সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। জুলাইয়ের আগেও দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। তবে সেই সংগঠনগুলোই আবার ৬ মাস আগে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, এ সরকারের কর্মকাণ্ডে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য এবং চেতনা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যক্রমে ধীরগতি, ৬ মাসেও আন্দোলনের সব শহীদ ও আহতের ক্ষতিপূরণ এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নতুন ভ্যাটের ফলে পণ্য মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন কারণে তাঁরা মনে করছেন, সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। ছাত্রসংগঠনের নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যেমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ তাঁরা আশা করেছিলেন, তেমন পরিবেশ তৈরি করতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তা পূরণে বর্তমান সরকার অনেকাংশেই অসফল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, হত্যা-নির্যাতন-গুমে জড়িত অপরাধীদের বিচার শুরু করা এবং একের পর এক মহলের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন শুরু হওয়া নিয়ন্ত্রণে সরকার দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে।’
শিপন আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দোসরেরা এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের কর্মকাণ্ডে সমন্বয়ের অভাবের কারণেও যথাযথভাবে সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। শিপন বলেন, এ মুহূর্তে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর ঐক্য এবং অতিদ্রুত রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
জুলাই-আগস্টের হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৬ মাসে সবকিছু বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু আরও অনেক কিছু হতে পারত বলে আমরা মনে করি। আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের লোকজনকে গ্রেপ্তার ও বিচার এবং গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকার ব্যাপক দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে।’
আমলাতন্ত্রের ওপর অতিনির্ভরশীলতার কারণে সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন আরিফ সোহেল। এ ছাড়া তিনিও পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
হতাশার কারণ হিসেবে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন হামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে মন্দির, মাজার, আদিবাসীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। মব ইনজাস্টিসের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের নতুন বন্দোবস্তও দেখলাম। গণহত্যার বিচার ও সব আহতকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা, সিন্ডিকেট ভেঙে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রেও সরকার সফলতা পায়নি বলে মনে করেন ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা যেমন পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিলেন, তা দেখতে পাচ্ছেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিচার প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে দুর্বল বলে মনে করেন তিনি।
শিবিরের এই নেতার ধারণা, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণে নমনীয়তার নীতি অনুসরণের ফলেই সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের যেভাবে বড় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া দরকার ছিল, সেগুলো নিতে পারেনি।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিলেও সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে সরকারি উদ্যোগ এ পর্যন্ত অত্যন্ত অপ্রতুল। তিনি বলেন, সরকার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পুরোপুরি বিপরীতে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে জনপ্রিয় থাকতে চাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের দুর্বলতায় মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মূল চেতনা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। ৬ মাস বেশি সময় নয়। তবে মৌলিক চেতনাটিও বাস্তবায়নের চেষ্টা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান নয়। ফ্যাসিস্টের পতন হলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ হয়নি।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্দোলনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে চেতনা ছিল, তা সরকারের ভূমিকায় প্রতিফলিত হচ্ছে না। অভ্যুত্থানের পরই শ্রমিকের বুকে গুলি চলেছে। বাজার সিন্ডিকেটকে ভাঙা যায়নি। জনজীবনের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে দুর্বল।

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। জুলাইয়ের আগেও দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। তবে সেই সংগঠনগুলোই আবার ৬ মাস আগে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, এ সরকারের কর্মকাণ্ডে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য এবং চেতনা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যক্রমে ধীরগতি, ৬ মাসেও আন্দোলনের সব শহীদ ও আহতের ক্ষতিপূরণ এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নতুন ভ্যাটের ফলে পণ্য মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন কারণে তাঁরা মনে করছেন, সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। ছাত্রসংগঠনের নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যেমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ তাঁরা আশা করেছিলেন, তেমন পরিবেশ তৈরি করতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তা পূরণে বর্তমান সরকার অনেকাংশেই অসফল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, হত্যা-নির্যাতন-গুমে জড়িত অপরাধীদের বিচার শুরু করা এবং একের পর এক মহলের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন শুরু হওয়া নিয়ন্ত্রণে সরকার দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে।’
শিপন আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দোসরেরা এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের কর্মকাণ্ডে সমন্বয়ের অভাবের কারণেও যথাযথভাবে সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। শিপন বলেন, এ মুহূর্তে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর ঐক্য এবং অতিদ্রুত রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
জুলাই-আগস্টের হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৬ মাসে সবকিছু বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু আরও অনেক কিছু হতে পারত বলে আমরা মনে করি। আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের লোকজনকে গ্রেপ্তার ও বিচার এবং গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকার ব্যাপক দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে।’
আমলাতন্ত্রের ওপর অতিনির্ভরশীলতার কারণে সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন আরিফ সোহেল। এ ছাড়া তিনিও পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
হতাশার কারণ হিসেবে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন হামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে মন্দির, মাজার, আদিবাসীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। মব ইনজাস্টিসের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের নতুন বন্দোবস্তও দেখলাম। গণহত্যার বিচার ও সব আহতকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা, সিন্ডিকেট ভেঙে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রেও সরকার সফলতা পায়নি বলে মনে করেন ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা যেমন পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিলেন, তা দেখতে পাচ্ছেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিচার প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে দুর্বল বলে মনে করেন তিনি।
শিবিরের এই নেতার ধারণা, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণে নমনীয়তার নীতি অনুসরণের ফলেই সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের যেভাবে বড় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া দরকার ছিল, সেগুলো নিতে পারেনি।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিলেও সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে সরকারি উদ্যোগ এ পর্যন্ত অত্যন্ত অপ্রতুল। তিনি বলেন, সরকার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পুরোপুরি বিপরীতে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে জনপ্রিয় থাকতে চাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের দুর্বলতায় মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মূল চেতনা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। ৬ মাস বেশি সময় নয়। তবে মৌলিক চেতনাটিও বাস্তবায়নের চেষ্টা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান নয়। ফ্যাসিস্টের পতন হলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ হয়নি।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্দোলনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে চেতনা ছিল, তা সরকারের ভূমিকায় প্রতিফলিত হচ্ছে না। অভ্যুত্থানের পরই শ্রমিকের বুকে গুলি চলেছে। বাজার সিন্ডিকেটকে ভাঙা যায়নি। জনজীবনের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে দুর্বল।
সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। জুলাইয়ের আগেও দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। তবে সেই সংগঠনগুলোই আবার ৬ মাস আগে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, এ সরকারের কর্মকাণ্ডে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য এবং চেতনা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যক্রমে ধীরগতি, ৬ মাসেও আন্দোলনের সব শহীদ ও আহতের ক্ষতিপূরণ এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নতুন ভ্যাটের ফলে পণ্য মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন কারণে তাঁরা মনে করছেন, সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। ছাত্রসংগঠনের নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যেমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ তাঁরা আশা করেছিলেন, তেমন পরিবেশ তৈরি করতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তা পূরণে বর্তমান সরকার অনেকাংশেই অসফল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, হত্যা-নির্যাতন-গুমে জড়িত অপরাধীদের বিচার শুরু করা এবং একের পর এক মহলের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন শুরু হওয়া নিয়ন্ত্রণে সরকার দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে।’
শিপন আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দোসরেরা এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের কর্মকাণ্ডে সমন্বয়ের অভাবের কারণেও যথাযথভাবে সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। শিপন বলেন, এ মুহূর্তে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর ঐক্য এবং অতিদ্রুত রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
জুলাই-আগস্টের হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৬ মাসে সবকিছু বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু আরও অনেক কিছু হতে পারত বলে আমরা মনে করি। আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের লোকজনকে গ্রেপ্তার ও বিচার এবং গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকার ব্যাপক দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে।’
আমলাতন্ত্রের ওপর অতিনির্ভরশীলতার কারণে সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন আরিফ সোহেল। এ ছাড়া তিনিও পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
হতাশার কারণ হিসেবে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন হামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে মন্দির, মাজার, আদিবাসীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। মব ইনজাস্টিসের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের নতুন বন্দোবস্তও দেখলাম। গণহত্যার বিচার ও সব আহতকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা, সিন্ডিকেট ভেঙে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রেও সরকার সফলতা পায়নি বলে মনে করেন ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা যেমন পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিলেন, তা দেখতে পাচ্ছেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিচার প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে দুর্বল বলে মনে করেন তিনি।
শিবিরের এই নেতার ধারণা, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণে নমনীয়তার নীতি অনুসরণের ফলেই সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের যেভাবে বড় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া দরকার ছিল, সেগুলো নিতে পারেনি।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিলেও সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে সরকারি উদ্যোগ এ পর্যন্ত অত্যন্ত অপ্রতুল। তিনি বলেন, সরকার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পুরোপুরি বিপরীতে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে জনপ্রিয় থাকতে চাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের দুর্বলতায় মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মূল চেতনা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। ৬ মাস বেশি সময় নয়। তবে মৌলিক চেতনাটিও বাস্তবায়নের চেষ্টা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান নয়। ফ্যাসিস্টের পতন হলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ হয়নি।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্দোলনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে চেতনা ছিল, তা সরকারের ভূমিকায় প্রতিফলিত হচ্ছে না। অভ্যুত্থানের পরই শ্রমিকের বুকে গুলি চলেছে। বাজার সিন্ডিকেটকে ভাঙা যায়নি। জনজীবনের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে দুর্বল।

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। জুলাইয়ের আগেও দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। তবে সেই সংগঠনগুলোই আবার ৬ মাস আগে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, এ সরকারের কর্মকাণ্ডে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য এবং চেতনা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যক্রমে ধীরগতি, ৬ মাসেও আন্দোলনের সব শহীদ ও আহতের ক্ষতিপূরণ এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নতুন ভ্যাটের ফলে পণ্য মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন কারণে তাঁরা মনে করছেন, সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। ছাত্রসংগঠনের নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যেমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ তাঁরা আশা করেছিলেন, তেমন পরিবেশ তৈরি করতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তা পূরণে বর্তমান সরকার অনেকাংশেই অসফল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, হত্যা-নির্যাতন-গুমে জড়িত অপরাধীদের বিচার শুরু করা এবং একের পর এক মহলের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন শুরু হওয়া নিয়ন্ত্রণে সরকার দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে।’
শিপন আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দোসরেরা এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের কর্মকাণ্ডে সমন্বয়ের অভাবের কারণেও যথাযথভাবে সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। শিপন বলেন, এ মুহূর্তে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর ঐক্য এবং অতিদ্রুত রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
জুলাই-আগস্টের হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৬ মাসে সবকিছু বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু আরও অনেক কিছু হতে পারত বলে আমরা মনে করি। আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের লোকজনকে গ্রেপ্তার ও বিচার এবং গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকার ব্যাপক দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে।’
আমলাতন্ত্রের ওপর অতিনির্ভরশীলতার কারণে সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন আরিফ সোহেল। এ ছাড়া তিনিও পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
হতাশার কারণ হিসেবে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন হামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে মন্দির, মাজার, আদিবাসীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। মব ইনজাস্টিসের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের নতুন বন্দোবস্তও দেখলাম। গণহত্যার বিচার ও সব আহতকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা, সিন্ডিকেট ভেঙে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রেও সরকার সফলতা পায়নি বলে মনে করেন ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা যেমন পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিলেন, তা দেখতে পাচ্ছেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিচার প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে দুর্বল বলে মনে করেন তিনি।
শিবিরের এই নেতার ধারণা, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণে নমনীয়তার নীতি অনুসরণের ফলেই সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের যেভাবে বড় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া দরকার ছিল, সেগুলো নিতে পারেনি।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিলেও সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে সরকারি উদ্যোগ এ পর্যন্ত অত্যন্ত অপ্রতুল। তিনি বলেন, সরকার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পুরোপুরি বিপরীতে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে জনপ্রিয় থাকতে চাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের দুর্বলতায় মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মূল চেতনা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। ৬ মাস বেশি সময় নয়। তবে মৌলিক চেতনাটিও বাস্তবায়নের চেষ্টা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান নয়। ফ্যাসিস্টের পতন হলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ হয়নি।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আন্দোলনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে চেতনা ছিল, তা সরকারের ভূমিকায় প্রতিফলিত হচ্ছে না। অভ্যুত্থানের পরই শ্রমিকের বুকে গুলি চলেছে। বাজার সিন্ডিকেটকে ভাঙা যায়নি। জনজীবনের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে দুর্বল।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৩৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। জুলাইয়ের আগেও দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। জুলাইয়ের আগেও দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৩৫ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। জুলাইয়ের আগেও দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৩৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। জুলাইয়ের আগেও দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৩৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে