না দিলে তো এটা হয় না।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

না মাঠে, না কাজে-কোনো দিক দিয়ে আলোচনায় না এলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে ঘিরে ঝড় উঠেছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। জি এম কাদেরের সমালোচনায় সব সময়ই মুখর বিদিশা। সুযোগ পেলেই নানা কথা বলে আলোচনায় আসেন। তবে বিদিশাকে নিয়ে কথাই বলতে চান না জাপা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত এরশাদের
০৯ জুলাই ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। হাদির মরদেহ কবরে শায়িত করা হয় ৩টা ২০মিনিটের দিকে। সমাধিস্থলে নিয়ে আসা হয় ৩ টা ২ মিনিটে। দাফন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। হাদির মরদেহ কবরে শায়িত করা হয় ৩টা ২০মিনিটের দিকে। সমাধিস্থলে নিয়ে আসা হয় ৩ টা ২ মিনিটে। দাফন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

না মাঠে, না কাজে-কোনো দিক দিয়ে আলোচনায় না এলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে ঘিরে ঝড় উঠেছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। জি এম কাদেরের সমালোচনায় সব সময়ই মুখর বিদিশা। সুযোগ পেলেই নানা কথা বলে আলোচনায় আসেন। তবে বিদিশাকে নিয়ে কথাই বলতে চান না জাপা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত এরশাদের
০৯ জুলাই ২০২১
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

না মাঠে, না কাজে-কোনো দিক দিয়ে আলোচনায় না এলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে ঘিরে ঝড় উঠেছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। জি এম কাদেরের সমালোচনায় সব সময়ই মুখর বিদিশা। সুযোগ পেলেই নানা কথা বলে আলোচনায় আসেন। তবে বিদিশাকে নিয়ে কথাই বলতে চান না জাপা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত এরশাদের
০৯ জুলাই ২০২১
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

না মাঠে, না কাজে-কোনো দিক দিয়ে আলোচনায় না এলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে ঘিরে ঝড় উঠেছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। জি এম কাদেরের সমালোচনায় সব সময়ই মুখর বিদিশা। সুযোগ পেলেই নানা কথা বলে আলোচনায় আসেন। তবে বিদিশাকে নিয়ে কথাই বলতে চান না জাপা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত এরশাদের
০৯ জুলাই ২০২১
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে