তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে গত মে মাসে। তবে গত আট মাসেও প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ব্যবসায়িক মডেল ও ব্যয়ের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়াতেই এর অনুমোদন থমকে আছে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার (বিসিএপি) ফেজ ওয়ান’-এর অংশ হিসেবে ইলেকট্রিক বাস চালুর প্রকল্পটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প ব্যয়ের ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২ হাজার ১৩৫ কোটি এবং বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় ৩৬৫ কোটি। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন। ঢাকা শহরের যানজট কমানো, কার্বন নিঃসরণ তথা দূষণ হ্রাস, গণপরিবহনের মান উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ডিটিসিএ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায়। রাজধানীর জন্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহনব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটিকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবহন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস চলার কথা। অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে বাস পরিচালনা করবে সরকার। তিনটি চার্জিং ডিপো নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি বিআরটিএ ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টারসহ কয়েকটি অবকাঠামো করবে।
প্রকল্প প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাঁচ বছরের প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইলেকট্রিক বাসগুলোর পরিচালনার খরচ কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। সরকার এতে ভর্তুকি দেবে কি না, তা চূড়ান্ত হয়নি। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের নীতিগত ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারও এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
প্রকল্পটির অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের ব্যবসায়িক মডেল, খরচ সাশ্রয় হবে কি না—এসব বিষয় পর্যালোচনা চলছে। এতগুলো বাসের অবস্থান নির্ধারণও একটি বড় বিষয়। তাই দু-তিনটি আলাদা স্থানের সম্ভাবনা বিবেচনা করা হচ্ছে। আবার যেসব জায়গায় বাস থাকবে, সেখানে চার্জিং স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
বিশেষ সহকারী বলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে তাঁদের আমলে এটা অনুমোদন হবে কি না, তা বলতে পারছেন না।
প্রকল্পটির বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দিন ধরে এ ধরনের প্রকল্প অনুমোদন না পাওয়া সরকারের দীর্ঘমেয়াদি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সমন্বয়হীনতারই প্রতিফলন। তবে পরিবহন খাতে বড় প্রকল্প নিতে হলে শুধু আধুনিক বাস আনা যথেষ্ট নয়—অপারেশনাল মডেল, রুট রেশনালাইজেশন, জমি বরাদ্দসহ সার্বিক অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিকল্পনা—সবকিছু নিয়ে সমান্তরালভাবে কাজ করতে হয়। আমাদের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এতটা ধীর এবং জটিল যে, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাগুলোও বছরের পর বছর ধরে স্থবির হয়ে থাকে।’
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়াধীন রাজধানীর বাস রুট রেশনালাইজেশন চালুর মাধ্যমে পরিবহনে শৃঙ্খলা আনায় অন্তর্বর্তী সরকার তেমন সফল হতে পারেনি। রাস্তা থেকে পরিকল্পনামতো বেশি পুরোনো গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পরিবহনমালিকেরা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হকও ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে ইলেকট্রিক গণপরিবহনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে ডিজেল সহজলভ্য না-ও থাকতে পারে—তাই এখনই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। কিন্তু শুধু ইলেকট্রিক বাস আনা যথেষ্ট নয়। এর আগে চার্জিং স্টেশন, সার্ভিস সেন্টার এবং পরিচালনার কাঠামো ঠিক করতে হবে। পরিচালনায় বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অংশীদার করা উচিত হবে। অপেশাদার সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর পুরো দায়িত্ব দিলে সেবার মান ঠিক থাকবে না। বেসরকারি খাতকে যুক্ত করলে এই উদ্যোগ স্থায়ীভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে গত মে মাসে। তবে গত আট মাসেও প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ব্যবসায়িক মডেল ও ব্যয়ের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়াতেই এর অনুমোদন থমকে আছে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার (বিসিএপি) ফেজ ওয়ান’-এর অংশ হিসেবে ইলেকট্রিক বাস চালুর প্রকল্পটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প ব্যয়ের ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২ হাজার ১৩৫ কোটি এবং বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় ৩৬৫ কোটি। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন। ঢাকা শহরের যানজট কমানো, কার্বন নিঃসরণ তথা দূষণ হ্রাস, গণপরিবহনের মান উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ডিটিসিএ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায়। রাজধানীর জন্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহনব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটিকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবহন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস চলার কথা। অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে বাস পরিচালনা করবে সরকার। তিনটি চার্জিং ডিপো নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি বিআরটিএ ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টারসহ কয়েকটি অবকাঠামো করবে।
প্রকল্প প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাঁচ বছরের প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইলেকট্রিক বাসগুলোর পরিচালনার খরচ কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। সরকার এতে ভর্তুকি দেবে কি না, তা চূড়ান্ত হয়নি। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের নীতিগত ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারও এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
প্রকল্পটির অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের ব্যবসায়িক মডেল, খরচ সাশ্রয় হবে কি না—এসব বিষয় পর্যালোচনা চলছে। এতগুলো বাসের অবস্থান নির্ধারণও একটি বড় বিষয়। তাই দু-তিনটি আলাদা স্থানের সম্ভাবনা বিবেচনা করা হচ্ছে। আবার যেসব জায়গায় বাস থাকবে, সেখানে চার্জিং স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
বিশেষ সহকারী বলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে তাঁদের আমলে এটা অনুমোদন হবে কি না, তা বলতে পারছেন না।
প্রকল্পটির বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দিন ধরে এ ধরনের প্রকল্প অনুমোদন না পাওয়া সরকারের দীর্ঘমেয়াদি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সমন্বয়হীনতারই প্রতিফলন। তবে পরিবহন খাতে বড় প্রকল্প নিতে হলে শুধু আধুনিক বাস আনা যথেষ্ট নয়—অপারেশনাল মডেল, রুট রেশনালাইজেশন, জমি বরাদ্দসহ সার্বিক অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিকল্পনা—সবকিছু নিয়ে সমান্তরালভাবে কাজ করতে হয়। আমাদের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এতটা ধীর এবং জটিল যে, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাগুলোও বছরের পর বছর ধরে স্থবির হয়ে থাকে।’
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়াধীন রাজধানীর বাস রুট রেশনালাইজেশন চালুর মাধ্যমে পরিবহনে শৃঙ্খলা আনায় অন্তর্বর্তী সরকার তেমন সফল হতে পারেনি। রাস্তা থেকে পরিকল্পনামতো বেশি পুরোনো গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পরিবহনমালিকেরা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হকও ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে ইলেকট্রিক গণপরিবহনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে ডিজেল সহজলভ্য না-ও থাকতে পারে—তাই এখনই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। কিন্তু শুধু ইলেকট্রিক বাস আনা যথেষ্ট নয়। এর আগে চার্জিং স্টেশন, সার্ভিস সেন্টার এবং পরিচালনার কাঠামো ঠিক করতে হবে। পরিচালনায় বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অংশীদার করা উচিত হবে। অপেশাদার সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর পুরো দায়িত্ব দিলে সেবার মান ঠিক থাকবে না। বেসরকারি খাতকে যুক্ত করলে এই উদ্যোগ স্থায়ীভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে গত মে মাসে। তবে গত আট মাসেও প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ব্যবসায়িক মডেল ও ব্যয়ের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়াতেই এর অনুমোদন থমকে আছে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার (বিসিএপি) ফেজ ওয়ান’-এর অংশ হিসেবে ইলেকট্রিক বাস চালুর প্রকল্পটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প ব্যয়ের ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২ হাজার ১৩৫ কোটি এবং বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় ৩৬৫ কোটি। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন। ঢাকা শহরের যানজট কমানো, কার্বন নিঃসরণ তথা দূষণ হ্রাস, গণপরিবহনের মান উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ডিটিসিএ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায়। রাজধানীর জন্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহনব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটিকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবহন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস চলার কথা। অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে বাস পরিচালনা করবে সরকার। তিনটি চার্জিং ডিপো নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি বিআরটিএ ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টারসহ কয়েকটি অবকাঠামো করবে।
প্রকল্প প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাঁচ বছরের প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইলেকট্রিক বাসগুলোর পরিচালনার খরচ কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। সরকার এতে ভর্তুকি দেবে কি না, তা চূড়ান্ত হয়নি। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের নীতিগত ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারও এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
প্রকল্পটির অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের ব্যবসায়িক মডেল, খরচ সাশ্রয় হবে কি না—এসব বিষয় পর্যালোচনা চলছে। এতগুলো বাসের অবস্থান নির্ধারণও একটি বড় বিষয়। তাই দু-তিনটি আলাদা স্থানের সম্ভাবনা বিবেচনা করা হচ্ছে। আবার যেসব জায়গায় বাস থাকবে, সেখানে চার্জিং স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
বিশেষ সহকারী বলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে তাঁদের আমলে এটা অনুমোদন হবে কি না, তা বলতে পারছেন না।
প্রকল্পটির বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দিন ধরে এ ধরনের প্রকল্প অনুমোদন না পাওয়া সরকারের দীর্ঘমেয়াদি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সমন্বয়হীনতারই প্রতিফলন। তবে পরিবহন খাতে বড় প্রকল্প নিতে হলে শুধু আধুনিক বাস আনা যথেষ্ট নয়—অপারেশনাল মডেল, রুট রেশনালাইজেশন, জমি বরাদ্দসহ সার্বিক অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিকল্পনা—সবকিছু নিয়ে সমান্তরালভাবে কাজ করতে হয়। আমাদের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এতটা ধীর এবং জটিল যে, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাগুলোও বছরের পর বছর ধরে স্থবির হয়ে থাকে।’
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়াধীন রাজধানীর বাস রুট রেশনালাইজেশন চালুর মাধ্যমে পরিবহনে শৃঙ্খলা আনায় অন্তর্বর্তী সরকার তেমন সফল হতে পারেনি। রাস্তা থেকে পরিকল্পনামতো বেশি পুরোনো গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পরিবহনমালিকেরা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হকও ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে ইলেকট্রিক গণপরিবহনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে ডিজেল সহজলভ্য না-ও থাকতে পারে—তাই এখনই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। কিন্তু শুধু ইলেকট্রিক বাস আনা যথেষ্ট নয়। এর আগে চার্জিং স্টেশন, সার্ভিস সেন্টার এবং পরিচালনার কাঠামো ঠিক করতে হবে। পরিচালনায় বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অংশীদার করা উচিত হবে। অপেশাদার সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর পুরো দায়িত্ব দিলে সেবার মান ঠিক থাকবে না। বেসরকারি খাতকে যুক্ত করলে এই উদ্যোগ স্থায়ীভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে গত মে মাসে। তবে গত আট মাসেও প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ব্যবসায়িক মডেল ও ব্যয়ের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়াতেই এর অনুমোদন থমকে আছে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার (বিসিএপি) ফেজ ওয়ান’-এর অংশ হিসেবে ইলেকট্রিক বাস চালুর প্রকল্পটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প ব্যয়ের ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২ হাজার ১৩৫ কোটি এবং বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় ৩৬৫ কোটি। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন। ঢাকা শহরের যানজট কমানো, কার্বন নিঃসরণ তথা দূষণ হ্রাস, গণপরিবহনের মান উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ডিটিসিএ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায়। রাজধানীর জন্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহনব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটিকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবহন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস চলার কথা। অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে বাস পরিচালনা করবে সরকার। তিনটি চার্জিং ডিপো নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি বিআরটিএ ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টারসহ কয়েকটি অবকাঠামো করবে।
প্রকল্প প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাঁচ বছরের প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইলেকট্রিক বাসগুলোর পরিচালনার খরচ কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। সরকার এতে ভর্তুকি দেবে কি না, তা চূড়ান্ত হয়নি। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের নীতিগত ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারও এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
প্রকল্পটির অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের ব্যবসায়িক মডেল, খরচ সাশ্রয় হবে কি না—এসব বিষয় পর্যালোচনা চলছে। এতগুলো বাসের অবস্থান নির্ধারণও একটি বড় বিষয়। তাই দু-তিনটি আলাদা স্থানের সম্ভাবনা বিবেচনা করা হচ্ছে। আবার যেসব জায়গায় বাস থাকবে, সেখানে চার্জিং স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
বিশেষ সহকারী বলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে তাঁদের আমলে এটা অনুমোদন হবে কি না, তা বলতে পারছেন না।
প্রকল্পটির বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দিন ধরে এ ধরনের প্রকল্প অনুমোদন না পাওয়া সরকারের দীর্ঘমেয়াদি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সমন্বয়হীনতারই প্রতিফলন। তবে পরিবহন খাতে বড় প্রকল্প নিতে হলে শুধু আধুনিক বাস আনা যথেষ্ট নয়—অপারেশনাল মডেল, রুট রেশনালাইজেশন, জমি বরাদ্দসহ সার্বিক অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিকল্পনা—সবকিছু নিয়ে সমান্তরালভাবে কাজ করতে হয়। আমাদের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এতটা ধীর এবং জটিল যে, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাগুলোও বছরের পর বছর ধরে স্থবির হয়ে থাকে।’
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়াধীন রাজধানীর বাস রুট রেশনালাইজেশন চালুর মাধ্যমে পরিবহনে শৃঙ্খলা আনায় অন্তর্বর্তী সরকার তেমন সফল হতে পারেনি। রাস্তা থেকে পরিকল্পনামতো বেশি পুরোনো গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পরিবহনমালিকেরা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হকও ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে ইলেকট্রিক গণপরিবহনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে ডিজেল সহজলভ্য না-ও থাকতে পারে—তাই এখনই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। কিন্তু শুধু ইলেকট্রিক বাস আনা যথেষ্ট নয়। এর আগে চার্জিং স্টেশন, সার্ভিস সেন্টার এবং পরিচালনার কাঠামো ঠিক করতে হবে। পরিচালনায় বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অংশীদার করা উচিত হবে। অপেশাদার সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর পুরো দায়িত্ব দিলে সেবার মান ঠিক থাকবে না। বেসরকারি খাতকে যুক্ত করলে এই উদ্যোগ স্থায়ীভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’
মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’
মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে গত মে মাসে। তবে গত আট মাসেও প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
২১ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে গত মে মাসে। তবে গত আট মাসেও প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
২১ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে গত মে মাসে। তবে গত আট মাসেও প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
২১ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বায়ুদূষণ ও যানজট কমাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে গত মে মাসে। তবে গত আট মাসেও প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
২১ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে