ফিচার ডেস্ক

প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
ইন্দোনেশিয়া
২০১৯ সাল থেকে বালি, জাভা, কমোডো দ্বীপে প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে বাঁশের স্ট্র, কলাপাতা ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এখন। হোটেলগুলোয় রয়েছে পানির রিফিল স্টেশন। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সমুদ্র সৈকতগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সে দেশে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ আমেরিকান ডলার জরিমানার আইন আছে।

থাইল্যান্ড
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ড পর্যটন গন্তব্যগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বন্ধ করেছে। মেরিন পার্কসহ দেশটির ১৫৫টি জাতীয় উদ্যানে ফোমের পাত্র, প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, গ্লাস, স্ট্র, বাসনপত্র এবং প্যাকেজিংয়ে একবার ব্যবহার করা যায় তেমন জিনিসপত্র নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ বাথ জরিমানা করা হয়।
মালদ্বীপ
সমুদ্রের নিচের জগৎ রক্ষায় মালদ্বীপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। রিসোর্টগুলোতে কাচের বোতল, ফিল্টার করা পানি ও পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ দেওয়া হয়। পর্যটকদের বাড়তি আরাম দিতে ও পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, স্ট্র, কাপ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে। প্রতিবার এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিপর্য়ায়ে জরিমানা করা হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ আমেরিকান ডলার।
ভিয়েতনাম
২০২২ সাল থেকে দেশটির হা লং বে ও ফুঁ কুয়ক আইল্যান্ডে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কলাপাতা ও কাগজে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব জায়গায়। হোটেলগুলোতে রয়েছে বাঁশের টুথব্রাশ ও পানির রিফিল ব্যবস্থা। নিয়ম ভাঙলে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি ভিয়েতনামি মুদ্রা বা ২০ থেকে ২ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
তাইওয়ান
নাইট মার্কেট ও পর্যটন মন্দিরগুলোয় প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিষিদ্ধ। ভ্রমণপথে রয়েছে রিসাইক্লিং পয়েন্ট ও পানির রিফিল সুবিধা। হট স্প্রিং রিসোর্টগুলো পরিবেশবান্ধব টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার করে। ২০২২ সালে তাইওয়ান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করে। তাতে আইন ভঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৪০ থেকে ২০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।

রুয়ান্ডা
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে রুয়ান্ডা। মাসে একদিন দেশটিতে ‘উমুগান্ডা’ নামে জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এখন ভলকানো ন্যাশনাল পার্কসহ সব পর্যটন স্পট এবং হোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। এ আইন ভাঙলে ৫০ থেকে ৫০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে যেকারো। পুনরায় আইন ভাঙলে জেলও হতে পারে।
কেনিয়া
আফ্রিকার এই দেশ ২০১৭ সালে পর্যটনকেন্দ্রসহ সব জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে, যা ছিল বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। এরপর ২০২০ সালে সাফারি পার্ক, সৈকত ও পর্যটন এলাকাগুলোতেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে কেনিয়া। আইন ভাঙলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৪০০ থেকে ৪ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা বা ৪ বছরের জেলের বিধান রয়েছে দেশটিতে। আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
মরক্কো
২০১৬ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ আইন পর্যটন স্পটে এখনো কড়াকড়ি ভাবে মানা না হলেও জরিমানার বিধান আছে। মরক্কোতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাজারগুলোতে এখন হাতে তৈরি ঝুড়ি ও ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মারাকেশ ও ক্যাসাব্লাঙ্কার হোটেলগুলোতে রিফিলযোগ্য টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার হয়। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা এক হাজার থেকে দশ হাজার আমেরিকান ডলার।

বতসোয়ানা
সাফারি পর্যটনে বিখ্যাত এই আফ্রিকান দেশটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। অভিজাত লজগুলো অতিথিদের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল দেয় এবং খাবার পরিবেশন করে বেতের ঝুড়ি ও কাঠের পাত্র। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে ৪০ থেকে ৪০০ আমেরিকান ডলার।
কোস্টারিকা
দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রায় নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। ২০২১ সাল থেকে সমস্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটি পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারে জোর দিয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটিতে ২০০ থেকে ২ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা হয়। এ ছাড়া সেসব পণ্য ব্যবহার করলে হোটেল বা রেস্তোরাঁর লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড
২০১৯ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। কিছু পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন স্ট্র ও কাটলারি নিষিদ্ধ। এসব ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ থেকে এক হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১৮০ থেকে ৬০০ আমেরিকান ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার জরিমানা করা হয়। দেশটিতে পর্য়টকদের জন্য রয়েছে রিফিল স্টেশন ও রিসাইক্লিং পয়েন্ট। প্লাস্টিক বহন না করার জন্য দেশটি পর্যটকদের আগেই জানিয়ে দেয়।
পেরু
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচু পিচু এবং আমাজন জঙ্গলের আশপাশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে পেরু। পর্যটকদের দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ ও রিফিলযোগ্য বোতল। স্থানীয় বাজারগুলো কলাপাতা ও কাগজে পণ্য প্যাক করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে দেশটি ন্যাশনাল পার্ক ও সংরক্ষিত এলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। প্রতিবার আইন লঙ্ঘনে ব্যক্তিপর্যায়ে জরিমানা করা হয় ১ হাজার ৯০০ পেন বা ৫০০ আমেরিকান ডলার।

গ্রিস
সুন্দর সৈকত আর দ্বীপের জন্য বিখ্যাত গ্রিস তার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয় কাচের পাত্র এবং পর্যটকদের স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। ২০২১ সাল থেকে দেশটি বিশেষ করে দ্বীপ ও পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কাটলারি, প্লেট, স্ট্র নিষিদ্ধ করে। এ আইন ভাঙলে পর্যটকদের জরিমানা করা হয় ৫০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ৫৫ থেকে ৫৫০ ডলার।
সেশেলস
এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের স্বাগত জানায় পরিবেশবান্ধব বোতল দিয়ে। সৈকতের দোকানগুলো বায়োডিগ্রেডেবল কন্টেইনারে খাবার দেয়। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত এখন দেশটির প্রধান আকর্ষণ। ২০১৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, স্ট্র নিষিদ্ধ করে দেশটি। নিয়ম ভাঙার জন্য দেশটিতে ব্যক্তিপর্যায়ে ৩৭০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকায় ঝরনা, গরম পানির উৎসসহ সব পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য লাঞ্চবক্স ও পানির বোতল। ২০১৯ সাল থেকে ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠোর নিয়ম করে দেশটির সরকার। নিয়ম ভাঙলে ৩৭০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ আমেরিকান ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে ডোমিনিকায়।
পানামা
পানামা ক্যানালসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের সময় পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিফিলযোগ্য পানির বোতল। স্থানীয় দোকানগুলো ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী। ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগসহ ওয়ান টাইম পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা করা হয় ১০০ থেকে ১ হাজার আমেরিকান ডলার।

পালাউ
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। সে দেশে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের ‘ইকো-প্রমিজ’ সাইন করতে হয়। তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকার থাকে। এর ফলে জনপ্রিয় জেলিফিশ লেক ও ডাইভিং সাইটগুলো এখন ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য দূষণমুক্ত। ২০২০ সালে দেশটি ইকো-ট্যুরিজম জোনগুলোতে সানস্ক্রিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে। প্রথমবার এ আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০০ আমেরিকান ডলার। পরে যতবার আইন ভাংবেন ততবার দিতে হবে ২ হাজার আমেরিকান ডলার করে।
পর্তুগাল
পর্তুগালের পর্যটন অঞ্চলগুলোয় পানির রিফিল স্টেশন এবং পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোতে এখন সিরামিক ও কাঁচের পাত্র ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে আইন করে পর্যটন এলাকাগুলোতে। আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০ থেকে ১ হাজার ইউরো বা ৫৫ থেকে ১ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ক্যারিবীয় দ্বীপ দুটির ৩৬৫টি সৈকত এখন অনেকটাই প্লাস্টিকমুক্ত। হোটেলগুলোতে অতিথিদের দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য বোতল ও ব্যাগ। আর সৈকতের পানশালায় পরিবেশবান্ধব কাপে পানীয় পরিবেশিত হয়। ২০১৬ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে দেশটি আইন করে। আইন ভাঙলে দেশটিতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জ্যামাইকা
কিংস্টন ও মন্টেগো বে-র হোটেলগুলো অতিথিদের স্থানীয় নকশার রিফিলযোগ্য বোতল দেয়া হয়। খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয় কলাপাতা ও কাগজ। আর সৈকতের পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে পানীয় পরিবেশন হয় নারকেল বা কাগজের কাপে। ২০১৯ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় দেশটিতে। আইন ভাংলে জরিমানা গুনতে হবে ৩০০ থেকে ১২ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
পরামর্শ
জরিমানা ও নীতিমালা পরিবর্তনশীল, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট দেখুন।
সূত্র: নিউজ ব্রেক ও অন্যান্যন

প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
ইন্দোনেশিয়া
২০১৯ সাল থেকে বালি, জাভা, কমোডো দ্বীপে প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে বাঁশের স্ট্র, কলাপাতা ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এখন। হোটেলগুলোয় রয়েছে পানির রিফিল স্টেশন। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সমুদ্র সৈকতগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সে দেশে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ আমেরিকান ডলার জরিমানার আইন আছে।

থাইল্যান্ড
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ড পর্যটন গন্তব্যগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বন্ধ করেছে। মেরিন পার্কসহ দেশটির ১৫৫টি জাতীয় উদ্যানে ফোমের পাত্র, প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, গ্লাস, স্ট্র, বাসনপত্র এবং প্যাকেজিংয়ে একবার ব্যবহার করা যায় তেমন জিনিসপত্র নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ বাথ জরিমানা করা হয়।
মালদ্বীপ
সমুদ্রের নিচের জগৎ রক্ষায় মালদ্বীপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। রিসোর্টগুলোতে কাচের বোতল, ফিল্টার করা পানি ও পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ দেওয়া হয়। পর্যটকদের বাড়তি আরাম দিতে ও পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, স্ট্র, কাপ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে। প্রতিবার এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিপর্য়ায়ে জরিমানা করা হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ আমেরিকান ডলার।
ভিয়েতনাম
২০২২ সাল থেকে দেশটির হা লং বে ও ফুঁ কুয়ক আইল্যান্ডে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কলাপাতা ও কাগজে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব জায়গায়। হোটেলগুলোতে রয়েছে বাঁশের টুথব্রাশ ও পানির রিফিল ব্যবস্থা। নিয়ম ভাঙলে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি ভিয়েতনামি মুদ্রা বা ২০ থেকে ২ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
তাইওয়ান
নাইট মার্কেট ও পর্যটন মন্দিরগুলোয় প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিষিদ্ধ। ভ্রমণপথে রয়েছে রিসাইক্লিং পয়েন্ট ও পানির রিফিল সুবিধা। হট স্প্রিং রিসোর্টগুলো পরিবেশবান্ধব টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার করে। ২০২২ সালে তাইওয়ান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করে। তাতে আইন ভঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৪০ থেকে ২০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।

রুয়ান্ডা
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে রুয়ান্ডা। মাসে একদিন দেশটিতে ‘উমুগান্ডা’ নামে জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এখন ভলকানো ন্যাশনাল পার্কসহ সব পর্যটন স্পট এবং হোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। এ আইন ভাঙলে ৫০ থেকে ৫০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে যেকারো। পুনরায় আইন ভাঙলে জেলও হতে পারে।
কেনিয়া
আফ্রিকার এই দেশ ২০১৭ সালে পর্যটনকেন্দ্রসহ সব জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে, যা ছিল বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। এরপর ২০২০ সালে সাফারি পার্ক, সৈকত ও পর্যটন এলাকাগুলোতেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে কেনিয়া। আইন ভাঙলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৪০০ থেকে ৪ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা বা ৪ বছরের জেলের বিধান রয়েছে দেশটিতে। আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
মরক্কো
২০১৬ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ আইন পর্যটন স্পটে এখনো কড়াকড়ি ভাবে মানা না হলেও জরিমানার বিধান আছে। মরক্কোতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাজারগুলোতে এখন হাতে তৈরি ঝুড়ি ও ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মারাকেশ ও ক্যাসাব্লাঙ্কার হোটেলগুলোতে রিফিলযোগ্য টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার হয়। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা এক হাজার থেকে দশ হাজার আমেরিকান ডলার।

বতসোয়ানা
সাফারি পর্যটনে বিখ্যাত এই আফ্রিকান দেশটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। অভিজাত লজগুলো অতিথিদের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল দেয় এবং খাবার পরিবেশন করে বেতের ঝুড়ি ও কাঠের পাত্র। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে ৪০ থেকে ৪০০ আমেরিকান ডলার।
কোস্টারিকা
দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রায় নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। ২০২১ সাল থেকে সমস্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটি পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারে জোর দিয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটিতে ২০০ থেকে ২ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা হয়। এ ছাড়া সেসব পণ্য ব্যবহার করলে হোটেল বা রেস্তোরাঁর লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড
২০১৯ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। কিছু পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন স্ট্র ও কাটলারি নিষিদ্ধ। এসব ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ থেকে এক হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১৮০ থেকে ৬০০ আমেরিকান ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার জরিমানা করা হয়। দেশটিতে পর্য়টকদের জন্য রয়েছে রিফিল স্টেশন ও রিসাইক্লিং পয়েন্ট। প্লাস্টিক বহন না করার জন্য দেশটি পর্যটকদের আগেই জানিয়ে দেয়।
পেরু
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচু পিচু এবং আমাজন জঙ্গলের আশপাশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে পেরু। পর্যটকদের দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ ও রিফিলযোগ্য বোতল। স্থানীয় বাজারগুলো কলাপাতা ও কাগজে পণ্য প্যাক করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে দেশটি ন্যাশনাল পার্ক ও সংরক্ষিত এলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। প্রতিবার আইন লঙ্ঘনে ব্যক্তিপর্যায়ে জরিমানা করা হয় ১ হাজার ৯০০ পেন বা ৫০০ আমেরিকান ডলার।

গ্রিস
সুন্দর সৈকত আর দ্বীপের জন্য বিখ্যাত গ্রিস তার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয় কাচের পাত্র এবং পর্যটকদের স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। ২০২১ সাল থেকে দেশটি বিশেষ করে দ্বীপ ও পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কাটলারি, প্লেট, স্ট্র নিষিদ্ধ করে। এ আইন ভাঙলে পর্যটকদের জরিমানা করা হয় ৫০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ৫৫ থেকে ৫৫০ ডলার।
সেশেলস
এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের স্বাগত জানায় পরিবেশবান্ধব বোতল দিয়ে। সৈকতের দোকানগুলো বায়োডিগ্রেডেবল কন্টেইনারে খাবার দেয়। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত এখন দেশটির প্রধান আকর্ষণ। ২০১৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, স্ট্র নিষিদ্ধ করে দেশটি। নিয়ম ভাঙার জন্য দেশটিতে ব্যক্তিপর্যায়ে ৩৭০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকায় ঝরনা, গরম পানির উৎসসহ সব পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য লাঞ্চবক্স ও পানির বোতল। ২০১৯ সাল থেকে ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠোর নিয়ম করে দেশটির সরকার। নিয়ম ভাঙলে ৩৭০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ আমেরিকান ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে ডোমিনিকায়।
পানামা
পানামা ক্যানালসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের সময় পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিফিলযোগ্য পানির বোতল। স্থানীয় দোকানগুলো ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী। ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগসহ ওয়ান টাইম পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা করা হয় ১০০ থেকে ১ হাজার আমেরিকান ডলার।

পালাউ
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। সে দেশে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের ‘ইকো-প্রমিজ’ সাইন করতে হয়। তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকার থাকে। এর ফলে জনপ্রিয় জেলিফিশ লেক ও ডাইভিং সাইটগুলো এখন ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য দূষণমুক্ত। ২০২০ সালে দেশটি ইকো-ট্যুরিজম জোনগুলোতে সানস্ক্রিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে। প্রথমবার এ আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০০ আমেরিকান ডলার। পরে যতবার আইন ভাংবেন ততবার দিতে হবে ২ হাজার আমেরিকান ডলার করে।
পর্তুগাল
পর্তুগালের পর্যটন অঞ্চলগুলোয় পানির রিফিল স্টেশন এবং পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোতে এখন সিরামিক ও কাঁচের পাত্র ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে আইন করে পর্যটন এলাকাগুলোতে। আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০ থেকে ১ হাজার ইউরো বা ৫৫ থেকে ১ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ক্যারিবীয় দ্বীপ দুটির ৩৬৫টি সৈকত এখন অনেকটাই প্লাস্টিকমুক্ত। হোটেলগুলোতে অতিথিদের দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য বোতল ও ব্যাগ। আর সৈকতের পানশালায় পরিবেশবান্ধব কাপে পানীয় পরিবেশিত হয়। ২০১৬ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে দেশটি আইন করে। আইন ভাঙলে দেশটিতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জ্যামাইকা
কিংস্টন ও মন্টেগো বে-র হোটেলগুলো অতিথিদের স্থানীয় নকশার রিফিলযোগ্য বোতল দেয়া হয়। খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয় কলাপাতা ও কাগজ। আর সৈকতের পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে পানীয় পরিবেশন হয় নারকেল বা কাগজের কাপে। ২০১৯ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় দেশটিতে। আইন ভাংলে জরিমানা গুনতে হবে ৩০০ থেকে ১২ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
পরামর্শ
জরিমানা ও নীতিমালা পরিবর্তনশীল, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট দেখুন।
সূত্র: নিউজ ব্রেক ও অন্যান্যন
ফিচার ডেস্ক

প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
ইন্দোনেশিয়া
২০১৯ সাল থেকে বালি, জাভা, কমোডো দ্বীপে প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে বাঁশের স্ট্র, কলাপাতা ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এখন। হোটেলগুলোয় রয়েছে পানির রিফিল স্টেশন। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সমুদ্র সৈকতগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সে দেশে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ আমেরিকান ডলার জরিমানার আইন আছে।

থাইল্যান্ড
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ড পর্যটন গন্তব্যগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বন্ধ করেছে। মেরিন পার্কসহ দেশটির ১৫৫টি জাতীয় উদ্যানে ফোমের পাত্র, প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, গ্লাস, স্ট্র, বাসনপত্র এবং প্যাকেজিংয়ে একবার ব্যবহার করা যায় তেমন জিনিসপত্র নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ বাথ জরিমানা করা হয়।
মালদ্বীপ
সমুদ্রের নিচের জগৎ রক্ষায় মালদ্বীপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। রিসোর্টগুলোতে কাচের বোতল, ফিল্টার করা পানি ও পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ দেওয়া হয়। পর্যটকদের বাড়তি আরাম দিতে ও পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, স্ট্র, কাপ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে। প্রতিবার এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিপর্য়ায়ে জরিমানা করা হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ আমেরিকান ডলার।
ভিয়েতনাম
২০২২ সাল থেকে দেশটির হা লং বে ও ফুঁ কুয়ক আইল্যান্ডে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কলাপাতা ও কাগজে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব জায়গায়। হোটেলগুলোতে রয়েছে বাঁশের টুথব্রাশ ও পানির রিফিল ব্যবস্থা। নিয়ম ভাঙলে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি ভিয়েতনামি মুদ্রা বা ২০ থেকে ২ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
তাইওয়ান
নাইট মার্কেট ও পর্যটন মন্দিরগুলোয় প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিষিদ্ধ। ভ্রমণপথে রয়েছে রিসাইক্লিং পয়েন্ট ও পানির রিফিল সুবিধা। হট স্প্রিং রিসোর্টগুলো পরিবেশবান্ধব টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার করে। ২০২২ সালে তাইওয়ান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করে। তাতে আইন ভঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৪০ থেকে ২০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।

রুয়ান্ডা
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে রুয়ান্ডা। মাসে একদিন দেশটিতে ‘উমুগান্ডা’ নামে জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এখন ভলকানো ন্যাশনাল পার্কসহ সব পর্যটন স্পট এবং হোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। এ আইন ভাঙলে ৫০ থেকে ৫০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে যেকারো। পুনরায় আইন ভাঙলে জেলও হতে পারে।
কেনিয়া
আফ্রিকার এই দেশ ২০১৭ সালে পর্যটনকেন্দ্রসহ সব জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে, যা ছিল বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। এরপর ২০২০ সালে সাফারি পার্ক, সৈকত ও পর্যটন এলাকাগুলোতেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে কেনিয়া। আইন ভাঙলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৪০০ থেকে ৪ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা বা ৪ বছরের জেলের বিধান রয়েছে দেশটিতে। আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
মরক্কো
২০১৬ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ আইন পর্যটন স্পটে এখনো কড়াকড়ি ভাবে মানা না হলেও জরিমানার বিধান আছে। মরক্কোতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাজারগুলোতে এখন হাতে তৈরি ঝুড়ি ও ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মারাকেশ ও ক্যাসাব্লাঙ্কার হোটেলগুলোতে রিফিলযোগ্য টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার হয়। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা এক হাজার থেকে দশ হাজার আমেরিকান ডলার।

বতসোয়ানা
সাফারি পর্যটনে বিখ্যাত এই আফ্রিকান দেশটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। অভিজাত লজগুলো অতিথিদের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল দেয় এবং খাবার পরিবেশন করে বেতের ঝুড়ি ও কাঠের পাত্র। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে ৪০ থেকে ৪০০ আমেরিকান ডলার।
কোস্টারিকা
দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রায় নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। ২০২১ সাল থেকে সমস্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটি পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারে জোর দিয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটিতে ২০০ থেকে ২ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা হয়। এ ছাড়া সেসব পণ্য ব্যবহার করলে হোটেল বা রেস্তোরাঁর লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড
২০১৯ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। কিছু পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন স্ট্র ও কাটলারি নিষিদ্ধ। এসব ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ থেকে এক হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১৮০ থেকে ৬০০ আমেরিকান ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার জরিমানা করা হয়। দেশটিতে পর্য়টকদের জন্য রয়েছে রিফিল স্টেশন ও রিসাইক্লিং পয়েন্ট। প্লাস্টিক বহন না করার জন্য দেশটি পর্যটকদের আগেই জানিয়ে দেয়।
পেরু
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচু পিচু এবং আমাজন জঙ্গলের আশপাশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে পেরু। পর্যটকদের দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ ও রিফিলযোগ্য বোতল। স্থানীয় বাজারগুলো কলাপাতা ও কাগজে পণ্য প্যাক করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে দেশটি ন্যাশনাল পার্ক ও সংরক্ষিত এলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। প্রতিবার আইন লঙ্ঘনে ব্যক্তিপর্যায়ে জরিমানা করা হয় ১ হাজার ৯০০ পেন বা ৫০০ আমেরিকান ডলার।

গ্রিস
সুন্দর সৈকত আর দ্বীপের জন্য বিখ্যাত গ্রিস তার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয় কাচের পাত্র এবং পর্যটকদের স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। ২০২১ সাল থেকে দেশটি বিশেষ করে দ্বীপ ও পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কাটলারি, প্লেট, স্ট্র নিষিদ্ধ করে। এ আইন ভাঙলে পর্যটকদের জরিমানা করা হয় ৫০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ৫৫ থেকে ৫৫০ ডলার।
সেশেলস
এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের স্বাগত জানায় পরিবেশবান্ধব বোতল দিয়ে। সৈকতের দোকানগুলো বায়োডিগ্রেডেবল কন্টেইনারে খাবার দেয়। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত এখন দেশটির প্রধান আকর্ষণ। ২০১৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, স্ট্র নিষিদ্ধ করে দেশটি। নিয়ম ভাঙার জন্য দেশটিতে ব্যক্তিপর্যায়ে ৩৭০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকায় ঝরনা, গরম পানির উৎসসহ সব পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য লাঞ্চবক্স ও পানির বোতল। ২০১৯ সাল থেকে ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠোর নিয়ম করে দেশটির সরকার। নিয়ম ভাঙলে ৩৭০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ আমেরিকান ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে ডোমিনিকায়।
পানামা
পানামা ক্যানালসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের সময় পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিফিলযোগ্য পানির বোতল। স্থানীয় দোকানগুলো ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী। ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগসহ ওয়ান টাইম পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা করা হয় ১০০ থেকে ১ হাজার আমেরিকান ডলার।

পালাউ
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। সে দেশে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের ‘ইকো-প্রমিজ’ সাইন করতে হয়। তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকার থাকে। এর ফলে জনপ্রিয় জেলিফিশ লেক ও ডাইভিং সাইটগুলো এখন ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য দূষণমুক্ত। ২০২০ সালে দেশটি ইকো-ট্যুরিজম জোনগুলোতে সানস্ক্রিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে। প্রথমবার এ আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০০ আমেরিকান ডলার। পরে যতবার আইন ভাংবেন ততবার দিতে হবে ২ হাজার আমেরিকান ডলার করে।
পর্তুগাল
পর্তুগালের পর্যটন অঞ্চলগুলোয় পানির রিফিল স্টেশন এবং পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোতে এখন সিরামিক ও কাঁচের পাত্র ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে আইন করে পর্যটন এলাকাগুলোতে। আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০ থেকে ১ হাজার ইউরো বা ৫৫ থেকে ১ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ক্যারিবীয় দ্বীপ দুটির ৩৬৫টি সৈকত এখন অনেকটাই প্লাস্টিকমুক্ত। হোটেলগুলোতে অতিথিদের দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য বোতল ও ব্যাগ। আর সৈকতের পানশালায় পরিবেশবান্ধব কাপে পানীয় পরিবেশিত হয়। ২০১৬ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে দেশটি আইন করে। আইন ভাঙলে দেশটিতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জ্যামাইকা
কিংস্টন ও মন্টেগো বে-র হোটেলগুলো অতিথিদের স্থানীয় নকশার রিফিলযোগ্য বোতল দেয়া হয়। খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয় কলাপাতা ও কাগজ। আর সৈকতের পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে পানীয় পরিবেশন হয় নারকেল বা কাগজের কাপে। ২০১৯ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় দেশটিতে। আইন ভাংলে জরিমানা গুনতে হবে ৩০০ থেকে ১২ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
পরামর্শ
জরিমানা ও নীতিমালা পরিবর্তনশীল, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট দেখুন।
সূত্র: নিউজ ব্রেক ও অন্যান্যন

প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
ইন্দোনেশিয়া
২০১৯ সাল থেকে বালি, জাভা, কমোডো দ্বীপে প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে বাঁশের স্ট্র, কলাপাতা ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এখন। হোটেলগুলোয় রয়েছে পানির রিফিল স্টেশন। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সমুদ্র সৈকতগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সে দেশে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ আমেরিকান ডলার জরিমানার আইন আছে।

থাইল্যান্ড
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ড পর্যটন গন্তব্যগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বন্ধ করেছে। মেরিন পার্কসহ দেশটির ১৫৫টি জাতীয় উদ্যানে ফোমের পাত্র, প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, গ্লাস, স্ট্র, বাসনপত্র এবং প্যাকেজিংয়ে একবার ব্যবহার করা যায় তেমন জিনিসপত্র নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ বাথ জরিমানা করা হয়।
মালদ্বীপ
সমুদ্রের নিচের জগৎ রক্ষায় মালদ্বীপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। রিসোর্টগুলোতে কাচের বোতল, ফিল্টার করা পানি ও পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ দেওয়া হয়। পর্যটকদের বাড়তি আরাম দিতে ও পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, স্ট্র, কাপ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে। প্রতিবার এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিপর্য়ায়ে জরিমানা করা হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ আমেরিকান ডলার।
ভিয়েতনাম
২০২২ সাল থেকে দেশটির হা লং বে ও ফুঁ কুয়ক আইল্যান্ডে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কলাপাতা ও কাগজে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব জায়গায়। হোটেলগুলোতে রয়েছে বাঁশের টুথব্রাশ ও পানির রিফিল ব্যবস্থা। নিয়ম ভাঙলে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি ভিয়েতনামি মুদ্রা বা ২০ থেকে ২ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
তাইওয়ান
নাইট মার্কেট ও পর্যটন মন্দিরগুলোয় প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিষিদ্ধ। ভ্রমণপথে রয়েছে রিসাইক্লিং পয়েন্ট ও পানির রিফিল সুবিধা। হট স্প্রিং রিসোর্টগুলো পরিবেশবান্ধব টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার করে। ২০২২ সালে তাইওয়ান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করে। তাতে আইন ভঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৪০ থেকে ২০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।

রুয়ান্ডা
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে রুয়ান্ডা। মাসে একদিন দেশটিতে ‘উমুগান্ডা’ নামে জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এখন ভলকানো ন্যাশনাল পার্কসহ সব পর্যটন স্পট এবং হোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। এ আইন ভাঙলে ৫০ থেকে ৫০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে যেকারো। পুনরায় আইন ভাঙলে জেলও হতে পারে।
কেনিয়া
আফ্রিকার এই দেশ ২০১৭ সালে পর্যটনকেন্দ্রসহ সব জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে, যা ছিল বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। এরপর ২০২০ সালে সাফারি পার্ক, সৈকত ও পর্যটন এলাকাগুলোতেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে কেনিয়া। আইন ভাঙলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৪০০ থেকে ৪ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা বা ৪ বছরের জেলের বিধান রয়েছে দেশটিতে। আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
মরক্কো
২০১৬ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ আইন পর্যটন স্পটে এখনো কড়াকড়ি ভাবে মানা না হলেও জরিমানার বিধান আছে। মরক্কোতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাজারগুলোতে এখন হাতে তৈরি ঝুড়ি ও ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মারাকেশ ও ক্যাসাব্লাঙ্কার হোটেলগুলোতে রিফিলযোগ্য টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার হয়। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা এক হাজার থেকে দশ হাজার আমেরিকান ডলার।

বতসোয়ানা
সাফারি পর্যটনে বিখ্যাত এই আফ্রিকান দেশটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। অভিজাত লজগুলো অতিথিদের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল দেয় এবং খাবার পরিবেশন করে বেতের ঝুড়ি ও কাঠের পাত্র। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে ৪০ থেকে ৪০০ আমেরিকান ডলার।
কোস্টারিকা
দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রায় নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। ২০২১ সাল থেকে সমস্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটি পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারে জোর দিয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটিতে ২০০ থেকে ২ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা হয়। এ ছাড়া সেসব পণ্য ব্যবহার করলে হোটেল বা রেস্তোরাঁর লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড
২০১৯ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। কিছু পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন স্ট্র ও কাটলারি নিষিদ্ধ। এসব ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ থেকে এক হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১৮০ থেকে ৬০০ আমেরিকান ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার জরিমানা করা হয়। দেশটিতে পর্য়টকদের জন্য রয়েছে রিফিল স্টেশন ও রিসাইক্লিং পয়েন্ট। প্লাস্টিক বহন না করার জন্য দেশটি পর্যটকদের আগেই জানিয়ে দেয়।
পেরু
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচু পিচু এবং আমাজন জঙ্গলের আশপাশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে পেরু। পর্যটকদের দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ ও রিফিলযোগ্য বোতল। স্থানীয় বাজারগুলো কলাপাতা ও কাগজে পণ্য প্যাক করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে দেশটি ন্যাশনাল পার্ক ও সংরক্ষিত এলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। প্রতিবার আইন লঙ্ঘনে ব্যক্তিপর্যায়ে জরিমানা করা হয় ১ হাজার ৯০০ পেন বা ৫০০ আমেরিকান ডলার।

গ্রিস
সুন্দর সৈকত আর দ্বীপের জন্য বিখ্যাত গ্রিস তার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয় কাচের পাত্র এবং পর্যটকদের স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। ২০২১ সাল থেকে দেশটি বিশেষ করে দ্বীপ ও পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কাটলারি, প্লেট, স্ট্র নিষিদ্ধ করে। এ আইন ভাঙলে পর্যটকদের জরিমানা করা হয় ৫০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ৫৫ থেকে ৫৫০ ডলার।
সেশেলস
এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের স্বাগত জানায় পরিবেশবান্ধব বোতল দিয়ে। সৈকতের দোকানগুলো বায়োডিগ্রেডেবল কন্টেইনারে খাবার দেয়। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত এখন দেশটির প্রধান আকর্ষণ। ২০১৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, স্ট্র নিষিদ্ধ করে দেশটি। নিয়ম ভাঙার জন্য দেশটিতে ব্যক্তিপর্যায়ে ৩৭০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকায় ঝরনা, গরম পানির উৎসসহ সব পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য লাঞ্চবক্স ও পানির বোতল। ২০১৯ সাল থেকে ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠোর নিয়ম করে দেশটির সরকার। নিয়ম ভাঙলে ৩৭০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ আমেরিকান ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে ডোমিনিকায়।
পানামা
পানামা ক্যানালসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের সময় পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিফিলযোগ্য পানির বোতল। স্থানীয় দোকানগুলো ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী। ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগসহ ওয়ান টাইম পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা করা হয় ১০০ থেকে ১ হাজার আমেরিকান ডলার।

পালাউ
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। সে দেশে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের ‘ইকো-প্রমিজ’ সাইন করতে হয়। তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকার থাকে। এর ফলে জনপ্রিয় জেলিফিশ লেক ও ডাইভিং সাইটগুলো এখন ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য দূষণমুক্ত। ২০২০ সালে দেশটি ইকো-ট্যুরিজম জোনগুলোতে সানস্ক্রিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে। প্রথমবার এ আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০০ আমেরিকান ডলার। পরে যতবার আইন ভাংবেন ততবার দিতে হবে ২ হাজার আমেরিকান ডলার করে।
পর্তুগাল
পর্তুগালের পর্যটন অঞ্চলগুলোয় পানির রিফিল স্টেশন এবং পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোতে এখন সিরামিক ও কাঁচের পাত্র ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে আইন করে পর্যটন এলাকাগুলোতে। আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০ থেকে ১ হাজার ইউরো বা ৫৫ থেকে ১ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ক্যারিবীয় দ্বীপ দুটির ৩৬৫টি সৈকত এখন অনেকটাই প্লাস্টিকমুক্ত। হোটেলগুলোতে অতিথিদের দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য বোতল ও ব্যাগ। আর সৈকতের পানশালায় পরিবেশবান্ধব কাপে পানীয় পরিবেশিত হয়। ২০১৬ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে দেশটি আইন করে। আইন ভাঙলে দেশটিতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জ্যামাইকা
কিংস্টন ও মন্টেগো বে-র হোটেলগুলো অতিথিদের স্থানীয় নকশার রিফিলযোগ্য বোতল দেয়া হয়। খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয় কলাপাতা ও কাগজ। আর সৈকতের পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে পানীয় পরিবেশন হয় নারকেল বা কাগজের কাপে। ২০১৯ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় দেশটিতে। আইন ভাংলে জরিমানা গুনতে হবে ৩০০ থেকে ১২ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
পরামর্শ
জরিমানা ও নীতিমালা পরিবর্তনশীল, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট দেখুন।
সূত্র: নিউজ ব্রেক ও অন্যান্যন

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
১ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৩ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।
ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম
শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য
ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা
ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব
কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো
আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।
সূত্র: হেলথশট

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।
ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম
শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য
ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা
ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব
কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো
আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।
সূত্র: হেলথশট

প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
০৮ জুন ২০২৫
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৩ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার শরীরে এত বেশি এনার্জি থাকবে যে ভুলবশত বাড়ির সব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চার্জ করার চেষ্টা করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত উৎসাহে আজ এমন কিছু করার চেষ্টা করবেন না, যাতে প্রতিবেশী আপনাকে দেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে এমন কিছু বলে ফেলবেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে আজ অন্তত একটা পুরোনো বাক্স গুছিয়ে ফেলুন। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে!
বৃষ
আপনার জীবনের ‘স্বযত্নলালিত স্বপ্ন’ আজ সত্যি হতে পারে! আর সেই স্বপ্নটি হলো, সারা দিন সোফায় শুয়ে থাকা এবং প্রিয় খাবার ডেলিভারি নেওয়া। আজ এমন এক গভীর আলস্যের জালে জড়িয়ে পড়বেন যে, রিমোট কন্ট্রোলটা হাত থেকে পড়ে গেলে সেটা তোলার জন্য কাউকে ফোন করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি হবে কচ্ছপের থেকেও ধীর। সহকর্মীরা ভাববে, আপনি হয়তো ধ্যানের নতুন কোনো উচ্চস্তরে পৌঁছে গেছেন। অর্থের দিক থেকে আজ এমন কিছু ডিসকাউন্ট খুঁজতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন, যা আসলে অস্তিত্বহীন। আজ যদি কেউ আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে বলে, মনে মনে বলুন: ‘আমি বৃষ, তাড়াহুড়ো আমার ডিকশনারিতে নেই। ওটা অন্য কোনো রাশির জন্য।’
মিথুন
আপনার ভেতরের দুটি মানুষ আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড তর্কে লিপ্ত থাকবে। একজন বলবে, ‘আজ আমি পৃথিবীকে জয় করব!’ অন্যজন বলবে, ‘আরে বাবা, আগে ঠিক করো কোন রঙের মোজাটা পরবে!’ আপনি কোনো একটি বিষয়ে স্থির হতে পারবেন না। কফি না চা? লাল শার্ট না নীল? এই দ্বিধায় পুরো দিন কেটে যাবে। এমন কারও অভাব অনুভব করবেন, যে আপনার সব দ্বিমুখী সিদ্ধান্তকে একমুখী করে দিতে পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ চূড়ান্ত জনপ্রিয়। এত বেশি মেসেজ আসবে যে ফোন চার্জে দিয়েই আপনি হয়তো চার্জার খুঁজে পাবেন না। আজ একটি মাত্র কাজ করুন: স্থির থাকুন। যদি না পারেন, তাহলে একটি কয়েন টস করুন এবং টস হওয়ার আগেই সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিন।
কর্কট
আজ আপনার মন অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাতেই চোখে পানি চলে আসতে পারে। হয়তো দেখবেন, ফ্রিজে শেষ রুটিটা দেখে অতীতের সব দুঃখ মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হবে, পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক স্থান হলো ঘর। তাই আজ ঘর থেকে বের হতে চাইবেন না। যদি বের হতে হয়, তাহলে একটা বালিশ আর কম্বল সঙ্গে নিয়ে নিন—কে জানে কখন কোথায় একটু আবেগ নিয়ে বসা দরকার হয়! পরিবারকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিশেষত, বাড়ির পোষা প্রাণীটি ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে আজ গবেষণা করতে পারেন। আজ অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। তবে পুরোনো বিল বা ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখলে চোখ মুছতে টিস্যু পেপার হাতের কাছে রাখুন।
সিংহ
আজ যা কিছু করবেন, তাতেই আপনার লাইমলাইট চাই। ধরুন, অফিসে এক গ্লাস পানি খেলেন, আপনার মনে হবে সেটা একটা প্রেস কনফারেন্সের যোগ্য ইভেন্ট। যদি কেউ আপনার দিকে না তাকায়, তাহলে নিজেই জোরে জোরে নিজের প্রশংসা শুরু করে দেবেন। আপনার মনে হবে, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপই বুঝি ইতিহাস তৈরি করছে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনার আপনার প্রশংসা না করলে আপনি হয়তো সাময়িক ধর্মঘট শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গেলে বিল দেওয়ার সময় এমন নাটকীয় ভঙ্গিতে মানিব্যাগ বের করবেন, যাতে মনে হয় আপনি পুরো গ্যালাক্সির দেনা মেটাচ্ছেন। সবার মনোযোগ পেতে আজ আপনি যা-ই করুন না কেন, শেষমেশ দেখবেন বাড়ির কুকুরটাই সবচেয়ে বেশি করতালি পাচ্ছে। সেটা মেনে নিন।
কন্যা
আজ আপনার মস্তিষ্ক একটি হাইপার-অ্যাকটিভ স্প্রেডশিটের মতো চলবে। আপনার প্রধান চিন্তা হবে, বালিশের কভারটি আর টেবিলের কোণটা একই সমান্তরালে আছে কি না। কাজের জায়গায় সহকর্মীর কফির মগে কতটুকু চিনি বেশি আছে, সেটা বের করে ফেলবেন। আর সেই খুঁত নিয়েই আপনি আজ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলবেন। যদি দেখেন কোনো কিছু নিখুঁত নয়, তাহলে মেজাজ সপ্তমে উঠবে। দুশ্চিন্তা করবেন না, আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ভুলটি হয়তো আপনিই করবেন, সঠিকটা করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলবেন! আজ দয়া করে নিজের চুল গুনতে শুরু করবেন না। আজ অন্তত একবার একটা ভুল করুন। স্বাধীনতা উপভোগ করুন!
তুলা
ন্যায়, ভারসাম্য এবং সৌন্দর্যের পূজারি আপনি আজ একটি কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন। আপনাকে হয়তো ঠিক করতে হবে, দুপুরে ভাত খাবেন নাকি রুটি! এই নিয়েই অন্তত এক ঘণ্টা ভাববেন এবং শেষমেশ দুটোই খেয়ে ফেলবেন। কর্মক্ষেত্রে দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতের সঙ্গে সহমত হবেন, আর এতে সহকর্মীরা আপনাকে ‘ডাবল এজেন্ট’ ভাবতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্যতম অভিযোগ শুনেই এত বেশি ভারসাম্য আনতে চাইবেন যে সম্পর্কটা দড়ির ওপর হাঁটা সার্কাসের মতো মনে হবে। কোনো জটিল সিদ্ধান্ত এলে আজ শুধু একটা জিনিস ভাবুন: যেটাতে আপনার সবচেয়ে কম কষ্ট হবে। ব্যস! ব্যালেন্স নিজের থেকেই চলে আসবে।
বৃশ্চিক
আজ মন গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকবে। হয়তো ভাববেন, পাশের ডেস্কের সহকর্মী কেন আজ আপনার দিকে একটু বেশি হেসেছেন? এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর রহস্য আছে! সারা দিন ধরে সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করবেন, যা আসলে সামান্য দাঁত ব্রাশ করার পরের হাসি। তীব্র মনোযোগ আজ আপনাকে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে, কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার নীরবতা আজ একটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। লোকে ভাববে আপনি ধ্যান করছেন, কিন্তু আসলে ভাবছেন, কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চায়ে লবণ মিশিয়ে দেবেন। কাউকে কিছু বলবেন না। নীরবতা আজ স্বর্ণময়। সেটা জমিয়ে রাখুন।
ধনু
আজ মন চঞ্চল, আজ বাড়ি ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। হয়তো অফিস থেকে সোজা হিমালয় বা চাঁদে চলে যাওয়ার টিকিট খুঁজতে থাকবেন। আপনার ফিলোসফিক্যাল রগ আজ এত বেশি চড়ে থাকবে যে, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে মহাজাগতিক সত্য আবিষ্কার করতে পারেন। আপনার অতি-সৎ কথাগুলো আজ কারও না কারও মন খারাপ করবে। হয়তো বলবেন, ‘তোমাকে এই শাড়িতে এত মোটা লাগছে না, যতটা গত সপ্তাহে লাগছিল।’ এই রাশিফল পড়ার সময়ও আপনি ভাবছেন, এটার কোথাও কোনো বানান ভুল আছে কি না। আজ মুখটা সাবধানে ব্যবহার করুন। বিশেষত যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকে, তাহলে কথা বলার আগে তিনবার কফি খান।
মকর
আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে সফল এবং গম্ভীর মানুষ। মনে করবেন, পৃথিবীর সব দায়িত্ব আপনার কাঁধেই। আপনার প্রধান শখ হবে অন্যদের হাসতে দেখে বিরক্ত হওয়া। ভাববেন, ‘এরা এত হাসছে কেন? কাজের ডেডলাইন তো এখনো বাকি!’ আপনার মনে হবে, আপনি যদি এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনারকে ইমপ্রেস করতে কোনো রোমান্টিক ডিনার বা উপহার না দিয়ে, বরং একটি সুন্দর এক্সেল শিট তৈরি করে দেবেন, যেখানে আপনাদের সম্পর্কের আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য লেখা থাকবে। আজকের দিনটি একটু আরাম করুন। না করলে মস্তিষ্ক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার দাঁত ব্রাশ করা বাকি এবং এই ভুলটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কুম্ভ
আজ এমন একটি অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, যা পৃথিবীর বাকি ১১টা রাশি কখনোই বুঝবে না। হয়তো ঠিক করবেন, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কীভাবে বিশ্বশান্তি আনা যায়, অথবা কেন সব শার্টে তিনটি করে কলার থাকা উচিত। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো আজ খুবই বৈপ্লবিক হবে, কিন্তু বন্ধুরা হয়তো ভাববে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কেউ আপনার কথা বুঝতে না পারলে আরও খুশি হবেন—কারণ জানেন আপনি কতটা এগিয়ে! প্রেম নিয়ে ভাবনা হবে, কেন এই ‘সামাজিক বন্ধন’-এর প্রয়োজন, যেখানে দুজন মানুষ শুধু নিজেদের মধ্যে একটি ইমোজি বিনিময় করেও দিব্যি থাকতে পারে। পরামর্শ: আপনার আইডিয়াগুলো খুব ভালো। কিন্তু আজ দয়া করে আপনার আইডিয়াগুলো দিয়ে পোষা প্রাণীটির ওপর কোনো পরীক্ষা করবেন না।
মীন
আজ বাস্তবের ধারেকাছেও থাকবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় এমন এক কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াবেন, যেখানে আপনার সব বিল পরিশোধ হয়ে গেছে এবং পোষা মাছটা কথা বলতে পারে। কাজের জায়গায় ভুলবশত সহকর্মীকে ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকুমার/রাজকুমারী’ বলে ডাকতে পারেন। মনে হবে, জীবন একটি হিন্দি সিনেমা, আর আপনি তার হিরো/হিরোইন। যদি কিছু ভুলে যান, যেমন চাবি বা মানিব্যাগ, তার জন্য গ্রহদের দোষ দেবেন। সন্ধ্যায়, হয়তো এত বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন যে টিভির সিরিয়ালের ভিলেনের দুঃখেও চোখে পানি চলে আসবে। আজ চোখ খুলে হাঁটুন। আর যদি চারপাশের মানুষ আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করে, তাহলে চোখ বন্ধ করে শুধু ‘হুম’ বলে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

মেষ
আজ আপনার শরীরে এত বেশি এনার্জি থাকবে যে ভুলবশত বাড়ির সব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চার্জ করার চেষ্টা করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত উৎসাহে আজ এমন কিছু করার চেষ্টা করবেন না, যাতে প্রতিবেশী আপনাকে দেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে এমন কিছু বলে ফেলবেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে আজ অন্তত একটা পুরোনো বাক্স গুছিয়ে ফেলুন। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে!
বৃষ
আপনার জীবনের ‘স্বযত্নলালিত স্বপ্ন’ আজ সত্যি হতে পারে! আর সেই স্বপ্নটি হলো, সারা দিন সোফায় শুয়ে থাকা এবং প্রিয় খাবার ডেলিভারি নেওয়া। আজ এমন এক গভীর আলস্যের জালে জড়িয়ে পড়বেন যে, রিমোট কন্ট্রোলটা হাত থেকে পড়ে গেলে সেটা তোলার জন্য কাউকে ফোন করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি হবে কচ্ছপের থেকেও ধীর। সহকর্মীরা ভাববে, আপনি হয়তো ধ্যানের নতুন কোনো উচ্চস্তরে পৌঁছে গেছেন। অর্থের দিক থেকে আজ এমন কিছু ডিসকাউন্ট খুঁজতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন, যা আসলে অস্তিত্বহীন। আজ যদি কেউ আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে বলে, মনে মনে বলুন: ‘আমি বৃষ, তাড়াহুড়ো আমার ডিকশনারিতে নেই। ওটা অন্য কোনো রাশির জন্য।’
মিথুন
আপনার ভেতরের দুটি মানুষ আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড তর্কে লিপ্ত থাকবে। একজন বলবে, ‘আজ আমি পৃথিবীকে জয় করব!’ অন্যজন বলবে, ‘আরে বাবা, আগে ঠিক করো কোন রঙের মোজাটা পরবে!’ আপনি কোনো একটি বিষয়ে স্থির হতে পারবেন না। কফি না চা? লাল শার্ট না নীল? এই দ্বিধায় পুরো দিন কেটে যাবে। এমন কারও অভাব অনুভব করবেন, যে আপনার সব দ্বিমুখী সিদ্ধান্তকে একমুখী করে দিতে পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ চূড়ান্ত জনপ্রিয়। এত বেশি মেসেজ আসবে যে ফোন চার্জে দিয়েই আপনি হয়তো চার্জার খুঁজে পাবেন না। আজ একটি মাত্র কাজ করুন: স্থির থাকুন। যদি না পারেন, তাহলে একটি কয়েন টস করুন এবং টস হওয়ার আগেই সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিন।
কর্কট
আজ আপনার মন অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাতেই চোখে পানি চলে আসতে পারে। হয়তো দেখবেন, ফ্রিজে শেষ রুটিটা দেখে অতীতের সব দুঃখ মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হবে, পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক স্থান হলো ঘর। তাই আজ ঘর থেকে বের হতে চাইবেন না। যদি বের হতে হয়, তাহলে একটা বালিশ আর কম্বল সঙ্গে নিয়ে নিন—কে জানে কখন কোথায় একটু আবেগ নিয়ে বসা দরকার হয়! পরিবারকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিশেষত, বাড়ির পোষা প্রাণীটি ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে আজ গবেষণা করতে পারেন। আজ অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। তবে পুরোনো বিল বা ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখলে চোখ মুছতে টিস্যু পেপার হাতের কাছে রাখুন।
সিংহ
আজ যা কিছু করবেন, তাতেই আপনার লাইমলাইট চাই। ধরুন, অফিসে এক গ্লাস পানি খেলেন, আপনার মনে হবে সেটা একটা প্রেস কনফারেন্সের যোগ্য ইভেন্ট। যদি কেউ আপনার দিকে না তাকায়, তাহলে নিজেই জোরে জোরে নিজের প্রশংসা শুরু করে দেবেন। আপনার মনে হবে, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপই বুঝি ইতিহাস তৈরি করছে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনার আপনার প্রশংসা না করলে আপনি হয়তো সাময়িক ধর্মঘট শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গেলে বিল দেওয়ার সময় এমন নাটকীয় ভঙ্গিতে মানিব্যাগ বের করবেন, যাতে মনে হয় আপনি পুরো গ্যালাক্সির দেনা মেটাচ্ছেন। সবার মনোযোগ পেতে আজ আপনি যা-ই করুন না কেন, শেষমেশ দেখবেন বাড়ির কুকুরটাই সবচেয়ে বেশি করতালি পাচ্ছে। সেটা মেনে নিন।
কন্যা
আজ আপনার মস্তিষ্ক একটি হাইপার-অ্যাকটিভ স্প্রেডশিটের মতো চলবে। আপনার প্রধান চিন্তা হবে, বালিশের কভারটি আর টেবিলের কোণটা একই সমান্তরালে আছে কি না। কাজের জায়গায় সহকর্মীর কফির মগে কতটুকু চিনি বেশি আছে, সেটা বের করে ফেলবেন। আর সেই খুঁত নিয়েই আপনি আজ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলবেন। যদি দেখেন কোনো কিছু নিখুঁত নয়, তাহলে মেজাজ সপ্তমে উঠবে। দুশ্চিন্তা করবেন না, আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ভুলটি হয়তো আপনিই করবেন, সঠিকটা করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলবেন! আজ দয়া করে নিজের চুল গুনতে শুরু করবেন না। আজ অন্তত একবার একটা ভুল করুন। স্বাধীনতা উপভোগ করুন!
তুলা
ন্যায়, ভারসাম্য এবং সৌন্দর্যের পূজারি আপনি আজ একটি কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন। আপনাকে হয়তো ঠিক করতে হবে, দুপুরে ভাত খাবেন নাকি রুটি! এই নিয়েই অন্তত এক ঘণ্টা ভাববেন এবং শেষমেশ দুটোই খেয়ে ফেলবেন। কর্মক্ষেত্রে দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতের সঙ্গে সহমত হবেন, আর এতে সহকর্মীরা আপনাকে ‘ডাবল এজেন্ট’ ভাবতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্যতম অভিযোগ শুনেই এত বেশি ভারসাম্য আনতে চাইবেন যে সম্পর্কটা দড়ির ওপর হাঁটা সার্কাসের মতো মনে হবে। কোনো জটিল সিদ্ধান্ত এলে আজ শুধু একটা জিনিস ভাবুন: যেটাতে আপনার সবচেয়ে কম কষ্ট হবে। ব্যস! ব্যালেন্স নিজের থেকেই চলে আসবে।
বৃশ্চিক
আজ মন গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকবে। হয়তো ভাববেন, পাশের ডেস্কের সহকর্মী কেন আজ আপনার দিকে একটু বেশি হেসেছেন? এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর রহস্য আছে! সারা দিন ধরে সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করবেন, যা আসলে সামান্য দাঁত ব্রাশ করার পরের হাসি। তীব্র মনোযোগ আজ আপনাকে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে, কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার নীরবতা আজ একটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। লোকে ভাববে আপনি ধ্যান করছেন, কিন্তু আসলে ভাবছেন, কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চায়ে লবণ মিশিয়ে দেবেন। কাউকে কিছু বলবেন না। নীরবতা আজ স্বর্ণময়। সেটা জমিয়ে রাখুন।
ধনু
আজ মন চঞ্চল, আজ বাড়ি ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। হয়তো অফিস থেকে সোজা হিমালয় বা চাঁদে চলে যাওয়ার টিকিট খুঁজতে থাকবেন। আপনার ফিলোসফিক্যাল রগ আজ এত বেশি চড়ে থাকবে যে, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে মহাজাগতিক সত্য আবিষ্কার করতে পারেন। আপনার অতি-সৎ কথাগুলো আজ কারও না কারও মন খারাপ করবে। হয়তো বলবেন, ‘তোমাকে এই শাড়িতে এত মোটা লাগছে না, যতটা গত সপ্তাহে লাগছিল।’ এই রাশিফল পড়ার সময়ও আপনি ভাবছেন, এটার কোথাও কোনো বানান ভুল আছে কি না। আজ মুখটা সাবধানে ব্যবহার করুন। বিশেষত যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকে, তাহলে কথা বলার আগে তিনবার কফি খান।
মকর
আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে সফল এবং গম্ভীর মানুষ। মনে করবেন, পৃথিবীর সব দায়িত্ব আপনার কাঁধেই। আপনার প্রধান শখ হবে অন্যদের হাসতে দেখে বিরক্ত হওয়া। ভাববেন, ‘এরা এত হাসছে কেন? কাজের ডেডলাইন তো এখনো বাকি!’ আপনার মনে হবে, আপনি যদি এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনারকে ইমপ্রেস করতে কোনো রোমান্টিক ডিনার বা উপহার না দিয়ে, বরং একটি সুন্দর এক্সেল শিট তৈরি করে দেবেন, যেখানে আপনাদের সম্পর্কের আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য লেখা থাকবে। আজকের দিনটি একটু আরাম করুন। না করলে মস্তিষ্ক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার দাঁত ব্রাশ করা বাকি এবং এই ভুলটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কুম্ভ
আজ এমন একটি অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, যা পৃথিবীর বাকি ১১টা রাশি কখনোই বুঝবে না। হয়তো ঠিক করবেন, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কীভাবে বিশ্বশান্তি আনা যায়, অথবা কেন সব শার্টে তিনটি করে কলার থাকা উচিত। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো আজ খুবই বৈপ্লবিক হবে, কিন্তু বন্ধুরা হয়তো ভাববে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কেউ আপনার কথা বুঝতে না পারলে আরও খুশি হবেন—কারণ জানেন আপনি কতটা এগিয়ে! প্রেম নিয়ে ভাবনা হবে, কেন এই ‘সামাজিক বন্ধন’-এর প্রয়োজন, যেখানে দুজন মানুষ শুধু নিজেদের মধ্যে একটি ইমোজি বিনিময় করেও দিব্যি থাকতে পারে। পরামর্শ: আপনার আইডিয়াগুলো খুব ভালো। কিন্তু আজ দয়া করে আপনার আইডিয়াগুলো দিয়ে পোষা প্রাণীটির ওপর কোনো পরীক্ষা করবেন না।
মীন
আজ বাস্তবের ধারেকাছেও থাকবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় এমন এক কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াবেন, যেখানে আপনার সব বিল পরিশোধ হয়ে গেছে এবং পোষা মাছটা কথা বলতে পারে। কাজের জায়গায় ভুলবশত সহকর্মীকে ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকুমার/রাজকুমারী’ বলে ডাকতে পারেন। মনে হবে, জীবন একটি হিন্দি সিনেমা, আর আপনি তার হিরো/হিরোইন। যদি কিছু ভুলে যান, যেমন চাবি বা মানিব্যাগ, তার জন্য গ্রহদের দোষ দেবেন। সন্ধ্যায়, হয়তো এত বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন যে টিভির সিরিয়ালের ভিলেনের দুঃখেও চোখে পানি চলে আসবে। আজ চোখ খুলে হাঁটুন। আর যদি চারপাশের মানুষ আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করে, তাহলে চোখ বন্ধ করে শুধু ‘হুম’ বলে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
০৮ জুন ২০২৫
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
১ ঘণ্টা আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৩ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
০৮ জুন ২০২৫
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
১ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
২ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৯ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
০৮ জুন ২০২৫
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
১ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৩ ঘণ্টা আগে