ইসলাম ডেস্ক

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
মুমিনের জীবনে আল্লাহভীতির গুরুত্ব
মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির উপস্থিতি খুবই জরুরি। কারণ, এটি মুমিনকে কলুষতা, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বাঁচায়। আর এর অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। এ জন্যই কোরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় মুমিনকে বহু মূল্য তাকওয়ার রঙে রঙিন হতে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব: ৭০)
তাকওয়ার মাহাত্ম্য
তাকওয়া মুমিনের সদ্গুণ। তাকওয়া হৃদয়ে ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়। একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণের সুযোগ করে দেয়। তা ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিনকে বহুবিধ সফলতা দান করে।
দুনিয়ার সফলতা হলো–
১. মুমিনের কাজ সুলভ করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন) করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দেবেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
২. মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিগণকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়। (সুরা আরাফ: ২০১)
৩. মুমিনের জীবনে সচ্ছলতা এনে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পন্থা (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।’ (সুরা তালাক: ২ ও ৩)
৪. তাকওয়ার সজ্জায় সজ্জিত মুমিন আল্লাহর অলি (পরম বন্ধু) হয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘একমাত্র মুত্তাকিগণই আল্লাহ তাআলার অলি।’ (সুরা আনফাল: ৩৪)
৫. জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যম হতে পারে এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান দান করবেন।’ (সুরা বাকারা: ১৮২)
৬. আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অর্জন সুগম করে তুলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লেখে দেব।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
৭. মহান আল্লাহর বরকত খুবই নিকটে নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি গ্রামবাসী আল্লাহ তাআলার প্রতি ইমান আনত ও তাকওয়া অর্জন করত—আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতদ্বার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
আখিরাতের সফলতা হলো–
১. তাকওয়া মুমিনকে মহান আল্লাহর একজন প্রিয় ও খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তোলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সে, যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
২. পরকালে সফলতা অর্জনের উত্তম একটি মাধ্যম হয় এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করবে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা নুর: ৫২)
৩. মুমিনকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জাহান্নামে সকলেই পতিত হবে, এটা প্রভুর সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত; অতঃপর আমি মুত্তাকিদের মুক্তি দান করব ও স্বৈরাচারদের নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে ছেড়ে দেব।’ (সুরা মারইয়াম: ৭১-৭২)
৪. তাকওয়ার উপস্থিতি আমলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই আল্লাহ (আমল) গ্রহণ করে নেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
৫. মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা বয়ে আনে; আর সেটি হলো জান্নাতপ্রাপ্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি এই জান্নাতের উত্তরাধিকার মুত্তাকিদের বানাব।’ (সুরা মারইয়াম: ৬৩)
লেখক: রায়হান আল ইমরান, ইসলামবিষয়ক গবেষক

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
মুমিনের জীবনে আল্লাহভীতির গুরুত্ব
মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির উপস্থিতি খুবই জরুরি। কারণ, এটি মুমিনকে কলুষতা, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বাঁচায়। আর এর অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। এ জন্যই কোরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় মুমিনকে বহু মূল্য তাকওয়ার রঙে রঙিন হতে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব: ৭০)
তাকওয়ার মাহাত্ম্য
তাকওয়া মুমিনের সদ্গুণ। তাকওয়া হৃদয়ে ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়। একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণের সুযোগ করে দেয়। তা ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিনকে বহুবিধ সফলতা দান করে।
দুনিয়ার সফলতা হলো–
১. মুমিনের কাজ সুলভ করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন) করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দেবেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
২. মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিগণকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়। (সুরা আরাফ: ২০১)
৩. মুমিনের জীবনে সচ্ছলতা এনে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পন্থা (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।’ (সুরা তালাক: ২ ও ৩)
৪. তাকওয়ার সজ্জায় সজ্জিত মুমিন আল্লাহর অলি (পরম বন্ধু) হয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘একমাত্র মুত্তাকিগণই আল্লাহ তাআলার অলি।’ (সুরা আনফাল: ৩৪)
৫. জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যম হতে পারে এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান দান করবেন।’ (সুরা বাকারা: ১৮২)
৬. আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অর্জন সুগম করে তুলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লেখে দেব।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
৭. মহান আল্লাহর বরকত খুবই নিকটে নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি গ্রামবাসী আল্লাহ তাআলার প্রতি ইমান আনত ও তাকওয়া অর্জন করত—আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতদ্বার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
আখিরাতের সফলতা হলো–
১. তাকওয়া মুমিনকে মহান আল্লাহর একজন প্রিয় ও খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তোলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সে, যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
২. পরকালে সফলতা অর্জনের উত্তম একটি মাধ্যম হয় এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করবে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা নুর: ৫২)
৩. মুমিনকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জাহান্নামে সকলেই পতিত হবে, এটা প্রভুর সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত; অতঃপর আমি মুত্তাকিদের মুক্তি দান করব ও স্বৈরাচারদের নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে ছেড়ে দেব।’ (সুরা মারইয়াম: ৭১-৭২)
৪. তাকওয়ার উপস্থিতি আমলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই আল্লাহ (আমল) গ্রহণ করে নেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
৫. মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা বয়ে আনে; আর সেটি হলো জান্নাতপ্রাপ্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি এই জান্নাতের উত্তরাধিকার মুত্তাকিদের বানাব।’ (সুরা মারইয়াম: ৬৩)
লেখক: রায়হান আল ইমরান, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম ডেস্ক

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
মুমিনের জীবনে আল্লাহভীতির গুরুত্ব
মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির উপস্থিতি খুবই জরুরি। কারণ, এটি মুমিনকে কলুষতা, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বাঁচায়। আর এর অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। এ জন্যই কোরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় মুমিনকে বহু মূল্য তাকওয়ার রঙে রঙিন হতে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব: ৭০)
তাকওয়ার মাহাত্ম্য
তাকওয়া মুমিনের সদ্গুণ। তাকওয়া হৃদয়ে ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়। একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণের সুযোগ করে দেয়। তা ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিনকে বহুবিধ সফলতা দান করে।
দুনিয়ার সফলতা হলো–
১. মুমিনের কাজ সুলভ করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন) করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দেবেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
২. মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিগণকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়। (সুরা আরাফ: ২০১)
৩. মুমিনের জীবনে সচ্ছলতা এনে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পন্থা (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।’ (সুরা তালাক: ২ ও ৩)
৪. তাকওয়ার সজ্জায় সজ্জিত মুমিন আল্লাহর অলি (পরম বন্ধু) হয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘একমাত্র মুত্তাকিগণই আল্লাহ তাআলার অলি।’ (সুরা আনফাল: ৩৪)
৫. জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যম হতে পারে এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান দান করবেন।’ (সুরা বাকারা: ১৮২)
৬. আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অর্জন সুগম করে তুলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লেখে দেব।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
৭. মহান আল্লাহর বরকত খুবই নিকটে নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি গ্রামবাসী আল্লাহ তাআলার প্রতি ইমান আনত ও তাকওয়া অর্জন করত—আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতদ্বার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
আখিরাতের সফলতা হলো–
১. তাকওয়া মুমিনকে মহান আল্লাহর একজন প্রিয় ও খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তোলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সে, যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
২. পরকালে সফলতা অর্জনের উত্তম একটি মাধ্যম হয় এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করবে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা নুর: ৫২)
৩. মুমিনকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জাহান্নামে সকলেই পতিত হবে, এটা প্রভুর সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত; অতঃপর আমি মুত্তাকিদের মুক্তি দান করব ও স্বৈরাচারদের নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে ছেড়ে দেব।’ (সুরা মারইয়াম: ৭১-৭২)
৪. তাকওয়ার উপস্থিতি আমলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই আল্লাহ (আমল) গ্রহণ করে নেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
৫. মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা বয়ে আনে; আর সেটি হলো জান্নাতপ্রাপ্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি এই জান্নাতের উত্তরাধিকার মুত্তাকিদের বানাব।’ (সুরা মারইয়াম: ৬৩)
লেখক: রায়হান আল ইমরান, ইসলামবিষয়ক গবেষক

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
মুমিনের জীবনে আল্লাহভীতির গুরুত্ব
মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির উপস্থিতি খুবই জরুরি। কারণ, এটি মুমিনকে কলুষতা, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বাঁচায়। আর এর অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। এ জন্যই কোরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় মুমিনকে বহু মূল্য তাকওয়ার রঙে রঙিন হতে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব: ৭০)
তাকওয়ার মাহাত্ম্য
তাকওয়া মুমিনের সদ্গুণ। তাকওয়া হৃদয়ে ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়। একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণের সুযোগ করে দেয়। তা ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিনকে বহুবিধ সফলতা দান করে।
দুনিয়ার সফলতা হলো–
১. মুমিনের কাজ সুলভ করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন) করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দেবেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
২. মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিগণকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়। (সুরা আরাফ: ২০১)
৩. মুমিনের জীবনে সচ্ছলতা এনে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পন্থা (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।’ (সুরা তালাক: ২ ও ৩)
৪. তাকওয়ার সজ্জায় সজ্জিত মুমিন আল্লাহর অলি (পরম বন্ধু) হয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘একমাত্র মুত্তাকিগণই আল্লাহ তাআলার অলি।’ (সুরা আনফাল: ৩৪)
৫. জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যম হতে পারে এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান দান করবেন।’ (সুরা বাকারা: ১৮২)
৬. আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অর্জন সুগম করে তুলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লেখে দেব।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
৭. মহান আল্লাহর বরকত খুবই নিকটে নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি গ্রামবাসী আল্লাহ তাআলার প্রতি ইমান আনত ও তাকওয়া অর্জন করত—আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতদ্বার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
আখিরাতের সফলতা হলো–
১. তাকওয়া মুমিনকে মহান আল্লাহর একজন প্রিয় ও খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তোলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সে, যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
২. পরকালে সফলতা অর্জনের উত্তম একটি মাধ্যম হয় এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করবে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা নুর: ৫২)
৩. মুমিনকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জাহান্নামে সকলেই পতিত হবে, এটা প্রভুর সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত; অতঃপর আমি মুত্তাকিদের মুক্তি দান করব ও স্বৈরাচারদের নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে ছেড়ে দেব।’ (সুরা মারইয়াম: ৭১-৭২)
৪. তাকওয়ার উপস্থিতি আমলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই আল্লাহ (আমল) গ্রহণ করে নেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
৫. মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা বয়ে আনে; আর সেটি হলো জান্নাতপ্রাপ্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি এই জান্নাতের উত্তরাধিকার মুত্তাকিদের বানাব।’ (সুরা মারইয়াম: ৬৩)
লেখক: রায়হান আল ইমরান, ইসলামবিষয়ক গবেষক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে