তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি। ফলে বিশ্রামাগারগুলোই তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বিশ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালকদের একটানা গাড়ি চালানোর ধকল কমাতে তাঁদের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০১৯ সালে চারটি মহাসড়কে আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। কুমিল্লার নিমসার, সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া, মাগুরার লক্ষ্মীকান্দর ও হবিগঞ্জের জগদীশপুরে ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চালকদের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। এগুলোর নির্মাণকাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নকশা পরিবর্তন, অতিরিক্ত তলা সংযোজন এবং দফায় দফায় সময় বাড়ানোর কারণে নির্মাণ শেষ হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এসব বিশ্রামাগারে রয়েছে শয়নকক্ষ, গোসলখানা, পার্কিং, ক্যানটিন, চিকিৎসাকক্ষ ও বিনোদনকেন্দ্রসহ আধুনিক সব সুবিধা। কিন্তু অবকাঠামো প্রস্তুত হলেও তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। চালকেরা ব্যবহার করতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট চারটি সড়ক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের বিশ্রামাগার ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, শেষ হতে আরও দুই মাস লাগবে। কুমিল্লারটির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। মাগুরারটির প্রকল্প হস্তান্তর ও নির্দেশনা না আসায় কাজ শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এলে হবিগঞ্জেরটির দরপত্র দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।
পণ্যবাহী গাড়িচালকদের জন্য পার্কিং সুবিধাসংবলিত বিশ্রামাগার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে সওজের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব বিশ্রামাগার ইজারা, অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বা বিভাগীয় ব্যবস্থায় তিন বছরের জন্য চালানো যেতে পারে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, তা চূড়ান্ত করতে না পারায় প্রকল্প ঝুলে আছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সভায় কার্যকর সিদ্ধান্ত আসেনি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্রামাগারগুলো ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখানে অনেক পক্ষ জড়িত, তাই ধাপে ধাপে আলোচনা হচ্ছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বিশ্রামাগার দেখতে চাইছেন; একটি দেখানো হয়েছে, বাকিগুলোও দেখানো হবে। যাঁরা এই বিশ্রামাগার ব্যবহার করবেন, তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ না করলে সুফল আসবে না। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি, যেন দ্রুত এগুলো চালু করা যায়।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্রামাগার চালু না হওয়ায় সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্রামাগার তালাবদ্ধ করে রাখা একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে চালকদের জীবন ও সড়ক নিরাপত্তার প্রতি অবহেলার নামান্তর।
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার ৩২(৫) ধারা অনুযায়ী, একজন চালককে দিয়ে একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো যাবে না। এরপর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম দিয়ে আবার ৩ ঘণ্টা গাড়ি চালানো যাবে। তবে দিনে ৮ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি একজন চালককে দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। কার্যকর কোনো বিশ্রামাগার না থাকায় দূরপাল্লার চালকেরা এই ধারার সুবিধা পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, চালকদের দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানো দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি মনোযোগ কমিয়ে দেয়, প্রতিক্রিয়া ধীর করে। ফলে হঠাৎ প্রতিবন্ধকতা, মোড় বা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাতে দূরপাল্লার যাত্রায় এই ঝুঁকি বেশি হয়।
ঢাকা-পঞ্চগড় পথে পণ্যবাহী ট্রাক চালান মো. আলিফ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক চালাতে হয়। মাঝপথে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার মতো জায়গা নেই। অনেক সময় বাধ্য হয়ে ট্রাকের ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়তে হয়। এতে শরীর ভালো থাকে না, আবার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। রাস্তার পাশে নিরাপদ বিশ্রামাগার থাকলে একটু আরামে ঘুমাতে পারতেন, গোসল-খাওয়ার সুবিধা পেতেন, ক্লান্তি কমত। এতে কাজ অনেক সহজ হতো।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চার বিশ্রামাগার তালাবদ্ধ। অবকাঠামো যদি ব্যবহার না হয়, তবে তা উন্নয়ন নয়, অপচয়। সড়ক নিরাপত্তার নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে প্রকল্প চালক ও যাত্রীদের কোনো সুরক্ষা দিতে পারছে না, তা আসলে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন ব্যর্থতার আরেকটি স্পষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার যাত্রায় দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকে। আমার ধারণা, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে চালকদের নিদ্রাহীন গাড়ি চালানো এবং বিশ্রাম না নেওয়ায়। নিদ্রাহীন অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক চালক মাদকও সেবন করেন। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।’

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি। ফলে বিশ্রামাগারগুলোই তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বিশ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালকদের একটানা গাড়ি চালানোর ধকল কমাতে তাঁদের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০১৯ সালে চারটি মহাসড়কে আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। কুমিল্লার নিমসার, সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া, মাগুরার লক্ষ্মীকান্দর ও হবিগঞ্জের জগদীশপুরে ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চালকদের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। এগুলোর নির্মাণকাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নকশা পরিবর্তন, অতিরিক্ত তলা সংযোজন এবং দফায় দফায় সময় বাড়ানোর কারণে নির্মাণ শেষ হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এসব বিশ্রামাগারে রয়েছে শয়নকক্ষ, গোসলখানা, পার্কিং, ক্যানটিন, চিকিৎসাকক্ষ ও বিনোদনকেন্দ্রসহ আধুনিক সব সুবিধা। কিন্তু অবকাঠামো প্রস্তুত হলেও তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। চালকেরা ব্যবহার করতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট চারটি সড়ক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের বিশ্রামাগার ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, শেষ হতে আরও দুই মাস লাগবে। কুমিল্লারটির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। মাগুরারটির প্রকল্প হস্তান্তর ও নির্দেশনা না আসায় কাজ শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এলে হবিগঞ্জেরটির দরপত্র দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।
পণ্যবাহী গাড়িচালকদের জন্য পার্কিং সুবিধাসংবলিত বিশ্রামাগার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে সওজের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব বিশ্রামাগার ইজারা, অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বা বিভাগীয় ব্যবস্থায় তিন বছরের জন্য চালানো যেতে পারে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, তা চূড়ান্ত করতে না পারায় প্রকল্প ঝুলে আছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সভায় কার্যকর সিদ্ধান্ত আসেনি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্রামাগারগুলো ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখানে অনেক পক্ষ জড়িত, তাই ধাপে ধাপে আলোচনা হচ্ছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বিশ্রামাগার দেখতে চাইছেন; একটি দেখানো হয়েছে, বাকিগুলোও দেখানো হবে। যাঁরা এই বিশ্রামাগার ব্যবহার করবেন, তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ না করলে সুফল আসবে না। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি, যেন দ্রুত এগুলো চালু করা যায়।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্রামাগার চালু না হওয়ায় সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্রামাগার তালাবদ্ধ করে রাখা একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে চালকদের জীবন ও সড়ক নিরাপত্তার প্রতি অবহেলার নামান্তর।
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার ৩২(৫) ধারা অনুযায়ী, একজন চালককে দিয়ে একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো যাবে না। এরপর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম দিয়ে আবার ৩ ঘণ্টা গাড়ি চালানো যাবে। তবে দিনে ৮ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি একজন চালককে দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। কার্যকর কোনো বিশ্রামাগার না থাকায় দূরপাল্লার চালকেরা এই ধারার সুবিধা পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, চালকদের দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানো দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি মনোযোগ কমিয়ে দেয়, প্রতিক্রিয়া ধীর করে। ফলে হঠাৎ প্রতিবন্ধকতা, মোড় বা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাতে দূরপাল্লার যাত্রায় এই ঝুঁকি বেশি হয়।
ঢাকা-পঞ্চগড় পথে পণ্যবাহী ট্রাক চালান মো. আলিফ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক চালাতে হয়। মাঝপথে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার মতো জায়গা নেই। অনেক সময় বাধ্য হয়ে ট্রাকের ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়তে হয়। এতে শরীর ভালো থাকে না, আবার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। রাস্তার পাশে নিরাপদ বিশ্রামাগার থাকলে একটু আরামে ঘুমাতে পারতেন, গোসল-খাওয়ার সুবিধা পেতেন, ক্লান্তি কমত। এতে কাজ অনেক সহজ হতো।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চার বিশ্রামাগার তালাবদ্ধ। অবকাঠামো যদি ব্যবহার না হয়, তবে তা উন্নয়ন নয়, অপচয়। সড়ক নিরাপত্তার নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে প্রকল্প চালক ও যাত্রীদের কোনো সুরক্ষা দিতে পারছে না, তা আসলে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন ব্যর্থতার আরেকটি স্পষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার যাত্রায় দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকে। আমার ধারণা, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে চালকদের নিদ্রাহীন গাড়ি চালানো এবং বিশ্রাম না নেওয়ায়। নিদ্রাহীন অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক চালক মাদকও সেবন করেন। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।’
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি। ফলে বিশ্রামাগারগুলোই তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বিশ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালকদের একটানা গাড়ি চালানোর ধকল কমাতে তাঁদের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০১৯ সালে চারটি মহাসড়কে আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। কুমিল্লার নিমসার, সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া, মাগুরার লক্ষ্মীকান্দর ও হবিগঞ্জের জগদীশপুরে ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চালকদের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। এগুলোর নির্মাণকাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নকশা পরিবর্তন, অতিরিক্ত তলা সংযোজন এবং দফায় দফায় সময় বাড়ানোর কারণে নির্মাণ শেষ হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এসব বিশ্রামাগারে রয়েছে শয়নকক্ষ, গোসলখানা, পার্কিং, ক্যানটিন, চিকিৎসাকক্ষ ও বিনোদনকেন্দ্রসহ আধুনিক সব সুবিধা। কিন্তু অবকাঠামো প্রস্তুত হলেও তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। চালকেরা ব্যবহার করতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট চারটি সড়ক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের বিশ্রামাগার ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, শেষ হতে আরও দুই মাস লাগবে। কুমিল্লারটির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। মাগুরারটির প্রকল্প হস্তান্তর ও নির্দেশনা না আসায় কাজ শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এলে হবিগঞ্জেরটির দরপত্র দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।
পণ্যবাহী গাড়িচালকদের জন্য পার্কিং সুবিধাসংবলিত বিশ্রামাগার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে সওজের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব বিশ্রামাগার ইজারা, অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বা বিভাগীয় ব্যবস্থায় তিন বছরের জন্য চালানো যেতে পারে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, তা চূড়ান্ত করতে না পারায় প্রকল্প ঝুলে আছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সভায় কার্যকর সিদ্ধান্ত আসেনি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্রামাগারগুলো ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখানে অনেক পক্ষ জড়িত, তাই ধাপে ধাপে আলোচনা হচ্ছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বিশ্রামাগার দেখতে চাইছেন; একটি দেখানো হয়েছে, বাকিগুলোও দেখানো হবে। যাঁরা এই বিশ্রামাগার ব্যবহার করবেন, তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ না করলে সুফল আসবে না। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি, যেন দ্রুত এগুলো চালু করা যায়।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্রামাগার চালু না হওয়ায় সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্রামাগার তালাবদ্ধ করে রাখা একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে চালকদের জীবন ও সড়ক নিরাপত্তার প্রতি অবহেলার নামান্তর।
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার ৩২(৫) ধারা অনুযায়ী, একজন চালককে দিয়ে একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো যাবে না। এরপর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম দিয়ে আবার ৩ ঘণ্টা গাড়ি চালানো যাবে। তবে দিনে ৮ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি একজন চালককে দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। কার্যকর কোনো বিশ্রামাগার না থাকায় দূরপাল্লার চালকেরা এই ধারার সুবিধা পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, চালকদের দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানো দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি মনোযোগ কমিয়ে দেয়, প্রতিক্রিয়া ধীর করে। ফলে হঠাৎ প্রতিবন্ধকতা, মোড় বা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাতে দূরপাল্লার যাত্রায় এই ঝুঁকি বেশি হয়।
ঢাকা-পঞ্চগড় পথে পণ্যবাহী ট্রাক চালান মো. আলিফ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক চালাতে হয়। মাঝপথে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার মতো জায়গা নেই। অনেক সময় বাধ্য হয়ে ট্রাকের ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়তে হয়। এতে শরীর ভালো থাকে না, আবার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। রাস্তার পাশে নিরাপদ বিশ্রামাগার থাকলে একটু আরামে ঘুমাতে পারতেন, গোসল-খাওয়ার সুবিধা পেতেন, ক্লান্তি কমত। এতে কাজ অনেক সহজ হতো।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চার বিশ্রামাগার তালাবদ্ধ। অবকাঠামো যদি ব্যবহার না হয়, তবে তা উন্নয়ন নয়, অপচয়। সড়ক নিরাপত্তার নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে প্রকল্প চালক ও যাত্রীদের কোনো সুরক্ষা দিতে পারছে না, তা আসলে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন ব্যর্থতার আরেকটি স্পষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার যাত্রায় দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকে। আমার ধারণা, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে চালকদের নিদ্রাহীন গাড়ি চালানো এবং বিশ্রাম না নেওয়ায়। নিদ্রাহীন অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক চালক মাদকও সেবন করেন। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।’

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি। ফলে বিশ্রামাগারগুলোই তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বিশ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালকদের একটানা গাড়ি চালানোর ধকল কমাতে তাঁদের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০১৯ সালে চারটি মহাসড়কে আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। কুমিল্লার নিমসার, সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া, মাগুরার লক্ষ্মীকান্দর ও হবিগঞ্জের জগদীশপুরে ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চালকদের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। এগুলোর নির্মাণকাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নকশা পরিবর্তন, অতিরিক্ত তলা সংযোজন এবং দফায় দফায় সময় বাড়ানোর কারণে নির্মাণ শেষ হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এসব বিশ্রামাগারে রয়েছে শয়নকক্ষ, গোসলখানা, পার্কিং, ক্যানটিন, চিকিৎসাকক্ষ ও বিনোদনকেন্দ্রসহ আধুনিক সব সুবিধা। কিন্তু অবকাঠামো প্রস্তুত হলেও তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। চালকেরা ব্যবহার করতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট চারটি সড়ক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের বিশ্রামাগার ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, শেষ হতে আরও দুই মাস লাগবে। কুমিল্লারটির দরপত্র আহ্বান করা হয়নি, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। মাগুরারটির প্রকল্প হস্তান্তর ও নির্দেশনা না আসায় কাজ শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এলে হবিগঞ্জেরটির দরপত্র দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।
পণ্যবাহী গাড়িচালকদের জন্য পার্কিং সুবিধাসংবলিত বিশ্রামাগার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে সওজের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব বিশ্রামাগার ইজারা, অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বা বিভাগীয় ব্যবস্থায় তিন বছরের জন্য চালানো যেতে পারে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, তা চূড়ান্ত করতে না পারায় প্রকল্প ঝুলে আছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সভায় কার্যকর সিদ্ধান্ত আসেনি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্রামাগারগুলো ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখানে অনেক পক্ষ জড়িত, তাই ধাপে ধাপে আলোচনা হচ্ছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বিশ্রামাগার দেখতে চাইছেন; একটি দেখানো হয়েছে, বাকিগুলোও দেখানো হবে। যাঁরা এই বিশ্রামাগার ব্যবহার করবেন, তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ না করলে সুফল আসবে না। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি, যেন দ্রুত এগুলো চালু করা যায়।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্রামাগার চালু না হওয়ায় সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্রামাগার তালাবদ্ধ করে রাখা একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে চালকদের জীবন ও সড়ক নিরাপত্তার প্রতি অবহেলার নামান্তর।
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার ৩২(৫) ধারা অনুযায়ী, একজন চালককে দিয়ে একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো যাবে না। এরপর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম দিয়ে আবার ৩ ঘণ্টা গাড়ি চালানো যাবে। তবে দিনে ৮ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি একজন চালককে দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। কার্যকর কোনো বিশ্রামাগার না থাকায় দূরপাল্লার চালকেরা এই ধারার সুবিধা পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, চালকদের দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানো দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি মনোযোগ কমিয়ে দেয়, প্রতিক্রিয়া ধীর করে। ফলে হঠাৎ প্রতিবন্ধকতা, মোড় বা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাতে দূরপাল্লার যাত্রায় এই ঝুঁকি বেশি হয়।
ঢাকা-পঞ্চগড় পথে পণ্যবাহী ট্রাক চালান মো. আলিফ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক চালাতে হয়। মাঝপথে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার মতো জায়গা নেই। অনেক সময় বাধ্য হয়ে ট্রাকের ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়তে হয়। এতে শরীর ভালো থাকে না, আবার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। রাস্তার পাশে নিরাপদ বিশ্রামাগার থাকলে একটু আরামে ঘুমাতে পারতেন, গোসল-খাওয়ার সুবিধা পেতেন, ক্লান্তি কমত। এতে কাজ অনেক সহজ হতো।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চার বিশ্রামাগার তালাবদ্ধ। অবকাঠামো যদি ব্যবহার না হয়, তবে তা উন্নয়ন নয়, অপচয়। সড়ক নিরাপত্তার নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে প্রকল্প চালক ও যাত্রীদের কোনো সুরক্ষা দিতে পারছে না, তা আসলে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন ব্যর্থতার আরেকটি স্পষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার যাত্রায় দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকে। আমার ধারণা, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে চালকদের নিদ্রাহীন গাড়ি চালানো এবং বিশ্রাম না নেওয়ায়। নিদ্রাহীন অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক চালক মাদকও সেবন করেন। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৩ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালকদের একটানা বাস বা ট্রাক চালানো। এ জন্য দূরপাল্লার যাত্রায় চালকদের বিশ্রামের সুবিধা দিতে চার মহাসড়কে ২২৭ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারটি বিশ্রামাগার। কিন্তু পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় নির্মাণের ৯ মাস পরও সেগুলো চালু হয়নি।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগে