আবদুল্লাহ
মহররম মাসের দশম দিনকে বলা হয় আশুরা। মহান আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই দিনে রোজা রাখা হয়। কারণ, মহান আল্লাহ তাআলা এই দিনে তাঁর নবী মুসা (আ.) এবং তাঁর সম্প্রদায়কে ফেরাউন ও তার দলবল থেকে রক্ষা করেছিলেন। হাদিসে এসেছে—ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) মদিনায় এসে ইহুদিদের দেখতে পেলেন, তারা আশুরার রোজা রাখে। তিনি ইহুদিদের কাছ থেকে জানতে পারেন, আশুরার দিন মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইল ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তাই মুসা (আ.) এই দিন রোজা পালন করেছেন। নবীজি (সা.) তখন বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আ.)-এর ব্যাপারে অধিক হকদার।’ এবং তিনি নিজে রোজা রাখেন এবং সাহাবিদেরও রাখতে বলেন। (সহিহ্ বুখারি: ২০০৪)।
আশুরার রোজা অনেক ফজিলতপূর্ণ। উবায়দুল্লাহ ইবনে আবু ইয়াজিদ (রহ.) বলেন, ইবনে আব্বাস (রা.)-কে আশুরার দিনে রোজা পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এ দিন ব্যতীত রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো দিনকে অন্য দিনের তুলনায় উত্তম মনে করে রোজা রেখেছেন বলে আমার জানা নেই। এভাবে রমজান ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো মাসকে অন্য মাসের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করে রোজা রেখেছেন বলেও আমার জানা নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৩২)। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আমি আশাবাদী যে তিনি এর দ্বারা আগের বছরের গুনাহ মোচন করে দেবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২, মিশকাত: ২০৪৪)
ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বরকতের ছোঁয়ায় আশুরার দিনটি এক মহিমান্বিত ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন, যা মহান আল্লাহর অসীম করুণা ও কুদরতের এক জ্বলন্ত নিদর্শন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণে আশুরার রোজা পালন আমাদের জন্য ইবাদত ও পুরস্কার লাভের এক বড় সুযোগ। অতএব, আমাদের উচিত এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা, আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সচেষ্ট হওয়া এবং তাঁর দেওয়া হিদায়াতের পথে অবিচল থাকা।
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মহররম মাসের দশম দিনকে বলা হয় আশুরা। মহান আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই দিনে রোজা রাখা হয়। কারণ, মহান আল্লাহ তাআলা এই দিনে তাঁর নবী মুসা (আ.) এবং তাঁর সম্প্রদায়কে ফেরাউন ও তার দলবল থেকে রক্ষা করেছিলেন। হাদিসে এসেছে—ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) মদিনায় এসে ইহুদিদের দেখতে পেলেন, তারা আশুরার রোজা রাখে। তিনি ইহুদিদের কাছ থেকে জানতে পারেন, আশুরার দিন মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইল ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তাই মুসা (আ.) এই দিন রোজা পালন করেছেন। নবীজি (সা.) তখন বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আ.)-এর ব্যাপারে অধিক হকদার।’ এবং তিনি নিজে রোজা রাখেন এবং সাহাবিদেরও রাখতে বলেন। (সহিহ্ বুখারি: ২০০৪)।
আশুরার রোজা অনেক ফজিলতপূর্ণ। উবায়দুল্লাহ ইবনে আবু ইয়াজিদ (রহ.) বলেন, ইবনে আব্বাস (রা.)-কে আশুরার দিনে রোজা পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এ দিন ব্যতীত রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো দিনকে অন্য দিনের তুলনায় উত্তম মনে করে রোজা রেখেছেন বলে আমার জানা নেই। এভাবে রমজান ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো মাসকে অন্য মাসের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করে রোজা রেখেছেন বলেও আমার জানা নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৩২)। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আমি আশাবাদী যে তিনি এর দ্বারা আগের বছরের গুনাহ মোচন করে দেবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২, মিশকাত: ২০৪৪)
ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বরকতের ছোঁয়ায় আশুরার দিনটি এক মহিমান্বিত ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন, যা মহান আল্লাহর অসীম করুণা ও কুদরতের এক জ্বলন্ত নিদর্শন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণে আশুরার রোজা পালন আমাদের জন্য ইবাদত ও পুরস্কার লাভের এক বড় সুযোগ। অতএব, আমাদের উচিত এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা, আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সচেষ্ট হওয়া এবং তাঁর দেওয়া হিদায়াতের পথে অবিচল থাকা।
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
চল্লিশ বছর বয়সে যখন রাসুল (সা.)-এর ওপর নবুওয়াতের দায়িত্ব অর্পণ হয়। ফাতিমা (রা.) তখন মাত্র পাঁচ বছরের শিশু। কিন্তু সেই শিশুকালেই তিনি দেখেছেন—রাসুল (সা.)-এর ওপর কুরাইশ নেতাদের অমানবিক অত্যাচার। পিঠে উটের নাড়িভুঁড়ি ফেলে কুরাইশরা যখন রাসুল (সা.)-কে অপমান আর অত্যাচার করছিল, তখন তিনিই ছুটে গিয়ে তা...
১৩ ঘণ্টা আগেআল্লাহর ভয় বা তাকওয়া জীবনের একটি মূল স্তম্ভ। মুসলমানদের জীবনে আল্লাহর প্রতি ভয় এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের আকাঙ্ক্ষাই তাদের আমল, চরিত্র এবং নৈতিকতার কেন্দ্রবিন্দু। কোরআন ও হাদিসে আল্লাহকে ভয় করার গুরুত্ব এবং প্রকৃত পদ্ধতি স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে...
১৩ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি পৃথিবীর বিশুদ্ধ পানির অন্যতম একটি উৎস। আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি মৃত জমিন উর্বর করে। সুজলা সুফলা করে তোলে খেত-খামার। বিশুদ্ধ পানি শূন্য এলাকায় জনজীবনে সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করে।
১৩ ঘণ্টা আগেবৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কাজের দিন। জুমাবারের পূর্ববর্তী দিন হওয়ায় এটি জুমার দিনকে প্রস্তুত করে তোলে। এই দিন রোজা রাখা, নেক আমল করা এবং ইবাদত করার ফজিলত অপরিসীম। কেননা, নফল ইবাদত অন্তরকে পরিশুদ্ধ ও আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।
২১ ঘণ্টা আগে