ইশতিয়াক হাসান

ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে লোনলি প্ল্যানেট। এর আগে আমরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে। আজ থাকছে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দশ দেশের গল্প।

ক্যামেরুন
ক্যামরুনকে আমরা মূলত চিনি ফুটবল খেলার জন্য। আফ্রিকার এ দেশটি ভ্রমণের জন্যও যে চমৎকার একটি জায়গা সেটা সম্ভবত অনেকেরই জানা নেই। লোনলি প্ল্যানেট তো আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় পয়লা নম্বরেই রেখেছে ক্যামেরুনকে। কিন্তু ক্যামেরুন কেন যাবেন আপনি?
সত্যি বলতে দেখার মতো জায়গা, জিনিসের অভাব নেই দেশটিকে। এখানকার সাদা বালুর অসাধারণ সব সৈকত, ছোট ছোট দ্বীপ, চিরসবুজ বন, আগ্নেয়গিরি, শুকনো জমির মাঝখানে হঠাৎই ছেদ টানা বিচিত্র কাঠামোর সব পাথর—এ সবকিছুই আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
হাতি, সিংহ, গন্ডার, জলহস্তী, জিরাফসহ আফ্রিকা মহাদেশে দেখা মেলে এমন বেশির ভাগ প্রাণীই পাবেন দেশটিতে। জাতিগত এবং ভাষাগত দিক থেকেও এটি বিপুল বৈচিত্র্য বুকে ধারণ করে আছে। ২৫০টির মতো স্থানীয় ভাষা আছে এখানে। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক স্থিতিশীল। অর্থাৎ পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সময় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয় না।

লিথুয়ানিয়া
বাল্টিক সাগরে তীরে অবস্থান ইউরোপের এ দেশটির। মন জুড়িয়ে দেওয়া সব সাগরসৈকত, গাছপালায় ঠাসা অরণ্য এখানকার বড় আকর্ষণ। সব সময় কোনো না কোনো উৎসব লেগেই থাকে। কাজেই বেড়াতে গিয়ে একঘেয়েমি পেয়ে বসবে না। এমনিতে উত্তর ইউরোপের সীমানায় পড়লেও মহাদেশের মধ্যবিন্দু পড়েছে এখানেই।
দেশটির ইতিহাসও অনেক সমৃদ্ধ। বলা চলে এটি ছোট্ট এক দেশ হলেও এর অতীত অনেক বিশাল। পনেরো শতকে এটি ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় রাজ্য। কাজেই আকৃতির প্রতি একটা আগ্রহ আছে এখানকার মানুষদের। যেমন বড় পাহাড় এখানে পরিচিতি পেয়ে যায় পর্বত হিসেবে। দেশটি তার নানা পদের সুস্বাদু খাবারের জন্যও পরিচিত।
রাজধানী ভিনিয়সে গ্রীষ্মে আসুন, আপনি শহরের ওপর দিয়ে নানা রঙের হট এয়ার বেলুন উড়ে বেড়াতে মুগ্ধ হবেন। প্রকৃতপক্ষে, ভিনিয়াস সেই অল্প কয়েকটি ইউরোপীয় রাজধানীগুলির মধ্যে একটি যা হট এয়ার বেলুনদের মূল শহরের ওপর দিয়ে উড়তে দেয়। কাজেই আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হোন এবং সত্যিকারের শ্বাসরুদ্ধকর কোণ থেকে ইউনেসকো তালিকাভুক্ত পুরোনো শহর দেখতে চান তবে এই বেলুনই হবে আপনার প্রথম পছন্দ।

ফিজি
ওশেনিয়া মহাদেশের এ দেশটি ৩০০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড় উঠেছে। এখানকার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সমুদ্রের তলদেশের মনোমুগ্ধকর প্রবাল রাজ্য, এবং আকর্ষণীয় সংস্কৃতি অন্বেষণ করার জন্য পর্যটকেরা ছুটে আসেন।
ফিজির উষ্ণমণ্ডলীয় আবহাওয়া, নানা পদের মুখরোচক খাবার, রিসোর্ট একে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রের পরিচিতি পেতে সাহায্য করেছে। নানা ধরনের সংস্কৃতির মানুষের বসবাস ফিজিতে। এর প্রমাণ তাদের অফিশিয়াল বা রাষ্ট্রীয় ভাষা তিনটি।

লাওস
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র ল্যান্ডলকড বা স্থলভাগ ঘেরা দেশ এটি। লাওসের জিয়েন খোয়াং এলাকায় ছড়িয়ে আছে বিশাল আকারের সব পাথরের পাত্র।
প্লেইন অব জারস নামে পরিচিত এই পাত্রগুলোর উচ্চতা তিন থেকে ১০ ফুট। সর্বোচ্চ ওজন ১৪ টন। এ ধরনের ২ হাজারের বেশি পাত্র বা জার আছে এলাকাটিতে। লাওসের প্রতি পর্যটকদের বড় আকর্ষণ প্রাচীন এ পাত্রগুলি।
লাওসে প্রচুর মহিষের খামারের দেখা মেলে। সে তুলনায় গরু দেখা যায় না বললেই চলে। নানা ধরনের উৎসবের জন্য বিখ্যাত। প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখে এখনো নৌকাবাইচ উৎসব জনপ্রিয় দেশটিতে। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এবং বৈচিত্র্যময় সব খাবারের জন্যও নাম আছে লাওসের। এশীয় হাতি দেখা মেলে যে ১৩টি দেশে তার একটি লাওস।

কাজাখস্তান
২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটারের কাজাখস্তান আয়তনে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম দেশ। এত বিশাল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা ২ কোটিরও কম। চারপাশে ভূ-ভাগ দিয়ে ঘেরা দেশকে বলা হয় ল্যান্ডলকড দেশ। আর কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডলকড কান্ট্রি। বিস্তীর্ণ স্তেপস বা সমতল ঘাসসমৃদ্ধ এলাকা, মরুভূমি এবং পর্বতমালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশটি। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এখানে। এদের মধ্যে কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে যাযাবর।
আর এমন বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির কারণে কাজাখস্তান পর্যটকদের জন্য এক চমৎকার ভ্রমণগন্তব্য। এখানকার গ্রামগুলোর আতিথেয়তাও মুগ্ধ করবে আপনাকে। পুরোনো, ঐতিহ্যবাহী সব দালান-কোঠা এখানকার বড় আকর্ষণ।
তেলের খনির কারণে অর্থনৈতিকভাবেও সমৃদ্ধ দেশটি। রাজধানী শহর আস্তানায় (নূর-সুলতান) দারুণ সব জাদুঘর, শপিং মল এবং রাতের জীবন উপভোগ্য। দেশটির ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারও টানে পর্যটকদের।

প্যারাগুয়ে
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় ছয়ে আছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে। মোটামুটি মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত হওয়ার পরও পর্যটকদের কাছে অনেকটাই অচেনা দেশটি। অনেক পর্যটকই খুব বিখ্যাত দ্রষ্টব্য স্থান না থাকাতে এখানে আসতে খুব একটা আগ্রহী হোন না। তবে যারা খাঁটি দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণের আমেজ পেতে চান তাদের জন্য আদর্শ প্যারাগুয়ে।
প্যারাগুয়েতে পাহাড়-জঙ্গলের অভাব নেই। তবে এখানে কোনো উপকূল রেখা পাবেন না। তবে তাতে পানিকে উপজীব্য করে নানা ধরনের খেলা ও উৎসবে কোনো বাধা পড়েনি। এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে দেশটির অগণিত সংখ্যক নদী এবং হ্রদ।
প্যারাগুয়ের একটি মজার বিষয় হলো এখানে মানব আকৃতির পুতুল বানানোর ঐতিহ্য আছে। আগের বছর এবং বছরের বিদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে এটি। বছর শেষে জাঁকালোভাবে উৎসবের মাধ্যমে আগুন জ্বেলে পোড়ানো হয়। প্যারাগুয়ের খাবার-দাবারে স্থানীয় আদিবাসী সংস্কৃতি এবং স্প্যানীয় সংস্কৃতির মিশ্রণ চোখে পড়ে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত সোপা প্যারাগুয়ে। তবে মজার ঘটনা এটি কোনো স্যুপ নয় বরং ভুট্টা এবং পনিরের কেক।

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো
ক্যারিবীয় অঞ্চলের খুব সুন্দর এই দেশ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো। ত্রিনিদাদে আদিম ম্যানগ্রোভ জলাভূমি, সবুজ অরণ্যে ঢাকা পাহাড়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছে অনবরত ধোঁয়া ছাড়তে থাকা তেল শোধনাগার এবং শিল্প এলাকা।
টোবাগোতে একটি ক্যারিবীয় দ্বীপে যা যা থাকা দরকার সবই আছে। সাদা বালুর রাজ্যে দাঁড়িয়ে থাকা পাম গাছ এখানকার বড় আকর্ষণ। পর্যটকের চাপও এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করতে পারেনি।
দুই দ্বীপের এই দেশ পাখি দেখা, সাগরে ডাইভিং, চিরসবুজ অরণ্যে হেঁটে বেড়ানো এবং জলপ্রপাতে গোসলের জন্য রীতিমতো অতুলনীয়। বৈচিত্র্যময় উৎসব এবং জাঁকজমকপূর্ণ নাইট লাইফ এখানকার বড় আকর্ষণ। নানা পদের মাছের ম্যানুর জন্যও বিখ্যাত দেশটি।

ভানুয়াতু
প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ৮০টির বেশি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে ভানুয়াতু। কোলাহলহীন সৈকত, পুরোনো সংস্কৃতি, দুর্গম সব দ্বীপ এবং সাগর তলে ডাইভারদের অসাধারণ সব দৃশ্য দেখার সুযোগ মিলিয়ে এটি লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের লিস্টিতে আছে আটে।
এমনকি সাগরের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরন দর্শনের সুযোগ আছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশটির পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বাঞ্জি জাম্পিংয়ের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার; বিশেষ করে রোমাঞ্চপ্রেমীদের কাছে এর জনপ্রিয়তা অনেক। অনেকেই জেনে অবাক হবেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জের এক দ্বীপের বাসিন্দারা শত শত বছর আগ থেকেই এর চেয়ে দুঃসাহসী লাফের কীর্তি করে আসছেন। সেখান থেকেই ‘বাঞ্জি জাম্পিং’ এসেছে বলে ধরা হয়। প্যান্টেকোস্ট দ্বীপে প্রতিবছরের এপ্রিল থেকে জুনে এ দ্বীপে হয় ঝুঁকিপূর্ণ ও তুমুল রোমাঞ্চকর এই ঐতিহ্যবাহী আচার।

স্লোভাকিয়া
ইউরোপের প্রায় হৃৎপিণ্ডে অবস্থিত স্লোভাকিয়াকে বলতে পারেন ঐতিহ্যবাহী সব প্রাসাদ এবং পর্বতের দেশ। চেকোশ্লাভাকিয়া ভেঙে যাওয়ার অনেক বছর পরে স্বাধীন একটি দেশে পরিণত হয় এটি। রাজধানী বাতিস্লাভার পুরোনো শহর আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
উঁচু সব পর্বতে আছে হাঁটার জন্য অসংখ্য ট্রেইল। এগুলোয় হাঁটা এবং বরফে ঢাকা সব হ্রদ দর্শনও টানে পর্যটকদের।

আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার মতো প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ইতিহাস খুব কম জাতিরই আছে। এটি এমন একটি গন্তব্য যেখানে ইতিহাস আপনাকে কৌতূহলী করবে, স্মৃতিস্তম্ভ করবে বিস্মিত, ভূ-প্রকৃতি করবে মুগ্ধ আর সবশেষে স্থানীয়দের ব্যবহার মনে এনে দেবে শান্তি।
তবে দেশটি অন্বেষণ করা একটি সহজ জায়গা নয়। রাস্তাগুলি রুক্ষ, পরিবহন চলাচলের খুব উপযোগী নয়। তবে দেশটি ভ্রমণে গেলে সবকিছু মিলিয়ে এটা কোনো বাধাই মনে হবে না আপনার।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, লিথুয়ানিয়া ডট ট্রাভেল, রাস্টিক প্যাথওয়ে ডট কম

ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে লোনলি প্ল্যানেট। এর আগে আমরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে। আজ থাকছে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দশ দেশের গল্প।

ক্যামেরুন
ক্যামরুনকে আমরা মূলত চিনি ফুটবল খেলার জন্য। আফ্রিকার এ দেশটি ভ্রমণের জন্যও যে চমৎকার একটি জায়গা সেটা সম্ভবত অনেকেরই জানা নেই। লোনলি প্ল্যানেট তো আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় পয়লা নম্বরেই রেখেছে ক্যামেরুনকে। কিন্তু ক্যামেরুন কেন যাবেন আপনি?
সত্যি বলতে দেখার মতো জায়গা, জিনিসের অভাব নেই দেশটিকে। এখানকার সাদা বালুর অসাধারণ সব সৈকত, ছোট ছোট দ্বীপ, চিরসবুজ বন, আগ্নেয়গিরি, শুকনো জমির মাঝখানে হঠাৎই ছেদ টানা বিচিত্র কাঠামোর সব পাথর—এ সবকিছুই আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
হাতি, সিংহ, গন্ডার, জলহস্তী, জিরাফসহ আফ্রিকা মহাদেশে দেখা মেলে এমন বেশির ভাগ প্রাণীই পাবেন দেশটিতে। জাতিগত এবং ভাষাগত দিক থেকেও এটি বিপুল বৈচিত্র্য বুকে ধারণ করে আছে। ২৫০টির মতো স্থানীয় ভাষা আছে এখানে। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক স্থিতিশীল। অর্থাৎ পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সময় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয় না।

লিথুয়ানিয়া
বাল্টিক সাগরে তীরে অবস্থান ইউরোপের এ দেশটির। মন জুড়িয়ে দেওয়া সব সাগরসৈকত, গাছপালায় ঠাসা অরণ্য এখানকার বড় আকর্ষণ। সব সময় কোনো না কোনো উৎসব লেগেই থাকে। কাজেই বেড়াতে গিয়ে একঘেয়েমি পেয়ে বসবে না। এমনিতে উত্তর ইউরোপের সীমানায় পড়লেও মহাদেশের মধ্যবিন্দু পড়েছে এখানেই।
দেশটির ইতিহাসও অনেক সমৃদ্ধ। বলা চলে এটি ছোট্ট এক দেশ হলেও এর অতীত অনেক বিশাল। পনেরো শতকে এটি ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় রাজ্য। কাজেই আকৃতির প্রতি একটা আগ্রহ আছে এখানকার মানুষদের। যেমন বড় পাহাড় এখানে পরিচিতি পেয়ে যায় পর্বত হিসেবে। দেশটি তার নানা পদের সুস্বাদু খাবারের জন্যও পরিচিত।
রাজধানী ভিনিয়সে গ্রীষ্মে আসুন, আপনি শহরের ওপর দিয়ে নানা রঙের হট এয়ার বেলুন উড়ে বেড়াতে মুগ্ধ হবেন। প্রকৃতপক্ষে, ভিনিয়াস সেই অল্প কয়েকটি ইউরোপীয় রাজধানীগুলির মধ্যে একটি যা হট এয়ার বেলুনদের মূল শহরের ওপর দিয়ে উড়তে দেয়। কাজেই আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হোন এবং সত্যিকারের শ্বাসরুদ্ধকর কোণ থেকে ইউনেসকো তালিকাভুক্ত পুরোনো শহর দেখতে চান তবে এই বেলুনই হবে আপনার প্রথম পছন্দ।

ফিজি
ওশেনিয়া মহাদেশের এ দেশটি ৩০০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড় উঠেছে। এখানকার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সমুদ্রের তলদেশের মনোমুগ্ধকর প্রবাল রাজ্য, এবং আকর্ষণীয় সংস্কৃতি অন্বেষণ করার জন্য পর্যটকেরা ছুটে আসেন।
ফিজির উষ্ণমণ্ডলীয় আবহাওয়া, নানা পদের মুখরোচক খাবার, রিসোর্ট একে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রের পরিচিতি পেতে সাহায্য করেছে। নানা ধরনের সংস্কৃতির মানুষের বসবাস ফিজিতে। এর প্রমাণ তাদের অফিশিয়াল বা রাষ্ট্রীয় ভাষা তিনটি।

লাওস
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র ল্যান্ডলকড বা স্থলভাগ ঘেরা দেশ এটি। লাওসের জিয়েন খোয়াং এলাকায় ছড়িয়ে আছে বিশাল আকারের সব পাথরের পাত্র।
প্লেইন অব জারস নামে পরিচিত এই পাত্রগুলোর উচ্চতা তিন থেকে ১০ ফুট। সর্বোচ্চ ওজন ১৪ টন। এ ধরনের ২ হাজারের বেশি পাত্র বা জার আছে এলাকাটিতে। লাওসের প্রতি পর্যটকদের বড় আকর্ষণ প্রাচীন এ পাত্রগুলি।
লাওসে প্রচুর মহিষের খামারের দেখা মেলে। সে তুলনায় গরু দেখা যায় না বললেই চলে। নানা ধরনের উৎসবের জন্য বিখ্যাত। প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখে এখনো নৌকাবাইচ উৎসব জনপ্রিয় দেশটিতে। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এবং বৈচিত্র্যময় সব খাবারের জন্যও নাম আছে লাওসের। এশীয় হাতি দেখা মেলে যে ১৩টি দেশে তার একটি লাওস।

কাজাখস্তান
২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটারের কাজাখস্তান আয়তনে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম দেশ। এত বিশাল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা ২ কোটিরও কম। চারপাশে ভূ-ভাগ দিয়ে ঘেরা দেশকে বলা হয় ল্যান্ডলকড দেশ। আর কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডলকড কান্ট্রি। বিস্তীর্ণ স্তেপস বা সমতল ঘাসসমৃদ্ধ এলাকা, মরুভূমি এবং পর্বতমালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশটি। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এখানে। এদের মধ্যে কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে যাযাবর।
আর এমন বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির কারণে কাজাখস্তান পর্যটকদের জন্য এক চমৎকার ভ্রমণগন্তব্য। এখানকার গ্রামগুলোর আতিথেয়তাও মুগ্ধ করবে আপনাকে। পুরোনো, ঐতিহ্যবাহী সব দালান-কোঠা এখানকার বড় আকর্ষণ।
তেলের খনির কারণে অর্থনৈতিকভাবেও সমৃদ্ধ দেশটি। রাজধানী শহর আস্তানায় (নূর-সুলতান) দারুণ সব জাদুঘর, শপিং মল এবং রাতের জীবন উপভোগ্য। দেশটির ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারও টানে পর্যটকদের।

প্যারাগুয়ে
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় ছয়ে আছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে। মোটামুটি মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত হওয়ার পরও পর্যটকদের কাছে অনেকটাই অচেনা দেশটি। অনেক পর্যটকই খুব বিখ্যাত দ্রষ্টব্য স্থান না থাকাতে এখানে আসতে খুব একটা আগ্রহী হোন না। তবে যারা খাঁটি দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণের আমেজ পেতে চান তাদের জন্য আদর্শ প্যারাগুয়ে।
প্যারাগুয়েতে পাহাড়-জঙ্গলের অভাব নেই। তবে এখানে কোনো উপকূল রেখা পাবেন না। তবে তাতে পানিকে উপজীব্য করে নানা ধরনের খেলা ও উৎসবে কোনো বাধা পড়েনি। এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে দেশটির অগণিত সংখ্যক নদী এবং হ্রদ।
প্যারাগুয়ের একটি মজার বিষয় হলো এখানে মানব আকৃতির পুতুল বানানোর ঐতিহ্য আছে। আগের বছর এবং বছরের বিদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে এটি। বছর শেষে জাঁকালোভাবে উৎসবের মাধ্যমে আগুন জ্বেলে পোড়ানো হয়। প্যারাগুয়ের খাবার-দাবারে স্থানীয় আদিবাসী সংস্কৃতি এবং স্প্যানীয় সংস্কৃতির মিশ্রণ চোখে পড়ে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত সোপা প্যারাগুয়ে। তবে মজার ঘটনা এটি কোনো স্যুপ নয় বরং ভুট্টা এবং পনিরের কেক।

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো
ক্যারিবীয় অঞ্চলের খুব সুন্দর এই দেশ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো। ত্রিনিদাদে আদিম ম্যানগ্রোভ জলাভূমি, সবুজ অরণ্যে ঢাকা পাহাড়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছে অনবরত ধোঁয়া ছাড়তে থাকা তেল শোধনাগার এবং শিল্প এলাকা।
টোবাগোতে একটি ক্যারিবীয় দ্বীপে যা যা থাকা দরকার সবই আছে। সাদা বালুর রাজ্যে দাঁড়িয়ে থাকা পাম গাছ এখানকার বড় আকর্ষণ। পর্যটকের চাপও এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করতে পারেনি।
দুই দ্বীপের এই দেশ পাখি দেখা, সাগরে ডাইভিং, চিরসবুজ অরণ্যে হেঁটে বেড়ানো এবং জলপ্রপাতে গোসলের জন্য রীতিমতো অতুলনীয়। বৈচিত্র্যময় উৎসব এবং জাঁকজমকপূর্ণ নাইট লাইফ এখানকার বড় আকর্ষণ। নানা পদের মাছের ম্যানুর জন্যও বিখ্যাত দেশটি।

ভানুয়াতু
প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ৮০টির বেশি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে ভানুয়াতু। কোলাহলহীন সৈকত, পুরোনো সংস্কৃতি, দুর্গম সব দ্বীপ এবং সাগর তলে ডাইভারদের অসাধারণ সব দৃশ্য দেখার সুযোগ মিলিয়ে এটি লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের লিস্টিতে আছে আটে।
এমনকি সাগরের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরন দর্শনের সুযোগ আছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশটির পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বাঞ্জি জাম্পিংয়ের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার; বিশেষ করে রোমাঞ্চপ্রেমীদের কাছে এর জনপ্রিয়তা অনেক। অনেকেই জেনে অবাক হবেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জের এক দ্বীপের বাসিন্দারা শত শত বছর আগ থেকেই এর চেয়ে দুঃসাহসী লাফের কীর্তি করে আসছেন। সেখান থেকেই ‘বাঞ্জি জাম্পিং’ এসেছে বলে ধরা হয়। প্যান্টেকোস্ট দ্বীপে প্রতিবছরের এপ্রিল থেকে জুনে এ দ্বীপে হয় ঝুঁকিপূর্ণ ও তুমুল রোমাঞ্চকর এই ঐতিহ্যবাহী আচার।

স্লোভাকিয়া
ইউরোপের প্রায় হৃৎপিণ্ডে অবস্থিত স্লোভাকিয়াকে বলতে পারেন ঐতিহ্যবাহী সব প্রাসাদ এবং পর্বতের দেশ। চেকোশ্লাভাকিয়া ভেঙে যাওয়ার অনেক বছর পরে স্বাধীন একটি দেশে পরিণত হয় এটি। রাজধানী বাতিস্লাভার পুরোনো শহর আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
উঁচু সব পর্বতে আছে হাঁটার জন্য অসংখ্য ট্রেইল। এগুলোয় হাঁটা এবং বরফে ঢাকা সব হ্রদ দর্শনও টানে পর্যটকদের।

আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার মতো প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ইতিহাস খুব কম জাতিরই আছে। এটি এমন একটি গন্তব্য যেখানে ইতিহাস আপনাকে কৌতূহলী করবে, স্মৃতিস্তম্ভ করবে বিস্মিত, ভূ-প্রকৃতি করবে মুগ্ধ আর সবশেষে স্থানীয়দের ব্যবহার মনে এনে দেবে শান্তি।
তবে দেশটি অন্বেষণ করা একটি সহজ জায়গা নয়। রাস্তাগুলি রুক্ষ, পরিবহন চলাচলের খুব উপযোগী নয়। তবে দেশটি ভ্রমণে গেলে সবকিছু মিলিয়ে এটা কোনো বাধাই মনে হবে না আপনার।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, লিথুয়ানিয়া ডট ট্রাভেল, রাস্টিক প্যাথওয়ে ডট কম

নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৮ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
স্ট্রবেরি ২টি, পানি ১/৪ কাপ, লেবুর রস ২ চা চামচ, সোডা ওয়াটার ৩/৪ কাপ, সুগার সিরাপ ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
স্ট্রবেরি পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। একটি গ্লাসে পুদিনা পাতা দিয়ে একটু থেঁত করে নিয়ে এরপর এতে লেবুর রস, ছেঁকে রাখা স্ট্রবেরি জুস এবং সুগার সিরাপ মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে সোডা ওয়াটার মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে লেবুর টুকরা এবং বরফ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
স্ট্রবেরি ২টি, পানি ১/৪ কাপ, লেবুর রস ২ চা চামচ, সোডা ওয়াটার ৩/৪ কাপ, সুগার সিরাপ ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
স্ট্রবেরি পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। একটি গ্লাসে পুদিনা পাতা দিয়ে একটু থেঁত করে নিয়ে এরপর এতে লেবুর রস, ছেঁকে রাখা স্ট্রবেরি জুস এবং সুগার সিরাপ মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে সোডা ওয়াটার মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে লেবুর টুকরা এবং বরফ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে লোনলি প্ল্যানেট। এর আগে আমরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে। আজ থাকছে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দশ দেশের গল্প।
২৬ অক্টোবর ২০২৪
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৮ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
এই সমস্যা মানুষ বুঝতে পারে। কেনাকাটা করা ঠিক হচ্ছে না জেনেও নিজেকে থামাতে পারে না। ধীরে ধীরে এতে আর্থিক চাপ, ঋণ আর মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকে।
কেনাকাটার আসক্তি আসলে কী?
কিছু কিনলে হঠাৎ আনন্দ অনুভব করেন অনেকে। সেই আনন্দ আবার পেতে বারবার কেনাকাটা করা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কেউ নির্দিষ্ট জিনিসে আসক্ত হয় যেমন জামাকাপড়, গয়না, মোবাইল বা প্রসাধনী। আবার কেউ যা চোখে পড়ে তাই কিনে ফেলে। যেমন খাবার, অপ্রয়োজনীয় জিনিস, এমনকি জমি বা শেয়ারও।
অনেক সময় মানসিক চাপ, দুঃখ, একাকিত্ব বা রাগ থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ কেনাকাটার দিকে ঝোঁকে। কিন্তু কেনাকাটার আনন্দটা খুব অল্প সময়ের হয়। পরে আফসোস হয় এবং ঋণের বোঝা বাড়ে।

কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
এই লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন চললে সেটি গুরুতর সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

এর সমাধান কী?
কেনাকাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, জীবনের জন্য কেনাকাটা দরকার। তাই সমাধান হলো নিয়ন্ত্রণ শেখা।
খুব কাজে আসে কাউন্সেলিং বা আচরণগত থেরাপি।
থেরাপির মাধ্যমে মানুষ শেখে—
সহায়তা কোথায় পাওয়া যায়?
অনেক দেশে এবং অনলাইনে কেনাকাটার নেশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব করা, বাজেট তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। পাশাপাশি পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে একই সমস্যায় ভোগা মানুষ একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে একাকিত্ব কমে এবং মানসিক সাহস পাওয়া যায়। আর যদি ঋণের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণ পরামর্শক সংস্থা বা অভিজ্ঞ আর্থিক পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে।
ভবিষ্যৎ কী?
যদি সময়মতো সাহায্য নেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব। মাঝেমধ্যে আবার পুরোনো অভ্যাস ফিরে আসতে পারে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঠিক সহায়তা থাকলে আবার নিয়ন্ত্রণে ফেরা যায়।
কেনাকাটার আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে ঋণ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের দিকে নিয়ে যায়। শুরুতে বিষয়টি তেমন গুরুতর মনে না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তবে সচেতনতা, পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে আবার সুস্থ, নিয়ন্ত্রিত ও শান্ত জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।
সূত্র: হেলথলাইন

কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
এই সমস্যা মানুষ বুঝতে পারে। কেনাকাটা করা ঠিক হচ্ছে না জেনেও নিজেকে থামাতে পারে না। ধীরে ধীরে এতে আর্থিক চাপ, ঋণ আর মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকে।
কেনাকাটার আসক্তি আসলে কী?
কিছু কিনলে হঠাৎ আনন্দ অনুভব করেন অনেকে। সেই আনন্দ আবার পেতে বারবার কেনাকাটা করা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কেউ নির্দিষ্ট জিনিসে আসক্ত হয় যেমন জামাকাপড়, গয়না, মোবাইল বা প্রসাধনী। আবার কেউ যা চোখে পড়ে তাই কিনে ফেলে। যেমন খাবার, অপ্রয়োজনীয় জিনিস, এমনকি জমি বা শেয়ারও।
অনেক সময় মানসিক চাপ, দুঃখ, একাকিত্ব বা রাগ থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ কেনাকাটার দিকে ঝোঁকে। কিন্তু কেনাকাটার আনন্দটা খুব অল্প সময়ের হয়। পরে আফসোস হয় এবং ঋণের বোঝা বাড়ে।

কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
এই লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন চললে সেটি গুরুতর সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

এর সমাধান কী?
কেনাকাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, জীবনের জন্য কেনাকাটা দরকার। তাই সমাধান হলো নিয়ন্ত্রণ শেখা।
খুব কাজে আসে কাউন্সেলিং বা আচরণগত থেরাপি।
থেরাপির মাধ্যমে মানুষ শেখে—
সহায়তা কোথায় পাওয়া যায়?
অনেক দেশে এবং অনলাইনে কেনাকাটার নেশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব করা, বাজেট তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। পাশাপাশি পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে একই সমস্যায় ভোগা মানুষ একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে একাকিত্ব কমে এবং মানসিক সাহস পাওয়া যায়। আর যদি ঋণের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণ পরামর্শক সংস্থা বা অভিজ্ঞ আর্থিক পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে।
ভবিষ্যৎ কী?
যদি সময়মতো সাহায্য নেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব। মাঝেমধ্যে আবার পুরোনো অভ্যাস ফিরে আসতে পারে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঠিক সহায়তা থাকলে আবার নিয়ন্ত্রণে ফেরা যায়।
কেনাকাটার আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে ঋণ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের দিকে নিয়ে যায়। শুরুতে বিষয়টি তেমন গুরুতর মনে না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তবে সচেতনতা, পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে আবার সুস্থ, নিয়ন্ত্রিত ও শান্ত জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।
সূত্র: হেলথলাইন

ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে লোনলি প্ল্যানেট। এর আগে আমরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে। আজ থাকছে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দশ দেশের গল্প।
২৬ অক্টোবর ২০২৪
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৮ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া
১৮ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন
লাল
জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
সোনালি
প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।
রুপালি
মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবুজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।
নীল
মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সাদা
সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।
বেগুনি
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।
সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন
লাল
জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
সোনালি
প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।
রুপালি
মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

সবুজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।
নীল
মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সাদা
সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।
বেগুনি
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।
সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে লোনলি প্ল্যানেট। এর আগে আমরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে। আজ থাকছে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দশ দেশের গল্প।
২৬ অক্টোবর ২০২৪
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া ভালো। অনেকে এই ধারণায় এখনো বিশ্বাসী। কফি ও মিষ্টি খাবার খেতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য থাকছে কফি দিয়ে তৈরি কিছু ডেজার্টের রেসিপি।
কফি মাফিন কেক
স্বাস্থ্যকর এবং দারুণ স্বাদের কফি মাফিন হতে পারে আপনার উদ্যাপনের সঙ্গী। এর জন্য দরকার—
১ কাপ সাধারণ ময়দা
আধা চা চামচ বেকিং সোডা
এক চিমটি লবণ
স্বাদ বাড়াতে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া
১ টেবিল চামচ এসপ্রেসো বা কফি পাউডার
কোয়ার্টার কাপ টক দই
মিষ্টি প্রয়োজনমতো।
কোয়ার্টার কাপ কড়া লিকারের কফি
কোয়ার্টার কাপ সোডা ওয়াটার বা স্পার্কলিং ওয়াটার
মাখন গলিয়ে তাতে কফি বিন ভিজিয়ে রেখে কফি বাটার (ঐচ্ছিক) তৈরি করে নিন।

প্রস্তুত প্রণালি
ওভেন ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৪২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় প্রি-হিট করতে দিন। মাফিন টিনে সামান্য তেল বা মাখন ব্রাশ করে নিন। একটি বড় পাত্রে আটা, বেকিং সোডা, লবণ, দারুচিনি গুঁড়া এবং কফি পাউডার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আলাদা একটি পাত্রে টক দই, মধু এবং তৈরি করা কড়া লিকারের কফি মিশিয়ে নিন। শুকনো উপকরণের মিশ্রণে দই ও কফির মিশ্রণটি ঢালুন। এরপর এতে সোডা ওয়াটার যোগ করুন। খুব দ্রুত হালকা হাতে মেশান (বেশি ঘুঁটবেন না)। দেরি না করে দ্রুত ব্যাটারটি মাফিন টিনে ঢালুন। প্রথমে ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৫ মিনিট বেক করুন। এরপর তাপমাত্রা কমিয়ে ১৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) করে আরও ৮-১০ মিনিট বেক করুন। একটি কাঠি মাফিনের ভেতর ঢুকিয়ে দেখুন, কাঠি পরিষ্কার বের হয়ে এলে বুঝবেন, মাফিন তৈরি। মাফিনগুলো ঠান্ডা হলে ওপরে কফি-মাখন বা ক্রিম চিজ লাগিয়ে সকালের নাশতায় উপভোগ করুন।

চকলেট কফি মউজ
মাত্র ৫টি উপকরণ দিয়ে কোনো জেলাটিন বা হেভি ক্রিম ছাড়াই শুধু ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করে তৈরি করতে পারেন কফি মউজ। উপকরণসমূহ—
১. ডার্ক চকলেট (৭০-৮০% কোকো হলে ভালো)।
২. ঘরোয়া তাপমাত্রায় থাকা ডিমের সাদা অংশ (ফ্রিজ থেকে ৩০ মিনিট আগে বের করে রাখা)।
৩. ১ টেবিল চামচ ম্যাপেল সিরাপ (মিষ্টি ও ক্যারামেল ফ্লেভারের জন্য)।
৪. আধা কাপ কড়া লিকারের কফি
৫. সাজানোর জন্য টাটকা বা ফ্রোজেন বেরি বা স্ট্রবেরি
প্রস্তুত প্রণালি (মাত্র ১০ মিনিটে)
একটি সস প্যানে অল্প আঁচে চকলেট গলিয়ে নিন। এতে ম্যাপেল সিরাপ ও কফি দিয়ে নাড়ুন। মসৃণ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। একটি পরিষ্কার কাচ বা মেটালের পাত্রে ডিমের সাদা অংশগুলো ইলেকট্রিক হুইস্ক দিয়ে বিট করুন, যতক্ষণ না এটি ঘন সাদা ফেনার মতো হয়। এবার গলানো চকলেটের মিশ্রণটি অল্প অল্প করে ডিমের সাদা অংশে যোগ করুন। একটি স্প্যাচুলা দিয়ে আলতো হাতে চকলেট এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। খুব জোরে নাড়বেন না, তাহলে ফুরফুরে ভাব নষ্ট হয়ে যাবে। মিশ্রণটি ছোট ছোট গ্লাস বা কাপে ভাগ করে ঢালুন। ফ্রিজে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন। পুরো রাত রাখলে আরও ভালো টেক্সচার আসবে।

কেটো তিরামিসু মুস
তিরামিসু নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে। তার মধ্যে একটি হলো তিরামিসু কি আসলে কেক? এর সহজ উত্তর হলো, সঠিক প্রণালিতে তিরামিসু তৈরি করে খেয়ে বোঝা। কেটো ডায়েট যাঁরা অনুসরণ করছেন, তাঁদের জন্য ‘কেটো তিরামিসু মুস’ হতে পারে বিকেলের নাশতা বা ডিনারের পর এক দুর্দান্ত ডেজার্ট। এটি যেমন দেখতে অভিজাত, খেতেও তেমনি ক্রিমি এবং রিচ। এসপ্রেসো কফি, মাস্কারপোন চিজ এবং কোকো পাউডারের স্তরে সাজানো এই মুসটি লো-কার্ব বা কম শর্করাযুক্ত ঘরানার।
প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় পাত্রে চিজ, হেভি হুইপিং ক্রিম, চিনির পরিবর্তে এরিথ্রিটল, এক চিমটি লবণ এবং এসপ্রেসো কফি একসঙ্গে নিন। একটি ইলেকট্রিক বিটার বা হ্যান্ড হুইস্ক দিয়ে মিশ্রণটিকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করুন, যতক্ষণ না এটি ঘন এবং ফুরফুরে হয়ে ওঠে। এবার পরিবেশনের গ্লাস নিন। প্রথমে কিছুটা মাস্কারপোন মিশ্রণ দিন, তার ওপর সামান্য কোকো পাউডার ছিটিয়ে দিন। এভাবে কয়েকবার স্তর তৈরি করুন। সবশেষে ওপরে সামান্য এসপ্রেসো পাউডার ছিটিয়ে দিন এবং সুন্দর দেখানোর জন্য কয়েকটি কফি বিন বসিয়ে দিন। বানিয়েই পরিবেশন করতে পারেন অথবা ফ্রিজে রেখে কিছুটা ঠান্ডা করে উপভোগ করুন। যাঁরা খুব দ্রুত কিন্তু স্পেশাল কিছু তৈরি করতে চান, তাঁদের জন্য এটি পারফেক্ট। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশনের গ্লাসে সাজিয়ে নিন এবং ওপরে কিছুটা এসপ্রেসো পাউডার ছিটিয়ে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল চমৎকার স্বাদের এই মিষ্টি পদ। মিষ্টি, ক্রিমি এবং কফির ফ্লেভারের এই মেলবন্ধন এড়িয়ে যাওয়া সত্যিই অসম্ভব।
সূত্র: মাই শেফস এপ্রোন

আর মাত্র এক দিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা কতই না আয়োজন করে থাকি। এর একটি অংশের আয়োজন হয় রান্নাঘরে। অনেক কিছু না হোক, ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বের করে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় খাবার খেয়ে হলেও আমরা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভালোবাসি। কোনো কিছুর শুরু ভালো দিয়ে করতে চাইলে মিষ্টি খাওয়া ভালো। অনেকে এই ধারণায় এখনো বিশ্বাসী। কফি ও মিষ্টি খাবার খেতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য থাকছে কফি দিয়ে তৈরি কিছু ডেজার্টের রেসিপি।
কফি মাফিন কেক
স্বাস্থ্যকর এবং দারুণ স্বাদের কফি মাফিন হতে পারে আপনার উদ্যাপনের সঙ্গী। এর জন্য দরকার—
১ কাপ সাধারণ ময়দা
আধা চা চামচ বেকিং সোডা
এক চিমটি লবণ
স্বাদ বাড়াতে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া
১ টেবিল চামচ এসপ্রেসো বা কফি পাউডার
কোয়ার্টার কাপ টক দই
মিষ্টি প্রয়োজনমতো।
কোয়ার্টার কাপ কড়া লিকারের কফি
কোয়ার্টার কাপ সোডা ওয়াটার বা স্পার্কলিং ওয়াটার
মাখন গলিয়ে তাতে কফি বিন ভিজিয়ে রেখে কফি বাটার (ঐচ্ছিক) তৈরি করে নিন।

প্রস্তুত প্রণালি
ওভেন ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৪২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় প্রি-হিট করতে দিন। মাফিন টিনে সামান্য তেল বা মাখন ব্রাশ করে নিন। একটি বড় পাত্রে আটা, বেকিং সোডা, লবণ, দারুচিনি গুঁড়া এবং কফি পাউডার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আলাদা একটি পাত্রে টক দই, মধু এবং তৈরি করা কড়া লিকারের কফি মিশিয়ে নিন। শুকনো উপকরণের মিশ্রণে দই ও কফির মিশ্রণটি ঢালুন। এরপর এতে সোডা ওয়াটার যোগ করুন। খুব দ্রুত হালকা হাতে মেশান (বেশি ঘুঁটবেন না)। দেরি না করে দ্রুত ব্যাটারটি মাফিন টিনে ঢালুন। প্রথমে ২২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৫ মিনিট বেক করুন। এরপর তাপমাত্রা কমিয়ে ১৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) করে আরও ৮-১০ মিনিট বেক করুন। একটি কাঠি মাফিনের ভেতর ঢুকিয়ে দেখুন, কাঠি পরিষ্কার বের হয়ে এলে বুঝবেন, মাফিন তৈরি। মাফিনগুলো ঠান্ডা হলে ওপরে কফি-মাখন বা ক্রিম চিজ লাগিয়ে সকালের নাশতায় উপভোগ করুন।

চকলেট কফি মউজ
মাত্র ৫টি উপকরণ দিয়ে কোনো জেলাটিন বা হেভি ক্রিম ছাড়াই শুধু ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করে তৈরি করতে পারেন কফি মউজ। উপকরণসমূহ—
১. ডার্ক চকলেট (৭০-৮০% কোকো হলে ভালো)।
২. ঘরোয়া তাপমাত্রায় থাকা ডিমের সাদা অংশ (ফ্রিজ থেকে ৩০ মিনিট আগে বের করে রাখা)।
৩. ১ টেবিল চামচ ম্যাপেল সিরাপ (মিষ্টি ও ক্যারামেল ফ্লেভারের জন্য)।
৪. আধা কাপ কড়া লিকারের কফি
৫. সাজানোর জন্য টাটকা বা ফ্রোজেন বেরি বা স্ট্রবেরি
প্রস্তুত প্রণালি (মাত্র ১০ মিনিটে)
একটি সস প্যানে অল্প আঁচে চকলেট গলিয়ে নিন। এতে ম্যাপেল সিরাপ ও কফি দিয়ে নাড়ুন। মসৃণ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। একটি পরিষ্কার কাচ বা মেটালের পাত্রে ডিমের সাদা অংশগুলো ইলেকট্রিক হুইস্ক দিয়ে বিট করুন, যতক্ষণ না এটি ঘন সাদা ফেনার মতো হয়। এবার গলানো চকলেটের মিশ্রণটি অল্প অল্প করে ডিমের সাদা অংশে যোগ করুন। একটি স্প্যাচুলা দিয়ে আলতো হাতে চকলেট এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। খুব জোরে নাড়বেন না, তাহলে ফুরফুরে ভাব নষ্ট হয়ে যাবে। মিশ্রণটি ছোট ছোট গ্লাস বা কাপে ভাগ করে ঢালুন। ফ্রিজে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন। পুরো রাত রাখলে আরও ভালো টেক্সচার আসবে।

কেটো তিরামিসু মুস
তিরামিসু নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে। তার মধ্যে একটি হলো তিরামিসু কি আসলে কেক? এর সহজ উত্তর হলো, সঠিক প্রণালিতে তিরামিসু তৈরি করে খেয়ে বোঝা। কেটো ডায়েট যাঁরা অনুসরণ করছেন, তাঁদের জন্য ‘কেটো তিরামিসু মুস’ হতে পারে বিকেলের নাশতা বা ডিনারের পর এক দুর্দান্ত ডেজার্ট। এটি যেমন দেখতে অভিজাত, খেতেও তেমনি ক্রিমি এবং রিচ। এসপ্রেসো কফি, মাস্কারপোন চিজ এবং কোকো পাউডারের স্তরে সাজানো এই মুসটি লো-কার্ব বা কম শর্করাযুক্ত ঘরানার।
প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় পাত্রে চিজ, হেভি হুইপিং ক্রিম, চিনির পরিবর্তে এরিথ্রিটল, এক চিমটি লবণ এবং এসপ্রেসো কফি একসঙ্গে নিন। একটি ইলেকট্রিক বিটার বা হ্যান্ড হুইস্ক দিয়ে মিশ্রণটিকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করুন, যতক্ষণ না এটি ঘন এবং ফুরফুরে হয়ে ওঠে। এবার পরিবেশনের গ্লাস নিন। প্রথমে কিছুটা মাস্কারপোন মিশ্রণ দিন, তার ওপর সামান্য কোকো পাউডার ছিটিয়ে দিন। এভাবে কয়েকবার স্তর তৈরি করুন। সবশেষে ওপরে সামান্য এসপ্রেসো পাউডার ছিটিয়ে দিন এবং সুন্দর দেখানোর জন্য কয়েকটি কফি বিন বসিয়ে দিন। বানিয়েই পরিবেশন করতে পারেন অথবা ফ্রিজে রেখে কিছুটা ঠান্ডা করে উপভোগ করুন। যাঁরা খুব দ্রুত কিন্তু স্পেশাল কিছু তৈরি করতে চান, তাঁদের জন্য এটি পারফেক্ট। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশনের গ্লাসে সাজিয়ে নিন এবং ওপরে কিছুটা এসপ্রেসো পাউডার ছিটিয়ে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল চমৎকার স্বাদের এই মিষ্টি পদ। মিষ্টি, ক্রিমি এবং কফির ফ্লেভারের এই মেলবন্ধন এড়িয়ে যাওয়া সত্যিই অসম্ভব।
সূত্র: মাই শেফস এপ্রোন

ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে লোনলি প্ল্যানেট। এর আগে আমরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে। আজ থাকছে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দশ দেশের গল্প।
২৬ অক্টোবর ২০২৪
নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১ ঘণ্টা আগে
কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে
১৮ ঘণ্টা আগে