Ajker Patrika

মহানবীর বড় ৫ কূটনৈতিক সাফল্য

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
মহানবীর বড় ৫ কূটনৈতিক সাফল্য

পবিত্র কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে পাঠানোর প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে গোমরাহির অন্ধকার থেকে হিদায়াতের মাধ্যমে আলোর পথে নিয়ে আসা এবং পৃথিবীবাসীর ওপর চেপে বসা শোষণমূলক আইন ও সমাজব্যবস্থাকে পরাজিত করে আল্লাহর নির্দেশিত শোষণহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিৃষ্ঠা করা। (সুরা মায়েদা: ১৫-১৬; সুরা তাওবা: ৩৩) এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মহানবী (সা.) যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, তার মধ্যে আরবের বিভিন্ন গোত্র ও তৎকালীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ লেখায় তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। 

আবিসিনিয়ায় হিজরত
নবুয়তি মিশন শুরু করার পরপরই ইসলামের অনুসারীরা মক্কাবাসীর তুমুল বিরোধিতা ও নির্যাতনের মুখে পড়েন। এতে তাঁদের জীবনযাত্রা ও ধর্মীয় অনুশাসন পালন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হলে মহানবী (সা.) তাঁর কিছু অনুসারীকে দুই ধাপে আবিসিনিয়ায় (বর্তমান ইথিওপিয়া অঞ্চলে) পাঠিয়ে দেন। হিজরতের জন্য নির্বাচিত এই দল গঠন করা হয়েছিল নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব, যুবক-বৃদ্ধ, অভিজাত ও নিম্নবংশীয় সবাইকে নিয়ে, যেন বহির্বিশ্বের মানুষ বুঝতে পারে, লিঙ্গ-বয়স-শ্রেণি-পেশানির্বিশেষে সব ধরনের মানুষের কাছে ইসলাম গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তৎকালীন পৃথিবীর রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, হিজরতের জন্য আবিসিনিয়াই ছিল সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। কারণ সেখানে কোনো আরব গোত্রের বসবাস ছিল না। সেখানকার রাজা ন্যায়পরায়ণ ছিলেন এবং আবিসিনিয়া ছিল সেকালের দুই পরাশক্তির প্রভাবমুক্ত একটি স্বাধীন দেশ। ফলে একদিকে সেখানে মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা যেমন ছিল, তেমনি তার সঙ্গে ব্যবসায়িক, সামরিক ও রাজনৈতিক মিত্রতা প্রতিষ্ঠারও সমূহ সম্ভাবনা ছিল। অনুসারীদের জুলুম থেকে বাঁচাতে এবং চাপে পড়ে ইসলাম ত্যাগ করা থেকে রক্ষা করতে আবিসিনিয়ায় পাঠানোর এমন বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপকে সিরাত বিশ্লেষকেরা মহানবী (সা.)-এর অসামান্য কূটনৈতিক দক্ষতা বলে অভিহিত করেছেন। 

আকাবার শপথ ও মদিনায় হিজরত 
পৌত্তলিকদের উপর্যুপরি বিরোধিতার কারণে মক্কায় থেকে নবুয়তি মিশন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে তিনি মদিনায় হিজরতের সিদ্ধান্ত নেন। গবেষকদের মতে, হিজরতের জন্য মদিনাকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো মদিনার লোকজনের অতিথিপরায়ণতা এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তার প্রাকৃতিক উন্নত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। মদিনার পশ্চিম ও পূর্ব দিকে ছিল দুর্গম প্রস্তরময় ভূমি। দক্ষিণ দিকে ছিল দীর্ঘ ও ঘন খেজুরবাগান, যা ভেদ করে মদিনায় আক্রমণ করা অসম্ভব। শুধু উত্তর দিকের অংশটি খোলা ছিল, যেখানে মহানবী (সা.) পরিখা খনন করে মদিনাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত দুর্গে পরিণত করেছিলেন। মদিনায় যাওয়ার আগে তিনি সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিকবার গোপন বৈঠক করে তাঁর সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার ওয়াদা নেন, ইতিহাসে যা আকাবার শপথ নামে পরিচিত। এই নিখুঁত পরিকল্পনা ও তার যথাযথ বাস্তবায়নকে গবেষকেরা মহানবীর কূটনৈতিক দক্ষতা বলে অভিহিত করেছেন। (আস সিরাতুন নাবাবিয়্যাহ) 

মদিনা সনদ 
মদিনায় হিজরতের পর মহানবী প্রথমে মুহাজির ও আনসার সাহাবিদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে দেন এবং ইসলামের সুমহান নীতি সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে চলা আন্তঃগোত্রীয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটান। মদিনায় বসবাসরত সব গোত্রের মধ্যে সুশাসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৪৭ মতান্তরে ৫৩ ধারার একটি সনদ বা সংবিধান প্রণয়ন করেন, যা ইসলামের ইতিহাসে মদিনা সনদ নামে পরিচিত। এই সনদ একদিকে মদিনায় ঐক্য ও শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে মদিনাকে নিরাপদ করে তোলে, অন্যদিকে মহানবীকে মদিনাবাসীর অদ্বিতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এই পুরো প্রক্রিয়া তিনি সব ধরনের সংঘর্ষ এড়িয়ে সম্পূর্ণ কূটনৈতিকভাবে আঞ্জাম দেন। 

হুদাইবিয়ার সন্ধি 
হুদাইবিয়ার সন্ধি হলো মহানবী (সা.) ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। এই চুক্তিকে মহানবীর সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক বিজয় বলা হয়। পবিত্র কোরআনেও এটাকে ফাতহে মুবিন বা স্পষ্ট বিজয় বলা হয়েছে। (সুরা ফাতাহ: ১) মদিনায় যাওয়ার পর থেকে মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে মুসলমানদের একাধিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আরবে মুসলমানদের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য এসব যুদ্ধের খুব প্রয়োজনও ছিল। তবে যুদ্ধের ব্যস্ততা কমিয়ে আরবের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলাম প্রচার করা, আরবের বাইরে বিভিন্ন রাষ্ট্রে ইসলামের পয়গাম পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার জন্য কুরাইশদের সঙ্গে একটা যুদ্ধবিরতির খুব প্রয়োজন ছিল। মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্রকাঠামো মজবুত করার জন্যও এর প্রয়োজন ছিল। হুদাইবিয়ার সন্ধি সেই সুযোগ করে দেয়। চুক্তির কয়েকটি ধারা আপাতদৃষ্টিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মনে হওয়ায় সাহাবিদের কেউ কেউ তা মেনে নিতে পারছিলেন না। কিন্তু রাসুল (সা.) চুক্তি প্রসঙ্গে অনড় থাকেন। সন্ধির কল্যাণে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে মক্কা-মদিনার মধ্যে যাতায়াত শুরু হয়। বিনা বাধায় অমুসলিমরা নবীজির কাছে আসা-যাওয়া করতে থাকেন। এর সুবাদে ইসলামের ব্যাপারে ছড়ানো অপপ্রচারের অসারতা তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইতিহাসবিদেরা বলেন, এ সময় অধিকসংখ্যক মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন। 

বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে চিঠি 
হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলে দাওয়াতের পথ মসৃণ হয়। এই সুযোগে মহানবী (সা.) ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বিশ্বনেতাদের কাছে চিঠি লেখেন। দূত হিসেবে দাহইয়া কালবি, আমর ইবনে উমাইয়া, আবদুল্লাহ ইবনে হুজাইফার মতো সুদর্শন ও সমীহ জাগানিয়া ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোকজনের বাছাই করেন। গবেষকদের মতে, মহানবীর চিঠি পাঠানোর এই পদক্ষেপ ইসলামের দাওয়াতের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক সাহসী কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। 

সূত্র: 
১. মাজাল্লাতুল জামিয়া আল মাদানিয়্যাহ। 
২. আল লুলুউল মাকনুন ফি সিরাতিন নাবিয়্যিল মামুন। 
৩. সিরাতে ইবনে হিশাম। 
৪. সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া। 
৫. ডিপ্লোম্যাটিক ক্যারিয়ার অব মুহাম্মদ। 

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)

নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।

পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)

অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪১ মিনিট
আসর০৩: ৪২ মিনিট০৫: ১৭ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজানের আগে নামাজ আদায় করা যাবে কি

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)

নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)

প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৫ মিনিট
ফজর০৫: ১৬ মিনিট০৬: ৩৬ মিনিট
জোহর১১: ৫৮ মিনিট০৩: ৪১ মিনিট
আসর০৩: ৪২ মিনিট০৫: ১৭ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
এশা০৬: ৩৮ মিনিট০৫: ১৫ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত