Ajker Patrika

ইতিহাসের পাতায় মজলুমের বিজয়গাথা

কাউসার লাবীব
ইতিহাসের পাতায় মজলুমের বিজয়গাথা

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লাহর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।’ (সহিহ বুখারি)

যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা জুলুমের শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাঁদের দৃঢ় ইমান ও ধৈর্য শেষ পর্যন্ত বিজয়ের আলো এনেছে। ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে তাঁদের সেই বিজয়গাথা।

নমরুদের জুলুম ও হজরত ইব্রাহিমের সত্য প্রতিষ্ঠা

নমরুদের দাম্ভিকতা যখন তুঙ্গে, তখন সে নিজেকে প্রভু দাবি করল। তার জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন আল্লাহর এক তরুণ বন্ধু, নবী ইব্রাহিম (আ.)। সত্যের পথে অটল থাকায় তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেয় নমরুদ। কিন্তু মজলুমের পক্ষে ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। নমরুদের জ্বালানো বিশাল অগ্নিকুণ্ড ইব্রাহিমের জন্য শান্তির বাগানে পরিণত হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আমি বললাম, হে আগুন, তুমি ইব্রাহিমের জন্য শান্তিদায়ক ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)। নমরুদের জুলুম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করেন সামান্য এক মশার মাধ্যমে। পতন হয় তার ৪০০ বছরের শাসনের। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৮৭৮)

জুলুমের বিপরীতে ইউসুফ (আ.)-এর বিজয়

হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের হিংসার শিকার হয়ে কূপের গভীরে নিক্ষিপ্ত হন। বাজারে বিক্রি হন ক্রীতদাস হিসেবে, এমনকি মিথ্যা অপবাদে বন্দী হন কারাগারে। প্রতিটি ঘটনা ছিল একেকটি চরম জুলুম। কিন্তু তিনি কখনো আল্লাহর ওপর থেকে ভরসা হারাননি। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘এভাবেই আমরা ইউসুফকে দেশে ক্ষমতা দান করেছিলাম এবং ইচ্ছা করলে সে তথায় যেকোনো স্থানে অবস্থান করতে পারত।’ (সুরা ইউসুফ: ৫৬)

শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাঁকে মিসরের রাজত্বের মালিক বানান। তিনি শুধু ক্ষমতা ফিরে পাননি, বরং ক্ষমা ও ভালোবাসার মাধ্যমে তাঁর ভাইদের জুলুমকে পরাজিত করে এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দেন। যখন ভাইয়েরা তাঁর সামনে লজ্জিত হয়ে দাঁড়ায়, তখন তিনি বলেন, ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইউসুফ: ৯২)

ফেরাউনের জুলুম ও হজরত মুসার বিজয়

ফেরাউনের জুলুমের শিকার হয়ে বনি ইসরাইলরা যখন দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, তখন আল্লাহ তাদের মুক্তির জন্য হজরত মুসা (আ.)-কে পাঠান। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করলাম যে জমিনে যারা দুর্বল, তাদের অনুগ্রহ করব; তাদের নেতা বানাব এবং তাদের উত্তরাধিকারী করব।’ (সুরা কাসাস: ৫)। ফেরাউনের সীমা লঙ্ঘন যখন চরমে পৌঁছায় এবং সে নিজেকে খোদা দাবি করে, আল্লাহ তখন তাদের জন্য নীলনদকে দুই ভাগ করে দেন। মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীরা মুক্তি পান, আর ফেরাউন তার বিশাল বাহিনীসহ সেই পানিতে ডুবে যায়। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘অতঃপর আমি তাকে ও তার সৈন্য বাহিনীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম।’ (সুরা আরাফ: ১৩৬)

মক্কার কাফিরদের জুলুম ও নবীজির বিজয়

ইসলামের শুরুতে মক্কার কাফিরদের দ্বারা মুসলমানরা চরম নিপীড়নের শিকার হয়। সাহাবি হজরত বেলাল (রা.), হজরত সুমাইয়া (রা.) এবং তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। কিন্তু তাঁরা ধৈর্য ও ইমানের ওপর অটল থাকেন। চোখ বুজে সব সহ্য করেন। কিন্তু হিজরতের পর বদর যুদ্ধে অল্পসংখ্যক মুসলিম সৈন্যের হাতে কাফিরদের পরাজয় ছিল মজলুমের বিজয়ের প্রথম রণহুংকার। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আর আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করেছেন, অথচ তোমরা দুর্বল ছিলে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৩)। আর ‘ফাতহে মক্কা’ বা মক্কা বিজয় ছিল ইসলামের ইতিহাসে মজলুমের বিজয়ের এক শ্রেষ্ঠতম ও চূড়ান্ত নিদর্শন।

মুসলমানদের পুনরুত্থান ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপট

ইতিহাসে মজলুমের বিজয়গাথা শুধু নবী-রাসুলদের যুগে সীমাবদ্ধ ছিল না। মুসলমানরা যখন দীর্ঘকাল নিপীড়িত ছিল, তখনই তাদের মধ্য থেকে উঠে এসেছেন বীরেরা, যেমন সালাহউদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) মুসলমানদের একতাবদ্ধ করে দীর্ঘদিনের দখলদারি থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। তাঁর এই বিজয় ছিল মজলুমের আত্মমর্যাদা ফিরে পাওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই বিজয় প্রমাণ করে যে যখন মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তাই জুলুমের পরিস্থিতিতে প্রয়োজন মুসলমানদের একতা, দোয়ার শক্তি, ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা)।

আল্লাহ তাআলা তাঁর মজলুম বান্দাদের জন্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জালিমের ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মজলুমের গল্প ইতিহাসে অমর। মজলুম কাঁদে, কিন্তু হার মানে না। আর জুলুম কখনো স্থায়ী হয় না। মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো মজলুমের পাশে থাকা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ও কণ্ঠ তোলা এবং আল্লাহর কাছে তাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লাশ দেখে যে দোয়া পড়বেন

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)

কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’

এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)

পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’

অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)

হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’

অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রজব মাসে যে দোয়া পড়তেন নবীজি (সা.)

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)

এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।

রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৯ মিনিট
ফজর০৫: ২০ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০২ মিনিট০৩: ৪৫ মিনিট
আসর০৩: ৪৬ মিনিট০৫: ২১ মিনিট
মাগরিব০৫: ২৩ মিনিট০৬: ৪২ মিনিট
এশা০৬: ৪৩ মিনিট০৫: ১৯ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজা পড়াবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।

মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত