অধস্তন আদালত
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়। এ কারণে মামলার নিষ্পত্তি বাড়াতে পৃথক আদালত স্থাপন ও পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
ব্যক্তির অধিকার ও সম্পত্তির অধিকারবিষয়ক ছাড়া অন্য যেকোনো অপরাধ (খুন, অপহরণ, জালিয়াতি ইত্যাদি) ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত। বিচারকেরা সাধারণত ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগ দেন। এতে করে দেওয়ানি মামলা ঝুলে থাকে বছরের পর বছর। ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এ কারণেই সুপ্রিম কোর্ট এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আইনজ্ঞরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আদালত পৃথক করার বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। চিঠিতে বলা হয়, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট (দেওয়ানি আদালত আইন) ১৮৮৭-এর ১৩ ও ১৪ ধারার ক্ষমতাবলে জেলা জজশিপের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ও বিচারকার্য অনুষ্ঠানের স্থান এবং কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (ফৌজদারি কার্যবিধি) ১৮৯৮-এর ৭ ও ৯ ধারার ক্ষমতাবলে সেশনস ডিভিশনের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ও বিচারকার্য অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জেলা জজশিপ এবং সেশনস ডিভিশন পৃথকভাবে রয়েছে। এটি স্পষ্ট যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ওই আদালতের বিচারকের পদ পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে একজন বিচারককে একসঙ্গে অনেক ধরনের মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এতে সময়স্বল্পতার কারণে মামলায় যথাযথভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই প্রধান বিচারপতি আদালত পৃথক করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বিচারকের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে এখন মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের বিষয়টিকে ‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়’ উল্লেখ করে জানান, তাঁর কিছু বলার নেই।
সুপ্রিম কোর্টের চিঠিতে বলা হয়, অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি আপিল, দেওয়ানি রিভিশন, ফৌজদারি আপিল, ফৌজদারি রিভিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে বিচারকদের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে মামলার জট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হচ্ছে।
আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, পৃথক এখতিয়ার প্রয়োগের সুবিধার্থে এবং মামলাজট নিরসনের জন্য বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে পৃথক আদালত স্থাপন ও দরকারিসংখ্যক পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। মামলার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে জেলা জজশিপ ও সেশনস ডিভিশন পৃথক্করণ এবং সংশ্লিষ্ট জজশিপ ও সেশনস ডিভিশনের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টির জন্য প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ‘নির্দেশক্রমে অনুরোধ’ করা হলো।
মামলাজট কমাতে আদালত পৃথক করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা। আইনজীবীরা বলছেন, আদালত পৃথক করতে পারলে তা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে মামলা নিষ্পত্তি বাড়বে এবং বিচারপ্রার্থীরা হয়রানি থেকে বাঁচবেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত পৃথক করার উদ্যোগ খুবই ভালো। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচারকেরা মামলার প্রতি আরও মনোযোগ দিতে পারবেন, গবেষণা করতে পারবেন। চিন্তাভাবনা করে ভালোভাবে রায় দিতে পারবেন। এতে মামলা নিষ্পত্তিও বাড়বে।’
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি ভালো উদ্যোগ। এই দাবি বিচারকদের দীর্ঘদিনের। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে বিচারকাজে গতি আসবে। এটি হবে বড় ধরনের মাইলফলক।’
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়া তাঁর অভিভাষণে বলেছিলেন, একজন বিচারক একই সঙ্গে একাধিক কোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে থাকেন। এটি বিলুপ্ত করে একজন বিচারককে একটি কোর্টের দায়িত্ব দিতে হবে। এ জন্য আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন। এসবের জন্য সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭–এ পরিবর্তন আনতে হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ার শুরুতে এখন অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমেও এটা করা সম্ভব।
আরও খবর পড়ুন:

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়। এ কারণে মামলার নিষ্পত্তি বাড়াতে পৃথক আদালত স্থাপন ও পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
ব্যক্তির অধিকার ও সম্পত্তির অধিকারবিষয়ক ছাড়া অন্য যেকোনো অপরাধ (খুন, অপহরণ, জালিয়াতি ইত্যাদি) ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত। বিচারকেরা সাধারণত ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগ দেন। এতে করে দেওয়ানি মামলা ঝুলে থাকে বছরের পর বছর। ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এ কারণেই সুপ্রিম কোর্ট এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আইনজ্ঞরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আদালত পৃথক করার বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। চিঠিতে বলা হয়, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট (দেওয়ানি আদালত আইন) ১৮৮৭-এর ১৩ ও ১৪ ধারার ক্ষমতাবলে জেলা জজশিপের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ও বিচারকার্য অনুষ্ঠানের স্থান এবং কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (ফৌজদারি কার্যবিধি) ১৮৯৮-এর ৭ ও ৯ ধারার ক্ষমতাবলে সেশনস ডিভিশনের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ও বিচারকার্য অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জেলা জজশিপ এবং সেশনস ডিভিশন পৃথকভাবে রয়েছে। এটি স্পষ্ট যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ওই আদালতের বিচারকের পদ পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে একজন বিচারককে একসঙ্গে অনেক ধরনের মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এতে সময়স্বল্পতার কারণে মামলায় যথাযথভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই প্রধান বিচারপতি আদালত পৃথক করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বিচারকের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে এখন মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের বিষয়টিকে ‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়’ উল্লেখ করে জানান, তাঁর কিছু বলার নেই।
সুপ্রিম কোর্টের চিঠিতে বলা হয়, অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি আপিল, দেওয়ানি রিভিশন, ফৌজদারি আপিল, ফৌজদারি রিভিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে বিচারকদের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে মামলার জট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হচ্ছে।
আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, পৃথক এখতিয়ার প্রয়োগের সুবিধার্থে এবং মামলাজট নিরসনের জন্য বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে পৃথক আদালত স্থাপন ও দরকারিসংখ্যক পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। মামলার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে জেলা জজশিপ ও সেশনস ডিভিশন পৃথক্করণ এবং সংশ্লিষ্ট জজশিপ ও সেশনস ডিভিশনের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টির জন্য প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ‘নির্দেশক্রমে অনুরোধ’ করা হলো।
মামলাজট কমাতে আদালত পৃথক করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা। আইনজীবীরা বলছেন, আদালত পৃথক করতে পারলে তা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে মামলা নিষ্পত্তি বাড়বে এবং বিচারপ্রার্থীরা হয়রানি থেকে বাঁচবেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত পৃথক করার উদ্যোগ খুবই ভালো। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচারকেরা মামলার প্রতি আরও মনোযোগ দিতে পারবেন, গবেষণা করতে পারবেন। চিন্তাভাবনা করে ভালোভাবে রায় দিতে পারবেন। এতে মামলা নিষ্পত্তিও বাড়বে।’
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি ভালো উদ্যোগ। এই দাবি বিচারকদের দীর্ঘদিনের। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে বিচারকাজে গতি আসবে। এটি হবে বড় ধরনের মাইলফলক।’
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়া তাঁর অভিভাষণে বলেছিলেন, একজন বিচারক একই সঙ্গে একাধিক কোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে থাকেন। এটি বিলুপ্ত করে একজন বিচারককে একটি কোর্টের দায়িত্ব দিতে হবে। এ জন্য আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন। এসবের জন্য সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭–এ পরিবর্তন আনতে হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ার শুরুতে এখন অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমেও এটা করা সম্ভব।
আরও খবর পড়ুন:
অধস্তন আদালত
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়। এ কারণে মামলার নিষ্পত্তি বাড়াতে পৃথক আদালত স্থাপন ও পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
ব্যক্তির অধিকার ও সম্পত্তির অধিকারবিষয়ক ছাড়া অন্য যেকোনো অপরাধ (খুন, অপহরণ, জালিয়াতি ইত্যাদি) ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত। বিচারকেরা সাধারণত ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগ দেন। এতে করে দেওয়ানি মামলা ঝুলে থাকে বছরের পর বছর। ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এ কারণেই সুপ্রিম কোর্ট এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আইনজ্ঞরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আদালত পৃথক করার বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। চিঠিতে বলা হয়, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট (দেওয়ানি আদালত আইন) ১৮৮৭-এর ১৩ ও ১৪ ধারার ক্ষমতাবলে জেলা জজশিপের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ও বিচারকার্য অনুষ্ঠানের স্থান এবং কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (ফৌজদারি কার্যবিধি) ১৮৯৮-এর ৭ ও ৯ ধারার ক্ষমতাবলে সেশনস ডিভিশনের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ও বিচারকার্য অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জেলা জজশিপ এবং সেশনস ডিভিশন পৃথকভাবে রয়েছে। এটি স্পষ্ট যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ওই আদালতের বিচারকের পদ পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে একজন বিচারককে একসঙ্গে অনেক ধরনের মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এতে সময়স্বল্পতার কারণে মামলায় যথাযথভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই প্রধান বিচারপতি আদালত পৃথক করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বিচারকের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে এখন মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের বিষয়টিকে ‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়’ উল্লেখ করে জানান, তাঁর কিছু বলার নেই।
সুপ্রিম কোর্টের চিঠিতে বলা হয়, অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি আপিল, দেওয়ানি রিভিশন, ফৌজদারি আপিল, ফৌজদারি রিভিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে বিচারকদের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে মামলার জট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হচ্ছে।
আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, পৃথক এখতিয়ার প্রয়োগের সুবিধার্থে এবং মামলাজট নিরসনের জন্য বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে পৃথক আদালত স্থাপন ও দরকারিসংখ্যক পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। মামলার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে জেলা জজশিপ ও সেশনস ডিভিশন পৃথক্করণ এবং সংশ্লিষ্ট জজশিপ ও সেশনস ডিভিশনের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টির জন্য প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ‘নির্দেশক্রমে অনুরোধ’ করা হলো।
মামলাজট কমাতে আদালত পৃথক করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা। আইনজীবীরা বলছেন, আদালত পৃথক করতে পারলে তা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে মামলা নিষ্পত্তি বাড়বে এবং বিচারপ্রার্থীরা হয়রানি থেকে বাঁচবেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত পৃথক করার উদ্যোগ খুবই ভালো। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচারকেরা মামলার প্রতি আরও মনোযোগ দিতে পারবেন, গবেষণা করতে পারবেন। চিন্তাভাবনা করে ভালোভাবে রায় দিতে পারবেন। এতে মামলা নিষ্পত্তিও বাড়বে।’
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি ভালো উদ্যোগ। এই দাবি বিচারকদের দীর্ঘদিনের। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে বিচারকাজে গতি আসবে। এটি হবে বড় ধরনের মাইলফলক।’
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়া তাঁর অভিভাষণে বলেছিলেন, একজন বিচারক একই সঙ্গে একাধিক কোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে থাকেন। এটি বিলুপ্ত করে একজন বিচারককে একটি কোর্টের দায়িত্ব দিতে হবে। এ জন্য আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন। এসবের জন্য সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭–এ পরিবর্তন আনতে হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ার শুরুতে এখন অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমেও এটা করা সম্ভব।
আরও খবর পড়ুন:

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়। এ কারণে মামলার নিষ্পত্তি বাড়াতে পৃথক আদালত স্থাপন ও পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
ব্যক্তির অধিকার ও সম্পত্তির অধিকারবিষয়ক ছাড়া অন্য যেকোনো অপরাধ (খুন, অপহরণ, জালিয়াতি ইত্যাদি) ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত। বিচারকেরা সাধারণত ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগ দেন। এতে করে দেওয়ানি মামলা ঝুলে থাকে বছরের পর বছর। ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এ কারণেই সুপ্রিম কোর্ট এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আইনজ্ঞরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আদালত পৃথক করার বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। চিঠিতে বলা হয়, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট (দেওয়ানি আদালত আইন) ১৮৮৭-এর ১৩ ও ১৪ ধারার ক্ষমতাবলে জেলা জজশিপের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ও বিচারকার্য অনুষ্ঠানের স্থান এবং কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (ফৌজদারি কার্যবিধি) ১৮৯৮-এর ৭ ও ৯ ধারার ক্ষমতাবলে সেশনস ডিভিশনের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ও বিচারকার্য অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জেলা জজশিপ এবং সেশনস ডিভিশন পৃথকভাবে রয়েছে। এটি স্পষ্ট যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ওই আদালতের বিচারকের পদ পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে একজন বিচারককে একসঙ্গে অনেক ধরনের মামলা নিষ্পত্তি করতে হয়। এতে সময়স্বল্পতার কারণে মামলায় যথাযথভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই প্রধান বিচারপতি আদালত পৃথক করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বিচারকের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে এখন মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের বিষয়টিকে ‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়’ উল্লেখ করে জানান, তাঁর কিছু বলার নেই।
সুপ্রিম কোর্টের চিঠিতে বলা হয়, অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি আপিল, দেওয়ানি রিভিশন, ফৌজদারি আপিল, ফৌজদারি রিভিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে বিচারকদের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে মামলার জট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হচ্ছে।
আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, পৃথক এখতিয়ার প্রয়োগের সুবিধার্থে এবং মামলাজট নিরসনের জন্য বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে পৃথক আদালত স্থাপন ও দরকারিসংখ্যক পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। মামলার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে জেলা জজশিপ ও সেশনস ডিভিশন পৃথক্করণ এবং সংশ্লিষ্ট জজশিপ ও সেশনস ডিভিশনের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টির জন্য প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ‘নির্দেশক্রমে অনুরোধ’ করা হলো।
মামলাজট কমাতে আদালত পৃথক করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা। আইনজীবীরা বলছেন, আদালত পৃথক করতে পারলে তা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে মামলা নিষ্পত্তি বাড়বে এবং বিচারপ্রার্থীরা হয়রানি থেকে বাঁচবেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত পৃথক করার উদ্যোগ খুবই ভালো। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচারকেরা মামলার প্রতি আরও মনোযোগ দিতে পারবেন, গবেষণা করতে পারবেন। চিন্তাভাবনা করে ভালোভাবে রায় দিতে পারবেন। এতে মামলা নিষ্পত্তিও বাড়বে।’
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি ভালো উদ্যোগ। এই দাবি বিচারকদের দীর্ঘদিনের। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে বিচারকাজে গতি আসবে। এটি হবে বড় ধরনের মাইলফলক।’
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়া তাঁর অভিভাষণে বলেছিলেন, একজন বিচারক একই সঙ্গে একাধিক কোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে থাকেন। এটি বিলুপ্ত করে একজন বিচারককে একটি কোর্টের দায়িত্ব দিতে হবে। এ জন্য আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন। এসবের জন্য সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭–এ পরিবর্তন আনতে হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ার শুরুতে এখন অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমেও এটা করা সম্ভব।
আরও খবর পড়ুন:

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়।
১৫ জুন ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়।
১৫ জুন ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়।
১৫ জুন ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন রকমের। দুই ধরনের আদালতের বিচারকদের পদও পৃথক আইনের মাধ্যমে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অধস্তন আদালতের বিচারকদের একসঙ্গে উভয় ধরনের আদালতে দায়িত্ব পালন করার কারণে মামলাজট সৃষ্টি হয়।
১৫ জুন ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে