বাসস, ঢাকা

দেশ গঠনে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা তৃণমূলের তরুণদের শক্তিকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সকলকে সামনে এনে দিয়েছে ইয়াং বাংলা। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আজ শনিবার এ কথা বলেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়।
সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিগত ৮ বছরে মোট ছয়বার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বিপু।
সারা দেশ থেকে আবেদন করা দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের ৬০০টিরও বেশি সংগঠন থেকে যাচাই বাছাই শেষে শীর্ষ ১০ তরুণ সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এ বছর ৫টি ক্যাটাগরির প্রতিটিতে দুটি করে ১০টি সংগঠনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়াও দেশের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় দুজন পেয়েছেন ‘লাইফ টাইম’ বা আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড।
রোবোলাইফ টেকনোলজিস
জয় বড়ুয়া লাবলু রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। ২০১৮ সালে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের সহযোগিতায় এ সংগঠন যাত্রা শুরু করে। শুরুতেই তারা দুর্ঘটনা বা যেকোনো কারণে হাত হারানো ব্যক্তিদের কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপন করা শুরু করে। এভাবে অন্তত ২০ জনকে সহযোগিতা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে তারা ৩০ হাজার টাকায় কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপন করছে ও এর খরচ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে সৌদি আরব ও তুরস্কে বেশ কিছু কৃত্রিম হাত রপ্তানিও করেছে এই প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে জয় বড়ুয়া লাবলু বলেন, আমাদের রোবোলাইফ টেকনোলজিস মূলত যে সকল মানুষের হাত নেই তাদেরকে মূলত আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে হাত দেওয়া হয়। যেটার সাহায্যে ব্রেইন কন্ট্রোলের মাধ্যমে হাতটাকে পরিচালনা করতে পারবে।
বিকে স্কুল অব রিসার্চ
বিজন কুমার বিকে স্কুল অব রিসার্চের পরিচালক। সমাজ গঠন, অর্থনীতি ও মানবিকতা নিয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তারা ২২ দেশের ৫৫ জন বিশেষজ্ঞ ১০০ গবেষণা সহকারী ও ৩০০ তথ্য সংগ্রাহককে নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে তারা ১০টির বেশি জার্নাল ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। আরও দশটি প্রকল্প নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা, পরিবেশ ও প্রযুক্তি বিষয়ে তরুণদের নিয়ে ৫টি সেমিনার ও সভা করেছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিজন কুমার বলেন, বিকে স্কুল অব রিসার্চ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষ গবেষক ও অধ্যাপকদের নিয়ে সেমিনার, প্রশিক্ষণ, ট্রেনিং, কর্মশালাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা, নারী ও কিশোর কিশোরদের ওপর কোভিডকালে কি ধরনের প্রভাব পড়েছে তা নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে বিকে স্কুল অব রিসার্চ। সেটি মালয়েশিয়ার একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।
বোসন বিজ্ঞান সংঘ
মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বোসন বিজ্ঞান সংঘের সভাপতি। ২০১৪ সালে শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞান শিখতে অনুপ্রাণিত করতে এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে তারা নারীদের বিজ্ঞান এবং গণিত শিখতে অনুপ্রাণিত করতে একটি বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের কাছ থেকে সেরা গণিত ক্লাব পুরস্কারে ভূষিত হয়। এছাড়াও তারা প্রাতিষ্ঠানিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড, জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড, জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড এবং অন্যান্য পুরস্কার জিতেছে।
সংস্থার সভাপতি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, আমাদের মূলত কাজ হচ্ছে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মশালা, গণিত কর্মশালা করে থাকি। বিজ্ঞানভিত্তিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞান বাতায়ন প্রকাশ করি।
উচ্ছ্বাস
প্রসেনজিৎ কুমার সাহা উচ্ছ্বাসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছে। ভোলা, বরিশাল ও ঢাকায় তাদের ৩টি কাজের স্থান রয়েছে। বর্তমানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে শিক্ষা, নিম্ন আয়ের এবং বেকারদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া কার্যক্রমে ‘স্বপ্ন পূরণ’, ‘বিদ্যানিকেতন’, ‘জয়ী’, ‘স্বাবলম্বী’ শিরোনামে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করছে। এছাড়াও তারা ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি স্কুল চালায়। শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের লক্ষ্য যুব ও নারী ক্ষমতায়ন।
প্রসেনজিৎ কুমার সাহা বলেন, ৩টি সাসটেইনেবল প্রজেক্ট আছে। স্বপ্ন পূরণ, বিদ্যানিকেতন। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া। প্রজেক্ট জয়ী, কিশোরদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে সহযোগিতা করা। স্বাবলম্বী, এই প্রজেক্টে প্রতি মাসে দুইটি করে দোকান করে দেই।
ইয়ুথ প্ল্যানেট
এ বি এম মাহমুদুল হাসান ইয়ুথ প্ল্যানেটের প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, সংগঠনটি নারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে পুরুষদের শিক্ষিত করার বিষয়ে তারা কাজ করছে। এরই মধ্যে তাদের কার্যক্রম ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় মাসিক সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সাহায্য করেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইসিটি এবং যুব নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, নারী উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কাজ করছে সংগঠনটি।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এ বি এম মাহমুদুল হাসান বলেন, ইয়ুথ প্ল্যানেট নিয়ে আমরা মূলত বয়ঃসন্ধিকালে যেসব সমস্যা হয় সেসব নিয়ে সচেতন করতে। মাসিককালীন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করি ও নিজেদের তৈরি করা প্যাড দিচ্ছি।
বিজ্ঞানপ্রিয়
মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ বিজ্ঞানপ্রিয়র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। ২০১৭ সালে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মটির যাত্রা শুরু। দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রচার ছাড়াও বিজ্ঞানের অগ্রগতি, খবর, ব্লগ, ইনফোগ্রাফিকস অডিও-ভিজ্যুয়াল সংবলিত বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে। এছাড়াও তারা বাংলা ভাষায় একটি ডিজিটাল বিজ্ঞান অভিধান তৈরি করছে। তাদের বেশ কয়েকটি স্কুল-ভিত্তিক কার্যক্রম রয়েছে ও বিজ্ঞান প্রচারের জন্য তারা “নেবুলা” নামে একটি অনলাইন পত্রিকা প্রকাশ করে।
প্রতিষ্ঠানের মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ বলেন, বাংলা ভাষায় একটি কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞান প্রিয়। একই সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম এটি। কুসংস্কার রুখে দিয়ে বাংলার মানুষ যাতে বিজ্ঞানমুখী হতে পারে ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হতে পারে।
মজার ইশকুল
আরিয়ান আরিফ মজার ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক। ২০১৩ সালে পথশিশুদের বিনা মূল্যে শিক্ষা দিতে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু। প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ হাজার সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুকে বিনা মূল্যে শিক্ষা দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০ বছর ধরে ১ হাজার সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান ও ঢাকায় ১০ টি স্কুল পরিচালনা করছে তারা। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার জন্য একটি নতুন বিভাগ খোলার পরিকল্পনা করছে সংগঠনটি।
মজার ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিয়ান আরিফ বলেন, মজার ইশকুল ২০১৩ সাল থেকে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছি। ২০০০ এর বেশি পথশিশুকে বিনা মূল্যে শিক্ষা, খাদ্য ও প্রযুক্তি মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।
মিলন স্মৃতি পাঠাগার
আসাদুজ্জামান মিলন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। যুব সমাজকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মোট ১৪টি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছে। যার মধ্যে ১টি শিশু গ্রন্থাগার, ৪টি রাস্তার পাশের লাইব্রেরি এবং ৩টি রেলস্টেশন লাইব্রেরি রয়েছে। তাদের স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের পাঠক রয়েছে। তারা পাঠকের সংখ্যাবৃদ্ধি ও জ্ঞান-ভিত্তিক সম্প্রদায় তৈরি করতে সহায়তা করছে।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের ছয়টি পাঠাগার রয়েছে। পাঠাগারে প্রায় ১৫০০-২০০০ পাঠক প্রতি মাসে নিয়মিত বই পড়ার সুযোগ পায়।
সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন
মো. মুইনুল আহসান ফয়সাল সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বস্ত্র এবং আশ্রয়ের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ২০১১ সাল থেকে কাজ করছে সংগঠনটি। ১৩ জন পূর্ণকালীন শিক্ষকের মাধ্যমে তারা বিনা মূল্যে একটি স্কুল পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে তারা প্রায় ২ হাজার শিশুকে শিক্ষাদান করেছে। সংগঠনটি প্রতি বছর অমর একুশে বই মেলায় বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন ব্যক্তিদের এবং বয়স্ক নাগরিকদের হুইলচেয়ার সরবরাহ করে। এছাড়াও নিঃস্ব নারী ও যুবকদের বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুইনুল আহসান ফয়সাল বলেন, সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন থেকে মূলত সুবিধা-বঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করছি। চার শোর অধিক ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছি। বিশেষ করে আগামী দিনের নেতৃত্ব হিসেবে তাদের গড়ে তোলাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।
বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠন
জান্নাতুল মাওয়া বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত যুব নেতৃত্বাধীন নারীবাদী সংগঠনটি জলবায়ু ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। তারা উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিশেষ করে নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮ জন নারী নেত্রী তৈরি করেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ৩০০ মিটার বাঁধ মেরামত করার জন্য তারা সফলভাবে স্থানীয় সরকারকে রাজি করেছিল। তারা নারীদের প্রতি সহিংসতা, যৌতুক, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এবং শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করে।
বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া বলেন, বিন্দু একটি যুব নারী সংগঠন। আমরা মূলত জলবায়ু ন্যায্যতা নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছি। আমাদের আরও কাজ হচ্ছে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি। নারীদের লিডারশিপ এবং সর্বস্তরে নারীরা যেনো অংশগ্রহণ করতে পারে।
আজীবন সম্মাননা
উন্মাদ/আহসান হাবীব: দেশের আইকনিক প্রকাশনা উন্মাদ। প্রায় চার দশক ধরে দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের নিয়মিত এক ম্যাগাজিন এটি। প্রকাশকালে অসংখ্য রাজনৈতিক ও সমসাময়িক বিষয় ব্যতিক্রম ও ব্যঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরে সামাজিক সমালোচনা করা হয়েছে এই ম্যাগাজিনে। মাসিক এই ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন পরিচালনা করছেন আহসান হাবীব।
১৯৮০-র দশকে সামরিক শাসনামলে রাজনৈতিক কার্টুন প্রকাশ করায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার শিকার হন তিনি। তবুও উন্মাদের ধার কমেনি এতটুকুও। কার্টুনিস্ট হতে চাওয়া তরুণদের জন্য উন্মাদ বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজন করে। বর্তমানে ম্যাগাজিনের ৫০ জনের বেশি সদস্য রয়েছে।
ইয়াংগুয়াং ম্রো: পার্বত্য চট্টগ্রামে দূরের অন্ধকারে এক আলোকরশ্মি ইয়াংগুয়াং ম্রো। লেখালেখি ও গবেষণাই তার কাজ। তিনি ম্রো সম্প্রদায়ের ভাষায় প্রথম বই 'টোটং' তৈরি করেন। ম্রো ভাষার প্রথম এই কথাসাহিত্যিক 'ম্রো ফেয়ারি টেলস' নামে বই লিখেছেন। ২০১৩ সাল থেকে মাত্র ছয় ব্যক্তির কথ্য ভাষা 'রেণমিতাচ্যা ভাষা' সংরক্ষণে কাজ করছেন।
নিজের সম্প্রদায়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, অর্থ ও ভিত্তিকে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ম্রো ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। ম্রো ভাষা সংরক্ষণে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজের এলাকায় কুঁড়েঘর তৈরি করেছে মনে প্রাণে জুমচাষ করা এই ব্যক্তি।
মানবিক কাজ ও সমাজে অবদানের জন্য দেশের সেরা যুব সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্লোগান ‘জয় বাংলা’র অনুসারে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রবর্তন করা হয়। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী অনেক সংগঠন ইতিমধ্যে শিশু শান্তি পুরস্কার, ডায়না অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারও অর্জন করেছে।

দেশ গঠনে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা তৃণমূলের তরুণদের শক্তিকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সকলকে সামনে এনে দিয়েছে ইয়াং বাংলা। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আজ শনিবার এ কথা বলেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়।
সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিগত ৮ বছরে মোট ছয়বার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বিপু।
সারা দেশ থেকে আবেদন করা দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের ৬০০টিরও বেশি সংগঠন থেকে যাচাই বাছাই শেষে শীর্ষ ১০ তরুণ সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এ বছর ৫টি ক্যাটাগরির প্রতিটিতে দুটি করে ১০টি সংগঠনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়াও দেশের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় দুজন পেয়েছেন ‘লাইফ টাইম’ বা আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড।
রোবোলাইফ টেকনোলজিস
জয় বড়ুয়া লাবলু রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। ২০১৮ সালে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের সহযোগিতায় এ সংগঠন যাত্রা শুরু করে। শুরুতেই তারা দুর্ঘটনা বা যেকোনো কারণে হাত হারানো ব্যক্তিদের কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপন করা শুরু করে। এভাবে অন্তত ২০ জনকে সহযোগিতা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে তারা ৩০ হাজার টাকায় কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপন করছে ও এর খরচ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে সৌদি আরব ও তুরস্কে বেশ কিছু কৃত্রিম হাত রপ্তানিও করেছে এই প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে জয় বড়ুয়া লাবলু বলেন, আমাদের রোবোলাইফ টেকনোলজিস মূলত যে সকল মানুষের হাত নেই তাদেরকে মূলত আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে হাত দেওয়া হয়। যেটার সাহায্যে ব্রেইন কন্ট্রোলের মাধ্যমে হাতটাকে পরিচালনা করতে পারবে।
বিকে স্কুল অব রিসার্চ
বিজন কুমার বিকে স্কুল অব রিসার্চের পরিচালক। সমাজ গঠন, অর্থনীতি ও মানবিকতা নিয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তারা ২২ দেশের ৫৫ জন বিশেষজ্ঞ ১০০ গবেষণা সহকারী ও ৩০০ তথ্য সংগ্রাহককে নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে তারা ১০টির বেশি জার্নাল ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। আরও দশটি প্রকল্প নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা, পরিবেশ ও প্রযুক্তি বিষয়ে তরুণদের নিয়ে ৫টি সেমিনার ও সভা করেছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিজন কুমার বলেন, বিকে স্কুল অব রিসার্চ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষ গবেষক ও অধ্যাপকদের নিয়ে সেমিনার, প্রশিক্ষণ, ট্রেনিং, কর্মশালাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা, নারী ও কিশোর কিশোরদের ওপর কোভিডকালে কি ধরনের প্রভাব পড়েছে তা নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে বিকে স্কুল অব রিসার্চ। সেটি মালয়েশিয়ার একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।
বোসন বিজ্ঞান সংঘ
মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বোসন বিজ্ঞান সংঘের সভাপতি। ২০১৪ সালে শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞান শিখতে অনুপ্রাণিত করতে এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে তারা নারীদের বিজ্ঞান এবং গণিত শিখতে অনুপ্রাণিত করতে একটি বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের কাছ থেকে সেরা গণিত ক্লাব পুরস্কারে ভূষিত হয়। এছাড়াও তারা প্রাতিষ্ঠানিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড, জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড, জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড এবং অন্যান্য পুরস্কার জিতেছে।
সংস্থার সভাপতি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, আমাদের মূলত কাজ হচ্ছে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মশালা, গণিত কর্মশালা করে থাকি। বিজ্ঞানভিত্তিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞান বাতায়ন প্রকাশ করি।
উচ্ছ্বাস
প্রসেনজিৎ কুমার সাহা উচ্ছ্বাসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছে। ভোলা, বরিশাল ও ঢাকায় তাদের ৩টি কাজের স্থান রয়েছে। বর্তমানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে শিক্ষা, নিম্ন আয়ের এবং বেকারদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া কার্যক্রমে ‘স্বপ্ন পূরণ’, ‘বিদ্যানিকেতন’, ‘জয়ী’, ‘স্বাবলম্বী’ শিরোনামে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করছে। এছাড়াও তারা ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি স্কুল চালায়। শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের লক্ষ্য যুব ও নারী ক্ষমতায়ন।
প্রসেনজিৎ কুমার সাহা বলেন, ৩টি সাসটেইনেবল প্রজেক্ট আছে। স্বপ্ন পূরণ, বিদ্যানিকেতন। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া। প্রজেক্ট জয়ী, কিশোরদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে সহযোগিতা করা। স্বাবলম্বী, এই প্রজেক্টে প্রতি মাসে দুইটি করে দোকান করে দেই।
ইয়ুথ প্ল্যানেট
এ বি এম মাহমুদুল হাসান ইয়ুথ প্ল্যানেটের প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, সংগঠনটি নারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে পুরুষদের শিক্ষিত করার বিষয়ে তারা কাজ করছে। এরই মধ্যে তাদের কার্যক্রম ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় মাসিক সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সাহায্য করেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইসিটি এবং যুব নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, নারী উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কাজ করছে সংগঠনটি।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এ বি এম মাহমুদুল হাসান বলেন, ইয়ুথ প্ল্যানেট নিয়ে আমরা মূলত বয়ঃসন্ধিকালে যেসব সমস্যা হয় সেসব নিয়ে সচেতন করতে। মাসিককালীন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করি ও নিজেদের তৈরি করা প্যাড দিচ্ছি।
বিজ্ঞানপ্রিয়
মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ বিজ্ঞানপ্রিয়র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। ২০১৭ সালে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মটির যাত্রা শুরু। দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রচার ছাড়াও বিজ্ঞানের অগ্রগতি, খবর, ব্লগ, ইনফোগ্রাফিকস অডিও-ভিজ্যুয়াল সংবলিত বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে। এছাড়াও তারা বাংলা ভাষায় একটি ডিজিটাল বিজ্ঞান অভিধান তৈরি করছে। তাদের বেশ কয়েকটি স্কুল-ভিত্তিক কার্যক্রম রয়েছে ও বিজ্ঞান প্রচারের জন্য তারা “নেবুলা” নামে একটি অনলাইন পত্রিকা প্রকাশ করে।
প্রতিষ্ঠানের মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ বলেন, বাংলা ভাষায় একটি কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞান প্রিয়। একই সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম এটি। কুসংস্কার রুখে দিয়ে বাংলার মানুষ যাতে বিজ্ঞানমুখী হতে পারে ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হতে পারে।
মজার ইশকুল
আরিয়ান আরিফ মজার ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক। ২০১৩ সালে পথশিশুদের বিনা মূল্যে শিক্ষা দিতে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু। প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ হাজার সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুকে বিনা মূল্যে শিক্ষা দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০ বছর ধরে ১ হাজার সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান ও ঢাকায় ১০ টি স্কুল পরিচালনা করছে তারা। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার জন্য একটি নতুন বিভাগ খোলার পরিকল্পনা করছে সংগঠনটি।
মজার ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিয়ান আরিফ বলেন, মজার ইশকুল ২০১৩ সাল থেকে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছি। ২০০০ এর বেশি পথশিশুকে বিনা মূল্যে শিক্ষা, খাদ্য ও প্রযুক্তি মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।
মিলন স্মৃতি পাঠাগার
আসাদুজ্জামান মিলন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। যুব সমাজকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মোট ১৪টি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছে। যার মধ্যে ১টি শিশু গ্রন্থাগার, ৪টি রাস্তার পাশের লাইব্রেরি এবং ৩টি রেলস্টেশন লাইব্রেরি রয়েছে। তাদের স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের পাঠক রয়েছে। তারা পাঠকের সংখ্যাবৃদ্ধি ও জ্ঞান-ভিত্তিক সম্প্রদায় তৈরি করতে সহায়তা করছে।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের ছয়টি পাঠাগার রয়েছে। পাঠাগারে প্রায় ১৫০০-২০০০ পাঠক প্রতি মাসে নিয়মিত বই পড়ার সুযোগ পায়।
সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন
মো. মুইনুল আহসান ফয়সাল সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বস্ত্র এবং আশ্রয়ের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ২০১১ সাল থেকে কাজ করছে সংগঠনটি। ১৩ জন পূর্ণকালীন শিক্ষকের মাধ্যমে তারা বিনা মূল্যে একটি স্কুল পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে তারা প্রায় ২ হাজার শিশুকে শিক্ষাদান করেছে। সংগঠনটি প্রতি বছর অমর একুশে বই মেলায় বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন ব্যক্তিদের এবং বয়স্ক নাগরিকদের হুইলচেয়ার সরবরাহ করে। এছাড়াও নিঃস্ব নারী ও যুবকদের বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুইনুল আহসান ফয়সাল বলেন, সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন থেকে মূলত সুবিধা-বঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করছি। চার শোর অধিক ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছি। বিশেষ করে আগামী দিনের নেতৃত্ব হিসেবে তাদের গড়ে তোলাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।
বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠন
জান্নাতুল মাওয়া বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত যুব নেতৃত্বাধীন নারীবাদী সংগঠনটি জলবায়ু ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। তারা উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিশেষ করে নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮ জন নারী নেত্রী তৈরি করেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ৩০০ মিটার বাঁধ মেরামত করার জন্য তারা সফলভাবে স্থানীয় সরকারকে রাজি করেছিল। তারা নারীদের প্রতি সহিংসতা, যৌতুক, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এবং শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করে।
বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া বলেন, বিন্দু একটি যুব নারী সংগঠন। আমরা মূলত জলবায়ু ন্যায্যতা নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছি। আমাদের আরও কাজ হচ্ছে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি। নারীদের লিডারশিপ এবং সর্বস্তরে নারীরা যেনো অংশগ্রহণ করতে পারে।
আজীবন সম্মাননা
উন্মাদ/আহসান হাবীব: দেশের আইকনিক প্রকাশনা উন্মাদ। প্রায় চার দশক ধরে দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের নিয়মিত এক ম্যাগাজিন এটি। প্রকাশকালে অসংখ্য রাজনৈতিক ও সমসাময়িক বিষয় ব্যতিক্রম ও ব্যঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরে সামাজিক সমালোচনা করা হয়েছে এই ম্যাগাজিনে। মাসিক এই ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন পরিচালনা করছেন আহসান হাবীব।
১৯৮০-র দশকে সামরিক শাসনামলে রাজনৈতিক কার্টুন প্রকাশ করায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার শিকার হন তিনি। তবুও উন্মাদের ধার কমেনি এতটুকুও। কার্টুনিস্ট হতে চাওয়া তরুণদের জন্য উন্মাদ বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজন করে। বর্তমানে ম্যাগাজিনের ৫০ জনের বেশি সদস্য রয়েছে।
ইয়াংগুয়াং ম্রো: পার্বত্য চট্টগ্রামে দূরের অন্ধকারে এক আলোকরশ্মি ইয়াংগুয়াং ম্রো। লেখালেখি ও গবেষণাই তার কাজ। তিনি ম্রো সম্প্রদায়ের ভাষায় প্রথম বই 'টোটং' তৈরি করেন। ম্রো ভাষার প্রথম এই কথাসাহিত্যিক 'ম্রো ফেয়ারি টেলস' নামে বই লিখেছেন। ২০১৩ সাল থেকে মাত্র ছয় ব্যক্তির কথ্য ভাষা 'রেণমিতাচ্যা ভাষা' সংরক্ষণে কাজ করছেন।
নিজের সম্প্রদায়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, অর্থ ও ভিত্তিকে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ম্রো ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। ম্রো ভাষা সংরক্ষণে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজের এলাকায় কুঁড়েঘর তৈরি করেছে মনে প্রাণে জুমচাষ করা এই ব্যক্তি।
মানবিক কাজ ও সমাজে অবদানের জন্য দেশের সেরা যুব সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্লোগান ‘জয় বাংলা’র অনুসারে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রবর্তন করা হয়। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী অনেক সংগঠন ইতিমধ্যে শিশু শান্তি পুরস্কার, ডায়না অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারও অর্জন করেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে
২ ঘণ্টা আগে
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ডের অধিকারী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ততবারই বিজয়ী হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানিয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি নির্ধারণে আয়োজিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল।
ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ও কাল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
সভায় শুরুতেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও আগামীকাল এক দিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়, যা পাঠ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে আগামীকাল দেশের প্রতিটি মসজিদে খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়েও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকবই খোলা হবে।
সভায় বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল জানান, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও এর সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।
সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে গভীর শোকের সময় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। পুরো জাতি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছিল, যাতে তিনি আমাদের সাথে আরও অনেক বছর থাকেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। জাতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর দাফন ও জানাজার বিষয়ে যা যা কিছু প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা সরকার করবে।’
স্মৃতিচারণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ উনার সাথে দেখা হয়েছিল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। সেদিন তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। আমার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। আমার, আমার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নিজে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সবার সুস্থতা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ছিল। তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে, এ সময় তাঁর উপস্থিতি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তার চলে যাওয়া জাতির বিরাট ক্ষতি।’

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানিয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি নির্ধারণে আয়োজিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল।
ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ও কাল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
সভায় শুরুতেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও আগামীকাল এক দিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়, যা পাঠ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে আগামীকাল দেশের প্রতিটি মসজিদে খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়েও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকবই খোলা হবে।
সভায় বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল জানান, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও এর সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।
সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে গভীর শোকের সময় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। পুরো জাতি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছিল, যাতে তিনি আমাদের সাথে আরও অনেক বছর থাকেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। জাতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর দাফন ও জানাজার বিষয়ে যা যা কিছু প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা সরকার করবে।’
স্মৃতিচারণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ উনার সাথে দেখা হয়েছিল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। সেদিন তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। আমার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। আমার, আমার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নিজে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সবার সুস্থতা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ছিল। তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে, এ সময় তাঁর উপস্থিতি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তার চলে যাওয়া জাতির বিরাট ক্ষতি।’

দেশ গঠনে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা তৃণমূলের তরুণদের শক্তিকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সকলকে সামনে এনে দিয়েছে ইয়াং বাংলা। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আজ শনিবার এ কথা বলেন...
১২ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে
২ ঘণ্টা আগে
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ডের অধিকারী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ততবারই বিজয়ী হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।
দলীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে তাঁর রক্তচাপ কমে যায় এবং শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হয়। চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি পরপারে পাড়ি জমান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে বন্দিদশায়। পাঁচবার কারাবরণ করা এই নেত্রীর জেলজীবন ছিল আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১৯৮২ সালে রাজনীতিতে আসার পর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপিয়েছেন তিনি। এই সময়ে ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে এবং ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর—এই তিন দফায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও সেসব ক্ষেত্রে তাঁকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা সম্ভব হয়নি, তবে এই গ্রেপ্তারগুলোই তাঁকে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাঁকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাবজেলে বন্দী রাখা হয়।
জেলখানায় দুই ঈদ: এই কারাবাসকালে তিনি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা—উভয় উৎসবই নির্জন প্রকোষ্ঠে পালন করেন। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন।
সন্তানদের বন্দিত্ব ও শোক: সেই সময় তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোও কারাবন্দি ছিলেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি মায়ের লাশ দেখার অনুমতি পান। প্রায় ৩৭২ দিন বন্দী থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
জিয়ার জেলজীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় শুরু হয় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
একমাত্র বন্দী: একটি বিশাল পরিত্যক্ত কারাগারে তিনি ছিলেন একমাত্র বন্দী। সেখানে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটে। পরে তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি ও গৃহবন্দিত্ব: ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির সময় সরকার নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে তাঁর সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু ফিরোজা বাসভবনে থাকলেও সেটি ছিল মূলত একধরনের গৃহবন্দিত্ব। সেখানে বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ ছিল অত্যন্ত সীমিত।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। এরপরই রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে তাঁর দণ্ড মওকুফ করা হয়। দীর্ঘ আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের পর গত ২৭ নভেম্বর তিনি সব মামলা থেকে সসম্মানে খালাস পান। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে তিনি অন্তত এই সান্ত্বনা নিয়ে গেছেন যে তিনি একটি স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করছেন।
খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নারী শিক্ষা প্রসারে উপবৃত্তি চালু, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।
দলীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে তাঁর রক্তচাপ কমে যায় এবং শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হয়। চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি পরপারে পাড়ি জমান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে বন্দিদশায়। পাঁচবার কারাবরণ করা এই নেত্রীর জেলজীবন ছিল আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১৯৮২ সালে রাজনীতিতে আসার পর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপিয়েছেন তিনি। এই সময়ে ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে এবং ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর—এই তিন দফায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও সেসব ক্ষেত্রে তাঁকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা সম্ভব হয়নি, তবে এই গ্রেপ্তারগুলোই তাঁকে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাঁকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাবজেলে বন্দী রাখা হয়।
জেলখানায় দুই ঈদ: এই কারাবাসকালে তিনি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা—উভয় উৎসবই নির্জন প্রকোষ্ঠে পালন করেন। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন।
সন্তানদের বন্দিত্ব ও শোক: সেই সময় তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোও কারাবন্দি ছিলেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি মায়ের লাশ দেখার অনুমতি পান। প্রায় ৩৭২ দিন বন্দী থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
জিয়ার জেলজীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় শুরু হয় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
একমাত্র বন্দী: একটি বিশাল পরিত্যক্ত কারাগারে তিনি ছিলেন একমাত্র বন্দী। সেখানে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটে। পরে তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি ও গৃহবন্দিত্ব: ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির সময় সরকার নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে তাঁর সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু ফিরোজা বাসভবনে থাকলেও সেটি ছিল মূলত একধরনের গৃহবন্দিত্ব। সেখানে বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ ছিল অত্যন্ত সীমিত।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। এরপরই রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে তাঁর দণ্ড মওকুফ করা হয়। দীর্ঘ আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের পর গত ২৭ নভেম্বর তিনি সব মামলা থেকে সসম্মানে খালাস পান। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে তিনি অন্তত এই সান্ত্বনা নিয়ে গেছেন যে তিনি একটি স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করছেন।
খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নারী শিক্ষা প্রসারে উপবৃত্তি চালু, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

দেশ গঠনে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা তৃণমূলের তরুণদের শক্তিকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সকলকে সামনে এনে দিয়েছে ইয়াং বাংলা। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আজ শনিবার এ কথা বলেন...
১২ নভেম্বর ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ডের অধিকারী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ততবারই বিজয়ী হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রথমেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতান্ত্রিক যাত্রায় তাঁর অনন্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
দেশের এই রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে একজন ‘অভিভাবকের’ মৃত্যুতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শুরুতেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সভায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও আগামীকাল একদিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় যা পাঠ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন দেশের সব সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে আগামীকাল দেশের প্রতিটি মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক বই খোলা হবে।
সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে গভীর শোকের সময় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। পুরো জাতি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছিল, যাতে তিনি আমাদের সাথে আরও অনেক বছর থাকেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। জাতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর দাফন ও জানাজার বিষয়ে যা যা কিছু প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা সরকার করবে।’
স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। সেদিন তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। আমার, আমার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নিজে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সবার সুস্থতা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ছিল। তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে, এসময় তাঁর উপস্থিতি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তাঁর চলে যাওয়া জাতির বিরাট ক্ষতি।’

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রথমেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতান্ত্রিক যাত্রায় তাঁর অনন্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
দেশের এই রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে একজন ‘অভিভাবকের’ মৃত্যুতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শুরুতেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সভায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও আগামীকাল একদিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় যা পাঠ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন দেশের সব সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে আগামীকাল দেশের প্রতিটি মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক বই খোলা হবে।
সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে গভীর শোকের সময় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। পুরো জাতি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছিল, যাতে তিনি আমাদের সাথে আরও অনেক বছর থাকেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। জাতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর দাফন ও জানাজার বিষয়ে যা যা কিছু প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা সরকার করবে।’
স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। সেদিন তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। আমার, আমার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নিজে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সবার সুস্থতা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ছিল। তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে, এসময় তাঁর উপস্থিতি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তাঁর চলে যাওয়া জাতির বিরাট ক্ষতি।’

দেশ গঠনে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা তৃণমূলের তরুণদের শক্তিকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সকলকে সামনে এনে দিয়েছে ইয়াং বাংলা। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আজ শনিবার এ কথা বলেন...
১২ নভেম্বর ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ডের অধিকারী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ততবারই বিজয়ী হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ডের অধিকারী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ততবারই বিজয়ী হয়েছেন। ফেনী থেকে বগুড়া, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম—তাঁর জনপ্রিয়তা দেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রমাণিত হয়েছে। ৫টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রতিটিতেই বিজয়ী হওয়ার এই কীর্তি দেশের ইতিহাসে বিরল।
নির্বাচনের পরিক্রমা: ১৯৯১ থেকে ২০০৮
১৯৯১: প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে লড়ে সব কটিতে বিপুল ভোটে জয়ী হন।
আসন: বগুড়া-৭, ঢাকা-৫, ঢাকা-৯, ফেনী-১ ও চট্টগ্রাম-৮।
ফলাফল: এই জয়ের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের প্রথম এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছিল।
১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি): স্বল্পস্থায়ী ষষ্ঠ সংসদ
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এককভাবে অংশগ্রহণ করে। সেই নির্বাচনেও খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন।
আসন: ফেনী-১ ও ২, বগুড়া-৭, সিরাজগঞ্জ-২ ও রাজশাহী-২।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এই সংসদেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হয় এবং মাত্র ১১ দিনের মাথায় তিনি পদত্যাগ করে গণতন্ত্রের নতুন পথ প্রশস্ত করেন।
১৯৯৬ (জুন): প্রতিকূল পরিবেশেও অটুট জনপ্রিয়তা
১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও খালেদা জিয়াকে পরাজিত করা সম্ভব হয়নি।
আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ ও চট্টগ্রাম-১।
ফলাফল: পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতেই তিনি বিজয়ী হন এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভূমিকা পালন করেন।
২০০১: রেকর্ড ভোটে বিজয় ও তৃতীয় মেয়াদ
২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়।
আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, খুলনা-২, ফেনী-১ ও লক্ষ্মীপুর-২।
পরিসংখ্যান: এই নির্বাচনে তিনি প্রতিটি আসনে রেকর্ড পরিমাণ ভোট পান। বিশেষ করে বগুড়া-৬ আসনে তিনি ২,২৭,৩৫৫ ভোট (৭৮.৯%) পেয়েছিলেন। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
২০০৮: আইনি সীমাবদ্ধতা ও নিরঙ্কুশ আধিপত্য
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন একজনের জন্য সর্বোচ্চ তিনটি আসনে লড়ার বিধান করলে তিনি বাধ্য হয়ে আসনসংখ্যা কমিয়ে আনেন।
আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১।
ফলাফল: বরাবরের মতো তিনটি আসনেই তিনি বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হন। বগুড়া-৬ আসনে তিনি ১,৯৩,৭৯২ ভোট এবং বগুড়া-৭ আসনে ২,৩২,৭১৬ ভোট পান।
কেন তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী?
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, খালেদা জিয়ার এই দীর্ঘকালীন অজেয় থাকার মূলে রয়েছে তাঁর ‘আপসহীন’ রাজনৈতিক অবস্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া কখনোই অসংযত কথা বলেননি। তাঁর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আচরণ ও দৃঢ়তা ভোটের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলত। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে টেলিভিশনে দেওয়া তাঁর একটি ভাষণ তৎকালীন সব রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিয়েছিল।’
একনজরে বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী ইতিহাস:

জনগণের প্রতি অটল অঙ্গীকার এবং দেশপ্রেম তাঁকে দল-মতনির্বিশেষে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এক অপরাজেয় নেত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ডের অধিকারী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ততবারই বিজয়ী হয়েছেন। ফেনী থেকে বগুড়া, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম—তাঁর জনপ্রিয়তা দেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রমাণিত হয়েছে। ৫টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রতিটিতেই বিজয়ী হওয়ার এই কীর্তি দেশের ইতিহাসে বিরল।
নির্বাচনের পরিক্রমা: ১৯৯১ থেকে ২০০৮
১৯৯১: প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে লড়ে সব কটিতে বিপুল ভোটে জয়ী হন।
আসন: বগুড়া-৭, ঢাকা-৫, ঢাকা-৯, ফেনী-১ ও চট্টগ্রাম-৮।
ফলাফল: এই জয়ের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের প্রথম এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছিল।
১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি): স্বল্পস্থায়ী ষষ্ঠ সংসদ
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এককভাবে অংশগ্রহণ করে। সেই নির্বাচনেও খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন।
আসন: ফেনী-১ ও ২, বগুড়া-৭, সিরাজগঞ্জ-২ ও রাজশাহী-২।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এই সংসদেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হয় এবং মাত্র ১১ দিনের মাথায় তিনি পদত্যাগ করে গণতন্ত্রের নতুন পথ প্রশস্ত করেন।
১৯৯৬ (জুন): প্রতিকূল পরিবেশেও অটুট জনপ্রিয়তা
১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও খালেদা জিয়াকে পরাজিত করা সম্ভব হয়নি।
আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ ও চট্টগ্রাম-১।
ফলাফল: পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতেই তিনি বিজয়ী হন এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভূমিকা পালন করেন।
২০০১: রেকর্ড ভোটে বিজয় ও তৃতীয় মেয়াদ
২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়।
আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, খুলনা-২, ফেনী-১ ও লক্ষ্মীপুর-২।
পরিসংখ্যান: এই নির্বাচনে তিনি প্রতিটি আসনে রেকর্ড পরিমাণ ভোট পান। বিশেষ করে বগুড়া-৬ আসনে তিনি ২,২৭,৩৫৫ ভোট (৭৮.৯%) পেয়েছিলেন। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
২০০৮: আইনি সীমাবদ্ধতা ও নিরঙ্কুশ আধিপত্য
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন একজনের জন্য সর্বোচ্চ তিনটি আসনে লড়ার বিধান করলে তিনি বাধ্য হয়ে আসনসংখ্যা কমিয়ে আনেন।
আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১।
ফলাফল: বরাবরের মতো তিনটি আসনেই তিনি বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হন। বগুড়া-৬ আসনে তিনি ১,৯৩,৭৯২ ভোট এবং বগুড়া-৭ আসনে ২,৩২,৭১৬ ভোট পান।
কেন তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী?
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, খালেদা জিয়ার এই দীর্ঘকালীন অজেয় থাকার মূলে রয়েছে তাঁর ‘আপসহীন’ রাজনৈতিক অবস্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া কখনোই অসংযত কথা বলেননি। তাঁর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আচরণ ও দৃঢ়তা ভোটের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলত। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে টেলিভিশনে দেওয়া তাঁর একটি ভাষণ তৎকালীন সব রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিয়েছিল।’
একনজরে বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী ইতিহাস:

জনগণের প্রতি অটল অঙ্গীকার এবং দেশপ্রেম তাঁকে দল-মতনির্বিশেষে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এক অপরাজেয় নেত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

দেশ গঠনে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা তৃণমূলের তরুণদের শক্তিকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সকলকে সামনে এনে দিয়েছে ইয়াং বাংলা। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আজ শনিবার এ কথা বলেন...
১২ নভেম্বর ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে
২ ঘণ্টা আগে
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে