আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দাঁত সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ব্রাশ করার বিকল্প নেই। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের টুকরো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জন এবং বিশেষজ্ঞ ডা. জ্যাকলিন টমসিক বলেন, মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম সাধারণ কারণ হলো ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার না করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা খাই, তা খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও যদি ডেন্টাল ফ্লস না করা হয়, তাহলে সেই খাবার পচে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।’
উল্লেখ্য, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা, প্লাক (জমাট ব্যাকটেরিয়া) ও ময়লা পরিষ্কার করার জন্য একটি বিশেষ সূক্ষ্ম সুতা হলো ডেন্টাল ফ্লস।
ডা. জ্যাকলিন প্রতিদিন অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি সাধারণ সুতার ফ্লসকে বেশি কার্যকর মনে করেন, তবে ফ্লস পিকস বা ওয়াটার ফ্লোসারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ফ্লস পিক হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের হ্যান্ডেল, যার এক প্রান্তে টানটান করে বাঁধা থাকে ছোট একটি ফ্লস বা সুতা। আর ওয়াটার ফ্লোসার হলো একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস। এটি প্রচুর গতিতে পানি ছিটিয়ে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয়।
জিহ্বা ও গলার পেছনে ব্যাকটেরিয়া জমা
ডেন্টিস্ট এবং প্রোবায়োটিক মাউথওয়াশ ব্র্যান্ড রিভেন ওরাল কেয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. ফাতিমা খান জানিয়েছেন, মুখের দুর্গন্ধের মূল কারণ হতে পারে সালফার উৎপাদক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো জিহ্বার পৃষ্ঠে এবং গলার পেছনে বসবাস করে। তারা খাবারের প্রোটিন ভেঙে দ্রুত দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাসের নাম ভোলাটাইল সালফার কম্পাউন্ড। গ্যাসটির গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো।
জিহ্বা পরিষ্কার না করা এবং ভুল পদ্ধতিতে ব্রাশ করা
ডেন্টিস্ট ডা. জেনা চিমন বলেন, অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন ঠিকই, তবে জিহ্বা পরিষ্কার করেন না বা দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ করেন না। ফলে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যতই মিন্টি (পুদিনার গন্ধযুক্ত) পেস্ট ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে লাভ হবে না।
তাঁর মতে, দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। চাইলে জিহ্বায় স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা যেতে পার। এটি হাতের কাছে না থাকলে ব্রাশ দিয়েও জিহবা পরিষ্কার করা যায়। একই সঙ্গে প্রতিদিন ফ্লস করা জরুরি।
মুখ শুকিয়ে যাওয়া ও লালাস্বল্পতা
ডা. খান জানান, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা ‘ড্রাই মাউথ’ও মুখের দুর্গন্ধের বড় কারণ। কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া অথবা অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহারের ফলে মুখের লালার পরিমাণ কমে যায়। অথচ লালা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার রাখে।
ডা. চিমন বলেন, পানিশূন্যতাও এর কারণ হতে পারে। অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। আবার নিয়মিত কফি পান করলে লালা উৎপাদন দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কমে যায়, ফলে মুখ শুকিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
খাবার, ধূমপান ও অন্যান্য অভ্যাস
রসুন, পেঁয়াজের মতো খাবার রক্তে শোষিত হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায় এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া ধূমপানের ফলে মুখে ও গলায় ধোঁয়ার কণা রেখে যায়, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ধূমপান মুখের লালা শুকিয়ে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
মাড়ির রোগ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
গাম ডিজিজ বা মাড়ির রোগ মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। ডা. চিমন বলেন, ‘মাড়িতে ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়, যার ফলে দুর্গন্ধ হয়।’
ডা. খান বলেন, ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। এটি প্রদাহ কমায় ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায়।
সাইনাস ও হজমজনিত সমস্যা
সাইনাস সমস্যা বা পোস্ট-নাজাল ড্রিপ, এমনকি গ্যাস্ট্রিক রিফ্ল্যাক্স (যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসে) মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। ডা. খান বলেন, ‘এসব সমস্যা নাক ও সাইনাসকে প্রভাবিত করে এবং নিশ্বাসে গন্ধ তৈরি করে।’
ডায়াবেটিস এবং বিশেষ গন্ধ
ডায়াবেটিস রোগীরা যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন, তবে ‘কিটোঅ্যাসিডোসিস’ হতে পারে। এ অবস্থায় শরীর গ্লুকোজের বদলে চর্বি পোড়াতে শুরু করে, যার ফলে নিশ্বাসে একধরনের ফলের মতো গন্ধ ছড়ায়।
মুখের গন্ধ দূর করার কিছু পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা—
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

