Ajker Patrika

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

খুরারোগের টিকা কেনায় শতকোটি টাকার দরপত্রে কারসাজি

  • পছন্দের কোম্পানির জন্য রি-টেন্ডার কারসাজি
  • অভিযোগের তির মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তি, ডিজি, পিডির দিকে
  • টিকা কেনায় অনিয়ম খুঁজতে তদন্ত করছে দুদক
সাইফুল মাসুম, ঢাকা 
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, ০৯: ৫৫
খুরারোগের টিকা কেনায় শতকোটি টাকার দরপত্রে কারসাজি

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গরু-মহিষ ও ভেড়া-ছাগলের খুরারোগের ১০০ কোটি টাকার টিকা কেনার দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি সূত্রে বলা হয়েছে, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ‘ওএমসি কোম্পানি’কে টিকা কেনার কাজ দিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে সরাসরি তদবির করেছেন। এ কারণে ওই কোম্পানিকে কাজ দিতে দরপত্রে কিছু কারসাজির আশ্রয় নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকজন ব্যক্তির স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ টিকাটি কেনায় অনিয়ম করা হলে তা দেশের গোটা প্রাণিসম্পদ খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জানা গেছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ‘পিপিআর রোগ নির্মূল এবং খুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় টিকা কেনা হচ্ছে। সে দফায় প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২৩ সালের ১৪ মে। তখন বরাদ্দ ছিল ১২০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের দরপত্রে অংশ নেয় টেকনো ড্রাগস লিমিটেড, জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস—এই তিন কোম্পানি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কর্তাব্যক্তিরা তাঁদের পছন্দের কোম্পানিকে কাজ দিতে ব্যর্থ হয়ে ওই টেন্ডার বাতিল করে দেন।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর টিকা কেনার জন্য আবার দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট। তবে এবার বরাদ্দ ১০০ কোটির মধ্যে রাখা হয়। এবারের দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি কোম্পানি হচ্ছে—বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস, গ্লোবাল ইনস্ট্রুমেন্ট সাপ্লাই লিমিটেড, জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ওএমসি লিমিটেড, টেকনো ড্রাগস লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড ও রেনেটা লিমিটেড। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো জেনটেক (৭৯ কোটি ২৫ লাখ), ওএমসি (৮২ কোটি ৫০ লাখ) এবং রেনেটা (৯৭ কোটি ১৪ লাখ)।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এক প্রভাবশালী সর্বনিম্ন দরদাতাকে উপেক্ষা করে ওএমসিকে কাজ দিতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে তদবির করেন। তাই দরপত্রপ্রক্রিয়া বাতিল করে আবার তা আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

দ্বিতীয় দফা দরপত্রের সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ছিলেন মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। দরপত্র বাতিলের বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকা সরবরাহের দ্বিতীয় দফায় দরপত্রে ত্রুটি থাকায় কোনো প্রতিষ্ঠানকেই কাজ দেওয়া হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম টিকা যাতে ভালো হয় এবং সরকারের অর্থও যাতে সাশ্রয় হয়।’ সাশ্রয়ের কথাই বিবেচনায় থাকলে তৃতীয়বারের দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতার চেয়ে ২০ কোটি টাকা বেশি দরে কেন কাজ দেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্ন করা হলে সাবেক এই ডিজি বলেন, ‘শেষবার আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তাই ও বিষয়ে কথা বলতে চাই না।’

তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর। এতে অংশ নেয় জেনটেক, ওএমসি ও রেনেটা। অভিযোগ, এই দফায় ওএমসি লিমিটেডকে কাজ দিতে দরপত্রের শর্তে কিছু পরিবর্তন আনা এবং নতুন শর্ত যোগ করা হয়েছে। গত বছরের ২৭ আগস্টের টেন্ডারে শর্ত ছিল, টিকার নমুনা জমা দিতে হবে। টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটি বা সাব-টেকনিক্যাল কমিটি তা পরীক্ষা করবে। নমুনা পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত শর্ত (স্পেসিফিকেশন) পূরণ হলে টেন্ডার গ্রহণযোগ্য হবে। তবে ২৩ ডিসেম্বরের টেন্ডারে এই শর্ত বদলে দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ভাইরাস নিউট্রালাইজেশন টেস্টে (ভিএনটি) উত্তীর্ণ হলেই টেন্ডার গ্রহণযোগ্য হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষা হলে টিকার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। আর ভিএনটি পরীক্ষায় মেলে টিকা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যায়ের তথ্য। নতুন টেন্ডারে আরেকটি নতুন শর্ত যুক্ত করা হয়। তা হচ্ছে, উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের টিকা কমপক্ষে ৩টি এশীয় দেশে রপ্তানি বা ব্যবহৃত হওয়ার প্রামাণ্য দলিল টেন্ডার নথির সঙ্গে জমা দিতে হবে। বিষয়টি ওএমসির সঙ্গে মিলে যায়। এ কোম্পানিকে টিকা সরবরাহ করে আর্জেন্টিনার ‘বায়োজেনেসিস বাগো’ নামের প্রতিষ্ঠান। তারা এশিয়ার তিনটির বেশি দেশে এই টিকা সরবরাহ করে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন দরদাতা জেনটেক চীনের চায়না অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রি কো. লিমিটেড (সিএএইচআইসি) থেকে টিকা সরবরাহের কথা জানিয়েছে।

তৃতীয়বারের টেন্ডারে জেনটেক খুরারোগের (এফএমডি) ১ কোটি ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৪ ডোজ টিকা সরবরাহে সর্বনিম্ন ৭৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার দর দেয়। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর ৯৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা দেয় ওএমসি এবং রেনেটা ৯৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা দর দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকে। কিন্তু দ্বিতীয় দফার টেন্ডারের চেয়ে ১৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বেশি দর দিয়েও সরবরাহের কাজ পেয়েছে ওএমসি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কয়েকটি সূত্র অভিযোগ করেছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিটির তদবিরের প্রভাবে ওএমসির পক্ষে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু সুফিয়ান।

এ প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে জানতে অধিদপ্তরের ডিজির দপ্তরে গেলে তিনি টিকা বিষয়ে কথা বলতে চান না বলে জানান। অন্যদিকে বেশি দর দেওয়ার পরও সরবরাহের কাজ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওএমসি লিমিটেডের মালিক এম এ মান্নান ভূঁইয়া মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় আমরা দ্বিতীয়বার দর বাড়িয়ে দিয়েছি। বিশেষ একজন ব্যক্তিকে জড়িয়ে অনিয়মের যেসব বিষয় বলা হচ্ছে, সেসব বিষয়ে আমার জানা নেই।’ প্রাণিসম্পদ খাতে টিকা সরবরাহে তার কোম্পানির আগের কোনো অভিজ্ঞতা আছে কি না, জানতে চাইলে মান্নান ভূঁইয়া আর কথা বলতে চাননি।

দরপত্রসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু টিকায় নির্দিষ্ট একটি উপাদান থাকার যুক্তি দিয়ে জেনটেককে দরপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য টিকায় অ্যাডজুভেন্ট নামের উপাদান মেশানো হয়। ওএমসি তাদের টিকার সঙ্গে স্যাপোনিন অ্যাডজুভেন্ট সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে জেনটেক বলেছে সেপিক অ্যাডজুভেন্ট সরবরাহ করার কথা।

টিকার মান যাচাইয়ে টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটি বা সাব-টেকনিক্যাল কমিটি করা হলেও বলা হচ্ছে তা মূলত লোক দেখানো। অভিযোগ, সব কারসাজি করেছেন প্রকল্প পরিচালক অমর জ্যোতি চাকমা। কারণ, ওই সব কমিটিতে এমন ব্যক্তিদেরও রাখা হয়েছে, যাঁদের টিকা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও নেই। টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটির একজন হলেন মন্ত্রণালয়ের আইটি বিভাগের সিস্টেম অ্যানালিস্ট ইলিয়াস হোসেন। টিকার মান যাচাই প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এদিকে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ‘বায়োজেনেসিস বাগো’ কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করতে আর্জেন্টিনা ভ্রমণ করেছে পিপিআর রোগ নির্মূল এবং খুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ সাব-টেকনিক্যাল কমিটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। এই ভ্রমণের পুরো খরচ বহন করেছে টিকা সরবরাহের কাজ পাওয়া ওএমসি লিমিটেড। অথচ ঠিকাদার বা সরবরাহকারীর টাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্দেশনা রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রকল্প দপ্তরে একাধিকবার গিয়েও প্রকল্প পরিচালক অমর জ্যোতি চাকমাকে পাওয়া যায়নি। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তাঁর তিনটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ পাওয়া গেছে।

টিকা বিশেষজ্ঞরা বলেন, পৃথিবীর অঞ্চলভেদে ভাইরাসের জিনগত বংশ বা স্ট্রেন আলাদা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় উপমহাদেশ বা এশিয়া অঞ্চলে বিদ্যমান ভাইরাসের সঙ্গে মিল রেখে টিকা আনা জরুরি। অন্য দূরবর্তী অঞ্চলের টিকা কতটা কার্যকর, তা আগে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পশুদের টিকা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. নিতীশ চন্দ্র দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে যে ভাইরাস আছে, তার সঙ্গে মিল রেখে টিকা আনতে হবে। তা না হলে টিকা কাজ করবে না।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারকে একাধিকবার কল করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকা কেনার টেন্ডারপ্রক্রিয়া নিয়ম মেনে করা হয়েছে। সাব-টেকনিক্যাল কমিটি যে টিকার কার্যকারিতা আছে, সেটাই কেনার জন্য সুপারিশ জানিয়েছে। এসব প্রক্রিয়ায় প্রভাবশালী কারও ভূমিকা আছে কি না, তা আমার জানা নেই।’

টিকা কেনায় সম্ভাব্য অনিয়ম ও দুর্নীতির এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দুদকের একটি দল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্প পরিচালক অনুপস্থিত থাকায় অধিদপ্তরের এক পরিচালকের (প্রশাসন) সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে দুদক টিম কথা বলেছে। তারা সংশ্লিষ্ট কিছু নথি সংগ্রহ করেছে। এ বিষয়ে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোট দিতে ১১ লাখ নিবন্ধন, ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়াল ইসি

বাসস, ঢাকা  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।

প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান

প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।

দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন

দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।

ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম

প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।

নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় এসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তানের স্পিকারের কুশল বিনিময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৩
আজ বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ছবি: প্রেস উইং
আজ বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ছবি: প্রেস উইং

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।

আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৫ সালজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ‘মব সন্ত্রাস’: আইন ও সালিশ কেন্দ্র

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
২০২৫ সালজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ‘মব সন্ত্রাস’: আইন ও সালিশ কেন্দ্র

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।

আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।

আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।

আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।

আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।

আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্পিকার ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৮
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।

এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত