আসআদ শাহীন

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন। এসব গল্পের মধ্যে রয়েছে একটি গরু ও একটি বাঘের মানুষের সঙ্গে কথা বলার দুটি গল্প। গল্প দুটির শিক্ষা এখানে তুলে ধরা হলো—
এক.
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.) ফজরের নামাজ শেষে লোকজনের দিকে ঘুরে বসলেন এবং বললেন, একদিন এক লোক এক গরু হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সে এটির পিঠে চড়ে বসল এবং তাকে প্রহার করতে লাগল। তখন গরুটি বলল, ‘আমাদের এ জন্য সৃষ্টি করা হয়নি; বরং আমাদের চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’ এ কথা শুনে লোকজন বলে উঠল, ‘সুবহানাল্লাহ্! গরুও কথা বলে?’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
দুই.
হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক রাখাল একদিন তার ছাগল পালের মাঝে অবস্থান করছিল, এমন সময় একটা চিতা বাঘ পালে ঢুকে একটা ছাগল নিয়ে গেল। রাখাল বাঘের পেছনে ধাওয়া করে ছাগলটি উদ্ধার করে নিল। তখন বাঘটি বলল, ‘তুমি ছাগলটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলে বটে; তবে ওইদিন কে ছাগলকে রক্ষা করবে, যেদিন হিংস্র জন্তু ওদের আক্রমণ করবে এবং আমি ছাড়া তাদের অন্য কোনো রাখাল থাকবে না।’
লোকজন বলল, ‘সুবহানাল্লাহ! চিতা বাঘ কথা বলে।’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়েই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
এ দুটি হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি কেবল দুটি পশুর নয়। এটি প্রকৃতির এক গভীর বার্তা। গরুটি তার দায়িত্ব জানত—সে জানত, সে সওয়ারির জন্য নয়, চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মানুষ কখনো কখনো নিজ স্বার্থের জন্য সেই বিধানকে অগ্রাহ্য করে। আর তখনই প্রকৃতি তাকে সতর্ক করে দেয়।
একইভাবে বাঘটিও যেন এক ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করল। সে শুধু ক্ষুধার্ত শিকারি নয়, সে এক রহস্যময় দূত। সে জানত, একদিন আসবে যখন রাখাল থাকবে না, পাহারা থাকবে না, তখন কী হবে? কে তখন পশুপাল রক্ষা করবে?
ইমাম জাহাবি (রহ.) বলেন, এটি এমন একটি গরু, যাকে আল্লাহ দুনিয়াতেই বাকশক্তি দান করেছিলেন, যাতে সে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলতে পারে যে, সে কারও ক্ষতি করে না এবং তাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। সুতরাং কেউ যদি তাকে তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজে বাধ্য করে কিংবা অন্যায়ভাবে আঘাত করে, তাহলে কিয়ামতের দিন সেই আঘাত ও নির্যাতনের সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেওয়া হবে। (আল-কাবায়ির,১ / ২০৫)
ইমাম আবু জাফর আত-তহাবি (রহ.) বলেন, এ হাদিসে সেই গরুর কথা রয়েছে, যাকে আল্লাহ তাআলা বাকশক্তি দান করেছিলেন এবং যে কথা বলেছিল, তা মূলত মুমিনদের জন্য ইমানের উপকরণ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। তার উচ্চারিত বাক্য সত্য ছিল, কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সত্য বলে স্বীকার করেছিলেন, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে, আবু বকর ও ওমর (রা.)—তাঁরাও এতে বিশ্বাস করতেন। (শরহে মুশকিলিল আছার ৮ / ৭৫)
গল্প থেকে শিক্ষা
প্রাণীদের সৃষ্টিগত কাজের বিপরীতে ব্যবহার করা অনুচিত। আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীকে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রাণীদের সেই কাজে ব্যবহার করা উচিত, যার জন্য তারা সৃষ্টি হয়েছে।
আল্লাহর মহান ক্ষমতার চমকপ্রদ নিদর্শনসমূহ দিয়ে মানুষকে উপদেশ দেওয়া সুন্নত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের পর সাহাবিদের আল্লাহর অসীম ক্ষমতার এক বিস্ময়কর ঘটনা শোনাচ্ছিলেন।
নামাজের পর মানুষকে উপদেশ দেওয়া জায়েজ। এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নামাজ শেষে মানুষকে উপদেশ দেওয়া এবং আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলা একটি সুন্নত ও কল্যাণকর কাজ।
আল্লাহর অসীম শক্তির প্রমাণ। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি চাইলে যেকোনো প্রাণীকে মানুষের ভাষায় কথা বলার যোগ্যতা দান করতে পারেন। যেমন, হাদিসে এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
যেকোনো সহিহ বর্ণনাকে বিনা সন্দেহে গ্রহণ করা উচিত। কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসে যেসব সংবাদ এসেছে, সেগুলো যতই আশ্চর্যজনক হোক না কেন, তাতে বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। কেননা, মহান আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তবে মিথ্যা বা জাল কাহিনিকে সত্য হিসেবে প্রচার করা নিষিদ্ধ; বরং সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই বর্ণনা করা যেতে পারে।
আবু বকর ও ওমর (রা.)–এর মর্যাদা প্রমাণিত হয়। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু বকর ও ওমর (রা.)-এর ইমানের দৃঢ়তা, তাঁদের মহান আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর কুদরতের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেছেন।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন। এসব গল্পের মধ্যে রয়েছে একটি গরু ও একটি বাঘের মানুষের সঙ্গে কথা বলার দুটি গল্প। গল্প দুটির শিক্ষা এখানে তুলে ধরা হলো—
এক.
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.) ফজরের নামাজ শেষে লোকজনের দিকে ঘুরে বসলেন এবং বললেন, একদিন এক লোক এক গরু হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সে এটির পিঠে চড়ে বসল এবং তাকে প্রহার করতে লাগল। তখন গরুটি বলল, ‘আমাদের এ জন্য সৃষ্টি করা হয়নি; বরং আমাদের চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’ এ কথা শুনে লোকজন বলে উঠল, ‘সুবহানাল্লাহ্! গরুও কথা বলে?’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
দুই.
হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক রাখাল একদিন তার ছাগল পালের মাঝে অবস্থান করছিল, এমন সময় একটা চিতা বাঘ পালে ঢুকে একটা ছাগল নিয়ে গেল। রাখাল বাঘের পেছনে ধাওয়া করে ছাগলটি উদ্ধার করে নিল। তখন বাঘটি বলল, ‘তুমি ছাগলটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলে বটে; তবে ওইদিন কে ছাগলকে রক্ষা করবে, যেদিন হিংস্র জন্তু ওদের আক্রমণ করবে এবং আমি ছাড়া তাদের অন্য কোনো রাখাল থাকবে না।’
লোকজন বলল, ‘সুবহানাল্লাহ! চিতা বাঘ কথা বলে।’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়েই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
এ দুটি হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি কেবল দুটি পশুর নয়। এটি প্রকৃতির এক গভীর বার্তা। গরুটি তার দায়িত্ব জানত—সে জানত, সে সওয়ারির জন্য নয়, চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মানুষ কখনো কখনো নিজ স্বার্থের জন্য সেই বিধানকে অগ্রাহ্য করে। আর তখনই প্রকৃতি তাকে সতর্ক করে দেয়।
একইভাবে বাঘটিও যেন এক ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করল। সে শুধু ক্ষুধার্ত শিকারি নয়, সে এক রহস্যময় দূত। সে জানত, একদিন আসবে যখন রাখাল থাকবে না, পাহারা থাকবে না, তখন কী হবে? কে তখন পশুপাল রক্ষা করবে?
ইমাম জাহাবি (রহ.) বলেন, এটি এমন একটি গরু, যাকে আল্লাহ দুনিয়াতেই বাকশক্তি দান করেছিলেন, যাতে সে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলতে পারে যে, সে কারও ক্ষতি করে না এবং তাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। সুতরাং কেউ যদি তাকে তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজে বাধ্য করে কিংবা অন্যায়ভাবে আঘাত করে, তাহলে কিয়ামতের দিন সেই আঘাত ও নির্যাতনের সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেওয়া হবে। (আল-কাবায়ির,১ / ২০৫)
ইমাম আবু জাফর আত-তহাবি (রহ.) বলেন, এ হাদিসে সেই গরুর কথা রয়েছে, যাকে আল্লাহ তাআলা বাকশক্তি দান করেছিলেন এবং যে কথা বলেছিল, তা মূলত মুমিনদের জন্য ইমানের উপকরণ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। তার উচ্চারিত বাক্য সত্য ছিল, কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সত্য বলে স্বীকার করেছিলেন, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে, আবু বকর ও ওমর (রা.)—তাঁরাও এতে বিশ্বাস করতেন। (শরহে মুশকিলিল আছার ৮ / ৭৫)
গল্প থেকে শিক্ষা
প্রাণীদের সৃষ্টিগত কাজের বিপরীতে ব্যবহার করা অনুচিত। আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীকে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রাণীদের সেই কাজে ব্যবহার করা উচিত, যার জন্য তারা সৃষ্টি হয়েছে।
আল্লাহর মহান ক্ষমতার চমকপ্রদ নিদর্শনসমূহ দিয়ে মানুষকে উপদেশ দেওয়া সুন্নত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের পর সাহাবিদের আল্লাহর অসীম ক্ষমতার এক বিস্ময়কর ঘটনা শোনাচ্ছিলেন।
নামাজের পর মানুষকে উপদেশ দেওয়া জায়েজ। এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নামাজ শেষে মানুষকে উপদেশ দেওয়া এবং আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলা একটি সুন্নত ও কল্যাণকর কাজ।
আল্লাহর অসীম শক্তির প্রমাণ। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি চাইলে যেকোনো প্রাণীকে মানুষের ভাষায় কথা বলার যোগ্যতা দান করতে পারেন। যেমন, হাদিসে এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
যেকোনো সহিহ বর্ণনাকে বিনা সন্দেহে গ্রহণ করা উচিত। কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসে যেসব সংবাদ এসেছে, সেগুলো যতই আশ্চর্যজনক হোক না কেন, তাতে বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। কেননা, মহান আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তবে মিথ্যা বা জাল কাহিনিকে সত্য হিসেবে প্রচার করা নিষিদ্ধ; বরং সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই বর্ণনা করা যেতে পারে।
আবু বকর ও ওমর (রা.)–এর মর্যাদা প্রমাণিত হয়। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু বকর ও ওমর (রা.)-এর ইমানের দৃঢ়তা, তাঁদের মহান আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর কুদরতের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেছেন।

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৩ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৩ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৩ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে