
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নতুন ধারার সংবাদমাধ্যম জিটিওর সাংবাদিক মেহদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ করেছে জিটিও। নিচে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশের অনুবাদ তুলে ধরা হলো:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেহদি হাসান : আপনার এবং আমার শেষবার কথা হওয়ার পর অনেক কিছু ঘটে গেছে। আমার মনে হয় আমরা শেষ কথা বলেছিলাম ২০১৭ সালে। তখন আপনি একজন সাধারণ নাগরিক ছিলেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ, কিন্তু কোনো দেশ পরিচালনা করছিলেন না। এক বছরের কিছু আগে, বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। দুই দশক ধরে তিনি আপনার দেশে কার্যত একজন স্বৈরশাসক ছিলেন এবং একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। অনেকে তাকে বিদায় নিতে দেখে খুশি হয়েছিলেন। তার সরকারের পতনে আপনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল? সেই দিন, সেই রাতের আপনার স্মৃতি কী? সেই রাতে আপনার কেমন অনুভূতি হয়েছিল? ভয়, আশা, নাকি বিস্ময়?
ড. ইউনূস: উত্তেজনা। উত্তেজনা। উত্তেজনা, হ্যাঁ অবশ্যই। অবশেষে এটা ঘটল। এটা দারুণ খবর ছিল!
মেহদি হাসান : আপনি কি ভেবেছিলেন এটা ঘটবে?
ড. ইউনূস: না, এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। কিছু বিক্ষোভ চলছিল, যা বাংলাদেশে প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু এমন কিছু হবে, যা দেশটিকে বদলে দেবে—তা ভাবিনি। দেশের পরিস্থিতি তখন খুবই খারাপ ছিল। তখন তিনি চলে যাওয়ার আগে কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত আমি জানতাম না, কিন্তু তিনি চলে গেছেন—এই চূড়ান্ত খবরটি ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।
মেহদি হাসান : গত এক বছরে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? আপনারা সম্প্রতি বিপ্লবের এক বছর পূর্ণ করলেন। এখন দেশের মেজাজ কেমন? এখনো কি আশাবাদ, উত্তেজনা, আশা জিইয়ে রাখা, নাকি পরিবর্তনের ধীর গতিতে হতাশা রয়েছে?
ড. ইউনূস: সবই, সবকিছুর মিশ্রণ। কোনো কিছু ঘটছে বলে উত্তেজনা আছে, আবার হতাশা তো আছেই। হতাশা এই কারণে যে মানুষ ফল নিয়ে অভিযোগ করতে পছন্দ করে। এটা সাধারণ ব্যাপার। তারা আরও বেশি চায়। প্রত্যাশার স্তর এত বেশি যে তারা সবকিছু এখনই চায়, কাল নয়। সুতরাং, যেহেতু এটি আজ ঘটছে না, তাই আপনি ভালো না—এই ধরনের ধারণা। তবে একটা ভালো ইঙ্গিত রয়েছে। এটি কোনো নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে না। এটি কেবল উচ্চ প্রত্যাশার ফল।
মেহদি হাসান : হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর, ছাত্র বিক্ষোভকারীরা আপনাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনার জন্য বেছে নিয়েছিল। আপনি কি এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছিলেন? আপনার কী মনে হয় তারা কেন আপনাকে বেছে নিয়েছিল—একজন অ-রাজনীতিক, একজন অর্থনীতিবিদ, এবং সম্মানের সঙ্গে বলছি, একজন ৮০-এর কোঠার মানুষকে কেন তারা এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নিল?
ড. ইউনূস: আমি বিস্মিত হয়েছিলাম, কারণ আমি তাদের চিনি না। আমার কখনো তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আমার কখনো তাদের সঙ্গে কোনো কথোপকথন হয়নি। ওহ, দারুণ! এই বার্তাটি প্রথমে আমার প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের মাধ্যমে আসে যে ছাত্ররা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তারা চায় আপনি দায়িত্ব নিন। আমি বলেছিলাম, তাদের উপেক্ষা করো। এই আলোচনায় জড়িও না। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম যে এটা হবে না। পরের দিন, তারা নিজেরাই সরাসরি আমার কাছে আসার চেষ্টা করে, কারণ আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে কাজ হচ্ছিল না। তাই তারা আমাকে ফোন করে, ব্যাখ্যা করে। আমি বলেছিলাম, ‘না, অন্য কাউকে খুঁজে নাও। আমি জড়াতে চাই না।’ এই আলোচনা, কথোপকথন—তিন দিন ধরে চলল। আমি দূরে থাকার চেষ্টা করছিলাম। আর তারা বারবার অনুরোধ করছিল।
মেহদি হাসান : তাহলে শেষ পর্যন্ত কী কারণে আপনি রাজি হলেন?
ড. ইউনূস: অবশেষে, তারা পরিস্থিতি বর্ণনা করল। দেখুন, ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, নিজেদের উৎসর্গ করেছে, শিশুরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এবং এত কিছু ঘটেছে, আর তারা চাইছে আপনি আসুন। এসব উপেক্ষা করলে দেশের কী হবে? তারা খুব আবেগপ্রবণ ছিল। তারা আমাকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিল। অবশেষে আমি বললাম, ঠিক আছে, তোমরা যদি এত বড় ত্যাগ স্বীকার করে থাকো, তাহলে আমি আমার মন পরিবর্তন করব। আমি দেখব তোমাদের জন্য কী করতে পারি।
মেহদি হাসান : আপনি এই আত্মত্যাগ এবং রক্তপাতের কথা উল্লেখ করলেন। ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ জানায়, গত গ্রীষ্মে ছাত্র বিক্ষোভের ওপর হাসিনার দমন-পীড়নের সময় আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হন। বাংলাদেশ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে। আর আপনি আমার চেয়ে ভালো জানেন, তিনি এখন ভারতে পালিয়ে আছেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুরক্ষায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে জবাবদিহির মুখোমুখি করার জন্য আপনি বারবার অনুরোধ করেছেন। মোদী আপনার এই আহ্বান উপেক্ষা করায় আপনার প্রতিক্রিয়া কী? আপনি কি মনে করেন ভারত কখনো হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে?
ড. ইউনূস: যদি তাদের নিজস্ব ইচ্ছায় ছেড়ে দেওয়া হয়, অর্থাৎ তারা যদি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে সম্ভবত তারা তাকে নিজেদের কাছেই রাখবে। যদি কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকে যা তারা এড়াতে পারবে না, তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।
মেহদি হাসান : তাকে নিজেদের কাছে রাখার পেছনে ভারতের স্বার্থ কী?
ড. ইউনূস: তারা তাকে সব সময় সমর্থন করে এসেছে। তারা এখনো আশা করছে, সম্ভবত যারা তাকে সমর্থন করে, তারা আশা করছে যে তিনি পূর্ণ গৌরব নিয়ে বিজয়ী নেতা হিসেবে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।
মেহদি হাসান : নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করছেন। এটা কি আপনাকে চিন্তিত করে যে ভারত তাকে ফিরিয়ে এনে আবার ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করবে?
ড. ইউনূস: আমি ঠিক সেই শব্দগুলো ব্যবহার করব না, তবে এটা সম্ভব যে কিছু বহিঃশক্তি তাঁকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে সাহায্য করবে। আমরা সব সময় এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ—
মেহদি হাসান: আপনি কি মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন?
ড. ইউনূস: আমি মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি। খুব খোলাখুলিভাবে।
মেহদি হাসান: বিচারের মুখোমুখি করার জন্য তাঁকে ফেরত পাঠাতে বলায় তিনি কী বললেন?
ড. ইউনূস: দুটি বিষয়। প্রথমত, তাদের বলেছি, আপনারা তাঁকে রাখতে চান। আমি আপনাদের বলতে পারি না আপনারা তার সঙ্গে কী করবেন, তবে নিশ্চিত করুন তিনি যেন আমাদের নিয়ে কথা না বলেন। তিনি যেন বারবার বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে কথা না বলেন।
মেহদি হাসান: দুঃখিত, মোদী আপনাকে এটা বলেছেন?
ড. ইউনূস: আমি মোদীকে এই বিষয়ে বলেছিলাম যে দয়া করে নিশ্চিত করুন...
মেহদি হাসান: তিনি কী বললেন?
ড. ইউনূস: তিনি বললেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
মেহদি হাসান: হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে, আপনার সরকার তাঁর দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে, যার ফলে কার্যত তাদের পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা তৈরি হয়েছে। আপনার সহকর্মী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেন, যাকে আপনি খুব ভালোভাবে চেনেন, তিনি লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এটি কেবল পূর্ববর্তী সরকারের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে, যারা ক্ষমতায় এসে বিরোধীদের নিষিদ্ধ করেছিল। আপনি শুধু সেই চক্রের পুনরাবৃত্তি করছেন। অমর্ত্য সেন এবং অন্যদের এই সমালোচনার জবাবে আপনার কী বলার আছে?
ড. ইউনূস: এটি ভুল সমালোচনা, কারণ আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি।
মেহদি হাসান: মানে, আপনারা কি তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছেন?
ড. ইউনূস : না, নিবন্ধন নয়। কেবল তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
মেহদি হাসান : এর মানে কী?
ড. ইউনূস : এর মানে হলো তারা কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে পারবে না।
মেহদি হাসান : তাহলে আপনারা তো কার্যত...মানে, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
ড. ইউনূস : না, দলটি এখনো আছে।
মেহদি হাসান : তারা কি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে?
ড. ইউনূস : এখন নয়, কারণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ।
মেহদি হাসান : ঠিক আছে, তাহলে (আগের সরকারের) পুনরাবৃত্তি নিয়ে যে সতর্ক করা হয়েছিল, তা থেকে এটি কীভাবে ভিন্ন?
ড. ইউনূস: তারা একটি দল হিসেবে বৈধ রয়েছে। তবে আপাতত তাদের কার্যক্রম স্থগিত। আমি বলতে চাচ্ছি, যেকোনো সময় এটি উন্মুক্ত করা যেতে পারে।
মেহদি হাসান : আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনারা স্থগিত কার্যক্রম আবার শুরু করতে দিতে পারেন?
ড. ইউনূস : স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া যেতে পারে, এমন সম্ভাবনা আছে।
মেহদি হাসান: আপনারা দলটি নিষিদ্ধ করেননি। আপনারা শুধু বলেছেন যে আপাতত তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
ড. ইউনূস: ঠিক তাই।
মেহদি হাসান : কিন্তু একটি গোষ্ঠীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা কীভাবে গণতান্ত্রিক হতে পারে?
ড. ইউনূস: এটি নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই দলের কার্যপ্রণালী দেখে এবং সম্ভাবনা বিবেচনা করে দেখেছে যে তারা পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে। তাই তারা মনে করেছে, এটা না করাই ভালো—
মেহদি হাসান : কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না যে বাংলাদেশে তাদের লাখ লাখ সমর্থক রয়েছে।
ড. ইউনূস : আমি লাখ লাখ বলব না। তাদের সমর্থক আছে, কিন্তু কতজন অবশিষ্ট আছে তা আমি জানি না, কারণ সমর্থক হলো এমন যে আপনি এতই শক্তিশালী, এই কারণেই আমি সব সময় আপনার কাছে যাই, কারণ আপনি ক্ষমতাশালী। আপনি হয়তো সমর্থকও নন।
মেহদি হাসান : কিন্তু আপনি তো অস্বীকার করছেন না যে বাংলাদেশে তাদের একটি ভোটার গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের কোনো সমর্থন নেই?
ড. ইউনূস: নিশ্চয়ই। এটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।
মেহদি হাসান : কিন্তু এখন সেই মানুষদের কোনো কণ্ঠস্বর নেই। আপনারা তাদের দলকে নিষিদ্ধ করেছেন। আমি বলছি, আপনারা তাদের দলকে রাজনীতিতে অংশ নিতে বাধা দিচ্ছেন।
ড. ইউনূস: তারা ভোট দিতে পারে। ভোটার হিসেবে তারা বৈধ ভোটার। অনেক অংশগ্রহণকারী রয়েছে। তারা নিজেদের নেতা বেছে নেবে...
মেহদি হাসান : কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এটা কি সহায়ক যে মানুষ বলবে, ‘নতুন সরকার পুরোনো সরকারের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, চক্রটি চলছেই?’
ড. ইউনূস: অন্যথায় আমরা নির্বাচন করতে পারব না। এই দলটি, যদি তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকেও, তারা রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করছে না। তারা মানুষ হত্যা করেছে—সে বিষয়ে তারা কোনো অনুতাপ প্রকাশ করেনি। তারা এই সময়ের মধ্যে যা করেছে, তার কোনো দায় নেয়নি। একটি শব্দও না। সব সময় অভিযোগ করছে যে অন্য কেউ এর জন্য দায়ী।
মেহদি হাসান : আমি নির্বাচনের প্রসঙ্গে একটু পরে ফিরতে চাই, কিন্তু তার আগে বাংলাদেশের বাইরে থেকে আসা কিছু সমালোচনা নিয়ে কথা বলতে চাই। আমি আপনাকে এর জবাব দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই। গত নভেম্বরে, বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজার হিন্দু আপনার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে জড়ো হয়েছিল, দাবি করা হয় যে তাদের সম্প্রদায়ের ওপর হাজার হাজার হামলা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ বিষয়ে মন্তব্য করে বাংলাদেশের সহিংসতাকে ‘বর্বর’ বলে অভিহিত করেছিলেন, আমার মনে হয় তিনি এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে কী লাগবে, বা আপনার মতে এটি কি নিয়ন্ত্রণে আছে? আমরা এর মাত্রা নিয়ে কথা বলতে পারি।
ড. ইউনূস: প্রথমত, এগুলো ভুয়া খবর। আপনি এই ভুয়া খবরের ওপর ভিত্তি করে চলতে পারেন না।
মেহদি হাসান : আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা উদ্ধৃত করেছি, আর আপনি বলছেন ভুয়া খবর।
ড. ইউনূস: হ্যাঁ। ডোনাল্ড ট্রাম্প কখনো এমন কিছু বলেছেন কিনা, বা বাংলাদেশে এখন কী ঘটছে সে সম্পর্কে তাঁর কোনো জ্ঞান আছে কিনা।
মেহদি হাসান : আপনি বলছেন, এটি শুধু অতিরঞ্জিত নয়, তাদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতাই হয়নি? এমনকি নিউইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি ভাঙচুর, দলবদ্ধ সহিংসতা, এবং গত নভেম্বরে শুধু বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর হিন্দুত্ববাদী পতাকা উত্তোলনের জন্য একজন হিন্দু সন্ন্যাসীকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা জানিয়েছে।
ড. ইউনূস: এটা সঠিক নয়, ভুয়া ও মিথ্যা খবরের ছড়াছড়ি।
মেহদি হাসান: না, আমি বুঝতে পারছি। সব ধরনের খবরই আসে। আমি বুঝতে পারছি, এটা অতিরঞ্জন। কিন্তু আমি জানতে চাচ্ছি, আপনি কি বলছেন যে কোনো হিন্দু-বিরোধী সহিংসতা নেই?
ড. ইউনূস: এটা সঠিক নয়।
মেহদি হাসান : আপনার এবং আমার শেষবার কথা হওয়ার পর অনেক কিছু ঘটে গেছে। আমার মনে হয় আমরা শেষ কথা বলেছিলাম ২০১৭ সালে। তখন আপনি একজন সাধারণ নাগরিক ছিলেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ, কিন্তু কোনো দেশ পরিচালনা করছিলেন না। এক বছরের কিছু আগে, বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। দুই দশক ধরে তিনি আপনার দেশে কার্যত একজন স্বৈরশাসক ছিলেন এবং একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। অনেকে তাকে বিদায় নিতে দেখে খুশি হয়েছিলেন। তার সরকারের পতনে আপনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল? সেই দিন, সেই রাতের আপনার স্মৃতি কী? সেই রাতে আপনার কেমন অনুভূতি হয়েছিল? ভয়, আশা, নাকি বিস্ময়?
ড. ইউনূস: উত্তেজনা। উত্তেজনা। উত্তেজনা, হ্যাঁ অবশ্যই। অবশেষে এটা ঘটল। এটা দারুণ খবর ছিল!
মেহদি হাসান : আপনি কি ভেবেছিলেন এটা ঘটবে?
ড. ইউনূস: না, এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। কিছু বিক্ষোভ চলছিল, যা বাংলাদেশে প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু এমন কিছু হবে, যা দেশটিকে বদলে দেবে—তা ভাবিনি। দেশের পরিস্থিতি তখন খুবই খারাপ ছিল। তখন তিনি চলে যাওয়ার আগে কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত আমি জানতাম না, কিন্তু তিনি চলে গেছেন—এই চূড়ান্ত খবরটি ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।
মেহদি হাসান : গত এক বছরে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? আপনারা সম্প্রতি বিপ্লবের এক বছর পূর্ণ করলেন। এখন দেশের মেজাজ কেমন? এখনো কি আশাবাদ, উত্তেজনা, আশা জিইয়ে রাখা, নাকি পরিবর্তনের ধীর গতিতে হতাশা রয়েছে?
ড. ইউনূস: সবই, সবকিছুর মিশ্রণ। কোনো কিছু ঘটছে বলে উত্তেজনা আছে, আবার হতাশা তো আছেই। হতাশা এই কারণে যে মানুষ ফল নিয়ে অভিযোগ করতে পছন্দ করে। এটা সাধারণ ব্যাপার। তারা আরও বেশি চায়। প্রত্যাশার স্তর এত বেশি যে তারা সবকিছু এখনই চায়, কাল নয়। সুতরাং, যেহেতু এটি আজ ঘটছে না, তাই আপনি ভালো না—এই ধরনের ধারণা। তবে একটা ভালো ইঙ্গিত রয়েছে। এটি কোনো নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে না। এটি কেবল উচ্চ প্রত্যাশার ফল।
মেহদি হাসান : হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর, ছাত্র বিক্ষোভকারীরা আপনাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনার জন্য বেছে নিয়েছিল। আপনি কি এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছিলেন? আপনার কী মনে হয় তারা কেন আপনাকে বেছে নিয়েছিল—একজন অ-রাজনীতিক, একজন অর্থনীতিবিদ, এবং সম্মানের সঙ্গে বলছি, একজন ৮০-এর কোঠার মানুষকে কেন তারা এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নিল?
ড. ইউনূস: আমি বিস্মিত হয়েছিলাম, কারণ আমি তাদের চিনি না। আমার কখনো তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আমার কখনো তাদের সঙ্গে কোনো কথোপকথন হয়নি। ওহ, দারুণ! এই বার্তাটি প্রথমে আমার প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের মাধ্যমে আসে যে ছাত্ররা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তারা চায় আপনি দায়িত্ব নিন। আমি বলেছিলাম, তাদের উপেক্ষা করো। এই আলোচনায় জড়িও না। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম যে এটা হবে না। পরের দিন, তারা নিজেরাই সরাসরি আমার কাছে আসার চেষ্টা করে, কারণ আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে কাজ হচ্ছিল না। তাই তারা আমাকে ফোন করে, ব্যাখ্যা করে। আমি বলেছিলাম, ‘না, অন্য কাউকে খুঁজে নাও। আমি জড়াতে চাই না।’ এই আলোচনা, কথোপকথন—তিন দিন ধরে চলল। আমি দূরে থাকার চেষ্টা করছিলাম। আর তারা বারবার অনুরোধ করছিল।
মেহদি হাসান : তাহলে শেষ পর্যন্ত কী কারণে আপনি রাজি হলেন?
ড. ইউনূস: অবশেষে, তারা পরিস্থিতি বর্ণনা করল। দেখুন, ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, নিজেদের উৎসর্গ করেছে, শিশুরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এবং এত কিছু ঘটেছে, আর তারা চাইছে আপনি আসুন। এসব উপেক্ষা করলে দেশের কী হবে? তারা খুব আবেগপ্রবণ ছিল। তারা আমাকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিল। অবশেষে আমি বললাম, ঠিক আছে, তোমরা যদি এত বড় ত্যাগ স্বীকার করে থাকো, তাহলে আমি আমার মন পরিবর্তন করব। আমি দেখব তোমাদের জন্য কী করতে পারি।
মেহদি হাসান : আপনি এই আত্মত্যাগ এবং রক্তপাতের কথা উল্লেখ করলেন। ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ জানায়, গত গ্রীষ্মে ছাত্র বিক্ষোভের ওপর হাসিনার দমন-পীড়নের সময় আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হন। বাংলাদেশ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে। আর আপনি আমার চেয়ে ভালো জানেন, তিনি এখন ভারতে পালিয়ে আছেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুরক্ষায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে জবাবদিহির মুখোমুখি করার জন্য আপনি বারবার অনুরোধ করেছেন। মোদী আপনার এই আহ্বান উপেক্ষা করায় আপনার প্রতিক্রিয়া কী? আপনি কি মনে করেন ভারত কখনো হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে?
ড. ইউনূস: যদি তাদের নিজস্ব ইচ্ছায় ছেড়ে দেওয়া হয়, অর্থাৎ তারা যদি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে সম্ভবত তারা তাকে নিজেদের কাছেই রাখবে। যদি কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকে যা তারা এড়াতে পারবে না, তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।
মেহদি হাসান : তাকে নিজেদের কাছে রাখার পেছনে ভারতের স্বার্থ কী?
ড. ইউনূস: তারা তাকে সব সময় সমর্থন করে এসেছে। তারা এখনো আশা করছে, সম্ভবত যারা তাকে সমর্থন করে, তারা আশা করছে যে তিনি পূর্ণ গৌরব নিয়ে বিজয়ী নেতা হিসেবে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।
মেহদি হাসান : নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করছেন। এটা কি আপনাকে চিন্তিত করে যে ভারত তাকে ফিরিয়ে এনে আবার ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করবে?
ড. ইউনূস: আমি ঠিক সেই শব্দগুলো ব্যবহার করব না, তবে এটা সম্ভব যে কিছু বহিঃশক্তি তাঁকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে সাহায্য করবে। আমরা সব সময় এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ—
মেহদি হাসান: আপনি কি মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন?
ড. ইউনূস: আমি মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি। খুব খোলাখুলিভাবে।
মেহদি হাসান: বিচারের মুখোমুখি করার জন্য তাঁকে ফেরত পাঠাতে বলায় তিনি কী বললেন?
ড. ইউনূস: দুটি বিষয়। প্রথমত, তাদের বলেছি, আপনারা তাঁকে রাখতে চান। আমি আপনাদের বলতে পারি না আপনারা তার সঙ্গে কী করবেন, তবে নিশ্চিত করুন তিনি যেন আমাদের নিয়ে কথা না বলেন। তিনি যেন বারবার বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে কথা না বলেন।
মেহদি হাসান: দুঃখিত, মোদী আপনাকে এটা বলেছেন?
ড. ইউনূস: আমি মোদীকে এই বিষয়ে বলেছিলাম যে দয়া করে নিশ্চিত করুন...
মেহদি হাসান: তিনি কী বললেন?
ড. ইউনূস: তিনি বললেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
মেহদি হাসান: হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে, আপনার সরকার তাঁর দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে, যার ফলে কার্যত তাদের পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা তৈরি হয়েছে। আপনার সহকর্মী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেন, যাকে আপনি খুব ভালোভাবে চেনেন, তিনি লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এটি কেবল পূর্ববর্তী সরকারের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে, যারা ক্ষমতায় এসে বিরোধীদের নিষিদ্ধ করেছিল। আপনি শুধু সেই চক্রের পুনরাবৃত্তি করছেন। অমর্ত্য সেন এবং অন্যদের এই সমালোচনার জবাবে আপনার কী বলার আছে?
ড. ইউনূস: এটি ভুল সমালোচনা, কারণ আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি।
মেহদি হাসান: মানে, আপনারা কি তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছেন?
ড. ইউনূস : না, নিবন্ধন নয়। কেবল তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
মেহদি হাসান : এর মানে কী?
ড. ইউনূস : এর মানে হলো তারা কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে পারবে না।
মেহদি হাসান : তাহলে আপনারা তো কার্যত...মানে, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
ড. ইউনূস : না, দলটি এখনো আছে।
মেহদি হাসান : তারা কি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে?
ড. ইউনূস : এখন নয়, কারণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ।
মেহদি হাসান : ঠিক আছে, তাহলে (আগের সরকারের) পুনরাবৃত্তি নিয়ে যে সতর্ক করা হয়েছিল, তা থেকে এটি কীভাবে ভিন্ন?
ড. ইউনূস: তারা একটি দল হিসেবে বৈধ রয়েছে। তবে আপাতত তাদের কার্যক্রম স্থগিত। আমি বলতে চাচ্ছি, যেকোনো সময় এটি উন্মুক্ত করা যেতে পারে।
মেহদি হাসান : আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনারা স্থগিত কার্যক্রম আবার শুরু করতে দিতে পারেন?
ড. ইউনূস : স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া যেতে পারে, এমন সম্ভাবনা আছে।
মেহদি হাসান: আপনারা দলটি নিষিদ্ধ করেননি। আপনারা শুধু বলেছেন যে আপাতত তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
ড. ইউনূস: ঠিক তাই।
মেহদি হাসান : কিন্তু একটি গোষ্ঠীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা কীভাবে গণতান্ত্রিক হতে পারে?
ড. ইউনূস: এটি নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই দলের কার্যপ্রণালী দেখে এবং সম্ভাবনা বিবেচনা করে দেখেছে যে তারা পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে। তাই তারা মনে করেছে, এটা না করাই ভালো—
মেহদি হাসান : কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না যে বাংলাদেশে তাদের লাখ লাখ সমর্থক রয়েছে।
ড. ইউনূস : আমি লাখ লাখ বলব না। তাদের সমর্থক আছে, কিন্তু কতজন অবশিষ্ট আছে তা আমি জানি না, কারণ সমর্থক হলো এমন যে আপনি এতই শক্তিশালী, এই কারণেই আমি সব সময় আপনার কাছে যাই, কারণ আপনি ক্ষমতাশালী। আপনি হয়তো সমর্থকও নন।
মেহদি হাসান : কিন্তু আপনি তো অস্বীকার করছেন না যে বাংলাদেশে তাদের একটি ভোটার গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের কোনো সমর্থন নেই?
ড. ইউনূস: নিশ্চয়ই। এটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।
মেহদি হাসান : কিন্তু এখন সেই মানুষদের কোনো কণ্ঠস্বর নেই। আপনারা তাদের দলকে নিষিদ্ধ করেছেন। আমি বলছি, আপনারা তাদের দলকে রাজনীতিতে অংশ নিতে বাধা দিচ্ছেন।
ড. ইউনূস: তারা ভোট দিতে পারে। ভোটার হিসেবে তারা বৈধ ভোটার। অনেক অংশগ্রহণকারী রয়েছে। তারা নিজেদের নেতা বেছে নেবে...
মেহদি হাসান : কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এটা কি সহায়ক যে মানুষ বলবে, ‘নতুন সরকার পুরোনো সরকারের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, চক্রটি চলছেই?’
ড. ইউনূস: অন্যথায় আমরা নির্বাচন করতে পারব না। এই দলটি, যদি তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকেও, তারা রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করছে না। তারা মানুষ হত্যা করেছে—সে বিষয়ে তারা কোনো অনুতাপ প্রকাশ করেনি। তারা এই সময়ের মধ্যে যা করেছে, তার কোনো দায় নেয়নি। একটি শব্দও না। সব সময় অভিযোগ করছে যে অন্য কেউ এর জন্য দায়ী।
মেহদি হাসান : আমি নির্বাচনের প্রসঙ্গে একটু পরে ফিরতে চাই, কিন্তু তার আগে বাংলাদেশের বাইরে থেকে আসা কিছু সমালোচনা নিয়ে কথা বলতে চাই। আমি আপনাকে এর জবাব দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই। গত নভেম্বরে, বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজার হিন্দু আপনার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে জড়ো হয়েছিল, দাবি করা হয় যে তাদের সম্প্রদায়ের ওপর হাজার হাজার হামলা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ বিষয়ে মন্তব্য করে বাংলাদেশের সহিংসতাকে ‘বর্বর’ বলে অভিহিত করেছিলেন, আমার মনে হয় তিনি এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে কী লাগবে, বা আপনার মতে এটি কি নিয়ন্ত্রণে আছে? আমরা এর মাত্রা নিয়ে কথা বলতে পারি।
ড. ইউনূস: প্রথমত, এগুলো ভুয়া খবর। আপনি এই ভুয়া খবরের ওপর ভিত্তি করে চলতে পারেন না।
মেহদি হাসান : আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা উদ্ধৃত করেছি, আর আপনি বলছেন ভুয়া খবর।
ড. ইউনূস: হ্যাঁ। ডোনাল্ড ট্রাম্প কখনো এমন কিছু বলেছেন কিনা, বা বাংলাদেশে এখন কী ঘটছে সে সম্পর্কে তাঁর কোনো জ্ঞান আছে কিনা।
মেহদি হাসান : আপনি বলছেন, এটি শুধু অতিরঞ্জিত নয়, তাদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতাই হয়নি? এমনকি নিউইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি ভাঙচুর, দলবদ্ধ সহিংসতা, এবং গত নভেম্বরে শুধু বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর হিন্দুত্ববাদী পতাকা উত্তোলনের জন্য একজন হিন্দু সন্ন্যাসীকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা জানিয়েছে।
ড. ইউনূস: এটা সঠিক নয়, ভুয়া ও মিথ্যা খবরের ছড়াছড়ি।
মেহদি হাসান: না, আমি বুঝতে পারছি। সব ধরনের খবরই আসে। আমি বুঝতে পারছি, এটা অতিরঞ্জন। কিন্তু আমি জানতে চাচ্ছি, আপনি কি বলছেন যে কোনো হিন্দু-বিরোধী সহিংসতা নেই?
ড. ইউনূস: এটা সঠিক নয়।

জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নতুন ধারার সংবাদমাধ্যম জিটিওর সাংবাদিক মেহদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ করেছে জিটিও।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নতুন ধারার সংবাদমাধ্যম জিটিওর সাংবাদিক মেহদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ করেছে জিটিও।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নতুন ধারার সংবাদমাধ্যম জিটিওর সাংবাদিক মেহদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ করেছে জিটিও।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নতুন ধারার সংবাদমাধ্যম জিটিওর সাংবাদিক মেহদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ করেছে জিটিও।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগে