আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক। ২০০৪ সালে এই উদ্যোগ গ্রহণের পর থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং পেশাজীবী সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দের পরামর্শে বিভিন্ন সময়ে সংশোধিত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্তকরণের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয় এবং মন্ত্রিসভার মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জন ও সংযোজন করে জাতীয় নগর নীতি-২০১৬ খসড়া করা হলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় নতুন কমিটি গঠনের পর চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সভার মতামত, সাম্প্রতিক জাতীয় পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারসমূহ এবং আন্তর্জাতিক নীতি, কাঠামো ও অগ্রাধিকার বিশ্লেষণ করে খসড়া জাতীয় নগর নীতি ২০২৫ সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার তালিকায় বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকার ভৌত অবকাঠামো, বাড়িঘরসহ সামগ্রিক ল্যান্ডস্কেপ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। শুধু বড় শহর নয়, এমনকি ছোট পৌর এলাকা, উপজেলা সদর কিংবা গ্রামীণ এলাকাতেও যত্রতত্র পাকা বাড়িঘর-অবকাঠামো গড়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও বসতি এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেখানে সেখানে শিল্প কলকারখানা স্থাপন অথবা রাস্তাঘাট নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে বছরে বছরে মূল্যবান কৃষি ভূমি, জলাশয়, বনভূমি, পাহাড়সহ প্রাকৃতিক সংবেদনশীল এলাকা হারাচ্ছে। তাই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর এলাকা গড়ে তুলতে একটি জাতীয় নগরায়ণ নীতি প্রয়োজন। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, কাজের অভাব ও গ্রামীণ এলাকায় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে শহরমুখী জনস্রোত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই শহরমুখী মানুষকে গ্রহণ করার জন্য নগরগুলো সক্ষম নয়। দেশে যে প্রক্রিয়া নগরায়ণ চলছে সেখানে মান সম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা, কমিউনিটি স্পেস ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি থেকে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করতে সারা দেশকে নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়মতো তার যথাযথ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। একটি সমন্বিত জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয়-তিনটি স্তরেই পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সময় মতো তার বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই সকল বিবেচনায় দেশে পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী নগর নীতিমালা প্রয়োজন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা, ও আলোচনার মাধ্যমে এটি হালনাগাদ করা হয়েছে ৷ আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো সবার মূল্যবান মতামত গ্রহণ করা, যা এই নগর নীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় খসড়া নগর নীতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জুং এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।

জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক। ২০০৪ সালে এই উদ্যোগ গ্রহণের পর থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং পেশাজীবী সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দের পরামর্শে বিভিন্ন সময়ে সংশোধিত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্তকরণের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয় এবং মন্ত্রিসভার মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জন ও সংযোজন করে জাতীয় নগর নীতি-২০১৬ খসড়া করা হলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় নতুন কমিটি গঠনের পর চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সভার মতামত, সাম্প্রতিক জাতীয় পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারসমূহ এবং আন্তর্জাতিক নীতি, কাঠামো ও অগ্রাধিকার বিশ্লেষণ করে খসড়া জাতীয় নগর নীতি ২০২৫ সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার তালিকায় বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকার ভৌত অবকাঠামো, বাড়িঘরসহ সামগ্রিক ল্যান্ডস্কেপ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। শুধু বড় শহর নয়, এমনকি ছোট পৌর এলাকা, উপজেলা সদর কিংবা গ্রামীণ এলাকাতেও যত্রতত্র পাকা বাড়িঘর-অবকাঠামো গড়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও বসতি এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেখানে সেখানে শিল্প কলকারখানা স্থাপন অথবা রাস্তাঘাট নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে বছরে বছরে মূল্যবান কৃষি ভূমি, জলাশয়, বনভূমি, পাহাড়সহ প্রাকৃতিক সংবেদনশীল এলাকা হারাচ্ছে। তাই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর এলাকা গড়ে তুলতে একটি জাতীয় নগরায়ণ নীতি প্রয়োজন। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, কাজের অভাব ও গ্রামীণ এলাকায় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে শহরমুখী জনস্রোত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই শহরমুখী মানুষকে গ্রহণ করার জন্য নগরগুলো সক্ষম নয়। দেশে যে প্রক্রিয়া নগরায়ণ চলছে সেখানে মান সম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা, কমিউনিটি স্পেস ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি থেকে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করতে সারা দেশকে নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়মতো তার যথাযথ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। একটি সমন্বিত জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয়-তিনটি স্তরেই পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সময় মতো তার বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই সকল বিবেচনায় দেশে পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী নগর নীতিমালা প্রয়োজন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা, ও আলোচনার মাধ্যমে এটি হালনাগাদ করা হয়েছে ৷ আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো সবার মূল্যবান মতামত গ্রহণ করা, যা এই নগর নীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় খসড়া নগর নীতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জুং এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক। ২০০৪ সালে এই উদ্যোগ গ্রহণের পর থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং পেশাজীবী সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দের পরামর্শে বিভিন্ন সময়ে সংশোধিত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্তকরণের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয় এবং মন্ত্রিসভার মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জন ও সংযোজন করে জাতীয় নগর নীতি-২০১৬ খসড়া করা হলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় নতুন কমিটি গঠনের পর চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সভার মতামত, সাম্প্রতিক জাতীয় পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারসমূহ এবং আন্তর্জাতিক নীতি, কাঠামো ও অগ্রাধিকার বিশ্লেষণ করে খসড়া জাতীয় নগর নীতি ২০২৫ সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার তালিকায় বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকার ভৌত অবকাঠামো, বাড়িঘরসহ সামগ্রিক ল্যান্ডস্কেপ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। শুধু বড় শহর নয়, এমনকি ছোট পৌর এলাকা, উপজেলা সদর কিংবা গ্রামীণ এলাকাতেও যত্রতত্র পাকা বাড়িঘর-অবকাঠামো গড়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও বসতি এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেখানে সেখানে শিল্প কলকারখানা স্থাপন অথবা রাস্তাঘাট নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে বছরে বছরে মূল্যবান কৃষি ভূমি, জলাশয়, বনভূমি, পাহাড়সহ প্রাকৃতিক সংবেদনশীল এলাকা হারাচ্ছে। তাই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর এলাকা গড়ে তুলতে একটি জাতীয় নগরায়ণ নীতি প্রয়োজন। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, কাজের অভাব ও গ্রামীণ এলাকায় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে শহরমুখী জনস্রোত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই শহরমুখী মানুষকে গ্রহণ করার জন্য নগরগুলো সক্ষম নয়। দেশে যে প্রক্রিয়া নগরায়ণ চলছে সেখানে মান সম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা, কমিউনিটি স্পেস ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি থেকে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করতে সারা দেশকে নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়মতো তার যথাযথ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। একটি সমন্বিত জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয়-তিনটি স্তরেই পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সময় মতো তার বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই সকল বিবেচনায় দেশে পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী নগর নীতিমালা প্রয়োজন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা, ও আলোচনার মাধ্যমে এটি হালনাগাদ করা হয়েছে ৷ আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো সবার মূল্যবান মতামত গ্রহণ করা, যা এই নগর নীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় খসড়া নগর নীতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জুং এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।

জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক। ২০০৪ সালে এই উদ্যোগ গ্রহণের পর থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং পেশাজীবী সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দের পরামর্শে বিভিন্ন সময়ে সংশোধিত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্তকরণের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয় এবং মন্ত্রিসভার মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জন ও সংযোজন করে জাতীয় নগর নীতি-২০১৬ খসড়া করা হলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় নতুন কমিটি গঠনের পর চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সভার মতামত, সাম্প্রতিক জাতীয় পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারসমূহ এবং আন্তর্জাতিক নীতি, কাঠামো ও অগ্রাধিকার বিশ্লেষণ করে খসড়া জাতীয় নগর নীতি ২০২৫ সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার তালিকায় বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকার ভৌত অবকাঠামো, বাড়িঘরসহ সামগ্রিক ল্যান্ডস্কেপ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। শুধু বড় শহর নয়, এমনকি ছোট পৌর এলাকা, উপজেলা সদর কিংবা গ্রামীণ এলাকাতেও যত্রতত্র পাকা বাড়িঘর-অবকাঠামো গড়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও বসতি এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেখানে সেখানে শিল্প কলকারখানা স্থাপন অথবা রাস্তাঘাট নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে বছরে বছরে মূল্যবান কৃষি ভূমি, জলাশয়, বনভূমি, পাহাড়সহ প্রাকৃতিক সংবেদনশীল এলাকা হারাচ্ছে। তাই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর এলাকা গড়ে তুলতে একটি জাতীয় নগরায়ণ নীতি প্রয়োজন। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, কাজের অভাব ও গ্রামীণ এলাকায় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে শহরমুখী জনস্রোত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই শহরমুখী মানুষকে গ্রহণ করার জন্য নগরগুলো সক্ষম নয়। দেশে যে প্রক্রিয়া নগরায়ণ চলছে সেখানে মান সম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা, কমিউনিটি স্পেস ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি থেকে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করতে সারা দেশকে নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়মতো তার যথাযথ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। একটি সমন্বিত জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয়-তিনটি স্তরেই পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সময় মতো তার বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই সকল বিবেচনায় দেশে পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী নগর নীতিমালা প্রয়োজন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা, ও আলোচনার মাধ্যমে এটি হালনাগাদ করা হয়েছে ৷ আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো সবার মূল্যবান মতামত গ্রহণ করা, যা এই নগর নীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় খসড়া নগর নীতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জুং এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালা
২৮ জানুয়ারি ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালা
২৮ জানুয়ারি ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৩৮ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালা
২৮ জানুয়ারি ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালা
২৮ জানুয়ারি ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
১ ঘণ্টা আগে