ইসলাম ডেস্ক

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
মুমিনের জীবনে আল্লাহভীতির গুরুত্ব
মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির উপস্থিতি খুবই জরুরি। কারণ, এটি মুমিনকে কলুষতা, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বাঁচায়। আর এর অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। এ জন্যই কোরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় মুমিনকে বহু মূল্য তাকওয়ার রঙে রঙিন হতে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব: ৭০)
তাকওয়ার মাহাত্ম্য
তাকওয়া মুমিনের সদ্গুণ। তাকওয়া হৃদয়ে ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়। একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণের সুযোগ করে দেয়। তা ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিনকে বহুবিধ সফলতা দান করে।
দুনিয়ার সফলতা হলো–
১. মুমিনের কাজ সুলভ করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন) করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দেবেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
২. মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিগণকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়। (সুরা আরাফ: ২০১)
৩. মুমিনের জীবনে সচ্ছলতা এনে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পন্থা (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।’ (সুরা তালাক: ২ ও ৩)
৪. তাকওয়ার সজ্জায় সজ্জিত মুমিন আল্লাহর অলি (পরম বন্ধু) হয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘একমাত্র মুত্তাকিগণই আল্লাহ তাআলার অলি।’ (সুরা আনফাল: ৩৪)
৫. জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যম হতে পারে এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান দান করবেন।’ (সুরা বাকারা: ১৮২)
৬. আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অর্জন সুগম করে তুলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লেখে দেব।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
৭. মহান আল্লাহর বরকত খুবই নিকটে নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি গ্রামবাসী আল্লাহ তাআলার প্রতি ইমান আনত ও তাকওয়া অর্জন করত—আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতদ্বার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
আখিরাতের সফলতা হলো–
১. তাকওয়া মুমিনকে মহান আল্লাহর একজন প্রিয় ও খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তোলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সে, যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
২. পরকালে সফলতা অর্জনের উত্তম একটি মাধ্যম হয় এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করবে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা নুর: ৫২)
৩. মুমিনকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জাহান্নামে সকলেই পতিত হবে, এটা প্রভুর সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত; অতঃপর আমি মুত্তাকিদের মুক্তি দান করব ও স্বৈরাচারদের নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে ছেড়ে দেব।’ (সুরা মারইয়াম: ৭১-৭২)
৪. তাকওয়ার উপস্থিতি আমলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই আল্লাহ (আমল) গ্রহণ করে নেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
৫. মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা বয়ে আনে; আর সেটি হলো জান্নাতপ্রাপ্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি এই জান্নাতের উত্তরাধিকার মুত্তাকিদের বানাব।’ (সুরা মারইয়াম: ৬৩)
লেখক: রায়হান আল ইমরান, ইসলামবিষয়ক গবেষক

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
মুমিনের জীবনে আল্লাহভীতির গুরুত্ব
মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির উপস্থিতি খুবই জরুরি। কারণ, এটি মুমিনকে কলুষতা, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বাঁচায়। আর এর অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। এ জন্যই কোরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় মুমিনকে বহু মূল্য তাকওয়ার রঙে রঙিন হতে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব: ৭০)
তাকওয়ার মাহাত্ম্য
তাকওয়া মুমিনের সদ্গুণ। তাকওয়া হৃদয়ে ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়। একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণের সুযোগ করে দেয়। তা ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিনকে বহুবিধ সফলতা দান করে।
দুনিয়ার সফলতা হলো–
১. মুমিনের কাজ সুলভ করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন) করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দেবেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
২. মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিগণকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়। (সুরা আরাফ: ২০১)
৩. মুমিনের জীবনে সচ্ছলতা এনে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পন্থা (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।’ (সুরা তালাক: ২ ও ৩)
৪. তাকওয়ার সজ্জায় সজ্জিত মুমিন আল্লাহর অলি (পরম বন্ধু) হয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘একমাত্র মুত্তাকিগণই আল্লাহ তাআলার অলি।’ (সুরা আনফাল: ৩৪)
৫. জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যম হতে পারে এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান দান করবেন।’ (সুরা বাকারা: ১৮২)
৬. আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অর্জন সুগম করে তুলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লেখে দেব।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
৭. মহান আল্লাহর বরকত খুবই নিকটে নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি গ্রামবাসী আল্লাহ তাআলার প্রতি ইমান আনত ও তাকওয়া অর্জন করত—আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতদ্বার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
আখিরাতের সফলতা হলো–
১. তাকওয়া মুমিনকে মহান আল্লাহর একজন প্রিয় ও খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তোলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সে, যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
২. পরকালে সফলতা অর্জনের উত্তম একটি মাধ্যম হয় এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করবে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা নুর: ৫২)
৩. মুমিনকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জাহান্নামে সকলেই পতিত হবে, এটা প্রভুর সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত; অতঃপর আমি মুত্তাকিদের মুক্তি দান করব ও স্বৈরাচারদের নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে ছেড়ে দেব।’ (সুরা মারইয়াম: ৭১-৭২)
৪. তাকওয়ার উপস্থিতি আমলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই আল্লাহ (আমল) গ্রহণ করে নেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
৫. মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা বয়ে আনে; আর সেটি হলো জান্নাতপ্রাপ্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি এই জান্নাতের উত্তরাধিকার মুত্তাকিদের বানাব।’ (সুরা মারইয়াম: ৬৩)
লেখক: রায়হান আল ইমরান, ইসলামবিষয়ক গবেষক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে