উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে মালিকানা। সমস্ত ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। জনগণই ক্ষমতার কেন্দ্র। উৎস বলতে বোঝায়, আপনি (জনগণ) ক্ষমতা দিলেন, আরেকজন চালাবার জন্য। আপনি (জনগণ) মালিকানা দেন না, ম্যানেজারি করার ক্ষমতা দেন।’
রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন হলে আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা প্রতিনিধি সভায় অতিথি আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের এই অধ্যাপক বলেন, ‘রাষ্ট্রে যারা সংসদে নির্বাচিত হন, তাঁরা হচ্ছেন বড়জোর ম্যানেজার। মালিকেরা তাঁদের নিয়োগ দেন। তাঁরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করেন, মালিকের অধিকার আছে, তাঁকে চাকরিচ্যুত করার, বরখাস্ত করার। বাংলাদেশের সংবিধানের নিয়ম হচ্ছে পাঁচ বছর। যদি সে পাঁচ বছরের মধ্যেই দায়িত্ব থেকে অবহেলা করে, বেইমানি করে তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা জনগণ রাখে। এটাই হচ্ছে সার্বভৌমত্ব।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব হচ্ছে অবিভক্ত অখণ্ড। বাংলাদেশের ১৮ কোটি লোক মিলে সার্বভৌমত্ব। একজনের ওপর, দুজনের ওপর সার্বভৌমত্ব হয় না। কিন্তু আমরা কার্যত এক ব্যক্তির হাতে, এক পরিবারের হাতে ন্যস্ত করেছিলাম। এটা হচ্ছে আমাদের ঐতিহাসিক ভুল অথবা ব্যর্থতা। সার্বভৌমত্ব জিনিসটা যেমন বিক্রয় করা যায় না, কারও হাতে তুলেও দেওয়া যায় না। সেই জন্যে সংসদ নির্বাচন করা হয় বিশেষ কিছু কাজ দেওয়ার জন্য, মালিক হওয়ার জন্য নয়। যেটা দেওয়া হয়, নির্দিষ্টকালীন শাসনের ভার।’
গণ বুদ্ধিজীবি সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘যেটা না হলে বাংলাদেশ গঠিত হয় না। ঘটনাটা ঘটে গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। সংবিধান লিখে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর সংবিধান লেখার দায়িত্ব বা ক্ষমতা এসেছিল। সেটার আমরা অপব্যবহার করেছি। উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে, ১৯৭২ সালে যে সংবিধান লেখা হয়েছিল, বর্তমানে তা অজ্ঞান অবস্থায় আছে। ওই সংবিধানের মূল সমস্যা হল তিন ভাগ। জনগণের অধিকার (প্রস্তাবনা আকারে আছে), রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি ও মৌলিক অধিকার। সংবিধানের বাকি পাঁচ ভাগের প্রথমেই আছে আমলাতন্ত্রের শাসন। যেটার প্রথমে আছে নির্বাহী বিভাগ। প্রধান আমলা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের গোড়াতেই আছে, আমলাতন্ত্রের অপ্রতিহত ক্ষমতা। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা তারপরে দেওয়া হয়েছে। যার নাম হচ্ছে সংসদ বা আইন আইনসভা। তৃতীয় ভাগে রয়েছে বিচার বিভাগ। বাকিগুলো সংবিধানে না থাকলেও চলতো, অন্য আইনে হলেও হতো।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচিত সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব হচ্ছে, বিচার বিভাগকে স্বাধীন হতে হবে। কিন্তু তার আগে তো আইনসভাকে কর্তৃত্ব দিতে হবে। তাঁর প্রতিনিধি স্থাপন করতে হবে সরকার, শাসন বিভাগ ও আমলাতন্ত্রকে। কিন্তু যদি বলেন, সার্বক্ষণিক কাউন্সিল তৈরি করবেন, সেটা হচ্ছে মূল সমস্যা বুঝতে না পারার ক্ষমতা। আপনি বুঝতে পারছেন না, সেটাই ক্ষমতা আকারে প্রকাশ করছেন। যা সরকার না থাকলেও রাষ্ট্রকে সার্বক্ষণিক পাহারা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে জনগণ সার্বভৌমত্বের মালিক, তাঁরা যদি সর্বক্ষণ ক্ষমতায় থাকে, তাহলে তাঁদের ভোটেই যারা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা হচ্ছেন আইনসভা। রাষ্ট্র হচ্ছে সকলের। আর সরকার হচ্ছে নির্দিষ্ট মেয়াদে জনগণ কর্তৃক নিয়োজিত। ঢাকা-১, ঢাকা-২, কুষ্টিয়া-১, কুষ্টিয়া-২ আসন এভাবে করেন কেন? একটি নির্দিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক লোকেরা একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন, সারা দেশে যদি ৩০০ হয়, তাঁরা মিলে সংসদ গঠন করেন। তাহলে এক স্থানের জনপ্রতিনিধি কীভাবে গোটা জাতির আইন প্রণয়ন করেন?’
লেখক ও চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ বলেন, ‘এদিকে যারা একবার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা সেটাকে বাড়িয়ে দশ বছর করেন, দশ বছরকে বাড়িয়ে পঞ্চাশ বছর করে, পঞ্চাশ বছরকে বাড়ানোর চেষ্টায় তাঁদের হঠাৎ পতন হয়। টানতে টানতে একসময় ছিঁড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব যত দিন আছে, তত দিন তাঁর মালিক জনগণ। আমরা মাঝে মাঝে সরকার নিয়োগ করব। সরকার যদি আইন ভঙ্গ করে অথবা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তাঁকে আমরা সরিয়ে ফেলব। সংবিধান প্রণয়ন করা হচ্ছে জনগণের প্রতিনিধিদের কাজ। প্রধান সমস্যা হচ্ছে জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী সংবিধান হবে কি-না? ছাত্র-জনতা যেভাবে চাইবে সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অধ্যাপক বলেন, ‘একটি দেশ যদি রাজনীতির ওপরে চলে, তাহলে রাজনৈতিক দল অপরিহার্য। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাজনৈতিক দল ছাড়া চলে না। এখন যেগুলো বিদ্যমান রাজনৈতিক দল আছে, তাঁদের মধ্যে একটু সংশয় দেখা দিয়েছে, যে তরুণ ছাত্ররা যদি তাদের নীতিতে দল গঠন করে, তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে?’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের উদ্দেশেই বলতে চাই, যদি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অনেক রাজনৈতিক দল লাগবে। একটি রাজনৈতিক দল ঠিকমতো দেশ চালাচ্ছে কি না, সেটি পাহারা দেওয়ার জন্যও আরেকটি রাজনৈতিক দল দরকার। যারাই ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা যদি জনগণের কাছে জবাবদিহির বাধ্য না হোন, তাহলে তারা বিপথগামী হবে, যেটা প্রায় ৯০ ভাগ নিশ্চিত করে বলা যায়। কারণ ইতিহাস সাক্ষী আছে। আমরা কোনো ধরনের রাষ্ট্র গঠন করব, আমাদের রাজনৈতিক দলকে সেই রকম হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের মাঝে মানুষের কোনো বৈষম্য থাকবে না, অপমান, শোষণ ও নির্যাতন করা হয়েছিল, সেটার অবসান হবে। সেই কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু যে অঙ্গীকার ছিল, সেটা আমরা গত ৫৩-৫৪ বছরে পালন করতে পারি নাই। সমাজে যখন ন্যায়বিচারের অভাব দেখা দেয়, তখন গণতন্ত্র-সাম্য অবরুদ্ধ হয়, আর বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।’
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশের বৈষম্য বেড়েছে, মানবিক মর্যাদার জায়গায় অপমান, নির্যাতন, ঘুম এবং অপহরণ, নরহত্যা সবই পর্যায়ক্রমে ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারগুলো আমরা ৫৩ বছরে পাই নাই। এবার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের আন্দোলনে। সেই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব কিনা, তার পরীক্ষার মুখে আমরা।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাইনুল আহসান খান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি যুদ্ধ হতো, তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। আবার বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি আন্দোলন হতো তাহলে বিপ্লব হতো না। আইন হচ্ছে যত অন্যায় অবিচার রয়েছে, তা প্রতিহতের জন্য। আর আমাদের দেশের আইন হলো, যত অন্যায়-অবিচার রয়েছে তা রক্ষা করার জন্য। লক্ষ্য করবেন, যাদের কোনো উপায় নেই, আইন সব সময় তাদেরই নিপীড়ন করে, শোষণ করে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে মালিকানা। সমস্ত ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। জনগণই ক্ষমতার কেন্দ্র। উৎস বলতে বোঝায়, আপনি (জনগণ) ক্ষমতা দিলেন, আরেকজন চালাবার জন্য। আপনি (জনগণ) মালিকানা দেন না, ম্যানেজারি করার ক্ষমতা দেন।’
রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন হলে আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা প্রতিনিধি সভায় অতিথি আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের এই অধ্যাপক বলেন, ‘রাষ্ট্রে যারা সংসদে নির্বাচিত হন, তাঁরা হচ্ছেন বড়জোর ম্যানেজার। মালিকেরা তাঁদের নিয়োগ দেন। তাঁরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করেন, মালিকের অধিকার আছে, তাঁকে চাকরিচ্যুত করার, বরখাস্ত করার। বাংলাদেশের সংবিধানের নিয়ম হচ্ছে পাঁচ বছর। যদি সে পাঁচ বছরের মধ্যেই দায়িত্ব থেকে অবহেলা করে, বেইমানি করে তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা জনগণ রাখে। এটাই হচ্ছে সার্বভৌমত্ব।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব হচ্ছে অবিভক্ত অখণ্ড। বাংলাদেশের ১৮ কোটি লোক মিলে সার্বভৌমত্ব। একজনের ওপর, দুজনের ওপর সার্বভৌমত্ব হয় না। কিন্তু আমরা কার্যত এক ব্যক্তির হাতে, এক পরিবারের হাতে ন্যস্ত করেছিলাম। এটা হচ্ছে আমাদের ঐতিহাসিক ভুল অথবা ব্যর্থতা। সার্বভৌমত্ব জিনিসটা যেমন বিক্রয় করা যায় না, কারও হাতে তুলেও দেওয়া যায় না। সেই জন্যে সংসদ নির্বাচন করা হয় বিশেষ কিছু কাজ দেওয়ার জন্য, মালিক হওয়ার জন্য নয়। যেটা দেওয়া হয়, নির্দিষ্টকালীন শাসনের ভার।’
গণ বুদ্ধিজীবি সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘যেটা না হলে বাংলাদেশ গঠিত হয় না। ঘটনাটা ঘটে গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। সংবিধান লিখে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর সংবিধান লেখার দায়িত্ব বা ক্ষমতা এসেছিল। সেটার আমরা অপব্যবহার করেছি। উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে, ১৯৭২ সালে যে সংবিধান লেখা হয়েছিল, বর্তমানে তা অজ্ঞান অবস্থায় আছে। ওই সংবিধানের মূল সমস্যা হল তিন ভাগ। জনগণের অধিকার (প্রস্তাবনা আকারে আছে), রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি ও মৌলিক অধিকার। সংবিধানের বাকি পাঁচ ভাগের প্রথমেই আছে আমলাতন্ত্রের শাসন। যেটার প্রথমে আছে নির্বাহী বিভাগ। প্রধান আমলা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের গোড়াতেই আছে, আমলাতন্ত্রের অপ্রতিহত ক্ষমতা। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা তারপরে দেওয়া হয়েছে। যার নাম হচ্ছে সংসদ বা আইন আইনসভা। তৃতীয় ভাগে রয়েছে বিচার বিভাগ। বাকিগুলো সংবিধানে না থাকলেও চলতো, অন্য আইনে হলেও হতো।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচিত সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব হচ্ছে, বিচার বিভাগকে স্বাধীন হতে হবে। কিন্তু তার আগে তো আইনসভাকে কর্তৃত্ব দিতে হবে। তাঁর প্রতিনিধি স্থাপন করতে হবে সরকার, শাসন বিভাগ ও আমলাতন্ত্রকে। কিন্তু যদি বলেন, সার্বক্ষণিক কাউন্সিল তৈরি করবেন, সেটা হচ্ছে মূল সমস্যা বুঝতে না পারার ক্ষমতা। আপনি বুঝতে পারছেন না, সেটাই ক্ষমতা আকারে প্রকাশ করছেন। যা সরকার না থাকলেও রাষ্ট্রকে সার্বক্ষণিক পাহারা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে জনগণ সার্বভৌমত্বের মালিক, তাঁরা যদি সর্বক্ষণ ক্ষমতায় থাকে, তাহলে তাঁদের ভোটেই যারা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা হচ্ছেন আইনসভা। রাষ্ট্র হচ্ছে সকলের। আর সরকার হচ্ছে নির্দিষ্ট মেয়াদে জনগণ কর্তৃক নিয়োজিত। ঢাকা-১, ঢাকা-২, কুষ্টিয়া-১, কুষ্টিয়া-২ আসন এভাবে করেন কেন? একটি নির্দিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক লোকেরা একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন, সারা দেশে যদি ৩০০ হয়, তাঁরা মিলে সংসদ গঠন করেন। তাহলে এক স্থানের জনপ্রতিনিধি কীভাবে গোটা জাতির আইন প্রণয়ন করেন?’
লেখক ও চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ বলেন, ‘এদিকে যারা একবার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা সেটাকে বাড়িয়ে দশ বছর করেন, দশ বছরকে বাড়িয়ে পঞ্চাশ বছর করে, পঞ্চাশ বছরকে বাড়ানোর চেষ্টায় তাঁদের হঠাৎ পতন হয়। টানতে টানতে একসময় ছিঁড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব যত দিন আছে, তত দিন তাঁর মালিক জনগণ। আমরা মাঝে মাঝে সরকার নিয়োগ করব। সরকার যদি আইন ভঙ্গ করে অথবা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তাঁকে আমরা সরিয়ে ফেলব। সংবিধান প্রণয়ন করা হচ্ছে জনগণের প্রতিনিধিদের কাজ। প্রধান সমস্যা হচ্ছে জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী সংবিধান হবে কি-না? ছাত্র-জনতা যেভাবে চাইবে সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অধ্যাপক বলেন, ‘একটি দেশ যদি রাজনীতির ওপরে চলে, তাহলে রাজনৈতিক দল অপরিহার্য। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাজনৈতিক দল ছাড়া চলে না। এখন যেগুলো বিদ্যমান রাজনৈতিক দল আছে, তাঁদের মধ্যে একটু সংশয় দেখা দিয়েছে, যে তরুণ ছাত্ররা যদি তাদের নীতিতে দল গঠন করে, তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে?’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের উদ্দেশেই বলতে চাই, যদি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অনেক রাজনৈতিক দল লাগবে। একটি রাজনৈতিক দল ঠিকমতো দেশ চালাচ্ছে কি না, সেটি পাহারা দেওয়ার জন্যও আরেকটি রাজনৈতিক দল দরকার। যারাই ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা যদি জনগণের কাছে জবাবদিহির বাধ্য না হোন, তাহলে তারা বিপথগামী হবে, যেটা প্রায় ৯০ ভাগ নিশ্চিত করে বলা যায়। কারণ ইতিহাস সাক্ষী আছে। আমরা কোনো ধরনের রাষ্ট্র গঠন করব, আমাদের রাজনৈতিক দলকে সেই রকম হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের মাঝে মানুষের কোনো বৈষম্য থাকবে না, অপমান, শোষণ ও নির্যাতন করা হয়েছিল, সেটার অবসান হবে। সেই কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু যে অঙ্গীকার ছিল, সেটা আমরা গত ৫৩-৫৪ বছরে পালন করতে পারি নাই। সমাজে যখন ন্যায়বিচারের অভাব দেখা দেয়, তখন গণতন্ত্র-সাম্য অবরুদ্ধ হয়, আর বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।’
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশের বৈষম্য বেড়েছে, মানবিক মর্যাদার জায়গায় অপমান, নির্যাতন, ঘুম এবং অপহরণ, নরহত্যা সবই পর্যায়ক্রমে ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারগুলো আমরা ৫৩ বছরে পাই নাই। এবার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের আন্দোলনে। সেই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব কিনা, তার পরীক্ষার মুখে আমরা।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাইনুল আহসান খান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি যুদ্ধ হতো, তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। আবার বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি আন্দোলন হতো তাহলে বিপ্লব হতো না। আইন হচ্ছে যত অন্যায় অবিচার রয়েছে, তা প্রতিহতের জন্য। আর আমাদের দেশের আইন হলো, যত অন্যায়-অবিচার রয়েছে তা রক্ষা করার জন্য। লক্ষ্য করবেন, যাদের কোনো উপায় নেই, আইন সব সময় তাদেরই নিপীড়ন করে, শোষণ করে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
১১ মিনিট আগে
তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-উত্তর দুর্নীতি কমানো যাবে না। কারণ এই ব্যয় পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা নিবন্ধন করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকেরা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতার দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন। জবাবে শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। তবে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এদিকে একই সংবাদ সম্মেলনে ওসমান হাদির খুনের মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত করছে। পুলিশসহ সব নিরাপত্তা সংস্থা এ বিষয়ে কাজ করছে।’ তিনি জানান, মূল সন্দেহভাজন না হলেও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আশপাশের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। সরকার তদন্তে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘সরকার এ ঘটনায় সিরিয়াসভাবে তদন্ত করছে এবং আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এর বিচার হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরকার তাঁর দেশে ফেরাকে স্বাগত জানায়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁর দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তারা যতটুকু সহযোগিতা চাচ্ছেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি জানান, তাঁর দলের পক্ষ থেকেই মূলত নিরাপত্তা বিষয়টি দেখা হচ্ছে, তবে সরকার প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘দীপু চন্দ্র দাস ও ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করে মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, দীপু চন্দ্র দাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে এসব মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকেরা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতার দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন। জবাবে শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। তবে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এদিকে একই সংবাদ সম্মেলনে ওসমান হাদির খুনের মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত করছে। পুলিশসহ সব নিরাপত্তা সংস্থা এ বিষয়ে কাজ করছে।’ তিনি জানান, মূল সন্দেহভাজন না হলেও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আশপাশের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। সরকার তদন্তে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘সরকার এ ঘটনায় সিরিয়াসভাবে তদন্ত করছে এবং আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এর বিচার হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরকার তাঁর দেশে ফেরাকে স্বাগত জানায়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁর দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তারা যতটুকু সহযোগিতা চাচ্ছেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি জানান, তাঁর দলের পক্ষ থেকেই মূলত নিরাপত্তা বিষয়টি দেখা হচ্ছে, তবে সরকার প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘দীপু চন্দ্র দাস ও ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করে মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, দীপু চন্দ্র দাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে এসব মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে ম
২২ জানুয়ারি ২০২৫
তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-উত্তর দুর্নীতি কমানো যাবে না। কারণ এই ব্যয় পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা নিবন্ধন করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতি কমানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-উত্তর দুর্নীতি কমানো যাবে না। কারণ এই ব্যয় পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ বুধবার আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এ বৈঠকের আয়োজন করে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ের যে দায়িত্ব আছে, দুই ক্ষেত্রেই তা অবহেলা করা হচ্ছে। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের কোনো প্রক্রিয়া হলো না এবং এটা আমরা পারলাম না, সে কারণে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন তার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে কি না–এটা এখন দেখার বিষয়।’
তিনি বলেন, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিফর্ম ট্র্যাকার নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে; যেখানে নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, মিডিয়া এবং শ্রমসহ মোট ১৮টি ডোমেইনের সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচন সংক্রান্ত প্রায় ৫০টি ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৩১টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র দুটি বাস্তবায়নের পর্যায়ে আছে। একটি হলো জেন্ডার গ্যাপ কমানো এবং অন্যটি নির্বাচনের প্রাক্কালে যারা ১৮ বছরে উপনীত হবেন, তারা যাতে ভোটার তালিকায় যুক্ত থাকতে পারেন, সেটার ব্যবস্থা করা।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নির্বাচনই এখন চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রধান স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে–নির্বাচন আদৌ হবে কি না বা হলেও এর গুণমান কেমন হবে। কয়টা বুথ দখল হলে বা কত শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে–এমন প্রশ্ন সবার। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সূচক কী হবে এবং ‘অংশগ্রহণমূলক’ ও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দ দুটির প্রকৃত অর্থ কী, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এ শব্দগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা না থাকলে নির্বাচনের গুণমান নিয়ে পরবর্তী সময়ে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সরকারের এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।
বৈঠকে সুজনের সম্পাদক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিচারপতি এম এ মতিন, ইসির সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি প্রমুখ।

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতি কমানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-উত্তর দুর্নীতি কমানো যাবে না। কারণ এই ব্যয় পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ বুধবার আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এ বৈঠকের আয়োজন করে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ের যে দায়িত্ব আছে, দুই ক্ষেত্রেই তা অবহেলা করা হচ্ছে। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের কোনো প্রক্রিয়া হলো না এবং এটা আমরা পারলাম না, সে কারণে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন তার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে কি না–এটা এখন দেখার বিষয়।’
তিনি বলেন, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিফর্ম ট্র্যাকার নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে; যেখানে নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, মিডিয়া এবং শ্রমসহ মোট ১৮টি ডোমেইনের সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচন সংক্রান্ত প্রায় ৫০টি ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৩১টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র দুটি বাস্তবায়নের পর্যায়ে আছে। একটি হলো জেন্ডার গ্যাপ কমানো এবং অন্যটি নির্বাচনের প্রাক্কালে যারা ১৮ বছরে উপনীত হবেন, তারা যাতে ভোটার তালিকায় যুক্ত থাকতে পারেন, সেটার ব্যবস্থা করা।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নির্বাচনই এখন চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রধান স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে–নির্বাচন আদৌ হবে কি না বা হলেও এর গুণমান কেমন হবে। কয়টা বুথ দখল হলে বা কত শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে–এমন প্রশ্ন সবার। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সূচক কী হবে এবং ‘অংশগ্রহণমূলক’ ও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দ দুটির প্রকৃত অর্থ কী, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এ শব্দগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা না থাকলে নির্বাচনের গুণমান নিয়ে পরবর্তী সময়ে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সরকারের এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।
বৈঠকে সুজনের সম্পাদক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিচারপতি এম এ মতিন, ইসির সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি প্রমুখ।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে ম
২২ জানুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
১১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা নিবন্ধন করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপোস্টাল ভোট
বাসস, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা নিবন্ধন করছেন।
ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।
পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ নিবন্ধনকারী প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবের। দেশটি থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়। এরপর গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।
এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।
আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তাঁর ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী ভোটাররা যে দেশ থেকে ভোট দেবেন, অবশ্যই সে দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।
অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।
জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।
আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ। এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
ইসি জানায়, পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে নিবন্ধনের সময় ভোটারের অবস্থানকালীন দেশের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে হবে। প্রয়োজনে কর্মস্থল বা পরিচিতজনের ঠিকানাও ব্যবহার করা যাবে। তবে ভুল ঠিকানা দিলে ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা নিবন্ধন করছেন।
ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।
পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ নিবন্ধনকারী প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবের। দেশটি থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়। এরপর গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।
এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।
আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তাঁর ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী ভোটাররা যে দেশ থেকে ভোট দেবেন, অবশ্যই সে দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।
অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।
জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।
আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ। এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
ইসি জানায়, পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে নিবন্ধনের সময় ভোটারের অবস্থানকালীন দেশের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে হবে। প্রয়োজনে কর্মস্থল বা পরিচিতজনের ঠিকানাও ব্যবহার করা যাবে। তবে ভুল ঠিকানা দিলে ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে ম
২২ জানুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
১১ মিনিট আগে
তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-উত্তর দুর্নীতি কমানো যাবে না। কারণ এই ব্যয় পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মামুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ রাখা হয়েছে।
আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, আসাদুল্লাহ বা আতাউর নামেও পরিচিত। তাঁর বাবার নাম হুমায়ুন সর্দার, মা রোকেয়া বেগম।
আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার আমতলী গ্রামে। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ইস্তা গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল হুনাফা আল মুসলিমিন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ)। এ ছাড়া হুনাফা ইসলামীক স্কুলেরও প্রিন্সিপাল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ঝিকরগাছা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা এফআইআর (নং- ১৮ / ৭৭)-এর এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।
মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। রাজধানীতেও বিভিন্ন আন্দোলন বিক্ষোভের সময় তাঁকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, আতাউর রহমান, আযাদী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও পদে রয়েছেন।
গত অক্টোবরে গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলায় হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। একই মাসে গাজীপুরের একটি মসজিদের ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর কথিত ‘অপহরণ’ ঘটনা সারা দেশে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। দুটি ঘটনা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর ছিলেন আতাউর রহমান। এ দুটি বিষয় নিয়ে সশরীরে থানা-পুলিশ করেন তিনি। যদিও মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর ঘটনাটি পরে ‘অপহরণ’ নয় বলে জানায় পুলিশ।
সর্ব সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভের একটি অংশে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। যদিও অন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখায় তিনি মাঝপথে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে চলে যান।

আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মামুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ রাখা হয়েছে।
আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, আসাদুল্লাহ বা আতাউর নামেও পরিচিত। তাঁর বাবার নাম হুমায়ুন সর্দার, মা রোকেয়া বেগম।
আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার আমতলী গ্রামে। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ইস্তা গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল হুনাফা আল মুসলিমিন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ)। এ ছাড়া হুনাফা ইসলামীক স্কুলেরও প্রিন্সিপাল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ঝিকরগাছা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা এফআইআর (নং- ১৮ / ৭৭)-এর এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।
মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। রাজধানীতেও বিভিন্ন আন্দোলন বিক্ষোভের সময় তাঁকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, আতাউর রহমান, আযাদী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও পদে রয়েছেন।
গত অক্টোবরে গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলায় হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। একই মাসে গাজীপুরের একটি মসজিদের ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর কথিত ‘অপহরণ’ ঘটনা সারা দেশে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। দুটি ঘটনা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর ছিলেন আতাউর রহমান। এ দুটি বিষয় নিয়ে সশরীরে থানা-পুলিশ করেন তিনি। যদিও মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর ঘটনাটি পরে ‘অপহরণ’ নয় বলে জানায় পুলিশ।
সর্ব সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভের একটি অংশে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। যদিও অন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখায় তিনি মাঝপথে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে চলে যান।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে ম
২২ জানুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
১১ মিনিট আগে
তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-উত্তর দুর্নীতি কমানো যাবে না। কারণ এই ব্যয় পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা নিবন্ধন করছেন।
১ ঘণ্টা আগে