মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই। শহরঘেঁষা হলেও এখানে আছে নয়নাভিরাম প্রকৃতি; বিশেষ করে ধামরাইয়ের কাজিয়ালকুণ্ড, আড়ালিয়া, মাখুলিয়া, কানারচর, মাধবপট্টিসহ আরও অনেক গ্রাম ছবির মতো সুন্দর।
এসব গ্রামের কয়েকটিতে রয়েছে প্রচুর হিজল ও করচগাছ। এক অদ্ভুত প্রশান্তি দেবে তারা। বংশী ও ধলেশ্বরী নদীঘেরা গ্রামের নিচু ফসলি মাঠ থেকে বর্ষার পানি নেমে গেছে। উঁচু গ্রামগুলো এখন দ্বীপ নয়, টিলার মতো দেখতে। নৌকার বদলে সেখানে এখন হাঁটাপথ। বর্ষার মাছশিকারিরা এখন কৃষক। থইথই পানি না থাকলেও নিচু জমি আর খালে যে পানি আছে, সেখানে ভেসে বেড়ায় পাতিহাঁসের দল। মাঠগুলো ভরে উঠেছে শীতের সবজিতে। কোথাও কোথাও চাষ করা হয়েছে সরিষা। মধ্য ডিসেম্বরে তার হলুদ ফুলে ভরে উঠবে মাঠ, তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে সবুজ চারাগুলো।
এসব গ্রাম এখনো বেশ নীরব। পাকা রাস্তায় তীব্র বেগে ছুটে যায় গাড়ি, কিন্তু শহরের মতো উচ্চ শব্দে হর্ন বাজায় না। ফলে নিস্তব্ধতা ঘিরে ধরে। দুপুরে মনে হয় মাঠগুলো ঝিম মেরে রোদ পোহায়। বিষণ্ন দুপুরে ঘুঘুর ডাক যে কাউকে উদাস করবে।
ছবির মতো সুন্দর গ্রামের সিঁথি। তার মেঠো পথে সারি সারি তালগাছের ছায়ায় হেঁটে ও ব্যাটারিচালিত রিকশায় চড়ে আড়ালিয়া বাজারে উপস্থিত হই। সেখানকার টংদোকানে গরম-গরম আলুপুরি, শিঙাড়া আর গরুর দুধের মালাই চায়ের স্বাদ জিবে লেগে থাকবে দীর্ঘদিন। খেয়েদেয়ে চাঙা হয়ে বাজারের পাশের চৌটাইল গ্রামের পিঠ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরীর বুকে ডুবসাঁতারে মাতামাতি করে শৈশবের স্মৃতি হাতড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাবে। বিনা টিকিটে ইচ্ছেমতো গোসল করে চলে যেতে পারেন কাজিয়ালকুণ্ড। এখানে সড়কের দুই পাশের গাছের ছায়ায় পেতে রাখা বেঞ্চে বেলা পার করে দেওয়া যায় অনায়াসে। গাছের ফাঁক গলে হুহু করে আসা আসন্ন শীতের বাতাস দুপুরের গরমেও স্বস্তি দেবে।

ধানের নাড়ার স্তূপ ও পাখির ডাকে এখানে অপার্থিব পরিবেশ। ঘুরতে ঘুরতে সকাল গড়িয়ে দুপুর। পেটে নিশ্চয় লেগে গেছে টান। কাজিয়ালকুণ্ডের ঢুলিভিটা সড়কে রয়েছে নানান ক্যাটাগরির রেস্টুরেন্ট। খাবারের মানের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি মনে হতে পারে। এর চেয়ে ভালো নিজেরা সওদাপাতি করে গ্রামের ভেতর কোনো টংদোকানিকে দলে ভিড়িয়ে রান্না করিয়ে নেওয়া।
পেট ঠান্ডা হলে হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতে পারেন মাখুলিয়া। ধান শুকানোর মনোরম মুহূর্ত, গ্রামের বউঝিদের গোলায় ধান তোলার ব্যস্ততা যান্ত্রিকতা থেকে খানিক মুক্তি দেবে। সেখান থেকে যেতে পারেন কানারচরের দিকে। সেখানে আছে বিস্তৃত ফসলি জমি। মাটির গভীর থেকে ফসলের জন্য তোলা শ্যালো মেশিনের নলের সামনে বসে আরও একবার গোসল করতে পারেন। না হলে তাকিয়ে থাকুন দিগন্তের দিকে। যত দূর চোখ যায় শুধু কাঁচা-পাকা ধানখেত দেখতে পাবেন। আশ্চর্য হয়ে ভাবতে শুরু করবেন, এমন সুন্দর গ্রামের নাম কে রেখেছে কানারচর!

সূর্য যখন পশ্চিমে হেলে পড়বে, ঠিক তখনই মধ্য ফোর্ডনগরের দিকে ছুটে যান। বটতলা ছাড়িয়ে, বাঁশের সেতু মাড়িয়ে, ইঞ্জিনবোটে চড়ে বংশী নদীতে ভেসে বেড়ান কিছুক্ষণ। মাঝির সঙ্গে কথা হবে, ট্রলার যাবে দক্ষিণ দিকে। সঙ্গে নিন ছোলা ভুনা, পেঁয়াজি আর হাতে ভাজা মুড়ি। মাখা মুড়ি শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আবিষ্কার করবেন, জীবনটা এখানে অনেক সুন্দর। ভাসতে ভাসতে ভরসন্ধ্যায় নেমে পড়ুন সাভারের নামাবাজার গুদারা ঘাটে।

যাবেন যেভাবে
ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজস্ব বা ভাড়া করা গাড়ি, মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল কিংবা গণপরিবহনে সাভারের থানা রোড হয়ে নামাবাজার ব্রিজের ওপর দিয়ে দিনে দিনে ঘুরে আসা যায়। উপজেলা ধামরাই হলেও সাভারের থানা রোড বা বাজার রোড দিয়ে যাতায়াত সহজ।
আরও যা দেখা যাবে
খুব ভোরে পৌঁছাতে পারলে আড়ালিয়ার পাশে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরের নয়নাভিরাম খড়ার চর, কাংশা ও ফড়িঙ্গা গ্রাম ঘুরে আসা যাবে।
টিপস
গল্পের মতো ঘুরতে চাইলে সঙ্গে রাখুন কয়েক সেট পরিধেয় জামাকাপড়। ভোজনরসিক হলে সকালের নাশতায় নামাবাজারের থাপড়ানো রুটি ও দই-মিষ্টি তালিকায় রাখতে পারেন।
ছবি: দে ছুট ভ্রমণ সংঘ

ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই। শহরঘেঁষা হলেও এখানে আছে নয়নাভিরাম প্রকৃতি; বিশেষ করে ধামরাইয়ের কাজিয়ালকুণ্ড, আড়ালিয়া, মাখুলিয়া, কানারচর, মাধবপট্টিসহ আরও অনেক গ্রাম ছবির মতো সুন্দর।
এসব গ্রামের কয়েকটিতে রয়েছে প্রচুর হিজল ও করচগাছ। এক অদ্ভুত প্রশান্তি দেবে তারা। বংশী ও ধলেশ্বরী নদীঘেরা গ্রামের নিচু ফসলি মাঠ থেকে বর্ষার পানি নেমে গেছে। উঁচু গ্রামগুলো এখন দ্বীপ নয়, টিলার মতো দেখতে। নৌকার বদলে সেখানে এখন হাঁটাপথ। বর্ষার মাছশিকারিরা এখন কৃষক। থইথই পানি না থাকলেও নিচু জমি আর খালে যে পানি আছে, সেখানে ভেসে বেড়ায় পাতিহাঁসের দল। মাঠগুলো ভরে উঠেছে শীতের সবজিতে। কোথাও কোথাও চাষ করা হয়েছে সরিষা। মধ্য ডিসেম্বরে তার হলুদ ফুলে ভরে উঠবে মাঠ, তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে সবুজ চারাগুলো।
এসব গ্রাম এখনো বেশ নীরব। পাকা রাস্তায় তীব্র বেগে ছুটে যায় গাড়ি, কিন্তু শহরের মতো উচ্চ শব্দে হর্ন বাজায় না। ফলে নিস্তব্ধতা ঘিরে ধরে। দুপুরে মনে হয় মাঠগুলো ঝিম মেরে রোদ পোহায়। বিষণ্ন দুপুরে ঘুঘুর ডাক যে কাউকে উদাস করবে।
ছবির মতো সুন্দর গ্রামের সিঁথি। তার মেঠো পথে সারি সারি তালগাছের ছায়ায় হেঁটে ও ব্যাটারিচালিত রিকশায় চড়ে আড়ালিয়া বাজারে উপস্থিত হই। সেখানকার টংদোকানে গরম-গরম আলুপুরি, শিঙাড়া আর গরুর দুধের মালাই চায়ের স্বাদ জিবে লেগে থাকবে দীর্ঘদিন। খেয়েদেয়ে চাঙা হয়ে বাজারের পাশের চৌটাইল গ্রামের পিঠ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরীর বুকে ডুবসাঁতারে মাতামাতি করে শৈশবের স্মৃতি হাতড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাবে। বিনা টিকিটে ইচ্ছেমতো গোসল করে চলে যেতে পারেন কাজিয়ালকুণ্ড। এখানে সড়কের দুই পাশের গাছের ছায়ায় পেতে রাখা বেঞ্চে বেলা পার করে দেওয়া যায় অনায়াসে। গাছের ফাঁক গলে হুহু করে আসা আসন্ন শীতের বাতাস দুপুরের গরমেও স্বস্তি দেবে।

ধানের নাড়ার স্তূপ ও পাখির ডাকে এখানে অপার্থিব পরিবেশ। ঘুরতে ঘুরতে সকাল গড়িয়ে দুপুর। পেটে নিশ্চয় লেগে গেছে টান। কাজিয়ালকুণ্ডের ঢুলিভিটা সড়কে রয়েছে নানান ক্যাটাগরির রেস্টুরেন্ট। খাবারের মানের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি মনে হতে পারে। এর চেয়ে ভালো নিজেরা সওদাপাতি করে গ্রামের ভেতর কোনো টংদোকানিকে দলে ভিড়িয়ে রান্না করিয়ে নেওয়া।
পেট ঠান্ডা হলে হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতে পারেন মাখুলিয়া। ধান শুকানোর মনোরম মুহূর্ত, গ্রামের বউঝিদের গোলায় ধান তোলার ব্যস্ততা যান্ত্রিকতা থেকে খানিক মুক্তি দেবে। সেখান থেকে যেতে পারেন কানারচরের দিকে। সেখানে আছে বিস্তৃত ফসলি জমি। মাটির গভীর থেকে ফসলের জন্য তোলা শ্যালো মেশিনের নলের সামনে বসে আরও একবার গোসল করতে পারেন। না হলে তাকিয়ে থাকুন দিগন্তের দিকে। যত দূর চোখ যায় শুধু কাঁচা-পাকা ধানখেত দেখতে পাবেন। আশ্চর্য হয়ে ভাবতে শুরু করবেন, এমন সুন্দর গ্রামের নাম কে রেখেছে কানারচর!

সূর্য যখন পশ্চিমে হেলে পড়বে, ঠিক তখনই মধ্য ফোর্ডনগরের দিকে ছুটে যান। বটতলা ছাড়িয়ে, বাঁশের সেতু মাড়িয়ে, ইঞ্জিনবোটে চড়ে বংশী নদীতে ভেসে বেড়ান কিছুক্ষণ। মাঝির সঙ্গে কথা হবে, ট্রলার যাবে দক্ষিণ দিকে। সঙ্গে নিন ছোলা ভুনা, পেঁয়াজি আর হাতে ভাজা মুড়ি। মাখা মুড়ি শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আবিষ্কার করবেন, জীবনটা এখানে অনেক সুন্দর। ভাসতে ভাসতে ভরসন্ধ্যায় নেমে পড়ুন সাভারের নামাবাজার গুদারা ঘাটে।

যাবেন যেভাবে
ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজস্ব বা ভাড়া করা গাড়ি, মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল কিংবা গণপরিবহনে সাভারের থানা রোড হয়ে নামাবাজার ব্রিজের ওপর দিয়ে দিনে দিনে ঘুরে আসা যায়। উপজেলা ধামরাই হলেও সাভারের থানা রোড বা বাজার রোড দিয়ে যাতায়াত সহজ।
আরও যা দেখা যাবে
খুব ভোরে পৌঁছাতে পারলে আড়ালিয়ার পাশে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরের নয়নাভিরাম খড়ার চর, কাংশা ও ফড়িঙ্গা গ্রাম ঘুরে আসা যাবে।
টিপস
গল্পের মতো ঘুরতে চাইলে সঙ্গে রাখুন কয়েক সেট পরিধেয় জামাকাপড়। ভোজনরসিক হলে সকালের নাশতায় নামাবাজারের থাপড়ানো রুটি ও দই-মিষ্টি তালিকায় রাখতে পারেন।
ছবি: দে ছুট ভ্রমণ সংঘ

জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
৬ মিনিট আগে
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে, মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ খাতে নতুন নতুন প্রবণতা বা ট্রেন্ড দেখা যায়। ২০২৬ সালও তার ব্যতিক্রম হবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নতুন বছরের সম্ভাব্য ভ্রমণ প্রবণতাগুলোর খবর। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোটেল গ্রুপ, ট্রাভেল ফার্ম এবং ট্রেন্ড ফোরকাস্টারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যমটি...
১ ঘণ্টা আগে
বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিশ্ব পর্যটন দিন দিন আরও প্রসার হচ্ছে। পর্যটনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। সৌদি আরবের মতো দেশ এখন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে পৌঁছাতে অভিনব সব উদ্যোগ নিচ্ছে। বাংলাদেশে বসে যখন এসব খবর চোখে পড়বে, তখন স্বাভাবিকভাবে জানতে ইচ্ছা করবে, আমাদের দেশের পর্যটনের অবস্থা কী?
আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম দেশের চারজন পর্যটকের সঙ্গে। তাঁরা নিজেদের সুচিন্তিত মতামত জানিয়েছেন দেশীয় পর্যটন বিষয়ে।

ভিশন নির্ধারণের প্রথম দায়িত্ব রাষ্ট্রের
মহুয়া রউফ, পর্যটক ও লেখক
পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রথম যে সংকট বা চ্যালেঞ্জ, সেটি হলো রাষ্ট্র নিজে আসলে কত দূর দেখতে চায়। রাষ্ট্র কি তার পর্যটনকে আকাশের মতো দূর পর্যন্ত কল্পনা করতে পারে, নাকি একটি সেতুর দূরত্বের মতো সীমিত করে দেখে? অর্থাৎ প্রশ্নটি মূলত ভিশনের। রাষ্ট্র নিজেকে কতটা ভিশনারি হিসেবে দেখতে চায়?
এই ভিশন নির্ধারণের প্রথম দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রকেই ঠিক করতে হবে, পর্যটন খাত কত দূর ওপরে উঠবে।
রাষ্ট্র একবার এটি ঠিক করলে স্বাভাবিকভাবেই আইনি জটিলতা, অবকাঠামো এবং নীতিমালার জায়গাগুলো স্পষ্ট হয়। কারণ, পর্যটন নিয়ে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট আইন, বিধি ও নীতিমালা রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, পর্যটন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক বাস্তবতার প্রতিফলন। আপনার দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও আপনি হয়তো কঠোর নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে পারবেন, পরীক্ষা নিতে পারবেন। তবে পর্যটন সে রকম নয়। কারণ, পর্যটনের মাধ্যমে আপনি পুরো পৃথিবীর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন। আপনি বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানান, এসে দেখুন আমার ঐতিহ্য, আমার জীবনচর্চা, আমার জীবনবোধ এবং ইতিহাস।
এ কারণে পর্যটনের সঙ্গে একটি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমাদের অঞ্চলকে যদি দেখি মুক্তিযুদ্ধের আগে বা পরে, আমরা ঐতিহাসিকভাবেই একটি রাজনৈতিকভাবে অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। বিষয়টি নিজেরা হয়তো সব সময় গভীরভাবে অনুধাবন করি না, কিন্তু বিশ্ব তা ঠিকই অনুধাবন করে।

ব্যাকপ্যাক ট্যুরিজমের সুযোগ বাড়ানো দরকার
বাবর আলী, পর্বতারোহী
প্রথমত, আমাদের দেশের জনসংখ্যার চেয়ে পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা কম। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে একটি জায়গা জনপ্রিয় হয়ে গেলে সেখানে পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড় দেখা যায়। যেমন সাজেক কিংবা টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থা। এর সঙ্গে সেখানে একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়। ফলে পর্যটকেরাও স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারে না। এটি পর্যটনের জন্য ভালো কিছু নয়। বিষয়টি আমাদের দায়িত্বরতদের খেয়াল রাখা জরুরি।
আরেকটা বিষয় চাই, আমাদের ব্যাকপ্যাক ট্যুরিজমের সুযোগটা বাড়ানো দরকার। একজন মানুষ যেন বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারেন।
পর্যটন খাতের উন্নতির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি। একই সঙ্গে স্থানীয় জেলা প্রশাসক কিংবা অন্য যাঁরা আছেন, তাঁরাও এখানে বেশ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের যা আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। আমার মনে হয়, জাতি হিসেবে আমরা সংরক্ষণে আগ্রহী নই। কারণ, আমাদের দক্ষিণ কিংবা পূর্বাঞ্চলে ভ্রমণের প্রসারটা যেমন দেখি, তেমনটা উত্তরবঙ্গে নয়। কিন্তু সেখানে তো আমাদের অসংখ্য হেরিটেজ আছে। সেগুলো নিয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। সেখানে নতুন কিছু করা এবং বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। পর্যটন শুধু নতুন জায়গা দেখা
নয়, এর সঙ্গে মানুষ দেখা, স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করা বড় অংশ। সেই জায়গায় থেকে উত্তরবঙ্গে অনেক কিছু দেখার আছে। আমি এমন পর্যটন চাই, যেখানে স্থানীয়রা উপকৃত হবে।

হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশে উত্তরবঙ্গের বিকল্প নেই
এলিজা বিনতে এলাহী, ঐতিহ্য পর্যটক ও শিক্ষক
বাংলাদেশের হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশ নিয়ে আমি কাজ করছি; যার স্লোগান ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ থ্রু হেরিটেজ ট্রাভেল’। এই খাতে বিস্তৃতভাবে কাজ শুরু হয়নি। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু মানুষ সেটা করার চেষ্টা করছেন।
আমার প্রত্যাশা হলো, বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাক এবং বাংলাদেশ একটি গ্লোবাল পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করুক।
বাংলাদেশে অসংখ্য ঐতিহাসিক ও প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে, যা আমাদের জন্য এক বিশাল সম্পদ। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, এই ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণের পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই, নেই পরিকল্পিত প্রচারের ব্যবস্থা। এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হলে ডিজিটালাইজেশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্যে খুব সহজে এসব ঐতিহাসিক স্থান দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, সঠিক সংরক্ষণ এবং কার্যকর প্রচার-প্রচারণা। এই তিন বিষয় ছাড়া হেরিটেজ ট্যুরিজম টেকসইভাবে বিকশিত হতে পারে না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশে উত্তরবঙ্গের বিকল্প নেই। উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাকে সমন্বিতভাবে হেরিটেজ জোন ঘোষণা করা যেতে পারে।
আমরা প্রায়ই স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসফরে দেশের ঐতিহাসিক অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারিনি। রাজশাহী বিভাগ বা উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখা, কিংবা সাত গম্বুজ মসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষাসফর আয়োজন, এ ধরনের উদ্যোগ সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খুবই কম দেখা যায়। এসব কার্যক্রম নিয়মিত ও পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

লোকাল গাইডদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন
সাইফুল ইসলাম শান্ত, হাইকার ও পর্যটক
পৃথিবীতে প্রায় সব দেশই ট্যুরিজম এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নিরাপত্তা এবং স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতার অভাব। যদিও বলতে খারাপ লাগে, কিন্তু এখনো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ট্যুরিস্ট-ফ্রেন্ডলি না, যা আমি দেশের ৬৪ জেলা হেঁটে ভ্রমণের সময় উপলব্ধি করেছি।
কক্সবাজারকে নিরাপত্তার আওতায় আনা গেলে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবে বলেই আশা করা যায়।
পর্যটন উদ্যোগ নিয়ে ঘাটতির কথা বললে তা বলে শেষ করা যাবে না। প্রথমেই বলব, রাজনৈতিক অস্থিরতা। সব দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো এমন অরাজকতা আর কোথাও হয় না। বিভিন্ন দেশের মানুষের ধারণা, বাংলাদেশে যুদ্ধ হচ্ছে, নিরাপদ নয়। তাই তারা ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ এড়িয়ে চলে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে খুব কম খরচে হোমস্টে বা হোস্টেলে থাকা যায়, যা বাংলাদেশে এখনো হয়নি। পর্যটনশিল্পে এগিয়ে যেতে হলে নিরাপদ হোমস্টে কালচার বাড়াতে হবে। এর জন্য স্থানীয় মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
এ ছাড়া স্থানীয় গাইডদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই।
এই শ্রেণির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে দেখেছি, একটি দেশ তখনই সত্যিকারের পর্যটনবান্ধব হয়, যখন একজন পর্যটক সেখানে নিরাপদ, সম্মানিত ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাংলাদেশেও আমি সেই মানের পর্যটন দেখতে চাই।

জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিশ্ব পর্যটন দিন দিন আরও প্রসার হচ্ছে। পর্যটনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। সৌদি আরবের মতো দেশ এখন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে পৌঁছাতে অভিনব সব উদ্যোগ নিচ্ছে। বাংলাদেশে বসে যখন এসব খবর চোখে পড়বে, তখন স্বাভাবিকভাবে জানতে ইচ্ছা করবে, আমাদের দেশের পর্যটনের অবস্থা কী?
আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম দেশের চারজন পর্যটকের সঙ্গে। তাঁরা নিজেদের সুচিন্তিত মতামত জানিয়েছেন দেশীয় পর্যটন বিষয়ে।

ভিশন নির্ধারণের প্রথম দায়িত্ব রাষ্ট্রের
মহুয়া রউফ, পর্যটক ও লেখক
পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রথম যে সংকট বা চ্যালেঞ্জ, সেটি হলো রাষ্ট্র নিজে আসলে কত দূর দেখতে চায়। রাষ্ট্র কি তার পর্যটনকে আকাশের মতো দূর পর্যন্ত কল্পনা করতে পারে, নাকি একটি সেতুর দূরত্বের মতো সীমিত করে দেখে? অর্থাৎ প্রশ্নটি মূলত ভিশনের। রাষ্ট্র নিজেকে কতটা ভিশনারি হিসেবে দেখতে চায়?
এই ভিশন নির্ধারণের প্রথম দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রকেই ঠিক করতে হবে, পর্যটন খাত কত দূর ওপরে উঠবে।
রাষ্ট্র একবার এটি ঠিক করলে স্বাভাবিকভাবেই আইনি জটিলতা, অবকাঠামো এবং নীতিমালার জায়গাগুলো স্পষ্ট হয়। কারণ, পর্যটন নিয়ে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট আইন, বিধি ও নীতিমালা রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, পর্যটন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক বাস্তবতার প্রতিফলন। আপনার দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও আপনি হয়তো কঠোর নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে পারবেন, পরীক্ষা নিতে পারবেন। তবে পর্যটন সে রকম নয়। কারণ, পর্যটনের মাধ্যমে আপনি পুরো পৃথিবীর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন। আপনি বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানান, এসে দেখুন আমার ঐতিহ্য, আমার জীবনচর্চা, আমার জীবনবোধ এবং ইতিহাস।
এ কারণে পর্যটনের সঙ্গে একটি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমাদের অঞ্চলকে যদি দেখি মুক্তিযুদ্ধের আগে বা পরে, আমরা ঐতিহাসিকভাবেই একটি রাজনৈতিকভাবে অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। বিষয়টি নিজেরা হয়তো সব সময় গভীরভাবে অনুধাবন করি না, কিন্তু বিশ্ব তা ঠিকই অনুধাবন করে।

ব্যাকপ্যাক ট্যুরিজমের সুযোগ বাড়ানো দরকার
বাবর আলী, পর্বতারোহী
প্রথমত, আমাদের দেশের জনসংখ্যার চেয়ে পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা কম। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে একটি জায়গা জনপ্রিয় হয়ে গেলে সেখানে পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড় দেখা যায়। যেমন সাজেক কিংবা টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থা। এর সঙ্গে সেখানে একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়। ফলে পর্যটকেরাও স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারে না। এটি পর্যটনের জন্য ভালো কিছু নয়। বিষয়টি আমাদের দায়িত্বরতদের খেয়াল রাখা জরুরি।
আরেকটা বিষয় চাই, আমাদের ব্যাকপ্যাক ট্যুরিজমের সুযোগটা বাড়ানো দরকার। একজন মানুষ যেন বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারেন।
পর্যটন খাতের উন্নতির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি। একই সঙ্গে স্থানীয় জেলা প্রশাসক কিংবা অন্য যাঁরা আছেন, তাঁরাও এখানে বেশ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের যা আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। আমার মনে হয়, জাতি হিসেবে আমরা সংরক্ষণে আগ্রহী নই। কারণ, আমাদের দক্ষিণ কিংবা পূর্বাঞ্চলে ভ্রমণের প্রসারটা যেমন দেখি, তেমনটা উত্তরবঙ্গে নয়। কিন্তু সেখানে তো আমাদের অসংখ্য হেরিটেজ আছে। সেগুলো নিয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। সেখানে নতুন কিছু করা এবং বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। পর্যটন শুধু নতুন জায়গা দেখা
নয়, এর সঙ্গে মানুষ দেখা, স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করা বড় অংশ। সেই জায়গায় থেকে উত্তরবঙ্গে অনেক কিছু দেখার আছে। আমি এমন পর্যটন চাই, যেখানে স্থানীয়রা উপকৃত হবে।

হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশে উত্তরবঙ্গের বিকল্প নেই
এলিজা বিনতে এলাহী, ঐতিহ্য পর্যটক ও শিক্ষক
বাংলাদেশের হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশ নিয়ে আমি কাজ করছি; যার স্লোগান ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ থ্রু হেরিটেজ ট্রাভেল’। এই খাতে বিস্তৃতভাবে কাজ শুরু হয়নি। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু মানুষ সেটা করার চেষ্টা করছেন।
আমার প্রত্যাশা হলো, বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাক এবং বাংলাদেশ একটি গ্লোবাল পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করুক।
বাংলাদেশে অসংখ্য ঐতিহাসিক ও প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে, যা আমাদের জন্য এক বিশাল সম্পদ। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, এই ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণের পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই, নেই পরিকল্পিত প্রচারের ব্যবস্থা। এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হলে ডিজিটালাইজেশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্যে খুব সহজে এসব ঐতিহাসিক স্থান দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, সঠিক সংরক্ষণ এবং কার্যকর প্রচার-প্রচারণা। এই তিন বিষয় ছাড়া হেরিটেজ ট্যুরিজম টেকসইভাবে বিকশিত হতে পারে না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশে উত্তরবঙ্গের বিকল্প নেই। উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাকে সমন্বিতভাবে হেরিটেজ জোন ঘোষণা করা যেতে পারে।
আমরা প্রায়ই স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসফরে দেশের ঐতিহাসিক অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারিনি। রাজশাহী বিভাগ বা উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখা, কিংবা সাত গম্বুজ মসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষাসফর আয়োজন, এ ধরনের উদ্যোগ সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খুবই কম দেখা যায়। এসব কার্যক্রম নিয়মিত ও পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

লোকাল গাইডদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন
সাইফুল ইসলাম শান্ত, হাইকার ও পর্যটক
পৃথিবীতে প্রায় সব দেশই ট্যুরিজম এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নিরাপত্তা এবং স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতার অভাব। যদিও বলতে খারাপ লাগে, কিন্তু এখনো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ট্যুরিস্ট-ফ্রেন্ডলি না, যা আমি দেশের ৬৪ জেলা হেঁটে ভ্রমণের সময় উপলব্ধি করেছি।
কক্সবাজারকে নিরাপত্তার আওতায় আনা গেলে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবে বলেই আশা করা যায়।
পর্যটন উদ্যোগ নিয়ে ঘাটতির কথা বললে তা বলে শেষ করা যাবে না। প্রথমেই বলব, রাজনৈতিক অস্থিরতা। সব দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো এমন অরাজকতা আর কোথাও হয় না। বিভিন্ন দেশের মানুষের ধারণা, বাংলাদেশে যুদ্ধ হচ্ছে, নিরাপদ নয়। তাই তারা ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ এড়িয়ে চলে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে খুব কম খরচে হোমস্টে বা হোস্টেলে থাকা যায়, যা বাংলাদেশে এখনো হয়নি। পর্যটনশিল্পে এগিয়ে যেতে হলে নিরাপদ হোমস্টে কালচার বাড়াতে হবে। এর জন্য স্থানীয় মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
এ ছাড়া স্থানীয় গাইডদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই।
এই শ্রেণির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে দেখেছি, একটি দেশ তখনই সত্যিকারের পর্যটনবান্ধব হয়, যখন একজন পর্যটক সেখানে নিরাপদ, সম্মানিত ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাংলাদেশেও আমি সেই মানের পর্যটন দেখতে চাই।
ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই। শহরঘেঁষা হলেও এখানে আছে নয়নাভিরাম প্রকৃতি; বিশেষ করে ধামরাইয়ের কাজিয়ালকুণ্ড, আড়ালিয়া, মাখুলিয়া, কানারচর, মাধবপট্টিসহ আরও অনেক গ্রাম ছবির মতো সুন্দর।
০৭ নভেম্বর ২০২৪
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে, মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ খাতে নতুন নতুন প্রবণতা বা ট্রেন্ড দেখা যায়। ২০২৬ সালও তার ব্যতিক্রম হবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নতুন বছরের সম্ভাব্য ভ্রমণ প্রবণতাগুলোর খবর। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোটেল গ্রুপ, ট্রাভেল ফার্ম এবং ট্রেন্ড ফোরকাস্টারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যমটি...
১ ঘণ্টা আগে
বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে। মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে। পাড়ার লোকে কটুকথা বললে কানে হেডফোন দিয়ে জাস্ট গান শুনুন। আর হ্যাঁ, সান্তা সেজে কেউ কেক অফার করলে আগে দেখুন সেটা আসল নাকি প্লাস্টিকের শোপিস!
বৃষ
নিজেকে আজ মহাপুরুষ বা মহীয়সী মনে হতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করতে গিয়ে অফিসে যেতে দেরি হতে পারে। কাজের জন্য নিজের পিঠ নিজেই চাপড়াবেন। কারণ, অন্য কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না। তবে পকেটের অবস্থা মেরি ক্রিসমাসের মতো খুব একটা ‘মেরি’ নয়। স্ত্রীর স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, নয়তো ডিনার ছাড়াই খালি পেটে বড়দিন কাটাতে হতে পারে। লটারির টিকিট কাটার ইচ্ছা হলে সংবরণ করুন, ওটা আজ অন্য কোনো ‘গাধা’র ভাগ্য।
মিথুন
আপনার আজ ‘সোশ্যাল বাটারফ্লাই’ হওয়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু কাজের চাপে ডানা ঝাপটানোর সময় পাবেন না। বাড়িতে অনাহূত অতিথিরা এসে ফ্রিজ ফাঁকা করে দেওয়ার মিশন নিতে পারে। বন্ধুদের আড্ডায় আপনি আজ মধ্যমণি, তবে বিল দেওয়ার সময় আপনিই উধাও হবেন! টাকা ধার নেওয়ার প্ল্যান থাকলে আজই সেরে ফেলুন, তবে ফেরত দেওয়ার কথা ভুললে কিন্তু আপনার কপালে শনি নাচবে। প্রেমিকার সঙ্গে একটু মেপে কথা বলুন।
কর্কট
কর্মজীবী নারীদের জন্য আজ দিনটা জিম করার চেয়েও কঠিন। অফিসের বসের বকুনি আর বাড়ির ফরমাশ—সব মিলিয়ে মেজাজ সপ্তমে থাকবে। বেশি কথা বললে গলাব্যথা হতে পারে, তাই জাস্ট ইমোজি দিয়ে কাজ চালান। পেটের সমস্যা হওয়ার চান্স প্রবল, কেক দেখে বেশি লোভ করবেন না। সান্তার কাছে নতুন পার্টনার চাইলে পেতেও পারেন, তবে সেটার গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি কার্ড গ্রহরা ইস্যু করেনি!
সিংহ
আপনার সম্মান আজ হিমালয়ের চূড়ায়। পাড়ার ছোটরা আপনাকে সম্মান দিয়ে আজ ‘আংকেল’ বা ‘আন্টি’ বলে ডাকতে পারে (যদিও আপনার বয়স মাত্র ২৬!)। গুরুজনদের সঙ্গে বসে আধ্যাত্মিক আলোচনা করলে লাভ হবে। বিবাহিত জীবনে আজ গিফটের বন্যা বয়ে যেতে পারে, যদি আপনি আগে থেকে ঘুষ দিয়ে থাকেন। নীল রঙের পোশাক পরুন, আপনাকে দেখতে অনেকটা জেন-জি যিশুর মতো লাগবে। সম্পত্তি কেনাবেচার জন্য দিনটা ভালো, তবে দলিলে নিজের নাম ঠিক আছে কি না চেক করে নিন।
কন্যা
শেয়ার বাজারে টাকা ঢালতে মন চাইবে, কিন্তু লস খেলে মা-বাবার কাছে গিয়ে ‘হায় হায়’ করতে হবে। প্রেমে আজ বসন্ত আসতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন এই কনকনে শীতে বসন্ত আসা মানেই সর্দি-কাশি আর অ্যান্টিবায়োটিক। অফিসের কাজে আপনার নিখুঁত ভাব আজ সবার কাছে যন্ত্রণার কারণ হবে। মা-বাবার পায়ের ধুলা নিন, অন্তত পকেটমানি হিসেবে কয়েকটা কড়কড়ে নোট পেতে পারেন। ইনভেস্টমেন্টের আগে ১০ বার নয়, ১০০ বার ভাবুন।
তুলা
আজ আপনার লিডারশিপ কোয়ালিটি ফাটিয়ে বেরোবে। চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বললেও লোক হাঁ করে শুনবে। শিক্ষার্থীরা আজ পড়াশোনা বাদ দিয়ে মোবাইল গেমসে সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটা বেশ লাকি, তবে কাস্টমারকে বেশি জ্ঞান দিলে তারা পালাবে। লটারির টিকিট কাটলে ছোটখাটো লাভ হতে পারে, তবে সেটা দিয়ে শুধু ফুচকাই হবে, আইফোন প্রো-ম্যাক্স আশা করবেন না।
বৃশ্চিক
সমাজের সেবা করতে গিয়ে নিজের সেবা করার সময় পাবেন না। পাড়ার ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে গিয়ে নিজের জামাই হয়তো নোংরা হয়ে যাবে। মনে শান্তি পাবেন কিন্তু শরীর মাঝেমধ্যেই বিদ্রোহ করতে পারে। পুরোনো প্রেমিকা/প্রেমিকের হঠাৎ ফোন আপনার আজকের রাতটা মাটি করতে পারে। ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠানে গেলে জুতার দিকে কড়া নজর রাখবেন। আজকাল জুতার প্রতি চোরদের ভক্তি বেশি।
ধনু
শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আসার এক অদ্ভুত যোগ আছে! (হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন, এটা কোনো স্বপ্ন নয়)। তবে বসের কথা শুনে রাগে মাথা গরম হতে পারে। কোনো দামি গ্যাজেট কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়ার আগে ব্যাংক ব্যালেন্সটা অন্তত একবার দেখে নিন। ভাইদের সঙ্গে বসে খাসির মাংস আর ধোঁয়া ওঠা আড্ডা—এই হলো আপনার আজকের পারফেক্ট বড়দিন। অযথা তর্কে যাবেন না।
মকর
পুরোনো মেমোরিজ রোমন্থন করে আপনার চোখে পানি আসতে পারে, আবার গার্লফ্রেন্ডের দেওয়া গিফটগুলোর দাম হিসাব করে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। উচ্চপদস্থ কারও সঙ্গে মেলামেশা করলে প্রমোশন না হলেও অন্তত এক কাপ ভালো ফিল্টার কফি জুটবে। সন্তানের কথা মন দিয়ে শুনুন, না হলে ওরা আপনার ফোনের ব্রাউজার হিস্ট্রি পাবলিক করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে। বাবার শরীর নিয়ে একটু সতর্ক থাকুন।
কুম্ভ
ব্যবসায় হারানো টাকা ফেরত পেতে পারেন (অবশ্যই যদি কোনো অলৌকিক কাণ্ড ঘটে)। বাড়ির কারও বিয়ের কথা এগোতে পারে। তবে ভ্রমণের সুযোগ এলে ব্যাগ গুছিয়ে নিন, বড়দিনে বাড়ির অশান্তি এড়াতে বাইরে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ। রাস্তায় অচেনা কুকুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন না। কারও সঙ্গে পাঙ্গা নিতে যাবেন না, আজ রাহুর বদনজর আপনার জিভে। যত কম কথা বলবেন, তত কম জুতো খাবেন।
মীন
আবহাওয়া আপনার শরীর নিয়ে ফুটবল খেলবে। সকালে গরম তো বিকেলে ঠান্ডা—সব মিলিয়ে সর্দি-জ্বর থেকে সাবধান। পুরোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে, যে হয়তো আপনার কাছ থেকে ৫ বছর আগে নেওয়া ধারের কথা সগর্বে অস্বীকার করবে। আজ আপনার ভাগ্য কিছুটা ‘অনিশ্চিত’ মেঘে ঢাকা। প্রেম জীবনে টেনশন বাড়লে রিঅ্যাক্ট না করে জাস্ট একটা লম্বা ঘুম দিন। ঘুমই পৃথিবীর সেরা ওষুধ। ভগবানের নাম জপুন আর শান্তিতে থাকুন।

মেষ
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে। মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে। পাড়ার লোকে কটুকথা বললে কানে হেডফোন দিয়ে জাস্ট গান শুনুন। আর হ্যাঁ, সান্তা সেজে কেউ কেক অফার করলে আগে দেখুন সেটা আসল নাকি প্লাস্টিকের শোপিস!
বৃষ
নিজেকে আজ মহাপুরুষ বা মহীয়সী মনে হতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করতে গিয়ে অফিসে যেতে দেরি হতে পারে। কাজের জন্য নিজের পিঠ নিজেই চাপড়াবেন। কারণ, অন্য কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না। তবে পকেটের অবস্থা মেরি ক্রিসমাসের মতো খুব একটা ‘মেরি’ নয়। স্ত্রীর স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, নয়তো ডিনার ছাড়াই খালি পেটে বড়দিন কাটাতে হতে পারে। লটারির টিকিট কাটার ইচ্ছা হলে সংবরণ করুন, ওটা আজ অন্য কোনো ‘গাধা’র ভাগ্য।
মিথুন
আপনার আজ ‘সোশ্যাল বাটারফ্লাই’ হওয়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু কাজের চাপে ডানা ঝাপটানোর সময় পাবেন না। বাড়িতে অনাহূত অতিথিরা এসে ফ্রিজ ফাঁকা করে দেওয়ার মিশন নিতে পারে। বন্ধুদের আড্ডায় আপনি আজ মধ্যমণি, তবে বিল দেওয়ার সময় আপনিই উধাও হবেন! টাকা ধার নেওয়ার প্ল্যান থাকলে আজই সেরে ফেলুন, তবে ফেরত দেওয়ার কথা ভুললে কিন্তু আপনার কপালে শনি নাচবে। প্রেমিকার সঙ্গে একটু মেপে কথা বলুন।
কর্কট
কর্মজীবী নারীদের জন্য আজ দিনটা জিম করার চেয়েও কঠিন। অফিসের বসের বকুনি আর বাড়ির ফরমাশ—সব মিলিয়ে মেজাজ সপ্তমে থাকবে। বেশি কথা বললে গলাব্যথা হতে পারে, তাই জাস্ট ইমোজি দিয়ে কাজ চালান। পেটের সমস্যা হওয়ার চান্স প্রবল, কেক দেখে বেশি লোভ করবেন না। সান্তার কাছে নতুন পার্টনার চাইলে পেতেও পারেন, তবে সেটার গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি কার্ড গ্রহরা ইস্যু করেনি!
সিংহ
আপনার সম্মান আজ হিমালয়ের চূড়ায়। পাড়ার ছোটরা আপনাকে সম্মান দিয়ে আজ ‘আংকেল’ বা ‘আন্টি’ বলে ডাকতে পারে (যদিও আপনার বয়স মাত্র ২৬!)। গুরুজনদের সঙ্গে বসে আধ্যাত্মিক আলোচনা করলে লাভ হবে। বিবাহিত জীবনে আজ গিফটের বন্যা বয়ে যেতে পারে, যদি আপনি আগে থেকে ঘুষ দিয়ে থাকেন। নীল রঙের পোশাক পরুন, আপনাকে দেখতে অনেকটা জেন-জি যিশুর মতো লাগবে। সম্পত্তি কেনাবেচার জন্য দিনটা ভালো, তবে দলিলে নিজের নাম ঠিক আছে কি না চেক করে নিন।
কন্যা
শেয়ার বাজারে টাকা ঢালতে মন চাইবে, কিন্তু লস খেলে মা-বাবার কাছে গিয়ে ‘হায় হায়’ করতে হবে। প্রেমে আজ বসন্ত আসতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন এই কনকনে শীতে বসন্ত আসা মানেই সর্দি-কাশি আর অ্যান্টিবায়োটিক। অফিসের কাজে আপনার নিখুঁত ভাব আজ সবার কাছে যন্ত্রণার কারণ হবে। মা-বাবার পায়ের ধুলা নিন, অন্তত পকেটমানি হিসেবে কয়েকটা কড়কড়ে নোট পেতে পারেন। ইনভেস্টমেন্টের আগে ১০ বার নয়, ১০০ বার ভাবুন।
তুলা
আজ আপনার লিডারশিপ কোয়ালিটি ফাটিয়ে বেরোবে। চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বললেও লোক হাঁ করে শুনবে। শিক্ষার্থীরা আজ পড়াশোনা বাদ দিয়ে মোবাইল গেমসে সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটা বেশ লাকি, তবে কাস্টমারকে বেশি জ্ঞান দিলে তারা পালাবে। লটারির টিকিট কাটলে ছোটখাটো লাভ হতে পারে, তবে সেটা দিয়ে শুধু ফুচকাই হবে, আইফোন প্রো-ম্যাক্স আশা করবেন না।
বৃশ্চিক
সমাজের সেবা করতে গিয়ে নিজের সেবা করার সময় পাবেন না। পাড়ার ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে গিয়ে নিজের জামাই হয়তো নোংরা হয়ে যাবে। মনে শান্তি পাবেন কিন্তু শরীর মাঝেমধ্যেই বিদ্রোহ করতে পারে। পুরোনো প্রেমিকা/প্রেমিকের হঠাৎ ফোন আপনার আজকের রাতটা মাটি করতে পারে। ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠানে গেলে জুতার দিকে কড়া নজর রাখবেন। আজকাল জুতার প্রতি চোরদের ভক্তি বেশি।
ধনু
শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আসার এক অদ্ভুত যোগ আছে! (হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন, এটা কোনো স্বপ্ন নয়)। তবে বসের কথা শুনে রাগে মাথা গরম হতে পারে। কোনো দামি গ্যাজেট কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়ার আগে ব্যাংক ব্যালেন্সটা অন্তত একবার দেখে নিন। ভাইদের সঙ্গে বসে খাসির মাংস আর ধোঁয়া ওঠা আড্ডা—এই হলো আপনার আজকের পারফেক্ট বড়দিন। অযথা তর্কে যাবেন না।
মকর
পুরোনো মেমোরিজ রোমন্থন করে আপনার চোখে পানি আসতে পারে, আবার গার্লফ্রেন্ডের দেওয়া গিফটগুলোর দাম হিসাব করে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। উচ্চপদস্থ কারও সঙ্গে মেলামেশা করলে প্রমোশন না হলেও অন্তত এক কাপ ভালো ফিল্টার কফি জুটবে। সন্তানের কথা মন দিয়ে শুনুন, না হলে ওরা আপনার ফোনের ব্রাউজার হিস্ট্রি পাবলিক করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে। বাবার শরীর নিয়ে একটু সতর্ক থাকুন।
কুম্ভ
ব্যবসায় হারানো টাকা ফেরত পেতে পারেন (অবশ্যই যদি কোনো অলৌকিক কাণ্ড ঘটে)। বাড়ির কারও বিয়ের কথা এগোতে পারে। তবে ভ্রমণের সুযোগ এলে ব্যাগ গুছিয়ে নিন, বড়দিনে বাড়ির অশান্তি এড়াতে বাইরে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ। রাস্তায় অচেনা কুকুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন না। কারও সঙ্গে পাঙ্গা নিতে যাবেন না, আজ রাহুর বদনজর আপনার জিভে। যত কম কথা বলবেন, তত কম জুতো খাবেন।
মীন
আবহাওয়া আপনার শরীর নিয়ে ফুটবল খেলবে। সকালে গরম তো বিকেলে ঠান্ডা—সব মিলিয়ে সর্দি-জ্বর থেকে সাবধান। পুরোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে, যে হয়তো আপনার কাছ থেকে ৫ বছর আগে নেওয়া ধারের কথা সগর্বে অস্বীকার করবে। আজ আপনার ভাগ্য কিছুটা ‘অনিশ্চিত’ মেঘে ঢাকা। প্রেম জীবনে টেনশন বাড়লে রিঅ্যাক্ট না করে জাস্ট একটা লম্বা ঘুম দিন। ঘুমই পৃথিবীর সেরা ওষুধ। ভগবানের নাম জপুন আর শান্তিতে থাকুন।
ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই। শহরঘেঁষা হলেও এখানে আছে নয়নাভিরাম প্রকৃতি; বিশেষ করে ধামরাইয়ের কাজিয়ালকুণ্ড, আড়ালিয়া, মাখুলিয়া, কানারচর, মাধবপট্টিসহ আরও অনেক গ্রাম ছবির মতো সুন্দর।
০৭ নভেম্বর ২০২৪
জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
৬ মিনিট আগে
প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ খাতে নতুন নতুন প্রবণতা বা ট্রেন্ড দেখা যায়। ২০২৬ সালও তার ব্যতিক্রম হবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নতুন বছরের সম্ভাব্য ভ্রমণ প্রবণতাগুলোর খবর। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোটেল গ্রুপ, ট্রাভেল ফার্ম এবং ট্রেন্ড ফোরকাস্টারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যমটি...
১ ঘণ্টা আগে
বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ খাতে নতুন নতুন প্রবণতা বা ট্রেন্ড দেখা যায়। ২০২৬ সালও তার ব্যতিক্রম হবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নতুন বছরের সম্ভাব্য ভ্রমণ প্রবণতাগুলোর খবর।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোটেল গ্রুপ, ট্রাভেল ফার্ম এবং ট্রেন্ড ফোরকাস্টারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যমটি সাতটি নতুন ট্রেন্ড চিহ্নিত করেছে।
২০২৬ সালে যে প্রবণতাটি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে, তা হলো ‘কোয়াইটকেশন’। এই ট্রেন্ডের মূল লক্ষ্য আরাম, নীরবতা এবং আধুনিক জীবনের অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি খোঁজা। সব সময় সক্রিয় ডিজিটাল সংস্কৃতি এবং বিশ্বজুড়ে ঘটে চলা ঘটনাপ্রবাহের চাপ থেকে দূরে থাকতে মানুষ বিচ্ছিন্ন থাকতে পছন্দ করছে। এই প্রবণতা বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়ছে। সুইডেনে শব্দমাত্রার ভিত্তিতে নিরিবিলি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনে এমন রিট্রিটও রয়েছে, যেখানে অতিথিরা তিন দিন সম্পূর্ণ অন্ধকারে কাটান।
২০২৬ সালে ভ্রমণ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষণা সংস্থা আমাদেউস রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে অনেক ভ্রমণকারী পরিকল্পনা ও বুকিংয়ের জন্য জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করছেন। এক্সপেডিয়া ও বুকিং ডটকমের মতো বড় প্ল্যাটফর্মে চ্যাটজিপিটির মতো টুল যুক্ত হওয়ায় ছুটির পরিকল্পনা করা আগের চেয়ে সহজ হয়ে উঠছে। রিয়েল-টাইম অনুবাদ, ডিজিটাল চেক-ইনসহ নানান সুবিধা প্রশাসনিক জটিলতা কমিয়ে দিচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, অ্যালগরিদমের সুপারিশ ওভার ট্যুরিজম বাড়াতে পারে। তাই এআই ব্যবহারে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
হিলটনের ২০২৬ ট্রেন্ড রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বছর রোড ট্রিপ জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোড ট্রিপ হ্যাশট্যাগের জনপ্রিয়তাও তার প্রমাণ। অনেকে বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার জন্য রোড ট্রিপ বেছে নিলেও, অনেকের কাছে এটি খরচ কমানোর একটি উপায়। গবেষণায় দেখা গেছে, অর্থ সাশ্রয়ের জন্য মানুষ গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
একই ধরনের ভ্রমণের যুগ শেষ। ভ্রমণ শিল্প এখন অতিমাত্রায় ব্যক্তিকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতার দিকে ঝুঁকছে। ডিভোর্স, শোক, মেনোপজ বা নির্দিষ্ট শখকে কেন্দ্র করে বিশেষায়িত ট্যুরের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ভ্রমণ মানুষকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো উপলব্ধি করার সুযোগ দিচ্ছে।
অতিরিক্ত ভিড় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত গন্তব্য থেকে মুখ ফিরিয়ে মানুষ এখন কম পরিচিত জায়গার দিকে ঝুঁকছে। স্পেন, জার্মানি এমনকি ইরাকের মতো দেশে ভ্রমণের আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। এই প্রবণতার কারণ কৌতূহলনির্ভর ভ্রমণ।
সাহিত্য ও সিনেমায় অনুপ্রাণিত ভ্রমণ ২০২৬ সালে আরও জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বই, চলচ্চিত্র ও কল্পনার জগৎ ঘিরে গড়ে ওঠা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা মানুষকে বাস্তবতা থেকে সাময়িক মুক্তির সুযোগ দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত পরিবর্তনশীল ও সংকটপূর্ণ সময়ে মানুষ কল্পনার আশ্রয় নেয়। আর সেই চাহিদাই সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভ্রমণকে সামনে নিয়ে আসছে।
সূত্র: বিবিসি

প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ খাতে নতুন নতুন প্রবণতা বা ট্রেন্ড দেখা যায়। ২০২৬ সালও তার ব্যতিক্রম হবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নতুন বছরের সম্ভাব্য ভ্রমণ প্রবণতাগুলোর খবর।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোটেল গ্রুপ, ট্রাভেল ফার্ম এবং ট্রেন্ড ফোরকাস্টারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যমটি সাতটি নতুন ট্রেন্ড চিহ্নিত করেছে।
২০২৬ সালে যে প্রবণতাটি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে, তা হলো ‘কোয়াইটকেশন’। এই ট্রেন্ডের মূল লক্ষ্য আরাম, নীরবতা এবং আধুনিক জীবনের অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি খোঁজা। সব সময় সক্রিয় ডিজিটাল সংস্কৃতি এবং বিশ্বজুড়ে ঘটে চলা ঘটনাপ্রবাহের চাপ থেকে দূরে থাকতে মানুষ বিচ্ছিন্ন থাকতে পছন্দ করছে। এই প্রবণতা বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়ছে। সুইডেনে শব্দমাত্রার ভিত্তিতে নিরিবিলি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনে এমন রিট্রিটও রয়েছে, যেখানে অতিথিরা তিন দিন সম্পূর্ণ অন্ধকারে কাটান।
২০২৬ সালে ভ্রমণ পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষণা সংস্থা আমাদেউস রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে অনেক ভ্রমণকারী পরিকল্পনা ও বুকিংয়ের জন্য জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করছেন। এক্সপেডিয়া ও বুকিং ডটকমের মতো বড় প্ল্যাটফর্মে চ্যাটজিপিটির মতো টুল যুক্ত হওয়ায় ছুটির পরিকল্পনা করা আগের চেয়ে সহজ হয়ে উঠছে। রিয়েল-টাইম অনুবাদ, ডিজিটাল চেক-ইনসহ নানান সুবিধা প্রশাসনিক জটিলতা কমিয়ে দিচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, অ্যালগরিদমের সুপারিশ ওভার ট্যুরিজম বাড়াতে পারে। তাই এআই ব্যবহারে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
হিলটনের ২০২৬ ট্রেন্ড রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বছর রোড ট্রিপ জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোড ট্রিপ হ্যাশট্যাগের জনপ্রিয়তাও তার প্রমাণ। অনেকে বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার জন্য রোড ট্রিপ বেছে নিলেও, অনেকের কাছে এটি খরচ কমানোর একটি উপায়। গবেষণায় দেখা গেছে, অর্থ সাশ্রয়ের জন্য মানুষ গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
একই ধরনের ভ্রমণের যুগ শেষ। ভ্রমণ শিল্প এখন অতিমাত্রায় ব্যক্তিকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতার দিকে ঝুঁকছে। ডিভোর্স, শোক, মেনোপজ বা নির্দিষ্ট শখকে কেন্দ্র করে বিশেষায়িত ট্যুরের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ভ্রমণ মানুষকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো উপলব্ধি করার সুযোগ দিচ্ছে।
অতিরিক্ত ভিড় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত গন্তব্য থেকে মুখ ফিরিয়ে মানুষ এখন কম পরিচিত জায়গার দিকে ঝুঁকছে। স্পেন, জার্মানি এমনকি ইরাকের মতো দেশে ভ্রমণের আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। এই প্রবণতার কারণ কৌতূহলনির্ভর ভ্রমণ।
সাহিত্য ও সিনেমায় অনুপ্রাণিত ভ্রমণ ২০২৬ সালে আরও জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বই, চলচ্চিত্র ও কল্পনার জগৎ ঘিরে গড়ে ওঠা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা মানুষকে বাস্তবতা থেকে সাময়িক মুক্তির সুযোগ দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত পরিবর্তনশীল ও সংকটপূর্ণ সময়ে মানুষ কল্পনার আশ্রয় নেয়। আর সেই চাহিদাই সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভ্রমণকে সামনে নিয়ে আসছে।
সূত্র: বিবিসি
ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই। শহরঘেঁষা হলেও এখানে আছে নয়নাভিরাম প্রকৃতি; বিশেষ করে ধামরাইয়ের কাজিয়ালকুণ্ড, আড়ালিয়া, মাখুলিয়া, কানারচর, মাধবপট্টিসহ আরও অনেক গ্রাম ছবির মতো সুন্দর।
০৭ নভেম্বর ২০২৪
জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
৬ মিনিট আগে
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে, মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে।
১ ঘণ্টা আগে
বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু কিছু শহরে পা রাখলেই মনে হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পুরো ফাঁকা হয়ে যাবে!
এক কাপ কফি থেকে শুরু করে ঘুরে বেড়ানোর ব্যয় শহর ভেদে ভিন্ন। তবে এই ব্যয় বিশ্লেষণ করলে জানা যায় শহরটি থাকার জন্য ব্যয়বহুল নাকি সাশ্রয়ী। ট্রাভেল ম্যাগাজিন ‘টাইম আউট’ ১০০টির বেশি শহরের ১৮ হাজারের বেশি স্থানীয় অধিবাসীর কাছে জানতে চেয়েছিল তাঁদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ব্যয়ের মাত্রা। সেসবের মধ্যে ছিল রেস্তোরাঁয় খাওয়া, সিনেমা দেখা, কফি পান, শিল্প প্রদর্শনী বা গ্যালারি দর্শন, থিয়েটার বা কমেডি শো, লাইভ মিউজিক, বারে গিয়ে পান করা এবং রাতে বাইরে সময় কাটানোর তথ্য। কত শতাংশ মানুষ এসব কাজকে সস্তা বা সাশ্রয়ী বলেছেন তার ওপর ভিত্তি করে ম্যাগাজিনটি তালিকা তৈরি করেছে।
সে তালিকা অনুসারে ব্যয়বহুল শহরের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল। শহরটির মাত্র ৩০ শতাংশ বাসিন্দা মনে করেন সেখানে রেস্তোরাঁয় খাওয়া সাশ্রয়ী। মাত্র ২১ শতাংশ মনে করেন বাইরে রাত কাটানো সাশ্রয়ী এবং ২৭ শতাংশ মনে করেন পানীয়র দাম কম। তালিকায় থাকা প্রথম ১৫টি দেশের মধ্যে এশিয়ার অন্য দেশগুলো হলো জাপানের কিয়োটো ও সিঙ্গাপুর। তালিকায় থাকা সিঙ্গাপুর কেবল পর্যটক নয়, প্রবাসীদের জন্যও এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর বলে বিবেচিত হয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করেছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি। বিশ্বের ৪৫টি শহরের আবাসন, পরিবহন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাটির ফলাফল। দেখা গেছে, প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় সিঙ্গাপুরের অবস্থান চতুর্থ।
যাঁরা খরচ কমাতে চান তাঁদের জন্য অবশ্য ভয়ের কিছু নেই। তাঁদের জন্যও ‘টাইম আউট’ প্রকাশ করেছে সাশ্রয়ী দেশের তালিকা। ব্যয়বহুল শহরের তালিকা শুরু হয়েছে এশিয়ার দেশ দিয়ে। চীনের দুটি বড় শহর বেইজিং ও সাংহাই বিস্ময়করভাবে সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা থিয়েটারে যাওয়াকে বেশ সাশ্রয়ী মনে করেন। এশিয়ার দিকে সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় আরও আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি।
তাই ব্যয়ের কথা ভেবে ভ্রমণতালিকা থেকে সিঙ্গাপুর, সিউল বাদ পড়লে সেখানে যোগ করুন তালিকায় থাকা ভিয়েতনাম, চীন কিংবা ইন্দোনেশিয়ার শহরগুলোর নাম।
সূত্র: টাইম আউট

বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু কিছু শহরে পা রাখলেই মনে হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পুরো ফাঁকা হয়ে যাবে!
এক কাপ কফি থেকে শুরু করে ঘুরে বেড়ানোর ব্যয় শহর ভেদে ভিন্ন। তবে এই ব্যয় বিশ্লেষণ করলে জানা যায় শহরটি থাকার জন্য ব্যয়বহুল নাকি সাশ্রয়ী। ট্রাভেল ম্যাগাজিন ‘টাইম আউট’ ১০০টির বেশি শহরের ১৮ হাজারের বেশি স্থানীয় অধিবাসীর কাছে জানতে চেয়েছিল তাঁদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ব্যয়ের মাত্রা। সেসবের মধ্যে ছিল রেস্তোরাঁয় খাওয়া, সিনেমা দেখা, কফি পান, শিল্প প্রদর্শনী বা গ্যালারি দর্শন, থিয়েটার বা কমেডি শো, লাইভ মিউজিক, বারে গিয়ে পান করা এবং রাতে বাইরে সময় কাটানোর তথ্য। কত শতাংশ মানুষ এসব কাজকে সস্তা বা সাশ্রয়ী বলেছেন তার ওপর ভিত্তি করে ম্যাগাজিনটি তালিকা তৈরি করেছে।
সে তালিকা অনুসারে ব্যয়বহুল শহরের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল। শহরটির মাত্র ৩০ শতাংশ বাসিন্দা মনে করেন সেখানে রেস্তোরাঁয় খাওয়া সাশ্রয়ী। মাত্র ২১ শতাংশ মনে করেন বাইরে রাত কাটানো সাশ্রয়ী এবং ২৭ শতাংশ মনে করেন পানীয়র দাম কম। তালিকায় থাকা প্রথম ১৫টি দেশের মধ্যে এশিয়ার অন্য দেশগুলো হলো জাপানের কিয়োটো ও সিঙ্গাপুর। তালিকায় থাকা সিঙ্গাপুর কেবল পর্যটক নয়, প্রবাসীদের জন্যও এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর বলে বিবেচিত হয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করেছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি। বিশ্বের ৪৫টি শহরের আবাসন, পরিবহন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাটির ফলাফল। দেখা গেছে, প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় সিঙ্গাপুরের অবস্থান চতুর্থ।
যাঁরা খরচ কমাতে চান তাঁদের জন্য অবশ্য ভয়ের কিছু নেই। তাঁদের জন্যও ‘টাইম আউট’ প্রকাশ করেছে সাশ্রয়ী দেশের তালিকা। ব্যয়বহুল শহরের তালিকা শুরু হয়েছে এশিয়ার দেশ দিয়ে। চীনের দুটি বড় শহর বেইজিং ও সাংহাই বিস্ময়করভাবে সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা থিয়েটারে যাওয়াকে বেশ সাশ্রয়ী মনে করেন। এশিয়ার দিকে সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় আরও আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি।
তাই ব্যয়ের কথা ভেবে ভ্রমণতালিকা থেকে সিঙ্গাপুর, সিউল বাদ পড়লে সেখানে যোগ করুন তালিকায় থাকা ভিয়েতনাম, চীন কিংবা ইন্দোনেশিয়ার শহরগুলোর নাম।
সূত্র: টাইম আউট
ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই। শহরঘেঁষা হলেও এখানে আছে নয়নাভিরাম প্রকৃতি; বিশেষ করে ধামরাইয়ের কাজিয়ালকুণ্ড, আড়ালিয়া, মাখুলিয়া, কানারচর, মাধবপট্টিসহ আরও অনেক গ্রাম ছবির মতো সুন্দর।
০৭ নভেম্বর ২০২৪
জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
৬ মিনিট আগে
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে, মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ খাতে নতুন নতুন প্রবণতা বা ট্রেন্ড দেখা যায়। ২০২৬ সালও তার ব্যতিক্রম হবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নতুন বছরের সম্ভাব্য ভ্রমণ প্রবণতাগুলোর খবর। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোটেল গ্রুপ, ট্রাভেল ফার্ম এবং ট্রেন্ড ফোরকাস্টারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যমটি...
১ ঘণ্টা আগে