কামরুল হাসান

দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না।
টানেলের মুখে আলোর দেখা মেলে ২০০৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে। ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিকের হোস্টেল থেকে গ্রেপ্তার হন আবদুর রহমানের আপন ভাই, জেএমবির সামরিক প্রধান আতাউর রহমান সানি। সানিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পাওয়া যায় সেই গুরুত্বপূর্ণ ক্লু—জেএমবির মজলিশে শুরার সদস্য হাফেজ মাহমুদ জানেন আবদুর রহমান কোথায় আছেন। ব্যস, শুরু হয়ে যায় হাফেজ মাহমুদকে পাকড়াওয়ের অভিযান। টানা দুই মাস চেষ্টার পর র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধান লে. কর্নেল গুলজার উদ্দিনের পাতা ফাঁদে পা দেন হাফেজ মাহমুদ। তাঁকে ধরা হয় ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠাগার থেকে।
শুরু হয় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু হাফেজ অটল। শায়খ রহমানের অবস্থান কিছুতেই বলবেন না। একপর্যায়ে শায়খের ফোন নম্বর জানাতে রাজি হন। র্যাবের আইটি শাখার মেজর জোহা খোঁজ নেন, নম্বরটি সিলেটের এমসি কলেজ টাওয়ারের আওতায়। শুরু হয়ে গেল জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে পাকড়াওয়ের অভিযান। মঙ্গলবার, বেলা পড়তে না পড়তেই ১০-১২টি গাড়ির বহর পথের লোকজনকে দু-পাশে সরিয়ে দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটতে থাকে সিলেট হাইওয়ে ধরে। গাড়ি থেকে কর্নেল গুলজার আমাকে ফোন করেন। চেনা আওয়াজ : ‘ওস্তাদ, ব্যাগ রেডি করেন। বড় কিছু হবে।’ যেকোনো বড় খবরে এভাবেই তিনি আগাম ক্লু দিয়ে রাখতেন। তাঁর ফোন পেয়ে তৈরি হয়ে থাকি। নতুন অভিযান, নতুন খবরের প্রত্যাশা।
তার আগে বলে রাখি, এই ভয়ংকর জঙ্গি নেতাকে ধরার অভিযানটি ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। অভিযানের আগেও ছিল দীর্ঘ গোয়েন্দা তৎপরতা। গোয়েন্দাকাহিনির মতোই সেই অভিযানের পরতে পরতে ছিল চমকপ্রদ সব তথ্য। তবে সেই সব কাহিনি বলার আগে শায়খ আবদুর রহমানের ব্যক্তিগত তথ্যটা একটু ঝালিয়ে নিতে পারি।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের মূলনীতি ও ধর্মপ্রচার বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া শায়খ আবদুর রহমানের দিনকাল ভালোই চলছিল। ব্যবসাও করছিলেন বেশ। ১৯৯৮ সালে রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটির পরিচালক আকরামুজ্জামানের সঙ্গে আলাপের পর তিনি তথাকথিত জিহাদের স্বপ্ন দেখেন। এ জন্য পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা আবদুল করিম টুন্ডার সঙ্গেও বৈঠক করেন। এরপর ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে ছয় সঙ্গী নিয়ে গঠন করেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ—জেএমবি। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একযোগে সারা দেশের ৬৩ জেলায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি হামলায় তাদের হাতে ৭৩ জন নিহত আর আহত হয় প্রায় ৮০০ লোক। পরে দেশ-বিদেশের চাপে চারদলীয় জোট সরকার জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে।
এবার অভিযানে ফিরে আসি। সিলেটে ততক্ষণে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোমিন সদর দপ্তরের নির্দেশ পেয়ে এমসি কলেজ টাওয়ারের আওতায় ৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা ঘিরে ফেলছেন। লে. কর্নেল গুলজারের নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের দলটি সিলেটে পৌঁছায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৮টায়। মেজর আতিক, মেজর মানিক, মেজর জাভেদ, মেজর ওয়াসি, ক্যাপ্টেন তানভির ও ক্যাপ্টেন তোফাজ্জলের মতো একঝাঁক সাহসী অফিসার সেই দলে। সবার হাতে ভারী অস্ত্র, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি সবাই।
র্যাবের আড়াই শ সদস্য সিলেট নগরীর টিলাগড় ও শিবগঞ্জ এলাকার ৮ বর্গকিলোমিটারের প্রতিটি সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নেন। রাত ১০টা থেকে শুরু হয় বাড়ি বাড়ি চিরুনি তল্লাশি। কোনো কিছুই যেন তল্লাশি থেকে বাদ না পড়ে। আস্তে আস্তে তল্লাশির পরিধি কমিয়ে এনে টিলাগড়, শাপলাবাগ, কল্যাণপুর, কালশি ও বাজপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীভূত করা হয়।
সবার হাতে হাতে শায়খ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবিসংবলিত লিফলেট। রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরী থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে টুলটিকর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শাপলাবাগ আবাসিক এলাকায় আবদুস সালাম সড়কের ২২ নম্বর বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে প্রথম বাধা পায় র্যাব। এক ব্যক্তি ছুরি হাতে তেড়ে এসে বলে : ‘এগোলে খারাপ হবে।’ এরপর যা বোঝার বুঝে যায় সবাই। অভিযান তখন কেন্দ্রীভূত হয় এই বাড়ি ঘিরে। বাড়ির নাম ‘সূর্য্য দীঘল বাড়ী’।
দ্রুত বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। আশপাশের বাড়িতেও অবস্থান নেন অনেকে। নিয়ে আসা হয় ভারী অস্ত্র ও লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট। রাত পৌনে ১টার দিকে মাইকে সূর্য্য দীঘল বাড়ীর লোকজনকে বেরিয়ে আসতে বললেও কেউ সাড়া দেয় না। তাদের নীরবতায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। আশপাশের বাড়ির লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে বাড়ির মালিক লন্ডনপ্রবাসী আবদুল হকের ছোট ভাই মইনুল হককে বাইরে থেকে ডেকে আনা হয়। তিনি মুখে মাইক লাগিয়ে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া হৃদয়ের নাম ধরে ডেকে দরজা খুলতে বলেন। তাতেও কাজ হয় না। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুন নবীকে দিয়ে ডাকানো হয়; কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না।
রাত ২টার দিকে একবার বাড়ির পেছনে দরজা খোলার শব্দ হয়। র্যাব সদস্যরা সচকিত হয়ে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধও হয়ে যায়। রাত ২টা ১০ মিনিটে হঠাৎ করে বাড়ির ভেতর থেকে একজন বয়স্ক মানুষ ভারী গলায় দোয়া-দরুদ পড়তে শুরু করেন। কর্নেল গুলজার তখন ডাক দেন : ‘আবদুর রহমান বেরিয়ে আসুন।’ বাড়ির ভেতর থেকে ভারী গলার আওয়াজ : ‘ওই কাফের! তোর মুখে আমার নাম মানায় না, আমাকে মুজাহিদ বল।’
বুঝতে বাকি থাকে না, এটাই শায়খ আবদুর রহমানের কণ্ঠ। শেষ হয় প্রথম রাত। পরদিন বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার চেষ্টা। আবার রাত আসে। কথা বললেও আত্মসমর্পণে রাজি হন না শায়খ রহমান। ততক্ষণে ভোরের আলো ফুটে গেছে। সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বাড়ির ভেতরে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরপর চার-পাঁচটা বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত নিয়ে আসা হয় দালান ভাঙার যন্ত্রপাতি। সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙা হয় দক্ষিণের একটি জানালা। বৈদ্যুতিক কাটার এনে ছাদ ফুটো করা হয়। প্রথমে আয়না লাগিয়ে, পরে রশি দিয়ে ক্যামেরা নামিয়ে দেখা হয়—ভেতরে কী আছে। দেখা যায়, একটা বিছানা থেকে তার বেরিয়ে আছে। শুরু হয় হইচই—নিশ্চয়ই সারা বাড়িতে বোমা পাতা আছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা নিয়ে আসেন বড় বড় বড়শি। ফুটো দিয়ে নামিয়ে বিছানা টেনে তুলে দেখেন, সব ভুয়া যন্ত্রপাতিতে সাজানো।
দুপুরের দিকে একের পর এক কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় বাড়ির ভেতরে। সেই গ্যাসে টিকতে না পেরে বেরিয়ে আসেন শায়খের স্ত্রী নূরজাহান বেগম রূপা, ছেলে নাবিল (১৬), মাহমুদ (১৩), ফুয়াদ (১০) ও দেড় বছরের আহাম্মদ। সিলেটের তখনকার জেলা প্রশাসক এম ফয়সল আলম শায়খের স্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি আপনার স্বামীকে বেরিয়ে আসতে বলেন।’ রূপা বলেন, ‘আমার কথা তিনি শুনবেন না। আসলে উনি কারও কথা শোনেন না।’ জেলা প্রশাসক পীড়াপীড়ি করেন। এবার শায়খের স্ত্রী মুখে মাইক লাগিয়ে বলেন: ‘শুনছেন, ওনারা আপনাকে বের হতে বলছেন, আপনি বের হয়ে আসেন।’ স্ত্রীর কথায়ও কান দেন না শায়খ।
আবার রাত আসে। হঠাৎ শোরগোল পড়ে যায়। চারদিকে আতরের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। একজন র্যাব সদস্য সে খবর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। তিনি জানান তাঁর ঊর্ধ্বতনকে। সন্দেহ জাগে—শায়খ কি তবে আতর-গোলাপ মেখে আত্মঘাতী হলেন? আলোচনা শুরু হয়, অভিযান ব্যর্থ হবে? শুরু হয় গন্ধের উৎস খোঁজা। দেখা যায়, সিলেটের এক ফটোসাংবাদিকের কানে আতরমাখা তুলা গুঁজে রাখা। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন সবাই। ২০০৬ সালের ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক চূড়ান্ত হুমকির সুরে কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। এখনই বের না হলে অভিযান হবে। এরপর জানালায় এসে উঁকি দেন শায়খ রহমান। উপায় না দেখে হাত উঁচু করে বেরিয়ে আসেন।
শায়খের স্ত্রীকে জানানো হয়, আপনার স্বামী বের হয়ে এসেছেন। স্ত্রী অবাক চোখে তাকিয়ে বলেন : ‘উনি না শহীদ হতে চেয়েছিলেন! কই শহীদ হলেন না যে!’ আবদুর রহমান তাঁর জবানবন্দিতে সে কথার জবাব দেন। বলেছিলেন, তাঁর পরিকল্পনা ছিল একটি বোমা দিয়ে দুই সঙ্গীসহ আত্মঘাতী (ফেদায়ি) হবেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ছোড়া পানিতে সেই বোমা ভিজে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। শেষমেশ বিচারে ফাঁসিতেই প্রাণ দেন শায়খ আবদুর রহমান।
আরও পড়ুন:

দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না।
টানেলের মুখে আলোর দেখা মেলে ২০০৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে। ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিকের হোস্টেল থেকে গ্রেপ্তার হন আবদুর রহমানের আপন ভাই, জেএমবির সামরিক প্রধান আতাউর রহমান সানি। সানিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পাওয়া যায় সেই গুরুত্বপূর্ণ ক্লু—জেএমবির মজলিশে শুরার সদস্য হাফেজ মাহমুদ জানেন আবদুর রহমান কোথায় আছেন। ব্যস, শুরু হয়ে যায় হাফেজ মাহমুদকে পাকড়াওয়ের অভিযান। টানা দুই মাস চেষ্টার পর র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধান লে. কর্নেল গুলজার উদ্দিনের পাতা ফাঁদে পা দেন হাফেজ মাহমুদ। তাঁকে ধরা হয় ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠাগার থেকে।
শুরু হয় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু হাফেজ অটল। শায়খ রহমানের অবস্থান কিছুতেই বলবেন না। একপর্যায়ে শায়খের ফোন নম্বর জানাতে রাজি হন। র্যাবের আইটি শাখার মেজর জোহা খোঁজ নেন, নম্বরটি সিলেটের এমসি কলেজ টাওয়ারের আওতায়। শুরু হয়ে গেল জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে পাকড়াওয়ের অভিযান। মঙ্গলবার, বেলা পড়তে না পড়তেই ১০-১২টি গাড়ির বহর পথের লোকজনকে দু-পাশে সরিয়ে দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটতে থাকে সিলেট হাইওয়ে ধরে। গাড়ি থেকে কর্নেল গুলজার আমাকে ফোন করেন। চেনা আওয়াজ : ‘ওস্তাদ, ব্যাগ রেডি করেন। বড় কিছু হবে।’ যেকোনো বড় খবরে এভাবেই তিনি আগাম ক্লু দিয়ে রাখতেন। তাঁর ফোন পেয়ে তৈরি হয়ে থাকি। নতুন অভিযান, নতুন খবরের প্রত্যাশা।
তার আগে বলে রাখি, এই ভয়ংকর জঙ্গি নেতাকে ধরার অভিযানটি ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। অভিযানের আগেও ছিল দীর্ঘ গোয়েন্দা তৎপরতা। গোয়েন্দাকাহিনির মতোই সেই অভিযানের পরতে পরতে ছিল চমকপ্রদ সব তথ্য। তবে সেই সব কাহিনি বলার আগে শায়খ আবদুর রহমানের ব্যক্তিগত তথ্যটা একটু ঝালিয়ে নিতে পারি।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের মূলনীতি ও ধর্মপ্রচার বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া শায়খ আবদুর রহমানের দিনকাল ভালোই চলছিল। ব্যবসাও করছিলেন বেশ। ১৯৯৮ সালে রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটির পরিচালক আকরামুজ্জামানের সঙ্গে আলাপের পর তিনি তথাকথিত জিহাদের স্বপ্ন দেখেন। এ জন্য পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা আবদুল করিম টুন্ডার সঙ্গেও বৈঠক করেন। এরপর ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে ছয় সঙ্গী নিয়ে গঠন করেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ—জেএমবি। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একযোগে সারা দেশের ৬৩ জেলায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি হামলায় তাদের হাতে ৭৩ জন নিহত আর আহত হয় প্রায় ৮০০ লোক। পরে দেশ-বিদেশের চাপে চারদলীয় জোট সরকার জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে।
এবার অভিযানে ফিরে আসি। সিলেটে ততক্ষণে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোমিন সদর দপ্তরের নির্দেশ পেয়ে এমসি কলেজ টাওয়ারের আওতায় ৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা ঘিরে ফেলছেন। লে. কর্নেল গুলজারের নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের দলটি সিলেটে পৌঁছায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৮টায়। মেজর আতিক, মেজর মানিক, মেজর জাভেদ, মেজর ওয়াসি, ক্যাপ্টেন তানভির ও ক্যাপ্টেন তোফাজ্জলের মতো একঝাঁক সাহসী অফিসার সেই দলে। সবার হাতে ভারী অস্ত্র, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি সবাই।
র্যাবের আড়াই শ সদস্য সিলেট নগরীর টিলাগড় ও শিবগঞ্জ এলাকার ৮ বর্গকিলোমিটারের প্রতিটি সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নেন। রাত ১০টা থেকে শুরু হয় বাড়ি বাড়ি চিরুনি তল্লাশি। কোনো কিছুই যেন তল্লাশি থেকে বাদ না পড়ে। আস্তে আস্তে তল্লাশির পরিধি কমিয়ে এনে টিলাগড়, শাপলাবাগ, কল্যাণপুর, কালশি ও বাজপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীভূত করা হয়।
সবার হাতে হাতে শায়খ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবিসংবলিত লিফলেট। রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরী থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে টুলটিকর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শাপলাবাগ আবাসিক এলাকায় আবদুস সালাম সড়কের ২২ নম্বর বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে প্রথম বাধা পায় র্যাব। এক ব্যক্তি ছুরি হাতে তেড়ে এসে বলে : ‘এগোলে খারাপ হবে।’ এরপর যা বোঝার বুঝে যায় সবাই। অভিযান তখন কেন্দ্রীভূত হয় এই বাড়ি ঘিরে। বাড়ির নাম ‘সূর্য্য দীঘল বাড়ী’।
দ্রুত বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। আশপাশের বাড়িতেও অবস্থান নেন অনেকে। নিয়ে আসা হয় ভারী অস্ত্র ও লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট। রাত পৌনে ১টার দিকে মাইকে সূর্য্য দীঘল বাড়ীর লোকজনকে বেরিয়ে আসতে বললেও কেউ সাড়া দেয় না। তাদের নীরবতায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। আশপাশের বাড়ির লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে বাড়ির মালিক লন্ডনপ্রবাসী আবদুল হকের ছোট ভাই মইনুল হককে বাইরে থেকে ডেকে আনা হয়। তিনি মুখে মাইক লাগিয়ে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া হৃদয়ের নাম ধরে ডেকে দরজা খুলতে বলেন। তাতেও কাজ হয় না। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুন নবীকে দিয়ে ডাকানো হয়; কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না।
রাত ২টার দিকে একবার বাড়ির পেছনে দরজা খোলার শব্দ হয়। র্যাব সদস্যরা সচকিত হয়ে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধও হয়ে যায়। রাত ২টা ১০ মিনিটে হঠাৎ করে বাড়ির ভেতর থেকে একজন বয়স্ক মানুষ ভারী গলায় দোয়া-দরুদ পড়তে শুরু করেন। কর্নেল গুলজার তখন ডাক দেন : ‘আবদুর রহমান বেরিয়ে আসুন।’ বাড়ির ভেতর থেকে ভারী গলার আওয়াজ : ‘ওই কাফের! তোর মুখে আমার নাম মানায় না, আমাকে মুজাহিদ বল।’
বুঝতে বাকি থাকে না, এটাই শায়খ আবদুর রহমানের কণ্ঠ। শেষ হয় প্রথম রাত। পরদিন বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার চেষ্টা। আবার রাত আসে। কথা বললেও আত্মসমর্পণে রাজি হন না শায়খ রহমান। ততক্ষণে ভোরের আলো ফুটে গেছে। সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বাড়ির ভেতরে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরপর চার-পাঁচটা বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত নিয়ে আসা হয় দালান ভাঙার যন্ত্রপাতি। সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙা হয় দক্ষিণের একটি জানালা। বৈদ্যুতিক কাটার এনে ছাদ ফুটো করা হয়। প্রথমে আয়না লাগিয়ে, পরে রশি দিয়ে ক্যামেরা নামিয়ে দেখা হয়—ভেতরে কী আছে। দেখা যায়, একটা বিছানা থেকে তার বেরিয়ে আছে। শুরু হয় হইচই—নিশ্চয়ই সারা বাড়িতে বোমা পাতা আছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা নিয়ে আসেন বড় বড় বড়শি। ফুটো দিয়ে নামিয়ে বিছানা টেনে তুলে দেখেন, সব ভুয়া যন্ত্রপাতিতে সাজানো।
দুপুরের দিকে একের পর এক কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় বাড়ির ভেতরে। সেই গ্যাসে টিকতে না পেরে বেরিয়ে আসেন শায়খের স্ত্রী নূরজাহান বেগম রূপা, ছেলে নাবিল (১৬), মাহমুদ (১৩), ফুয়াদ (১০) ও দেড় বছরের আহাম্মদ। সিলেটের তখনকার জেলা প্রশাসক এম ফয়সল আলম শায়খের স্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি আপনার স্বামীকে বেরিয়ে আসতে বলেন।’ রূপা বলেন, ‘আমার কথা তিনি শুনবেন না। আসলে উনি কারও কথা শোনেন না।’ জেলা প্রশাসক পীড়াপীড়ি করেন। এবার শায়খের স্ত্রী মুখে মাইক লাগিয়ে বলেন: ‘শুনছেন, ওনারা আপনাকে বের হতে বলছেন, আপনি বের হয়ে আসেন।’ স্ত্রীর কথায়ও কান দেন না শায়খ।
আবার রাত আসে। হঠাৎ শোরগোল পড়ে যায়। চারদিকে আতরের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। একজন র্যাব সদস্য সে খবর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। তিনি জানান তাঁর ঊর্ধ্বতনকে। সন্দেহ জাগে—শায়খ কি তবে আতর-গোলাপ মেখে আত্মঘাতী হলেন? আলোচনা শুরু হয়, অভিযান ব্যর্থ হবে? শুরু হয় গন্ধের উৎস খোঁজা। দেখা যায়, সিলেটের এক ফটোসাংবাদিকের কানে আতরমাখা তুলা গুঁজে রাখা। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন সবাই। ২০০৬ সালের ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক চূড়ান্ত হুমকির সুরে কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। এখনই বের না হলে অভিযান হবে। এরপর জানালায় এসে উঁকি দেন শায়খ রহমান। উপায় না দেখে হাত উঁচু করে বেরিয়ে আসেন।
শায়খের স্ত্রীকে জানানো হয়, আপনার স্বামী বের হয়ে এসেছেন। স্ত্রী অবাক চোখে তাকিয়ে বলেন : ‘উনি না শহীদ হতে চেয়েছিলেন! কই শহীদ হলেন না যে!’ আবদুর রহমান তাঁর জবানবন্দিতে সে কথার জবাব দেন। বলেছিলেন, তাঁর পরিকল্পনা ছিল একটি বোমা দিয়ে দুই সঙ্গীসহ আত্মঘাতী (ফেদায়ি) হবেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ছোড়া পানিতে সেই বোমা ভিজে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। শেষমেশ বিচারে ফাঁসিতেই প্রাণ দেন শায়খ আবদুর রহমান।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না।
টানেলের মুখে আলোর দেখা মেলে ২০০৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে। ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিকের হোস্টেল থেকে গ্রেপ্তার হন আবদুর রহমানের আপন ভাই, জেএমবির সামরিক প্রধান আতাউর রহমান সানি। সানিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পাওয়া যায় সেই গুরুত্বপূর্ণ ক্লু—জেএমবির মজলিশে শুরার সদস্য হাফেজ মাহমুদ জানেন আবদুর রহমান কোথায় আছেন। ব্যস, শুরু হয়ে যায় হাফেজ মাহমুদকে পাকড়াওয়ের অভিযান। টানা দুই মাস চেষ্টার পর র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধান লে. কর্নেল গুলজার উদ্দিনের পাতা ফাঁদে পা দেন হাফেজ মাহমুদ। তাঁকে ধরা হয় ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠাগার থেকে।
শুরু হয় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু হাফেজ অটল। শায়খ রহমানের অবস্থান কিছুতেই বলবেন না। একপর্যায়ে শায়খের ফোন নম্বর জানাতে রাজি হন। র্যাবের আইটি শাখার মেজর জোহা খোঁজ নেন, নম্বরটি সিলেটের এমসি কলেজ টাওয়ারের আওতায়। শুরু হয়ে গেল জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে পাকড়াওয়ের অভিযান। মঙ্গলবার, বেলা পড়তে না পড়তেই ১০-১২টি গাড়ির বহর পথের লোকজনকে দু-পাশে সরিয়ে দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটতে থাকে সিলেট হাইওয়ে ধরে। গাড়ি থেকে কর্নেল গুলজার আমাকে ফোন করেন। চেনা আওয়াজ : ‘ওস্তাদ, ব্যাগ রেডি করেন। বড় কিছু হবে।’ যেকোনো বড় খবরে এভাবেই তিনি আগাম ক্লু দিয়ে রাখতেন। তাঁর ফোন পেয়ে তৈরি হয়ে থাকি। নতুন অভিযান, নতুন খবরের প্রত্যাশা।
তার আগে বলে রাখি, এই ভয়ংকর জঙ্গি নেতাকে ধরার অভিযানটি ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। অভিযানের আগেও ছিল দীর্ঘ গোয়েন্দা তৎপরতা। গোয়েন্দাকাহিনির মতোই সেই অভিযানের পরতে পরতে ছিল চমকপ্রদ সব তথ্য। তবে সেই সব কাহিনি বলার আগে শায়খ আবদুর রহমানের ব্যক্তিগত তথ্যটা একটু ঝালিয়ে নিতে পারি।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের মূলনীতি ও ধর্মপ্রচার বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া শায়খ আবদুর রহমানের দিনকাল ভালোই চলছিল। ব্যবসাও করছিলেন বেশ। ১৯৯৮ সালে রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটির পরিচালক আকরামুজ্জামানের সঙ্গে আলাপের পর তিনি তথাকথিত জিহাদের স্বপ্ন দেখেন। এ জন্য পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা আবদুল করিম টুন্ডার সঙ্গেও বৈঠক করেন। এরপর ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে ছয় সঙ্গী নিয়ে গঠন করেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ—জেএমবি। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একযোগে সারা দেশের ৬৩ জেলায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি হামলায় তাদের হাতে ৭৩ জন নিহত আর আহত হয় প্রায় ৮০০ লোক। পরে দেশ-বিদেশের চাপে চারদলীয় জোট সরকার জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে।
এবার অভিযানে ফিরে আসি। সিলেটে ততক্ষণে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোমিন সদর দপ্তরের নির্দেশ পেয়ে এমসি কলেজ টাওয়ারের আওতায় ৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা ঘিরে ফেলছেন। লে. কর্নেল গুলজারের নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের দলটি সিলেটে পৌঁছায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৮টায়। মেজর আতিক, মেজর মানিক, মেজর জাভেদ, মেজর ওয়াসি, ক্যাপ্টেন তানভির ও ক্যাপ্টেন তোফাজ্জলের মতো একঝাঁক সাহসী অফিসার সেই দলে। সবার হাতে ভারী অস্ত্র, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি সবাই।
র্যাবের আড়াই শ সদস্য সিলেট নগরীর টিলাগড় ও শিবগঞ্জ এলাকার ৮ বর্গকিলোমিটারের প্রতিটি সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নেন। রাত ১০টা থেকে শুরু হয় বাড়ি বাড়ি চিরুনি তল্লাশি। কোনো কিছুই যেন তল্লাশি থেকে বাদ না পড়ে। আস্তে আস্তে তল্লাশির পরিধি কমিয়ে এনে টিলাগড়, শাপলাবাগ, কল্যাণপুর, কালশি ও বাজপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীভূত করা হয়।
সবার হাতে হাতে শায়খ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবিসংবলিত লিফলেট। রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরী থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে টুলটিকর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শাপলাবাগ আবাসিক এলাকায় আবদুস সালাম সড়কের ২২ নম্বর বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে প্রথম বাধা পায় র্যাব। এক ব্যক্তি ছুরি হাতে তেড়ে এসে বলে : ‘এগোলে খারাপ হবে।’ এরপর যা বোঝার বুঝে যায় সবাই। অভিযান তখন কেন্দ্রীভূত হয় এই বাড়ি ঘিরে। বাড়ির নাম ‘সূর্য্য দীঘল বাড়ী’।
দ্রুত বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। আশপাশের বাড়িতেও অবস্থান নেন অনেকে। নিয়ে আসা হয় ভারী অস্ত্র ও লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট। রাত পৌনে ১টার দিকে মাইকে সূর্য্য দীঘল বাড়ীর লোকজনকে বেরিয়ে আসতে বললেও কেউ সাড়া দেয় না। তাদের নীরবতায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। আশপাশের বাড়ির লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে বাড়ির মালিক লন্ডনপ্রবাসী আবদুল হকের ছোট ভাই মইনুল হককে বাইরে থেকে ডেকে আনা হয়। তিনি মুখে মাইক লাগিয়ে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া হৃদয়ের নাম ধরে ডেকে দরজা খুলতে বলেন। তাতেও কাজ হয় না। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুন নবীকে দিয়ে ডাকানো হয়; কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না।
রাত ২টার দিকে একবার বাড়ির পেছনে দরজা খোলার শব্দ হয়। র্যাব সদস্যরা সচকিত হয়ে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধও হয়ে যায়। রাত ২টা ১০ মিনিটে হঠাৎ করে বাড়ির ভেতর থেকে একজন বয়স্ক মানুষ ভারী গলায় দোয়া-দরুদ পড়তে শুরু করেন। কর্নেল গুলজার তখন ডাক দেন : ‘আবদুর রহমান বেরিয়ে আসুন।’ বাড়ির ভেতর থেকে ভারী গলার আওয়াজ : ‘ওই কাফের! তোর মুখে আমার নাম মানায় না, আমাকে মুজাহিদ বল।’
বুঝতে বাকি থাকে না, এটাই শায়খ আবদুর রহমানের কণ্ঠ। শেষ হয় প্রথম রাত। পরদিন বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার চেষ্টা। আবার রাত আসে। কথা বললেও আত্মসমর্পণে রাজি হন না শায়খ রহমান। ততক্ষণে ভোরের আলো ফুটে গেছে। সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বাড়ির ভেতরে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরপর চার-পাঁচটা বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত নিয়ে আসা হয় দালান ভাঙার যন্ত্রপাতি। সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙা হয় দক্ষিণের একটি জানালা। বৈদ্যুতিক কাটার এনে ছাদ ফুটো করা হয়। প্রথমে আয়না লাগিয়ে, পরে রশি দিয়ে ক্যামেরা নামিয়ে দেখা হয়—ভেতরে কী আছে। দেখা যায়, একটা বিছানা থেকে তার বেরিয়ে আছে। শুরু হয় হইচই—নিশ্চয়ই সারা বাড়িতে বোমা পাতা আছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা নিয়ে আসেন বড় বড় বড়শি। ফুটো দিয়ে নামিয়ে বিছানা টেনে তুলে দেখেন, সব ভুয়া যন্ত্রপাতিতে সাজানো।
দুপুরের দিকে একের পর এক কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় বাড়ির ভেতরে। সেই গ্যাসে টিকতে না পেরে বেরিয়ে আসেন শায়খের স্ত্রী নূরজাহান বেগম রূপা, ছেলে নাবিল (১৬), মাহমুদ (১৩), ফুয়াদ (১০) ও দেড় বছরের আহাম্মদ। সিলেটের তখনকার জেলা প্রশাসক এম ফয়সল আলম শায়খের স্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি আপনার স্বামীকে বেরিয়ে আসতে বলেন।’ রূপা বলেন, ‘আমার কথা তিনি শুনবেন না। আসলে উনি কারও কথা শোনেন না।’ জেলা প্রশাসক পীড়াপীড়ি করেন। এবার শায়খের স্ত্রী মুখে মাইক লাগিয়ে বলেন: ‘শুনছেন, ওনারা আপনাকে বের হতে বলছেন, আপনি বের হয়ে আসেন।’ স্ত্রীর কথায়ও কান দেন না শায়খ।
আবার রাত আসে। হঠাৎ শোরগোল পড়ে যায়। চারদিকে আতরের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। একজন র্যাব সদস্য সে খবর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। তিনি জানান তাঁর ঊর্ধ্বতনকে। সন্দেহ জাগে—শায়খ কি তবে আতর-গোলাপ মেখে আত্মঘাতী হলেন? আলোচনা শুরু হয়, অভিযান ব্যর্থ হবে? শুরু হয় গন্ধের উৎস খোঁজা। দেখা যায়, সিলেটের এক ফটোসাংবাদিকের কানে আতরমাখা তুলা গুঁজে রাখা। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন সবাই। ২০০৬ সালের ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক চূড়ান্ত হুমকির সুরে কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। এখনই বের না হলে অভিযান হবে। এরপর জানালায় এসে উঁকি দেন শায়খ রহমান। উপায় না দেখে হাত উঁচু করে বেরিয়ে আসেন।
শায়খের স্ত্রীকে জানানো হয়, আপনার স্বামী বের হয়ে এসেছেন। স্ত্রী অবাক চোখে তাকিয়ে বলেন : ‘উনি না শহীদ হতে চেয়েছিলেন! কই শহীদ হলেন না যে!’ আবদুর রহমান তাঁর জবানবন্দিতে সে কথার জবাব দেন। বলেছিলেন, তাঁর পরিকল্পনা ছিল একটি বোমা দিয়ে দুই সঙ্গীসহ আত্মঘাতী (ফেদায়ি) হবেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ছোড়া পানিতে সেই বোমা ভিজে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। শেষমেশ বিচারে ফাঁসিতেই প্রাণ দেন শায়খ আবদুর রহমান।
আরও পড়ুন:

দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না।
টানেলের মুখে আলোর দেখা মেলে ২০০৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে। ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিকের হোস্টেল থেকে গ্রেপ্তার হন আবদুর রহমানের আপন ভাই, জেএমবির সামরিক প্রধান আতাউর রহমান সানি। সানিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পাওয়া যায় সেই গুরুত্বপূর্ণ ক্লু—জেএমবির মজলিশে শুরার সদস্য হাফেজ মাহমুদ জানেন আবদুর রহমান কোথায় আছেন। ব্যস, শুরু হয়ে যায় হাফেজ মাহমুদকে পাকড়াওয়ের অভিযান। টানা দুই মাস চেষ্টার পর র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধান লে. কর্নেল গুলজার উদ্দিনের পাতা ফাঁদে পা দেন হাফেজ মাহমুদ। তাঁকে ধরা হয় ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠাগার থেকে।
শুরু হয় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু হাফেজ অটল। শায়খ রহমানের অবস্থান কিছুতেই বলবেন না। একপর্যায়ে শায়খের ফোন নম্বর জানাতে রাজি হন। র্যাবের আইটি শাখার মেজর জোহা খোঁজ নেন, নম্বরটি সিলেটের এমসি কলেজ টাওয়ারের আওতায়। শুরু হয়ে গেল জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে পাকড়াওয়ের অভিযান। মঙ্গলবার, বেলা পড়তে না পড়তেই ১০-১২টি গাড়ির বহর পথের লোকজনকে দু-পাশে সরিয়ে দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটতে থাকে সিলেট হাইওয়ে ধরে। গাড়ি থেকে কর্নেল গুলজার আমাকে ফোন করেন। চেনা আওয়াজ : ‘ওস্তাদ, ব্যাগ রেডি করেন। বড় কিছু হবে।’ যেকোনো বড় খবরে এভাবেই তিনি আগাম ক্লু দিয়ে রাখতেন। তাঁর ফোন পেয়ে তৈরি হয়ে থাকি। নতুন অভিযান, নতুন খবরের প্রত্যাশা।
তার আগে বলে রাখি, এই ভয়ংকর জঙ্গি নেতাকে ধরার অভিযানটি ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। অভিযানের আগেও ছিল দীর্ঘ গোয়েন্দা তৎপরতা। গোয়েন্দাকাহিনির মতোই সেই অভিযানের পরতে পরতে ছিল চমকপ্রদ সব তথ্য। তবে সেই সব কাহিনি বলার আগে শায়খ আবদুর রহমানের ব্যক্তিগত তথ্যটা একটু ঝালিয়ে নিতে পারি।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের মূলনীতি ও ধর্মপ্রচার বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া শায়খ আবদুর রহমানের দিনকাল ভালোই চলছিল। ব্যবসাও করছিলেন বেশ। ১৯৯৮ সালে রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটির পরিচালক আকরামুজ্জামানের সঙ্গে আলাপের পর তিনি তথাকথিত জিহাদের স্বপ্ন দেখেন। এ জন্য পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা আবদুল করিম টুন্ডার সঙ্গেও বৈঠক করেন। এরপর ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে ছয় সঙ্গী নিয়ে গঠন করেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ—জেএমবি। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একযোগে সারা দেশের ৬৩ জেলায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি হামলায় তাদের হাতে ৭৩ জন নিহত আর আহত হয় প্রায় ৮০০ লোক। পরে দেশ-বিদেশের চাপে চারদলীয় জোট সরকার জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে।
এবার অভিযানে ফিরে আসি। সিলেটে ততক্ষণে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোমিন সদর দপ্তরের নির্দেশ পেয়ে এমসি কলেজ টাওয়ারের আওতায় ৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা ঘিরে ফেলছেন। লে. কর্নেল গুলজারের নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের দলটি সিলেটে পৌঁছায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৮টায়। মেজর আতিক, মেজর মানিক, মেজর জাভেদ, মেজর ওয়াসি, ক্যাপ্টেন তানভির ও ক্যাপ্টেন তোফাজ্জলের মতো একঝাঁক সাহসী অফিসার সেই দলে। সবার হাতে ভারী অস্ত্র, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি সবাই।
র্যাবের আড়াই শ সদস্য সিলেট নগরীর টিলাগড় ও শিবগঞ্জ এলাকার ৮ বর্গকিলোমিটারের প্রতিটি সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নেন। রাত ১০টা থেকে শুরু হয় বাড়ি বাড়ি চিরুনি তল্লাশি। কোনো কিছুই যেন তল্লাশি থেকে বাদ না পড়ে। আস্তে আস্তে তল্লাশির পরিধি কমিয়ে এনে টিলাগড়, শাপলাবাগ, কল্যাণপুর, কালশি ও বাজপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীভূত করা হয়।
সবার হাতে হাতে শায়খ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবিসংবলিত লিফলেট। রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরী থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে টুলটিকর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শাপলাবাগ আবাসিক এলাকায় আবদুস সালাম সড়কের ২২ নম্বর বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে প্রথম বাধা পায় র্যাব। এক ব্যক্তি ছুরি হাতে তেড়ে এসে বলে : ‘এগোলে খারাপ হবে।’ এরপর যা বোঝার বুঝে যায় সবাই। অভিযান তখন কেন্দ্রীভূত হয় এই বাড়ি ঘিরে। বাড়ির নাম ‘সূর্য্য দীঘল বাড়ী’।
দ্রুত বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। আশপাশের বাড়িতেও অবস্থান নেন অনেকে। নিয়ে আসা হয় ভারী অস্ত্র ও লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট। রাত পৌনে ১টার দিকে মাইকে সূর্য্য দীঘল বাড়ীর লোকজনকে বেরিয়ে আসতে বললেও কেউ সাড়া দেয় না। তাদের নীরবতায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। আশপাশের বাড়ির লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে বাড়ির মালিক লন্ডনপ্রবাসী আবদুল হকের ছোট ভাই মইনুল হককে বাইরে থেকে ডেকে আনা হয়। তিনি মুখে মাইক লাগিয়ে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া হৃদয়ের নাম ধরে ডেকে দরজা খুলতে বলেন। তাতেও কাজ হয় না। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুন নবীকে দিয়ে ডাকানো হয়; কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না।
রাত ২টার দিকে একবার বাড়ির পেছনে দরজা খোলার শব্দ হয়। র্যাব সদস্যরা সচকিত হয়ে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধও হয়ে যায়। রাত ২টা ১০ মিনিটে হঠাৎ করে বাড়ির ভেতর থেকে একজন বয়স্ক মানুষ ভারী গলায় দোয়া-দরুদ পড়তে শুরু করেন। কর্নেল গুলজার তখন ডাক দেন : ‘আবদুর রহমান বেরিয়ে আসুন।’ বাড়ির ভেতর থেকে ভারী গলার আওয়াজ : ‘ওই কাফের! তোর মুখে আমার নাম মানায় না, আমাকে মুজাহিদ বল।’
বুঝতে বাকি থাকে না, এটাই শায়খ আবদুর রহমানের কণ্ঠ। শেষ হয় প্রথম রাত। পরদিন বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার চেষ্টা। আবার রাত আসে। কথা বললেও আত্মসমর্পণে রাজি হন না শায়খ রহমান। ততক্ষণে ভোরের আলো ফুটে গেছে। সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বাড়ির ভেতরে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরপর চার-পাঁচটা বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত নিয়ে আসা হয় দালান ভাঙার যন্ত্রপাতি। সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙা হয় দক্ষিণের একটি জানালা। বৈদ্যুতিক কাটার এনে ছাদ ফুটো করা হয়। প্রথমে আয়না লাগিয়ে, পরে রশি দিয়ে ক্যামেরা নামিয়ে দেখা হয়—ভেতরে কী আছে। দেখা যায়, একটা বিছানা থেকে তার বেরিয়ে আছে। শুরু হয় হইচই—নিশ্চয়ই সারা বাড়িতে বোমা পাতা আছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা নিয়ে আসেন বড় বড় বড়শি। ফুটো দিয়ে নামিয়ে বিছানা টেনে তুলে দেখেন, সব ভুয়া যন্ত্রপাতিতে সাজানো।
দুপুরের দিকে একের পর এক কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় বাড়ির ভেতরে। সেই গ্যাসে টিকতে না পেরে বেরিয়ে আসেন শায়খের স্ত্রী নূরজাহান বেগম রূপা, ছেলে নাবিল (১৬), মাহমুদ (১৩), ফুয়াদ (১০) ও দেড় বছরের আহাম্মদ। সিলেটের তখনকার জেলা প্রশাসক এম ফয়সল আলম শায়খের স্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি আপনার স্বামীকে বেরিয়ে আসতে বলেন।’ রূপা বলেন, ‘আমার কথা তিনি শুনবেন না। আসলে উনি কারও কথা শোনেন না।’ জেলা প্রশাসক পীড়াপীড়ি করেন। এবার শায়খের স্ত্রী মুখে মাইক লাগিয়ে বলেন: ‘শুনছেন, ওনারা আপনাকে বের হতে বলছেন, আপনি বের হয়ে আসেন।’ স্ত্রীর কথায়ও কান দেন না শায়খ।
আবার রাত আসে। হঠাৎ শোরগোল পড়ে যায়। চারদিকে আতরের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। একজন র্যাব সদস্য সে খবর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। তিনি জানান তাঁর ঊর্ধ্বতনকে। সন্দেহ জাগে—শায়খ কি তবে আতর-গোলাপ মেখে আত্মঘাতী হলেন? আলোচনা শুরু হয়, অভিযান ব্যর্থ হবে? শুরু হয় গন্ধের উৎস খোঁজা। দেখা যায়, সিলেটের এক ফটোসাংবাদিকের কানে আতরমাখা তুলা গুঁজে রাখা। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন সবাই। ২০০৬ সালের ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক চূড়ান্ত হুমকির সুরে কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। এখনই বের না হলে অভিযান হবে। এরপর জানালায় এসে উঁকি দেন শায়খ রহমান। উপায় না দেখে হাত উঁচু করে বেরিয়ে আসেন।
শায়খের স্ত্রীকে জানানো হয়, আপনার স্বামী বের হয়ে এসেছেন। স্ত্রী অবাক চোখে তাকিয়ে বলেন : ‘উনি না শহীদ হতে চেয়েছিলেন! কই শহীদ হলেন না যে!’ আবদুর রহমান তাঁর জবানবন্দিতে সে কথার জবাব দেন। বলেছিলেন, তাঁর পরিকল্পনা ছিল একটি বোমা দিয়ে দুই সঙ্গীসহ আত্মঘাতী (ফেদায়ি) হবেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ছোড়া পানিতে সেই বোমা ভিজে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। শেষমেশ বিচারে ফাঁসিতেই প্রাণ দেন শায়খ আবদুর রহমান।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৫ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবিপ্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না
২৮ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবিপ্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না
২৮ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবিপ্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না
২৮ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৫ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবিপ্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না
২৮ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৫ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৮ দিন আগে