আসআদ শাহীন

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন। এসব গল্পের মধ্যে রয়েছে একটি গরু ও একটি বাঘের মানুষের সঙ্গে কথা বলার দুটি গল্প। গল্প দুটির শিক্ষা এখানে তুলে ধরা হলো—
এক.
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.) ফজরের নামাজ শেষে লোকজনের দিকে ঘুরে বসলেন এবং বললেন, একদিন এক লোক এক গরু হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সে এটির পিঠে চড়ে বসল এবং তাকে প্রহার করতে লাগল। তখন গরুটি বলল, ‘আমাদের এ জন্য সৃষ্টি করা হয়নি; বরং আমাদের চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’ এ কথা শুনে লোকজন বলে উঠল, ‘সুবহানাল্লাহ্! গরুও কথা বলে?’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
দুই.
হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক রাখাল একদিন তার ছাগল পালের মাঝে অবস্থান করছিল, এমন সময় একটা চিতা বাঘ পালে ঢুকে একটা ছাগল নিয়ে গেল। রাখাল বাঘের পেছনে ধাওয়া করে ছাগলটি উদ্ধার করে নিল। তখন বাঘটি বলল, ‘তুমি ছাগলটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলে বটে; তবে ওইদিন কে ছাগলকে রক্ষা করবে, যেদিন হিংস্র জন্তু ওদের আক্রমণ করবে এবং আমি ছাড়া তাদের অন্য কোনো রাখাল থাকবে না।’
লোকজন বলল, ‘সুবহানাল্লাহ! চিতা বাঘ কথা বলে।’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়েই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
এ দুটি হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি কেবল দুটি পশুর নয়। এটি প্রকৃতির এক গভীর বার্তা। গরুটি তার দায়িত্ব জানত—সে জানত, সে সওয়ারির জন্য নয়, চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মানুষ কখনো কখনো নিজ স্বার্থের জন্য সেই বিধানকে অগ্রাহ্য করে। আর তখনই প্রকৃতি তাকে সতর্ক করে দেয়।
একইভাবে বাঘটিও যেন এক ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করল। সে শুধু ক্ষুধার্ত শিকারি নয়, সে এক রহস্যময় দূত। সে জানত, একদিন আসবে যখন রাখাল থাকবে না, পাহারা থাকবে না, তখন কী হবে? কে তখন পশুপাল রক্ষা করবে?
ইমাম জাহাবি (রহ.) বলেন, এটি এমন একটি গরু, যাকে আল্লাহ দুনিয়াতেই বাকশক্তি দান করেছিলেন, যাতে সে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলতে পারে যে, সে কারও ক্ষতি করে না এবং তাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। সুতরাং কেউ যদি তাকে তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজে বাধ্য করে কিংবা অন্যায়ভাবে আঘাত করে, তাহলে কিয়ামতের দিন সেই আঘাত ও নির্যাতনের সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেওয়া হবে। (আল-কাবায়ির,১ / ২০৫)
ইমাম আবু জাফর আত-তহাবি (রহ.) বলেন, এ হাদিসে সেই গরুর কথা রয়েছে, যাকে আল্লাহ তাআলা বাকশক্তি দান করেছিলেন এবং যে কথা বলেছিল, তা মূলত মুমিনদের জন্য ইমানের উপকরণ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। তার উচ্চারিত বাক্য সত্য ছিল, কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সত্য বলে স্বীকার করেছিলেন, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে, আবু বকর ও ওমর (রা.)—তাঁরাও এতে বিশ্বাস করতেন। (শরহে মুশকিলিল আছার ৮ / ৭৫)
গল্প থেকে শিক্ষা
প্রাণীদের সৃষ্টিগত কাজের বিপরীতে ব্যবহার করা অনুচিত। আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীকে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রাণীদের সেই কাজে ব্যবহার করা উচিত, যার জন্য তারা সৃষ্টি হয়েছে।
আল্লাহর মহান ক্ষমতার চমকপ্রদ নিদর্শনসমূহ দিয়ে মানুষকে উপদেশ দেওয়া সুন্নত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের পর সাহাবিদের আল্লাহর অসীম ক্ষমতার এক বিস্ময়কর ঘটনা শোনাচ্ছিলেন।
নামাজের পর মানুষকে উপদেশ দেওয়া জায়েজ। এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নামাজ শেষে মানুষকে উপদেশ দেওয়া এবং আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলা একটি সুন্নত ও কল্যাণকর কাজ।
আল্লাহর অসীম শক্তির প্রমাণ। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি চাইলে যেকোনো প্রাণীকে মানুষের ভাষায় কথা বলার যোগ্যতা দান করতে পারেন। যেমন, হাদিসে এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
যেকোনো সহিহ বর্ণনাকে বিনা সন্দেহে গ্রহণ করা উচিত। কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসে যেসব সংবাদ এসেছে, সেগুলো যতই আশ্চর্যজনক হোক না কেন, তাতে বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। কেননা, মহান আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তবে মিথ্যা বা জাল কাহিনিকে সত্য হিসেবে প্রচার করা নিষিদ্ধ; বরং সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই বর্ণনা করা যেতে পারে।
আবু বকর ও ওমর (রা.)–এর মর্যাদা প্রমাণিত হয়। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু বকর ও ওমর (রা.)-এর ইমানের দৃঢ়তা, তাঁদের মহান আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর কুদরতের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেছেন।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন। এসব গল্পের মধ্যে রয়েছে একটি গরু ও একটি বাঘের মানুষের সঙ্গে কথা বলার দুটি গল্প। গল্প দুটির শিক্ষা এখানে তুলে ধরা হলো—
এক.
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.) ফজরের নামাজ শেষে লোকজনের দিকে ঘুরে বসলেন এবং বললেন, একদিন এক লোক এক গরু হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সে এটির পিঠে চড়ে বসল এবং তাকে প্রহার করতে লাগল। তখন গরুটি বলল, ‘আমাদের এ জন্য সৃষ্টি করা হয়নি; বরং আমাদের চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’ এ কথা শুনে লোকজন বলে উঠল, ‘সুবহানাল্লাহ্! গরুও কথা বলে?’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
দুই.
হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক রাখাল একদিন তার ছাগল পালের মাঝে অবস্থান করছিল, এমন সময় একটা চিতা বাঘ পালে ঢুকে একটা ছাগল নিয়ে গেল। রাখাল বাঘের পেছনে ধাওয়া করে ছাগলটি উদ্ধার করে নিল। তখন বাঘটি বলল, ‘তুমি ছাগলটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলে বটে; তবে ওইদিন কে ছাগলকে রক্ষা করবে, যেদিন হিংস্র জন্তু ওদের আক্রমণ করবে এবং আমি ছাড়া তাদের অন্য কোনো রাখাল থাকবে না।’
লোকজন বলল, ‘সুবহানাল্লাহ! চিতা বাঘ কথা বলে।’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়েই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
এ দুটি হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি কেবল দুটি পশুর নয়। এটি প্রকৃতির এক গভীর বার্তা। গরুটি তার দায়িত্ব জানত—সে জানত, সে সওয়ারির জন্য নয়, চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মানুষ কখনো কখনো নিজ স্বার্থের জন্য সেই বিধানকে অগ্রাহ্য করে। আর তখনই প্রকৃতি তাকে সতর্ক করে দেয়।
একইভাবে বাঘটিও যেন এক ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করল। সে শুধু ক্ষুধার্ত শিকারি নয়, সে এক রহস্যময় দূত। সে জানত, একদিন আসবে যখন রাখাল থাকবে না, পাহারা থাকবে না, তখন কী হবে? কে তখন পশুপাল রক্ষা করবে?
ইমাম জাহাবি (রহ.) বলেন, এটি এমন একটি গরু, যাকে আল্লাহ দুনিয়াতেই বাকশক্তি দান করেছিলেন, যাতে সে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলতে পারে যে, সে কারও ক্ষতি করে না এবং তাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। সুতরাং কেউ যদি তাকে তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজে বাধ্য করে কিংবা অন্যায়ভাবে আঘাত করে, তাহলে কিয়ামতের দিন সেই আঘাত ও নির্যাতনের সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেওয়া হবে। (আল-কাবায়ির,১ / ২০৫)
ইমাম আবু জাফর আত-তহাবি (রহ.) বলেন, এ হাদিসে সেই গরুর কথা রয়েছে, যাকে আল্লাহ তাআলা বাকশক্তি দান করেছিলেন এবং যে কথা বলেছিল, তা মূলত মুমিনদের জন্য ইমানের উপকরণ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। তার উচ্চারিত বাক্য সত্য ছিল, কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সত্য বলে স্বীকার করেছিলেন, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে, আবু বকর ও ওমর (রা.)—তাঁরাও এতে বিশ্বাস করতেন। (শরহে মুশকিলিল আছার ৮ / ৭৫)
গল্প থেকে শিক্ষা
প্রাণীদের সৃষ্টিগত কাজের বিপরীতে ব্যবহার করা অনুচিত। আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীকে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রাণীদের সেই কাজে ব্যবহার করা উচিত, যার জন্য তারা সৃষ্টি হয়েছে।
আল্লাহর মহান ক্ষমতার চমকপ্রদ নিদর্শনসমূহ দিয়ে মানুষকে উপদেশ দেওয়া সুন্নত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের পর সাহাবিদের আল্লাহর অসীম ক্ষমতার এক বিস্ময়কর ঘটনা শোনাচ্ছিলেন।
নামাজের পর মানুষকে উপদেশ দেওয়া জায়েজ। এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নামাজ শেষে মানুষকে উপদেশ দেওয়া এবং আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলা একটি সুন্নত ও কল্যাণকর কাজ।
আল্লাহর অসীম শক্তির প্রমাণ। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি চাইলে যেকোনো প্রাণীকে মানুষের ভাষায় কথা বলার যোগ্যতা দান করতে পারেন। যেমন, হাদিসে এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
যেকোনো সহিহ বর্ণনাকে বিনা সন্দেহে গ্রহণ করা উচিত। কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসে যেসব সংবাদ এসেছে, সেগুলো যতই আশ্চর্যজনক হোক না কেন, তাতে বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। কেননা, মহান আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তবে মিথ্যা বা জাল কাহিনিকে সত্য হিসেবে প্রচার করা নিষিদ্ধ; বরং সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই বর্ণনা করা যেতে পারে।
আবু বকর ও ওমর (রা.)–এর মর্যাদা প্রমাণিত হয়। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু বকর ও ওমর (রা.)-এর ইমানের দৃঢ়তা, তাঁদের মহান আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর কুদরতের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেছেন।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২২ মিনিট আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে