আবদুল আযীয কাসেমি

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.)–এর সূত্রে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, শয়তান ও অবাধ্য জিনদের বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে জাহান্নামের কোনো দরজাই এ মাসে খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। ফলে জান্নাতের কোনো দরজাই এ মাসে বন্ধ হয় না। প্রতি রাতে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণার্থী, এগিয়ে এসো। হে মন্দান্বেষী, ক্ষান্ত হও। এ মাসে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য পাপীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। রমজানের প্রতি রাতেই এ ঘোষণা অব্যাহত থাকে।’ (তিরমিজি: ৬৮২)
হাদিস বিশারদ মোল্লা আলি কারি (রহ.) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘হে কল্যাণার্থী এগিয়ে এসো’—এ কথার অর্থ হলো, আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের প্রতি অগ্রসর হও। কেননা আল্লাহর কাছে ফিরে আসার এটাই যথার্থ সময়। কারণ এ মাসে অল্প আমলের বিনিময়ে তোমাকে বিপুল সাওয়াবের অধিকারী করা হবে। ‘হে মন্দান্বেষী, একটু ক্ষান্ত হও’—এ কথার অর্থ হলো, তুমি পাপাচার থেকে বিরত হয়ে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হও। কেননা এটা আল্লাহর কাছে তওবা গৃহীত হওয়ার উপযুক্ত সময়। (মিরকাতুল মাফাতিহ, হাদিস: ১৯৬০)
রমজান মাস এলে আমাদের অনেক ভাই বিপুল দান–দক্ষিণা করেন। গরিব–অসহায় ভাইদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। দরিদ্র স্বজনদের উপহার–উপঢৌকন দেন। নিঃসন্দেহে এসব সওয়াবের কাজ। আল্লাহ কবুল করলে এর ফলে তিনি উত্তম প্রতিদানের অধিকারী হবেন।
অন্যদিকে আরেকটি দুঃখজনক চিত্রও আমরা প্রত্যক্ষ করি। সেটা হলো, সেই দানবীর ব্যক্তিরাই যখন ব্যবসায়ী হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন তাঁরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। অনেক সময় সেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। অনেক মানুষ, যারা লজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারেন না, তাঁদের জন্য রমজান ও ঈদ যেন হতাশার বার্তা নিয়ে আসে। ইফতার ও সাহরিতে সন্তানের মুখে এক টুকরো গোশত–মাছ তুলে দিতে তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠে।
অথচ সেই দানবীর ব্যক্তিরাই দান–দক্ষিণার পরিমাণ কমিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনসাধারণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারতেন। এতে স্বাভাবিক দান থেকে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী তাঁরা হতে পারতেন।
রমজানের এ সময়টায় আমরা অনেক ব্যবসায়ীদের দেখি, অন্যকে ঠকিয়ে অধিক লাভ করার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। পুরো বছরের ব্যবসা তাঁরা পবিত্র রমজান মাসেই করতে চান। এমনকি এতটা ব্যাকুলতার সঙ্গে ব্যবসায় ব্যস্ত থাকেন যে, ইবাদতে মনোযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগই থাকে না। যে শেষ দশকের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সে সময়টায় দেখা যায়, মসজিদের তুলনায় মার্কেটগুলোতে মানুষের উপস্থিতির হার বেশি।
আমাদের উচিত, এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে শেষ সময়ে অধিক হারে ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া। পাশাপাশি পণ্যদ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। বিশেষ করে যেসব পণ্যের কোনো বিকল্প নেই, সেসব পণ্যের মূল্য জনসাধারণের হাতের নাগালে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.)–এর সূত্রে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, শয়তান ও অবাধ্য জিনদের বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে জাহান্নামের কোনো দরজাই এ মাসে খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। ফলে জান্নাতের কোনো দরজাই এ মাসে বন্ধ হয় না। প্রতি রাতে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণার্থী, এগিয়ে এসো। হে মন্দান্বেষী, ক্ষান্ত হও। এ মাসে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য পাপীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। রমজানের প্রতি রাতেই এ ঘোষণা অব্যাহত থাকে।’ (তিরমিজি: ৬৮২)
হাদিস বিশারদ মোল্লা আলি কারি (রহ.) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘হে কল্যাণার্থী এগিয়ে এসো’—এ কথার অর্থ হলো, আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের প্রতি অগ্রসর হও। কেননা আল্লাহর কাছে ফিরে আসার এটাই যথার্থ সময়। কারণ এ মাসে অল্প আমলের বিনিময়ে তোমাকে বিপুল সাওয়াবের অধিকারী করা হবে। ‘হে মন্দান্বেষী, একটু ক্ষান্ত হও’—এ কথার অর্থ হলো, তুমি পাপাচার থেকে বিরত হয়ে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হও। কেননা এটা আল্লাহর কাছে তওবা গৃহীত হওয়ার উপযুক্ত সময়। (মিরকাতুল মাফাতিহ, হাদিস: ১৯৬০)
রমজান মাস এলে আমাদের অনেক ভাই বিপুল দান–দক্ষিণা করেন। গরিব–অসহায় ভাইদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। দরিদ্র স্বজনদের উপহার–উপঢৌকন দেন। নিঃসন্দেহে এসব সওয়াবের কাজ। আল্লাহ কবুল করলে এর ফলে তিনি উত্তম প্রতিদানের অধিকারী হবেন।
অন্যদিকে আরেকটি দুঃখজনক চিত্রও আমরা প্রত্যক্ষ করি। সেটা হলো, সেই দানবীর ব্যক্তিরাই যখন ব্যবসায়ী হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন তাঁরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। অনেক সময় সেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। অনেক মানুষ, যারা লজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারেন না, তাঁদের জন্য রমজান ও ঈদ যেন হতাশার বার্তা নিয়ে আসে। ইফতার ও সাহরিতে সন্তানের মুখে এক টুকরো গোশত–মাছ তুলে দিতে তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠে।
অথচ সেই দানবীর ব্যক্তিরাই দান–দক্ষিণার পরিমাণ কমিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনসাধারণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারতেন। এতে স্বাভাবিক দান থেকে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী তাঁরা হতে পারতেন।
রমজানের এ সময়টায় আমরা অনেক ব্যবসায়ীদের দেখি, অন্যকে ঠকিয়ে অধিক লাভ করার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। পুরো বছরের ব্যবসা তাঁরা পবিত্র রমজান মাসেই করতে চান। এমনকি এতটা ব্যাকুলতার সঙ্গে ব্যবসায় ব্যস্ত থাকেন যে, ইবাদতে মনোযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগই থাকে না। যে শেষ দশকের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সে সময়টায় দেখা যায়, মসজিদের তুলনায় মার্কেটগুলোতে মানুষের উপস্থিতির হার বেশি।
আমাদের উচিত, এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে শেষ সময়ে অধিক হারে ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া। পাশাপাশি পণ্যদ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। বিশেষ করে যেসব পণ্যের কোনো বিকল্প নেই, সেসব পণ্যের মূল্য জনসাধারণের হাতের নাগালে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
লেখক: শিক্ষক
আবদুল আযীয কাসেমি

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.)–এর সূত্রে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, শয়তান ও অবাধ্য জিনদের বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে জাহান্নামের কোনো দরজাই এ মাসে খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। ফলে জান্নাতের কোনো দরজাই এ মাসে বন্ধ হয় না। প্রতি রাতে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণার্থী, এগিয়ে এসো। হে মন্দান্বেষী, ক্ষান্ত হও। এ মাসে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য পাপীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। রমজানের প্রতি রাতেই এ ঘোষণা অব্যাহত থাকে।’ (তিরমিজি: ৬৮২)
হাদিস বিশারদ মোল্লা আলি কারি (রহ.) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘হে কল্যাণার্থী এগিয়ে এসো’—এ কথার অর্থ হলো, আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের প্রতি অগ্রসর হও। কেননা আল্লাহর কাছে ফিরে আসার এটাই যথার্থ সময়। কারণ এ মাসে অল্প আমলের বিনিময়ে তোমাকে বিপুল সাওয়াবের অধিকারী করা হবে। ‘হে মন্দান্বেষী, একটু ক্ষান্ত হও’—এ কথার অর্থ হলো, তুমি পাপাচার থেকে বিরত হয়ে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হও। কেননা এটা আল্লাহর কাছে তওবা গৃহীত হওয়ার উপযুক্ত সময়। (মিরকাতুল মাফাতিহ, হাদিস: ১৯৬০)
রমজান মাস এলে আমাদের অনেক ভাই বিপুল দান–দক্ষিণা করেন। গরিব–অসহায় ভাইদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। দরিদ্র স্বজনদের উপহার–উপঢৌকন দেন। নিঃসন্দেহে এসব সওয়াবের কাজ। আল্লাহ কবুল করলে এর ফলে তিনি উত্তম প্রতিদানের অধিকারী হবেন।
অন্যদিকে আরেকটি দুঃখজনক চিত্রও আমরা প্রত্যক্ষ করি। সেটা হলো, সেই দানবীর ব্যক্তিরাই যখন ব্যবসায়ী হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন তাঁরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। অনেক সময় সেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। অনেক মানুষ, যারা লজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারেন না, তাঁদের জন্য রমজান ও ঈদ যেন হতাশার বার্তা নিয়ে আসে। ইফতার ও সাহরিতে সন্তানের মুখে এক টুকরো গোশত–মাছ তুলে দিতে তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠে।
অথচ সেই দানবীর ব্যক্তিরাই দান–দক্ষিণার পরিমাণ কমিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনসাধারণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারতেন। এতে স্বাভাবিক দান থেকে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী তাঁরা হতে পারতেন।
রমজানের এ সময়টায় আমরা অনেক ব্যবসায়ীদের দেখি, অন্যকে ঠকিয়ে অধিক লাভ করার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। পুরো বছরের ব্যবসা তাঁরা পবিত্র রমজান মাসেই করতে চান। এমনকি এতটা ব্যাকুলতার সঙ্গে ব্যবসায় ব্যস্ত থাকেন যে, ইবাদতে মনোযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগই থাকে না। যে শেষ দশকের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সে সময়টায় দেখা যায়, মসজিদের তুলনায় মার্কেটগুলোতে মানুষের উপস্থিতির হার বেশি।
আমাদের উচিত, এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে শেষ সময়ে অধিক হারে ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া। পাশাপাশি পণ্যদ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। বিশেষ করে যেসব পণ্যের কোনো বিকল্প নেই, সেসব পণ্যের মূল্য জনসাধারণের হাতের নাগালে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.)–এর সূত্রে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, শয়তান ও অবাধ্য জিনদের বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে জাহান্নামের কোনো দরজাই এ মাসে খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। ফলে জান্নাতের কোনো দরজাই এ মাসে বন্ধ হয় না। প্রতি রাতে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণার্থী, এগিয়ে এসো। হে মন্দান্বেষী, ক্ষান্ত হও। এ মাসে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য পাপীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। রমজানের প্রতি রাতেই এ ঘোষণা অব্যাহত থাকে।’ (তিরমিজি: ৬৮২)
হাদিস বিশারদ মোল্লা আলি কারি (রহ.) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘হে কল্যাণার্থী এগিয়ে এসো’—এ কথার অর্থ হলো, আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের প্রতি অগ্রসর হও। কেননা আল্লাহর কাছে ফিরে আসার এটাই যথার্থ সময়। কারণ এ মাসে অল্প আমলের বিনিময়ে তোমাকে বিপুল সাওয়াবের অধিকারী করা হবে। ‘হে মন্দান্বেষী, একটু ক্ষান্ত হও’—এ কথার অর্থ হলো, তুমি পাপাচার থেকে বিরত হয়ে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হও। কেননা এটা আল্লাহর কাছে তওবা গৃহীত হওয়ার উপযুক্ত সময়। (মিরকাতুল মাফাতিহ, হাদিস: ১৯৬০)
রমজান মাস এলে আমাদের অনেক ভাই বিপুল দান–দক্ষিণা করেন। গরিব–অসহায় ভাইদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। দরিদ্র স্বজনদের উপহার–উপঢৌকন দেন। নিঃসন্দেহে এসব সওয়াবের কাজ। আল্লাহ কবুল করলে এর ফলে তিনি উত্তম প্রতিদানের অধিকারী হবেন।
অন্যদিকে আরেকটি দুঃখজনক চিত্রও আমরা প্রত্যক্ষ করি। সেটা হলো, সেই দানবীর ব্যক্তিরাই যখন ব্যবসায়ী হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন তাঁরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। অনেক সময় সেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। অনেক মানুষ, যারা লজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারেন না, তাঁদের জন্য রমজান ও ঈদ যেন হতাশার বার্তা নিয়ে আসে। ইফতার ও সাহরিতে সন্তানের মুখে এক টুকরো গোশত–মাছ তুলে দিতে তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠে।
অথচ সেই দানবীর ব্যক্তিরাই দান–দক্ষিণার পরিমাণ কমিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনসাধারণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারতেন। এতে স্বাভাবিক দান থেকে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী তাঁরা হতে পারতেন।
রমজানের এ সময়টায় আমরা অনেক ব্যবসায়ীদের দেখি, অন্যকে ঠকিয়ে অধিক লাভ করার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। পুরো বছরের ব্যবসা তাঁরা পবিত্র রমজান মাসেই করতে চান। এমনকি এতটা ব্যাকুলতার সঙ্গে ব্যবসায় ব্যস্ত থাকেন যে, ইবাদতে মনোযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগই থাকে না। যে শেষ দশকের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সে সময়টায় দেখা যায়, মসজিদের তুলনায় মার্কেটগুলোতে মানুষের উপস্থিতির হার বেশি।
আমাদের উচিত, এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে শেষ সময়ে অধিক হারে ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া। পাশাপাশি পণ্যদ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। বিশেষ করে যেসব পণ্যের কোনো বিকল্প নেই, সেসব পণ্যের মূল্য জনসাধারণের হাতের নাগালে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
১২ মার্চ ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
১২ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
১২ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
১২ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে