আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
গুম করে বছরের পর বছর গোপন বন্দিশালায় রাখা হতো তাঁদের। চালানো হতো নির্যাতন। এরপর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য দেওয়া হতো চাপ। জিজ্ঞেস করা হতো, ‘আদালতে জবানবন্দি দিবা, নাকি ক্রসফায়ারে যাবা?’
বন্দীরা তখন আদালতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শিখিয়ে দেওয়া জবানবন্দি দিতে বাধ্য হতেন। জবানবন্দি মুখস্থ করতে সময়ও দেওয়া হতো তাঁদের। জবানবন্দি মুখস্থ করতে কেউ কেউ চার দিন সময়ও পান। এভাবেই তাঁরা বেঁচে যান মৃত্যুর হাত থেকে।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী দ্বিতীয় প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগ এনেছেন গুমের শিকার ব্যক্তিরা।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার কাছে অন্তর্বর্তী দ্বিতীয় প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের শিকার ব্যক্তিরা কমিশনে অভিযোগ করেছেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে বলতেন, সেভাবেই তাঁদের দিতে হতো। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুম করা ব্যক্তিদের জবানবন্দি দিতে বাধ্য করত। এ জন্য তাঁদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনও করা হতো।
এক ভুক্তভোগীর বরাতে কমিশন প্রতিবেদনে বলেছে, জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে আনার পথে তাঁকে গাড়িতেও নির্যাতন করা হয়। বলা হয়, ‘তুই যদি উল্টাপাল্টা করিস বা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি না দিস, তাহলে তোর ওয়াইফকে নিয়ে আসব। তোকে ইচ্ছামতো মারব। আমাদের এখানে কোনো রুলস নাই। কেউ কিছু আমাদের করতে পারবে না।’
আরেক বন্দীকে গোপন বন্দিশালায় চার মাস রাখার পর জিজ্ঞেস করা হয়, ‘তুমি এখান থেকে বের হতে চাও, নাকি এভাবেই জীবন শেষ করতে চাও?’
ভুক্তভোগী তখন তাঁদের জানান, তিনি বন্দিশালা থেকে বের হতে চান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তখন তাঁকে তাঁদের কথামতো আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পরামর্শ দেয়। ভুক্তভোগীকে তারা জানায়, যেভাবে আদালতে জবানবন্দি দিতে বলা হবে, ঠিক সেভাবেই জবানবন্দি না দিলে তাঁকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দি দিতে বন্দিশালায় চার ধরনের শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো। মৃত্যুর হুমকি, চিরতরে গুম করে দেওয়ার হুমকি, পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে এসব নির্যাতন চলতো। যদি কোনো বন্দী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের নির্দেশমতো জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানাতো, তাহলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজা আছে এমন কোনো মামলায় জড়ানো হতো।
গুমের শিকার আরেক ব্যক্তি কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, কাগজে জবানবন্দি লিখে তাঁকে তা মুখস্থ করিয়ে আদালতে বলতে বলা হয়। মুখস্থ না করতে পারলেও চলতো নির্যাতন। জবানবন্দি মুখস্থ করতে তাঁকে চার দিন সময় দিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গুম করে বছরের পর বছর গোপন বন্দিশালায় রাখা হতো তাঁদের। চালানো হতো নির্যাতন। এরপর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য দেওয়া হতো চাপ। জিজ্ঞেস করা হতো, ‘আদালতে জবানবন্দি দিবা, নাকি ক্রসফায়ারে যাবা?’
বন্দীরা তখন আদালতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শিখিয়ে দেওয়া জবানবন্দি দিতে বাধ্য হতেন। জবানবন্দি মুখস্থ করতে সময়ও দেওয়া হতো তাঁদের। জবানবন্দি মুখস্থ করতে কেউ কেউ চার দিন সময়ও পান। এভাবেই তাঁরা বেঁচে যান মৃত্যুর হাত থেকে।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী দ্বিতীয় প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগ এনেছেন গুমের শিকার ব্যক্তিরা।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার কাছে অন্তর্বর্তী দ্বিতীয় প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের শিকার ব্যক্তিরা কমিশনে অভিযোগ করেছেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে বলতেন, সেভাবেই তাঁদের দিতে হতো। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুম করা ব্যক্তিদের জবানবন্দি দিতে বাধ্য করত। এ জন্য তাঁদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনও করা হতো।
এক ভুক্তভোগীর বরাতে কমিশন প্রতিবেদনে বলেছে, জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে আনার পথে তাঁকে গাড়িতেও নির্যাতন করা হয়। বলা হয়, ‘তুই যদি উল্টাপাল্টা করিস বা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি না দিস, তাহলে তোর ওয়াইফকে নিয়ে আসব। তোকে ইচ্ছামতো মারব। আমাদের এখানে কোনো রুলস নাই। কেউ কিছু আমাদের করতে পারবে না।’
আরেক বন্দীকে গোপন বন্দিশালায় চার মাস রাখার পর জিজ্ঞেস করা হয়, ‘তুমি এখান থেকে বের হতে চাও, নাকি এভাবেই জীবন শেষ করতে চাও?’
ভুক্তভোগী তখন তাঁদের জানান, তিনি বন্দিশালা থেকে বের হতে চান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তখন তাঁকে তাঁদের কথামতো আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পরামর্শ দেয়। ভুক্তভোগীকে তারা জানায়, যেভাবে আদালতে জবানবন্দি দিতে বলা হবে, ঠিক সেভাবেই জবানবন্দি না দিলে তাঁকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দি দিতে বন্দিশালায় চার ধরনের শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো। মৃত্যুর হুমকি, চিরতরে গুম করে দেওয়ার হুমকি, পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে এসব নির্যাতন চলতো। যদি কোনো বন্দী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের নির্দেশমতো জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানাতো, তাহলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজা আছে এমন কোনো মামলায় জড়ানো হতো।
গুমের শিকার আরেক ব্যক্তি কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, কাগজে জবানবন্দি লিখে তাঁকে তা মুখস্থ করিয়ে আদালতে বলতে বলা হয়। মুখস্থ না করতে পারলেও চলতো নির্যাতন। জবানবন্দি মুখস্থ করতে তাঁকে চার দিন সময় দিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। ইতিমধ্যে চারজনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং ২৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা করা হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি কর
২১ মিনিট আগেগত বছরের জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের রাজসাক্ষী হওয়া নিয়ে পুলিশ বাহিনীতে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টিকে
২৪ মিনিট আগেচাকরিতে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়ার বিধান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৭ মিনিট আগেদুই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব সময়মতো না দেওয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আলতাব হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইইডির ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এ নিয়ে চলছে তোলপাড়।
১ ঘণ্টা আগে