Ajker Patrika

শত শত মুসলমানকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে ভারত: এইচআরডব্লিউ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৯: ১১
ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ উড়োজাহাজে করে আটক ব্যক্তিদের সীমান্ত এলাকায় আনা হয়েছে। ছবি: দেশ গুজরাটের সৌজন্যে
ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ উড়োজাহাজে করে আটক ব্যক্তিদের সীমান্ত এলাকায় আনা হয়েছে। ছবি: দেশ গুজরাটের সৌজন্যে

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শত শত স্থানীয় ‘বাঙালি মুসলিমকে’ যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই বাংলাদেশে বহিষ্কার (পুশইন) করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, তারা ‘অবৈধ অভিবাসী।’ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, যাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগেরই ভারতের বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন রাজ্যগুলোর নাগরিকত্ব রয়েছে।

গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ, ‘২০২৫ সালের মে মাস থেকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার স্থানীয় বাঙালি মুসলিমদের বাংলাদেশে বহিষ্কারের (পুশইনের) অভিযান জোরদার করেছে। উদ্দেশ্য হলো—আইনি অনুমোদন ছাড়া ভারতে প্রবেশকারীদের নিরুৎসাহিত করা। সরকারের উচিত যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া বেআইনিভাবে মানুষকে বিতাড়িত করা বন্ধ করা এবং এর পরিবর্তে প্রত্যেকের জন্য নির্বিচার আটক ও বহিষ্কার থেকে সুরক্ষার জন্য পদ্ধতিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক অ্যালেইন পিয়ারসন বলেছেন, ‘ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নির্বিচারে স্থানীয় বাঙালি মুসলিমদের—যার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকরাও রয়েছে—দেশ থেকে বহিষ্কার করে বৈষম্যকে উসকে দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের দাবি অগ্রহণযোগ্য, কারণ তারা যথাযথ প্রক্রিয়া, অভ্যন্তরীণ নিশ্চয়তা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডকে উপেক্ষা করছে।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত জুনে ১৮ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সাক্ষাৎকার নেওয়াদের মধ্যে এমন ভারতীয় নাগরিকরাও রয়েছেন যারা বাংলাদেশে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ভারতে ফিরে এসেছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন যারা এখনো নিখোঁজ। গত ৮ জুলাই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি।

ভারত সরকার বহিষ্কৃত নাগরিকদের সংখ্যার বিষয়ে কোনো সরকারি তথ্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জানিয়েছে, ৭ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে ভারত ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মুসলিম পুরুষ, নারী ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে, যার মধ্যে মিয়ানমারের ১০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীও রয়েছে। এই প্রক্রিয়া এখনো চলছে।

এইচআরডব্লিউ—এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওডিশা এবং রাজস্থানের কর্তৃপক্ষ মুসলিমদের—যাদের অধিকাংশই দরিদ্র অভিবাসী শ্রমিক—আটক করেছে এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করেছে। কিছু ক্ষেত্রে, সীমান্তরক্ষীরা অভিযোগ অনুযায়ী আটককৃতদের হুমকি দিয়েছে এবং মারধর করেছে যাতে তারা তাদের নাগরিকত্বের দাবি পর্যাপ্তভাবে যাচাই না করেই বাংলাদেশে প্রবেশে বাধ্য হয়। অবশ্য কয়েকজন নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারায় ভারত সরকার কয়েক ডজন মানুষকে পুনরায় দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের প্রাণঘাতী হামলার পর এই দমনপীড়ন শুরু হয়। পুলিশ মুসলিমদের হয়রানি করতে শুরু করে, তাদের নাগরিকত্বের দাবি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং তাদের ফোন, নথি ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র জব্দ করে, যার ফলে তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। আটককৃতদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা তাদের হুমকি দিয়েছে এবং আক্রমণ করেছে এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে, বন্দুকের মুখে তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে বাধ্য করেছে।

আসাম রাজ্যের ৫১ বছর বয়সী খাইরুল ইসলাম প্রমাণিত ভারতীয় নাগরিক। তিনি একটি স্কুলের সাবেক শিক্ষক। তিনি বলেছেন, গত ২৬ মে ভারতীয় সীমান্ত কর্মকর্তারা তাঁর হাত বেঁধে, মুখ চেপে তাঁকে এবং আরও ১৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে অস্বীকার করায় বিএসএফ কর্মকর্তা আমাকে মারধর করে এবং চারবার শূন্যে রাবারের গুলি চালায়।’ তিনি দুই সপ্তাহ পর ফিরে আসতে সক্ষম হন।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ থেকে ভারতে তথাকথিত ‘অবৈধ অভিবাসনের’ কোনো সঠিক তথ্য নেই এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভারত প্রায়শই সংখ্যা বাড়িয়ে দেখায়। বিজেপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং হিন্দু রাজনৈতিক সমর্থন লাভের জন্য ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিবিম্বিত করতে এই শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছেন।

মে মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত, চিহ্নিত এবং বিতাড়িত’ করার জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করার পর এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে তাদের ‘আটক করার জন্য প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত হোল্ডিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা’ করার নির্দেশ দেওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার স্থানীয় বাংলাভাষী মুসলিম অভিবাসী শ্রমিকদের আটক করতে শুরু করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ২ হাজার ৩৬০ জনের বেশি মানুষের নাম পাঠিয়েছে তাদের জাতীয়তা যাচাই করার জন্য।

৮ মে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে চিঠি লিখে পুশইনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, বাংলাদেশ ‘শুধু বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে নিশ্চিত এবং সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রত্যাবাসনকৃত ব্যক্তিদের গ্রহণ করবে।’

ভারতের এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ভারত সরকার কর্তৃক কাউকে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া আটক ও বহিষ্কার করা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ভারত সরকারের উচিত বহিষ্কারের শিকার যেকোনো ব্যক্তির জন্য মৌলিক পদ্ধতিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে বহিষ্কারের কারণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য, যোগ্য আইনি প্রতিনিধিত্ব এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত।

কর্তৃপক্ষের উচিত নিরাপত্তা বাহিনী ও সীমান্তরক্ষীরা যাতে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার না করে তা নিশ্চিত করা এবং বল প্রয়োগের কথিত অপব্যবহারের নিরপেক্ষ তদন্ত করা। অপব্যবহারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ বা বিচার করা উচিত। বহিষ্কারের জন্য আটককৃত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত খাবার, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকতে হবে, এবং কর্তৃপক্ষের উচিত প্রান্তিক গোষ্ঠীর, যার মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রয়েছে, তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করা।

পিয়ারসন বলেছেন, ‘ভারতীয় সরকার হাজার হাজার দুর্বল মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছে, যা অননুমোদিত অভিবাসীদের খোঁজে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তাদের পদক্ষেপ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈষম্যমূলক নীতি প্রতিফলিত করে।’ তিনি আরও বলেন, ভারতের বিজেপি ‘সরকার রাজনৈতিক সমর্থন লাভের চেষ্টা করার সময় নিপীড়িতদের আশ্রয় দেওয়ার ভারতের দীর্ঘ ইতিহাসকে ক্ষুণ্ন করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ফাইল ছবি
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারের আমলে গণমাধ্যম পুরোপরি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি দাবি করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।

রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আজ রোববার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।

মতিউর রহমান বলেন, ‘সংবাদপত্রের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতায় বিগত ৫০ বছরে আসলে কোনো সরকার আমলেই সংবাদপত্র শিল্প খুব ভালো থাকতে পারেনি। নানা কারণে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছে। তার মধ্যে পার্থক্য করলে বলতে হয়, বিগত ১৫/১৬ বছর বিগত স্বৈরাচারী সরকার আমলে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে সংবাদপত্রকে যেতে হয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে এটা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বিএনপির শাসন আমলে আমরা পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিলাম, তা না। আমি যদি পার্থক্য করি দুই সরকারের মধ্যে, তাহলে বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল।’

প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সামরিক-বেসামরিক সব সরকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বিগত ১৫ বছর। শুধু প্রথম আলোর ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই।’

বিগত ১৫ বছরে প্রথম আলোর মালিকানা বদলে দেওয়া, সম্পাদক বদলে দেওয়া, শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

মতিউর রহমান বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬—এই সময়ে বিএনপি কতগুলো বড় ভুল করেছে। আমরা সেগুলো কঠোরভাবে লিখেছি। এখনও আমি এই লেখাগুলোর পক্ষেই থাকব। সেগুলো নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তর্ক হয়েছে, আবার হাসিমুখে চা খেয়ে ফিরেও এসেছি। পরবর্তীতে আমাদের সেই কথাগুলো অব্যাহতি রেখেছি। তাতে কোনও প্রকাশ্যে আক্রমণ, জেলের ভয়, মামলা-মোকাদ্দমার ভয়–এমন ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘নানা সমালোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্যেও বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে ধৈর্য ছিল। তাদের সহ্যশক্তি ছিল এবং তারা আমাদের পত্রিকার সমালোচনাগুলো মেনে নিয়েছিলেন। সংশোধন করতে পেরেছিলেন কি না–সেটা অনেক লম্বা আলোচনার বিষয়। আগামীতে যদি বিএনপি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, আমরা তাদের মধ্যে আরো অধিক সহ্যশক্তি, সমালোচনা সহ্য করার শক্তি, মেনে নেওয়ার মানসিকতা দেখব বলে আশা রাখি।’

দেশে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা চলছে উল্লেখ করে প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থা। বিএনপির জন্যও কিছুটা কঠিন অবস্থা। আমি সবসময় ভাবতাম বা এখনো মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি আরেকটু আগে—বেশ একটু আগে দেশে আসতে পারতেন, তাহলে এক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি এবং দেশের মধ্যে একটা ভালো, সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হতে পারত।’

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে নির্বাচনের তালিকা, প্রার্থী তালিকা করেছেন, এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এটা আপনাদের বিবেচনা করার সুযোগ আছে কি না–আমি বলতে পারব না। কিন্তু এসব বিষয় হয়তো আপনারা একটু ভেবে দেখতে পারেন।’

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবাই আপনাদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এই সংকটময় সময়ে, আমাদের জন্য যখন একটা বড় দুর্যোগ, তখন আপনারা সবাই দল-মত নির্বিশেষে সব ধরনের পত্রিকা, সব সাংবাদিক, সব ইউনিয়ন, সব প্রেসক্লাব আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি মনে করি, এই প্রকাশটাও আমাদের সংবাদপত্র বা ভবিষ্যৎ সংবাদপত্রের সম্ভাবনা, গণতন্ত্রের সম্ভাবনা নিয়ে খুব ভালো একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এটা রক্ষা করতে পারলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আর এজন্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন হোক সুষ্ঠু। আমি সবসময় এটা বলে এসেছি। আমি সবসময় বলতাম, যত কিছুই হোক না কেন, নির্বাচন হবে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে সন্দেহ করত, প্রশ্ন করত। আমি তাদের বলতাম, আমি কোনো কিছুই সন্দেহ করি না। কিন্তু এখন আমার মনের মধ্যে একটু প্রশ্ন জাগছে–সময়টা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলো কেমন যাবে, আগামী দুইটা মাস কেমন চলবে। বিগত কয়েকদিনের ঘটনাগুলোর প্রভাব কতটুকু হবে, এই নির্বাচন কতটুকু ভালো হতে পারবে—এই প্রশ্ন আমার মধ্যে জেগেছে।’

আগামী দিনগুলো অনেক কঠিন হবে জানিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আগামী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য সময়টা হবে আরো কঠিন। আমার মনে হয়, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন।’

তিনি বলেন, যে শক্তির উত্থান ঘটেছে, যে ধরনের বক্তব্য তারা দিচ্ছে, যে ধরনের কার্যক্রম তারা করছে এবং যে ধরনের কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে সারাদেশে একটা মবতন্ত্র তৈরি হয়েছে, যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে এবং কোনোরকম চিন্তা-চেতনার বাইরে গিয়ে এবং বাংলাদেশের যে ভিত্তিমূল, যার পক্ষে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন–এটাই একমাত্র সমাধান।’

মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৬
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। ছবি: সংগৃহীত
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। ছবি: সংগৃহীত

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিল। ওই যুবকেরা ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছিলেন।’

মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।’

সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে পাওয়া যাচ্ছে।

বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও উল্লেখ করেন, ‘ভারত বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরা দিপু চন্দ্র দাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি।’

তিনি আবারও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের মাটিতে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘নয়াদিল্লি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার মো. ফয়সাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে কিছু লোক এসে বাংলাদেশ ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। তারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছে—হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে; হাইকমিশনারকে ধরো। পরে তারা মেইন গেটের সামনে এসে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। ওরা চিৎকার করে চলে গেছে—এতটুকুই আমি জানি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলাকারীরা শনাক্ত, জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৫
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি যে, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’

উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, কোনো প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া বা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা কখনোই কাম্য নয়। সরকার এ ধরনের অন্যায় ও গর্হিত কাজ বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।

গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। হামলাকারীরা কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে কার্যালয় দুটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এই ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাংবাদিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাঁরা বলছেন, এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা।

ছায়ানট ভবনে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি।’

এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাককর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেন ধর্ম উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, সরকার কোনোভাবেই কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেবে না। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-সচিবসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১০
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় এই নির্দেশ দেন।

অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে মেঘনা-গোমতী সেতুতে ২০১৬ সালে নীতিমালা উপেক্ষা করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেডকে (সিএনএস) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। টাকার অঙ্কে কাজের মূল্য নির্ধারণ না করে বরং মোট আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল তুলেছে। দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩০৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক গত ১২ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তকালে দুদক জানতে পেরেছে, এ মামলার আসামিরা যেকোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তাঁরা দেশ ত্যাগ করলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত