ড. আলি আস-সাল্লাবি

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যোগাযোগের দক্ষতা ও গতি বিবেচনায় হুদহুদ কবুতরের চেয়ে সেরা। এটি অন্যতম দ্রুতগতির পাখি এবং উড়াল দেওয়ার ক্ষেত্রে তার দলবদ্ধতার প্রয়োজন পড়ে না। আত্মরক্ষার কৌশল ভালোই রপ্ত আছে; ক্ষুধা-তৃষ্ণায় দমে যায় না। বুদ্ধিমত্তা ও ধূর্ততায় তার জুড়ি মেলা ভার। এ কারণেই হয়তো সব প্রাণীর ভাষা জানা সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে নিজের সংবাদদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
সুরা নামলের ২০ থেকে ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা হুদহুদ পাখির এ ঘটনা তুলে ধরেন। তাতে হুদহুদের সংবাদ সংগ্রহ, উপস্থাপনা ও পরিবেশনশৈলী দেখে মনে হয়, পাখিটি সাধারণ কোনো হুদহুদ ছিল না। বরং বিশেষ গুণ ও ক্ষমতাসম্পন্ন হুদহুদ পাখি ছিল। তার কর্মকাণ্ডে সংবাদকর্মীদের জন্য রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। এখানে কয়েকটি শিক্ষা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
কৌতূহলোদ্দীপক শিরোনাম
গল্পে আমরা দেখি, কৌতূহলোদ্দীপক ও আকর্ষণীয় শিরোনামে সে কথা শুরু করেছে, যা সাংবাদিকতার জন্য অনন্য শিক্ষা। সে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি এবং সাবা জাতি থেকে সুনিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি।’ সে দ্রুতই চমৎকার এক ভূমিকা দিয়ে কথা শুরু করেছে। ফলে সোলায়মান (আ.) তা শুনতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।
সাজানো বিষয়কাঠামো
বিষয়কাঠামো গোছালো হওয়ার ব্যাপারে বোদ্ধা সাংবাদিকেরা বেশ জোর দেন। হুদহুদ তা তো করেছেই, সঙ্গে পঞ্চেন্দ্রিয় ও বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োগ করেছে। যেমন—সাবার শাসক বিলকিস একজন নারী, তাঁর ও তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে শাসক-শাসিতের সম্পর্ক বিদ্যমান, তিনি সাবা অঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতি এবং তাঁর রাজ্যে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে ইত্যাদি সে দেখেশুনে বুঝতে পেরেছে। আর শয়তান তাদের সৎপথ থেকে বিরত রেখেছে এবং এ কারণেই তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হচ্ছে না ইত্যাদি কথা তাকে বুদ্ধি খাটিয়েই বের করতে হয়েছে।
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গল্পেও বেশ কিছু বৈচিত্র্য আমরা দেখতে পাই। প্রথমে সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে সন্ধান করে পান না। আবার হুদহুদ তাঁর সামনে এসে বড় খবরটি দেয়। এরপর সাবার রানির কথার অবতারণা করে। তার সম্প্রদায়ের সূর্যের উপাসনার কথা আলোচনা করে। এভাবে গল্পে বৈচিত্র্য আসে।
অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম
গল্পে গভীর দৃষ্টি দিলে দেখি, সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করেছেন। প্রথমে তিনি বললেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে তো দেখছি না।’ এরপর অভিযোগের সুরে বললেন, ‘সে কি অনুপস্থিত?’ এরপর পর্যায়ক্রমে কঠোর শাস্তি থেকে লঘু শাস্তির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। কঠিন শাস্তি, এরপর জবাই, এরপর কারণ দর্শিয়ে ক্ষমাপ্রাপ্তির কথা বলেছেন। সুতরাং প্রতিশোধ নয়, সংশোধন ও ক্ষমাই সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
সংবাদকর্মীর আত্মরক্ষার কৌশল
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো বিপদের মুখোমুখি হলে তা থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশলও সংবাদকর্মীর জানা থাকা চাই। হুদহুদ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তা করেছে। শুরুতেই সে সোলায়মান (আ.)কে
চমকে দিয়ে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না, তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি’। এর মাধ্যমে সে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তার অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ শুনতে বাধ্য করেছে।
মার্জিত শব্দচয়ন
গল্পে হুদহুদ চমৎকার শব্দচয়ন করে কথা বলেছে। আয়াতের ‘আহাততু’ ও ‘নাবা’ শব্দদ্বয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ‘ইহাতা’ ধাতুর অর্থ অনুপুঙ্খ জানা, যেখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই। আর ‘নাবা’ শব্দটি আরবিতে অধিক নির্ভরযোগ্য খবরকে বলা হয়। খবর নির্ভরযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে এ রকম শব্দের ভূমিকা ব্যাপক।
ঘটনার চিত্রায়ণ
সংবাদে ঘটনার যথাযথ চিত্রায়ণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সংলাপ, চারপাশের অবস্থার বিবরণ এবং বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলেছে। হুদহুদ সাবা রাজ্যের জীবন্ত বিবরণ হাজির করল। সোলায়মান (আ.) তাদের জন্য চিন্তিত হলেন এবং তাদের আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য চিঠি দিলেন।
সংক্ষেপে উপস্থাপন
কম শব্দে বেশি কথা বুঝিয়ে দেওয়া এবং বাহুল্য বর্জন করাও একটি দক্ষতা। হুদহুদ তা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। খুব অল্প শব্দে সে বেশ বড় ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে। যেমন সে বলেছে, ‘তাকে সবকিছু দেওয়া হয়েছে’।
লেখক: লিবিয়ান ইতিহাসবিদ ও ইসলামি চিন্তক
আল জাজিরা আরবি থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যোগাযোগের দক্ষতা ও গতি বিবেচনায় হুদহুদ কবুতরের চেয়ে সেরা। এটি অন্যতম দ্রুতগতির পাখি এবং উড়াল দেওয়ার ক্ষেত্রে তার দলবদ্ধতার প্রয়োজন পড়ে না। আত্মরক্ষার কৌশল ভালোই রপ্ত আছে; ক্ষুধা-তৃষ্ণায় দমে যায় না। বুদ্ধিমত্তা ও ধূর্ততায় তার জুড়ি মেলা ভার। এ কারণেই হয়তো সব প্রাণীর ভাষা জানা সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে নিজের সংবাদদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
সুরা নামলের ২০ থেকে ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা হুদহুদ পাখির এ ঘটনা তুলে ধরেন। তাতে হুদহুদের সংবাদ সংগ্রহ, উপস্থাপনা ও পরিবেশনশৈলী দেখে মনে হয়, পাখিটি সাধারণ কোনো হুদহুদ ছিল না। বরং বিশেষ গুণ ও ক্ষমতাসম্পন্ন হুদহুদ পাখি ছিল। তার কর্মকাণ্ডে সংবাদকর্মীদের জন্য রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। এখানে কয়েকটি শিক্ষা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
কৌতূহলোদ্দীপক শিরোনাম
গল্পে আমরা দেখি, কৌতূহলোদ্দীপক ও আকর্ষণীয় শিরোনামে সে কথা শুরু করেছে, যা সাংবাদিকতার জন্য অনন্য শিক্ষা। সে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি এবং সাবা জাতি থেকে সুনিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি।’ সে দ্রুতই চমৎকার এক ভূমিকা দিয়ে কথা শুরু করেছে। ফলে সোলায়মান (আ.) তা শুনতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।
সাজানো বিষয়কাঠামো
বিষয়কাঠামো গোছালো হওয়ার ব্যাপারে বোদ্ধা সাংবাদিকেরা বেশ জোর দেন। হুদহুদ তা তো করেছেই, সঙ্গে পঞ্চেন্দ্রিয় ও বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োগ করেছে। যেমন—সাবার শাসক বিলকিস একজন নারী, তাঁর ও তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে শাসক-শাসিতের সম্পর্ক বিদ্যমান, তিনি সাবা অঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতি এবং তাঁর রাজ্যে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে ইত্যাদি সে দেখেশুনে বুঝতে পেরেছে। আর শয়তান তাদের সৎপথ থেকে বিরত রেখেছে এবং এ কারণেই তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হচ্ছে না ইত্যাদি কথা তাকে বুদ্ধি খাটিয়েই বের করতে হয়েছে।
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গল্পেও বেশ কিছু বৈচিত্র্য আমরা দেখতে পাই। প্রথমে সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে সন্ধান করে পান না। আবার হুদহুদ তাঁর সামনে এসে বড় খবরটি দেয়। এরপর সাবার রানির কথার অবতারণা করে। তার সম্প্রদায়ের সূর্যের উপাসনার কথা আলোচনা করে। এভাবে গল্পে বৈচিত্র্য আসে।
অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম
গল্পে গভীর দৃষ্টি দিলে দেখি, সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করেছেন। প্রথমে তিনি বললেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে তো দেখছি না।’ এরপর অভিযোগের সুরে বললেন, ‘সে কি অনুপস্থিত?’ এরপর পর্যায়ক্রমে কঠোর শাস্তি থেকে লঘু শাস্তির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। কঠিন শাস্তি, এরপর জবাই, এরপর কারণ দর্শিয়ে ক্ষমাপ্রাপ্তির কথা বলেছেন। সুতরাং প্রতিশোধ নয়, সংশোধন ও ক্ষমাই সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
সংবাদকর্মীর আত্মরক্ষার কৌশল
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো বিপদের মুখোমুখি হলে তা থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশলও সংবাদকর্মীর জানা থাকা চাই। হুদহুদ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তা করেছে। শুরুতেই সে সোলায়মান (আ.)কে
চমকে দিয়ে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না, তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি’। এর মাধ্যমে সে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তার অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ শুনতে বাধ্য করেছে।
মার্জিত শব্দচয়ন
গল্পে হুদহুদ চমৎকার শব্দচয়ন করে কথা বলেছে। আয়াতের ‘আহাততু’ ও ‘নাবা’ শব্দদ্বয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ‘ইহাতা’ ধাতুর অর্থ অনুপুঙ্খ জানা, যেখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই। আর ‘নাবা’ শব্দটি আরবিতে অধিক নির্ভরযোগ্য খবরকে বলা হয়। খবর নির্ভরযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে এ রকম শব্দের ভূমিকা ব্যাপক।
ঘটনার চিত্রায়ণ
সংবাদে ঘটনার যথাযথ চিত্রায়ণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সংলাপ, চারপাশের অবস্থার বিবরণ এবং বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলেছে। হুদহুদ সাবা রাজ্যের জীবন্ত বিবরণ হাজির করল। সোলায়মান (আ.) তাদের জন্য চিন্তিত হলেন এবং তাদের আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য চিঠি দিলেন।
সংক্ষেপে উপস্থাপন
কম শব্দে বেশি কথা বুঝিয়ে দেওয়া এবং বাহুল্য বর্জন করাও একটি দক্ষতা। হুদহুদ তা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। খুব অল্প শব্দে সে বেশ বড় ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে। যেমন সে বলেছে, ‘তাকে সবকিছু দেওয়া হয়েছে’।
লেখক: লিবিয়ান ইতিহাসবিদ ও ইসলামি চিন্তক
আল জাজিরা আরবি থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ জুলাই ২০২৪
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ জুলাই ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ জুলাই ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ জুলাই ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগে