নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন—এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংলাপ শুরু করলাম। ঈদের আগে আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে। ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব। সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব।’
এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। শেষের দিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৬৬টি প্রশ্নের স্প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি ও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী রোববার মতামত জমা দেবে। বিএনপি বেলা ১টায় ও এনসিপি বেলা ২টায় মতামত জমা দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব দলের মতামত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পর জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির সংলাপ শুরু হয় বেলা ৩টার পর, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর কথা বলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মাঝে আসরের নামাজের জন্য ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে এই সংলাপ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা ব্যক্তি হওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না—এমন প্রস্তাবে এলডিপি সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকের পর অলি আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করেছেন। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগাতে বলেছেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এখন করা যেতে পারে। যেটা পরে করা যাবে, সেটা সংসদের জন্য রেখে দেবে।
অলি আহমদ বলেন, ‘সব সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ দুর্বল ছিল। যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুজন লোক কাজ না করেন, একজন ওসি, আরেকজন ইউএনও।’ তিনি জানান, ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন ১২০টিতে। বাকি ৪২টিতে একমত নন। দুটিতে আংশিক একমত এবং দুটি অস্পষ্ট। সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, একটিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে।
সূত্র জানায়, এলডিপি সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়েও একমত প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিস ও বেলা দেড়টা থেকে লেবার পার্টি এবং রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
মতামত জমা দিল জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে গতকাল ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া মতামতে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার ছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে রয়েছে। এর অনেক ব্যাখ্যা আছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জামায়াত একমত হলেও বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপনের পক্ষে জামায়াত মত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে, জনগণ বিচার পাচ্ছে না, একেকটি মামলার বিচার পেতে ১০-২০-৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ ঘুরছে।
জামায়াত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাই সরকারের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রস্তাব দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মতামতে সেই প্রসঙ্গ ছিল না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাঁদের দল নির্বাচনের দিন, মাস, ঘণ্টা বেঁধে দেয়নি। সময়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি। নির্বাচনের জন্য মিনিমাম সংস্কার প্রয়োজন হলে সে জন্য যৌক্তিক সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ জামায়াত বিদ্যমান সংসদেই সংবিধানের পরিবর্তন চায় বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলী রীয়াজ বলেন, আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপে নেই ঐকমত্য কমিশন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা-ই করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটি জায়গায় যাওয়া। সুতরাং, কমিশন চাপে নেই।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন—এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংলাপ শুরু করলাম। ঈদের আগে আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে। ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব। সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব।’
এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। শেষের দিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৬৬টি প্রশ্নের স্প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি ও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী রোববার মতামত জমা দেবে। বিএনপি বেলা ১টায় ও এনসিপি বেলা ২টায় মতামত জমা দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব দলের মতামত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পর জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির সংলাপ শুরু হয় বেলা ৩টার পর, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর কথা বলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মাঝে আসরের নামাজের জন্য ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে এই সংলাপ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা ব্যক্তি হওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না—এমন প্রস্তাবে এলডিপি সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকের পর অলি আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করেছেন। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগাতে বলেছেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এখন করা যেতে পারে। যেটা পরে করা যাবে, সেটা সংসদের জন্য রেখে দেবে।
অলি আহমদ বলেন, ‘সব সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ দুর্বল ছিল। যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুজন লোক কাজ না করেন, একজন ওসি, আরেকজন ইউএনও।’ তিনি জানান, ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন ১২০টিতে। বাকি ৪২টিতে একমত নন। দুটিতে আংশিক একমত এবং দুটি অস্পষ্ট। সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, একটিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে।
সূত্র জানায়, এলডিপি সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়েও একমত প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিস ও বেলা দেড়টা থেকে লেবার পার্টি এবং রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
মতামত জমা দিল জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে গতকাল ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া মতামতে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার ছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে রয়েছে। এর অনেক ব্যাখ্যা আছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জামায়াত একমত হলেও বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপনের পক্ষে জামায়াত মত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে, জনগণ বিচার পাচ্ছে না, একেকটি মামলার বিচার পেতে ১০-২০-৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ ঘুরছে।
জামায়াত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাই সরকারের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রস্তাব দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মতামতে সেই প্রসঙ্গ ছিল না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাঁদের দল নির্বাচনের দিন, মাস, ঘণ্টা বেঁধে দেয়নি। সময়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি। নির্বাচনের জন্য মিনিমাম সংস্কার প্রয়োজন হলে সে জন্য যৌক্তিক সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ জামায়াত বিদ্যমান সংসদেই সংবিধানের পরিবর্তন চায় বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলী রীয়াজ বলেন, আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপে নেই ঐকমত্য কমিশন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা-ই করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটি জায়গায় যাওয়া। সুতরাং, কমিশন চাপে নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন—এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংলাপ শুরু করলাম। ঈদের আগে আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে। ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব। সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব।’
এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। শেষের দিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৬৬টি প্রশ্নের স্প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি ও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী রোববার মতামত জমা দেবে। বিএনপি বেলা ১টায় ও এনসিপি বেলা ২টায় মতামত জমা দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব দলের মতামত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পর জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির সংলাপ শুরু হয় বেলা ৩টার পর, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর কথা বলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মাঝে আসরের নামাজের জন্য ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে এই সংলাপ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা ব্যক্তি হওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না—এমন প্রস্তাবে এলডিপি সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকের পর অলি আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করেছেন। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগাতে বলেছেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এখন করা যেতে পারে। যেটা পরে করা যাবে, সেটা সংসদের জন্য রেখে দেবে।
অলি আহমদ বলেন, ‘সব সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ দুর্বল ছিল। যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুজন লোক কাজ না করেন, একজন ওসি, আরেকজন ইউএনও।’ তিনি জানান, ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন ১২০টিতে। বাকি ৪২টিতে একমত নন। দুটিতে আংশিক একমত এবং দুটি অস্পষ্ট। সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, একটিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে।
সূত্র জানায়, এলডিপি সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়েও একমত প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিস ও বেলা দেড়টা থেকে লেবার পার্টি এবং রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
মতামত জমা দিল জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে গতকাল ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া মতামতে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার ছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে রয়েছে। এর অনেক ব্যাখ্যা আছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জামায়াত একমত হলেও বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপনের পক্ষে জামায়াত মত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে, জনগণ বিচার পাচ্ছে না, একেকটি মামলার বিচার পেতে ১০-২০-৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ ঘুরছে।
জামায়াত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাই সরকারের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রস্তাব দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মতামতে সেই প্রসঙ্গ ছিল না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাঁদের দল নির্বাচনের দিন, মাস, ঘণ্টা বেঁধে দেয়নি। সময়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি। নির্বাচনের জন্য মিনিমাম সংস্কার প্রয়োজন হলে সে জন্য যৌক্তিক সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ জামায়াত বিদ্যমান সংসদেই সংবিধানের পরিবর্তন চায় বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলী রীয়াজ বলেন, আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপে নেই ঐকমত্য কমিশন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা-ই করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটি জায়গায় যাওয়া। সুতরাং, কমিশন চাপে নেই।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন—এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংলাপ শুরু করলাম। ঈদের আগে আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে। ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব। সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব।’
এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। শেষের দিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৬৬টি প্রশ্নের স্প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি ও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী রোববার মতামত জমা দেবে। বিএনপি বেলা ১টায় ও এনসিপি বেলা ২টায় মতামত জমা দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব দলের মতামত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পর জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির সংলাপ শুরু হয় বেলা ৩টার পর, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর কথা বলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মাঝে আসরের নামাজের জন্য ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে এই সংলাপ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা ব্যক্তি হওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না—এমন প্রস্তাবে এলডিপি সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকের পর অলি আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করেছেন। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগাতে বলেছেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এখন করা যেতে পারে। যেটা পরে করা যাবে, সেটা সংসদের জন্য রেখে দেবে।
অলি আহমদ বলেন, ‘সব সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ দুর্বল ছিল। যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুজন লোক কাজ না করেন, একজন ওসি, আরেকজন ইউএনও।’ তিনি জানান, ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন ১২০টিতে। বাকি ৪২টিতে একমত নন। দুটিতে আংশিক একমত এবং দুটি অস্পষ্ট। সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, একটিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে।
সূত্র জানায়, এলডিপি সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়েও একমত প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিস ও বেলা দেড়টা থেকে লেবার পার্টি এবং রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
মতামত জমা দিল জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে গতকাল ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া মতামতে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার ছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে রয়েছে। এর অনেক ব্যাখ্যা আছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জামায়াত একমত হলেও বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপনের পক্ষে জামায়াত মত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে, জনগণ বিচার পাচ্ছে না, একেকটি মামলার বিচার পেতে ১০-২০-৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ ঘুরছে।
জামায়াত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাই সরকারের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রস্তাব দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মতামতে সেই প্রসঙ্গ ছিল না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাঁদের দল নির্বাচনের দিন, মাস, ঘণ্টা বেঁধে দেয়নি। সময়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি। নির্বাচনের জন্য মিনিমাম সংস্কার প্রয়োজন হলে সে জন্য যৌক্তিক সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ জামায়াত বিদ্যমান সংসদেই সংবিধানের পরিবর্তন চায় বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলী রীয়াজ বলেন, আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপে নেই ঐকমত্য কমিশন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা-ই করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটি জায়গায় যাওয়া। সুতরাং, কমিশন চাপে নেই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
২১ মার্চ ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
২১ মার্চ ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
২১ মার্চ ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
২১ মার্চ ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে