মুফতি আইয়ুব নাদীম
যাপিত জীবনে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও বন্ধুত্ব মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ—যা মহান আল্লাহ তাআলার অপার নিয়ামতের অন্তর্ভুক্ত। আর বন্ধু নির্বাচনে আছে ইসলামের শক্ত নীতিমালা। ইসলামের দৃষ্টিতে যাকে-তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না; বরং বন্ধু সে হবে—যে কল্যাণকর কাজের সহযোগী হবে এবং আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে সহযোগিতা করবে।
কোরআন-হাদিসে এমন চার শ্রেণির কথা উল্লেখ আছে, যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সঠিক নয়—
১. কাফির
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনগণ যেন মোমিনদের ছেড়ে কাফিরদের (নিজেদের) মিত্র না বানায়। যে এমন করবে—আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তাদের (জুলুম) থেকে বাঁচার জন্য যদি আত্মরক্ষামূলক কোনো পন্থা অবলম্বন করে, সেটা ভিন্ন কথা।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৮)
২. জালিম বা অত্যাচারী
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের শুধু তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন—যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে, তোমাদের তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদের বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে তারাই জালেম।’ (সুরা মুমতাহিনা: ৯)
এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবে জানার পরও তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য তার সঙ্গে চলে, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল।’ (তবরানি: ১/৩২)
৩. ফাসেক
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, কোনো ফাসেক যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে—যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বসো। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদের অনুতপ্ত হতে হবে।’ (সুরা হুজরাত: ৬)
৪. বিদআতি
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিদআতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল—সে যেন ইসলাম ধ্বংস করার কাজে সাহায্য করল’। (তবরানি: ৭৬৭২)
তাই আসুন, আমরা যাপিত জীবনে এ চার শ্রেণির সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক জড়ানো থেকে নিজেকে দূরে রাখি।
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
যাপিত জীবনে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও বন্ধুত্ব মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ—যা মহান আল্লাহ তাআলার অপার নিয়ামতের অন্তর্ভুক্ত। আর বন্ধু নির্বাচনে আছে ইসলামের শক্ত নীতিমালা। ইসলামের দৃষ্টিতে যাকে-তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না; বরং বন্ধু সে হবে—যে কল্যাণকর কাজের সহযোগী হবে এবং আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে সহযোগিতা করবে।
কোরআন-হাদিসে এমন চার শ্রেণির কথা উল্লেখ আছে, যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সঠিক নয়—
১. কাফির
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনগণ যেন মোমিনদের ছেড়ে কাফিরদের (নিজেদের) মিত্র না বানায়। যে এমন করবে—আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তাদের (জুলুম) থেকে বাঁচার জন্য যদি আত্মরক্ষামূলক কোনো পন্থা অবলম্বন করে, সেটা ভিন্ন কথা।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৮)
২. জালিম বা অত্যাচারী
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের শুধু তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন—যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে, তোমাদের তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদের বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে তারাই জালেম।’ (সুরা মুমতাহিনা: ৯)
এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবে জানার পরও তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য তার সঙ্গে চলে, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল।’ (তবরানি: ১/৩২)
৩. ফাসেক
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, কোনো ফাসেক যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে—যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বসো। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদের অনুতপ্ত হতে হবে।’ (সুরা হুজরাত: ৬)
৪. বিদআতি
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিদআতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল—সে যেন ইসলাম ধ্বংস করার কাজে সাহায্য করল’। (তবরানি: ৭৬৭২)
তাই আসুন, আমরা যাপিত জীবনে এ চার শ্রেণির সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক জড়ানো থেকে নিজেকে দূরে রাখি।
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
১৮ মিনিট আগেইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
৫ ঘণ্টা আগেগাছ মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। গাছপালার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জীবনধারণের অনেক উপাদান দিয়ে থাকেন। গাছ আমাদের চারপাশের সৌন্দর্য বাড়ায়, বায়ুদূষণ কমায়, অক্সিজেন সরবরাহ করে, ছায়া দেয়, মাটির ক্ষয় রোধ করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ইসলামে গাছ লাগানোর
১২ ঘণ্টা আগেসালাম মুসলমানদের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অভিবাদন। বহু যুগ আগে থেকেই সালামের রীতি চলে আসছে। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তোমার নিকট ইবরাহিমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে? যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম। উত্তরে তিনিও বললেন, সালাম।’ (সুরা জারিয়াত: ২৪-২৫)
১ দিন আগে