সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা

কোনো সম্পর্কই স্থায়ী এবং শতভাগ মধুর হয় না। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া–বিবাদ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সন্তান জন্মের পর অনেক দম্পতির মধ্যেই ঝগড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিবারে নতুন সদস্য আসাকে ঘিরে যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেখানে ঝগড়া আরও বেড়ে যাওয়াকে অনেকে মেনে নিতে পারেন না। অনেকে এতে হতাশ হয়ে পড়েন। ভেবে নেন, সঙ্গী তাঁকে বুঝতেই চাইছে না।
কেন সন্তান হওয়ার পর স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বেড়ে যায়?
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর লোচিয়া (প্রসবোত্তর স্রাব), প্রসবোত্তর ব্যথা এবং ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তন তো আছেই, সেই সঙ্গে নতুন বাবা–মায়েদের মধ্যে আরও একটি সমস্যা দেখা দেয়, তা হলো— দাম্পত্য কলহ।
সন্তান জন্মের পর সব বাবা–মা উভয়ের ঘুম উবে যায়! ঘুমের সমস্যার কারণেই অনেক সময় উভয়ের মধ্যে ক্লান্তি ভর করে। এ ক্লান্তি থেকেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। তবে সব বাবা–মার মধ্যে এ সমস্যা একই রূপে দেখা দেয় না, এর স্থায়িত্ব একই হয় না এবং এর তীব্রতাও একই হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যেকার এ দ্বন্দ্ব বিচ্ছেদ অবধি গড়াতে পারে।
সন্তান জন্মের পর ৩ বছর পর্যন্ত প্রসবোত্তর প্রতিক্রিয়াগুলো স্থায়ী হতে পারে। এ সময়টাতে মায়ের হরমোন ঘনঘন পরিবর্তিত হয় এবং এ সময়টাতেই বাবা–মা সবচেয়ে বেশি আবেগীয় টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যান। গর্ভাবস্থা ও প্রসবের জটিলতা কাটিয়ে ওঠার আগেই দম্পতিকে বাবা–মার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয় এবং সন্তানের সঙ্গে তাঁদের নতুন জীবন মানিয়ে নিতে হয়।
এ মানিয়ে নেওয়ার মধ্যে রয়েছে রাতের পর রাত জাগা, স্বচ্ছতার অভাব আর দুশ্চিন্তা! সন্তানের আগমনের সঙ্গে বাবা–মায়ের রাতের ঘুম এবং একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলোই যে শুধু বিঘ্নিত হয় তাই নয়, এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি মানসিক পরিবর্তন আসতে পারে যা দম্পতির মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করতে পারে বা বিরোধ বাড়িয়ে দিতে পারে।
মানসিক চাপের মধ্যে দায়িত্বের চেয়ে বেশি কাজ এবং গৃহস্থালির কাজ বাবা–মার জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। এতে তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে, বাবার তখন নিজেকে যথেষ্ট মনে না হতে পারে, মা–সন্তানের নতুন সম্পর্কের মধ্যে বাবার নিজেকে বহিরাগত মনে হতে পারে বা শিশুর সঙ্গে বাবার দূরবর্তী সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে রোম্যান্টিক দম্পতি আর অভিভাবক হয়ে ওঠা দম্পতির মধ্যে তফাৎ করতে জানতে হবে। প্রথম ক্ষেত্রে, সম্পর্ক রোম্যান্টিক অনুভূতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে একে অপরের দিকে মনযোগ না দিয়ে সব মনযোগ সন্তানের দিকে দেওয়া হয়। দৈনন্দিন জীবনে অনিদ্রা, সন্তানের প্রতি দায়িত্ব, রোম্যান্টিক মুহূর্তের অভাব স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
হতাশা সব সময়ই দৈনন্দিন ঝামেলা থেকে তৈরি হয় না, অত্যধিক প্রত্যাশা থেকেও এ ধরনের হতাশা আসতে পারে। বাবা বা মা হিসেবে সঙ্গীর কাছ থেকে যেমন ভূমিকা এতদিন কল্পনায় ছিল তা বাস্তবে না পেলে হতাশা তৈরি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে করণীয়
সন্তান জন্মের পর স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ করা যায় আলোচনার মাধ্যমে। সন্তান জন্মের আগেই কে কোন ভূমিকা পালন করবেন তা আলোচনা করে নেওয়া উচিত। যেমন, রাতে সন্তানের দেখভাল কে করবেন, বাবার দায়িত্ব কী কী হবে—ইত্যাদি আগেই আলোচনা করে নেওয়া উচিত। তবে মাথায় রাখতে হবে, এটি শুধু আলোচনা পর্ব। বাস্তবতা এই আলোচনার সঙ্গে নাও মিলতে পারে।
স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্কের ভিত্তিতে এই বিবাদের পর্ব পরিবর্তিত হতে থাকে। এ ধরনের দ্বন্দ্ব কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
এই লড়াই থেকে পরিত্রাণ পেতে দুটি কাজ করা যেতে পারে—আলোচনা ও বাস্তবায়ন।
পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখন অনেকের ক্ষেত্রে কথা বলাবলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, পারস্পরিক যোগাযোগ অসম্ভব মনে হতে পারে। অনেকের কাছে মনে হতে পারে, এখন আর কথা বলে লাভ নেই। এসব ক্ষেত্রে কথা বলার জায়গা আবার তৈরি করতে তৃতীয় ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। সময় নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে, সঠিক শব্দ ব্যবহার করে নিজেদের অনুভূতি বোঝানোর মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
সন্তান জন্মের পর নিজেদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাভাবিক রাখতে আরও যা যা করা যেতে পারে—
১. সন্তান যদি রাতভর না ঘুমায় এবং সঙ্গী যদি চাহিদা মতো আপনাকে সহায়তা না করে, তবে প্রতি সপ্তাহে এক বা দুই রাতের জন্য কোনো আত্মীয়ের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। বা দিনের কয়েক ঘণ্টার জন্য আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে এবং ওই সময়টা ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। নিজের এবং সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে এবং সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলবে। মনে রাখতে হবে, সন্তুষ্ট দম্পতিই ভবিষ্যতে হাসিখুশি বাবা–মা হতে পারেন। আর হাসিখুশি বাবা–মা থেকেই হাসিখুশি সন্তান তৈরি হয়।
২. দৈনন্দিন জীবনকে আরও সুখকর করে তোলার একটি উপায় হলো, মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলা। মানসিক বোঝা ও বিরক্তি ঝেড়ে ফেলতে একসঙ্গে বসুন এবং নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর তালিকা করুন। একসঙ্গে বসে আলোচনা করার মাধ্যমে অসম্পূর্ণ কাজের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করার প্রবণতা কমে যায়।
৩. যতটা সম্ভব সঙ্গীর প্রতি প্রত্যাশা রাখুন। ছোট ছোট কিছু কাজ জীবন সহজ করে তুলতে পারে। যেমন: খাবার তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিলে তাড়াহুড়োয় খাওয়ার জন্য সব সময়ই খাবার পাবেন। বিশ্রামের প্রয়োজন হলে ঘরের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বা কাপড় ধোয়ার কাজে সঙ্গীকে সহায়তা করতে বলুন।
দুঃখজনকভাবে ৬০ শতাংশ দম্পতিই সন্তান গ্রহণের পর কলহে জড়িয়ে পড়েন এবং ২০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এ কলহ বিচ্ছেদে গড়ায়। ছোট সন্তান নিয়েই বিচ্ছেদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। তাই এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি জরুরি।
তথ্যসূত্র: মাস্টেলা ম্যাগাজিন

কোনো সম্পর্কই স্থায়ী এবং শতভাগ মধুর হয় না। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া–বিবাদ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সন্তান জন্মের পর অনেক দম্পতির মধ্যেই ঝগড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিবারে নতুন সদস্য আসাকে ঘিরে যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেখানে ঝগড়া আরও বেড়ে যাওয়াকে অনেকে মেনে নিতে পারেন না। অনেকে এতে হতাশ হয়ে পড়েন। ভেবে নেন, সঙ্গী তাঁকে বুঝতেই চাইছে না।
কেন সন্তান হওয়ার পর স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বেড়ে যায়?
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর লোচিয়া (প্রসবোত্তর স্রাব), প্রসবোত্তর ব্যথা এবং ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তন তো আছেই, সেই সঙ্গে নতুন বাবা–মায়েদের মধ্যে আরও একটি সমস্যা দেখা দেয়, তা হলো— দাম্পত্য কলহ।
সন্তান জন্মের পর সব বাবা–মা উভয়ের ঘুম উবে যায়! ঘুমের সমস্যার কারণেই অনেক সময় উভয়ের মধ্যে ক্লান্তি ভর করে। এ ক্লান্তি থেকেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। তবে সব বাবা–মার মধ্যে এ সমস্যা একই রূপে দেখা দেয় না, এর স্থায়িত্ব একই হয় না এবং এর তীব্রতাও একই হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যেকার এ দ্বন্দ্ব বিচ্ছেদ অবধি গড়াতে পারে।
সন্তান জন্মের পর ৩ বছর পর্যন্ত প্রসবোত্তর প্রতিক্রিয়াগুলো স্থায়ী হতে পারে। এ সময়টাতে মায়ের হরমোন ঘনঘন পরিবর্তিত হয় এবং এ সময়টাতেই বাবা–মা সবচেয়ে বেশি আবেগীয় টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যান। গর্ভাবস্থা ও প্রসবের জটিলতা কাটিয়ে ওঠার আগেই দম্পতিকে বাবা–মার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয় এবং সন্তানের সঙ্গে তাঁদের নতুন জীবন মানিয়ে নিতে হয়।
এ মানিয়ে নেওয়ার মধ্যে রয়েছে রাতের পর রাত জাগা, স্বচ্ছতার অভাব আর দুশ্চিন্তা! সন্তানের আগমনের সঙ্গে বাবা–মায়ের রাতের ঘুম এবং একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলোই যে শুধু বিঘ্নিত হয় তাই নয়, এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি মানসিক পরিবর্তন আসতে পারে যা দম্পতির মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করতে পারে বা বিরোধ বাড়িয়ে দিতে পারে।
মানসিক চাপের মধ্যে দায়িত্বের চেয়ে বেশি কাজ এবং গৃহস্থালির কাজ বাবা–মার জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। এতে তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে, বাবার তখন নিজেকে যথেষ্ট মনে না হতে পারে, মা–সন্তানের নতুন সম্পর্কের মধ্যে বাবার নিজেকে বহিরাগত মনে হতে পারে বা শিশুর সঙ্গে বাবার দূরবর্তী সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে রোম্যান্টিক দম্পতি আর অভিভাবক হয়ে ওঠা দম্পতির মধ্যে তফাৎ করতে জানতে হবে। প্রথম ক্ষেত্রে, সম্পর্ক রোম্যান্টিক অনুভূতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে একে অপরের দিকে মনযোগ না দিয়ে সব মনযোগ সন্তানের দিকে দেওয়া হয়। দৈনন্দিন জীবনে অনিদ্রা, সন্তানের প্রতি দায়িত্ব, রোম্যান্টিক মুহূর্তের অভাব স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
হতাশা সব সময়ই দৈনন্দিন ঝামেলা থেকে তৈরি হয় না, অত্যধিক প্রত্যাশা থেকেও এ ধরনের হতাশা আসতে পারে। বাবা বা মা হিসেবে সঙ্গীর কাছ থেকে যেমন ভূমিকা এতদিন কল্পনায় ছিল তা বাস্তবে না পেলে হতাশা তৈরি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে করণীয়
সন্তান জন্মের পর স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ করা যায় আলোচনার মাধ্যমে। সন্তান জন্মের আগেই কে কোন ভূমিকা পালন করবেন তা আলোচনা করে নেওয়া উচিত। যেমন, রাতে সন্তানের দেখভাল কে করবেন, বাবার দায়িত্ব কী কী হবে—ইত্যাদি আগেই আলোচনা করে নেওয়া উচিত। তবে মাথায় রাখতে হবে, এটি শুধু আলোচনা পর্ব। বাস্তবতা এই আলোচনার সঙ্গে নাও মিলতে পারে।
স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্কের ভিত্তিতে এই বিবাদের পর্ব পরিবর্তিত হতে থাকে। এ ধরনের দ্বন্দ্ব কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
এই লড়াই থেকে পরিত্রাণ পেতে দুটি কাজ করা যেতে পারে—আলোচনা ও বাস্তবায়ন।
পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখন অনেকের ক্ষেত্রে কথা বলাবলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, পারস্পরিক যোগাযোগ অসম্ভব মনে হতে পারে। অনেকের কাছে মনে হতে পারে, এখন আর কথা বলে লাভ নেই। এসব ক্ষেত্রে কথা বলার জায়গা আবার তৈরি করতে তৃতীয় ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। সময় নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে, সঠিক শব্দ ব্যবহার করে নিজেদের অনুভূতি বোঝানোর মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
সন্তান জন্মের পর নিজেদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাভাবিক রাখতে আরও যা যা করা যেতে পারে—
১. সন্তান যদি রাতভর না ঘুমায় এবং সঙ্গী যদি চাহিদা মতো আপনাকে সহায়তা না করে, তবে প্রতি সপ্তাহে এক বা দুই রাতের জন্য কোনো আত্মীয়ের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। বা দিনের কয়েক ঘণ্টার জন্য আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে এবং ওই সময়টা ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। নিজের এবং সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে এবং সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলবে। মনে রাখতে হবে, সন্তুষ্ট দম্পতিই ভবিষ্যতে হাসিখুশি বাবা–মা হতে পারেন। আর হাসিখুশি বাবা–মা থেকেই হাসিখুশি সন্তান তৈরি হয়।
২. দৈনন্দিন জীবনকে আরও সুখকর করে তোলার একটি উপায় হলো, মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলা। মানসিক বোঝা ও বিরক্তি ঝেড়ে ফেলতে একসঙ্গে বসুন এবং নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর তালিকা করুন। একসঙ্গে বসে আলোচনা করার মাধ্যমে অসম্পূর্ণ কাজের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করার প্রবণতা কমে যায়।
৩. যতটা সম্ভব সঙ্গীর প্রতি প্রত্যাশা রাখুন। ছোট ছোট কিছু কাজ জীবন সহজ করে তুলতে পারে। যেমন: খাবার তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিলে তাড়াহুড়োয় খাওয়ার জন্য সব সময়ই খাবার পাবেন। বিশ্রামের প্রয়োজন হলে ঘরের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বা কাপড় ধোয়ার কাজে সঙ্গীকে সহায়তা করতে বলুন।
দুঃখজনকভাবে ৬০ শতাংশ দম্পতিই সন্তান গ্রহণের পর কলহে জড়িয়ে পড়েন এবং ২০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এ কলহ বিচ্ছেদে গড়ায়। ছোট সন্তান নিয়েই বিচ্ছেদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। তাই এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি জরুরি।
তথ্যসূত্র: মাস্টেলা ম্যাগাজিন

স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৩১ মিনিট আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
৪ ঘণ্টা আগে
স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।...
৬ ঘণ্টা আগে
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন সময় বুঝে
পর্যটনের ক্ষেত্রে নেপালে ব্যস্ত সময় হলো অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ এবং মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল। এই সময় দেশটিতে হোটেল ও লজের ভাড়া বেড়ে যায়। এর বাইরে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস হলো শোল্ডার সিজন। এই সময় দেশটিতে পর্যটক কম থাকে এবং হোটেল ভাড়ায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকায় অনেক সময় চার্জিং বা ওয়াই-ফাই বিনা খরচে দেওয়া হয়। তবে শোল্ডার সিজনে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে একটু হাঁটুন
বিমানবন্দর এলাকায় ট্যাক্সিচালকেরা অনেক সময় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। তবে সেখান থেকে প্রায় ৮০ মিটার হাঁটলেই রিং রোডে সাধারণ ভাড়ায় ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সিতে থামেল এলাকায় যেতে সাধারণত ৬০০ রুপি লাগে। চাইলে লোকাল বাসও ব্যবহার করা যায়। আগাম জানালে অনেক হোটেল নির্দিষ্ট বা বিনা মূল্যের পিকআপ সুবিধাও দেয়।

পাঠাও ও ইনড্রাইভ ব্যবহার করুন
রাস্তার ট্যাক্সির চেয়ে কাঠমান্ডুতে পাঠাও এবং কাঠমান্ডুর বাইরে ইনড্রাইভ অ্যাপ ব্যবহার করলে কম ভাড়ায় নিরাপদ যাতায়াত করা যায়।
থাকা-খাওয়ার জন্য থামেলের বাইরে যান
থামেল পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক হলেও সেখানে হোটেল ও খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। থামেলের আশপাশের এলাকায় একই মানের হোটেল ২০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যায়। খাবারের ক্ষেত্রেও শহরের অন্যান্য এলাকায় তুলনামূলক সস্তা ও ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
বিকল্প হিসেবে বৌদ্ধনাথ এলাকা
বৌদ্ধনাথ স্তূপসংলগ্ন এলাকা থামেলের ভালো বিকল্প। সেখানে সাশ্রয়ী হোটেল ও খাবার পাওয়া যায় এবং পরিবেশ অনেক শান্ত। সেখানে দেখা মিলবে তীর্থযাত্রীদের এবং শোনা যাবে বৌদ্ধদের প্রার্থনার ধ্বনি। বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় ভ্রমণের শেষ দিকে থাকার জন্য এটি আদর্শ জায়গা।

দর্শনীয় স্থানের টিকিট বাড়িয়ে নিন
বৌদ্ধনাথ, পাতান দরবার স্কয়ার, কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার এবং ভক্তপুর নেপালের জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। অনেকে হয়তো জানেন না, এই স্থানগুলোর টিকিট এক সপ্তাহ বা ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন। কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ারে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগতে পারে।
স্থানীয় খাবার খান, বিশেষ করে ট্রেকিংয়ের সময়
আন্তর্জাতিক খাবারের তুলনায় নেপালি খাবার অনেক সস্তা। পাহাড়ি ট্রেকে ডাল-ভাত সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর খাবার।
লোকাল বাসের বদলে ট্যুরিস্ট বাস নিন
পোখারা, চিতওয়ান বা লুম্বিনিতে যেতে ট্যুরিস্ট বাস কিছুটা দামি হলেও বেশি আরামদায়ক এবং দ্রুত যাওয়া যায়। অল্প কিছু টাকা বেশি দিলেই ভ্রমণ অনেক স্বস্তিদায়ক হয়।
নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ট্রেক বেছে নিন
নেপালের জনপ্রিয় ট্রেকিং রুটগুলো সাধারণত ব্যস্ত। অভিজ্ঞ ট্রেকাররা দলবদ্ধভাবে গাইড ছাড়াও যেতে পারেন। তবে একা যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। নিজের শারীরিক সক্ষমতা বুঝে ট্রেক নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি।
গাইড নিতে চাইলে নেপালে গিয়ে নিন
অনেকে নিরাপত্তার জন্য গাইড নিতে চান। সে ক্ষেত্রে আগে বুক না করে নেপালে গিয়ে সরাসরি গাইড বা এজেন্সির সঙ্গে কথা বললে খরচ কম পড়ে।
স্বল্প ট্রেকের জন্য গিয়ার ভাড়া নিন
স্বল্প সময়ের ট্রেকের জন্য ভারী গিয়ার সঙ্গে নেওয়ার দরকার নেই। কাঠমান্ডু ও পোখারায় সহজে জ্যাকেট, স্লিপিং ব্যাগ ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ১০০ রুপি ব্যয় হতে পারে এ বাবদ।
নেপালে দৈনিক আনুমানিক খরচ
হোটেল বেড: ৪০০ রুপি
সাধারণ ডাবল রুম: ১ হাজার ৫০০ রুপি
লোকাল বাস (কাঠমান্ডু থেকে পোখারা): ৮০০ রুপি
ট্যুরিস্ট বাস: ১ হাজার ৩০০ রুপি
কফি: ২০০ রুপি থেকে শুরু
মোমো: ১৩০ রুপি থেকে শুরু
ভালো রেস্টুরেন্টে দুজনের ডিনার: ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ রুপি
পাহাড়ে ডাল-ভাত: ৪০০ থেকে ৮৫০ রুপি
দৈনিক গড় খরচ: ২ হাজার থেকে ৬ হাজার ৭০০ রুপি
২ সপ্তাহে খরচ: ২৮ হাজার থেকে ৯৪ হাজার রুপি
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন সময় বুঝে
পর্যটনের ক্ষেত্রে নেপালে ব্যস্ত সময় হলো অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ এবং মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল। এই সময় দেশটিতে হোটেল ও লজের ভাড়া বেড়ে যায়। এর বাইরে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস হলো শোল্ডার সিজন। এই সময় দেশটিতে পর্যটক কম থাকে এবং হোটেল ভাড়ায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকায় অনেক সময় চার্জিং বা ওয়াই-ফাই বিনা খরচে দেওয়া হয়। তবে শোল্ডার সিজনে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে একটু হাঁটুন
বিমানবন্দর এলাকায় ট্যাক্সিচালকেরা অনেক সময় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। তবে সেখান থেকে প্রায় ৮০ মিটার হাঁটলেই রিং রোডে সাধারণ ভাড়ায় ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সিতে থামেল এলাকায় যেতে সাধারণত ৬০০ রুপি লাগে। চাইলে লোকাল বাসও ব্যবহার করা যায়। আগাম জানালে অনেক হোটেল নির্দিষ্ট বা বিনা মূল্যের পিকআপ সুবিধাও দেয়।

পাঠাও ও ইনড্রাইভ ব্যবহার করুন
রাস্তার ট্যাক্সির চেয়ে কাঠমান্ডুতে পাঠাও এবং কাঠমান্ডুর বাইরে ইনড্রাইভ অ্যাপ ব্যবহার করলে কম ভাড়ায় নিরাপদ যাতায়াত করা যায়।
থাকা-খাওয়ার জন্য থামেলের বাইরে যান
থামেল পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক হলেও সেখানে হোটেল ও খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। থামেলের আশপাশের এলাকায় একই মানের হোটেল ২০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যায়। খাবারের ক্ষেত্রেও শহরের অন্যান্য এলাকায় তুলনামূলক সস্তা ও ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
বিকল্প হিসেবে বৌদ্ধনাথ এলাকা
বৌদ্ধনাথ স্তূপসংলগ্ন এলাকা থামেলের ভালো বিকল্প। সেখানে সাশ্রয়ী হোটেল ও খাবার পাওয়া যায় এবং পরিবেশ অনেক শান্ত। সেখানে দেখা মিলবে তীর্থযাত্রীদের এবং শোনা যাবে বৌদ্ধদের প্রার্থনার ধ্বনি। বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় ভ্রমণের শেষ দিকে থাকার জন্য এটি আদর্শ জায়গা।

দর্শনীয় স্থানের টিকিট বাড়িয়ে নিন
বৌদ্ধনাথ, পাতান দরবার স্কয়ার, কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার এবং ভক্তপুর নেপালের জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। অনেকে হয়তো জানেন না, এই স্থানগুলোর টিকিট এক সপ্তাহ বা ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন। কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ারে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগতে পারে।
স্থানীয় খাবার খান, বিশেষ করে ট্রেকিংয়ের সময়
আন্তর্জাতিক খাবারের তুলনায় নেপালি খাবার অনেক সস্তা। পাহাড়ি ট্রেকে ডাল-ভাত সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর খাবার।
লোকাল বাসের বদলে ট্যুরিস্ট বাস নিন
পোখারা, চিতওয়ান বা লুম্বিনিতে যেতে ট্যুরিস্ট বাস কিছুটা দামি হলেও বেশি আরামদায়ক এবং দ্রুত যাওয়া যায়। অল্প কিছু টাকা বেশি দিলেই ভ্রমণ অনেক স্বস্তিদায়ক হয়।
নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ট্রেক বেছে নিন
নেপালের জনপ্রিয় ট্রেকিং রুটগুলো সাধারণত ব্যস্ত। অভিজ্ঞ ট্রেকাররা দলবদ্ধভাবে গাইড ছাড়াও যেতে পারেন। তবে একা যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। নিজের শারীরিক সক্ষমতা বুঝে ট্রেক নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি।
গাইড নিতে চাইলে নেপালে গিয়ে নিন
অনেকে নিরাপত্তার জন্য গাইড নিতে চান। সে ক্ষেত্রে আগে বুক না করে নেপালে গিয়ে সরাসরি গাইড বা এজেন্সির সঙ্গে কথা বললে খরচ কম পড়ে।
স্বল্প ট্রেকের জন্য গিয়ার ভাড়া নিন
স্বল্প সময়ের ট্রেকের জন্য ভারী গিয়ার সঙ্গে নেওয়ার দরকার নেই। কাঠমান্ডু ও পোখারায় সহজে জ্যাকেট, স্লিপিং ব্যাগ ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ১০০ রুপি ব্যয় হতে পারে এ বাবদ।
নেপালে দৈনিক আনুমানিক খরচ
হোটেল বেড: ৪০০ রুপি
সাধারণ ডাবল রুম: ১ হাজার ৫০০ রুপি
লোকাল বাস (কাঠমান্ডু থেকে পোখারা): ৮০০ রুপি
ট্যুরিস্ট বাস: ১ হাজার ৩০০ রুপি
কফি: ২০০ রুপি থেকে শুরু
মোমো: ১৩০ রুপি থেকে শুরু
ভালো রেস্টুরেন্টে দুজনের ডিনার: ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ রুপি
পাহাড়ে ডাল-ভাত: ৪০০ থেকে ৮৫০ রুপি
দৈনিক গড় খরচ: ২ হাজার থেকে ৬ হাজার ৭০০ রুপি
২ সপ্তাহে খরচ: ২৮ হাজার থেকে ৯৪ হাজার রুপি
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

কোনো সম্পর্কই স্থায়ী এবং শতভাগ মধুর হয় না। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া–বিবাদ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সন্তান জন্মের পর অনেক দম্পতির মধ্যেই ঝগড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিবারে নতুন সদস্য আসাকে ঘিরে যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেখানে ঝগড়া আরও বেড়ে যাওয়াকে অনেকে মেনে নিতে পারেন না। অ
২৯ মার্চ ২০২৪
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
৪ ঘণ্টা আগে
স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।...
৬ ঘণ্টা আগে
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।
‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’
ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা
আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।
শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও
অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা
আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।
‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’
ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা
আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।
শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও
অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা
আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

কোনো সম্পর্কই স্থায়ী এবং শতভাগ মধুর হয় না। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া–বিবাদ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সন্তান জন্মের পর অনেক দম্পতির মধ্যেই ঝগড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিবারে নতুন সদস্য আসাকে ঘিরে যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেখানে ঝগড়া আরও বেড়ে যাওয়াকে অনেকে মেনে নিতে পারেন না। অ
২৯ মার্চ ২০২৪
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৩১ মিনিট আগে
স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।...
৬ ঘণ্টা আগে
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।
অতিরিক্ত তাপে গরম করা
স্টেইনলেস স্টিল খুব দ্রুত এবং সমানভাবে গরম হয়। তাই শুরুতে বেশি আঁচে পাত্র বসালে তলার অংশ পুড়ে যেতে পারে বা কালচে দাগ পড়তে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যবহার করলে ধাতুর গঠন দুর্বল হয়ে পাত্র বাঁকা হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এতে চুলার ওপর পাত্র ঠিকভাবে বসে না এবং রান্নার সময় তাপ সমানভাবে ছড়ায় না।
সমাধান: রান্না শুরু করুন কম বা মাঝারি আঁচে। পাত্র হালকা গরম হওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে আঁচ বাড়ান। খালি পাত্র বেশি সময় চুলায় রাখবেন না।
গরম পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালা
রান্না শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম হাঁড়িতে ঠান্ডা পানি ঢাললে পাত্রে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এতে স্টেইনলেস স্টিলের ধাতব গঠনে চাপ পড়ে এবং পাত্র বেঁকে যেতে পারে বা তলার অংশ বিকৃত হয়ে যায়। এর ফলে পরে পাত্রে তাপ সমানভাবে ছড়ায় না এবং রান্নার মানও ব্যাহত হয়।
সমাধান: রান্না শেষ হলে পাত্র কিছুক্ষণ স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হওয়ার পরেই ধোয়া শুরু করলে পাত্রের গঠন ও কার্যকারিতা দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
ডিশওয়াশারে নিয়মিত ধোয়া
স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র পরিষ্কারে সাধারণত ডিশওয়াশার নিরাপদ হলেও নিয়মিত এটি দিয়ে পাত্রগুলো ধোয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ডিশওয়াশারে ব্যবহৃত শক্ত রাসায়নিক ডিটারজেন্ট এবং উচ্চ তাপমাত্রার পানির প্রভাবে পাত্রের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে কমে যায়। এর ফলে পাত্রে দাগ পড়তে শুরু করে, যা দেখতে অস্বস্তিকর এবং পরিষ্কার করাও কঠিন হয়ে ওঠে।
সমাধান: মাঝে মাঝে এ ধরনের পাত্র শুধু পানি দিয়ে অথবা সাধারণ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
ঠান্ডা পানিতে লবণ দেওয়া
অনেকে রান্নার শুরুতে ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে দেন। এটি স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের জন্য ক্ষতিকর। ঠান্ডা পানিতে দেওয়া লবণের ক্লোরাইড, স্টিলের ক্রোমিয়াম এবং পানির অক্সিজেন একসঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাত্রের গায়ে ছোট ছোট গর্তের মতো স্থায়ী দাগ তৈরি হয়, যাকে সহজে পরিষ্কার বা ঠিক করা যায় না এবং পাত্রের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব—দুটোই কমে যায়।
সমাধান: সব সময় পানি ফুটে ওঠার পরেই তাতে লবণ যোগ করুন।
ধোয়ার পর পাত্র না শুকানো
ধোয়ার পর স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে পানি জমে থাকলে খুব দ্রুত চুনের দাগ বা সাদা আস্তরণ পড়ে। পানির সঙ্গে থাকা খনিজ উপাদান শুকানোর সময় পাত্রের গায়ে লেগে যায় এবং ধীরে ধীরে দাগ স্থায়ী হয়ে ওঠে, যা পরে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় দিয়ে ভেতর ও বাইরে জমে থাকা পানি মুছে ফেলুন। এতে দাগ পড়া অনেক দেরি হবে এবং পাত্র দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকবে।
রোদে শুকাতে দেওয়া
অনেকে পাত্র ধুয়ে রোদে রেখে দেন, এটি ক্ষতিকর অভ্যাস। রোদে শুকানোর সময় পানির খনিজ উপাদান দ্রুত জমে গিয়ে স্টেইনলেস স্টিলের গায়ে দাগ তৈরি করতে পারে। এসব দাগ সহজে ওঠে না এবং পাত্রের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে।
সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন এবং ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।
দাগ পড়লে করণীয়
বেকিং সোডা ও ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে দাগ উঠে যাবে এবং পাত্র আবার ঝকঝকে হবে।
সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও নিয়মিত যত্ন নিলে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকে। এতে পাত্রের সৌন্দর্য যেমন বজায় থাকে, তেমনি তাপ পরিবহনের ক্ষমতাও নষ্ট হয় না। ফলে রান্না হয় সমান ও স্বাস্থ্যসম্মত এবং বারবার নতুন পাত্র কেনার প্রয়োজনও পড়ে না। একটু সচেতন ব্যবহারেই এই পাত্রগুলো বহু বছর ব্যবহার করা সম্ভব।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।
অতিরিক্ত তাপে গরম করা
স্টেইনলেস স্টিল খুব দ্রুত এবং সমানভাবে গরম হয়। তাই শুরুতে বেশি আঁচে পাত্র বসালে তলার অংশ পুড়ে যেতে পারে বা কালচে দাগ পড়তে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যবহার করলে ধাতুর গঠন দুর্বল হয়ে পাত্র বাঁকা হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এতে চুলার ওপর পাত্র ঠিকভাবে বসে না এবং রান্নার সময় তাপ সমানভাবে ছড়ায় না।
সমাধান: রান্না শুরু করুন কম বা মাঝারি আঁচে। পাত্র হালকা গরম হওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে আঁচ বাড়ান। খালি পাত্র বেশি সময় চুলায় রাখবেন না।
গরম পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালা
রান্না শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম হাঁড়িতে ঠান্ডা পানি ঢাললে পাত্রে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এতে স্টেইনলেস স্টিলের ধাতব গঠনে চাপ পড়ে এবং পাত্র বেঁকে যেতে পারে বা তলার অংশ বিকৃত হয়ে যায়। এর ফলে পরে পাত্রে তাপ সমানভাবে ছড়ায় না এবং রান্নার মানও ব্যাহত হয়।
সমাধান: রান্না শেষ হলে পাত্র কিছুক্ষণ স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হওয়ার পরেই ধোয়া শুরু করলে পাত্রের গঠন ও কার্যকারিতা দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
ডিশওয়াশারে নিয়মিত ধোয়া
স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র পরিষ্কারে সাধারণত ডিশওয়াশার নিরাপদ হলেও নিয়মিত এটি দিয়ে পাত্রগুলো ধোয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ডিশওয়াশারে ব্যবহৃত শক্ত রাসায়নিক ডিটারজেন্ট এবং উচ্চ তাপমাত্রার পানির প্রভাবে পাত্রের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে কমে যায়। এর ফলে পাত্রে দাগ পড়তে শুরু করে, যা দেখতে অস্বস্তিকর এবং পরিষ্কার করাও কঠিন হয়ে ওঠে।
সমাধান: মাঝে মাঝে এ ধরনের পাত্র শুধু পানি দিয়ে অথবা সাধারণ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
ঠান্ডা পানিতে লবণ দেওয়া
অনেকে রান্নার শুরুতে ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে দেন। এটি স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের জন্য ক্ষতিকর। ঠান্ডা পানিতে দেওয়া লবণের ক্লোরাইড, স্টিলের ক্রোমিয়াম এবং পানির অক্সিজেন একসঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাত্রের গায়ে ছোট ছোট গর্তের মতো স্থায়ী দাগ তৈরি হয়, যাকে সহজে পরিষ্কার বা ঠিক করা যায় না এবং পাত্রের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব—দুটোই কমে যায়।
সমাধান: সব সময় পানি ফুটে ওঠার পরেই তাতে লবণ যোগ করুন।
ধোয়ার পর পাত্র না শুকানো
ধোয়ার পর স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে পানি জমে থাকলে খুব দ্রুত চুনের দাগ বা সাদা আস্তরণ পড়ে। পানির সঙ্গে থাকা খনিজ উপাদান শুকানোর সময় পাত্রের গায়ে লেগে যায় এবং ধীরে ধীরে দাগ স্থায়ী হয়ে ওঠে, যা পরে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় দিয়ে ভেতর ও বাইরে জমে থাকা পানি মুছে ফেলুন। এতে দাগ পড়া অনেক দেরি হবে এবং পাত্র দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকবে।
রোদে শুকাতে দেওয়া
অনেকে পাত্র ধুয়ে রোদে রেখে দেন, এটি ক্ষতিকর অভ্যাস। রোদে শুকানোর সময় পানির খনিজ উপাদান দ্রুত জমে গিয়ে স্টেইনলেস স্টিলের গায়ে দাগ তৈরি করতে পারে। এসব দাগ সহজে ওঠে না এবং পাত্রের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে।
সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন এবং ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।
দাগ পড়লে করণীয়
বেকিং সোডা ও ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে দাগ উঠে যাবে এবং পাত্র আবার ঝকঝকে হবে।
সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও নিয়মিত যত্ন নিলে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকে। এতে পাত্রের সৌন্দর্য যেমন বজায় থাকে, তেমনি তাপ পরিবহনের ক্ষমতাও নষ্ট হয় না। ফলে রান্না হয় সমান ও স্বাস্থ্যসম্মত এবং বারবার নতুন পাত্র কেনার প্রয়োজনও পড়ে না। একটু সচেতন ব্যবহারেই এই পাত্রগুলো বহু বছর ব্যবহার করা সম্ভব।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

কোনো সম্পর্কই স্থায়ী এবং শতভাগ মধুর হয় না। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া–বিবাদ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সন্তান জন্মের পর অনেক দম্পতির মধ্যেই ঝগড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিবারে নতুন সদস্য আসাকে ঘিরে যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেখানে ঝগড়া আরও বেড়ে যাওয়াকে অনেকে মেনে নিতে পারেন না। অ
২৯ মার্চ ২০২৪
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৩১ মিনিট আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
৪ ঘণ্টা আগে
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

একবার ভাবুন, কেনাকাটার জন্য রাষ্ট্র আপনার অ্যাকাউন্টে নিয়ম করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছে! কেমন হবে বিষয়টি? না, এটি কোনো কল্পনা নয়। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে তিন মাস পরপর প্রায় ২০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হচ্ছে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে।
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) কর্মসূচির অর্থ বিতরণ।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মার্শাল আইল্যান্ডসে বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিক তিন মাস পর প্রায় ২০০ ডলার পাবেন। আর বছরে পাবেন প্রায় ৮০০ ডলার। প্রায় ৪২ হাজার জনসংখ্যার এই দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনের চাপ বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশটির অর্থমন্ত্রী ডেভিড পল এই ভাতাকে ‘মানসিক শক্তি জোগানোর উপায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে।’
ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা পাওয়ার সুযোগ

এই কর্মসূচির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নাগরিকেরা শুধু প্রচলিত ব্যাংক ট্রান্সফার বা চেকের ওপর নির্ভরশীল নন; চাইলে তাঁরা ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমেও সরাসরি অর্থ গ্রহণ করতে পারছেন। এই পদ্ধতিতে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিরাপদ ও স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করে। এটি মার্শাল আইল্যান্ডসকে বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণে পরিণত করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য দ্বীপে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকর ও আধুনিক সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রকল্পের অর্থ ব্যবস্থাপক আনেলি সারানা জানান, প্রথম কিস্তির অর্থ বিতরণের পর রাজধানী এবং আশপাশের এলাকায় একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, ‘রাস্তাঘাটে এমন ভিড় আগে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছিল, যেন বড় কোনো উৎসব চলছে।’ তিনি আরও জানান, কর্মসূচির আওতায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে তাঁর দলকে অনেক দুর্গম দ্বীপে নৌকায় করে যেতে হয়েছে। সেখানে গিয়ে নাগরিকদের নিবন্ধন, পরিচয় যাচাই এবং অর্থ গ্রহণের পদ্ধতি বোঝানোর কাজ করতে হয়েছে, যা পুরো উদ্যোগকে আরও মানবিক ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলেছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ড. ফাম হুই মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে ব্লক চেইন ব্যবহার করে ইউবিআই বিতরণ করা একটি অভিনব পদক্ষেপ। তাঁর মতে, মার্কিন ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত স্টেবল কয়েন ব্যবহারের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা শত শত ছোট দ্বীপে নগদ অর্থ পরিবহনের ব্যয় ও ঝুঁকি অনেকটাই কমে। তবে প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তোলা সহজ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাকিরা চেক পছন্দ করছেন। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে মাত্র ১২ জন নাগরিক ই-ওয়ালেট ব্যবহারে নিবন্ধন করেছিলেন।
ড. হুইর মতে, এ পদ্ধতির বড় বাধা হলো অবকাঠামো—স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্মার্টফোন। এই দুটি সুবিধা এখনো মার্শাল আইল্যান্ডসের অনেক অঞ্চলে বিলাসিতার পর্যায়ে রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান না হলে ডিজিটাল অর্থ প্রদান পুরোপুরি কার্যকর হবে না।
আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ
যদিও দেশের ভেতরে এই উদ্যোগ ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এটি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) কর্মসূচিটির আর্থিক ঝুঁকি এবং তদারকি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এই ইউবিআই কর্মসূচির অর্থ আসছে ১৩০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্র অতীতে মার্শাল আইল্যান্ডসে পরিচালিত পারমাণবিক পরীক্ষার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছিল।
ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার চাপ কমাতে মার্শাল আইল্যান্ডসের এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তার এমন সমন্বয় ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

একবার ভাবুন, কেনাকাটার জন্য রাষ্ট্র আপনার অ্যাকাউন্টে নিয়ম করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছে! কেমন হবে বিষয়টি? না, এটি কোনো কল্পনা নয়। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে তিন মাস পরপর প্রায় ২০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হচ্ছে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে।
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) কর্মসূচির অর্থ বিতরণ।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মার্শাল আইল্যান্ডসে বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিক তিন মাস পর প্রায় ২০০ ডলার পাবেন। আর বছরে পাবেন প্রায় ৮০০ ডলার। প্রায় ৪২ হাজার জনসংখ্যার এই দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনের চাপ বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশটির অর্থমন্ত্রী ডেভিড পল এই ভাতাকে ‘মানসিক শক্তি জোগানোর উপায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে।’
ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা পাওয়ার সুযোগ

এই কর্মসূচির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নাগরিকেরা শুধু প্রচলিত ব্যাংক ট্রান্সফার বা চেকের ওপর নির্ভরশীল নন; চাইলে তাঁরা ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমেও সরাসরি অর্থ গ্রহণ করতে পারছেন। এই পদ্ধতিতে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিরাপদ ও স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করে। এটি মার্শাল আইল্যান্ডসকে বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণে পরিণত করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য দ্বীপে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকর ও আধুনিক সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রকল্পের অর্থ ব্যবস্থাপক আনেলি সারানা জানান, প্রথম কিস্তির অর্থ বিতরণের পর রাজধানী এবং আশপাশের এলাকায় একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, ‘রাস্তাঘাটে এমন ভিড় আগে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছিল, যেন বড় কোনো উৎসব চলছে।’ তিনি আরও জানান, কর্মসূচির আওতায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে তাঁর দলকে অনেক দুর্গম দ্বীপে নৌকায় করে যেতে হয়েছে। সেখানে গিয়ে নাগরিকদের নিবন্ধন, পরিচয় যাচাই এবং অর্থ গ্রহণের পদ্ধতি বোঝানোর কাজ করতে হয়েছে, যা পুরো উদ্যোগকে আরও মানবিক ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলেছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ড. ফাম হুই মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে ব্লক চেইন ব্যবহার করে ইউবিআই বিতরণ করা একটি অভিনব পদক্ষেপ। তাঁর মতে, মার্কিন ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত স্টেবল কয়েন ব্যবহারের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা শত শত ছোট দ্বীপে নগদ অর্থ পরিবহনের ব্যয় ও ঝুঁকি অনেকটাই কমে। তবে প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তোলা সহজ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাকিরা চেক পছন্দ করছেন। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে মাত্র ১২ জন নাগরিক ই-ওয়ালেট ব্যবহারে নিবন্ধন করেছিলেন।
ড. হুইর মতে, এ পদ্ধতির বড় বাধা হলো অবকাঠামো—স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্মার্টফোন। এই দুটি সুবিধা এখনো মার্শাল আইল্যান্ডসের অনেক অঞ্চলে বিলাসিতার পর্যায়ে রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান না হলে ডিজিটাল অর্থ প্রদান পুরোপুরি কার্যকর হবে না।
আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ
যদিও দেশের ভেতরে এই উদ্যোগ ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এটি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) কর্মসূচিটির আর্থিক ঝুঁকি এবং তদারকি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এই ইউবিআই কর্মসূচির অর্থ আসছে ১৩০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্র অতীতে মার্শাল আইল্যান্ডসে পরিচালিত পারমাণবিক পরীক্ষার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছিল।
ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার চাপ কমাতে মার্শাল আইল্যান্ডসের এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তার এমন সমন্বয় ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

কোনো সম্পর্কই স্থায়ী এবং শতভাগ মধুর হয় না। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া–বিবাদ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সন্তান জন্মের পর অনেক দম্পতির মধ্যেই ঝগড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিবারে নতুন সদস্য আসাকে ঘিরে যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার প্রত্যাশা ছিল, সেখানে ঝগড়া আরও বেড়ে যাওয়াকে অনেকে মেনে নিতে পারেন না। অ
২৯ মার্চ ২০২৪
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৩১ মিনিট আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
৪ ঘণ্টা আগে
স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।...
৬ ঘণ্টা আগে