Ajker Patrika

পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে ইসলামি নির্দেশনা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৪৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিয়ের বর-কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিয়েতে কারও পছন্দের ব্যাপারে মানুষ চারটি বিষয় দেখে। যথা—সম্পদ, আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং খোদাভীতি। এর মধ্যে ভাগ্যবান এবং শ্রেষ্ঠ সে, যে একজন ধার্মিক মেয়েকে বিয়ে করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষকে আরও সতর্ক করে দেন, যদি তারা শুধু সম্পদের আকর্ষণেই কাউকে বিয়ে করে তবে আল্লাহর রোষানলে পড়বে। অবশ্য এর মাধ্যমে সৌন্দর্য এবং অন্যান্য বিষয়কে উপেক্ষা করতে বলেননি। বরং তিনি খোদাভীতি এবং সচ্চরিত্রে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, এ দুটোই মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ।

তিনি আরও বলেন, যদি কেউ তোমার মেয়ের পাণিপ্রার্থী হয়, তবে তার কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার আগে তার চরিত্র এবং খোদাভীতি সম্পর্কে নিশ্চিত হও। যদি তোমরা এটি না কর, তবে জমিনে অশান্তি সৃষ্টি হবে।

সাধারণভাবে বিয়ের বর-কনে নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই পূর্বশর্ত একই। নারীর স্বামী পছন্দ করার অধিকার রয়েছে। বিয়েতে কবুল বলার আগপর্যন্ত নারীকে বিয়ের ব্যাপারে মতামত জানানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে। তাদেরও বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর অনুমতি আছে। হজরত খাদিজা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্র, মাধুর্য এবং সততায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর এক মহিলা সহযোগীর সঙ্গে পরামর্শ করে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান।

যে সব মুসলমান বিয়ের আগে ছেলেমেয়েকে পারস্পরিক সাক্ষাৎ ও আলাপের সুযোগ দেয় না, তারা ভুল করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) কয়েক জায়গায় নারী-পুরুষকে আদেশ দিয়েছেন বিয়ের আগে দেখা করে নিতে। কারণ তিনি বলেন, এতে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। ইসলামে সম্ভাব্য বর-কনে পরস্পরকে দেখার ও আলাপের অনুমতি আছে, তবে তা একাকী বা নিভৃতে নয়, তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত