আব্দুর রাজ্জাক খান

প্রশ্ন: জুনিয়র হাইস্কুল থেকে কলেজ—এই রূপান্তরের গল্পটি জানতে চাই।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: বর্তমানে সারা দেশে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বেশ সুপরিচিত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির শুরুটা হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। অল্প কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন অনেকটা চেয়ে, অনুরোধ করে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে হতো। পড়ানো হতো বিনা বেতনে। এমনকি মাস শেষে শিক্ষকেরা বেতনও পেতেন না। তবু হাল ছেড়ে দিইনি। প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করেছি। প্রাথমিক ও বৃত্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় এবং বৃত্তি পায়। অভিভাবকদের আগ্রহ বাড়ে। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি জুনিয়র হাইস্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এর পর থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ে, প্রতিষ্ঠানের প্রতি অভিভাবকদের বিশ্বাস ও আগ্রহ বাড়তে থাকে। ১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। ফলও হয় সন্তোষজনক। ১৯৯৫ সালে সামসুল হক খান হাইস্কুল এমপিওভুক্ত হয়। তত দিনে ডেমরা-যাত্রাবাড়ীতে এ প্রতিষ্ঠানটি সুপরিচিত হয়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি অভিভাবকদের আস্থা বেড়ে যায়। এ প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার মানের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে থাকে। আমরা স্কুল নিয়েই পড়ে থাকতাম। কয়েকবার এসএসসিতে ফল ভালো করার পর মাতুয়াইলের অভিভাবকেরা এ প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য কলেজ শাখা চালু করার জোর দাবি জানান। তাঁদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ২০০৩ সাল কলেজ শাখা চালু করা হয়। তখন থেকেই এটি সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কলেজ শাখার প্রথম ব্যাচ ২০০৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রথমবারেই শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডে তৃতীয় স্থান অধিকার করি আমরা।
প্রশ্ন: ধানখেতে নির্মিত টিনশেডের সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি আজ দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। সাফল্যের চাবিকাঠি কী ছিল?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: যাকে ভালোবাসি তাকে যত্ন করতে হয়—এটিই বড় হওয়ার মূলমন্ত্র। প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের হাতে গড়েছি। কী করলে শিক্ষার্থীরা মনোযোগী হবে, লেখাপড়া কবরে, পরীক্ষায় ভালো করবে—প্রতিনিয়ত সেই চিন্তা করেছি। শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনোযোগ দিয়ে, তাদের পাঠোন্নয়ন প্রচেষ্টা নিয়ে নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ করেছি। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি ও শ্রেণিকক্ষে মনোনিবেশের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান কখনোই শিথিল ছিল না। পুরো শিক্ষাবর্ষ সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছি। সাপ্তাহিক কুইজ ও পরীক্ষার্থীদের সব রকম মডেল টেস্ট গ্রহণ করা হয়। নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে শিক্ষকেরা যে যাঁর মতো ভূমিকা পালন করেন, তাদের বড় মাপের মানুষ হতে স্বপ্ন দেখান। শিক্ষার্থীদের আনন্দ-বিনোদনের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয়েছে সমৃদ্ধ সহশিক্ষা অঙ্গন। ভালো লাগা, ভালোবাসা, আশাবাদ ও নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজকে ধীরে ধীরে বিকশিত করেছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য স্কুল ও কলেজ শাখায় রাইডের ব্যবস্থা রয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় সেন্ট্রাল জেনারেটরের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের তথ্য অভিভাবককে পৌঁছে দেওয়া হয় খুদে বার্তার মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শিক্ষকেরা। গৃহীত সব পরিকল্পনার ফলশ্রুতি পর্যাপ্ত মেধা বৃত্তি, এবং ২০১৫ সালে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করে। তারও আগে ২০১২ সালে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এ কলেজ থেকে অসংখ্য এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। নিত্যনতুন পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ আজ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ।
প্রশ্ন: কলেজটি প্রতিবছর ঈর্ষণীয় ফল বয়ে আনছে, এর পেছনের কারণ কী?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিকল্পনার ফসল ক্রমাগত ঈর্ষণীয় সাফল্য। প্রথমত, মেধার ভিত্তিতে সেকশন বিভাজন। অর্থাৎ মেধাবী ও দুর্বল মেধার শিক্ষার্থীদের আলাদা করা হয়। তারা কী পড়বে এবং কেমন করে পড়বে সে ব্যাপারে বিষয় শিক্ষকেরা পরিকল্পিত ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীদের ভালো পরীক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকেরা তদারকি করেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সমস্যা প্রশাসনিক উদ্যোগে অবগত হতে হয়। তাদের সব রকম সমস্যা বিবেচনায় রেখে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে প্রতিষ্ঠান নিয়মিত সহযোগিতা করে। অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পাঠোন্নয়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। কোনো পরিস্থিতিতেই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিরাশ বা নিরুৎসাহিত করা হয় না। পরীক্ষার্থীদের আনন্দিত ও উৎসাহিত রাখতে প্রতিষ্ঠান তার ভূমিকা পালন করে যায়। পরীক্ষার্থীদের পাঠের পরিবেশ জানতে হোম ভিজিট করা হয়, শ্রেণি সমন্বয়ক শিক্ষকেরা তাদের খোঁজখবর রাখেন। এসব প্রচেষ্টা পরীক্ষার ফলাফলকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এবং প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আশাব্যঞ্জক ফল লাভ করে।
প্রশ্ন: কলেজ শাখার বিশেষত্ব কী বলে আপনি মনে করেন?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: কলেজ শাখার বিশেষত্ব একটি নয়, অনেক। তবে সচেতন অভিভাবকদের কাছে যে বিশেষত্ব স্পষ্ট হওয়ার কথা, তা হলো, নির্ধারিত পাঠের প্রশ্নে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ আপস করে না। প্রত্যেক শিক্ষক চান তাঁর পড়া খুব ভালো করে পড়াতে হবে, যথাযথ ফিডব্যাক নিতে হবে আর প্রত্যেক শিক্ষার্থীও চায় তার নির্দিষ্ট পাঠ নিখুঁতভাবে বুঝে নিতে। পড়াশোনা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই যে ব্যতিক্রম ঐক্য, এইটিই কলেজ শাখার বিশেষত্ব। অনেক চেষ্টা ও তদারকির ফল এই পাঠের ঐক্য। ছাত্রীরা এখানে ভর্তি হয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সে কেমন ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করে। এসব কারণে এইচএসসি পরীক্ষায় সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ অনেকবার ঢাকা বোর্ডে সেরা দশের মধ্যে স্থান লাভ করেছে।
প্রশ্ন: পাঠদানে কী কী মৌলিক বিষয় অনুসরণ করা হয়?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: শিক্ষার্থীদের পাঠ বোঝাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষকের পাঠের বিষয় উপস্থাপন। শিক্ষকের বোঝানো সহজ-সরল ও আন্তরিক হওয়া চাই। তাঁর কণ্ঠস্বর স্পষ্ট হবে, ভঙ্গিও চমৎকার হবে। মাঝে মাঝে তিনি রসবোধের পরিচয় দেবেন। অকারণে জটিল, অচেনা শব্দ ও দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করবেন না। প্রায়ই প্রশ্ন করবেন বুঝে নিতে তাঁর আলোচনা বিষয় শিক্ষার্থী বুঝতে পারছে কি না। তাকে হোমওয়ার্ক দেবেন। সর্বোপরি শিক্ষক পাঠদান কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই প্রমাণ করবেন, শিক্ষক শুভাকাঙ্ক্ষী ও পরম আপনজন। পাঠের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী, দায়িত্বশীল ও আন্তরিক করার চেষ্টা নিরলসভাবে করে যাবেন শিক্ষক। শ্রেণিকক্ষে এই পদ্ধতিগুলো সব সময় পালন করেন আমাদের শিক্ষকেরা।
প্রশ্ন: সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ সহশিক্ষা কার্যক্রমে কতটা এগিয়ে?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: সহশিক্ষায় দেশের অগ্রগামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষার্থীদের বিনোদন দিতে ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহী করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠেছে ১৫টি ক্লাব। এর মধ্যে স্কাউট গ্রুপ, ডিবেট ক্লাব, ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব ও আর্ট অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব উল্লেখযোগ্য। জাতীয় মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরস্কার ও পদক জয় করছে। প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শিক্ষার্থীই কোনো না কোনো ক্লাবের সদস্য। এ বছরের জানুয়ারি মাসে উদ্যাপিত হলো জাঁকালো ক্লাব উৎসব। এভাবে নানা চিন্তায়, চেষ্টায় শিক্ষার্থীরা এগোচ্ছে, সহশিক্ষার অঙ্গন প্রতিষ্ঠানের বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় তাঁদের জানার গভীরতা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান যথাসম্ভব যাচাই করা হয়। আসল পরীক্ষা হয় ডেমোনেস্ট্রেশনে। সেখানে লক্ষ করা হয় তাঁর প্রকাশভঙ্গি, বক্তব্যের সৌন্দর্য ও ক্লাস নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা। শিক্ষক নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা হয় সাক্ষাৎকারে। শিক্ষাদানে প্রার্থীর আগ্রহ ও অনুরাগ বড় বিবেচ্য বিষয়। শিক্ষক প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করেন, তাই যিনি শিক্ষক হবেন তাঁর জ্ঞানস্পৃহা, চরিত্র, শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতা আমরা বিবেচনা করি। নির্ধারিত বিষয়ের বাইরেও দেশ-কাল-বিশ্ব সম্পর্কে তাঁর সচেতনতা যাচাই করি। এসব দিক বিবেচনায় রেখে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজশিক্ষক নিয়োগ করে।
প্রশ্ন: কলেজ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: নিত্যনতুন পরিকল্পনা করছি। কলেজ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো, শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি করে আরও প্রসারিত করা। আরও একটি পরিকল্পনা হলো, দেশের দৈন্য দুর্দশা চ্যালেঞ্জে যোগ্য, দক্ষ ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জনশক্তি তৈরি করা। সময়টা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বের। তাই স্বপ্ন দেখি সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের মধ্যে থেকে অদূরভবিষ্যতে যোগ্য নারী দল বেরিয়ে আসুক। এ ছাড়া পড়াশোনাসহ যাবতীয় দিকের গুণগতমান বৃদ্ধির পরিকল্পনাও রয়েছে।

প্রশ্ন: জুনিয়র হাইস্কুল থেকে কলেজ—এই রূপান্তরের গল্পটি জানতে চাই।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: বর্তমানে সারা দেশে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বেশ সুপরিচিত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির শুরুটা হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। অল্প কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন অনেকটা চেয়ে, অনুরোধ করে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে হতো। পড়ানো হতো বিনা বেতনে। এমনকি মাস শেষে শিক্ষকেরা বেতনও পেতেন না। তবু হাল ছেড়ে দিইনি। প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করেছি। প্রাথমিক ও বৃত্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় এবং বৃত্তি পায়। অভিভাবকদের আগ্রহ বাড়ে। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি জুনিয়র হাইস্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এর পর থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ে, প্রতিষ্ঠানের প্রতি অভিভাবকদের বিশ্বাস ও আগ্রহ বাড়তে থাকে। ১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। ফলও হয় সন্তোষজনক। ১৯৯৫ সালে সামসুল হক খান হাইস্কুল এমপিওভুক্ত হয়। তত দিনে ডেমরা-যাত্রাবাড়ীতে এ প্রতিষ্ঠানটি সুপরিচিত হয়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি অভিভাবকদের আস্থা বেড়ে যায়। এ প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার মানের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে থাকে। আমরা স্কুল নিয়েই পড়ে থাকতাম। কয়েকবার এসএসসিতে ফল ভালো করার পর মাতুয়াইলের অভিভাবকেরা এ প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য কলেজ শাখা চালু করার জোর দাবি জানান। তাঁদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ২০০৩ সাল কলেজ শাখা চালু করা হয়। তখন থেকেই এটি সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কলেজ শাখার প্রথম ব্যাচ ২০০৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রথমবারেই শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডে তৃতীয় স্থান অধিকার করি আমরা।
প্রশ্ন: ধানখেতে নির্মিত টিনশেডের সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি আজ দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। সাফল্যের চাবিকাঠি কী ছিল?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: যাকে ভালোবাসি তাকে যত্ন করতে হয়—এটিই বড় হওয়ার মূলমন্ত্র। প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের হাতে গড়েছি। কী করলে শিক্ষার্থীরা মনোযোগী হবে, লেখাপড়া কবরে, পরীক্ষায় ভালো করবে—প্রতিনিয়ত সেই চিন্তা করেছি। শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনোযোগ দিয়ে, তাদের পাঠোন্নয়ন প্রচেষ্টা নিয়ে নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ করেছি। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি ও শ্রেণিকক্ষে মনোনিবেশের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান কখনোই শিথিল ছিল না। পুরো শিক্ষাবর্ষ সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছি। সাপ্তাহিক কুইজ ও পরীক্ষার্থীদের সব রকম মডেল টেস্ট গ্রহণ করা হয়। নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে শিক্ষকেরা যে যাঁর মতো ভূমিকা পালন করেন, তাদের বড় মাপের মানুষ হতে স্বপ্ন দেখান। শিক্ষার্থীদের আনন্দ-বিনোদনের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয়েছে সমৃদ্ধ সহশিক্ষা অঙ্গন। ভালো লাগা, ভালোবাসা, আশাবাদ ও নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজকে ধীরে ধীরে বিকশিত করেছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য স্কুল ও কলেজ শাখায় রাইডের ব্যবস্থা রয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় সেন্ট্রাল জেনারেটরের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের তথ্য অভিভাবককে পৌঁছে দেওয়া হয় খুদে বার্তার মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শিক্ষকেরা। গৃহীত সব পরিকল্পনার ফলশ্রুতি পর্যাপ্ত মেধা বৃত্তি, এবং ২০১৫ সালে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করে। তারও আগে ২০১২ সালে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এ কলেজ থেকে অসংখ্য এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। নিত্যনতুন পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ আজ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ।
প্রশ্ন: কলেজটি প্রতিবছর ঈর্ষণীয় ফল বয়ে আনছে, এর পেছনের কারণ কী?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিকল্পনার ফসল ক্রমাগত ঈর্ষণীয় সাফল্য। প্রথমত, মেধার ভিত্তিতে সেকশন বিভাজন। অর্থাৎ মেধাবী ও দুর্বল মেধার শিক্ষার্থীদের আলাদা করা হয়। তারা কী পড়বে এবং কেমন করে পড়বে সে ব্যাপারে বিষয় শিক্ষকেরা পরিকল্পিত ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীদের ভালো পরীক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকেরা তদারকি করেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সমস্যা প্রশাসনিক উদ্যোগে অবগত হতে হয়। তাদের সব রকম সমস্যা বিবেচনায় রেখে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে প্রতিষ্ঠান নিয়মিত সহযোগিতা করে। অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পাঠোন্নয়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। কোনো পরিস্থিতিতেই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিরাশ বা নিরুৎসাহিত করা হয় না। পরীক্ষার্থীদের আনন্দিত ও উৎসাহিত রাখতে প্রতিষ্ঠান তার ভূমিকা পালন করে যায়। পরীক্ষার্থীদের পাঠের পরিবেশ জানতে হোম ভিজিট করা হয়, শ্রেণি সমন্বয়ক শিক্ষকেরা তাদের খোঁজখবর রাখেন। এসব প্রচেষ্টা পরীক্ষার ফলাফলকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এবং প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আশাব্যঞ্জক ফল লাভ করে।
প্রশ্ন: কলেজ শাখার বিশেষত্ব কী বলে আপনি মনে করেন?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: কলেজ শাখার বিশেষত্ব একটি নয়, অনেক। তবে সচেতন অভিভাবকদের কাছে যে বিশেষত্ব স্পষ্ট হওয়ার কথা, তা হলো, নির্ধারিত পাঠের প্রশ্নে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ আপস করে না। প্রত্যেক শিক্ষক চান তাঁর পড়া খুব ভালো করে পড়াতে হবে, যথাযথ ফিডব্যাক নিতে হবে আর প্রত্যেক শিক্ষার্থীও চায় তার নির্দিষ্ট পাঠ নিখুঁতভাবে বুঝে নিতে। পড়াশোনা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই যে ব্যতিক্রম ঐক্য, এইটিই কলেজ শাখার বিশেষত্ব। অনেক চেষ্টা ও তদারকির ফল এই পাঠের ঐক্য। ছাত্রীরা এখানে ভর্তি হয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সে কেমন ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করে। এসব কারণে এইচএসসি পরীক্ষায় সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ অনেকবার ঢাকা বোর্ডে সেরা দশের মধ্যে স্থান লাভ করেছে।
প্রশ্ন: পাঠদানে কী কী মৌলিক বিষয় অনুসরণ করা হয়?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: শিক্ষার্থীদের পাঠ বোঝাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষকের পাঠের বিষয় উপস্থাপন। শিক্ষকের বোঝানো সহজ-সরল ও আন্তরিক হওয়া চাই। তাঁর কণ্ঠস্বর স্পষ্ট হবে, ভঙ্গিও চমৎকার হবে। মাঝে মাঝে তিনি রসবোধের পরিচয় দেবেন। অকারণে জটিল, অচেনা শব্দ ও দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করবেন না। প্রায়ই প্রশ্ন করবেন বুঝে নিতে তাঁর আলোচনা বিষয় শিক্ষার্থী বুঝতে পারছে কি না। তাকে হোমওয়ার্ক দেবেন। সর্বোপরি শিক্ষক পাঠদান কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই প্রমাণ করবেন, শিক্ষক শুভাকাঙ্ক্ষী ও পরম আপনজন। পাঠের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী, দায়িত্বশীল ও আন্তরিক করার চেষ্টা নিরলসভাবে করে যাবেন শিক্ষক। শ্রেণিকক্ষে এই পদ্ধতিগুলো সব সময় পালন করেন আমাদের শিক্ষকেরা।
প্রশ্ন: সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ সহশিক্ষা কার্যক্রমে কতটা এগিয়ে?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: সহশিক্ষায় দেশের অগ্রগামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষার্থীদের বিনোদন দিতে ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহী করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠেছে ১৫টি ক্লাব। এর মধ্যে স্কাউট গ্রুপ, ডিবেট ক্লাব, ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব ও আর্ট অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব উল্লেখযোগ্য। জাতীয় মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরস্কার ও পদক জয় করছে। প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শিক্ষার্থীই কোনো না কোনো ক্লাবের সদস্য। এ বছরের জানুয়ারি মাসে উদ্যাপিত হলো জাঁকালো ক্লাব উৎসব। এভাবে নানা চিন্তায়, চেষ্টায় শিক্ষার্থীরা এগোচ্ছে, সহশিক্ষার অঙ্গন প্রতিষ্ঠানের বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় তাঁদের জানার গভীরতা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান যথাসম্ভব যাচাই করা হয়। আসল পরীক্ষা হয় ডেমোনেস্ট্রেশনে। সেখানে লক্ষ করা হয় তাঁর প্রকাশভঙ্গি, বক্তব্যের সৌন্দর্য ও ক্লাস নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা। শিক্ষক নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা হয় সাক্ষাৎকারে। শিক্ষাদানে প্রার্থীর আগ্রহ ও অনুরাগ বড় বিবেচ্য বিষয়। শিক্ষক প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করেন, তাই যিনি শিক্ষক হবেন তাঁর জ্ঞানস্পৃহা, চরিত্র, শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতা আমরা বিবেচনা করি। নির্ধারিত বিষয়ের বাইরেও দেশ-কাল-বিশ্ব সম্পর্কে তাঁর সচেতনতা যাচাই করি। এসব দিক বিবেচনায় রেখে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজশিক্ষক নিয়োগ করে।
প্রশ্ন: কলেজ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মাহবুবুর রহমান মোল্লা: নিত্যনতুন পরিকল্পনা করছি। কলেজ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো, শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি করে আরও প্রসারিত করা। আরও একটি পরিকল্পনা হলো, দেশের দৈন্য দুর্দশা চ্যালেঞ্জে যোগ্য, দক্ষ ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জনশক্তি তৈরি করা। সময়টা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বের। তাই স্বপ্ন দেখি সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের মধ্যে থেকে অদূরভবিষ্যতে যোগ্য নারী দল বেরিয়ে আসুক। এ ছাড়া পড়াশোনাসহ যাবতীয় দিকের গুণগতমান বৃদ্ধির পরিকল্পনাও রয়েছে।

স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন...
৬ ঘণ্টা আগে
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৭ ঘণ্টা আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকো বিশ্বের বৃহত্তম বিয়ার রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তাদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয় দেশের বাইরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ‘নোচে বুয়েনা’ (Noche Buena) নামের এই বিশেষ বিয়ারটি কেবল মেক্সিকোর ভেতরেই পাওয়া যায় এবং তাও বছরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য। বড়দিনের আমেজ নিয়ে আসা এই পানীয়টি মেক্সিকানদের কাছে উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাধারণ হালকা বিয়ারগুলোর তুলনায় নোচে বুয়েনা বেশ আলাদা। এটি মূলত জার্মান ‘বক-স্টাইল’ (Bock-style) বিয়ার। এতে রয়েছে পোড়া কফি, ক্যারামেল এবং চকোলেটের স্বাদ। ৫ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যালকোহল সমৃদ্ধ এই বিয়ারটির অম্ল-মিষ্টি স্বাদ মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস ডিশ যেমন—টার্কি, রোমেরিতোস (মোল সসে ভেজানো ভেষজ) বা নোনতা কড মাছের (Bacalao) সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
১৯২৪ সালে জার্মান মাস্টার ব্রুয়ার অটো নিউমায়ার প্রথম ভেরাক্রুজে নিজের বন্ধুদের জন্য বড়দিনের উপহার হিসেবে এটি তৈরি করেন। ১৯৩৮ সালে এটি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা হয় এবং তখন থেকেই এটি মৌসুমি পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়।
মেক্সিকোর বিয়ার শিল্পের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে এবং ২০শ শতাব্দীর শুরুতে জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত বিয়ার নির্মাতারা মেক্সিকোতে এসে ছোট ছোট ব্রুয়ারি গড়ে তোলেন। ১৮৭৫ সালে সুইজারল্যান্ডের সান্তিয়াগো গ্রাফ প্রথম মেক্সিকোতে ‘ল্যাগার’ বিয়ারের প্রচলন করেন। পরবর্তীতে ‘সারভেসেরিয়া মোক্তেজুমা’ (Cervecería Moctezuma) নামক কারখানায় নোচে বুয়েনার যাত্রা শুরু হয়।
কেন এটি মেক্সিকোর বাইরে পাওয়া যায় না
মেক্সিকো বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিয়ার রপ্তানি করে, যা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানিকারক দেশের সম্মিলিত আয়ের চেয়েও বেশি। তাসত্ত্বেও নোচে বুয়েনা কেন বিদেশে পাওয়া যায় না, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।
২০১১ সালে হাইনেকেন (Heineken) এই বিয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি শুরু করলেও চাহিদার অভাবে ২০১৮ সালে তা বন্ধ করে দেয়। মেক্সিকান প্রবাসীরা বড়দিনের সময় এই বিয়ারটির অভাব তীব্রভাবে অনুভব করেন। অনেক সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে এর বিকল্প হিসেবে ‘নোচে এস্পেশাল’ খুঁজে নেন, কিন্তু আসল নোচে বুয়েনার স্বাদ মেক্সিকোর বাইরে মেলা ভার।
বর্তমানে অক্টোবর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত এই বিয়ারটি মেক্সিকোর বিভিন্ন বার, ক্যান্টিনা এবং সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়। মেক্সিকানদের কাছে এটি কেবল একটি পানীয় নয়, বরং বড়দিনের আনন্দ আর বন্ধুত্বের এক বিশেষ প্রতীক।

মেক্সিকো বিশ্বের বৃহত্তম বিয়ার রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তাদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয় দেশের বাইরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ‘নোচে বুয়েনা’ (Noche Buena) নামের এই বিশেষ বিয়ারটি কেবল মেক্সিকোর ভেতরেই পাওয়া যায় এবং তাও বছরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য। বড়দিনের আমেজ নিয়ে আসা এই পানীয়টি মেক্সিকানদের কাছে উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাধারণ হালকা বিয়ারগুলোর তুলনায় নোচে বুয়েনা বেশ আলাদা। এটি মূলত জার্মান ‘বক-স্টাইল’ (Bock-style) বিয়ার। এতে রয়েছে পোড়া কফি, ক্যারামেল এবং চকোলেটের স্বাদ। ৫ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যালকোহল সমৃদ্ধ এই বিয়ারটির অম্ল-মিষ্টি স্বাদ মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস ডিশ যেমন—টার্কি, রোমেরিতোস (মোল সসে ভেজানো ভেষজ) বা নোনতা কড মাছের (Bacalao) সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
১৯২৪ সালে জার্মান মাস্টার ব্রুয়ার অটো নিউমায়ার প্রথম ভেরাক্রুজে নিজের বন্ধুদের জন্য বড়দিনের উপহার হিসেবে এটি তৈরি করেন। ১৯৩৮ সালে এটি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা হয় এবং তখন থেকেই এটি মৌসুমি পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়।
মেক্সিকোর বিয়ার শিল্পের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে এবং ২০শ শতাব্দীর শুরুতে জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত বিয়ার নির্মাতারা মেক্সিকোতে এসে ছোট ছোট ব্রুয়ারি গড়ে তোলেন। ১৮৭৫ সালে সুইজারল্যান্ডের সান্তিয়াগো গ্রাফ প্রথম মেক্সিকোতে ‘ল্যাগার’ বিয়ারের প্রচলন করেন। পরবর্তীতে ‘সারভেসেরিয়া মোক্তেজুমা’ (Cervecería Moctezuma) নামক কারখানায় নোচে বুয়েনার যাত্রা শুরু হয়।
কেন এটি মেক্সিকোর বাইরে পাওয়া যায় না
মেক্সিকো বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিয়ার রপ্তানি করে, যা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানিকারক দেশের সম্মিলিত আয়ের চেয়েও বেশি। তাসত্ত্বেও নোচে বুয়েনা কেন বিদেশে পাওয়া যায় না, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।
২০১১ সালে হাইনেকেন (Heineken) এই বিয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি শুরু করলেও চাহিদার অভাবে ২০১৮ সালে তা বন্ধ করে দেয়। মেক্সিকান প্রবাসীরা বড়দিনের সময় এই বিয়ারটির অভাব তীব্রভাবে অনুভব করেন। অনেক সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে এর বিকল্প হিসেবে ‘নোচে এস্পেশাল’ খুঁজে নেন, কিন্তু আসল নোচে বুয়েনার স্বাদ মেক্সিকোর বাইরে মেলা ভার।
বর্তমানে অক্টোবর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত এই বিয়ারটি মেক্সিকোর বিভিন্ন বার, ক্যান্টিনা এবং সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়। মেক্সিকানদের কাছে এটি কেবল একটি পানীয় নয়, বরং বড়দিনের আনন্দ আর বন্ধুত্বের এক বিশেষ প্রতীক।

বর্তমানে সারা দেশে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বেশ সুপরিচিত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির শুরুটা হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। অল্প কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন অনেকটা চেয়ে, অনুরোধ করে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে হতো।
২৬ নভেম্বর ২০২৩
অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন...
৬ ঘণ্টা আগে
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৭ ঘণ্টা আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
১১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা দেশে ফেরা সব সময় আনন্দের। অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন মেনে চললে আপনার এবং আপনার প্রিয় সঙ্গীটির বিমানযাত্রা হবে আনন্দদায়ক ও নিরাপদ।
গাড়িতে ভ্রমণ করা পোষা প্রাণীর জন্য সাধারণত নিরাপদ। কিন্তু বিমানে ভ্রমণ পোষা প্রাণীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে; বিশেষ করে ব্র্যাকিউসেফালিক বা চাপা নাকের প্রাণী, যেমন বুলডগ, পাগ বা পার্সিয়ান বিড়াল, বিমানে শ্বাসকষ্ট বা হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারে। তাই ভ্রমণের আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, পোষা প্রাণীকে কোনো নির্ভরযোগ্য পেট সিটার বা বোর্ডিংয়ে রেখে যাওয়া তাদের জন্য বেশি আরামদায়ক হতে পারে। যাত্রার ঝুঁকি এবং প্রয়োজনীয়তার ভারসাম্য বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন।
পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ভ্রমণের অন্তত ১০ দিন আগে আপনার পশুচিকিৎসকের কাছে যান এবং একটি স্বাস্থ্য সনদ সংগ্রহ করুন। নিশ্চিত করুন যে সব টিকা, বিশেষ করে র্যাবিস দেওয়া আছে। পোষা প্রাণীর লাইসেন্স, মাইক্রোচিপ নম্বর, টিকা দানের প্রমাণপত্র এবং নিয়মিত ওষুধের একটি তালিকা সঙ্গে রাখুন। যদি প্রাণীটি কোনোভাবে হারিয়ে যায়, তবে তাকে খুঁজে পেতে তার একটি সাম্প্রতিক ছবিও সঙ্গে রাখুন।
এয়ারলাইনস নির্বাচন ও বুকিংয়ের সময় করণীয়
সব এয়ারলাইনসের নিয়ম এক নয়। তাই টিকিট কাটার আগে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত করুন। ছোট কুকুর বা বিড়াল হলে অতিরিক্ত ফিতে তারা আপনার সঙ্গে কেবিনেই যেতে পারে কি না, জেনে নিন। মনে রাখবেন, কেবিনে প্রাণীর সংখ্যা সীমিত থাকে। তাই আগেভাগে কল করে বুকিং দিন। যদি আপনার প্রিয় প্রাণীকে কার্গোতে দিতেই হয়, তবে এয়ারলাইনসের আগের রেকর্ড যাচাই করে নিন। সংযোগকারী ফ্লাইট এড়িয়ে সরাসরি ফ্লাইট বেছে নিন। এতে বিমানে ওঠানো-নামানোর সময় ভুল হওয়ার ঝুঁকি কমে। গরমে ভ্রমণের জন্য খুব সকালে বা রাতে এবং শীতে দুপুরের ফ্লাইট বেছে নেওয়া ভালো।
সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন ও প্রস্তুতি
আপনার পোষা প্রাণীর জন্য সঠিক ক্যারিয়ার বা কেনেল নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। ভ্রমণের অন্তত এক মাস আগে থেকে পোষা প্রাণীকে ক্যারিয়ারের সঙ্গে অভ্যস্ত করুন। সেখানে তাদের প্রিয় কম্বল বা খেলনা রাখুন এবং মাঝে মাঝে খাবার দিন। ক্যারিয়ারে আপনার নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং গন্তব্যস্থলের ফোন নম্বরসহ একটি ট্রাভেল লেবেল লাগিয়ে দিন। প্রাণীর নখ কেটে দিন, যাতে তা ক্যারিয়ারের খাঁজে আটকে না যায়। যাত্রার আগে ভারী খাবার দেবেন না। পানির পাত্রে বরফের টুকরা রাখতে পারেন, যাতে পানি উপচে না পড়ে। পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ট্রাঙ্কুলাইজার বা ঘুমের ওষুধ দেবেন না।
বিমানবন্দর ও নিরাপত্তা তল্লাশি
বিমানবন্দরে সিকিউরিটি স্ক্রিনিংয়ের সময় পোষা প্রাণীর ক্যারিয়ার এক্স-রে মেশিনের মধ্য দিয়ে যাবে। তখন আপনার কাছে দুটি উপায় থাকে,
কার্গোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা
যদি পোষা প্রাণী কার্গোতে ভ্রমণ করে, তবে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিমানে ওঠার পর ক্যাপ্টেন এবং অন্তত একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে জানান, কার্গোতে আপনার পোষা প্রাণী আছে। পোষা প্রাণীর গলায় এমন কলার পরান, যা ক্যারিয়ারের দরজায় আটকে যাবে না। এতে স্থায়ী ও অস্থায়ী দুটি আইডি ট্যাগ যুক্ত করুন। মনে রাখবেন, কোনো অবস্থায় চাপা নাকের প্রাণীদের কার্গোতে পাঠাবেন না।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর দ্রুত কোনো নিরাপদ স্থানে গিয়ে ক্যারিয়ার খুলুন এবং আপনার পোষা প্রাণীকে পরীক্ষা করুন। যদি কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন, তাহলে দেরি না করে স্থানীয় পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং পরীক্ষার ফলাফল লিখিত আকারে সংগ্রহ করুন।
সূত্র: হিউম্যান ওয়ার্ল্ড ফর অ্যানিমেলস, ট্রাভেল আপ

কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা দেশে ফেরা সব সময় আনন্দের। অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন মেনে চললে আপনার এবং আপনার প্রিয় সঙ্গীটির বিমানযাত্রা হবে আনন্দদায়ক ও নিরাপদ।
গাড়িতে ভ্রমণ করা পোষা প্রাণীর জন্য সাধারণত নিরাপদ। কিন্তু বিমানে ভ্রমণ পোষা প্রাণীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে; বিশেষ করে ব্র্যাকিউসেফালিক বা চাপা নাকের প্রাণী, যেমন বুলডগ, পাগ বা পার্সিয়ান বিড়াল, বিমানে শ্বাসকষ্ট বা হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারে। তাই ভ্রমণের আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, পোষা প্রাণীকে কোনো নির্ভরযোগ্য পেট সিটার বা বোর্ডিংয়ে রেখে যাওয়া তাদের জন্য বেশি আরামদায়ক হতে পারে। যাত্রার ঝুঁকি এবং প্রয়োজনীয়তার ভারসাম্য বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন।
পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ভ্রমণের অন্তত ১০ দিন আগে আপনার পশুচিকিৎসকের কাছে যান এবং একটি স্বাস্থ্য সনদ সংগ্রহ করুন। নিশ্চিত করুন যে সব টিকা, বিশেষ করে র্যাবিস দেওয়া আছে। পোষা প্রাণীর লাইসেন্স, মাইক্রোচিপ নম্বর, টিকা দানের প্রমাণপত্র এবং নিয়মিত ওষুধের একটি তালিকা সঙ্গে রাখুন। যদি প্রাণীটি কোনোভাবে হারিয়ে যায়, তবে তাকে খুঁজে পেতে তার একটি সাম্প্রতিক ছবিও সঙ্গে রাখুন।
এয়ারলাইনস নির্বাচন ও বুকিংয়ের সময় করণীয়
সব এয়ারলাইনসের নিয়ম এক নয়। তাই টিকিট কাটার আগে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত করুন। ছোট কুকুর বা বিড়াল হলে অতিরিক্ত ফিতে তারা আপনার সঙ্গে কেবিনেই যেতে পারে কি না, জেনে নিন। মনে রাখবেন, কেবিনে প্রাণীর সংখ্যা সীমিত থাকে। তাই আগেভাগে কল করে বুকিং দিন। যদি আপনার প্রিয় প্রাণীকে কার্গোতে দিতেই হয়, তবে এয়ারলাইনসের আগের রেকর্ড যাচাই করে নিন। সংযোগকারী ফ্লাইট এড়িয়ে সরাসরি ফ্লাইট বেছে নিন। এতে বিমানে ওঠানো-নামানোর সময় ভুল হওয়ার ঝুঁকি কমে। গরমে ভ্রমণের জন্য খুব সকালে বা রাতে এবং শীতে দুপুরের ফ্লাইট বেছে নেওয়া ভালো।
সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন ও প্রস্তুতি
আপনার পোষা প্রাণীর জন্য সঠিক ক্যারিয়ার বা কেনেল নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। ভ্রমণের অন্তত এক মাস আগে থেকে পোষা প্রাণীকে ক্যারিয়ারের সঙ্গে অভ্যস্ত করুন। সেখানে তাদের প্রিয় কম্বল বা খেলনা রাখুন এবং মাঝে মাঝে খাবার দিন। ক্যারিয়ারে আপনার নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং গন্তব্যস্থলের ফোন নম্বরসহ একটি ট্রাভেল লেবেল লাগিয়ে দিন। প্রাণীর নখ কেটে দিন, যাতে তা ক্যারিয়ারের খাঁজে আটকে না যায়। যাত্রার আগে ভারী খাবার দেবেন না। পানির পাত্রে বরফের টুকরা রাখতে পারেন, যাতে পানি উপচে না পড়ে। পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ট্রাঙ্কুলাইজার বা ঘুমের ওষুধ দেবেন না।
বিমানবন্দর ও নিরাপত্তা তল্লাশি
বিমানবন্দরে সিকিউরিটি স্ক্রিনিংয়ের সময় পোষা প্রাণীর ক্যারিয়ার এক্স-রে মেশিনের মধ্য দিয়ে যাবে। তখন আপনার কাছে দুটি উপায় থাকে,
কার্গোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা
যদি পোষা প্রাণী কার্গোতে ভ্রমণ করে, তবে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিমানে ওঠার পর ক্যাপ্টেন এবং অন্তত একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে জানান, কার্গোতে আপনার পোষা প্রাণী আছে। পোষা প্রাণীর গলায় এমন কলার পরান, যা ক্যারিয়ারের দরজায় আটকে যাবে না। এতে স্থায়ী ও অস্থায়ী দুটি আইডি ট্যাগ যুক্ত করুন। মনে রাখবেন, কোনো অবস্থায় চাপা নাকের প্রাণীদের কার্গোতে পাঠাবেন না।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর দ্রুত কোনো নিরাপদ স্থানে গিয়ে ক্যারিয়ার খুলুন এবং আপনার পোষা প্রাণীকে পরীক্ষা করুন। যদি কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন, তাহলে দেরি না করে স্থানীয় পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং পরীক্ষার ফলাফল লিখিত আকারে সংগ্রহ করুন।
সূত্র: হিউম্যান ওয়ার্ল্ড ফর অ্যানিমেলস, ট্রাভেল আপ

বর্তমানে সারা দেশে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বেশ সুপরিচিত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির শুরুটা হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। অল্প কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন অনেকটা চেয়ে, অনুরোধ করে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে হতো।
২৬ নভেম্বর ২০২৩
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৭ ঘণ্টা আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
১১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন সময় বুঝে
পর্যটনের ক্ষেত্রে নেপালে ব্যস্ত সময় হলো অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ এবং মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল। এই সময় দেশটিতে হোটেল ও লজের ভাড়া বেড়ে যায়। এর বাইরে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস হলো শোল্ডার সিজন। এই সময় দেশটিতে পর্যটক কম থাকে এবং হোটেল ভাড়ায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকায় অনেক সময় চার্জিং বা ওয়াই-ফাই বিনা খরচে দেওয়া হয়। তবে শোল্ডার সিজনে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে একটু হাঁটুন
বিমানবন্দর এলাকায় ট্যাক্সিচালকেরা অনেক সময় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। তবে সেখান থেকে প্রায় ৮০ মিটার হাঁটলেই রিং রোডে সাধারণ ভাড়ায় ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সিতে থামেল এলাকায় যেতে সাধারণত ৬০০ রুপি লাগে। চাইলে লোকাল বাসও ব্যবহার করা যায়। আগাম জানালে অনেক হোটেল নির্দিষ্ট বা বিনা মূল্যের পিকআপ সুবিধাও দেয়।

পাঠাও ও ইনড্রাইভ ব্যবহার করুন
রাস্তার ট্যাক্সির চেয়ে কাঠমান্ডুতে পাঠাও এবং কাঠমান্ডুর বাইরে ইনড্রাইভ অ্যাপ ব্যবহার করলে কম ভাড়ায় নিরাপদ যাতায়াত করা যায়।
থাকা-খাওয়ার জন্য থামেলের বাইরে যান
থামেল পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক হলেও সেখানে হোটেল ও খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। থামেলের আশপাশের এলাকায় একই মানের হোটেল ২০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যায়। খাবারের ক্ষেত্রেও শহরের অন্যান্য এলাকায় তুলনামূলক সস্তা ও ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
বিকল্প হিসেবে বৌদ্ধনাথ এলাকা
বৌদ্ধনাথ স্তূপসংলগ্ন এলাকা থামেলের ভালো বিকল্প। সেখানে সাশ্রয়ী হোটেল ও খাবার পাওয়া যায় এবং পরিবেশ অনেক শান্ত। সেখানে দেখা মিলবে তীর্থযাত্রীদের এবং শোনা যাবে বৌদ্ধদের প্রার্থনার ধ্বনি। বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় ভ্রমণের শেষ দিকে থাকার জন্য এটি আদর্শ জায়গা।

দর্শনীয় স্থানের টিকিট বাড়িয়ে নিন
বৌদ্ধনাথ, পাতান দরবার স্কয়ার, কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার এবং ভক্তপুর নেপালের জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। অনেকে হয়তো জানেন না, এই স্থানগুলোর টিকিট এক সপ্তাহ বা ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন। কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ারে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগতে পারে।
স্থানীয় খাবার খান, বিশেষ করে ট্রেকিংয়ের সময়
আন্তর্জাতিক খাবারের তুলনায় নেপালি খাবার অনেক সস্তা। পাহাড়ি ট্রেকে ডাল-ভাত সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর খাবার।
লোকাল বাসের বদলে ট্যুরিস্ট বাস নিন
পোখারা, চিতওয়ান বা লুম্বিনিতে যেতে ট্যুরিস্ট বাস কিছুটা দামি হলেও বেশি আরামদায়ক এবং দ্রুত যাওয়া যায়। অল্প কিছু টাকা বেশি দিলেই ভ্রমণ অনেক স্বস্তিদায়ক হয়।
নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ট্রেক বেছে নিন
নেপালের জনপ্রিয় ট্রেকিং রুটগুলো সাধারণত ব্যস্ত। অভিজ্ঞ ট্রেকাররা দলবদ্ধভাবে গাইড ছাড়াও যেতে পারেন। তবে একা যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। নিজের শারীরিক সক্ষমতা বুঝে ট্রেক নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি।
গাইড নিতে চাইলে নেপালে গিয়ে নিন
অনেকে নিরাপত্তার জন্য গাইড নিতে চান। সে ক্ষেত্রে আগে বুক না করে নেপালে গিয়ে সরাসরি গাইড বা এজেন্সির সঙ্গে কথা বললে খরচ কম পড়ে।
স্বল্প ট্রেকের জন্য গিয়ার ভাড়া নিন
স্বল্প সময়ের ট্রেকের জন্য ভারী গিয়ার সঙ্গে নেওয়ার দরকার নেই। কাঠমান্ডু ও পোখারায় সহজে জ্যাকেট, স্লিপিং ব্যাগ ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ১০০ রুপি ব্যয় হতে পারে এ বাবদ।
নেপালে দৈনিক আনুমানিক খরচ
হোটেল বেড: ৪০০ রুপি
সাধারণ ডাবল রুম: ১ হাজার ৫০০ রুপি
লোকাল বাস (কাঠমান্ডু থেকে পোখারা): ৮০০ রুপি
ট্যুরিস্ট বাস: ১ হাজার ৩০০ রুপি
কফি: ২০০ রুপি থেকে শুরু
মোমো: ১৩০ রুপি থেকে শুরু
ভালো রেস্টুরেন্টে দুজনের ডিনার: ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ রুপি
পাহাড়ে ডাল-ভাত: ৪০০ থেকে ৮৫০ রুপি
দৈনিক গড় খরচ: ২ হাজার থেকে ৬ হাজার ৭০০ রুপি
২ সপ্তাহে খরচ: ২৮ হাজার থেকে ৯৪ হাজার রুপি
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন সময় বুঝে
পর্যটনের ক্ষেত্রে নেপালে ব্যস্ত সময় হলো অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ এবং মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল। এই সময় দেশটিতে হোটেল ও লজের ভাড়া বেড়ে যায়। এর বাইরে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস হলো শোল্ডার সিজন। এই সময় দেশটিতে পর্যটক কম থাকে এবং হোটেল ভাড়ায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকায় অনেক সময় চার্জিং বা ওয়াই-ফাই বিনা খরচে দেওয়া হয়। তবে শোল্ডার সিজনে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে একটু হাঁটুন
বিমানবন্দর এলাকায় ট্যাক্সিচালকেরা অনেক সময় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। তবে সেখান থেকে প্রায় ৮০ মিটার হাঁটলেই রিং রোডে সাধারণ ভাড়ায় ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সিতে থামেল এলাকায় যেতে সাধারণত ৬০০ রুপি লাগে। চাইলে লোকাল বাসও ব্যবহার করা যায়। আগাম জানালে অনেক হোটেল নির্দিষ্ট বা বিনা মূল্যের পিকআপ সুবিধাও দেয়।

পাঠাও ও ইনড্রাইভ ব্যবহার করুন
রাস্তার ট্যাক্সির চেয়ে কাঠমান্ডুতে পাঠাও এবং কাঠমান্ডুর বাইরে ইনড্রাইভ অ্যাপ ব্যবহার করলে কম ভাড়ায় নিরাপদ যাতায়াত করা যায়।
থাকা-খাওয়ার জন্য থামেলের বাইরে যান
থামেল পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক হলেও সেখানে হোটেল ও খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। থামেলের আশপাশের এলাকায় একই মানের হোটেল ২০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যায়। খাবারের ক্ষেত্রেও শহরের অন্যান্য এলাকায় তুলনামূলক সস্তা ও ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
বিকল্প হিসেবে বৌদ্ধনাথ এলাকা
বৌদ্ধনাথ স্তূপসংলগ্ন এলাকা থামেলের ভালো বিকল্প। সেখানে সাশ্রয়ী হোটেল ও খাবার পাওয়া যায় এবং পরিবেশ অনেক শান্ত। সেখানে দেখা মিলবে তীর্থযাত্রীদের এবং শোনা যাবে বৌদ্ধদের প্রার্থনার ধ্বনি। বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় ভ্রমণের শেষ দিকে থাকার জন্য এটি আদর্শ জায়গা।

দর্শনীয় স্থানের টিকিট বাড়িয়ে নিন
বৌদ্ধনাথ, পাতান দরবার স্কয়ার, কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার এবং ভক্তপুর নেপালের জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। অনেকে হয়তো জানেন না, এই স্থানগুলোর টিকিট এক সপ্তাহ বা ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন। কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ারে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগতে পারে।
স্থানীয় খাবার খান, বিশেষ করে ট্রেকিংয়ের সময়
আন্তর্জাতিক খাবারের তুলনায় নেপালি খাবার অনেক সস্তা। পাহাড়ি ট্রেকে ডাল-ভাত সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর খাবার।
লোকাল বাসের বদলে ট্যুরিস্ট বাস নিন
পোখারা, চিতওয়ান বা লুম্বিনিতে যেতে ট্যুরিস্ট বাস কিছুটা দামি হলেও বেশি আরামদায়ক এবং দ্রুত যাওয়া যায়। অল্প কিছু টাকা বেশি দিলেই ভ্রমণ অনেক স্বস্তিদায়ক হয়।
নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ট্রেক বেছে নিন
নেপালের জনপ্রিয় ট্রেকিং রুটগুলো সাধারণত ব্যস্ত। অভিজ্ঞ ট্রেকাররা দলবদ্ধভাবে গাইড ছাড়াও যেতে পারেন। তবে একা যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। নিজের শারীরিক সক্ষমতা বুঝে ট্রেক নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি।
গাইড নিতে চাইলে নেপালে গিয়ে নিন
অনেকে নিরাপত্তার জন্য গাইড নিতে চান। সে ক্ষেত্রে আগে বুক না করে নেপালে গিয়ে সরাসরি গাইড বা এজেন্সির সঙ্গে কথা বললে খরচ কম পড়ে।
স্বল্প ট্রেকের জন্য গিয়ার ভাড়া নিন
স্বল্প সময়ের ট্রেকের জন্য ভারী গিয়ার সঙ্গে নেওয়ার দরকার নেই। কাঠমান্ডু ও পোখারায় সহজে জ্যাকেট, স্লিপিং ব্যাগ ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ১০০ রুপি ব্যয় হতে পারে এ বাবদ।
নেপালে দৈনিক আনুমানিক খরচ
হোটেল বেড: ৪০০ রুপি
সাধারণ ডাবল রুম: ১ হাজার ৫০০ রুপি
লোকাল বাস (কাঠমান্ডু থেকে পোখারা): ৮০০ রুপি
ট্যুরিস্ট বাস: ১ হাজার ৩০০ রুপি
কফি: ২০০ রুপি থেকে শুরু
মোমো: ১৩০ রুপি থেকে শুরু
ভালো রেস্টুরেন্টে দুজনের ডিনার: ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ রুপি
পাহাড়ে ডাল-ভাত: ৪০০ থেকে ৮৫০ রুপি
দৈনিক গড় খরচ: ২ হাজার থেকে ৬ হাজার ৭০০ রুপি
২ সপ্তাহে খরচ: ২৮ হাজার থেকে ৯৪ হাজার রুপি
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

বর্তমানে সারা দেশে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বেশ সুপরিচিত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির শুরুটা হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। অল্প কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন অনেকটা চেয়ে, অনুরোধ করে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে হতো।
২৬ নভেম্বর ২০২৩
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন...
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
১১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।
‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’
ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা
আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।
শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও
অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা
আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।
‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’
ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা
আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।
শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও
অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা
আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

বর্তমানে সারা দেশে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বেশ সুপরিচিত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির শুরুটা হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। অল্প কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন অনেকটা চেয়ে, অনুরোধ করে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে হতো।
২৬ নভেম্বর ২০২৩
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন...
৬ ঘণ্টা আগে
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৭ ঘণ্টা আগে