উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে মালিকানা। সমস্ত ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। জনগণই ক্ষমতার কেন্দ্র। উৎস বলতে বোঝায়, আপনি (জনগণ) ক্ষমতা দিলেন, আরেকজন চালাবার জন্য। আপনি (জনগণ) মালিকানা দেন না, ম্যানেজারি করার ক্ষমতা দেন।’
রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন হলে আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা প্রতিনিধি সভায় অতিথি আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের এই অধ্যাপক বলেন, ‘রাষ্ট্রে যারা সংসদে নির্বাচিত হন, তাঁরা হচ্ছেন বড়জোর ম্যানেজার। মালিকেরা তাঁদের নিয়োগ দেন। তাঁরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করেন, মালিকের অধিকার আছে, তাঁকে চাকরিচ্যুত করার, বরখাস্ত করার। বাংলাদেশের সংবিধানের নিয়ম হচ্ছে পাঁচ বছর। যদি সে পাঁচ বছরের মধ্যেই দায়িত্ব থেকে অবহেলা করে, বেইমানি করে তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা জনগণ রাখে। এটাই হচ্ছে সার্বভৌমত্ব।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব হচ্ছে অবিভক্ত অখণ্ড। বাংলাদেশের ১৮ কোটি লোক মিলে সার্বভৌমত্ব। একজনের ওপর, দুজনের ওপর সার্বভৌমত্ব হয় না। কিন্তু আমরা কার্যত এক ব্যক্তির হাতে, এক পরিবারের হাতে ন্যস্ত করেছিলাম। এটা হচ্ছে আমাদের ঐতিহাসিক ভুল অথবা ব্যর্থতা। সার্বভৌমত্ব জিনিসটা যেমন বিক্রয় করা যায় না, কারও হাতে তুলেও দেওয়া যায় না। সেই জন্যে সংসদ নির্বাচন করা হয় বিশেষ কিছু কাজ দেওয়ার জন্য, মালিক হওয়ার জন্য নয়। যেটা দেওয়া হয়, নির্দিষ্টকালীন শাসনের ভার।’
গণ বুদ্ধিজীবি সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘যেটা না হলে বাংলাদেশ গঠিত হয় না। ঘটনাটা ঘটে গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। সংবিধান লিখে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর সংবিধান লেখার দায়িত্ব বা ক্ষমতা এসেছিল। সেটার আমরা অপব্যবহার করেছি। উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে, ১৯৭২ সালে যে সংবিধান লেখা হয়েছিল, বর্তমানে তা অজ্ঞান অবস্থায় আছে। ওই সংবিধানের মূল সমস্যা হল তিন ভাগ। জনগণের অধিকার (প্রস্তাবনা আকারে আছে), রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি ও মৌলিক অধিকার। সংবিধানের বাকি পাঁচ ভাগের প্রথমেই আছে আমলাতন্ত্রের শাসন। যেটার প্রথমে আছে নির্বাহী বিভাগ। প্রধান আমলা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের গোড়াতেই আছে, আমলাতন্ত্রের অপ্রতিহত ক্ষমতা। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা তারপরে দেওয়া হয়েছে। যার নাম হচ্ছে সংসদ বা আইন আইনসভা। তৃতীয় ভাগে রয়েছে বিচার বিভাগ। বাকিগুলো সংবিধানে না থাকলেও চলতো, অন্য আইনে হলেও হতো।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচিত সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব হচ্ছে, বিচার বিভাগকে স্বাধীন হতে হবে। কিন্তু তার আগে তো আইনসভাকে কর্তৃত্ব দিতে হবে। তাঁর প্রতিনিধি স্থাপন করতে হবে সরকার, শাসন বিভাগ ও আমলাতন্ত্রকে। কিন্তু যদি বলেন, সার্বক্ষণিক কাউন্সিল তৈরি করবেন, সেটা হচ্ছে মূল সমস্যা বুঝতে না পারার ক্ষমতা। আপনি বুঝতে পারছেন না, সেটাই ক্ষমতা আকারে প্রকাশ করছেন। যা সরকার না থাকলেও রাষ্ট্রকে সার্বক্ষণিক পাহারা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে জনগণ সার্বভৌমত্বের মালিক, তাঁরা যদি সর্বক্ষণ ক্ষমতায় থাকে, তাহলে তাঁদের ভোটেই যারা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা হচ্ছেন আইনসভা। রাষ্ট্র হচ্ছে সকলের। আর সরকার হচ্ছে নির্দিষ্ট মেয়াদে জনগণ কর্তৃক নিয়োজিত। ঢাকা-১, ঢাকা-২, কুষ্টিয়া-১, কুষ্টিয়া-২ আসন এভাবে করেন কেন? একটি নির্দিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক লোকেরা একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন, সারা দেশে যদি ৩০০ হয়, তাঁরা মিলে সংসদ গঠন করেন। তাহলে এক স্থানের জনপ্রতিনিধি কীভাবে গোটা জাতির আইন প্রণয়ন করেন?’
লেখক ও চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ বলেন, ‘এদিকে যারা একবার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা সেটাকে বাড়িয়ে দশ বছর করেন, দশ বছরকে বাড়িয়ে পঞ্চাশ বছর করে, পঞ্চাশ বছরকে বাড়ানোর চেষ্টায় তাঁদের হঠাৎ পতন হয়। টানতে টানতে একসময় ছিঁড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব যত দিন আছে, তত দিন তাঁর মালিক জনগণ। আমরা মাঝে মাঝে সরকার নিয়োগ করব। সরকার যদি আইন ভঙ্গ করে অথবা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তাঁকে আমরা সরিয়ে ফেলব। সংবিধান প্রণয়ন করা হচ্ছে জনগণের প্রতিনিধিদের কাজ। প্রধান সমস্যা হচ্ছে জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী সংবিধান হবে কি-না? ছাত্র-জনতা যেভাবে চাইবে সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অধ্যাপক বলেন, ‘একটি দেশ যদি রাজনীতির ওপরে চলে, তাহলে রাজনৈতিক দল অপরিহার্য। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাজনৈতিক দল ছাড়া চলে না। এখন যেগুলো বিদ্যমান রাজনৈতিক দল আছে, তাঁদের মধ্যে একটু সংশয় দেখা দিয়েছে, যে তরুণ ছাত্ররা যদি তাদের নীতিতে দল গঠন করে, তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে?’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের উদ্দেশেই বলতে চাই, যদি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অনেক রাজনৈতিক দল লাগবে। একটি রাজনৈতিক দল ঠিকমতো দেশ চালাচ্ছে কি না, সেটি পাহারা দেওয়ার জন্যও আরেকটি রাজনৈতিক দল দরকার। যারাই ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা যদি জনগণের কাছে জবাবদিহির বাধ্য না হোন, তাহলে তারা বিপথগামী হবে, যেটা প্রায় ৯০ ভাগ নিশ্চিত করে বলা যায়। কারণ ইতিহাস সাক্ষী আছে। আমরা কোনো ধরনের রাষ্ট্র গঠন করব, আমাদের রাজনৈতিক দলকে সেই রকম হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের মাঝে মানুষের কোনো বৈষম্য থাকবে না, অপমান, শোষণ ও নির্যাতন করা হয়েছিল, সেটার অবসান হবে। সেই কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু যে অঙ্গীকার ছিল, সেটা আমরা গত ৫৩-৫৪ বছরে পালন করতে পারি নাই। সমাজে যখন ন্যায়বিচারের অভাব দেখা দেয়, তখন গণতন্ত্র-সাম্য অবরুদ্ধ হয়, আর বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।’
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশের বৈষম্য বেড়েছে, মানবিক মর্যাদার জায়গায় অপমান, নির্যাতন, ঘুম এবং অপহরণ, নরহত্যা সবই পর্যায়ক্রমে ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারগুলো আমরা ৫৩ বছরে পাই নাই। এবার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের আন্দোলনে। সেই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব কিনা, তার পরীক্ষার মুখে আমরা।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাইনুল আহসান খান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি যুদ্ধ হতো, তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। আবার বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি আন্দোলন হতো তাহলে বিপ্লব হতো না। আইন হচ্ছে যত অন্যায় অবিচার রয়েছে, তা প্রতিহতের জন্য। আর আমাদের দেশের আইন হলো, যত অন্যায়-অবিচার রয়েছে তা রক্ষা করার জন্য। লক্ষ্য করবেন, যাদের কোনো উপায় নেই, আইন সব সময় তাদেরই নিপীড়ন করে, শোষণ করে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে মালিকানা। সমস্ত ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। জনগণই ক্ষমতার কেন্দ্র। উৎস বলতে বোঝায়, আপনি (জনগণ) ক্ষমতা দিলেন, আরেকজন চালাবার জন্য। আপনি (জনগণ) মালিকানা দেন না, ম্যানেজারি করার ক্ষমতা দেন।’
রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন হলে আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা প্রতিনিধি সভায় অতিথি আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের এই অধ্যাপক বলেন, ‘রাষ্ট্রে যারা সংসদে নির্বাচিত হন, তাঁরা হচ্ছেন বড়জোর ম্যানেজার। মালিকেরা তাঁদের নিয়োগ দেন। তাঁরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করেন, মালিকের অধিকার আছে, তাঁকে চাকরিচ্যুত করার, বরখাস্ত করার। বাংলাদেশের সংবিধানের নিয়ম হচ্ছে পাঁচ বছর। যদি সে পাঁচ বছরের মধ্যেই দায়িত্ব থেকে অবহেলা করে, বেইমানি করে তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা জনগণ রাখে। এটাই হচ্ছে সার্বভৌমত্ব।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব হচ্ছে অবিভক্ত অখণ্ড। বাংলাদেশের ১৮ কোটি লোক মিলে সার্বভৌমত্ব। একজনের ওপর, দুজনের ওপর সার্বভৌমত্ব হয় না। কিন্তু আমরা কার্যত এক ব্যক্তির হাতে, এক পরিবারের হাতে ন্যস্ত করেছিলাম। এটা হচ্ছে আমাদের ঐতিহাসিক ভুল অথবা ব্যর্থতা। সার্বভৌমত্ব জিনিসটা যেমন বিক্রয় করা যায় না, কারও হাতে তুলেও দেওয়া যায় না। সেই জন্যে সংসদ নির্বাচন করা হয় বিশেষ কিছু কাজ দেওয়ার জন্য, মালিক হওয়ার জন্য নয়। যেটা দেওয়া হয়, নির্দিষ্টকালীন শাসনের ভার।’
গণ বুদ্ধিজীবি সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘যেটা না হলে বাংলাদেশ গঠিত হয় না। ঘটনাটা ঘটে গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। সংবিধান লিখে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর সংবিধান লেখার দায়িত্ব বা ক্ষমতা এসেছিল। সেটার আমরা অপব্যবহার করেছি। উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে, ১৯৭২ সালে যে সংবিধান লেখা হয়েছিল, বর্তমানে তা অজ্ঞান অবস্থায় আছে। ওই সংবিধানের মূল সমস্যা হল তিন ভাগ। জনগণের অধিকার (প্রস্তাবনা আকারে আছে), রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি ও মৌলিক অধিকার। সংবিধানের বাকি পাঁচ ভাগের প্রথমেই আছে আমলাতন্ত্রের শাসন। যেটার প্রথমে আছে নির্বাহী বিভাগ। প্রধান আমলা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের গোড়াতেই আছে, আমলাতন্ত্রের অপ্রতিহত ক্ষমতা। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা তারপরে দেওয়া হয়েছে। যার নাম হচ্ছে সংসদ বা আইন আইনসভা। তৃতীয় ভাগে রয়েছে বিচার বিভাগ। বাকিগুলো সংবিধানে না থাকলেও চলতো, অন্য আইনে হলেও হতো।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচিত সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব হচ্ছে, বিচার বিভাগকে স্বাধীন হতে হবে। কিন্তু তার আগে তো আইনসভাকে কর্তৃত্ব দিতে হবে। তাঁর প্রতিনিধি স্থাপন করতে হবে সরকার, শাসন বিভাগ ও আমলাতন্ত্রকে। কিন্তু যদি বলেন, সার্বক্ষণিক কাউন্সিল তৈরি করবেন, সেটা হচ্ছে মূল সমস্যা বুঝতে না পারার ক্ষমতা। আপনি বুঝতে পারছেন না, সেটাই ক্ষমতা আকারে প্রকাশ করছেন। যা সরকার না থাকলেও রাষ্ট্রকে সার্বক্ষণিক পাহারা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে জনগণ সার্বভৌমত্বের মালিক, তাঁরা যদি সর্বক্ষণ ক্ষমতায় থাকে, তাহলে তাঁদের ভোটেই যারা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা হচ্ছেন আইনসভা। রাষ্ট্র হচ্ছে সকলের। আর সরকার হচ্ছে নির্দিষ্ট মেয়াদে জনগণ কর্তৃক নিয়োজিত। ঢাকা-১, ঢাকা-২, কুষ্টিয়া-১, কুষ্টিয়া-২ আসন এভাবে করেন কেন? একটি নির্দিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক লোকেরা একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন, সারা দেশে যদি ৩০০ হয়, তাঁরা মিলে সংসদ গঠন করেন। তাহলে এক স্থানের জনপ্রতিনিধি কীভাবে গোটা জাতির আইন প্রণয়ন করেন?’
লেখক ও চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ বলেন, ‘এদিকে যারা একবার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা সেটাকে বাড়িয়ে দশ বছর করেন, দশ বছরকে বাড়িয়ে পঞ্চাশ বছর করে, পঞ্চাশ বছরকে বাড়ানোর চেষ্টায় তাঁদের হঠাৎ পতন হয়। টানতে টানতে একসময় ছিঁড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব যত দিন আছে, তত দিন তাঁর মালিক জনগণ। আমরা মাঝে মাঝে সরকার নিয়োগ করব। সরকার যদি আইন ভঙ্গ করে অথবা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তাঁকে আমরা সরিয়ে ফেলব। সংবিধান প্রণয়ন করা হচ্ছে জনগণের প্রতিনিধিদের কাজ। প্রধান সমস্যা হচ্ছে জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী সংবিধান হবে কি-না? ছাত্র-জনতা যেভাবে চাইবে সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অধ্যাপক বলেন, ‘একটি দেশ যদি রাজনীতির ওপরে চলে, তাহলে রাজনৈতিক দল অপরিহার্য। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাজনৈতিক দল ছাড়া চলে না। এখন যেগুলো বিদ্যমান রাজনৈতিক দল আছে, তাঁদের মধ্যে একটু সংশয় দেখা দিয়েছে, যে তরুণ ছাত্ররা যদি তাদের নীতিতে দল গঠন করে, তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে?’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের উদ্দেশেই বলতে চাই, যদি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অনেক রাজনৈতিক দল লাগবে। একটি রাজনৈতিক দল ঠিকমতো দেশ চালাচ্ছে কি না, সেটি পাহারা দেওয়ার জন্যও আরেকটি রাজনৈতিক দল দরকার। যারাই ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা যদি জনগণের কাছে জবাবদিহির বাধ্য না হোন, তাহলে তারা বিপথগামী হবে, যেটা প্রায় ৯০ ভাগ নিশ্চিত করে বলা যায়। কারণ ইতিহাস সাক্ষী আছে। আমরা কোনো ধরনের রাষ্ট্র গঠন করব, আমাদের রাজনৈতিক দলকে সেই রকম হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের মাঝে মানুষের কোনো বৈষম্য থাকবে না, অপমান, শোষণ ও নির্যাতন করা হয়েছিল, সেটার অবসান হবে। সেই কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু যে অঙ্গীকার ছিল, সেটা আমরা গত ৫৩-৫৪ বছরে পালন করতে পারি নাই। সমাজে যখন ন্যায়বিচারের অভাব দেখা দেয়, তখন গণতন্ত্র-সাম্য অবরুদ্ধ হয়, আর বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।’
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশের বৈষম্য বেড়েছে, মানবিক মর্যাদার জায়গায় অপমান, নির্যাতন, ঘুম এবং অপহরণ, নরহত্যা সবই পর্যায়ক্রমে ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারগুলো আমরা ৫৩ বছরে পাই নাই। এবার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের আন্দোলনে। সেই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব কিনা, তার পরীক্ষার মুখে আমরা।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাইনুল আহসান খান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি যুদ্ধ হতো, তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। আবার বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি আন্দোলন হতো তাহলে বিপ্লব হতো না। আইন হচ্ছে যত অন্যায় অবিচার রয়েছে, তা প্রতিহতের জন্য। আর আমাদের দেশের আইন হলো, যত অন্যায়-অবিচার রয়েছে তা রক্ষা করার জন্য। লক্ষ্য করবেন, যাদের কোনো উপায় নেই, আইন সব সময় তাদেরই নিপীড়ন করে, শোষণ করে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহিতা এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহিতা এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে ম
২২ জানুয়ারি ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে ম
২২ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে ম
২২ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে ম
২২ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে