শুল্ক বাড়ার প্রভাব
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবেই বাজারে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মানের ফুজি আপেল গত বৃহস্পতিবার প্রতি কার্টন (১৯-২০ কেজি) দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া যে আঙুর প্রতি কার্টন (৯ কেজি) দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এখন তা ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন (৮-৯ কেজি) ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কার্টন (১৪-১৫ কেজি) ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।
ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এত দিন যাঁরা ফল খেতেন, তাঁদের সামর্থ্যে টান পড়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফল কেনা বন্ধ করেছেন, অনেকে পরিমাণে কম কিনছেন। এতে ফলের বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের বাজারে যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে মে মাসে আমদানি করা ফলকে বিলাস পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও করের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসায় সরকার। এবার সেই শুল্ক আরেক দফা বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে আমদানি করা ফল বন্দর থেকে খালাস করতে আগের তুলনায় কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে দামও বাড়াতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ার পচনশীল পণ্য ফলের মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ার ভয়ে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী রমজান মাসে দেশে চাহিদার বিপরীতে ফলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে এনবিআরের কাছে তাঁদের দাবি ছিল যাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর—সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হোক। রমজানে যেহেতু দেশীয় ফলের কোনো মৌসুম থাকবে না, তাই শুল্ক ছাড় দিলে আমদানি করা ফল রমজানের চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু সরকার উল্টো শুল্ক আরও বাড়িয়েছে।
নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় শুল্ক বেড়েছে ১৬ টাকা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তা ২০ টাকার বেশি হয়। এ ছাড়া আঙুর ও আনারে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা মাসখানেক আগে শুল্ক কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। যাতে রমজানে ফলের দামটা কম থাকে। কিন্তু সরকার উল্টো দাম আরও বাড়াল। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক আমদানিকারকই লোকসানে পড়েছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে ফল আমদানিতে সাহস পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব রমজানে অবশ্যই পড়বে।
খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি ফলকে ২০১২ সালে বিলাস পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবছর বাজেটে আমদানি ফলের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত আমদানি করা সব ধরনের ফলে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট ছিল।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের মধ্যে গত বছরের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল এনবিআর। তাতে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে শুল্ক-কর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দুই বছরের মধ্যে আবারও শুল্ক ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানো হলো।
আমদানিতে ব্যয় বাড়ার প্রভাব ইতিমধ্যে খুচরায়ও পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল (ফুজি) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, যা চার-পাঁচ দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। ভারতীয় কমলা বিক্রি হয়েছে ২৮০–২৯০ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২৬০–২৭০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৬০ টাকা কেজি। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা ছিল ৩২০ টাকা কেজি। কালো আঙুর ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি। সাদা আঙুর ৪৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এবং লাল আঙুর ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি।
ফল বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমার জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে যায়। মানুষ প্রতিদিনের খাবার খেয়ে ও অন্যান্য খরচ দিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকে, তা দিয়ে ফল কিনে খায়। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এমনিতেই কমে গেছে, আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা মাহবুবা আলম বলেন, সারা বছরই এখন ডেঙ্গুসহ নানা রোগ-বালাই লেগে রয়েছে, যার জন্য ফল একধরনের পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। দাম বাড়ার পর অনেকেই ফলের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আগামী রমজানে অনেক মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হবে। কারণ তখন দেশি ফলের কোনো মৌসুম নেই। এতে অনেক রোজাদার ভিটামিনের ঘাটতিতে পড়বেন।
বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনো, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রামবুটান, কিউই ইত্যাদি।
এনবিআর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি ১০ হাজার টন কমেছে। গত অর্থবছরে ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। এখন আমদানি করা হয় ২২টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হলেও সিংহভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। ফল আমদানির তৃতীয় উৎস দেশ আফ্রিকা। এ ছাড়া মিসর, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ফল।
মৌলভীবাজারের শুকনো ফল আমদানিকারক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানের খুব কাছে এসে যখন সব দেশ বাজারে চাহিদার পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চায়, সেখানে আমাদের দেশের সরকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়তি বেতনের টাকা জোগাড় করতেই সরকার মূলত এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবেই বাজারে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মানের ফুজি আপেল গত বৃহস্পতিবার প্রতি কার্টন (১৯-২০ কেজি) দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া যে আঙুর প্রতি কার্টন (৯ কেজি) দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এখন তা ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন (৮-৯ কেজি) ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কার্টন (১৪-১৫ কেজি) ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।
ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এত দিন যাঁরা ফল খেতেন, তাঁদের সামর্থ্যে টান পড়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফল কেনা বন্ধ করেছেন, অনেকে পরিমাণে কম কিনছেন। এতে ফলের বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের বাজারে যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে মে মাসে আমদানি করা ফলকে বিলাস পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও করের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসায় সরকার। এবার সেই শুল্ক আরেক দফা বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে আমদানি করা ফল বন্দর থেকে খালাস করতে আগের তুলনায় কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে দামও বাড়াতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ার পচনশীল পণ্য ফলের মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ার ভয়ে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী রমজান মাসে দেশে চাহিদার বিপরীতে ফলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে এনবিআরের কাছে তাঁদের দাবি ছিল যাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর—সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হোক। রমজানে যেহেতু দেশীয় ফলের কোনো মৌসুম থাকবে না, তাই শুল্ক ছাড় দিলে আমদানি করা ফল রমজানের চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু সরকার উল্টো শুল্ক আরও বাড়িয়েছে।
নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় শুল্ক বেড়েছে ১৬ টাকা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তা ২০ টাকার বেশি হয়। এ ছাড়া আঙুর ও আনারে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা মাসখানেক আগে শুল্ক কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। যাতে রমজানে ফলের দামটা কম থাকে। কিন্তু সরকার উল্টো দাম আরও বাড়াল। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক আমদানিকারকই লোকসানে পড়েছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে ফল আমদানিতে সাহস পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব রমজানে অবশ্যই পড়বে।
খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি ফলকে ২০১২ সালে বিলাস পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবছর বাজেটে আমদানি ফলের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত আমদানি করা সব ধরনের ফলে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট ছিল।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের মধ্যে গত বছরের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল এনবিআর। তাতে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে শুল্ক-কর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দুই বছরের মধ্যে আবারও শুল্ক ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানো হলো।
আমদানিতে ব্যয় বাড়ার প্রভাব ইতিমধ্যে খুচরায়ও পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল (ফুজি) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, যা চার-পাঁচ দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। ভারতীয় কমলা বিক্রি হয়েছে ২৮০–২৯০ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২৬০–২৭০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৬০ টাকা কেজি। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা ছিল ৩২০ টাকা কেজি। কালো আঙুর ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি। সাদা আঙুর ৪৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এবং লাল আঙুর ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি।
ফল বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমার জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে যায়। মানুষ প্রতিদিনের খাবার খেয়ে ও অন্যান্য খরচ দিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকে, তা দিয়ে ফল কিনে খায়। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এমনিতেই কমে গেছে, আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা মাহবুবা আলম বলেন, সারা বছরই এখন ডেঙ্গুসহ নানা রোগ-বালাই লেগে রয়েছে, যার জন্য ফল একধরনের পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। দাম বাড়ার পর অনেকেই ফলের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আগামী রমজানে অনেক মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হবে। কারণ তখন দেশি ফলের কোনো মৌসুম নেই। এতে অনেক রোজাদার ভিটামিনের ঘাটতিতে পড়বেন।
বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনো, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রামবুটান, কিউই ইত্যাদি।
এনবিআর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি ১০ হাজার টন কমেছে। গত অর্থবছরে ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। এখন আমদানি করা হয় ২২টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হলেও সিংহভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। ফল আমদানির তৃতীয় উৎস দেশ আফ্রিকা। এ ছাড়া মিসর, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ফল।
মৌলভীবাজারের শুকনো ফল আমদানিকারক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানের খুব কাছে এসে যখন সব দেশ বাজারে চাহিদার পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চায়, সেখানে আমাদের দেশের সরকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়তি বেতনের টাকা জোগাড় করতেই সরকার মূলত এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।
শুল্ক বাড়ার প্রভাব
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবেই বাজারে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মানের ফুজি আপেল গত বৃহস্পতিবার প্রতি কার্টন (১৯-২০ কেজি) দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া যে আঙুর প্রতি কার্টন (৯ কেজি) দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এখন তা ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন (৮-৯ কেজি) ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কার্টন (১৪-১৫ কেজি) ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।
ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এত দিন যাঁরা ফল খেতেন, তাঁদের সামর্থ্যে টান পড়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফল কেনা বন্ধ করেছেন, অনেকে পরিমাণে কম কিনছেন। এতে ফলের বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের বাজারে যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে মে মাসে আমদানি করা ফলকে বিলাস পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও করের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসায় সরকার। এবার সেই শুল্ক আরেক দফা বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে আমদানি করা ফল বন্দর থেকে খালাস করতে আগের তুলনায় কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে দামও বাড়াতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ার পচনশীল পণ্য ফলের মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ার ভয়ে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী রমজান মাসে দেশে চাহিদার বিপরীতে ফলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে এনবিআরের কাছে তাঁদের দাবি ছিল যাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর—সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হোক। রমজানে যেহেতু দেশীয় ফলের কোনো মৌসুম থাকবে না, তাই শুল্ক ছাড় দিলে আমদানি করা ফল রমজানের চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু সরকার উল্টো শুল্ক আরও বাড়িয়েছে।
নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় শুল্ক বেড়েছে ১৬ টাকা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তা ২০ টাকার বেশি হয়। এ ছাড়া আঙুর ও আনারে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা মাসখানেক আগে শুল্ক কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। যাতে রমজানে ফলের দামটা কম থাকে। কিন্তু সরকার উল্টো দাম আরও বাড়াল। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক আমদানিকারকই লোকসানে পড়েছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে ফল আমদানিতে সাহস পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব রমজানে অবশ্যই পড়বে।
খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি ফলকে ২০১২ সালে বিলাস পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবছর বাজেটে আমদানি ফলের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত আমদানি করা সব ধরনের ফলে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট ছিল।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের মধ্যে গত বছরের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল এনবিআর। তাতে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে শুল্ক-কর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দুই বছরের মধ্যে আবারও শুল্ক ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানো হলো।
আমদানিতে ব্যয় বাড়ার প্রভাব ইতিমধ্যে খুচরায়ও পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল (ফুজি) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, যা চার-পাঁচ দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। ভারতীয় কমলা বিক্রি হয়েছে ২৮০–২৯০ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২৬০–২৭০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৬০ টাকা কেজি। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা ছিল ৩২০ টাকা কেজি। কালো আঙুর ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি। সাদা আঙুর ৪৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এবং লাল আঙুর ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি।
ফল বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমার জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে যায়। মানুষ প্রতিদিনের খাবার খেয়ে ও অন্যান্য খরচ দিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকে, তা দিয়ে ফল কিনে খায়। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এমনিতেই কমে গেছে, আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা মাহবুবা আলম বলেন, সারা বছরই এখন ডেঙ্গুসহ নানা রোগ-বালাই লেগে রয়েছে, যার জন্য ফল একধরনের পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। দাম বাড়ার পর অনেকেই ফলের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আগামী রমজানে অনেক মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হবে। কারণ তখন দেশি ফলের কোনো মৌসুম নেই। এতে অনেক রোজাদার ভিটামিনের ঘাটতিতে পড়বেন।
বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনো, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রামবুটান, কিউই ইত্যাদি।
এনবিআর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি ১০ হাজার টন কমেছে। গত অর্থবছরে ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। এখন আমদানি করা হয় ২২টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হলেও সিংহভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। ফল আমদানির তৃতীয় উৎস দেশ আফ্রিকা। এ ছাড়া মিসর, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ফল।
মৌলভীবাজারের শুকনো ফল আমদানিকারক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানের খুব কাছে এসে যখন সব দেশ বাজারে চাহিদার পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চায়, সেখানে আমাদের দেশের সরকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়তি বেতনের টাকা জোগাড় করতেই সরকার মূলত এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবেই বাজারে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মানের ফুজি আপেল গত বৃহস্পতিবার প্রতি কার্টন (১৯-২০ কেজি) দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া যে আঙুর প্রতি কার্টন (৯ কেজি) দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এখন তা ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন (৮-৯ কেজি) ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কার্টন (১৪-১৫ কেজি) ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।
ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এত দিন যাঁরা ফল খেতেন, তাঁদের সামর্থ্যে টান পড়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফল কেনা বন্ধ করেছেন, অনেকে পরিমাণে কম কিনছেন। এতে ফলের বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের বাজারে যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে মে মাসে আমদানি করা ফলকে বিলাস পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও করের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসায় সরকার। এবার সেই শুল্ক আরেক দফা বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে আমদানি করা ফল বন্দর থেকে খালাস করতে আগের তুলনায় কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে দামও বাড়াতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ার পচনশীল পণ্য ফলের মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ার ভয়ে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী রমজান মাসে দেশে চাহিদার বিপরীতে ফলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে এনবিআরের কাছে তাঁদের দাবি ছিল যাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর—সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হোক। রমজানে যেহেতু দেশীয় ফলের কোনো মৌসুম থাকবে না, তাই শুল্ক ছাড় দিলে আমদানি করা ফল রমজানের চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু সরকার উল্টো শুল্ক আরও বাড়িয়েছে।
নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় শুল্ক বেড়েছে ১৬ টাকা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তা ২০ টাকার বেশি হয়। এ ছাড়া আঙুর ও আনারে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা মাসখানেক আগে শুল্ক কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। যাতে রমজানে ফলের দামটা কম থাকে। কিন্তু সরকার উল্টো দাম আরও বাড়াল। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক আমদানিকারকই লোকসানে পড়েছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে ফল আমদানিতে সাহস পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব রমজানে অবশ্যই পড়বে।
খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি ফলকে ২০১২ সালে বিলাস পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবছর বাজেটে আমদানি ফলের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত আমদানি করা সব ধরনের ফলে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট ছিল।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের মধ্যে গত বছরের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল এনবিআর। তাতে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে শুল্ক-কর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দুই বছরের মধ্যে আবারও শুল্ক ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানো হলো।
আমদানিতে ব্যয় বাড়ার প্রভাব ইতিমধ্যে খুচরায়ও পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল (ফুজি) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, যা চার-পাঁচ দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। ভারতীয় কমলা বিক্রি হয়েছে ২৮০–২৯০ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২৬০–২৭০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৬০ টাকা কেজি। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা ছিল ৩২০ টাকা কেজি। কালো আঙুর ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি। সাদা আঙুর ৪৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এবং লাল আঙুর ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি।
ফল বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমার জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে যায়। মানুষ প্রতিদিনের খাবার খেয়ে ও অন্যান্য খরচ দিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকে, তা দিয়ে ফল কিনে খায়। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এমনিতেই কমে গেছে, আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা মাহবুবা আলম বলেন, সারা বছরই এখন ডেঙ্গুসহ নানা রোগ-বালাই লেগে রয়েছে, যার জন্য ফল একধরনের পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। দাম বাড়ার পর অনেকেই ফলের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আগামী রমজানে অনেক মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হবে। কারণ তখন দেশি ফলের কোনো মৌসুম নেই। এতে অনেক রোজাদার ভিটামিনের ঘাটতিতে পড়বেন।
বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনো, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রামবুটান, কিউই ইত্যাদি।
এনবিআর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি ১০ হাজার টন কমেছে। গত অর্থবছরে ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। এখন আমদানি করা হয় ২২টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হলেও সিংহভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। ফল আমদানির তৃতীয় উৎস দেশ আফ্রিকা। এ ছাড়া মিসর, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ফল।
মৌলভীবাজারের শুকনো ফল আমদানিকারক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানের খুব কাছে এসে যখন সব দেশ বাজারে চাহিদার পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চায়, সেখানে আমাদের দেশের সরকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়তি বেতনের টাকা জোগাড় করতেই সরকার মূলত এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৪ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৪ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৪ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে