সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

বয়লার টিউবে ছিদ্রসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত দুই দিনে (১২–১৩ জুন) আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ করে দেওয়া হয় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। এর আগে গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় একই উৎপাদন সক্ষমতার প্রথম ইউনিটও।
প্রথম ইউনিট থেকে আজ বুধবার সকাল ৭টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু হলেও এখনো দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ।
এর আগে গত ৫ জুন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি বিদ্যুৎ আমদানি করে দেশের লোডশেডিং মোকাবিলা করার কথা বলে আসছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বাধ সাধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা। চলতি মাসের ৭–১৩ জুন এই ৭ দিনে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন পর্যন্ত তিনবার সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেছে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় একই উৎপাদন সক্ষমতার প্রথম ইউনিট। এর আগে গত ৭ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরে ৪০০ কিলোওয়াট ভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রিপ করে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বাংলাদেশ অংশের গ্রিড লাইন।
পিজিসিবির গতকাল মঙ্গলবারের তথ্য–উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে আদানি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ইউনিট থেকে আজ সকাল ৭টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর আগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকে ১২ ঘণ্টা। অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে, দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনো শুরু হয়নি।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২–১৩ জুন আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল বেশ কিছু সময় ধরে। আমরা আজ সকাল থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি। এখন প্রথম ইউনিট থেকে ৭০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে।’
পিজিসিবির আজ প্রকাশ করা তথ্যে দেখা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে বয়লার টিউবে ছিদ্র হয়। এই ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জোর করে (ফোর্সড সাট ডাউন) বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এর আগে আদানির প্রথম ইউনিট গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
প্রথম ইউনিট বন্ধ থাকার পরও আদানির দ্বিতীয় ইউনিট চালু থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৭৬০ মেগাওয়াট। পরে দ্বিতীয় ইউনিট গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল ১২ ঘণ্টা। পিজিসিবির তথ্যে দেখা যায়, দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল ৭টার দিকে গ্রিডের সঙ্গে আদানির প্রথম ইউনিটের পুনঃসংযোগ স্থাপন (সিংক্রুনাইজেশন) করা সম্ভব হয়।
আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে গতকাল রাত ১১টা ৩ মিনিটের দিকে আদানি–বগুড়ার অংশে টানানো ৪০০ কিলোওয়াট ভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করে যায়।
এই সঙ্গে ট্রিপ করে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরের ৪০০ কেভি লাইনও। বিদ্যুতের গ্রিড বারবার ট্রিপ করার পর পিজিসিবি বাধ্য হয় রাত ১১টা ৩২ মিনিটের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরের ৪০০ কেভি লাইন বন্ধ করে দিতে। পরে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বগুড়ার ৪০০ কেভি লাইন আবারও সংযোগ স্থাপন করা হয় রাত ১১টা ৫২ মিনিটের দিকে।
পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এইবারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য আদানি গ্রুপ দায়ী। আমাদের অংশে কোনো সমস্যা হয়নি। শুনেছি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে আজ সকাল ৭টার দিকে প্রথম ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।’

বয়লার টিউবে ছিদ্রসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত দুই দিনে (১২–১৩ জুন) আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ করে দেওয়া হয় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। এর আগে গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় একই উৎপাদন সক্ষমতার প্রথম ইউনিটও।
প্রথম ইউনিট থেকে আজ বুধবার সকাল ৭টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু হলেও এখনো দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ।
এর আগে গত ৫ জুন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি বিদ্যুৎ আমদানি করে দেশের লোডশেডিং মোকাবিলা করার কথা বলে আসছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বাধ সাধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা। চলতি মাসের ৭–১৩ জুন এই ৭ দিনে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন পর্যন্ত তিনবার সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেছে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় একই উৎপাদন সক্ষমতার প্রথম ইউনিট। এর আগে গত ৭ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরে ৪০০ কিলোওয়াট ভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রিপ করে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বাংলাদেশ অংশের গ্রিড লাইন।
পিজিসিবির গতকাল মঙ্গলবারের তথ্য–উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে আদানি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ইউনিট থেকে আজ সকাল ৭টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর আগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকে ১২ ঘণ্টা। অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে, দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনো শুরু হয়নি।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২–১৩ জুন আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল বেশ কিছু সময় ধরে। আমরা আজ সকাল থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি। এখন প্রথম ইউনিট থেকে ৭০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে।’
পিজিসিবির আজ প্রকাশ করা তথ্যে দেখা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে বয়লার টিউবে ছিদ্র হয়। এই ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জোর করে (ফোর্সড সাট ডাউন) বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এর আগে আদানির প্রথম ইউনিট গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
প্রথম ইউনিট বন্ধ থাকার পরও আদানির দ্বিতীয় ইউনিট চালু থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৭৬০ মেগাওয়াট। পরে দ্বিতীয় ইউনিট গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল ১২ ঘণ্টা। পিজিসিবির তথ্যে দেখা যায়, দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল ৭টার দিকে গ্রিডের সঙ্গে আদানির প্রথম ইউনিটের পুনঃসংযোগ স্থাপন (সিংক্রুনাইজেশন) করা সম্ভব হয়।
আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে গতকাল রাত ১১টা ৩ মিনিটের দিকে আদানি–বগুড়ার অংশে টানানো ৪০০ কিলোওয়াট ভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করে যায়।
এই সঙ্গে ট্রিপ করে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরের ৪০০ কেভি লাইনও। বিদ্যুতের গ্রিড বারবার ট্রিপ করার পর পিজিসিবি বাধ্য হয় রাত ১১টা ৩২ মিনিটের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরের ৪০০ কেভি লাইন বন্ধ করে দিতে। পরে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বগুড়ার ৪০০ কেভি লাইন আবারও সংযোগ স্থাপন করা হয় রাত ১১টা ৫২ মিনিটের দিকে।
পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এইবারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য আদানি গ্রুপ দায়ী। আমাদের অংশে কোনো সমস্যা হয়নি। শুনেছি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে আজ সকাল ৭টার দিকে প্রথম ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।’
সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

বয়লার টিউবে ছিদ্রসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত দুই দিনে (১২–১৩ জুন) আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ করে দেওয়া হয় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। এর আগে গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় একই উৎপাদন সক্ষমতার প্রথম ইউনিটও।
প্রথম ইউনিট থেকে আজ বুধবার সকাল ৭টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু হলেও এখনো দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ।
এর আগে গত ৫ জুন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি বিদ্যুৎ আমদানি করে দেশের লোডশেডিং মোকাবিলা করার কথা বলে আসছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বাধ সাধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা। চলতি মাসের ৭–১৩ জুন এই ৭ দিনে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন পর্যন্ত তিনবার সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেছে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় একই উৎপাদন সক্ষমতার প্রথম ইউনিট। এর আগে গত ৭ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরে ৪০০ কিলোওয়াট ভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রিপ করে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বাংলাদেশ অংশের গ্রিড লাইন।
পিজিসিবির গতকাল মঙ্গলবারের তথ্য–উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে আদানি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ইউনিট থেকে আজ সকাল ৭টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর আগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকে ১২ ঘণ্টা। অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে, দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনো শুরু হয়নি।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২–১৩ জুন আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল বেশ কিছু সময় ধরে। আমরা আজ সকাল থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি। এখন প্রথম ইউনিট থেকে ৭০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে।’
পিজিসিবির আজ প্রকাশ করা তথ্যে দেখা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে বয়লার টিউবে ছিদ্র হয়। এই ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জোর করে (ফোর্সড সাট ডাউন) বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এর আগে আদানির প্রথম ইউনিট গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
প্রথম ইউনিট বন্ধ থাকার পরও আদানির দ্বিতীয় ইউনিট চালু থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৭৬০ মেগাওয়াট। পরে দ্বিতীয় ইউনিট গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল ১২ ঘণ্টা। পিজিসিবির তথ্যে দেখা যায়, দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল ৭টার দিকে গ্রিডের সঙ্গে আদানির প্রথম ইউনিটের পুনঃসংযোগ স্থাপন (সিংক্রুনাইজেশন) করা সম্ভব হয়।
আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে গতকাল রাত ১১টা ৩ মিনিটের দিকে আদানি–বগুড়ার অংশে টানানো ৪০০ কিলোওয়াট ভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করে যায়।
এই সঙ্গে ট্রিপ করে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরের ৪০০ কেভি লাইনও। বিদ্যুতের গ্রিড বারবার ট্রিপ করার পর পিজিসিবি বাধ্য হয় রাত ১১টা ৩২ মিনিটের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরের ৪০০ কেভি লাইন বন্ধ করে দিতে। পরে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বগুড়ার ৪০০ কেভি লাইন আবারও সংযোগ স্থাপন করা হয় রাত ১১টা ৫২ মিনিটের দিকে।
পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এইবারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য আদানি গ্রুপ দায়ী। আমাদের অংশে কোনো সমস্যা হয়নি। শুনেছি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে আজ সকাল ৭টার দিকে প্রথম ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।’

বয়লার টিউবে ছিদ্রসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত দুই দিনে (১২–১৩ জুন) আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ করে দেওয়া হয় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। এর আগে গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় একই উৎপাদন সক্ষমতার প্রথম ইউনিটও।
প্রথম ইউনিট থেকে আজ বুধবার সকাল ৭টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু হলেও এখনো দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ।
এর আগে গত ৫ জুন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি বিদ্যুৎ আমদানি করে দেশের লোডশেডিং মোকাবিলা করার কথা বলে আসছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বাধ সাধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা। চলতি মাসের ৭–১৩ জুন এই ৭ দিনে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন পর্যন্ত তিনবার সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেছে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট। গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় একই উৎপাদন সক্ষমতার প্রথম ইউনিট। এর আগে গত ৭ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরে ৪০০ কিলোওয়াট ভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রিপ করে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বাংলাদেশ অংশের গ্রিড লাইন।
পিজিসিবির গতকাল মঙ্গলবারের তথ্য–উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে আদানি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ইউনিট থেকে আজ সকাল ৭টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর আগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকে ১২ ঘণ্টা। অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে, দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনো শুরু হয়নি।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২–১৩ জুন আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল বেশ কিছু সময় ধরে। আমরা আজ সকাল থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি। এখন প্রথম ইউনিট থেকে ৭০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে।’
পিজিসিবির আজ প্রকাশ করা তথ্যে দেখা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে বয়লার টিউবে ছিদ্র হয়। এই ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জোর করে (ফোর্সড সাট ডাউন) বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এর আগে আদানির প্রথম ইউনিট গত সোমবার রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
প্রথম ইউনিট বন্ধ থাকার পরও আদানির দ্বিতীয় ইউনিট চালু থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৭৬০ মেগাওয়াট। পরে দ্বিতীয় ইউনিট গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল ১২ ঘণ্টা। পিজিসিবির তথ্যে দেখা যায়, দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল ৭টার দিকে গ্রিডের সঙ্গে আদানির প্রথম ইউনিটের পুনঃসংযোগ স্থাপন (সিংক্রুনাইজেশন) করা সম্ভব হয়।
আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে গতকাল রাত ১১টা ৩ মিনিটের দিকে আদানি–বগুড়ার অংশে টানানো ৪০০ কিলোওয়াট ভোল্টের (কেভি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করে যায়।
এই সঙ্গে ট্রিপ করে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরের ৪০০ কেভি লাইনও। বিদ্যুতের গ্রিড বারবার ট্রিপ করার পর পিজিসিবি বাধ্য হয় রাত ১১টা ৩২ মিনিটের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুহুনপুরের ৪০০ কেভি লাইন বন্ধ করে দিতে। পরে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বগুড়ার ৪০০ কেভি লাইন আবারও সংযোগ স্থাপন করা হয় রাত ১১টা ৫২ মিনিটের দিকে।
পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এইবারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য আদানি গ্রুপ দায়ী। আমাদের অংশে কোনো সমস্যা হয়নি। শুনেছি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে আজ সকাল ৭টার দিকে প্রথম ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।’

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। কোনো দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।
ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।
‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।
রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।
একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’
এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। কোনো দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।
ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।
‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।
রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।
একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’
এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

বয়লার টিউবে ছিদ্রসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত দুই দিনে (১২–১৩ জুন) আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে
১৪ জুন ২০২৩
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বয়লার টিউবে ছিদ্রসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত দুই দিনে (১২–১৩ জুন) আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে
১৪ জুন ২০২৩
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

বয়লার টিউবে ছিদ্রসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত দুই দিনে (১২–১৩ জুন) আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে
১৪ জুন ২০২৩
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

বয়লার টিউবে ছিদ্রসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত দুই দিনে (১২–১৩ জুন) আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটে
১৪ জুন ২০২৩
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে