
পুরো দিন দাবদাহে কাটানোর পর সন্ধ্যায় যখনই বারান্দার দরজার কপাট খুললেন, বৃষ্টিভেজা বাতাসের এক ঝাপটা এসে লাগল চোখেমুখে। নিমেষেই হৃদয় ভুলতে বসল গ্রীষ্মের ঘামে ভেজা স্মৃতির কথা। কখন বৃষ্টি নামবে, এই ক্ষণ গুনতে গুনতেই ঋতুর বেদিতে আসন পাতল বর্ষা।
আজ পয়লা আষাঢ়, বর্ষার প্রথম দিন। তপ্ত রোদ্দুর থেকে এবার একটু রেহাই পাওয়ার আশা করাই যায়। আকাশে মেঘ দেখলেই মনে বেজে উঠছে সেই গান, ‘… এসো করো স্নান নবধারাজলে...’। কখনো কানে সুধা ঢালে ‘এমনও দিনে তারে বলা যায়, এমনও ঘনঘোর বরিষায়…।’
কেবল শীতলতার গল্প বললেই বর্ষার পাট চুকে যায় না। বর্ষা যে হৃদয়ে নতুন করে প্রেম জাগায়, পুরোনো প্রেমকেও করে তোলে সতেজ—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো বর্ষার প্রথম দিনেই আলমারিতে নীল শাড়ির খোঁজ পড়ে। খোঁজ পড়ে নীল পাঞ্জাবির। বর্ষায় সাজ-সমাহার, নীলাভ রং, আবহাওয়া—সবটা মিলে হৃদয়ে প্রেমের আগমনও যেন হয় জাদুমায়া ঘেরা আগন্তুকের মতো।
আকাশ কালো করে যখন মেঘ জড়ো হয়, এক মিষ্টি হাওয়া যখন মাতাল হয়ে উড়ে বেড়ায়, তখন কখনো মন চায় বেরিয়ে পড়তে, আবার কখনো পুরো সময়টা প্রিয় মানুষের কাঁধে মাথা রেখে বারান্দায় বসেই কাটিয়ে দিতে মন চায়। তখন ব্রহ্মাণ্ড হৃদয়জুড়ে! মনে মনে স্নান করা হয় ভেজা বরষায়। হৃদয়ে যখন অকূলপাথার, তখন চুপিসারে আশ্রয় নেওয়া চাই প্রিয়তমর বুকে। কারই বা সাধ্য আছে সে কথা জানার, বাধা দেওয়ার? রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘সে কথা শুনিবে না কেহ আর/ নিভৃত নির্জন চারি ধার।’
বর্ষায় প্রকৃতি যেমন সেজে ওঠে নবরূপে, তেমনি রোম্যান্টিক মনও নিজেকে সাজাতে চায় বর্ষার সাজে। স্বীকার করতে না চাইলেও বিশেষ দিনগুলোতে আয়নায় আমরা নিজেদের সেভাবেই দেখি, যেভাবে প্রিয় মানুষটি আমাদের দেখতে চান। আর বর্ষায় প্রিয় মানুষটির সঙ্গে অভিসারে যাওয়া হলে ব্যাপারটা একটু ভিন্নই থাকে বৈকি! কখনো কখনো কপালের টিপ, চোখে কাজলের রেখা, যত্নে ভাঙা নীল শাড়ির ভাঁজ, গলায় বা চুলে ফুলের মালা যেন তাঁর চোখে সঁপে দেওয়ার জন্যই। উল্টো দিকে ইস্ত্রি করা কাপড়ে ঝাঁজালো সুগন্ধির পরিবর্তে একটু কোমল সুবাসই কাপড়ে মেখে নিচ্ছেন সুদর্শন তরুণ। কারণ একটাই, সে আসবে বলে। বিশেষ দিনটিতে তাকে মনে করেই যখন তৈরি হওয়া, তখন কয়েকটি কথা তো মনে রাখা চাই।
বর্ষা এমন এক ঋতু, যখন সব রঙের পোশাকই পরা যায়। তবে ডিজাইনারদের ভাষ্য, এই ঋতুতে গাঢ় রঙের পোশাক পরাই ভালো। গাঢ় বেগুনি, নীল, কালো, ফরেস্ট গ্রিন, ম্যাজেন্টা, জলপাই, মেরুন, নেভি ব্লু, সি গ্রিন খুব ভালো রং বর্ষাকালে পরার জন্য। কারণ এ সময় রাস্তাঘাটে কাদাপানি জমে। তাই হালকা রঙের জামা পরলে চলাচলের সময় কাদাপানি ছিটে কাপড়ে দাগ লাগতে পারে। হালকা রঙের কাপড় থেকে এসব দাগ তোলা খুব কঠিন। বর্ষাকালে পোশাক নির্বাচনের বেলায় একটু সতর্কও থাকতে হয়, যেন কাদাজলে কাপড় নষ্ট না হয় আর বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও যেন দ্রুত শুকিয়ে যায়।
বর্ষার দিনে যদি শাড়ি পরে বের হতে চান, তাহলে উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের হাফ সিল্ক, শিফন, জর্জেট বা সাটিনের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। সুতি পরতে হলে হ্যান্ডলুমের পাতলা শাড়ি পরতে পারেন। তবে সুতির পরিবর্তে এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের ব্লাউজ পরাই ভালো। বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও এগুলো সহজে শুকিয়ে যাবে এবং বাড়ি ফিরে শাড়ি ধুয়ে নেওয়াও সহজ।
পুরুষদের বেলায়ও একই কথা। পোশাক নির্বাচনের সময় কোন ধরনের কাপড়কে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তা এই ঋতুতে মনে রাখা চাই খুব ভালোভাবে। নয়তো পুরো দিনটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
তাই দুজনে মিলে ছাদে বা উন্মুক্ত প্রান্তরে বৃষ্টিতে ভেজার আগে এ বিষয়গুলোও মনে রাখা চাই কিন্তু!

পুরো দিন দাবদাহে কাটানোর পর সন্ধ্যায় যখনই বারান্দার দরজার কপাট খুললেন, বৃষ্টিভেজা বাতাসের এক ঝাপটা এসে লাগল চোখেমুখে। নিমেষেই হৃদয় ভুলতে বসল গ্রীষ্মের ঘামে ভেজা স্মৃতির কথা। কখন বৃষ্টি নামবে, এই ক্ষণ গুনতে গুনতেই ঋতুর বেদিতে আসন পাতল বর্ষা।
আজ পয়লা আষাঢ়, বর্ষার প্রথম দিন। তপ্ত রোদ্দুর থেকে এবার একটু রেহাই পাওয়ার আশা করাই যায়। আকাশে মেঘ দেখলেই মনে বেজে উঠছে সেই গান, ‘… এসো করো স্নান নবধারাজলে...’। কখনো কানে সুধা ঢালে ‘এমনও দিনে তারে বলা যায়, এমনও ঘনঘোর বরিষায়…।’
কেবল শীতলতার গল্প বললেই বর্ষার পাট চুকে যায় না। বর্ষা যে হৃদয়ে নতুন করে প্রেম জাগায়, পুরোনো প্রেমকেও করে তোলে সতেজ—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো বর্ষার প্রথম দিনেই আলমারিতে নীল শাড়ির খোঁজ পড়ে। খোঁজ পড়ে নীল পাঞ্জাবির। বর্ষায় সাজ-সমাহার, নীলাভ রং, আবহাওয়া—সবটা মিলে হৃদয়ে প্রেমের আগমনও যেন হয় জাদুমায়া ঘেরা আগন্তুকের মতো।
আকাশ কালো করে যখন মেঘ জড়ো হয়, এক মিষ্টি হাওয়া যখন মাতাল হয়ে উড়ে বেড়ায়, তখন কখনো মন চায় বেরিয়ে পড়তে, আবার কখনো পুরো সময়টা প্রিয় মানুষের কাঁধে মাথা রেখে বারান্দায় বসেই কাটিয়ে দিতে মন চায়। তখন ব্রহ্মাণ্ড হৃদয়জুড়ে! মনে মনে স্নান করা হয় ভেজা বরষায়। হৃদয়ে যখন অকূলপাথার, তখন চুপিসারে আশ্রয় নেওয়া চাই প্রিয়তমর বুকে। কারই বা সাধ্য আছে সে কথা জানার, বাধা দেওয়ার? রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘সে কথা শুনিবে না কেহ আর/ নিভৃত নির্জন চারি ধার।’
বর্ষায় প্রকৃতি যেমন সেজে ওঠে নবরূপে, তেমনি রোম্যান্টিক মনও নিজেকে সাজাতে চায় বর্ষার সাজে। স্বীকার করতে না চাইলেও বিশেষ দিনগুলোতে আয়নায় আমরা নিজেদের সেভাবেই দেখি, যেভাবে প্রিয় মানুষটি আমাদের দেখতে চান। আর বর্ষায় প্রিয় মানুষটির সঙ্গে অভিসারে যাওয়া হলে ব্যাপারটা একটু ভিন্নই থাকে বৈকি! কখনো কখনো কপালের টিপ, চোখে কাজলের রেখা, যত্নে ভাঙা নীল শাড়ির ভাঁজ, গলায় বা চুলে ফুলের মালা যেন তাঁর চোখে সঁপে দেওয়ার জন্যই। উল্টো দিকে ইস্ত্রি করা কাপড়ে ঝাঁজালো সুগন্ধির পরিবর্তে একটু কোমল সুবাসই কাপড়ে মেখে নিচ্ছেন সুদর্শন তরুণ। কারণ একটাই, সে আসবে বলে। বিশেষ দিনটিতে তাকে মনে করেই যখন তৈরি হওয়া, তখন কয়েকটি কথা তো মনে রাখা চাই।
বর্ষা এমন এক ঋতু, যখন সব রঙের পোশাকই পরা যায়। তবে ডিজাইনারদের ভাষ্য, এই ঋতুতে গাঢ় রঙের পোশাক পরাই ভালো। গাঢ় বেগুনি, নীল, কালো, ফরেস্ট গ্রিন, ম্যাজেন্টা, জলপাই, মেরুন, নেভি ব্লু, সি গ্রিন খুব ভালো রং বর্ষাকালে পরার জন্য। কারণ এ সময় রাস্তাঘাটে কাদাপানি জমে। তাই হালকা রঙের জামা পরলে চলাচলের সময় কাদাপানি ছিটে কাপড়ে দাগ লাগতে পারে। হালকা রঙের কাপড় থেকে এসব দাগ তোলা খুব কঠিন। বর্ষাকালে পোশাক নির্বাচনের বেলায় একটু সতর্কও থাকতে হয়, যেন কাদাজলে কাপড় নষ্ট না হয় আর বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও যেন দ্রুত শুকিয়ে যায়।
বর্ষার দিনে যদি শাড়ি পরে বের হতে চান, তাহলে উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের হাফ সিল্ক, শিফন, জর্জেট বা সাটিনের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। সুতি পরতে হলে হ্যান্ডলুমের পাতলা শাড়ি পরতে পারেন। তবে সুতির পরিবর্তে এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের ব্লাউজ পরাই ভালো। বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও এগুলো সহজে শুকিয়ে যাবে এবং বাড়ি ফিরে শাড়ি ধুয়ে নেওয়াও সহজ।
পুরুষদের বেলায়ও একই কথা। পোশাক নির্বাচনের সময় কোন ধরনের কাপড়কে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তা এই ঋতুতে মনে রাখা চাই খুব ভালোভাবে। নয়তো পুরো দিনটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
তাই দুজনে মিলে ছাদে বা উন্মুক্ত প্রান্তরে বৃষ্টিতে ভেজার আগে এ বিষয়গুলোও মনে রাখা চাই কিন্তু!

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
৩৪ মিনিট আগে
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
১৯ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
২১ ঘণ্টা আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
মাফিন কেক

উপকরণ
একটা ডিম, ২০০ গ্রাম গুঁড়া চিনি, ১২০ মিলিলিটার দুধ, ১২০ মিলিলিটার সাদা তেল, এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার, এক কাপ ময়দা, পাঁচ গ্রাম বেকিং সোডা, এক চিমটি লবণ।
প্রণালি
প্রথমে একটা পাত্রে ডিম, চিনি, দুধ, সাদা তেল, ভিনেগার একসঙ্গে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা মসৃণ, ক্রিমি হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে রেখা দিন। অন্য একটা পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা, লবণ ভালো করে ছেঁকে (যাতে ময়দার কোন লাম্প বা দলা না থাকে) মেশাতে হবে। এবার ধীরে ধীরে ডিম ফ্যাটানো পাত্রের মধ্যে এই শুকনো উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কাপ কেক মোল্ডারের মধ্যে সমপরিমাণে ওই মিশ্রণ দিয়ে একটু ট্যাপ করে নিতে হবে; যাতে কোনো বাবল না থাকে।
ওভেন করে নিতে হবে ১৮০ ডিগ্রিতে। একই তাপে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার মাফিন কেক।
ড্রাই ফ্রুট কেক

উপকরণ
১০০ গ্রাম ময়দা, ১০০ গ্রাম চিনি, ১০০ গ্রাম বাটার, দুটি ডিম, বড় আকারের একটা কমলালেবু। ১ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ চা-চামচ বেকিং পাউডার, সামান্য লবণ, দেড় টেবিল চামচ ক্যারামেল সস, শুকনো কাজু, আমন্ড, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ, মোরব্বা, খেজুর, টুটি ফ্রুটি, চেরি, ১ চা-চামচ মসলা।
ক্যারামেল সস
একটা সস প্যান চুলায় বসিয়ে গরম করে তাতে আধা কাপ চিনি দিতে হবে। হালকা আঁচে চিনি গলিয়ে নিন। বাদামি রং হলে তাতে পরিমাণমতো পানি দিন। ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন, যাতে এটি রঙের জন্য কেকে ব্যবহার করা যায়।
প্রণালি
প্রথমে কমলালেবুর ওপরের খোসা গ্রেটার দিয়ে ঘষে নিন। সাদা অংশ নেওয়া যাবে না। এরপর কমলালেবু থেকে রস বের করে নিতে হবে। এই রসে টুটি ফ্রুটি, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। ১০০ গ্রাম চিনি গুঁড়া করে নিয়ে তাতে ভ্যানিলা এসেন্স ও বাটার দিতে হবে। চিনি, এসেন্স আর বাটার বেলুন হুইক্স দিয়ে খুব ভালো করে বিট করে নিতে হবে। বাটারের কালার পুরো সাদা হয়ে যাবে। তখন এর মধ্যে দুটো ডিম দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০০ গ্রাম ময়দা, এক চা-চামচ বেকিং পাউডার ও এক চিমটি লবণ এতে যোগ করতে হবে চালুনি দিয়ে চেলে। ময়দা দেওয়ার পর ভালো করে আবারও মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে দিতে হবে ক্যারামেল সস, কমলালেবুতে ভেজানো ফ্রুটসসহ লেবুর রস, গ্রেট করা কমলালেবুর খোসা এবং অন্যান্য শুকনো ফল। সবকিছু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার আগে থেকে রেডি করে রাখা একটা ছয় ইঞ্চির বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢেলে দিতে হবে। এই বাটিতে বাটার বা তেল মাখিয়ে তার ভেতরে বাটার পেপার দিয়ে রাখতে হবে। বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢালার পর বাটি একটু ট্যাপ করে নিতে হবে। এরপর ওপরে ইচ্ছা অনুযায়ী শুকনো ফল সাজিয়ে দিতে হবে।
এবার মাইক্রোওভেন ১৮০ ডিগ্রি তাপে প্রি-হিট করে নিতে হবে ৫ মিনিট। এপর বাটিটা বসিয়ে বেক করতে দিতে হবে এক ঘণ্টা। অবশ্য বেকিং টাইম কখনো বেশিও লাগতে পারে।
তবে যদি ওভেন না থাকে, তাহলে এই কেক গ্যাসের তাপেও তৈরি করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি কড়াইতে ছোট স্ট্যান্ড বসিয়ে নিন। তারপর ভালো করে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট প্রি-হিট করে নিতে হবে। এবার প্রি-হিট করা কড়াইয়ের মধ্যে বাটিটি বসিয়ে দিতে হবে। বসিয়ে আবারও ঢাকা দিয়ে মোটামুটি এক থেকে দেড় ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে ফ্রুট কেক তৈরি করতে।
নামাবার আগে কেকে টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিতে হবে কেক বেক হয়েছে কি না। হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট রেখে তারপর কেকটা বের করে নিতে হবে।

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
মাফিন কেক

উপকরণ
একটা ডিম, ২০০ গ্রাম গুঁড়া চিনি, ১২০ মিলিলিটার দুধ, ১২০ মিলিলিটার সাদা তেল, এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার, এক কাপ ময়দা, পাঁচ গ্রাম বেকিং সোডা, এক চিমটি লবণ।
প্রণালি
প্রথমে একটা পাত্রে ডিম, চিনি, দুধ, সাদা তেল, ভিনেগার একসঙ্গে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা মসৃণ, ক্রিমি হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে রেখা দিন। অন্য একটা পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা, লবণ ভালো করে ছেঁকে (যাতে ময়দার কোন লাম্প বা দলা না থাকে) মেশাতে হবে। এবার ধীরে ধীরে ডিম ফ্যাটানো পাত্রের মধ্যে এই শুকনো উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কাপ কেক মোল্ডারের মধ্যে সমপরিমাণে ওই মিশ্রণ দিয়ে একটু ট্যাপ করে নিতে হবে; যাতে কোনো বাবল না থাকে।
ওভেন করে নিতে হবে ১৮০ ডিগ্রিতে। একই তাপে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার মাফিন কেক।
ড্রাই ফ্রুট কেক

উপকরণ
১০০ গ্রাম ময়দা, ১০০ গ্রাম চিনি, ১০০ গ্রাম বাটার, দুটি ডিম, বড় আকারের একটা কমলালেবু। ১ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ চা-চামচ বেকিং পাউডার, সামান্য লবণ, দেড় টেবিল চামচ ক্যারামেল সস, শুকনো কাজু, আমন্ড, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ, মোরব্বা, খেজুর, টুটি ফ্রুটি, চেরি, ১ চা-চামচ মসলা।
ক্যারামেল সস
একটা সস প্যান চুলায় বসিয়ে গরম করে তাতে আধা কাপ চিনি দিতে হবে। হালকা আঁচে চিনি গলিয়ে নিন। বাদামি রং হলে তাতে পরিমাণমতো পানি দিন। ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন, যাতে এটি রঙের জন্য কেকে ব্যবহার করা যায়।
প্রণালি
প্রথমে কমলালেবুর ওপরের খোসা গ্রেটার দিয়ে ঘষে নিন। সাদা অংশ নেওয়া যাবে না। এরপর কমলালেবু থেকে রস বের করে নিতে হবে। এই রসে টুটি ফ্রুটি, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। ১০০ গ্রাম চিনি গুঁড়া করে নিয়ে তাতে ভ্যানিলা এসেন্স ও বাটার দিতে হবে। চিনি, এসেন্স আর বাটার বেলুন হুইক্স দিয়ে খুব ভালো করে বিট করে নিতে হবে। বাটারের কালার পুরো সাদা হয়ে যাবে। তখন এর মধ্যে দুটো ডিম দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০০ গ্রাম ময়দা, এক চা-চামচ বেকিং পাউডার ও এক চিমটি লবণ এতে যোগ করতে হবে চালুনি দিয়ে চেলে। ময়দা দেওয়ার পর ভালো করে আবারও মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে দিতে হবে ক্যারামেল সস, কমলালেবুতে ভেজানো ফ্রুটসসহ লেবুর রস, গ্রেট করা কমলালেবুর খোসা এবং অন্যান্য শুকনো ফল। সবকিছু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার আগে থেকে রেডি করে রাখা একটা ছয় ইঞ্চির বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢেলে দিতে হবে। এই বাটিতে বাটার বা তেল মাখিয়ে তার ভেতরে বাটার পেপার দিয়ে রাখতে হবে। বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢালার পর বাটি একটু ট্যাপ করে নিতে হবে। এরপর ওপরে ইচ্ছা অনুযায়ী শুকনো ফল সাজিয়ে দিতে হবে।
এবার মাইক্রোওভেন ১৮০ ডিগ্রি তাপে প্রি-হিট করে নিতে হবে ৫ মিনিট। এপর বাটিটা বসিয়ে বেক করতে দিতে হবে এক ঘণ্টা। অবশ্য বেকিং টাইম কখনো বেশিও লাগতে পারে।
তবে যদি ওভেন না থাকে, তাহলে এই কেক গ্যাসের তাপেও তৈরি করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি কড়াইতে ছোট স্ট্যান্ড বসিয়ে নিন। তারপর ভালো করে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট প্রি-হিট করে নিতে হবে। এবার প্রি-হিট করা কড়াইয়ের মধ্যে বাটিটি বসিয়ে দিতে হবে। বসিয়ে আবারও ঢাকা দিয়ে মোটামুটি এক থেকে দেড় ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে ফ্রুট কেক তৈরি করতে।
নামাবার আগে কেকে টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিতে হবে কেক বেক হয়েছে কি না। হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট রেখে তারপর কেকটা বের করে নিতে হবে।

পুরো দিন দাবদাহে কাটানোর পর সন্ধ্যায় যখনই বারান্দার দরজার কপাট খুললেন, বৃষ্টিভেজা বাতাসের এক ঝাপটা এসে লাগল চোখে-মুখে। নিমেষেই হৃদয় ভুলতে বসল গ্রীষ্মের ঘামে ভেজা স্মৃতির কথা। কখন বৃষ্টি নামবে, এই ক্ষণ গুনতে গুনতেই ঋতুর বেদিতে আসন পাতল বর্ষা।
১৫ জুন ২০২৪
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
১৯ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
২১ ঘণ্টা আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক অনেকটাই স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল দেখাবে। অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে থেকে যেভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন–
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন কেমন, সেটি জানা জরুরি। যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক, তাঁরা শীতে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এক চা-চামচ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ ময়দা, এক চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এরপর প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
প্যাক তৈরিতে আপেল পেস্ট এক চা-চামচ, মসুরের ডালের বেসন এক চা-চামচ, অর্ধেক ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের বেশি যত্নের প্রয়োজন। এ ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে মসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক টেবিল চামচ গরম দুধ মিশিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পুরো মুখে লাগাতে হবে। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে ও রোমকূপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা ফেসওয়াশের মতো ব্যবহার করতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর প্যাক লাগাতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে এক চা-চামচ গ্রিন টি গুঁড়া নিয়ে এর সঙ্গে এক চা-চামচ টক দই মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া দারুচিনি গুঁড়া এক চা-চামচ, এক চা-চামচ মুলতানি মাটি, ডিমের সাদা অংশ এগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ প্যাক ব্যবহারের ফলে ময়শ্চারাইজারের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
ডিপ ক্লিনজিং
প্রথমে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী জেল, ফোম বা ক্রিম টাইপ ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ফোম ক্লিনজার বেছে নিন। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার উপযুক্ত। ত্বক ভেজানোর জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে বন্ধ রোমকূপ খুলে যাবে। এক মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ক্লিনজার ঘষুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ঘষুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন।
ব্যবহার করুন এক্সফোলিয়েটর। ঘষে ঘষে ত্বকে ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর স্টিম করুন। পরের ধাপে ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক দিয়ে ডিপ ক্লিন করুন। এ ক্ষেত্রে ক্লে ব্ল্যাক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধুয়ে সব শেষে টোনার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
স্কিন হোয়াইটনিং ট্রিটমেন্ট
মুখের ত্বকের সঙ্গে গলা, ঘাড়, হাত ও পুরো শরীরের রঙের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে যত্ন নিতে হবে পুরো শরীরের ত্বকের। মসুর ডাল বাটা পরিমাণমতো নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর খোসাবাটা, পরিমাণমতো টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে নিয়মিত ম্যাসাজ করে গোসল করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন করতে হবে এটি। এতে করে ত্বকের মরা কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়বে। এ ছাড়া ত্বকের কোমলতা বজায় থাকবে।
হাত ও পায়ের যত্ন
সপ্তাহে অন্তত দুদিন বাড়িতে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করতে হবে। অনুষ্ঠানের দিন পারলার থেকে একবার পেডিকিউর ও মেনিকিউর করিয়ে নিলে ভালো। কারণ, পারলারে ম্যাসাজ খুব ভালো হয়। ডিপ ক্লিনও করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও স্কিনক্র্যাফট

সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক অনেকটাই স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল দেখাবে। অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে থেকে যেভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন–
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন কেমন, সেটি জানা জরুরি। যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক, তাঁরা শীতে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এক চা-চামচ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ ময়দা, এক চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এরপর প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
প্যাক তৈরিতে আপেল পেস্ট এক চা-চামচ, মসুরের ডালের বেসন এক চা-চামচ, অর্ধেক ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের বেশি যত্নের প্রয়োজন। এ ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে মসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক টেবিল চামচ গরম দুধ মিশিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পুরো মুখে লাগাতে হবে। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে ও রোমকূপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা ফেসওয়াশের মতো ব্যবহার করতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর প্যাক লাগাতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে এক চা-চামচ গ্রিন টি গুঁড়া নিয়ে এর সঙ্গে এক চা-চামচ টক দই মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া দারুচিনি গুঁড়া এক চা-চামচ, এক চা-চামচ মুলতানি মাটি, ডিমের সাদা অংশ এগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ প্যাক ব্যবহারের ফলে ময়শ্চারাইজারের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
ডিপ ক্লিনজিং
প্রথমে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী জেল, ফোম বা ক্রিম টাইপ ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ফোম ক্লিনজার বেছে নিন। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার উপযুক্ত। ত্বক ভেজানোর জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে বন্ধ রোমকূপ খুলে যাবে। এক মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ক্লিনজার ঘষুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ঘষুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন।
ব্যবহার করুন এক্সফোলিয়েটর। ঘষে ঘষে ত্বকে ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর স্টিম করুন। পরের ধাপে ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক দিয়ে ডিপ ক্লিন করুন। এ ক্ষেত্রে ক্লে ব্ল্যাক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধুয়ে সব শেষে টোনার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
স্কিন হোয়াইটনিং ট্রিটমেন্ট
মুখের ত্বকের সঙ্গে গলা, ঘাড়, হাত ও পুরো শরীরের রঙের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে যত্ন নিতে হবে পুরো শরীরের ত্বকের। মসুর ডাল বাটা পরিমাণমতো নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর খোসাবাটা, পরিমাণমতো টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে নিয়মিত ম্যাসাজ করে গোসল করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন করতে হবে এটি। এতে করে ত্বকের মরা কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়বে। এ ছাড়া ত্বকের কোমলতা বজায় থাকবে।
হাত ও পায়ের যত্ন
সপ্তাহে অন্তত দুদিন বাড়িতে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করতে হবে। অনুষ্ঠানের দিন পারলার থেকে একবার পেডিকিউর ও মেনিকিউর করিয়ে নিলে ভালো। কারণ, পারলারে ম্যাসাজ খুব ভালো হয়। ডিপ ক্লিনও করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও স্কিনক্র্যাফট

পুরো দিন দাবদাহে কাটানোর পর সন্ধ্যায় যখনই বারান্দার দরজার কপাট খুললেন, বৃষ্টিভেজা বাতাসের এক ঝাপটা এসে লাগল চোখে-মুখে। নিমেষেই হৃদয় ভুলতে বসল গ্রীষ্মের ঘামে ভেজা স্মৃতির কথা। কখন বৃষ্টি নামবে, এই ক্ষণ গুনতে গুনতেই ঋতুর বেদিতে আসন পাতল বর্ষা।
১৫ জুন ২০২৪
বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
৩৪ মিনিট আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
২১ ঘণ্টা আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!
তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।
এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।
‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।
২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্যাপিত হয়।
এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’
নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম
ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।
এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।
উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!
তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।
এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।
‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।
২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্যাপিত হয়।
এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’
নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম
ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।
এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।
উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

পুরো দিন দাবদাহে কাটানোর পর সন্ধ্যায় যখনই বারান্দার দরজার কপাট খুললেন, বৃষ্টিভেজা বাতাসের এক ঝাপটা এসে লাগল চোখে-মুখে। নিমেষেই হৃদয় ভুলতে বসল গ্রীষ্মের ঘামে ভেজা স্মৃতির কথা। কখন বৃষ্টি নামবে, এই ক্ষণ গুনতে গুনতেই ঋতুর বেদিতে আসন পাতল বর্ষা।
১৫ জুন ২০২৪
বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
৩৪ মিনিট আগে
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
১৯ ঘণ্টা আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
১ দিন আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে আত্মবিশ্বাসই ছিল আসল স্টাইল। এখনকার পরিমিত ফ্যাশনের যুগে সেই বিশৃঙ্খলা আবার ফিরে আসছে। না, ঠিক বিশৃঙ্খলা নয়, একে বলা যেতে পারে শৃঙ্খলাবদ্ধ বিশৃঙ্খলা। ২০২৫ এর নতুন প্রজন্ম খুঁজছে সেই রঙিন উন্মাদনা। তারা চাইছে সেই কেয়ারফ্রি স্টাইল। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময় অনেকে মজা করে ভিডিও বানান এমন ছবি তোলার স্টাইলে। কিংবা বড় বড় ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে এমনকি ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোতেও আমরা এমন এলোমেলো স্টাইলে দাঁড়ানো ছবি দেখি এখন। তার মানে, দেড়-দুই দশকের পুরোনো ফ্যাশন ও স্টাইল ফিরছে আবার প্রবলভাবেই?
আনুষঙ্গিক যখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

সেই সময় চশমা মানেই ছিল বিশাল কিছু। নীল, গোলাপি বা বেগুনি লেন্স। চোখের ওপর যেন একটা রঙিন পর্দা। প্যারিস হিল্টনের সেই চশমাগুলো ছিল রাজকীয়। পুরো পৃথিবীটাই যেন সেই চশমার রঙে সুন্দর দেখাত। এখন আবারও ফিরে এসেছে সেই স্টাইল। সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। এত উজ্জ্বল যে একটু হলেই যেন আয়নার কাজ চলে যাবে। মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, ব্যবসায়ী জেনিফার লোপেজ বা জে লো সেই গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করেছিলেন। এমনকি তৎকালীন কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিনে এগুলো বোনাস হিসেবেও দেওয়া হতো। ‘গ্ল্যামার’ ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ২০২৫ এ জে লো এই আঠালো টিউবগুলো আবারও জনপ্রিয় করে সবার হ্যান্ডব্যাগে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।
সেই সময়ের বেশ কিছু মোটিফও আবার ফিরে এসেছে। যেমন প্রজাপতি। এটি ছিল মেয়েলি ঢঙের এক চমৎকার প্রকাশ। ২০০০ সালের দিকে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটি বড় অংশজুড়ে চুলে ছিল প্রজাপতি ক্লিপ। মারিয়া ক্যারির সেই মায়াবী ট্রেন্ড। চোকার থেকে শুরু করে টপ পর্যন্ত ছিল প্রজাপতির উড়ে বেড়ানো। আবারও চুলের কাঁকড়া ব্যান্ড থেকে শুরু করে ছোট ক্লিপ পর্যন্ত প্রজাপতির সেই ওড়াউড়ি চোখে পড়ছে মার্কেটে ঘুরলে।
আবারও মিলেছে আরাম আর সাহস

অসম্ভব ছোট এই পার্সগুলো শূন্য দশকের শুরুর দিকে আইকন হয়ে উঠেছিল। সেগুলো এখন আবারও আমরা দেখছি। এখনকার একটা স্মার্টফোন সেখানে ঢোকানো সম্ভব নয়। তারপরেও আউটফিটের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ব্যাগ নেওয়াই এখন ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করেন, এটা নতুন ফ্যাশন ধারা। তাদের জন্য বলে রাখি, এটাও ফ্যাশন জগতে নতুন কিছু নয়, শূন্য দশকের ফ্যাশন। তখন ব্যাগগুলোতে একটি ফ্লিপ ফোন এবং লিপ গ্লসের বেশি কিছু আঁটত না। ২০০২ সালের প্রায় প্রতিটি পাপারাজ্জি শটে এগুলো অমর হয়ে আছে। এগুলো ছিল চপল, মেয়েলি এবং ব্যবহারিক উপযোগিতার প্রতি তোয়াক্কাহীন। গত বছরেই কাজলসহ বেশ কিছু বলিউড অভিনেত্রী শাড়ির সঙ্গে মোটা বেল্ট পরে একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন। বলে রাখি, এটাও নতুন কিছু নয়। সেই প্রথম দশকে কোমরে ঝোলানো থাকত বিশাল সব বেল্ট। কখনো জিনসের নিচে, কখনো পোশাকের ওপর। বেল্টগুলো যেন ছিল একেকটা রহস্য।
ডেনিম আর মেটালিকের জাদু

একটা সময় জিনস ছিল বিস্ময়। তখন লো-রাইজ বা লো-কাট জিনস ছিল সবার প্রিয়। মার্কিন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের হাত ধরে এটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। এর পাশাপাশি ছিল বুট কাট আর ফ্লেয়ার্ড জিনস। ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ডেনিমের রাজত্ব। সেই ঢিলেঢালা জিনস আবারও তরুণ-তরুণীদের আলমারিতে জায়গা করে নিয়েছে। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ আবারও সেই ডেনিম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিনসের পাশাপাশি শীতে ডেনিমের জ্যাকেট—সবই তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে চলে এসেছে।
সেই সময় মানুষ ভবিষ্যতের নেশায় বুঁদ ছিল। চারদিকে শুধু রুপালি আর মেটালিকের ছোঁয়া। সিলভার জ্যাকেট বা হলোগ্রাফিক স্কার্ট। এমনকি চুলের রংও হয়ে গিয়েছিল রুপালি। যেন সবাই মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি। এটি ছিল এক রঙিন আশাবাদ। আর জেন-জিদের হাত ধরে বর্তমানে সারা বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছে। তাদের চোখেও রঙিন স্বপ্ন, বদলের একটা বিশেষ রং। তাই তাদের ফ্যাশনে আবারও মেটালিকের ছোঁয়া উঠে এসেছে।
লোগোম্যানিয়া আর লাক্সারি
সে সময়, অর্থাৎ সেই শূন্য দশকে ফ্যাশন যেন ফিসফিস করত না, চিৎকার করত। ব্র্যান্ডের নাম গায়ে জড়িয়ে রাখাই ছিল দস্তুর। ডিওরের স্যাডেল ব্যাগ কিংবা ফেন্ডির লোগো। লোকে যেন আধা মাইল দূর থেকেও ব্র্যান্ড চিনতে পারে। সেটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। সেই প্রবণতা আবারও ফিরে এসেছে। দাম বেশি হলেও ব্র্যান্ডেই মানুষের আরাম পৌঁছে গেছে। বিষয়টা অনেকটা সমাজে মুখ দেখানোর মতো বাড়াবাড়ির পর্যায়েও চলে যায় অনেক সময়।
সেই সময় টিনএজ ফ্যাশনে ছিল লেয়ার্ড ট্যাংকের ছড়াছড়ি। একটার ওপর একটা রঙিন কামিজ বা টপ। সঙ্গে ছোট ছোট গ্রাফিক টি-শার্ট। তাতে গ্লিটার দিয়ে লেখা থাকত অদ্ভুত সব কথা। প্রতিটি পোশাক ছিল ব্যক্তিত্বের এক-একটা ছোট সংস্করণ; যা আজও জনপ্রিয়। অবশ্য সব সময় ফ্যাশন ছিল প্রতিবাদের ভাষা।
অনুভূতির এক অগোছালো স্ক্র্যাপবুক
শূন্য দশক কোনো নিয়ম মানেনি। এটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এক ফ্যাশন ধারা। কোনো ক্ষমা না চাওয়া পপসংস্কৃতির ফসল। সে সময় ফ্যাশন কালজয়ী হতে চায়নি। বড় বড় সিলুয়েট আর বড় বড় অনুভূতির গল্প ছিল সেটি। সেই অদম্য উৎসাহের কারণেই আজ ২০২৫-এ এসেও আমরা বারবার সেই দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি

একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে আত্মবিশ্বাসই ছিল আসল স্টাইল। এখনকার পরিমিত ফ্যাশনের যুগে সেই বিশৃঙ্খলা আবার ফিরে আসছে। না, ঠিক বিশৃঙ্খলা নয়, একে বলা যেতে পারে শৃঙ্খলাবদ্ধ বিশৃঙ্খলা। ২০২৫ এর নতুন প্রজন্ম খুঁজছে সেই রঙিন উন্মাদনা। তারা চাইছে সেই কেয়ারফ্রি স্টাইল। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময় অনেকে মজা করে ভিডিও বানান এমন ছবি তোলার স্টাইলে। কিংবা বড় বড় ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে এমনকি ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোতেও আমরা এমন এলোমেলো স্টাইলে দাঁড়ানো ছবি দেখি এখন। তার মানে, দেড়-দুই দশকের পুরোনো ফ্যাশন ও স্টাইল ফিরছে আবার প্রবলভাবেই?
আনুষঙ্গিক যখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

সেই সময় চশমা মানেই ছিল বিশাল কিছু। নীল, গোলাপি বা বেগুনি লেন্স। চোখের ওপর যেন একটা রঙিন পর্দা। প্যারিস হিল্টনের সেই চশমাগুলো ছিল রাজকীয়। পুরো পৃথিবীটাই যেন সেই চশমার রঙে সুন্দর দেখাত। এখন আবারও ফিরে এসেছে সেই স্টাইল। সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। এত উজ্জ্বল যে একটু হলেই যেন আয়নার কাজ চলে যাবে। মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, ব্যবসায়ী জেনিফার লোপেজ বা জে লো সেই গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করেছিলেন। এমনকি তৎকালীন কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিনে এগুলো বোনাস হিসেবেও দেওয়া হতো। ‘গ্ল্যামার’ ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ২০২৫ এ জে লো এই আঠালো টিউবগুলো আবারও জনপ্রিয় করে সবার হ্যান্ডব্যাগে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।
সেই সময়ের বেশ কিছু মোটিফও আবার ফিরে এসেছে। যেমন প্রজাপতি। এটি ছিল মেয়েলি ঢঙের এক চমৎকার প্রকাশ। ২০০০ সালের দিকে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটি বড় অংশজুড়ে চুলে ছিল প্রজাপতি ক্লিপ। মারিয়া ক্যারির সেই মায়াবী ট্রেন্ড। চোকার থেকে শুরু করে টপ পর্যন্ত ছিল প্রজাপতির উড়ে বেড়ানো। আবারও চুলের কাঁকড়া ব্যান্ড থেকে শুরু করে ছোট ক্লিপ পর্যন্ত প্রজাপতির সেই ওড়াউড়ি চোখে পড়ছে মার্কেটে ঘুরলে।
আবারও মিলেছে আরাম আর সাহস

অসম্ভব ছোট এই পার্সগুলো শূন্য দশকের শুরুর দিকে আইকন হয়ে উঠেছিল। সেগুলো এখন আবারও আমরা দেখছি। এখনকার একটা স্মার্টফোন সেখানে ঢোকানো সম্ভব নয়। তারপরেও আউটফিটের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ব্যাগ নেওয়াই এখন ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করেন, এটা নতুন ফ্যাশন ধারা। তাদের জন্য বলে রাখি, এটাও ফ্যাশন জগতে নতুন কিছু নয়, শূন্য দশকের ফ্যাশন। তখন ব্যাগগুলোতে একটি ফ্লিপ ফোন এবং লিপ গ্লসের বেশি কিছু আঁটত না। ২০০২ সালের প্রায় প্রতিটি পাপারাজ্জি শটে এগুলো অমর হয়ে আছে। এগুলো ছিল চপল, মেয়েলি এবং ব্যবহারিক উপযোগিতার প্রতি তোয়াক্কাহীন। গত বছরেই কাজলসহ বেশ কিছু বলিউড অভিনেত্রী শাড়ির সঙ্গে মোটা বেল্ট পরে একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন। বলে রাখি, এটাও নতুন কিছু নয়। সেই প্রথম দশকে কোমরে ঝোলানো থাকত বিশাল সব বেল্ট। কখনো জিনসের নিচে, কখনো পোশাকের ওপর। বেল্টগুলো যেন ছিল একেকটা রহস্য।
ডেনিম আর মেটালিকের জাদু

একটা সময় জিনস ছিল বিস্ময়। তখন লো-রাইজ বা লো-কাট জিনস ছিল সবার প্রিয়। মার্কিন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের হাত ধরে এটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। এর পাশাপাশি ছিল বুট কাট আর ফ্লেয়ার্ড জিনস। ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ডেনিমের রাজত্ব। সেই ঢিলেঢালা জিনস আবারও তরুণ-তরুণীদের আলমারিতে জায়গা করে নিয়েছে। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ আবারও সেই ডেনিম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিনসের পাশাপাশি শীতে ডেনিমের জ্যাকেট—সবই তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে চলে এসেছে।
সেই সময় মানুষ ভবিষ্যতের নেশায় বুঁদ ছিল। চারদিকে শুধু রুপালি আর মেটালিকের ছোঁয়া। সিলভার জ্যাকেট বা হলোগ্রাফিক স্কার্ট। এমনকি চুলের রংও হয়ে গিয়েছিল রুপালি। যেন সবাই মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি। এটি ছিল এক রঙিন আশাবাদ। আর জেন-জিদের হাত ধরে বর্তমানে সারা বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছে। তাদের চোখেও রঙিন স্বপ্ন, বদলের একটা বিশেষ রং। তাই তাদের ফ্যাশনে আবারও মেটালিকের ছোঁয়া উঠে এসেছে।
লোগোম্যানিয়া আর লাক্সারি
সে সময়, অর্থাৎ সেই শূন্য দশকে ফ্যাশন যেন ফিসফিস করত না, চিৎকার করত। ব্র্যান্ডের নাম গায়ে জড়িয়ে রাখাই ছিল দস্তুর। ডিওরের স্যাডেল ব্যাগ কিংবা ফেন্ডির লোগো। লোকে যেন আধা মাইল দূর থেকেও ব্র্যান্ড চিনতে পারে। সেটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। সেই প্রবণতা আবারও ফিরে এসেছে। দাম বেশি হলেও ব্র্যান্ডেই মানুষের আরাম পৌঁছে গেছে। বিষয়টা অনেকটা সমাজে মুখ দেখানোর মতো বাড়াবাড়ির পর্যায়েও চলে যায় অনেক সময়।
সেই সময় টিনএজ ফ্যাশনে ছিল লেয়ার্ড ট্যাংকের ছড়াছড়ি। একটার ওপর একটা রঙিন কামিজ বা টপ। সঙ্গে ছোট ছোট গ্রাফিক টি-শার্ট। তাতে গ্লিটার দিয়ে লেখা থাকত অদ্ভুত সব কথা। প্রতিটি পোশাক ছিল ব্যক্তিত্বের এক-একটা ছোট সংস্করণ; যা আজও জনপ্রিয়। অবশ্য সব সময় ফ্যাশন ছিল প্রতিবাদের ভাষা।
অনুভূতির এক অগোছালো স্ক্র্যাপবুক
শূন্য দশক কোনো নিয়ম মানেনি। এটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এক ফ্যাশন ধারা। কোনো ক্ষমা না চাওয়া পপসংস্কৃতির ফসল। সে সময় ফ্যাশন কালজয়ী হতে চায়নি। বড় বড় সিলুয়েট আর বড় বড় অনুভূতির গল্প ছিল সেটি। সেই অদম্য উৎসাহের কারণেই আজ ২০২৫-এ এসেও আমরা বারবার সেই দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি

পুরো দিন দাবদাহে কাটানোর পর সন্ধ্যায় যখনই বারান্দার দরজার কপাট খুললেন, বৃষ্টিভেজা বাতাসের এক ঝাপটা এসে লাগল চোখে-মুখে। নিমেষেই হৃদয় ভুলতে বসল গ্রীষ্মের ঘামে ভেজা স্মৃতির কথা। কখন বৃষ্টি নামবে, এই ক্ষণ গুনতে গুনতেই ঋতুর বেদিতে আসন পাতল বর্ষা।
১৫ জুন ২০২৪
বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি।
৩৪ মিনিট আগে
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
১৯ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
২১ ঘণ্টা আগে