কাউসার লাবীব

বৃষ্টি মানবজীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে। জমিনে ফোটে ফুল-ফসল। প্রকৃতি পায় সজীবতা। এটি শুধু কৃষিকাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা। বৃষ্টির শব্দ হৃদয়কে করে কোমল, মনে জাগায় নানা স্মৃতি। গ্রীষ্মের খরতাপে যখন চারদিক শুকিয়ে যায়, তখন বৃষ্টি এনে দেয় শান্তির পরশ। আবার বর্ষায় বৃষ্টি আনে জলাবদ্ধতা, জনজীবনের দুর্ভোগ।
বৃষ্টি নিয়ে মানুষের আবেগ-উচ্ছ্বাস আবহমানকাল ধরেই। গল্প-কবিতা আর ছন্দ-পঙ্ক্তি তো বৃষ্টি ছাড়া জমেই না। সাদাকালো উপন্যাস রঙিন হয় বৃষ্টির ছোঁয়ায়। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন এবং হাদিসেও নানাভাবে এসেছে বৃষ্টির বর্ণনা।
কোরআনের পাতায় বৃষ্টির ছোঁয়া
বৃষ্টি কেবল আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক ঘটনা নয়; বরং মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অপার রহমত ও রিজিকের নিদর্শন। কোরআনুল কারিমে অসংখ্যবার বৃষ্টিকে জীবনের উৎস, দুনিয়ার প্রাণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন—
‘আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।’ (সুরা শুরা: ২৮)
‘তোমরা জেনে রাখো—দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহংকার, ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। এর উপমা হলো বৃষ্টির মতো, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদের আনন্দ দেয়। তারপর তা শুকিয়ে যায়। তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও। তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়।’ (সুরা হাদিদ: ২০)
‘আর আমি বায়ুকে উর্বরকারীরূপে প্রেরণ করি। অতঃপর আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদের পান করাই। কিন্তু তোমরা তার সংরক্ষণকারী নও।’ (সুরা হিজর: ২২)
‘আর তিনিই আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন। অতঃপর আমি এ দ্বারা উদ্ভিদ উদ্গম করি, যা থেকে উৎপন্ন করি সবুজ শ্যামলতা। তারপর তা থেকে আমি বের করি ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা। আর উৎপন্ন করি খেজুর বৃক্ষের কাণ্ডের ওপর থেকে ঝুলে পড়া কাঁদি, আঙুরের বাগান, সাদৃশ্যপূর্ণ ও অসাদৃশ্য জয়তুন (অলিভ) ও আনার। তোমরা লক্ষ করো তার ফলের দিকে—যখন তা ফলে এবং যখন তা পাকে। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে এমন এক সম্প্রদায়ের জন্য, যারা ইমান আনে।’ (সুরা আনআম: ৯৯)
‘তুমি কি দেখো না, আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূগর্ভে প্রস্রবণরূপে চালিত করেন। তারপর তিনি তা দিয়ে নানা রঙের ফসল উৎপন্ন করেন। তারপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি দেখতে পাও তা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর তিনি তা খড়-কুটায় পরিণত করেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে উপদেশ।’ (সুরা জুমার: ২১)
হাদিসের পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা
মেঘ ভেঙে নেমে আসা বৃষ্টির পেছনে আছে গভীর আধ্যাত্মিক বার্তা, যা আমাদের শিখিয়েছেন প্রিয় নবী (সা.)। তিনি বৃষ্টিকে বানিয়ে তুলতেন ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়। দোয়ার জন্য তিনি বৃষ্টির সময় বেছে নিতেন, আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করতেন, এমনকি বৃষ্টির ফোঁটাকে বলতেন—প্রভুর পক্ষ থেকে সদ্য আগত রহমত।
হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.) সঙ্গে থাকাকালীন একবার বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। নবীজি তাঁর পরনের কাপড়ের কিছু অংশ তুলে ধরলেন, যাতে করে তাঁর শরীরে কিছুটা বৃষ্টির পানি পড়ে। এ রকম করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা (বৃষ্টি) এইমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় কল্যাণ কামনা করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বৃষ্টি দেখলে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিআ।’ অর্থ, ‘হে আল্লাহ, আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারী হয়।’ (সহিহ্ বুখারি)
বৃষ্টির সময় নবী করিম (সা.) বেশি বেশি দোয়া করতেন। কারণ এ সময় দোয়া কবুল হয়। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজানের সময় এবং বৃষ্টি চলাকালীন দোয়া কখনো ফেরত দেওয়া হয় না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪০)
এ ছাড়া কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানাভাবে বৃষ্টির বর্ণনা এসেছে। এই বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় রিজিক দেন। আবার কখনো আসমানি আজাব নেমে এসেছে বৃষ্টির মাধ্যমে। বৃষ্টির সময় রাসুল (সা.)-এর দোয়া, তাঁর আমল এবং হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনাগুলো আমাদের শেখায় কীভাবে আমরা এই সময়টি ইবাদতে পরিণত করতে পারি। কারণ, বৃষ্টির সময়কে ইবাদতে পরিণত করতে পারলেই কেবল এর মাধ্যমে নেমে আসা আসমানি ক্ষতি থেকে বাঁচা সম্ভব।

বৃষ্টি মানবজীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে। জমিনে ফোটে ফুল-ফসল। প্রকৃতি পায় সজীবতা। এটি শুধু কৃষিকাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা। বৃষ্টির শব্দ হৃদয়কে করে কোমল, মনে জাগায় নানা স্মৃতি। গ্রীষ্মের খরতাপে যখন চারদিক শুকিয়ে যায়, তখন বৃষ্টি এনে দেয় শান্তির পরশ। আবার বর্ষায় বৃষ্টি আনে জলাবদ্ধতা, জনজীবনের দুর্ভোগ।
বৃষ্টি নিয়ে মানুষের আবেগ-উচ্ছ্বাস আবহমানকাল ধরেই। গল্প-কবিতা আর ছন্দ-পঙ্ক্তি তো বৃষ্টি ছাড়া জমেই না। সাদাকালো উপন্যাস রঙিন হয় বৃষ্টির ছোঁয়ায়। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন এবং হাদিসেও নানাভাবে এসেছে বৃষ্টির বর্ণনা।
কোরআনের পাতায় বৃষ্টির ছোঁয়া
বৃষ্টি কেবল আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক ঘটনা নয়; বরং মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অপার রহমত ও রিজিকের নিদর্শন। কোরআনুল কারিমে অসংখ্যবার বৃষ্টিকে জীবনের উৎস, দুনিয়ার প্রাণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন—
‘আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।’ (সুরা শুরা: ২৮)
‘তোমরা জেনে রাখো—দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহংকার, ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। এর উপমা হলো বৃষ্টির মতো, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদের আনন্দ দেয়। তারপর তা শুকিয়ে যায়। তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও। তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়।’ (সুরা হাদিদ: ২০)
‘আর আমি বায়ুকে উর্বরকারীরূপে প্রেরণ করি। অতঃপর আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদের পান করাই। কিন্তু তোমরা তার সংরক্ষণকারী নও।’ (সুরা হিজর: ২২)
‘আর তিনিই আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন। অতঃপর আমি এ দ্বারা উদ্ভিদ উদ্গম করি, যা থেকে উৎপন্ন করি সবুজ শ্যামলতা। তারপর তা থেকে আমি বের করি ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা। আর উৎপন্ন করি খেজুর বৃক্ষের কাণ্ডের ওপর থেকে ঝুলে পড়া কাঁদি, আঙুরের বাগান, সাদৃশ্যপূর্ণ ও অসাদৃশ্য জয়তুন (অলিভ) ও আনার। তোমরা লক্ষ করো তার ফলের দিকে—যখন তা ফলে এবং যখন তা পাকে। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে এমন এক সম্প্রদায়ের জন্য, যারা ইমান আনে।’ (সুরা আনআম: ৯৯)
‘তুমি কি দেখো না, আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূগর্ভে প্রস্রবণরূপে চালিত করেন। তারপর তিনি তা দিয়ে নানা রঙের ফসল উৎপন্ন করেন। তারপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি দেখতে পাও তা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর তিনি তা খড়-কুটায় পরিণত করেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে উপদেশ।’ (সুরা জুমার: ২১)
হাদিসের পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা
মেঘ ভেঙে নেমে আসা বৃষ্টির পেছনে আছে গভীর আধ্যাত্মিক বার্তা, যা আমাদের শিখিয়েছেন প্রিয় নবী (সা.)। তিনি বৃষ্টিকে বানিয়ে তুলতেন ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়। দোয়ার জন্য তিনি বৃষ্টির সময় বেছে নিতেন, আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করতেন, এমনকি বৃষ্টির ফোঁটাকে বলতেন—প্রভুর পক্ষ থেকে সদ্য আগত রহমত।
হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.) সঙ্গে থাকাকালীন একবার বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। নবীজি তাঁর পরনের কাপড়ের কিছু অংশ তুলে ধরলেন, যাতে করে তাঁর শরীরে কিছুটা বৃষ্টির পানি পড়ে। এ রকম করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা (বৃষ্টি) এইমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় কল্যাণ কামনা করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বৃষ্টি দেখলে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিআ।’ অর্থ, ‘হে আল্লাহ, আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারী হয়।’ (সহিহ্ বুখারি)
বৃষ্টির সময় নবী করিম (সা.) বেশি বেশি দোয়া করতেন। কারণ এ সময় দোয়া কবুল হয়। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজানের সময় এবং বৃষ্টি চলাকালীন দোয়া কখনো ফেরত দেওয়া হয় না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪০)
এ ছাড়া কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানাভাবে বৃষ্টির বর্ণনা এসেছে। এই বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় রিজিক দেন। আবার কখনো আসমানি আজাব নেমে এসেছে বৃষ্টির মাধ্যমে। বৃষ্টির সময় রাসুল (সা.)-এর দোয়া, তাঁর আমল এবং হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনাগুলো আমাদের শেখায় কীভাবে আমরা এই সময়টি ইবাদতে পরিণত করতে পারি। কারণ, বৃষ্টির সময়কে ইবাদতে পরিণত করতে পারলেই কেবল এর মাধ্যমে নেমে আসা আসমানি ক্ষতি থেকে বাঁচা সম্ভব।
কাউসার লাবীব

বৃষ্টি মানবজীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে। জমিনে ফোটে ফুল-ফসল। প্রকৃতি পায় সজীবতা। এটি শুধু কৃষিকাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা। বৃষ্টির শব্দ হৃদয়কে করে কোমল, মনে জাগায় নানা স্মৃতি। গ্রীষ্মের খরতাপে যখন চারদিক শুকিয়ে যায়, তখন বৃষ্টি এনে দেয় শান্তির পরশ। আবার বর্ষায় বৃষ্টি আনে জলাবদ্ধতা, জনজীবনের দুর্ভোগ।
বৃষ্টি নিয়ে মানুষের আবেগ-উচ্ছ্বাস আবহমানকাল ধরেই। গল্প-কবিতা আর ছন্দ-পঙ্ক্তি তো বৃষ্টি ছাড়া জমেই না। সাদাকালো উপন্যাস রঙিন হয় বৃষ্টির ছোঁয়ায়। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন এবং হাদিসেও নানাভাবে এসেছে বৃষ্টির বর্ণনা।
কোরআনের পাতায় বৃষ্টির ছোঁয়া
বৃষ্টি কেবল আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক ঘটনা নয়; বরং মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অপার রহমত ও রিজিকের নিদর্শন। কোরআনুল কারিমে অসংখ্যবার বৃষ্টিকে জীবনের উৎস, দুনিয়ার প্রাণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন—
‘আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।’ (সুরা শুরা: ২৮)
‘তোমরা জেনে রাখো—দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহংকার, ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। এর উপমা হলো বৃষ্টির মতো, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদের আনন্দ দেয়। তারপর তা শুকিয়ে যায়। তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও। তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়।’ (সুরা হাদিদ: ২০)
‘আর আমি বায়ুকে উর্বরকারীরূপে প্রেরণ করি। অতঃপর আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদের পান করাই। কিন্তু তোমরা তার সংরক্ষণকারী নও।’ (সুরা হিজর: ২২)
‘আর তিনিই আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন। অতঃপর আমি এ দ্বারা উদ্ভিদ উদ্গম করি, যা থেকে উৎপন্ন করি সবুজ শ্যামলতা। তারপর তা থেকে আমি বের করি ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা। আর উৎপন্ন করি খেজুর বৃক্ষের কাণ্ডের ওপর থেকে ঝুলে পড়া কাঁদি, আঙুরের বাগান, সাদৃশ্যপূর্ণ ও অসাদৃশ্য জয়তুন (অলিভ) ও আনার। তোমরা লক্ষ করো তার ফলের দিকে—যখন তা ফলে এবং যখন তা পাকে। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে এমন এক সম্প্রদায়ের জন্য, যারা ইমান আনে।’ (সুরা আনআম: ৯৯)
‘তুমি কি দেখো না, আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূগর্ভে প্রস্রবণরূপে চালিত করেন। তারপর তিনি তা দিয়ে নানা রঙের ফসল উৎপন্ন করেন। তারপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি দেখতে পাও তা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর তিনি তা খড়-কুটায় পরিণত করেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে উপদেশ।’ (সুরা জুমার: ২১)
হাদিসের পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা
মেঘ ভেঙে নেমে আসা বৃষ্টির পেছনে আছে গভীর আধ্যাত্মিক বার্তা, যা আমাদের শিখিয়েছেন প্রিয় নবী (সা.)। তিনি বৃষ্টিকে বানিয়ে তুলতেন ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়। দোয়ার জন্য তিনি বৃষ্টির সময় বেছে নিতেন, আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করতেন, এমনকি বৃষ্টির ফোঁটাকে বলতেন—প্রভুর পক্ষ থেকে সদ্য আগত রহমত।
হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.) সঙ্গে থাকাকালীন একবার বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। নবীজি তাঁর পরনের কাপড়ের কিছু অংশ তুলে ধরলেন, যাতে করে তাঁর শরীরে কিছুটা বৃষ্টির পানি পড়ে। এ রকম করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা (বৃষ্টি) এইমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় কল্যাণ কামনা করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বৃষ্টি দেখলে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিআ।’ অর্থ, ‘হে আল্লাহ, আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারী হয়।’ (সহিহ্ বুখারি)
বৃষ্টির সময় নবী করিম (সা.) বেশি বেশি দোয়া করতেন। কারণ এ সময় দোয়া কবুল হয়। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজানের সময় এবং বৃষ্টি চলাকালীন দোয়া কখনো ফেরত দেওয়া হয় না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪০)
এ ছাড়া কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানাভাবে বৃষ্টির বর্ণনা এসেছে। এই বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় রিজিক দেন। আবার কখনো আসমানি আজাব নেমে এসেছে বৃষ্টির মাধ্যমে। বৃষ্টির সময় রাসুল (সা.)-এর দোয়া, তাঁর আমল এবং হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনাগুলো আমাদের শেখায় কীভাবে আমরা এই সময়টি ইবাদতে পরিণত করতে পারি। কারণ, বৃষ্টির সময়কে ইবাদতে পরিণত করতে পারলেই কেবল এর মাধ্যমে নেমে আসা আসমানি ক্ষতি থেকে বাঁচা সম্ভব।

বৃষ্টি মানবজীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে। জমিনে ফোটে ফুল-ফসল। প্রকৃতি পায় সজীবতা। এটি শুধু কৃষিকাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা। বৃষ্টির শব্দ হৃদয়কে করে কোমল, মনে জাগায় নানা স্মৃতি। গ্রীষ্মের খরতাপে যখন চারদিক শুকিয়ে যায়, তখন বৃষ্টি এনে দেয় শান্তির পরশ। আবার বর্ষায় বৃষ্টি আনে জলাবদ্ধতা, জনজীবনের দুর্ভোগ।
বৃষ্টি নিয়ে মানুষের আবেগ-উচ্ছ্বাস আবহমানকাল ধরেই। গল্প-কবিতা আর ছন্দ-পঙ্ক্তি তো বৃষ্টি ছাড়া জমেই না। সাদাকালো উপন্যাস রঙিন হয় বৃষ্টির ছোঁয়ায়। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন এবং হাদিসেও নানাভাবে এসেছে বৃষ্টির বর্ণনা।
কোরআনের পাতায় বৃষ্টির ছোঁয়া
বৃষ্টি কেবল আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক ঘটনা নয়; বরং মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অপার রহমত ও রিজিকের নিদর্শন। কোরআনুল কারিমে অসংখ্যবার বৃষ্টিকে জীবনের উৎস, দুনিয়ার প্রাণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন—
‘আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।’ (সুরা শুরা: ২৮)
‘তোমরা জেনে রাখো—দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহংকার, ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। এর উপমা হলো বৃষ্টির মতো, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদের আনন্দ দেয়। তারপর তা শুকিয়ে যায়। তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও। তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়।’ (সুরা হাদিদ: ২০)
‘আর আমি বায়ুকে উর্বরকারীরূপে প্রেরণ করি। অতঃপর আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদের পান করাই। কিন্তু তোমরা তার সংরক্ষণকারী নও।’ (সুরা হিজর: ২২)
‘আর তিনিই আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন। অতঃপর আমি এ দ্বারা উদ্ভিদ উদ্গম করি, যা থেকে উৎপন্ন করি সবুজ শ্যামলতা। তারপর তা থেকে আমি বের করি ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা। আর উৎপন্ন করি খেজুর বৃক্ষের কাণ্ডের ওপর থেকে ঝুলে পড়া কাঁদি, আঙুরের বাগান, সাদৃশ্যপূর্ণ ও অসাদৃশ্য জয়তুন (অলিভ) ও আনার। তোমরা লক্ষ করো তার ফলের দিকে—যখন তা ফলে এবং যখন তা পাকে। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে এমন এক সম্প্রদায়ের জন্য, যারা ইমান আনে।’ (সুরা আনআম: ৯৯)
‘তুমি কি দেখো না, আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূগর্ভে প্রস্রবণরূপে চালিত করেন। তারপর তিনি তা দিয়ে নানা রঙের ফসল উৎপন্ন করেন। তারপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি দেখতে পাও তা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর তিনি তা খড়-কুটায় পরিণত করেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে উপদেশ।’ (সুরা জুমার: ২১)
হাদিসের পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা
মেঘ ভেঙে নেমে আসা বৃষ্টির পেছনে আছে গভীর আধ্যাত্মিক বার্তা, যা আমাদের শিখিয়েছেন প্রিয় নবী (সা.)। তিনি বৃষ্টিকে বানিয়ে তুলতেন ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়। দোয়ার জন্য তিনি বৃষ্টির সময় বেছে নিতেন, আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করতেন, এমনকি বৃষ্টির ফোঁটাকে বলতেন—প্রভুর পক্ষ থেকে সদ্য আগত রহমত।
হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.) সঙ্গে থাকাকালীন একবার বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। নবীজি তাঁর পরনের কাপড়ের কিছু অংশ তুলে ধরলেন, যাতে করে তাঁর শরীরে কিছুটা বৃষ্টির পানি পড়ে। এ রকম করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা (বৃষ্টি) এইমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় কল্যাণ কামনা করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বৃষ্টি দেখলে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিআ।’ অর্থ, ‘হে আল্লাহ, আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারী হয়।’ (সহিহ্ বুখারি)
বৃষ্টির সময় নবী করিম (সা.) বেশি বেশি দোয়া করতেন। কারণ এ সময় দোয়া কবুল হয়। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজানের সময় এবং বৃষ্টি চলাকালীন দোয়া কখনো ফেরত দেওয়া হয় না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪০)
এ ছাড়া কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন স্থানে নানাভাবে বৃষ্টির বর্ণনা এসেছে। এই বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় রিজিক দেন। আবার কখনো আসমানি আজাব নেমে এসেছে বৃষ্টির মাধ্যমে। বৃষ্টির সময় রাসুল (সা.)-এর দোয়া, তাঁর আমল এবং হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনাগুলো আমাদের শেখায় কীভাবে আমরা এই সময়টি ইবাদতে পরিণত করতে পারি। কারণ, বৃষ্টির সময়কে ইবাদতে পরিণত করতে পারলেই কেবল এর মাধ্যমে নেমে আসা আসমানি ক্ষতি থেকে বাঁচা সম্ভব।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৃষ্টি মানবজীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে। জমিনে ফোটে ফুল-ফসল। প্রকৃতি পায় সজীবতা। এটি শুধু কৃষিকাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা।
১১ জুলাই ২০২৫
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

বৃষ্টি মানবজীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে। জমিনে ফোটে ফুল-ফসল। প্রকৃতি পায় সজীবতা। এটি শুধু কৃষিকাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা।
১১ জুলাই ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

বৃষ্টি মানবজীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে। জমিনে ফোটে ফুল-ফসল। প্রকৃতি পায় সজীবতা। এটি শুধু কৃষিকাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা।
১১ জুলাই ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বৃষ্টি মানবজীবনের এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে। জমিনে ফোটে ফুল-ফসল। প্রকৃতি পায় সজীবতা। এটি শুধু কৃষিকাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতা।
১১ জুলাই ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৩ ঘণ্টা আগে