শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা ও গনেশ দাস, বগুড়া

পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে তদন্ত, আইনকানুন, নিয়মনীতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বই লেখেন পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব বই শত শত কপি বিক্রিও হয়। কিন্তু ক্রেতাদের প্রায় পুরোটাই অধস্তন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, কেউ কেউ ঊর্ধ্বতনকে খুশি রাখার জন্য, আবার কেউ কেউ চাপে পড়ে বই কিনতে বাধ্য হন। অনেক ক্ষেত্রে বইয়ের প্রকাশনা সংস্থার লোকজন থানায় গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লেখা বই গছিয়ে দেন।
বই লিখে আলোচনায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) গোলাম রউফ এবং সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে সদ্য পদায়ন পাওয়া আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী। আজকের পত্রিকার সঙ্গে পৃথক আলাপে তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের বই পুলিশ বাহিনীতে জনপ্রিয়, আগ্রহী পুলিশ কর্মকর্তারা নিজেরাই কিনে নেন। জোর করার কোনো ঘটনা নেই। তবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় পর্যায়ে বই বিক্রির উদ্যোগ হয়ে থাকতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বা তাঁদের নির্দেশ মেনে চলার জন্যই এসব বই কিনতে উদ্যোগ নেন থানার কর্মকর্তারা। কিনলেও কেউ কেউ বইগুলো একবার খুলেও দেখেন না। কারণ চাকরির শুরুতেই তাঁদেরকে এ বইগুলো পড়তে হয়েছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজে চাকরির সুবাদে বিভিন্ন আইনবিধি নিয়ে লিখেছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান। সম্প্রতি তাঁর লেখা বই কেনার জন্য অধস্তনদের নানাভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি রাজশাহীতে পদায়ন পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে তাঁর বই বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত জুলাই থেকে বগুড়া জেলা পুলিশে এই বই বিক্রি শুরু হয়।
জানা গেছে, জেলার অনেক পুলিশ সদস্যকে এই কর্মকর্তার বই কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ কেউ টাকা দিয়েছেন; কিন্তু বই নেননি। কোথাও কোথাও আবার ওসিরা বই কিনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে বিক্রি করেছেন। শুধু বগুড়া জেলার ১২টি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের ইউনিটেই কয়েক লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআইজি শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই বই লিখি। পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই কিনে পড়েন। কাউকে বাধ্য করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কেউ এমন করে থাকে, সেটি আমার জন্য দুঃখজনক। আমি তদন্ত করে দেখব।’ তিনি আরও জানান, কখনো কখনো প্রকাশনা সংস্থার কর্মীরাও থানায় গিয়ে বই বিক্রির চেষ্টা করেন।
তথ্য অনুযায়ী, ডিআইজির লেখা ১০টি বইয়ের সেটের দাম ৫২০০ টাকা, তবে ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়। বইগুলোর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন নিরোধ আইন, ভূমি আইন, পুলিশ পদোন্নতি পরীক্ষা গাইড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন আইনভিত্তিক বই রয়েছে। গত জুলাই মাসের ১০ তারিখ থেকে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বই কেনার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, তাঁর থানায় ৯ সেট বই বিক্রি হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির দাবি করেন, বইগুলো প্রয়োজনীয়, তবে কাউকে কিনতে বাধ্য করা হয়নি; তাঁর থানায় ৬ সেট বই বিক্রি হয়েছে। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান জানান, একজন বিক্রেতা এসেছিলেন; কিন্তু বই রাখা হয়নি। তবে ওই থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআই জানিয়েছেন, বই পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো ভাগাভাগি করে কিনতে হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার এক এসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশের চাকরিতে বই কিনতে বাধ্য করার ঘটনা নতুন নয়। সারদা পুলিশ একাডেমিতেও প্রশিক্ষণের সময় বিভিন্ন কর্মকর্তার লেখা বই কিনতে হয়েছিল। এবার চাপ দেওয়া হলে তিনি ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে বিষয়টি প্রকাশ করবেন বলেও হুমকি দেন।
কাহালু থানায় কয়েকজন বই কিনতে রাজি না হওয়ায় ওসি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে বই বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তবে ওসি নিতাই চন্দ্র সরকার দাবি করেন, অফিসারদের বাইরে আর কাউকে বই দেওয়া হয়নি। আবার এক থানার এসআই অভিযোগ করেন, তাঁর বিটে সাত হাজার টাকার বই চাপানো হয়েছিল। তিন কর্মকর্তা বই না নিয়েই টাকা দিয়েছেন।
ডিআইজির বই বিক্রির সমন্বয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্যারের বই কারও কাছে বিক্রি করা হয়নি, সৌজন্য হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে।’
কুদ্দুছ চৌধুরীর ‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ’
ডিআইজি আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বাংলা ভাষায় ‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ—নবীশ থেকে পেশাদার’ নামের একটি বই লিখেছেন। ২০১৯ সালের বইমেলায় তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতনরা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অভিযোগ আছে, সে সময় ডিএমপির নিম্নপদস্থ সদস্যদের বই কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল।
ওই সময় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করা এসআই পদমর্যাদার এক সদস্য বলেন, ডিবিতে দায়িত্বে থাকা আব্দুল বাতেন সবাইকে বইটি কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁরা সবাই বইটি কিনতে বাধ্য হন।
‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ—নবীশ থেকে পেশাদার’ বইটিতে অস্ত্রভীতি, আগ্নেয়াস্ত্রের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি, প্রশিক্ষণ উপকরণ, নিরাপদ ব্যবহারের নীতি প্রভৃতি বিষয় ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআইজি কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, ‘বইটা এখনো বহুল পঠিত, ৩৫ হাজারের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। প্রশিক্ষণে বা কোনো সদস্যের কাছে বাধ্যতামূলক বিক্রি হয়নি; যাঁরা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাঁরাই কিনেছেন।’
গোলাম রউফের তদন্তবিষয়ক বই
রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ গোলাম রউফ খান তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ‘তদন্তের ময়নাতদন্ত’ নামের একটি বই লিখেছেন। এতে ২৩৮টি মামলার তদন্তে পাওয়া ভুলত্রুটি কেস স্টাডি আকারে তুলে ধরা হয়েছে। মূল্য প্রায় ১৪০০ টাকা।
ডিআইজি বলেন, ‘আমার বইয়ের পাঠক মূলত পুলিশ সদস্যরা। প্রকাশনা সংস্থা থেকেই বিক্রি হয়। আমি কাউকে বাধ্য করি না; যাঁরা ভালো মনে করেন, তাঁরাই অন্যদের কিনতে উৎসাহিত করেন।’
সরকারি কর্মকর্তাদের লেখা বই অধস্তনদের দিয়ে কিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে অনেকেই আয়কর বিবরণীতে অতিরিক্ত আয় দেখান, যা বেতন-ভাতার বাইরে অস্বচ্ছ আয়ের নজির সৃষ্টি করে। এ প্রক্রিয়া কেবল প্রশাসনিক অনিয়ম নয়; বরং সরকারি চাকরির নীতিমালার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক—এমন মতপ্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে তদন্ত, আইনকানুন, নিয়মনীতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বই লেখেন পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব বই শত শত কপি বিক্রিও হয়। কিন্তু ক্রেতাদের প্রায় পুরোটাই অধস্তন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, কেউ কেউ ঊর্ধ্বতনকে খুশি রাখার জন্য, আবার কেউ কেউ চাপে পড়ে বই কিনতে বাধ্য হন। অনেক ক্ষেত্রে বইয়ের প্রকাশনা সংস্থার লোকজন থানায় গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লেখা বই গছিয়ে দেন।
বই লিখে আলোচনায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) গোলাম রউফ এবং সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে সদ্য পদায়ন পাওয়া আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী। আজকের পত্রিকার সঙ্গে পৃথক আলাপে তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের বই পুলিশ বাহিনীতে জনপ্রিয়, আগ্রহী পুলিশ কর্মকর্তারা নিজেরাই কিনে নেন। জোর করার কোনো ঘটনা নেই। তবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় পর্যায়ে বই বিক্রির উদ্যোগ হয়ে থাকতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বা তাঁদের নির্দেশ মেনে চলার জন্যই এসব বই কিনতে উদ্যোগ নেন থানার কর্মকর্তারা। কিনলেও কেউ কেউ বইগুলো একবার খুলেও দেখেন না। কারণ চাকরির শুরুতেই তাঁদেরকে এ বইগুলো পড়তে হয়েছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজে চাকরির সুবাদে বিভিন্ন আইনবিধি নিয়ে লিখেছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান। সম্প্রতি তাঁর লেখা বই কেনার জন্য অধস্তনদের নানাভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি রাজশাহীতে পদায়ন পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে তাঁর বই বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত জুলাই থেকে বগুড়া জেলা পুলিশে এই বই বিক্রি শুরু হয়।
জানা গেছে, জেলার অনেক পুলিশ সদস্যকে এই কর্মকর্তার বই কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ কেউ টাকা দিয়েছেন; কিন্তু বই নেননি। কোথাও কোথাও আবার ওসিরা বই কিনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে বিক্রি করেছেন। শুধু বগুড়া জেলার ১২টি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের ইউনিটেই কয়েক লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআইজি শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই বই লিখি। পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই কিনে পড়েন। কাউকে বাধ্য করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কেউ এমন করে থাকে, সেটি আমার জন্য দুঃখজনক। আমি তদন্ত করে দেখব।’ তিনি আরও জানান, কখনো কখনো প্রকাশনা সংস্থার কর্মীরাও থানায় গিয়ে বই বিক্রির চেষ্টা করেন।
তথ্য অনুযায়ী, ডিআইজির লেখা ১০টি বইয়ের সেটের দাম ৫২০০ টাকা, তবে ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়। বইগুলোর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন নিরোধ আইন, ভূমি আইন, পুলিশ পদোন্নতি পরীক্ষা গাইড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন আইনভিত্তিক বই রয়েছে। গত জুলাই মাসের ১০ তারিখ থেকে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বই কেনার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, তাঁর থানায় ৯ সেট বই বিক্রি হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির দাবি করেন, বইগুলো প্রয়োজনীয়, তবে কাউকে কিনতে বাধ্য করা হয়নি; তাঁর থানায় ৬ সেট বই বিক্রি হয়েছে। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান জানান, একজন বিক্রেতা এসেছিলেন; কিন্তু বই রাখা হয়নি। তবে ওই থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআই জানিয়েছেন, বই পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো ভাগাভাগি করে কিনতে হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার এক এসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশের চাকরিতে বই কিনতে বাধ্য করার ঘটনা নতুন নয়। সারদা পুলিশ একাডেমিতেও প্রশিক্ষণের সময় বিভিন্ন কর্মকর্তার লেখা বই কিনতে হয়েছিল। এবার চাপ দেওয়া হলে তিনি ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে বিষয়টি প্রকাশ করবেন বলেও হুমকি দেন।
কাহালু থানায় কয়েকজন বই কিনতে রাজি না হওয়ায় ওসি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে বই বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তবে ওসি নিতাই চন্দ্র সরকার দাবি করেন, অফিসারদের বাইরে আর কাউকে বই দেওয়া হয়নি। আবার এক থানার এসআই অভিযোগ করেন, তাঁর বিটে সাত হাজার টাকার বই চাপানো হয়েছিল। তিন কর্মকর্তা বই না নিয়েই টাকা দিয়েছেন।
ডিআইজির বই বিক্রির সমন্বয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্যারের বই কারও কাছে বিক্রি করা হয়নি, সৌজন্য হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে।’
কুদ্দুছ চৌধুরীর ‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ’
ডিআইজি আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বাংলা ভাষায় ‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ—নবীশ থেকে পেশাদার’ নামের একটি বই লিখেছেন। ২০১৯ সালের বইমেলায় তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতনরা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অভিযোগ আছে, সে সময় ডিএমপির নিম্নপদস্থ সদস্যদের বই কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল।
ওই সময় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করা এসআই পদমর্যাদার এক সদস্য বলেন, ডিবিতে দায়িত্বে থাকা আব্দুল বাতেন সবাইকে বইটি কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁরা সবাই বইটি কিনতে বাধ্য হন।
‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ—নবীশ থেকে পেশাদার’ বইটিতে অস্ত্রভীতি, আগ্নেয়াস্ত্রের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি, প্রশিক্ষণ উপকরণ, নিরাপদ ব্যবহারের নীতি প্রভৃতি বিষয় ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআইজি কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, ‘বইটা এখনো বহুল পঠিত, ৩৫ হাজারের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। প্রশিক্ষণে বা কোনো সদস্যের কাছে বাধ্যতামূলক বিক্রি হয়নি; যাঁরা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাঁরাই কিনেছেন।’
গোলাম রউফের তদন্তবিষয়ক বই
রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ গোলাম রউফ খান তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ‘তদন্তের ময়নাতদন্ত’ নামের একটি বই লিখেছেন। এতে ২৩৮টি মামলার তদন্তে পাওয়া ভুলত্রুটি কেস স্টাডি আকারে তুলে ধরা হয়েছে। মূল্য প্রায় ১৪০০ টাকা।
ডিআইজি বলেন, ‘আমার বইয়ের পাঠক মূলত পুলিশ সদস্যরা। প্রকাশনা সংস্থা থেকেই বিক্রি হয়। আমি কাউকে বাধ্য করি না; যাঁরা ভালো মনে করেন, তাঁরাই অন্যদের কিনতে উৎসাহিত করেন।’
সরকারি কর্মকর্তাদের লেখা বই অধস্তনদের দিয়ে কিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে অনেকেই আয়কর বিবরণীতে অতিরিক্ত আয় দেখান, যা বেতন-ভাতার বাইরে অস্বচ্ছ আয়ের নজির সৃষ্টি করে। এ প্রক্রিয়া কেবল প্রশাসনিক অনিয়ম নয়; বরং সরকারি চাকরির নীতিমালার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক—এমন মতপ্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে তদন্ত, আইনকানুন, নিয়মনীতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বই লেখেন পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব বই শত শত কপি বিক্রিও হয়। কিন্তু ক্রেতাদের প্রায় পুরোটাই অধস্তন পুলিশ সদস্য।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে তদন্ত, আইনকানুন, নিয়মনীতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বই লেখেন পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব বই শত শত কপি বিক্রিও হয়। কিন্তু ক্রেতাদের প্রায় পুরোটাই অধস্তন পুলিশ সদস্য।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে তদন্ত, আইনকানুন, নিয়মনীতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বই লেখেন পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব বই শত শত কপি বিক্রিও হয়। কিন্তু ক্রেতাদের প্রায় পুরোটাই অধস্তন পুলিশ সদস্য।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে তদন্ত, আইনকানুন, নিয়মনীতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বই লেখেন পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব বই শত শত কপি বিক্রিও হয়। কিন্তু ক্রেতাদের প্রায় পুরোটাই অধস্তন পুলিশ সদস্য।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে