ফজলুল কবির, ঢাকা

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে গোটা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। সরকারি অর্থায়নে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিডের টিকার নাগাল পেয়েছে বিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে সাতটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষার চেয়ে ব্যবসার মুনাফাই মুখ্য হয়ে উঠছে।
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না বা স্পুতনিক নামগুলো পরিচিত। এগুলোর কোনোটি মার্কিন, কোনোটি চীনা আবার কোনোটি রুশ। ফলে অবধারিতভাবেই এই টিকার সঙ্গে জুড়ে গেছে ‘টিকা রাজনীতি’, ‘টিকা কূটনীতি’র মতো শব্দগুলো। আর এসব শব্দের আড়ালে হারিয়ে যেতে বসেছে ব্যবসার গোপন রহস্যটি।
করোনার টিকা সারা বিশ্বে এক অদ্ভুত বৈষম্য তৈরি করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গবেষণা পত্রিকা বিএমজের এক নিবন্ধে টিকার দামের বৈষম্যের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হচ্ছে, একই টিকার দাম একেক অঞ্চলে একেক রকম। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার ও ভারত ৪ ডলারে কিনলেও তা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় বিক্রি হয়েছে সোয়া ২ ডলারে। আবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই টিকা কিনছে ৩ ডলার ৪০ সেন্টে।
বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান-গুলোর দাবি, টিকার গবেষণায় তাদের অনেক ব্যয় হয়েছে। ফলে যেসব দেশ গবেষণা পর্যায়ে বিনিয়োগ করেছে, তারা টিকার দামে ছাড় পাচ্ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার টিকার প্রতি ডোজ ১৫ ডলার হলেও ইইউতে তা ছিল ১৮ ডলার। একই সময়ে ফাইজারের টিকার প্রতি ডোজের দাম যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ১৯ ডলার হলেও ইইউতে তা ছিল ১৪ ডলার ৭০ সেন্ট। মার্কিন কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের প্রতি ডোজ কোভিড টিকার দাম ১৬ ডলার। টিকার এই উচ্চমূল্য রাখছে রাশিয়া ও চীনও। রাশিয়ার স্পুতনিক ভি ও চীনের সিনোফার্মের প্রতি ডোজ টিকার দাম ১০ ডলার। যদিও দুই দেশে কখনো প্রকাশ্যে দামের কথা বলেনি। আর এই দুটি টিকা উৎপাদন করছে তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের এক গবেষণা। গবেষকেরা হিসাব করে দেখিয়েছেন, ফাইজারের প্রতি ৮০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ৯৪০ কোটি ডলার হতে পারে। এই হিসাবে প্রতি ডোজ টিকার উৎপাদন ব্যয় দাম ১ ডলার ১৮ সেন্টের আশপাশে হওয়ার কথা। একইভাবে মডার্নার টিকার প্রতি ডোজের সম্ভাব্য উৎপাদন ব্যয়ের হিসাব করা হয়েছে ২ ডলার ৮৫ সেন্টের আশপাশে। অথচ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য নেওয়া উদ্যোগ কোভ্যাক্সই মডার্নার টিকা কিনেছে ৫ ডলারের বেশি দামে। এর বাইরে ফাইজারের প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ ডলারে। আর মডার্না দেশভেদে প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেমে ৩৭ ডলারে। আর সিনোভ্যাক্স প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২৯ ডলার ৭৫ সেন্টে।
রাশিয়া বা চীন টিকার দাম নিয়ে প্রকাশ্যে টু শব্দটি করেনি। তারা এ ব্যাপারে এতটাই স্পর্শকাতর যে, বাংলাদেশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চীনের সিনোফার্মের টিকার দাম মুখ ফসকে বলে ফেলায় পুরো চুক্তিটা ভেস্তে যেতে বসেছিল। একই অবস্থা হয়েছে নেপালেরও। বাংলাদেশের সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনার কোনো পর্যায়ে দামের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি রাশিয়া।
টিকার দাম ও প্রাপ্যতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে বৈষম্যে তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বের নানা প্রান্তের ৭০টি মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিলে দ্য পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (পিভিএ) নামের একটি জোট করেছে, যেখানে অক্সফাম, ইউএএইড যেমন আছে, তেমনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও রয়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই অতি মুনাফালোভী চরিত্রের বিষয়ে অক্সফামের স্বাস্থ্য নীতিবিষয়ক ব্যবস্থাপক অ্যানা ম্যারিয়টের মন্তব্য, ‘ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে। একে ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী বাণিজ্য বলা যায়। যে অর্থ দরিদ্র দেশগুলো নিজেদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারত, সেই অর্থ এই ক্ষমতাধর করপোরেশনগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অংশীদাররা লুট করে নিচ্ছে।’
টিকা উৎপাদকেরা যে বিপুল মুনাফা করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিভিএ। বলা হচ্ছে, এই টিকা তৈরিতে ছিল সাধারণ মানুষের বিনিয়োগ। গবেষণার জন্য মার্কিন জনগণের করের টাকা পেয়েছে ফাইজার, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন বা নোভাভ্যাক্সের মতো কোম্পানিগুলোর। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস, গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিসের বরাত দিয়ে হেলথ অ্যাফেয়ার্স জানায়, কোভিডের টিকা তৈরির গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিনিয়োগ করেছিল ১৮০০ থেকে ২৩০০ কোটি ডলার। আর মার্কিন কংগ্রেসের বাজেট দপ্তর চলতি বছরের মাঝামাঝি জানিয়েছে, শুধু বায়োমেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (বার্ডা) মাধ্যমেই এ সম্পর্কিত গবেষণায় ১ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে।
তবে এই মুনাফায় থেমে নেই বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বছর ঘোরার আগেই ইউরোপে বেড়েছে ফাইজার ও মডার্নার টিকার দাম। লন্ডনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, চলতি মাসে ইউরোপে ফাইজার প্রতি ডোজ টিকা ২৩ ডলার ১৫ সেন্টে বিক্রি করছে। আর মডার্নার দাম বেড়ে হয়েছে ২৫ ডলার ৫০ সেন্ট।
আফ্রিকান অ্যালায়েন্স, অক্সফাম, ইউএসএইডসহ বিশ্বের ৭০টি প্রতিষ্ঠানের জোট পিভিএ বলছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়াকরণ মানসিকতা রোধে ধনী রাষ্ট্রগুলোর ব্যর্থ হওয়া বা তা করতে না চাওয়ার কারণে ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোকে। ধনী রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যক্ষ মদদে ওষুধ উৎপাদকেরা মৃত্যুকেই ব্যবসায় পরিণত করেছে এখন। দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের পুরোটাই ঢুকে গেছে ওষুধ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের পকেটে।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই একচেটিয়া ব্যবসার মানসিকতা সম্পর্কে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. ইকবাল আর্সলান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক বেনিয়া চক্রের খেলা এটি। এরা এই ভয়াবহ মহামারির মধ্যেও কাউকে প্রযুক্তি দিচ্ছে না। এটা না করে তারা একচেটিয়া ব্যবসা করছে। টিকার দাম ক্রমে বাড়ছে।’ তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কোভিড টিকা তৈরির চেষ্টা করেও সফল হয়নি। এতে গুটিকয়েক দেশের কয়েকটি কোম্পানির হাতে পুরো বিষয়টি চলে গেছে। টিকাকে তারা ব্যবসায়িক দিক থেকেই দেখছে, মানবিকতার জায়গা থেকে নয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতোই এদের চরিত্র। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটি সময়ের সঙ্গে নিজের ধরন পাল্টাচ্ছে। ডেলটা, ডেলটা প্লাস হয়ে এখন ল্যামডা ধরন এসেছে। ফলে এই টিকার চাহিদা বাড়তে থাকবে। আর একে পুঁজি করে টিকার দাম আরও বাড়াচ্ছে তারা।

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে গোটা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। সরকারি অর্থায়নে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিডের টিকার নাগাল পেয়েছে বিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে সাতটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষার চেয়ে ব্যবসার মুনাফাই মুখ্য হয়ে উঠছে।
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না বা স্পুতনিক নামগুলো পরিচিত। এগুলোর কোনোটি মার্কিন, কোনোটি চীনা আবার কোনোটি রুশ। ফলে অবধারিতভাবেই এই টিকার সঙ্গে জুড়ে গেছে ‘টিকা রাজনীতি’, ‘টিকা কূটনীতি’র মতো শব্দগুলো। আর এসব শব্দের আড়ালে হারিয়ে যেতে বসেছে ব্যবসার গোপন রহস্যটি।
করোনার টিকা সারা বিশ্বে এক অদ্ভুত বৈষম্য তৈরি করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গবেষণা পত্রিকা বিএমজের এক নিবন্ধে টিকার দামের বৈষম্যের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হচ্ছে, একই টিকার দাম একেক অঞ্চলে একেক রকম। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার ও ভারত ৪ ডলারে কিনলেও তা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় বিক্রি হয়েছে সোয়া ২ ডলারে। আবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই টিকা কিনছে ৩ ডলার ৪০ সেন্টে।
বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান-গুলোর দাবি, টিকার গবেষণায় তাদের অনেক ব্যয় হয়েছে। ফলে যেসব দেশ গবেষণা পর্যায়ে বিনিয়োগ করেছে, তারা টিকার দামে ছাড় পাচ্ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার টিকার প্রতি ডোজ ১৫ ডলার হলেও ইইউতে তা ছিল ১৮ ডলার। একই সময়ে ফাইজারের টিকার প্রতি ডোজের দাম যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ১৯ ডলার হলেও ইইউতে তা ছিল ১৪ ডলার ৭০ সেন্ট। মার্কিন কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের প্রতি ডোজ কোভিড টিকার দাম ১৬ ডলার। টিকার এই উচ্চমূল্য রাখছে রাশিয়া ও চীনও। রাশিয়ার স্পুতনিক ভি ও চীনের সিনোফার্মের প্রতি ডোজ টিকার দাম ১০ ডলার। যদিও দুই দেশে কখনো প্রকাশ্যে দামের কথা বলেনি। আর এই দুটি টিকা উৎপাদন করছে তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের এক গবেষণা। গবেষকেরা হিসাব করে দেখিয়েছেন, ফাইজারের প্রতি ৮০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ৯৪০ কোটি ডলার হতে পারে। এই হিসাবে প্রতি ডোজ টিকার উৎপাদন ব্যয় দাম ১ ডলার ১৮ সেন্টের আশপাশে হওয়ার কথা। একইভাবে মডার্নার টিকার প্রতি ডোজের সম্ভাব্য উৎপাদন ব্যয়ের হিসাব করা হয়েছে ২ ডলার ৮৫ সেন্টের আশপাশে। অথচ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য নেওয়া উদ্যোগ কোভ্যাক্সই মডার্নার টিকা কিনেছে ৫ ডলারের বেশি দামে। এর বাইরে ফাইজারের প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ ডলারে। আর মডার্না দেশভেদে প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেমে ৩৭ ডলারে। আর সিনোভ্যাক্স প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২৯ ডলার ৭৫ সেন্টে।
রাশিয়া বা চীন টিকার দাম নিয়ে প্রকাশ্যে টু শব্দটি করেনি। তারা এ ব্যাপারে এতটাই স্পর্শকাতর যে, বাংলাদেশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চীনের সিনোফার্মের টিকার দাম মুখ ফসকে বলে ফেলায় পুরো চুক্তিটা ভেস্তে যেতে বসেছিল। একই অবস্থা হয়েছে নেপালেরও। বাংলাদেশের সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনার কোনো পর্যায়ে দামের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি রাশিয়া।
টিকার দাম ও প্রাপ্যতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে বৈষম্যে তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বের নানা প্রান্তের ৭০টি মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিলে দ্য পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (পিভিএ) নামের একটি জোট করেছে, যেখানে অক্সফাম, ইউএএইড যেমন আছে, তেমনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও রয়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই অতি মুনাফালোভী চরিত্রের বিষয়ে অক্সফামের স্বাস্থ্য নীতিবিষয়ক ব্যবস্থাপক অ্যানা ম্যারিয়টের মন্তব্য, ‘ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে। একে ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী বাণিজ্য বলা যায়। যে অর্থ দরিদ্র দেশগুলো নিজেদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারত, সেই অর্থ এই ক্ষমতাধর করপোরেশনগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অংশীদাররা লুট করে নিচ্ছে।’
টিকা উৎপাদকেরা যে বিপুল মুনাফা করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিভিএ। বলা হচ্ছে, এই টিকা তৈরিতে ছিল সাধারণ মানুষের বিনিয়োগ। গবেষণার জন্য মার্কিন জনগণের করের টাকা পেয়েছে ফাইজার, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন বা নোভাভ্যাক্সের মতো কোম্পানিগুলোর। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস, গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিসের বরাত দিয়ে হেলথ অ্যাফেয়ার্স জানায়, কোভিডের টিকা তৈরির গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিনিয়োগ করেছিল ১৮০০ থেকে ২৩০০ কোটি ডলার। আর মার্কিন কংগ্রেসের বাজেট দপ্তর চলতি বছরের মাঝামাঝি জানিয়েছে, শুধু বায়োমেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (বার্ডা) মাধ্যমেই এ সম্পর্কিত গবেষণায় ১ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে।
তবে এই মুনাফায় থেমে নেই বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বছর ঘোরার আগেই ইউরোপে বেড়েছে ফাইজার ও মডার্নার টিকার দাম। লন্ডনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, চলতি মাসে ইউরোপে ফাইজার প্রতি ডোজ টিকা ২৩ ডলার ১৫ সেন্টে বিক্রি করছে। আর মডার্নার দাম বেড়ে হয়েছে ২৫ ডলার ৫০ সেন্ট।
আফ্রিকান অ্যালায়েন্স, অক্সফাম, ইউএসএইডসহ বিশ্বের ৭০টি প্রতিষ্ঠানের জোট পিভিএ বলছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়াকরণ মানসিকতা রোধে ধনী রাষ্ট্রগুলোর ব্যর্থ হওয়া বা তা করতে না চাওয়ার কারণে ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোকে। ধনী রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যক্ষ মদদে ওষুধ উৎপাদকেরা মৃত্যুকেই ব্যবসায় পরিণত করেছে এখন। দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের পুরোটাই ঢুকে গেছে ওষুধ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের পকেটে।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই একচেটিয়া ব্যবসার মানসিকতা সম্পর্কে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. ইকবাল আর্সলান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক বেনিয়া চক্রের খেলা এটি। এরা এই ভয়াবহ মহামারির মধ্যেও কাউকে প্রযুক্তি দিচ্ছে না। এটা না করে তারা একচেটিয়া ব্যবসা করছে। টিকার দাম ক্রমে বাড়ছে।’ তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কোভিড টিকা তৈরির চেষ্টা করেও সফল হয়নি। এতে গুটিকয়েক দেশের কয়েকটি কোম্পানির হাতে পুরো বিষয়টি চলে গেছে। টিকাকে তারা ব্যবসায়িক দিক থেকেই দেখছে, মানবিকতার জায়গা থেকে নয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতোই এদের চরিত্র। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটি সময়ের সঙ্গে নিজের ধরন পাল্টাচ্ছে। ডেলটা, ডেলটা প্লাস হয়ে এখন ল্যামডা ধরন এসেছে। ফলে এই টিকার চাহিদা বাড়তে থাকবে। আর একে পুঁজি করে টিকার দাম আরও বাড়াচ্ছে তারা।
ফজলুল কবির, ঢাকা

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে গোটা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। সরকারি অর্থায়নে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিডের টিকার নাগাল পেয়েছে বিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে সাতটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষার চেয়ে ব্যবসার মুনাফাই মুখ্য হয়ে উঠছে।
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না বা স্পুতনিক নামগুলো পরিচিত। এগুলোর কোনোটি মার্কিন, কোনোটি চীনা আবার কোনোটি রুশ। ফলে অবধারিতভাবেই এই টিকার সঙ্গে জুড়ে গেছে ‘টিকা রাজনীতি’, ‘টিকা কূটনীতি’র মতো শব্দগুলো। আর এসব শব্দের আড়ালে হারিয়ে যেতে বসেছে ব্যবসার গোপন রহস্যটি।
করোনার টিকা সারা বিশ্বে এক অদ্ভুত বৈষম্য তৈরি করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গবেষণা পত্রিকা বিএমজের এক নিবন্ধে টিকার দামের বৈষম্যের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হচ্ছে, একই টিকার দাম একেক অঞ্চলে একেক রকম। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার ও ভারত ৪ ডলারে কিনলেও তা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় বিক্রি হয়েছে সোয়া ২ ডলারে। আবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই টিকা কিনছে ৩ ডলার ৪০ সেন্টে।
বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান-গুলোর দাবি, টিকার গবেষণায় তাদের অনেক ব্যয় হয়েছে। ফলে যেসব দেশ গবেষণা পর্যায়ে বিনিয়োগ করেছে, তারা টিকার দামে ছাড় পাচ্ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার টিকার প্রতি ডোজ ১৫ ডলার হলেও ইইউতে তা ছিল ১৮ ডলার। একই সময়ে ফাইজারের টিকার প্রতি ডোজের দাম যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ১৯ ডলার হলেও ইইউতে তা ছিল ১৪ ডলার ৭০ সেন্ট। মার্কিন কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের প্রতি ডোজ কোভিড টিকার দাম ১৬ ডলার। টিকার এই উচ্চমূল্য রাখছে রাশিয়া ও চীনও। রাশিয়ার স্পুতনিক ভি ও চীনের সিনোফার্মের প্রতি ডোজ টিকার দাম ১০ ডলার। যদিও দুই দেশে কখনো প্রকাশ্যে দামের কথা বলেনি। আর এই দুটি টিকা উৎপাদন করছে তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের এক গবেষণা। গবেষকেরা হিসাব করে দেখিয়েছেন, ফাইজারের প্রতি ৮০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ৯৪০ কোটি ডলার হতে পারে। এই হিসাবে প্রতি ডোজ টিকার উৎপাদন ব্যয় দাম ১ ডলার ১৮ সেন্টের আশপাশে হওয়ার কথা। একইভাবে মডার্নার টিকার প্রতি ডোজের সম্ভাব্য উৎপাদন ব্যয়ের হিসাব করা হয়েছে ২ ডলার ৮৫ সেন্টের আশপাশে। অথচ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য নেওয়া উদ্যোগ কোভ্যাক্সই মডার্নার টিকা কিনেছে ৫ ডলারের বেশি দামে। এর বাইরে ফাইজারের প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ ডলারে। আর মডার্না দেশভেদে প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেমে ৩৭ ডলারে। আর সিনোভ্যাক্স প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২৯ ডলার ৭৫ সেন্টে।
রাশিয়া বা চীন টিকার দাম নিয়ে প্রকাশ্যে টু শব্দটি করেনি। তারা এ ব্যাপারে এতটাই স্পর্শকাতর যে, বাংলাদেশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চীনের সিনোফার্মের টিকার দাম মুখ ফসকে বলে ফেলায় পুরো চুক্তিটা ভেস্তে যেতে বসেছিল। একই অবস্থা হয়েছে নেপালেরও। বাংলাদেশের সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনার কোনো পর্যায়ে দামের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি রাশিয়া।
টিকার দাম ও প্রাপ্যতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে বৈষম্যে তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বের নানা প্রান্তের ৭০টি মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিলে দ্য পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (পিভিএ) নামের একটি জোট করেছে, যেখানে অক্সফাম, ইউএএইড যেমন আছে, তেমনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও রয়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই অতি মুনাফালোভী চরিত্রের বিষয়ে অক্সফামের স্বাস্থ্য নীতিবিষয়ক ব্যবস্থাপক অ্যানা ম্যারিয়টের মন্তব্য, ‘ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে। একে ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী বাণিজ্য বলা যায়। যে অর্থ দরিদ্র দেশগুলো নিজেদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারত, সেই অর্থ এই ক্ষমতাধর করপোরেশনগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অংশীদাররা লুট করে নিচ্ছে।’
টিকা উৎপাদকেরা যে বিপুল মুনাফা করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিভিএ। বলা হচ্ছে, এই টিকা তৈরিতে ছিল সাধারণ মানুষের বিনিয়োগ। গবেষণার জন্য মার্কিন জনগণের করের টাকা পেয়েছে ফাইজার, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন বা নোভাভ্যাক্সের মতো কোম্পানিগুলোর। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস, গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিসের বরাত দিয়ে হেলথ অ্যাফেয়ার্স জানায়, কোভিডের টিকা তৈরির গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিনিয়োগ করেছিল ১৮০০ থেকে ২৩০০ কোটি ডলার। আর মার্কিন কংগ্রেসের বাজেট দপ্তর চলতি বছরের মাঝামাঝি জানিয়েছে, শুধু বায়োমেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (বার্ডা) মাধ্যমেই এ সম্পর্কিত গবেষণায় ১ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে।
তবে এই মুনাফায় থেমে নেই বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বছর ঘোরার আগেই ইউরোপে বেড়েছে ফাইজার ও মডার্নার টিকার দাম। লন্ডনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, চলতি মাসে ইউরোপে ফাইজার প্রতি ডোজ টিকা ২৩ ডলার ১৫ সেন্টে বিক্রি করছে। আর মডার্নার দাম বেড়ে হয়েছে ২৫ ডলার ৫০ সেন্ট।
আফ্রিকান অ্যালায়েন্স, অক্সফাম, ইউএসএইডসহ বিশ্বের ৭০টি প্রতিষ্ঠানের জোট পিভিএ বলছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়াকরণ মানসিকতা রোধে ধনী রাষ্ট্রগুলোর ব্যর্থ হওয়া বা তা করতে না চাওয়ার কারণে ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোকে। ধনী রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যক্ষ মদদে ওষুধ উৎপাদকেরা মৃত্যুকেই ব্যবসায় পরিণত করেছে এখন। দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের পুরোটাই ঢুকে গেছে ওষুধ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের পকেটে।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই একচেটিয়া ব্যবসার মানসিকতা সম্পর্কে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. ইকবাল আর্সলান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক বেনিয়া চক্রের খেলা এটি। এরা এই ভয়াবহ মহামারির মধ্যেও কাউকে প্রযুক্তি দিচ্ছে না। এটা না করে তারা একচেটিয়া ব্যবসা করছে। টিকার দাম ক্রমে বাড়ছে।’ তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কোভিড টিকা তৈরির চেষ্টা করেও সফল হয়নি। এতে গুটিকয়েক দেশের কয়েকটি কোম্পানির হাতে পুরো বিষয়টি চলে গেছে। টিকাকে তারা ব্যবসায়িক দিক থেকেই দেখছে, মানবিকতার জায়গা থেকে নয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতোই এদের চরিত্র। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটি সময়ের সঙ্গে নিজের ধরন পাল্টাচ্ছে। ডেলটা, ডেলটা প্লাস হয়ে এখন ল্যামডা ধরন এসেছে। ফলে এই টিকার চাহিদা বাড়তে থাকবে। আর একে পুঁজি করে টিকার দাম আরও বাড়াচ্ছে তারা।

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে গোটা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। সরকারি অর্থায়নে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিডের টিকার নাগাল পেয়েছে বিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে সাতটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষার চেয়ে ব্যবসার মুনাফাই মুখ্য হয়ে উঠছে।
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না বা স্পুতনিক নামগুলো পরিচিত। এগুলোর কোনোটি মার্কিন, কোনোটি চীনা আবার কোনোটি রুশ। ফলে অবধারিতভাবেই এই টিকার সঙ্গে জুড়ে গেছে ‘টিকা রাজনীতি’, ‘টিকা কূটনীতি’র মতো শব্দগুলো। আর এসব শব্দের আড়ালে হারিয়ে যেতে বসেছে ব্যবসার গোপন রহস্যটি।
করোনার টিকা সারা বিশ্বে এক অদ্ভুত বৈষম্য তৈরি করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গবেষণা পত্রিকা বিএমজের এক নিবন্ধে টিকার দামের বৈষম্যের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হচ্ছে, একই টিকার দাম একেক অঞ্চলে একেক রকম। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার ও ভারত ৪ ডলারে কিনলেও তা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় বিক্রি হয়েছে সোয়া ২ ডলারে। আবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই টিকা কিনছে ৩ ডলার ৪০ সেন্টে।
বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান-গুলোর দাবি, টিকার গবেষণায় তাদের অনেক ব্যয় হয়েছে। ফলে যেসব দেশ গবেষণা পর্যায়ে বিনিয়োগ করেছে, তারা টিকার দামে ছাড় পাচ্ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার টিকার প্রতি ডোজ ১৫ ডলার হলেও ইইউতে তা ছিল ১৮ ডলার। একই সময়ে ফাইজারের টিকার প্রতি ডোজের দাম যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ১৯ ডলার হলেও ইইউতে তা ছিল ১৪ ডলার ৭০ সেন্ট। মার্কিন কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের প্রতি ডোজ কোভিড টিকার দাম ১৬ ডলার। টিকার এই উচ্চমূল্য রাখছে রাশিয়া ও চীনও। রাশিয়ার স্পুতনিক ভি ও চীনের সিনোফার্মের প্রতি ডোজ টিকার দাম ১০ ডলার। যদিও দুই দেশে কখনো প্রকাশ্যে দামের কথা বলেনি। আর এই দুটি টিকা উৎপাদন করছে তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের এক গবেষণা। গবেষকেরা হিসাব করে দেখিয়েছেন, ফাইজারের প্রতি ৮০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ৯৪০ কোটি ডলার হতে পারে। এই হিসাবে প্রতি ডোজ টিকার উৎপাদন ব্যয় দাম ১ ডলার ১৮ সেন্টের আশপাশে হওয়ার কথা। একইভাবে মডার্নার টিকার প্রতি ডোজের সম্ভাব্য উৎপাদন ব্যয়ের হিসাব করা হয়েছে ২ ডলার ৮৫ সেন্টের আশপাশে। অথচ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য নেওয়া উদ্যোগ কোভ্যাক্সই মডার্নার টিকা কিনেছে ৫ ডলারের বেশি দামে। এর বাইরে ফাইজারের প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ ডলারে। আর মডার্না দেশভেদে প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেমে ৩৭ ডলারে। আর সিনোভ্যাক্স প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২৯ ডলার ৭৫ সেন্টে।
রাশিয়া বা চীন টিকার দাম নিয়ে প্রকাশ্যে টু শব্দটি করেনি। তারা এ ব্যাপারে এতটাই স্পর্শকাতর যে, বাংলাদেশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চীনের সিনোফার্মের টিকার দাম মুখ ফসকে বলে ফেলায় পুরো চুক্তিটা ভেস্তে যেতে বসেছিল। একই অবস্থা হয়েছে নেপালেরও। বাংলাদেশের সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনার কোনো পর্যায়ে দামের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি রাশিয়া।
টিকার দাম ও প্রাপ্যতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে বৈষম্যে তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বের নানা প্রান্তের ৭০টি মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিলে দ্য পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (পিভিএ) নামের একটি জোট করেছে, যেখানে অক্সফাম, ইউএএইড যেমন আছে, তেমনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও রয়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই অতি মুনাফালোভী চরিত্রের বিষয়ে অক্সফামের স্বাস্থ্য নীতিবিষয়ক ব্যবস্থাপক অ্যানা ম্যারিয়টের মন্তব্য, ‘ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে। একে ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী বাণিজ্য বলা যায়। যে অর্থ দরিদ্র দেশগুলো নিজেদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারত, সেই অর্থ এই ক্ষমতাধর করপোরেশনগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অংশীদাররা লুট করে নিচ্ছে।’
টিকা উৎপাদকেরা যে বিপুল মুনাফা করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিভিএ। বলা হচ্ছে, এই টিকা তৈরিতে ছিল সাধারণ মানুষের বিনিয়োগ। গবেষণার জন্য মার্কিন জনগণের করের টাকা পেয়েছে ফাইজার, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন বা নোভাভ্যাক্সের মতো কোম্পানিগুলোর। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস, গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিসের বরাত দিয়ে হেলথ অ্যাফেয়ার্স জানায়, কোভিডের টিকা তৈরির গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিনিয়োগ করেছিল ১৮০০ থেকে ২৩০০ কোটি ডলার। আর মার্কিন কংগ্রেসের বাজেট দপ্তর চলতি বছরের মাঝামাঝি জানিয়েছে, শুধু বায়োমেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (বার্ডা) মাধ্যমেই এ সম্পর্কিত গবেষণায় ১ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে।
তবে এই মুনাফায় থেমে নেই বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বছর ঘোরার আগেই ইউরোপে বেড়েছে ফাইজার ও মডার্নার টিকার দাম। লন্ডনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, চলতি মাসে ইউরোপে ফাইজার প্রতি ডোজ টিকা ২৩ ডলার ১৫ সেন্টে বিক্রি করছে। আর মডার্নার দাম বেড়ে হয়েছে ২৫ ডলার ৫০ সেন্ট।
আফ্রিকান অ্যালায়েন্স, অক্সফাম, ইউএসএইডসহ বিশ্বের ৭০টি প্রতিষ্ঠানের জোট পিভিএ বলছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়াকরণ মানসিকতা রোধে ধনী রাষ্ট্রগুলোর ব্যর্থ হওয়া বা তা করতে না চাওয়ার কারণে ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোকে। ধনী রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যক্ষ মদদে ওষুধ উৎপাদকেরা মৃত্যুকেই ব্যবসায় পরিণত করেছে এখন। দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের পুরোটাই ঢুকে গেছে ওষুধ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের পকেটে।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর এই একচেটিয়া ব্যবসার মানসিকতা সম্পর্কে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. ইকবাল আর্সলান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক বেনিয়া চক্রের খেলা এটি। এরা এই ভয়াবহ মহামারির মধ্যেও কাউকে প্রযুক্তি দিচ্ছে না। এটা না করে তারা একচেটিয়া ব্যবসা করছে। টিকার দাম ক্রমে বাড়ছে।’ তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কোভিড টিকা তৈরির চেষ্টা করেও সফল হয়নি। এতে গুটিকয়েক দেশের কয়েকটি কোম্পানির হাতে পুরো বিষয়টি চলে গেছে। টিকাকে তারা ব্যবসায়িক দিক থেকেই দেখছে, মানবিকতার জায়গা থেকে নয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতোই এদের চরিত্র। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটি সময়ের সঙ্গে নিজের ধরন পাল্টাচ্ছে। ডেলটা, ডেলটা প্লাস হয়ে এখন ল্যামডা ধরন এসেছে। ফলে এই টিকার চাহিদা বাড়তে থাকবে। আর একে পুঁজি করে টিকার দাম আরও বাড়াচ্ছে তারা।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর অভিযানে সারা দেশে ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৫২৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে অবৈধ একটি পিস্তল, পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বন্দুক, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ফায়ার করা গুলি, তিন রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি দেশীয় অস্ত্র ও ১২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ডিএমপি, আরএমপি, জিএমপি, ঢাকা রেঞ্জ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, খুলনা রেঞ্জ ও রাজশাহী রেঞ্জ ইউনিটের অভিযানে এসব অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকটি ইউনিট চেকপোস্ট চালায়।
এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২১ হাজার ৬৩০টি মোটরসাইকেল ও ১৯ হাজার ৯৪টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে একটি একনলা বন্ধুক, দুটি ধারালো ছুরি, একটি বার্মিজ চাকু, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ফায়ার করা গুলি উদ্ধার এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। প্রথম দিন গ্রেপ্তার করা হয় ৪৭৬ জন, দ্বিতীয় দিন ৫৬৭, তৃতীয় দিন ৮২৩ ও চতুর্থ দিন ১ হাজার ৩৯৮ জন। গত চার দিনে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এ মোট গ্রেপ্তার ৩ হাজার ২৬৪ জন।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর অভিযানে সারা দেশে ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৫২৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে অবৈধ একটি পিস্তল, পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বন্দুক, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ফায়ার করা গুলি, তিন রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি দেশীয় অস্ত্র ও ১২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ডিএমপি, আরএমপি, জিএমপি, ঢাকা রেঞ্জ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, খুলনা রেঞ্জ ও রাজশাহী রেঞ্জ ইউনিটের অভিযানে এসব অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকটি ইউনিট চেকপোস্ট চালায়।
এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২১ হাজার ৬৩০টি মোটরসাইকেল ও ১৯ হাজার ৯৪টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে একটি একনলা বন্ধুক, দুটি ধারালো ছুরি, একটি বার্মিজ চাকু, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ফায়ার করা গুলি উদ্ধার এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। প্রথম দিন গ্রেপ্তার করা হয় ৪৭৬ জন, দ্বিতীয় দিন ৫৬৭, তৃতীয় দিন ৮২৩ ও চতুর্থ দিন ১ হাজার ৩৯৮ জন। গত চার দিনে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এ মোট গ্রেপ্তার ৩ হাজার ২৬৪ জন।

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে গোটা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। সরকারি অর্থায়নে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিডের টিকার নাগাল পেয়েছে বিশ্ব।
২৬ আগস্ট ২০২১
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
এর আগে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির’ কথা তুলে ধরা হয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা (দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব) খুব অপ্রত্যাশিত কিছু না। সাধারণত এটা ঘটে। একজনকে ডাকলে আরেকজনকে ডাকা হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, এই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াই ভালো যে—আসলে এই সরকারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (সম্পর্কে) টানাপোড়েন তো আছেই ভারতের সঙ্গে।
তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে জানিয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
এর আগে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির’ কথা তুলে ধরা হয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা (দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব) খুব অপ্রত্যাশিত কিছু না। সাধারণত এটা ঘটে। একজনকে ডাকলে আরেকজনকে ডাকা হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, এই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াই ভালো যে—আসলে এই সরকারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (সম্পর্কে) টানাপোড়েন তো আছেই ভারতের সঙ্গে।
তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে জানিয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে গোটা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। সরকারি অর্থায়নে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিডের টিকার নাগাল পেয়েছে বিশ্ব।
২৬ আগস্ট ২০২১
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে গোটা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। সরকারি অর্থায়নে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিডের টিকার নাগাল পেয়েছে বিশ্ব।
২৬ আগস্ট ২০২১
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে গোটা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। সরকারি অর্থায়নে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিডের টিকার নাগাল পেয়েছে বিশ্ব।
২৬ আগস্ট ২০২১
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে