আমজাদ ইউনুস

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন। তিনি ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করেছেন। এখানে তেমনি কয়েকটি কৌশলের কথা তুলে ধরা হলো।
ভুলে নজর দেওয়া
রাসুল (সা.) পরম ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে সুকৌশলে ভুল সংশোধন করতেন। কখনো কখনো ভুলের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করতেন এবং তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। কখনো কখনো ভুল শোধরাতে নীরব থাকতেন। একবার তিনি তাঁর সাহাবিদের একটি কাজে অনুমতির ইঙ্গিত দিতে তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছিলেন। তাঁর অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখে সাহাবিরা বুঝে নিলেন, তাঁদের কাজটি সঠিক নয়। যখন ভুল বড় ধরনের হতো, তখন তাঁর কথায় জোর দিতেন এবং একই কথা বারবার বলতেন।
উসামা ইবনে যায়েদ একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এক যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এক শত্রু সৈন্যের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘সৈন্যটি চিৎকার করে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে এ আশায় কালেমা বলছিল যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ উসামা আরও জানালেন, ‘তিনি ওই সৈন্যকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। এ কথা শুনে নবী (সা.)-এর মুখের রং বদলে গেল। তিনি বারবার বলতে থাকলেন, ‘কীভাবে তুমি তাকে হত্যা করলে, যখন সে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ
দুর্বল-অসহায়দের ভুল অতি কোমলভাবে শুধরে দিতেন মহানবী (সা.)। একদিন এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর মসজিদে প্রথম প্রবেশ করল। এরপর মসজিদের মেঝেতে প্রস্রাব করে দিল। রাসুল (সা.) নম্রভাবে সংশোধন করে বললেন, ‘আমরা মসজিদে প্রস্রাব করি না। এই ঘরগুলো ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেওয়া
ভুল শোধরাতে মহানবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দোয়া করতেন। রাসুল (সা.) একদিন আবু মাসুদ আনসারিকে দাস প্রহার করতে দেখে একটি কথাই বলেছিলেন, ‘তুমি তার ওপর যে ক্ষমতা রাখো, তার তুলনায় আল্লাহ তোমার ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা রাখেন।’ আবু মাসুদ তৎক্ষণাৎ দাসটি মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)
পরিচয় গোপন রাখা
শ্রোতাদের সামনে অভিনব কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন মহানবী (সা.)। সবার উপকারে ভুল শোধরাতে সুকৌশলে সম্পৃক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কথা বলতেন। বলতেন, ‘কী হলো লোকজনের, তারা এমন এমন কাজ করছে।’ এভাবে তিনি সাধারণ ভুল করা লোকদের সতর্ক করতেন, একই সঙ্গে সুকৌশলে ভুলে জড়িত ব্যক্তিদের তওবা করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেন। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না। সাহাবিদেরও এ কাজে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে অন্য ভাইয়ের পাপ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহও তার দোষ খুঁজে বের করবেন।’ (তিরমিজি)
কঠোরতা অবলম্বন
ভুল শোধরাতে কখনো কখনো রাসুল (সা.) কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ভুলের সংশোধন করতেন। একদিন এক সাহাবিকে গিবত করতে দেখলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন এবং সতর্ক করলেন। (আল মুজামুল কবির)
মানুষের মর্যাদা রক্ষা
ভুল সংশোধনের সময় মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন মহানবী (সা.)। ভুলের সমালোচনা করতেন; তবে ভুলকারীকে দোষ দিতেন না। উপহাস কিংবা খাটো করতেন না। একবার মাদকাসক্তি ছাড়তে অক্ষম এক ব্যক্তিকে লোকজন অভিশাপ দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে লানত দিয়ো না। আমি তার ব্যাপারে জানি, সে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন। তিনি ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করেছেন। এখানে তেমনি কয়েকটি কৌশলের কথা তুলে ধরা হলো।
ভুলে নজর দেওয়া
রাসুল (সা.) পরম ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে সুকৌশলে ভুল সংশোধন করতেন। কখনো কখনো ভুলের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করতেন এবং তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। কখনো কখনো ভুল শোধরাতে নীরব থাকতেন। একবার তিনি তাঁর সাহাবিদের একটি কাজে অনুমতির ইঙ্গিত দিতে তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছিলেন। তাঁর অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখে সাহাবিরা বুঝে নিলেন, তাঁদের কাজটি সঠিক নয়। যখন ভুল বড় ধরনের হতো, তখন তাঁর কথায় জোর দিতেন এবং একই কথা বারবার বলতেন।
উসামা ইবনে যায়েদ একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এক যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এক শত্রু সৈন্যের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘সৈন্যটি চিৎকার করে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে এ আশায় কালেমা বলছিল যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ উসামা আরও জানালেন, ‘তিনি ওই সৈন্যকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। এ কথা শুনে নবী (সা.)-এর মুখের রং বদলে গেল। তিনি বারবার বলতে থাকলেন, ‘কীভাবে তুমি তাকে হত্যা করলে, যখন সে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ
দুর্বল-অসহায়দের ভুল অতি কোমলভাবে শুধরে দিতেন মহানবী (সা.)। একদিন এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর মসজিদে প্রথম প্রবেশ করল। এরপর মসজিদের মেঝেতে প্রস্রাব করে দিল। রাসুল (সা.) নম্রভাবে সংশোধন করে বললেন, ‘আমরা মসজিদে প্রস্রাব করি না। এই ঘরগুলো ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেওয়া
ভুল শোধরাতে মহানবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দোয়া করতেন। রাসুল (সা.) একদিন আবু মাসুদ আনসারিকে দাস প্রহার করতে দেখে একটি কথাই বলেছিলেন, ‘তুমি তার ওপর যে ক্ষমতা রাখো, তার তুলনায় আল্লাহ তোমার ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা রাখেন।’ আবু মাসুদ তৎক্ষণাৎ দাসটি মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)
পরিচয় গোপন রাখা
শ্রোতাদের সামনে অভিনব কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন মহানবী (সা.)। সবার উপকারে ভুল শোধরাতে সুকৌশলে সম্পৃক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কথা বলতেন। বলতেন, ‘কী হলো লোকজনের, তারা এমন এমন কাজ করছে।’ এভাবে তিনি সাধারণ ভুল করা লোকদের সতর্ক করতেন, একই সঙ্গে সুকৌশলে ভুলে জড়িত ব্যক্তিদের তওবা করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেন। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না। সাহাবিদেরও এ কাজে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে অন্য ভাইয়ের পাপ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহও তার দোষ খুঁজে বের করবেন।’ (তিরমিজি)
কঠোরতা অবলম্বন
ভুল শোধরাতে কখনো কখনো রাসুল (সা.) কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ভুলের সংশোধন করতেন। একদিন এক সাহাবিকে গিবত করতে দেখলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন এবং সতর্ক করলেন। (আল মুজামুল কবির)
মানুষের মর্যাদা রক্ষা
ভুল সংশোধনের সময় মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন মহানবী (সা.)। ভুলের সমালোচনা করতেন; তবে ভুলকারীকে দোষ দিতেন না। উপহাস কিংবা খাটো করতেন না। একবার মাদকাসক্তি ছাড়তে অক্ষম এক ব্যক্তিকে লোকজন অভিশাপ দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে লানত দিয়ো না। আমি তার ব্যাপারে জানি, সে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
আমজাদ ইউনুস

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন। তিনি ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করেছেন। এখানে তেমনি কয়েকটি কৌশলের কথা তুলে ধরা হলো।
ভুলে নজর দেওয়া
রাসুল (সা.) পরম ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে সুকৌশলে ভুল সংশোধন করতেন। কখনো কখনো ভুলের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করতেন এবং তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। কখনো কখনো ভুল শোধরাতে নীরব থাকতেন। একবার তিনি তাঁর সাহাবিদের একটি কাজে অনুমতির ইঙ্গিত দিতে তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছিলেন। তাঁর অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখে সাহাবিরা বুঝে নিলেন, তাঁদের কাজটি সঠিক নয়। যখন ভুল বড় ধরনের হতো, তখন তাঁর কথায় জোর দিতেন এবং একই কথা বারবার বলতেন।
উসামা ইবনে যায়েদ একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এক যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এক শত্রু সৈন্যের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘সৈন্যটি চিৎকার করে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে এ আশায় কালেমা বলছিল যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ উসামা আরও জানালেন, ‘তিনি ওই সৈন্যকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। এ কথা শুনে নবী (সা.)-এর মুখের রং বদলে গেল। তিনি বারবার বলতে থাকলেন, ‘কীভাবে তুমি তাকে হত্যা করলে, যখন সে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ
দুর্বল-অসহায়দের ভুল অতি কোমলভাবে শুধরে দিতেন মহানবী (সা.)। একদিন এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর মসজিদে প্রথম প্রবেশ করল। এরপর মসজিদের মেঝেতে প্রস্রাব করে দিল। রাসুল (সা.) নম্রভাবে সংশোধন করে বললেন, ‘আমরা মসজিদে প্রস্রাব করি না। এই ঘরগুলো ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেওয়া
ভুল শোধরাতে মহানবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দোয়া করতেন। রাসুল (সা.) একদিন আবু মাসুদ আনসারিকে দাস প্রহার করতে দেখে একটি কথাই বলেছিলেন, ‘তুমি তার ওপর যে ক্ষমতা রাখো, তার তুলনায় আল্লাহ তোমার ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা রাখেন।’ আবু মাসুদ তৎক্ষণাৎ দাসটি মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)
পরিচয় গোপন রাখা
শ্রোতাদের সামনে অভিনব কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন মহানবী (সা.)। সবার উপকারে ভুল শোধরাতে সুকৌশলে সম্পৃক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কথা বলতেন। বলতেন, ‘কী হলো লোকজনের, তারা এমন এমন কাজ করছে।’ এভাবে তিনি সাধারণ ভুল করা লোকদের সতর্ক করতেন, একই সঙ্গে সুকৌশলে ভুলে জড়িত ব্যক্তিদের তওবা করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেন। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না। সাহাবিদেরও এ কাজে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে অন্য ভাইয়ের পাপ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহও তার দোষ খুঁজে বের করবেন।’ (তিরমিজি)
কঠোরতা অবলম্বন
ভুল শোধরাতে কখনো কখনো রাসুল (সা.) কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ভুলের সংশোধন করতেন। একদিন এক সাহাবিকে গিবত করতে দেখলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন এবং সতর্ক করলেন। (আল মুজামুল কবির)
মানুষের মর্যাদা রক্ষা
ভুল সংশোধনের সময় মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন মহানবী (সা.)। ভুলের সমালোচনা করতেন; তবে ভুলকারীকে দোষ দিতেন না। উপহাস কিংবা খাটো করতেন না। একবার মাদকাসক্তি ছাড়তে অক্ষম এক ব্যক্তিকে লোকজন অভিশাপ দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে লানত দিয়ো না। আমি তার ব্যাপারে জানি, সে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন। তিনি ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করেছেন। এখানে তেমনি কয়েকটি কৌশলের কথা তুলে ধরা হলো।
ভুলে নজর দেওয়া
রাসুল (সা.) পরম ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে সুকৌশলে ভুল সংশোধন করতেন। কখনো কখনো ভুলের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করতেন এবং তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। কখনো কখনো ভুল শোধরাতে নীরব থাকতেন। একবার তিনি তাঁর সাহাবিদের একটি কাজে অনুমতির ইঙ্গিত দিতে তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছিলেন। তাঁর অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখে সাহাবিরা বুঝে নিলেন, তাঁদের কাজটি সঠিক নয়। যখন ভুল বড় ধরনের হতো, তখন তাঁর কথায় জোর দিতেন এবং একই কথা বারবার বলতেন।
উসামা ইবনে যায়েদ একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এক যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এক শত্রু সৈন্যের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘সৈন্যটি চিৎকার করে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে এ আশায় কালেমা বলছিল যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ উসামা আরও জানালেন, ‘তিনি ওই সৈন্যকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। এ কথা শুনে নবী (সা.)-এর মুখের রং বদলে গেল। তিনি বারবার বলতে থাকলেন, ‘কীভাবে তুমি তাকে হত্যা করলে, যখন সে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ
দুর্বল-অসহায়দের ভুল অতি কোমলভাবে শুধরে দিতেন মহানবী (সা.)। একদিন এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর মসজিদে প্রথম প্রবেশ করল। এরপর মসজিদের মেঝেতে প্রস্রাব করে দিল। রাসুল (সা.) নম্রভাবে সংশোধন করে বললেন, ‘আমরা মসজিদে প্রস্রাব করি না। এই ঘরগুলো ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেওয়া
ভুল শোধরাতে মহানবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দোয়া করতেন। রাসুল (সা.) একদিন আবু মাসুদ আনসারিকে দাস প্রহার করতে দেখে একটি কথাই বলেছিলেন, ‘তুমি তার ওপর যে ক্ষমতা রাখো, তার তুলনায় আল্লাহ তোমার ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা রাখেন।’ আবু মাসুদ তৎক্ষণাৎ দাসটি মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)
পরিচয় গোপন রাখা
শ্রোতাদের সামনে অভিনব কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন মহানবী (সা.)। সবার উপকারে ভুল শোধরাতে সুকৌশলে সম্পৃক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কথা বলতেন। বলতেন, ‘কী হলো লোকজনের, তারা এমন এমন কাজ করছে।’ এভাবে তিনি সাধারণ ভুল করা লোকদের সতর্ক করতেন, একই সঙ্গে সুকৌশলে ভুলে জড়িত ব্যক্তিদের তওবা করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেন। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না। সাহাবিদেরও এ কাজে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে অন্য ভাইয়ের পাপ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহও তার দোষ খুঁজে বের করবেন।’ (তিরমিজি)
কঠোরতা অবলম্বন
ভুল শোধরাতে কখনো কখনো রাসুল (সা.) কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ভুলের সংশোধন করতেন। একদিন এক সাহাবিকে গিবত করতে দেখলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন এবং সতর্ক করলেন। (আল মুজামুল কবির)
মানুষের মর্যাদা রক্ষা
ভুল সংশোধনের সময় মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন মহানবী (সা.)। ভুলের সমালোচনা করতেন; তবে ভুলকারীকে দোষ দিতেন না। উপহাস কিংবা খাটো করতেন না। একবার মাদকাসক্তি ছাড়তে অক্ষম এক ব্যক্তিকে লোকজন অভিশাপ দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে লানত দিয়ো না। আমি তার ব্যাপারে জানি, সে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৬ ঘণ্টা আগে