দাঁত সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ব্রাশ করার বিকল্প নেই। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের টুকরো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জন এবং বিশেষজ্ঞ ডা. জ্যাকলিন টমসিক বলেন, মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম সাধারণ কারণ হলো ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার না করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা খাই, তা খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও যদি ডেন্টাল ফ্লস না করা হয়, তাহলে সেই খাবার পচে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।’
উল্লেখ্য, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা, প্লাক (জমাট ব্যাকটেরিয়া) ও ময়লা পরিষ্কার করার জন্য একটি বিশেষ সূক্ষ্ম সুতা হলো ডেন্টাল ফ্লস।
ডা. জ্যাকলিন প্রতিদিন অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি সাধারণ সুতার ফ্লসকে বেশি কার্যকর মনে করেন, তবে ফ্লস পিকস বা ওয়াটার ফ্লোসারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ফ্লস পিক হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের হ্যান্ডেল, যার এক প্রান্তে টানটান করে বাঁধা থাকে ছোট একটি ফ্লস বা সুতা। আর ওয়াটার ফ্লোসার হলো একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস। এটি প্রচুর গতিতে পানি ছিটিয়ে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয়।
জিহ্বা ও গলার পেছনে ব্যাকটেরিয়া জমা
ডেন্টিস্ট এবং প্রোবায়োটিক মাউথওয়াশ ব্র্যান্ড রিভেন ওরাল কেয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. ফাতিমা খান জানিয়েছেন, মুখের দুর্গন্ধের মূল কারণ হতে পারে সালফার উৎপাদক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো জিহ্বার পৃষ্ঠে এবং গলার পেছনে বসবাস করে। তারা খাবারের প্রোটিন ভেঙে দ্রুত দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাসের নাম ভোলাটাইল সালফার কম্পাউন্ড। গ্যাসটির গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো।
জিহ্বা পরিষ্কার না করা এবং ভুল পদ্ধতিতে ব্রাশ করা
ডেন্টিস্ট ডা. জেনা চিমন বলেন, অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন ঠিকই, তবে জিহ্বা পরিষ্কার করেন না বা দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ করেন না। ফলে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যতই মিন্টি (পুদিনার গন্ধযুক্ত) পেস্ট ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে লাভ হবে না।
তাঁর মতে, দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। চাইলে জিহ্বায় স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা যেতে পার। এটি হাতের কাছে না থাকলে ব্রাশ দিয়েও জিহবা পরিষ্কার করা যায়। একই সঙ্গে প্রতিদিন ফ্লস করা জরুরি।
মুখ শুকিয়ে যাওয়া ও লালাস্বল্পতা
ডা. খান জানান, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা ‘ড্রাই মাউথ’ও মুখের দুর্গন্ধের বড় কারণ। কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া অথবা অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহারের ফলে মুখের লালার পরিমাণ কমে যায়। অথচ লালা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার রাখে।
ডা. চিমন বলেন, পানিশূন্যতাও এর কারণ হতে পারে। অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। আবার নিয়মিত কফি পান করলে লালা উৎপাদন দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কমে যায়, ফলে মুখ শুকিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
খাবার, ধূমপান ও অন্যান্য অভ্যাস
রসুন, পেঁয়াজের মতো খাবার রক্তে শোষিত হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায় এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া ধূমপানের ফলে মুখে ও গলায় ধোঁয়ার কণা রেখে যায়, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ধূমপান মুখের লালা শুকিয়ে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
মাড়ির রোগ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
গাম ডিজিজ বা মাড়ির রোগ মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। ডা. চিমন বলেন, ‘মাড়িতে ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়, যার ফলে দুর্গন্ধ হয়।’
ডা. খান বলেন, ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। এটি প্রদাহ কমায় ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায়।
সাইনাস ও হজমজনিত সমস্যা
সাইনাস সমস্যা বা পোস্ট-নাজাল ড্রিপ, এমনকি গ্যাস্ট্রিক রিফ্ল্যাক্স (যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসে) মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। ডা. খান বলেন, ‘এসব সমস্যা নাক ও সাইনাসকে প্রভাবিত করে এবং নিশ্বাসে গন্ধ তৈরি করে।’
ডায়াবেটিস এবং বিশেষ গন্ধ
ডায়াবেটিস রোগীরা যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন, তবে ‘কিটোঅ্যাসিডোসিস’ হতে পারে। এ অবস্থায় শরীর গ্লুকোজের বদলে চর্বি পোড়াতে শুরু করে, যার ফলে নিশ্বাসে একধরনের ফলের মতো গন্ধ ছড়ায়।
মুখের গন্ধ দূর করার কিছু পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা—
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দাঁত সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ব্রাশ করার বিকল্প নেই। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের টুকরো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জন এবং বিশেষজ্ঞ ডা. জ্যাকলিন টমসিক বলেন, মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম সাধারণ কারণ হলো ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার না করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা খাই, তা খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও যদি ডেন্টাল ফ্লস না করা হয়, তাহলে সেই খাবার পচে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।’
উল্লেখ্য, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা, প্লাক (জমাট ব্যাকটেরিয়া) ও ময়লা পরিষ্কার করার জন্য একটি বিশেষ সূক্ষ্ম সুতা হলো ডেন্টাল ফ্লস।
ডা. জ্যাকলিন প্রতিদিন অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি সাধারণ সুতার ফ্লসকে বেশি কার্যকর মনে করেন, তবে ফ্লস পিকস বা ওয়াটার ফ্লোসারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ফ্লস পিক হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের হ্যান্ডেল, যার এক প্রান্তে টানটান করে বাঁধা থাকে ছোট একটি ফ্লস বা সুতা। আর ওয়াটার ফ্লোসার হলো একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস। এটি প্রচুর গতিতে পানি ছিটিয়ে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয়।
জিহ্বা ও গলার পেছনে ব্যাকটেরিয়া জমা
ডেন্টিস্ট এবং প্রোবায়োটিক মাউথওয়াশ ব্র্যান্ড রিভেন ওরাল কেয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. ফাতিমা খান জানিয়েছেন, মুখের দুর্গন্ধের মূল কারণ হতে পারে সালফার উৎপাদক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো জিহ্বার পৃষ্ঠে এবং গলার পেছনে বসবাস করে। তারা খাবারের প্রোটিন ভেঙে দ্রুত দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাসের নাম ভোলাটাইল সালফার কম্পাউন্ড। গ্যাসটির গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো।
জিহ্বা পরিষ্কার না করা এবং ভুল পদ্ধতিতে ব্রাশ করা
ডেন্টিস্ট ডা. জেনা চিমন বলেন, অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন ঠিকই, তবে জিহ্বা পরিষ্কার করেন না বা দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ করেন না। ফলে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যতই মিন্টি (পুদিনার গন্ধযুক্ত) পেস্ট ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে লাভ হবে না।
তাঁর মতে, দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। চাইলে জিহ্বায় স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা যেতে পার। এটি হাতের কাছে না থাকলে ব্রাশ দিয়েও জিহবা পরিষ্কার করা যায়। একই সঙ্গে প্রতিদিন ফ্লস করা জরুরি।
মুখ শুকিয়ে যাওয়া ও লালাস্বল্পতা
ডা. খান জানান, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা ‘ড্রাই মাউথ’ও মুখের দুর্গন্ধের বড় কারণ। কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া অথবা অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহারের ফলে মুখের লালার পরিমাণ কমে যায়। অথচ লালা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার রাখে।
ডা. চিমন বলেন, পানিশূন্যতাও এর কারণ হতে পারে। অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। আবার নিয়মিত কফি পান করলে লালা উৎপাদন দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কমে যায়, ফলে মুখ শুকিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
খাবার, ধূমপান ও অন্যান্য অভ্যাস
রসুন, পেঁয়াজের মতো খাবার রক্তে শোষিত হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায় এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া ধূমপানের ফলে মুখে ও গলায় ধোঁয়ার কণা রেখে যায়, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ধূমপান মুখের লালা শুকিয়ে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
মাড়ির রোগ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
গাম ডিজিজ বা মাড়ির রোগ মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। ডা. চিমন বলেন, ‘মাড়িতে ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়, যার ফলে দুর্গন্ধ হয়।’
ডা. খান বলেন, ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। এটি প্রদাহ কমায় ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায়।
সাইনাস ও হজমজনিত সমস্যা
সাইনাস সমস্যা বা পোস্ট-নাজাল ড্রিপ, এমনকি গ্যাস্ট্রিক রিফ্ল্যাক্স (যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসে) মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। ডা. খান বলেন, ‘এসব সমস্যা নাক ও সাইনাসকে প্রভাবিত করে এবং নিশ্বাসে গন্ধ তৈরি করে।’
ডায়াবেটিস এবং বিশেষ গন্ধ
ডায়াবেটিস রোগীরা যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন, তবে ‘কিটোঅ্যাসিডোসিস’ হতে পারে। এ অবস্থায় শরীর গ্লুকোজের বদলে চর্বি পোড়াতে শুরু করে, যার ফলে নিশ্বাসে একধরনের ফলের মতো গন্ধ ছড়ায়।
মুখের গন্ধ দূর করার কিছু পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা—
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

দাঁত সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ব্রাশ করার বিকল্প নেই। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের টুকরো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জন এবং বিশেষজ্ঞ ডা. জ্যাকলিন টমসিক বলেন, মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম সাধারণ কারণ হলো ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার না করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা খাই, তা খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও যদি ডেন্টাল ফ্লস না করা হয়, তাহলে সেই খাবার পচে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।’
উল্লেখ্য, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা, প্লাক (জমাট ব্যাকটেরিয়া) ও ময়লা পরিষ্কার করার জন্য একটি বিশেষ সূক্ষ্ম সুতা হলো ডেন্টাল ফ্লস।
ডা. জ্যাকলিন প্রতিদিন অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি সাধারণ সুতার ফ্লসকে বেশি কার্যকর মনে করেন, তবে ফ্লস পিকস বা ওয়াটার ফ্লোসারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ফ্লস পিক হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের হ্যান্ডেল, যার এক প্রান্তে টানটান করে বাঁধা থাকে ছোট একটি ফ্লস বা সুতা। আর ওয়াটার ফ্লোসার হলো একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস। এটি প্রচুর গতিতে পানি ছিটিয়ে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয়।
জিহ্বা ও গলার পেছনে ব্যাকটেরিয়া জমা
ডেন্টিস্ট এবং প্রোবায়োটিক মাউথওয়াশ ব্র্যান্ড রিভেন ওরাল কেয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. ফাতিমা খান জানিয়েছেন, মুখের দুর্গন্ধের মূল কারণ হতে পারে সালফার উৎপাদক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো জিহ্বার পৃষ্ঠে এবং গলার পেছনে বসবাস করে। তারা খাবারের প্রোটিন ভেঙে দ্রুত দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাসের নাম ভোলাটাইল সালফার কম্পাউন্ড। গ্যাসটির গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো।
জিহ্বা পরিষ্কার না করা এবং ভুল পদ্ধতিতে ব্রাশ করা
ডেন্টিস্ট ডা. জেনা চিমন বলেন, অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন ঠিকই, তবে জিহ্বা পরিষ্কার করেন না বা দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ করেন না। ফলে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যতই মিন্টি (পুদিনার গন্ধযুক্ত) পেস্ট ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে লাভ হবে না।
তাঁর মতে, দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। চাইলে জিহ্বায় স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা যেতে পার। এটি হাতের কাছে না থাকলে ব্রাশ দিয়েও জিহবা পরিষ্কার করা যায়। একই সঙ্গে প্রতিদিন ফ্লস করা জরুরি।
মুখ শুকিয়ে যাওয়া ও লালাস্বল্পতা
ডা. খান জানান, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা ‘ড্রাই মাউথ’ও মুখের দুর্গন্ধের বড় কারণ। কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া অথবা অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহারের ফলে মুখের লালার পরিমাণ কমে যায়। অথচ লালা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার রাখে।
ডা. চিমন বলেন, পানিশূন্যতাও এর কারণ হতে পারে। অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। আবার নিয়মিত কফি পান করলে লালা উৎপাদন দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কমে যায়, ফলে মুখ শুকিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
খাবার, ধূমপান ও অন্যান্য অভ্যাস
রসুন, পেঁয়াজের মতো খাবার রক্তে শোষিত হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায় এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া ধূমপানের ফলে মুখে ও গলায় ধোঁয়ার কণা রেখে যায়, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ধূমপান মুখের লালা শুকিয়ে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
মাড়ির রোগ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
গাম ডিজিজ বা মাড়ির রোগ মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। ডা. চিমন বলেন, ‘মাড়িতে ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়, যার ফলে দুর্গন্ধ হয়।’
ডা. খান বলেন, ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। এটি প্রদাহ কমায় ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায়।
সাইনাস ও হজমজনিত সমস্যা
সাইনাস সমস্যা বা পোস্ট-নাজাল ড্রিপ, এমনকি গ্যাস্ট্রিক রিফ্ল্যাক্স (যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসে) মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। ডা. খান বলেন, ‘এসব সমস্যা নাক ও সাইনাসকে প্রভাবিত করে এবং নিশ্বাসে গন্ধ তৈরি করে।’
ডায়াবেটিস এবং বিশেষ গন্ধ
ডায়াবেটিস রোগীরা যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন, তবে ‘কিটোঅ্যাসিডোসিস’ হতে পারে। এ অবস্থায় শরীর গ্লুকোজের বদলে চর্বি পোড়াতে শুরু করে, যার ফলে নিশ্বাসে একধরনের ফলের মতো গন্ধ ছড়ায়।
মুখের গন্ধ দূর করার কিছু পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা—
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুল
২ ঘণ্টা আগে
এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু।
৪ ঘণ্টা আগে
ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ।
৬ ঘণ্টা আগে
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুলতে। নতুন বছরে আপনার যাপিত জীবন ও গৃহকোণকে প্রকৃতিবান্ধব করতে সহজ কিছু সংকল্প গ্রহণ করতে পারেন। সেটা হতে পারে আপনার রান্নাঘরে বর্জ্য কমানো, ঘরের আসবাব কমিয়ে আনা কিংবা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া। আপনার ছোট ছোট এই পদক্ষেপগুলোই ২০২৬ সালে আপনার ঘরকে করে তুলবে প্রাণবন্ত এবং পৃথিবীকে আরও সবুজ করে তুলবে।
রান্নাঘরে আনুন সচেতন পরিবর্তন
পরিবর্তনের শুরুটা হতে পারে আপনার রান্নাঘর থেকে। রান্নাঘরের বর্জ্য কমিয়ে পরিবেশবান্ধব করে তোলা মোটেও কঠিন কিছু নয়। ছোট ছোট কিছু স্মার্ট বদল আপনার রান্নাঘরকে দিতে পারে এক নতুন সজীবতা। যেমন খাবারের সতেজতা ধরে রাখতে প্লাস্টিকের ক্লিন ফিল্মের বদলে মৌমাছির মোমের তৈরি র্যাপ ব্যবহার করুন। এগুলো ধুয়ে বারবার ব্যবহার করা যায় এবং নষ্ট হলে অনায়াসেই মাটিতে মিশে যায়। স্যান্ডউইচ মোড়ানো বা বেঁচে যাওয়া খাবার ঢেকে রাখতে এটি সেরা। এমনকি সুতি কাপড়ে গলানো মোম লাগিয়ে আপনি নিজেই বাড়িতে এটি বানিয়ে নিতে পারেন।
অনেক টি-ব্যাগে ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। তাই টি-ব্যাগ বর্জন করে সরাসরি খোলা চা-পাতা ব্যবহার শুরু করুন। এতে চায়ের স্বাদ যেমন অটুট থাকে, তেমনি পরিবেশও বাঁচে। একবার ব্যবহারযোগ্য স্পঞ্জের বদলে কাঠের তৈরি ডিশ ব্রাশ এবং কম্পোস্টেবল (পচনশীল) ডিশ ক্লথ বা বাসন মোছার কাপড় ব্যবহার করুন। লিকুইড সাবানের প্লাস্টিক বোতলের ঝামেলা এড়াতে সলিড ডিশ সোপ ব্লক ব্যবহার করুন। এগুলো লিকুইড সাবানের মতোই কার্যকর কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করে না। এই সামান্য পরিবর্তনগুলোই আপনার রান্নাঘরকে একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব রূপ দিতে পারে। মৌসুমি ফল বা সবজি বেশি থাকলে তা সংরক্ষণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সবজি হালকা ভাপিয়ে ফ্রিজে রাখা কিংবা উদ্বৃত্ত ফল দিয়ে জ্যাম বা আচার তৈরি করা খাবার অপচয় রোধের অন্যতম সেরা উপায়।

পরিচ্ছন্নতায় আনুন প্রাকৃতিক সমাধান
বাজারের কড়া রাসায়নিকযুক্ত ক্লিনারের বদলে বেকিং সোডা এবং সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন। এগুলো দাগ দূর করতে এবং কার্পেট সতেজ রাখতে জাদুর মতো কাজ করে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সুগন্ধের জন্য জলে টি-ট্রি বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। টিস্যু পেপারের বদলে বাঁশের তৈরি কাপড় বা মাইক্রোফাইবার ক্লথ ব্যবহার করুন। আপনার বাগানের পুরোনো কাঠের প্যালেট দিয়ে বেঞ্চ বা টেবিল বানিয়ে নিতে পারেন। পুরোনো আসবাবের ওপর স্রেফ রঙের এক পোঁচ দিলেই তার হারানো জেল্লা ফিরে আসে। নতুন কেনার আগে বাড়িতে থাকা জিনিসের সৃজনশীল ব্যবহার পরিবেশের জন্য দারুণ এক উপহার। শাকসবজির খোসা, ডিমের খোসা বা কফির তলানি না ফেলে দিয়ে তা থেকে জৈব সার তৈরি করুন। এটি আপনার ঘরের বর্জ্য বহুগুণ কমিয়ে দেবে এবং বাগানের মাটিকে দেবে প্রচুর পুষ্টি। জায়গার অভাব থাকলে ছোট কম্পোস্ট বিন বা ‘ওয়ার্মারি’ ব্যবহার করতে পারেন।
ঘর গোছানো হোক উদ্দেশ্যপূর্ণ
নতুন বছরে ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা বা ‘ডিক্লাটারিং’ করাটা মনের জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক হতে পারে। তবে পরিবেশের কথা মাথায় রাখলে, কোনো কিছু রিসাইকেল করার চেয়ে তার ব্যবহার কমিয়ে আনা বা অন্য কাজে লাগানো বেশি জরুরি। মনে রাখবেন টেকসই জীবনের মূলমন্ত্র হলো রিডিউস (কমানো), রিইউজ (পুনরায় ব্যবহার) এবং রিসাইকেল (পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ)। একটি পুরোনো কাঠের বাক্স অনায়াসেই গাছের টব বা স্টোরেজ বক্সে রূপান্তরিত হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে পোশাক অদলবদল করুন অথবা চ্যারিটিতে দান করুন। সারা বছর পুদিনা, পার্সলে বা থাইম চাষ করে আপনি যেমন টাটকা স্বাদ পাবেন, তেমনি ঘরের বাতাসও থাকবে সতেজ। রোদ উজ্জ্বল জায়গায় এই ছোট ভেষজ বাগান (Herb garden) গড়ে তোলা সম্ভব। তবে মনে রাখবেন, পুদিনা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই একে আলাদা টবে রাখাই ভালো।

বাথরুম হোক প্লাস্টিকমুক্ত
প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর কথা উঠলে আমরা প্রায়ই বাথরুমের কথা ভুলে যাই। অথচ প্লাস্টিকমুক্ত জীবন শুরু করার জন্য এটিই সবচেয়ে সহজ জায়গা। ২০২৬ সালে আপনার বাথরুমকে প্লাস্টিকমুক্ত এবং স্টাইলিশ করে তুলতে এই ছোট পরিবর্তনগুলো করতে পারেন। প্লাস্টিকের টুথব্রাশ বা নখের ব্রাশের বদলে কাঠের ব্রাশ ব্যবহার শুরু করুন। এগুলো যেমন দীর্ঘস্থায়ী, তেমনি দেখতেও বেশ নান্দনিক। প্লাস্টিকের বোতলের ঝামেলা চিরতরে দূর করতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের বার (সাবানের মতো শক্ত বার) ব্যবহার করুন। এটি বাথরুম থেকে প্লাস্টিকের বোতলের স্তূপ কমাতে জাদুর মতো কাজ করে। একবার ব্যবহারযোগ্য বা ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক রেজারের বদলে সেফটি রেজার কিংবা বাঁশের হাতলওয়ালা রেজার বেছে নিন। এগুলো অনেক বেশি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এই সামান্য পরিবর্তনগুলো কেবল প্লাস্টিক বর্জ্যই কমাবে না, আপনার বাথরুমে যোগ করবে এক চমৎকার ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি’ আভিজাত্য।
নতুন বছরে সাসটেইনেবল ইন্টেরিয়র টিপস
নতুন বছরে ঘরের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আনতে চাইলে কিছু বাড়তি বিষয় মাথায় রাখতে পারেন:
এনার্জি অ্যাসেসমেন্ট: আপনার ঘরের বিদ্যুৎ খরচ কোথায় কমানো সম্ভব তা বুঝতে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।
সেকেন্ড-হ্যান্ড ফার্নিচার: নতুন আসবাবের বদলে পুরোনো বা অ্যান্টিক দোকান থেকে আসবাব সংগ্রহ করুন। এটি ঘরে একটি অনন্য আভিজাত্য যোগ করে।
গ্রে-ওয়াটার সিস্টেম: বাথরুমের ব্যবহৃত পানি বা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে তা বাগানে ব্যবহারের কথা ভাবুন।
ঘর সংস্কারের সময় স্থানীয় জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণিকুলের কথা মাথায় রেখে অ-বিষাক্ত উপাদান এবং নেটিভ গাছপালা ব্যবহার করুন।
সূত্র: কান্ট্রি লিভিং ম্যাগাজিন, আর্থ সায়েন্স ডিজাইন

নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুলতে। নতুন বছরে আপনার যাপিত জীবন ও গৃহকোণকে প্রকৃতিবান্ধব করতে সহজ কিছু সংকল্প গ্রহণ করতে পারেন। সেটা হতে পারে আপনার রান্নাঘরে বর্জ্য কমানো, ঘরের আসবাব কমিয়ে আনা কিংবা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া। আপনার ছোট ছোট এই পদক্ষেপগুলোই ২০২৬ সালে আপনার ঘরকে করে তুলবে প্রাণবন্ত এবং পৃথিবীকে আরও সবুজ করে তুলবে।
রান্নাঘরে আনুন সচেতন পরিবর্তন
পরিবর্তনের শুরুটা হতে পারে আপনার রান্নাঘর থেকে। রান্নাঘরের বর্জ্য কমিয়ে পরিবেশবান্ধব করে তোলা মোটেও কঠিন কিছু নয়। ছোট ছোট কিছু স্মার্ট বদল আপনার রান্নাঘরকে দিতে পারে এক নতুন সজীবতা। যেমন খাবারের সতেজতা ধরে রাখতে প্লাস্টিকের ক্লিন ফিল্মের বদলে মৌমাছির মোমের তৈরি র্যাপ ব্যবহার করুন। এগুলো ধুয়ে বারবার ব্যবহার করা যায় এবং নষ্ট হলে অনায়াসেই মাটিতে মিশে যায়। স্যান্ডউইচ মোড়ানো বা বেঁচে যাওয়া খাবার ঢেকে রাখতে এটি সেরা। এমনকি সুতি কাপড়ে গলানো মোম লাগিয়ে আপনি নিজেই বাড়িতে এটি বানিয়ে নিতে পারেন।
অনেক টি-ব্যাগে ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। তাই টি-ব্যাগ বর্জন করে সরাসরি খোলা চা-পাতা ব্যবহার শুরু করুন। এতে চায়ের স্বাদ যেমন অটুট থাকে, তেমনি পরিবেশও বাঁচে। একবার ব্যবহারযোগ্য স্পঞ্জের বদলে কাঠের তৈরি ডিশ ব্রাশ এবং কম্পোস্টেবল (পচনশীল) ডিশ ক্লথ বা বাসন মোছার কাপড় ব্যবহার করুন। লিকুইড সাবানের প্লাস্টিক বোতলের ঝামেলা এড়াতে সলিড ডিশ সোপ ব্লক ব্যবহার করুন। এগুলো লিকুইড সাবানের মতোই কার্যকর কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করে না। এই সামান্য পরিবর্তনগুলোই আপনার রান্নাঘরকে একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব রূপ দিতে পারে। মৌসুমি ফল বা সবজি বেশি থাকলে তা সংরক্ষণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সবজি হালকা ভাপিয়ে ফ্রিজে রাখা কিংবা উদ্বৃত্ত ফল দিয়ে জ্যাম বা আচার তৈরি করা খাবার অপচয় রোধের অন্যতম সেরা উপায়।

পরিচ্ছন্নতায় আনুন প্রাকৃতিক সমাধান
বাজারের কড়া রাসায়নিকযুক্ত ক্লিনারের বদলে বেকিং সোডা এবং সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন। এগুলো দাগ দূর করতে এবং কার্পেট সতেজ রাখতে জাদুর মতো কাজ করে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সুগন্ধের জন্য জলে টি-ট্রি বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। টিস্যু পেপারের বদলে বাঁশের তৈরি কাপড় বা মাইক্রোফাইবার ক্লথ ব্যবহার করুন। আপনার বাগানের পুরোনো কাঠের প্যালেট দিয়ে বেঞ্চ বা টেবিল বানিয়ে নিতে পারেন। পুরোনো আসবাবের ওপর স্রেফ রঙের এক পোঁচ দিলেই তার হারানো জেল্লা ফিরে আসে। নতুন কেনার আগে বাড়িতে থাকা জিনিসের সৃজনশীল ব্যবহার পরিবেশের জন্য দারুণ এক উপহার। শাকসবজির খোসা, ডিমের খোসা বা কফির তলানি না ফেলে দিয়ে তা থেকে জৈব সার তৈরি করুন। এটি আপনার ঘরের বর্জ্য বহুগুণ কমিয়ে দেবে এবং বাগানের মাটিকে দেবে প্রচুর পুষ্টি। জায়গার অভাব থাকলে ছোট কম্পোস্ট বিন বা ‘ওয়ার্মারি’ ব্যবহার করতে পারেন।
ঘর গোছানো হোক উদ্দেশ্যপূর্ণ
নতুন বছরে ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা বা ‘ডিক্লাটারিং’ করাটা মনের জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক হতে পারে। তবে পরিবেশের কথা মাথায় রাখলে, কোনো কিছু রিসাইকেল করার চেয়ে তার ব্যবহার কমিয়ে আনা বা অন্য কাজে লাগানো বেশি জরুরি। মনে রাখবেন টেকসই জীবনের মূলমন্ত্র হলো রিডিউস (কমানো), রিইউজ (পুনরায় ব্যবহার) এবং রিসাইকেল (পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ)। একটি পুরোনো কাঠের বাক্স অনায়াসেই গাছের টব বা স্টোরেজ বক্সে রূপান্তরিত হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে পোশাক অদলবদল করুন অথবা চ্যারিটিতে দান করুন। সারা বছর পুদিনা, পার্সলে বা থাইম চাষ করে আপনি যেমন টাটকা স্বাদ পাবেন, তেমনি ঘরের বাতাসও থাকবে সতেজ। রোদ উজ্জ্বল জায়গায় এই ছোট ভেষজ বাগান (Herb garden) গড়ে তোলা সম্ভব। তবে মনে রাখবেন, পুদিনা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই একে আলাদা টবে রাখাই ভালো।

বাথরুম হোক প্লাস্টিকমুক্ত
প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর কথা উঠলে আমরা প্রায়ই বাথরুমের কথা ভুলে যাই। অথচ প্লাস্টিকমুক্ত জীবন শুরু করার জন্য এটিই সবচেয়ে সহজ জায়গা। ২০২৬ সালে আপনার বাথরুমকে প্লাস্টিকমুক্ত এবং স্টাইলিশ করে তুলতে এই ছোট পরিবর্তনগুলো করতে পারেন। প্লাস্টিকের টুথব্রাশ বা নখের ব্রাশের বদলে কাঠের ব্রাশ ব্যবহার শুরু করুন। এগুলো যেমন দীর্ঘস্থায়ী, তেমনি দেখতেও বেশ নান্দনিক। প্লাস্টিকের বোতলের ঝামেলা চিরতরে দূর করতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের বার (সাবানের মতো শক্ত বার) ব্যবহার করুন। এটি বাথরুম থেকে প্লাস্টিকের বোতলের স্তূপ কমাতে জাদুর মতো কাজ করে। একবার ব্যবহারযোগ্য বা ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক রেজারের বদলে সেফটি রেজার কিংবা বাঁশের হাতলওয়ালা রেজার বেছে নিন। এগুলো অনেক বেশি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এই সামান্য পরিবর্তনগুলো কেবল প্লাস্টিক বর্জ্যই কমাবে না, আপনার বাথরুমে যোগ করবে এক চমৎকার ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি’ আভিজাত্য।
নতুন বছরে সাসটেইনেবল ইন্টেরিয়র টিপস
নতুন বছরে ঘরের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আনতে চাইলে কিছু বাড়তি বিষয় মাথায় রাখতে পারেন:
এনার্জি অ্যাসেসমেন্ট: আপনার ঘরের বিদ্যুৎ খরচ কোথায় কমানো সম্ভব তা বুঝতে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।
সেকেন্ড-হ্যান্ড ফার্নিচার: নতুন আসবাবের বদলে পুরোনো বা অ্যান্টিক দোকান থেকে আসবাব সংগ্রহ করুন। এটি ঘরে একটি অনন্য আভিজাত্য যোগ করে।
গ্রে-ওয়াটার সিস্টেম: বাথরুমের ব্যবহৃত পানি বা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে তা বাগানে ব্যবহারের কথা ভাবুন।
ঘর সংস্কারের সময় স্থানীয় জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণিকুলের কথা মাথায় রেখে অ-বিষাক্ত উপাদান এবং নেটিভ গাছপালা ব্যবহার করুন।
সূত্র: কান্ট্রি লিভিং ম্যাগাজিন, আর্থ সায়েন্স ডিজাইন

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ দাঁত ব্রাশ করা। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু।
৪ ঘণ্টা আগে
ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ।
৬ ঘণ্টা আগে
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
খেসারি ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচের কুঁচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া, ধনিয়াগুঁড়া, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ এবং সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো।
প্রণালি
ভেজানো খেসারি ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর পাটায় বেঁটে নিন। একটি বাটিতে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজু ছেড়ে ডোবা তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও মুখরোচক গরম গরম পেঁয়াজু।

এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
খেসারি ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচের কুঁচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া, ধনিয়াগুঁড়া, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ এবং সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো।
প্রণালি
ভেজানো খেসারি ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর পাটায় বেঁটে নিন। একটি বাটিতে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজু ছেড়ে ডোবা তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও মুখরোচক গরম গরম পেঁয়াজু।

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ দাঁত ব্রাশ করা। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুল
২ ঘণ্টা আগে
ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ।
৬ ঘণ্টা আগে
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
১ দিন আগেফারিয়া রহমান খান

ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ। নতুন দম্পতি যাঁরা ছোট ফ্ল্যাটে সংসারজীবন শুরু করতে চলেছেন বা যাঁরা শিক্ষার্থী, শহরে ছোট বাসা নিয়ে থাকছেন, তাঁদের জন্য মাল্টিফাংশনাল আসবাব খুব কাজে দেয়। এতে ঘরের জায়গাও বাঁচে আবার এক আসবাবই হয়ে ওঠে বহু কাজের কাজী।
মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কী?
সহজ কথায়, যে ফার্নিচারগুলো একাধিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়, সেগুলোই মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার। যেমন একটি সোফা, যা রাতে আবার বিছানা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এগুলোকে বলা হয় সোফা কাম বেড। আবার একটি ডাইনিং টেবিল, যা প্রয়োজন শেষে ভাঁজ করে দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে রাখা যায়। তখন সেটি হয়ে ওঠে দেয়ালের সাজের একটা অংশ।
ছোট জায়গায় মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিচের টিপসগুলো কাজে লাগাতে পারেন।
দৈনন্দিন প্রয়োজন বুঝে নিন
ফার্নিচার কেনার আগে নিজের জীবনযাত্রা নিয়ে ভাবুন। আপনি বাসায় থেকে কাজ করেন কিনা বা প্রায়ই অতিথির সমাগম হয় কিনা তার ওপর আপনার ফার্নিচার নির্বাচন নির্ভর করবে। আপনি যদি বাসায় বসে অফিসের কাজ করেন, তবে এমন কফি টেবিল বেছে নিন, যা ডেস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। আবার প্রায় অতিথি এলে রাতে ঘুমানোর জন্য সোফা কাম বেড আপনার জন্য আদর্শ।

বহুমুখী ব্যবহারকে প্রাধান্য দিন
এমন আসবাব কিনুন, যা সহজেই একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। যেমন বসার পাশাপাশি শোয়া বা জিনিস রাখার কাজেও আসবে, এরকম ফার্নিচার নিলে একসঙ্গে একটাতেই অনেক কাজ হয়ে যাবে।
স্টোরেজ সুবিধা দেখে নিন
ছোট ঘরের প্রধান সমস্যা হলো জিনিসপত্র রাখার জায়গার অভাব। তাই হাইডিং স্টোরেজ সুবিধাসহ আসবাব কিনুন। যেমন ড্রয়ারযুক্ত বিছানা কিংবা ভেতরে ফাঁকা থাকা অটোমান বা বসার টুল। এগুলো ঘরকে জঞ্জালমুক্ত রাখবে।
দেয়ালের ব্যবহার
মেঝের জায়গা বাঁচাতে দেয়ালের উচ্চতাকে কাজে লাগান। লম্বা বুকশেলফ বা দেয়ালে সেট করা যায় এমন বুকশেলফ, ড্রেসিং টেবিল বা ডাইনিং টেবিলের ব্যবহার ঘর বড় ও খোলামেলা দেখাবে।
হালকা ও আরামদায়ক আসবাব
ভারী ও বড় আসবাব আসলে ছোট ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। চিকন ও মডুলার ডিজাইনের আসবাব কিনুন। ফোল্ডিং চেয়ার বা টেবিল প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করে সরিয়ে রাখা যায়, যা জায়গাও বাঁচায়।
রঙের সঠিক ব্যবহার
রঙের ওপর ঘরের প্রশস্ততা অনেকটাই নির্ভর করে। হালকা ও নিউট্রাল রং, যেমন সাদা, বেইজ বা হালকা ধূসর রঙে ঘর বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। হালকা রঙের ফার্নিচারও একই কাজ করে এবং ঘরকে অন্ধকার করে দেয় না।

পরিমাণের চেয়ে গুণগত মান দেখুন
অনেক সস্তা ও কম কাজের আসবাব দিয়ে ঘর না ভরিয়ে কয়েকটি মানসম্পন্ন মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কিনুন। মানসম্পন্ন একটি সোফা-কাম-বেড বা অ্যাডজাস্টেবল ওয়ার্কস্টেশন আপনার দীর্ঘদিনের সঙ্গী হয়ে ঘরে একটা মিনিমালিস্টিক লুক বজায় রাখবে।
কমেন্ট (কোট আনকোট করে লেখার মাঝখানে দেবেন)
ছোট বাসা সাজাতে এমন মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করতে হবে, যেগুলোর গড়ন সোজাসাপ্টা ও যত্ন নেওয়া সহজ। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে নিচু আসবাব বাছাই করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। বেছে নিতে হবে মিনিমাল আসবাব। এতে করে ঘরের আয়তন অনেকটাই বড় দেখাবে। এতে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং ঘরটাকেও বড় দেখাবে।
রুম্মান আরা ফারুকী
প্রধান স্থপতি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টুডিও স্বয়ং

ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ। নতুন দম্পতি যাঁরা ছোট ফ্ল্যাটে সংসারজীবন শুরু করতে চলেছেন বা যাঁরা শিক্ষার্থী, শহরে ছোট বাসা নিয়ে থাকছেন, তাঁদের জন্য মাল্টিফাংশনাল আসবাব খুব কাজে দেয়। এতে ঘরের জায়গাও বাঁচে আবার এক আসবাবই হয়ে ওঠে বহু কাজের কাজী।
মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কী?
সহজ কথায়, যে ফার্নিচারগুলো একাধিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়, সেগুলোই মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার। যেমন একটি সোফা, যা রাতে আবার বিছানা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এগুলোকে বলা হয় সোফা কাম বেড। আবার একটি ডাইনিং টেবিল, যা প্রয়োজন শেষে ভাঁজ করে দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে রাখা যায়। তখন সেটি হয়ে ওঠে দেয়ালের সাজের একটা অংশ।
ছোট জায়গায় মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিচের টিপসগুলো কাজে লাগাতে পারেন।
দৈনন্দিন প্রয়োজন বুঝে নিন
ফার্নিচার কেনার আগে নিজের জীবনযাত্রা নিয়ে ভাবুন। আপনি বাসায় থেকে কাজ করেন কিনা বা প্রায়ই অতিথির সমাগম হয় কিনা তার ওপর আপনার ফার্নিচার নির্বাচন নির্ভর করবে। আপনি যদি বাসায় বসে অফিসের কাজ করেন, তবে এমন কফি টেবিল বেছে নিন, যা ডেস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। আবার প্রায় অতিথি এলে রাতে ঘুমানোর জন্য সোফা কাম বেড আপনার জন্য আদর্শ।

বহুমুখী ব্যবহারকে প্রাধান্য দিন
এমন আসবাব কিনুন, যা সহজেই একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। যেমন বসার পাশাপাশি শোয়া বা জিনিস রাখার কাজেও আসবে, এরকম ফার্নিচার নিলে একসঙ্গে একটাতেই অনেক কাজ হয়ে যাবে।
স্টোরেজ সুবিধা দেখে নিন
ছোট ঘরের প্রধান সমস্যা হলো জিনিসপত্র রাখার জায়গার অভাব। তাই হাইডিং স্টোরেজ সুবিধাসহ আসবাব কিনুন। যেমন ড্রয়ারযুক্ত বিছানা কিংবা ভেতরে ফাঁকা থাকা অটোমান বা বসার টুল। এগুলো ঘরকে জঞ্জালমুক্ত রাখবে।
দেয়ালের ব্যবহার
মেঝের জায়গা বাঁচাতে দেয়ালের উচ্চতাকে কাজে লাগান। লম্বা বুকশেলফ বা দেয়ালে সেট করা যায় এমন বুকশেলফ, ড্রেসিং টেবিল বা ডাইনিং টেবিলের ব্যবহার ঘর বড় ও খোলামেলা দেখাবে।
হালকা ও আরামদায়ক আসবাব
ভারী ও বড় আসবাব আসলে ছোট ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। চিকন ও মডুলার ডিজাইনের আসবাব কিনুন। ফোল্ডিং চেয়ার বা টেবিল প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করে সরিয়ে রাখা যায়, যা জায়গাও বাঁচায়।
রঙের সঠিক ব্যবহার
রঙের ওপর ঘরের প্রশস্ততা অনেকটাই নির্ভর করে। হালকা ও নিউট্রাল রং, যেমন সাদা, বেইজ বা হালকা ধূসর রঙে ঘর বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। হালকা রঙের ফার্নিচারও একই কাজ করে এবং ঘরকে অন্ধকার করে দেয় না।

পরিমাণের চেয়ে গুণগত মান দেখুন
অনেক সস্তা ও কম কাজের আসবাব দিয়ে ঘর না ভরিয়ে কয়েকটি মানসম্পন্ন মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কিনুন। মানসম্পন্ন একটি সোফা-কাম-বেড বা অ্যাডজাস্টেবল ওয়ার্কস্টেশন আপনার দীর্ঘদিনের সঙ্গী হয়ে ঘরে একটা মিনিমালিস্টিক লুক বজায় রাখবে।
কমেন্ট (কোট আনকোট করে লেখার মাঝখানে দেবেন)
ছোট বাসা সাজাতে এমন মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করতে হবে, যেগুলোর গড়ন সোজাসাপ্টা ও যত্ন নেওয়া সহজ। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে নিচু আসবাব বাছাই করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। বেছে নিতে হবে মিনিমাল আসবাব। এতে করে ঘরের আয়তন অনেকটাই বড় দেখাবে। এতে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং ঘরটাকেও বড় দেখাবে।
রুম্মান আরা ফারুকী
প্রধান স্থপতি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টুডিও স্বয়ং

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ দাঁত ব্রাশ করা। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুল
২ ঘণ্টা আগে
এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু।
৪ ঘণ্টা আগে
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
জাপানি সমাজে ‘হারিয়ো’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে। এই সংস্কৃতিতে মানুষ সব সময় আশপাশের পরিবেশ ও অন্যের অনুভূতির প্রতি সচেতন; যাতে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে। তবে এই অলিখিত নিয়মগুলো বিদেশিদের জন্য অনেক সময় বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
২০২৫ সালে মার্কিন ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন কঁদে নাস্ত ট্রাভেলারের পাঠক জরিপে জাপান ‘বিশ্বের সেরা দেশ’ নির্বাচিত হওয়ার পর টোকিওতে বসবাসরত খাদ্য ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ টোকিও হালফি পর্যটকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত পরামর্শ তুলে ধরেন।
নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছানো
জাপানে সময়নিষ্ঠা শুধু ভদ্রতা নয়, এটি দায়িত্ববোধ। এখানে ‘ঠিক সময়ে পৌঁছানো’ বলতে বোঝায় ৫-১০ মিনিট আগে উপস্থিত হওয়া; বিশেষ করে রেস্তোরাঁয় বুকিং থাকলে। দেরি করাকে এখানে খুবই অসম্মানজনক হিসেবে দেখা হয়। তাই যাতায়াতের সময় সব ধরনের বিলম্বের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা জরুরি।
নীরব থাকা শিষ্টাচার
জাপানিরা শান্ত পরিবেশকে খুব গুরুত্ব দেন। ট্রেন, বাস, রেস্তোরাঁ বা যেকোনো পাবলিক স্থানে উচ্চ স্বরে কথা বলা উচিত নয়। ধীর ও শান্ত কণ্ঠে কথা বলাকে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ধরা হয়।
‘মোত্তাইনাই’ সংস্কৃতি বুঝুন
‘মোত্তাইনাই’ মানে অপচয় না করা। খাবার, সময় বা পরিশ্রম—কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়। সেটাই এই দর্শনের মূল কথা। খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্ডার না করা, প্রতিটি খাবারের পেছনের শ্রম ও উপাদানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। এসবই এই সংস্কৃতির অংশ।
খাবারের টেবিলে শালীনতা
জাপানে খাওয়া শুধু দৈনন্দিন কাজ নয়, এটি সাংস্কৃতিক আচারের অংশ। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—
গণপরিবহনে শিষ্টাচার
জাপানের গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নীরবতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফোন সাইলেন্ট রাখতে হয়, উচ্চ স্বরে কথা বলা অনুচিত। সাধারণ ট্রেন বা বাসে খাবার খাওয়া নিষেধ। লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জাপানিরা খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ। আগে নামা যাত্রীদের নামতে দেওয়া হয়। এসকেলেটরেও নিয়ম আছে, টোকিওতে বাঁ পাশে দাঁড়ানো হয়, ওসাকায় ডান পাশে। স্থানীয়দের দেখে অনুসরণ করাই সবচেয়ে ভালো।
আবর্জনা নিজের দায়িত্ব
জাপানের রাস্তাঘাট পরিষ্কার হলেও সেখানে ডাস্টবিন খুব কম দেখা যায়। মানুষ সাধারণত নিজের আবর্জনা ব্যাগে রেখে দেয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আলাদা ভাগে (প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদি) ফেলে।
ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান
জাপানিরা ব্যক্তিগত পরিসরকে খুব গুরুত্ব দেন। অপরিচিত কাউকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অস্বস্তিকর হতে পারে। করমর্দনের বদলে হালকা নত হয়ে অভিবাদন জানানোই প্রচলিত। প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ আচরণও সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রাফিক আইন মানা
খালি রাস্তা হলেও জাপানিরা সবুজসংকেত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নিয়ম মেনে চলাই এখানে সামাজিক দায়িত্বের অংশ। পর্যটকদেরও সেটি অনুসরণ করা উচিত।
কথার আড়ালের অর্থ বোঝা জরুরি
জাপানিরা সাধারণত সরাসরি ‘না’ বলেন না। ‘কঠিন হবে’ বা ‘পরে দেখা যাবে’—এ ধরনের কথার আড়ালে ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান লুকিয়ে থাকতে পারে। এখানে ‘হোননে’ (মনের কথা) ও ‘তাতেমায়ে’ (সামাজিক মুখোশ) এই দুই ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সংঘাত এড়িয়ে সামাজিক সামঞ্জস্য বজায় রাখাই মুখ্য।
সূত্র: সিএন ট্রাভেলার

নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
জাপানি সমাজে ‘হারিয়ো’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে। এই সংস্কৃতিতে মানুষ সব সময় আশপাশের পরিবেশ ও অন্যের অনুভূতির প্রতি সচেতন; যাতে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে। তবে এই অলিখিত নিয়মগুলো বিদেশিদের জন্য অনেক সময় বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
২০২৫ সালে মার্কিন ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন কঁদে নাস্ত ট্রাভেলারের পাঠক জরিপে জাপান ‘বিশ্বের সেরা দেশ’ নির্বাচিত হওয়ার পর টোকিওতে বসবাসরত খাদ্য ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ টোকিও হালফি পর্যটকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত পরামর্শ তুলে ধরেন।
নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছানো
জাপানে সময়নিষ্ঠা শুধু ভদ্রতা নয়, এটি দায়িত্ববোধ। এখানে ‘ঠিক সময়ে পৌঁছানো’ বলতে বোঝায় ৫-১০ মিনিট আগে উপস্থিত হওয়া; বিশেষ করে রেস্তোরাঁয় বুকিং থাকলে। দেরি করাকে এখানে খুবই অসম্মানজনক হিসেবে দেখা হয়। তাই যাতায়াতের সময় সব ধরনের বিলম্বের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা জরুরি।
নীরব থাকা শিষ্টাচার
জাপানিরা শান্ত পরিবেশকে খুব গুরুত্ব দেন। ট্রেন, বাস, রেস্তোরাঁ বা যেকোনো পাবলিক স্থানে উচ্চ স্বরে কথা বলা উচিত নয়। ধীর ও শান্ত কণ্ঠে কথা বলাকে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ধরা হয়।
‘মোত্তাইনাই’ সংস্কৃতি বুঝুন
‘মোত্তাইনাই’ মানে অপচয় না করা। খাবার, সময় বা পরিশ্রম—কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়। সেটাই এই দর্শনের মূল কথা। খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্ডার না করা, প্রতিটি খাবারের পেছনের শ্রম ও উপাদানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। এসবই এই সংস্কৃতির অংশ।
খাবারের টেবিলে শালীনতা
জাপানে খাওয়া শুধু দৈনন্দিন কাজ নয়, এটি সাংস্কৃতিক আচারের অংশ। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—
গণপরিবহনে শিষ্টাচার
জাপানের গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নীরবতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফোন সাইলেন্ট রাখতে হয়, উচ্চ স্বরে কথা বলা অনুচিত। সাধারণ ট্রেন বা বাসে খাবার খাওয়া নিষেধ। লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জাপানিরা খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ। আগে নামা যাত্রীদের নামতে দেওয়া হয়। এসকেলেটরেও নিয়ম আছে, টোকিওতে বাঁ পাশে দাঁড়ানো হয়, ওসাকায় ডান পাশে। স্থানীয়দের দেখে অনুসরণ করাই সবচেয়ে ভালো।
আবর্জনা নিজের দায়িত্ব
জাপানের রাস্তাঘাট পরিষ্কার হলেও সেখানে ডাস্টবিন খুব কম দেখা যায়। মানুষ সাধারণত নিজের আবর্জনা ব্যাগে রেখে দেয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আলাদা ভাগে (প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদি) ফেলে।
ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান
জাপানিরা ব্যক্তিগত পরিসরকে খুব গুরুত্ব দেন। অপরিচিত কাউকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অস্বস্তিকর হতে পারে। করমর্দনের বদলে হালকা নত হয়ে অভিবাদন জানানোই প্রচলিত। প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ আচরণও সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রাফিক আইন মানা
খালি রাস্তা হলেও জাপানিরা সবুজসংকেত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নিয়ম মেনে চলাই এখানে সামাজিক দায়িত্বের অংশ। পর্যটকদেরও সেটি অনুসরণ করা উচিত।
কথার আড়ালের অর্থ বোঝা জরুরি
জাপানিরা সাধারণত সরাসরি ‘না’ বলেন না। ‘কঠিন হবে’ বা ‘পরে দেখা যাবে’—এ ধরনের কথার আড়ালে ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান লুকিয়ে থাকতে পারে। এখানে ‘হোননে’ (মনের কথা) ও ‘তাতেমায়ে’ (সামাজিক মুখোশ) এই দুই ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সংঘাত এড়িয়ে সামাজিক সামঞ্জস্য বজায় রাখাই মুখ্য।
সূত্র: সিএন ট্রাভেলার

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ দাঁত ব্রাশ করা। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নতুন বছর মানেই নতুন শুরুর সতেজতা। আমরা অনেকেই চাই আমাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। নতুন ডায়েট, নতুন জামা, নতুন বছর। ২০২৬ সালে আপনার সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে আপনার নিজের ঘর। বড় কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট এবং চিন্তাশীল কিছু অভ্যাসই পারে আপনার ঘরকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুল
২ ঘণ্টা আগে
এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু।
৪ ঘণ্টা আগে
ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ।
৬ ঘণ্টা আগে