বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শুধু নতুন ডিসি নিয়োগ নয়, শিগগিরই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এর আগে বঞ্চিত যেসব কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া পাঁচটি বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ডিসি নিয়োগ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। নতুন ডিসির ফিট লিস্ট করার কাজটা শুরু হবে। সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা নতুন ডিসি দেওয়ার চেষ্টা করব। এ কাজটা এসএসবির মাধ্যমে শিগগিরই শুরু হবে।’
ডিসি হিসেবে নিয়োগ দিতে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ফিট লিস্ট করা হয়। এখন যাঁরা ডিসির দায়িত্বে আছেন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তড়িঘড়ি করে ফিট লিস্ট করে সেখান থেকে তাঁদের পদায়ন করে। এরপরও ডিসি নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ডিসিদের মধ্যে ৩৪ জন বিতর্কিত বলেও কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারদের তাঁদের মহানগরীর আসনগুলোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৫ জেলায় এবং ১০ সেপ্টেম্বর আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ওই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশাসনিক সাজা দেওয়া হয়েছে।
ডিসি নিয়োগ নিয়ে আপত্তি ওঠার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর আট জেলার ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়। দেড় মাস ফাঁকা থাকার পর গত ৩০ অক্টোবর আট জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার। ৯ নভেম্বর ফেনীতে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার ৬০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে।
ডিসি নিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলে একটি জাতীয় পত্রিকা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জড়িত বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
এ নিয়ে গতকাল এক প্রশ্নে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘আমি এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। যে পত্রিকা এটা প্রচার করেছে, হয়তো তারা না বুঝে বা ভুল বুঝে করেছে। এখন তারা বুঝতে পেরেছে যে ওটা ভুল ছিল।’
জনপ্রশাসনসচিব বলেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব যোগদান করেছেন, এসএসবি গঠন হয়েছে। উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দ্রুত সময়ে শুরু হবে। যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদোন্নতি দেওয়া হবে।
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘বঞ্চিত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত সচিবদের মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যে যাঁরা অবসরে যাবেন, তাঁদের গ্রেড-১ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেকের চাকরি এক মাস আছে, কারও ১৫ দিন আছে, ২০ দিন আছে। আমি মনে করি, অনেকের পদোন্নতি হবে এবং সামাজিক, পারিবারিক, আর্থিকভাবে তাঁরা উপকৃত হবেন।’
তবে বঞ্চিত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া সব অতিরিক্ত সচিবকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে না জানিয়ে জনপ্রশাসনসচিব বলেন, যদি ডিসিপ্লিনারি মামলা থাকে, ফৌজদারি মামলা থাকে, যদি কারও বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ থাকে, তাঁদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে না। জনপ্রশাসনে বর্তমানে ৪৬৫ জন অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন।
পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবেন ১৮,১৪৯ জন
সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, পাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনসহ মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার।
এর মধ্যে ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জন নিয়োগ পাবেন। আর নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন ও ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে পাঁচ বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার মিলিফে ১৮ হাজার ১৪৯ জন নিয়োগ পাবেন। এসব নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটা এবং ৯৩ শতাংশ মেধায় নিয়োগ দেওয়া হবে।
হিসাব দেওয়ার সময় বাড়ল
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা জমা দেওয়া যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জনপ্রশাসনসচিব। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে কেউ সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেননি। কীভাবে এটা জমা দিতে হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। এ জন্য সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শুধু নতুন ডিসি নিয়োগ নয়, শিগগিরই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এর আগে বঞ্চিত যেসব কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া পাঁচটি বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ডিসি নিয়োগ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। নতুন ডিসির ফিট লিস্ট করার কাজটা শুরু হবে। সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা নতুন ডিসি দেওয়ার চেষ্টা করব। এ কাজটা এসএসবির মাধ্যমে শিগগিরই শুরু হবে।’
ডিসি হিসেবে নিয়োগ দিতে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ফিট লিস্ট করা হয়। এখন যাঁরা ডিসির দায়িত্বে আছেন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তড়িঘড়ি করে ফিট লিস্ট করে সেখান থেকে তাঁদের পদায়ন করে। এরপরও ডিসি নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ডিসিদের মধ্যে ৩৪ জন বিতর্কিত বলেও কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারদের তাঁদের মহানগরীর আসনগুলোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৫ জেলায় এবং ১০ সেপ্টেম্বর আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ওই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশাসনিক সাজা দেওয়া হয়েছে।
ডিসি নিয়োগ নিয়ে আপত্তি ওঠার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর আট জেলার ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়। দেড় মাস ফাঁকা থাকার পর গত ৩০ অক্টোবর আট জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার। ৯ নভেম্বর ফেনীতে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার ৬০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে।
ডিসি নিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলে একটি জাতীয় পত্রিকা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জড়িত বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
এ নিয়ে গতকাল এক প্রশ্নে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘আমি এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। যে পত্রিকা এটা প্রচার করেছে, হয়তো তারা না বুঝে বা ভুল বুঝে করেছে। এখন তারা বুঝতে পেরেছে যে ওটা ভুল ছিল।’
জনপ্রশাসনসচিব বলেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব যোগদান করেছেন, এসএসবি গঠন হয়েছে। উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দ্রুত সময়ে শুরু হবে। যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদোন্নতি দেওয়া হবে।
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘বঞ্চিত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত সচিবদের মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যে যাঁরা অবসরে যাবেন, তাঁদের গ্রেড-১ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেকের চাকরি এক মাস আছে, কারও ১৫ দিন আছে, ২০ দিন আছে। আমি মনে করি, অনেকের পদোন্নতি হবে এবং সামাজিক, পারিবারিক, আর্থিকভাবে তাঁরা উপকৃত হবেন।’
তবে বঞ্চিত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া সব অতিরিক্ত সচিবকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে না জানিয়ে জনপ্রশাসনসচিব বলেন, যদি ডিসিপ্লিনারি মামলা থাকে, ফৌজদারি মামলা থাকে, যদি কারও বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ থাকে, তাঁদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে না। জনপ্রশাসনে বর্তমানে ৪৬৫ জন অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন।
পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবেন ১৮,১৪৯ জন
সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, পাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনসহ মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার।
এর মধ্যে ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জন নিয়োগ পাবেন। আর নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন ও ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে পাঁচ বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার মিলিফে ১৮ হাজার ১৪৯ জন নিয়োগ পাবেন। এসব নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটা এবং ৯৩ শতাংশ মেধায় নিয়োগ দেওয়া হবে।
হিসাব দেওয়ার সময় বাড়ল
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা জমা দেওয়া যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জনপ্রশাসনসচিব। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে কেউ সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেননি। কীভাবে এটা জমা দিতে হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। এ জন্য সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শুধু নতুন ডিসি নিয়োগ নয়, শিগগিরই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এর আগে বঞ্চিত যেসব কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া পাঁচটি বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ডিসি নিয়োগ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। নতুন ডিসির ফিট লিস্ট করার কাজটা শুরু হবে। সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা নতুন ডিসি দেওয়ার চেষ্টা করব। এ কাজটা এসএসবির মাধ্যমে শিগগিরই শুরু হবে।’
ডিসি হিসেবে নিয়োগ দিতে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ফিট লিস্ট করা হয়। এখন যাঁরা ডিসির দায়িত্বে আছেন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তড়িঘড়ি করে ফিট লিস্ট করে সেখান থেকে তাঁদের পদায়ন করে। এরপরও ডিসি নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ডিসিদের মধ্যে ৩৪ জন বিতর্কিত বলেও কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারদের তাঁদের মহানগরীর আসনগুলোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৫ জেলায় এবং ১০ সেপ্টেম্বর আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ওই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশাসনিক সাজা দেওয়া হয়েছে।
ডিসি নিয়োগ নিয়ে আপত্তি ওঠার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর আট জেলার ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়। দেড় মাস ফাঁকা থাকার পর গত ৩০ অক্টোবর আট জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার। ৯ নভেম্বর ফেনীতে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার ৬০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে।
ডিসি নিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলে একটি জাতীয় পত্রিকা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জড়িত বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
এ নিয়ে গতকাল এক প্রশ্নে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘আমি এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। যে পত্রিকা এটা প্রচার করেছে, হয়তো তারা না বুঝে বা ভুল বুঝে করেছে। এখন তারা বুঝতে পেরেছে যে ওটা ভুল ছিল।’
জনপ্রশাসনসচিব বলেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব যোগদান করেছেন, এসএসবি গঠন হয়েছে। উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দ্রুত সময়ে শুরু হবে। যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদোন্নতি দেওয়া হবে।
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘বঞ্চিত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত সচিবদের মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যে যাঁরা অবসরে যাবেন, তাঁদের গ্রেড-১ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেকের চাকরি এক মাস আছে, কারও ১৫ দিন আছে, ২০ দিন আছে। আমি মনে করি, অনেকের পদোন্নতি হবে এবং সামাজিক, পারিবারিক, আর্থিকভাবে তাঁরা উপকৃত হবেন।’
তবে বঞ্চিত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া সব অতিরিক্ত সচিবকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে না জানিয়ে জনপ্রশাসনসচিব বলেন, যদি ডিসিপ্লিনারি মামলা থাকে, ফৌজদারি মামলা থাকে, যদি কারও বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ থাকে, তাঁদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে না। জনপ্রশাসনে বর্তমানে ৪৬৫ জন অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন।
পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবেন ১৮,১৪৯ জন
সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, পাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনসহ মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার।
এর মধ্যে ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জন নিয়োগ পাবেন। আর নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন ও ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে পাঁচ বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার মিলিফে ১৮ হাজার ১৪৯ জন নিয়োগ পাবেন। এসব নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটা এবং ৯৩ শতাংশ মেধায় নিয়োগ দেওয়া হবে।
হিসাব দেওয়ার সময় বাড়ল
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা জমা দেওয়া যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জনপ্রশাসনসচিব। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে কেউ সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেননি। কীভাবে এটা জমা দিতে হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। এ জন্য সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শুধু নতুন ডিসি নিয়োগ নয়, শিগগিরই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এর আগে বঞ্চিত যেসব কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া পাঁচটি বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ডিসি নিয়োগ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। নতুন ডিসির ফিট লিস্ট করার কাজটা শুরু হবে। সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা নতুন ডিসি দেওয়ার চেষ্টা করব। এ কাজটা এসএসবির মাধ্যমে শিগগিরই শুরু হবে।’
ডিসি হিসেবে নিয়োগ দিতে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ফিট লিস্ট করা হয়। এখন যাঁরা ডিসির দায়িত্বে আছেন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তড়িঘড়ি করে ফিট লিস্ট করে সেখান থেকে তাঁদের পদায়ন করে। এরপরও ডিসি নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ডিসিদের মধ্যে ৩৪ জন বিতর্কিত বলেও কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারদের তাঁদের মহানগরীর আসনগুলোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৫ জেলায় এবং ১০ সেপ্টেম্বর আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ওই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশাসনিক সাজা দেওয়া হয়েছে।
ডিসি নিয়োগ নিয়ে আপত্তি ওঠার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর আট জেলার ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়। দেড় মাস ফাঁকা থাকার পর গত ৩০ অক্টোবর আট জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার। ৯ নভেম্বর ফেনীতে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার ৬০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে।
ডিসি নিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলে একটি জাতীয় পত্রিকা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জড়িত বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
এ নিয়ে গতকাল এক প্রশ্নে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘আমি এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। যে পত্রিকা এটা প্রচার করেছে, হয়তো তারা না বুঝে বা ভুল বুঝে করেছে। এখন তারা বুঝতে পেরেছে যে ওটা ভুল ছিল।’
জনপ্রশাসনসচিব বলেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব যোগদান করেছেন, এসএসবি গঠন হয়েছে। উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দ্রুত সময়ে শুরু হবে। যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদোন্নতি দেওয়া হবে।
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘বঞ্চিত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত সচিবদের মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যে যাঁরা অবসরে যাবেন, তাঁদের গ্রেড-১ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেকের চাকরি এক মাস আছে, কারও ১৫ দিন আছে, ২০ দিন আছে। আমি মনে করি, অনেকের পদোন্নতি হবে এবং সামাজিক, পারিবারিক, আর্থিকভাবে তাঁরা উপকৃত হবেন।’
তবে বঞ্চিত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া সব অতিরিক্ত সচিবকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে না জানিয়ে জনপ্রশাসনসচিব বলেন, যদি ডিসিপ্লিনারি মামলা থাকে, ফৌজদারি মামলা থাকে, যদি কারও বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ থাকে, তাঁদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে না। জনপ্রশাসনে বর্তমানে ৪৬৫ জন অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন।
পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবেন ১৮,১৪৯ জন
সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, পাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনসহ মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার।
এর মধ্যে ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জন নিয়োগ পাবেন। আর নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন ও ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে পাঁচ বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার মিলিফে ১৮ হাজার ১৪৯ জন নিয়োগ পাবেন। এসব নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটা এবং ৯৩ শতাংশ মেধায় নিয়োগ দেওয়া হবে।
হিসাব দেওয়ার সময় বাড়ল
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা জমা দেওয়া যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জনপ্রশাসনসচিব। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে কেউ সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেননি। কীভাবে এটা জমা দিতে হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। এ জন্য সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৭ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
১০ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে ‘সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, থানার বাইরে কোনো ভারী অস্ত্র নেই।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সে সময় লুট করা হয় ৫ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র।
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
তবে কতসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
নতুন অধ্যাদেশ পাস হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশ পুনর্গঠনের উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন তোলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। সমস্যা থাকলে তারা সুপারিশ করতে পারবে—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা দেখবে।
এদিন সকালে নিবন্ধনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় ফায়ার সার্ভিসের। পরে স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হয়।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক গঠনের লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি ও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাবছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে ‘সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, থানার বাইরে কোনো ভারী অস্ত্র নেই।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সে সময় লুট করা হয় ৫ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র।
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
তবে কতসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
নতুন অধ্যাদেশ পাস হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশ পুনর্গঠনের উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন তোলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। সমস্যা থাকলে তারা সুপারিশ করতে পারবে—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা দেখবে।
এদিন সকালে নিবন্ধনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় ফায়ার সার্ভিসের। পরে স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হয়।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক গঠনের লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি ও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাবছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৫ নভেম্বর ২০২৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৭ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
১০ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ রাজনীতিমুক্ত হবে কি না—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। এই আইনও করা হয়েছে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন, পুলিশ কমিশন জনগণ ও পুলিশের প্রকৃত কল্যাণে কিছু সুপারিশ করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রদর্শিত মহড়া দেখেন এবং তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ রাজনীতিমুক্ত হবে কি না—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। এই আইনও করা হয়েছে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন, পুলিশ কমিশন জনগণ ও পুলিশের প্রকৃত কল্যাণে কিছু সুপারিশ করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রদর্শিত মহড়া দেখেন এবং তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৫ নভেম্বর ২০২৪
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
১০ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৫ নভেম্বর ২০২৪
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৭ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৫ নভেম্বর ২০২৪
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৭ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
১০ ঘণ্টা আগে