মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

প্রশ্ন: আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে ইসলাম? বিস্তারিত জানতে চাই। আবদুল্লাহ কামিল, ঢাকা
উত্তর: বাবা-মায়ের সেবা করা, ভাইবোনের দেখাশোনা করা এবং আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যক্তির অন্যতম দায়িত্ব। তবে স্ত্রীর থাকার ঘর ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও একজন স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব। তাই বিয়ের আগেই তার জন্য আলাদা ঘর বা কক্ষ তৈরি করতে হবে অথবা বাসা ভাড়া নিতে হবে। বিয়ের পর স্বাভাবিক অবস্থায় স্ত্রী স্বামীর ঘরেই থাকবে, স্ত্রীর বাবার বাড়িতে নয়। এটাই ইসলামের নির্দেশ। ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এক ব্যক্তি বিয়ে করার সময় স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে দেওয়ার শর্তারোপ করে। তখন ওমর (রা.) সেই শর্ত নাকচ করে বললেন, ‘স্ত্রী স্বামীর ঘরেই থাকবে।’ (কানজুল উম্মাল)
স্বামীর দায়িত্ব হচ্ছে, স্ত্রীর জন্য উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, যেখানে সে স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবে এবং স্বাভাবিক চলাফেরার সময় গাইরে মাহরাম পুরুষের চোখের সামনে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। (আল মুগনি)
যৌথ পরিবারে থাকতে যদি স্ত্রীর কষ্ট হয়, তার স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয় বা পর্দার বিধান লঙ্ঘিত হয়, তাহলে স্ত্রীকে যৌথ পরিবারে রাখা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে যৌথ পরিবারে থাকতে বাধ্য করা জুলুম। যৌথ পরিবারে স্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে কি হচ্ছে না, তা যাচাই করার জন্য স্ত্রীর মতামতই যথেষ্ট। অন্য কোনো প্রমাণের প্রয়োজন নেই। (বাদায়ে আস-সানায়ে)
সুতরাং স্ত্রী যদি যৌথ পরিবারে থাকতে না চায়, তাহলে অবশ্যই তার জন্য স্বতন্ত্র আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশিষ্ট ফকিহ কাসানি (রহ.) বলেন, ‘যদি স্বামী তার স্ত্রীকে সতিন, সতিনের ছেলেমেয়ে, দেবর, শাশুড়ি, ননদ ও অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে এক ঘরে রাখতে চায়, আর স্ত্রী তাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তাহলে তার জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা আবশ্যক। (বাদায়ে আস-সানায়ে)
হাসকাফি (রহ.) বলেন, ‘একইভাবে স্ত্রীর জন্য স্বামীর সাধ্য অনুযায়ী স্বতন্ত্র বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ওয়াজিব। (দুররুল মুখতার) তবে স্বামী যদি অসচ্ছল হয়, স্বতন্ত্র থাকার ব্যবস্থা করা যদি তার পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর কাছে স্বতন্ত্র ঘর দাবি না করে ধৈর্য ধারণ করবে। (মাতালিবু উলিন নুহা)
স্বতন্ত্র আবাসস্থল বলতে স্বামীর পৈতৃক ভিটা থেকে দূরে গিয়ে নতুন ঘর নির্মাণ করতে হবে অথবা ভাড়া বাসায় চলে যেতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। পৈতৃক বাড়িতেই স্ত্রীর জন্য স্বতন্ত্র থাকার ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুমের ব্যবস্থা করে দিলেই যথেষ্ট। এটুকু পাওয়ার পর অন্য বাড়ির দাবি করা অথবা পৈতৃক ভিটা ছেড়ে শহরে বা অন্য কোথাও চলে যাওয়ার দাবি করার অধিকার স্ত্রীর নেই। (মাজমাউল আনহুর)
কাসানি (রহ.) বলেন, ‘যদি স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে বড় ঘরের একটি কক্ষে থাকে এবং স্ত্রীর মৌলিক প্রয়োজন এককভাবে পূরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়, তখন স্বামীর কাছে আলাদা ঘর দাবি করার অধিকার স্ত্রীর নেই।’ (বাদায়িয়ুস সানায়ি)
হাসকাফি (রহ.) বলেন, ‘বড় ঘরের একটি অংশে স্ত্রীকে রেখে তার জন্য আলাদা বাথরুম ও রান্নাঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া যথেষ্ট।’ এর টীকায় ইবনে আবেদিন (রহ.) বলেন, ‘রান্নাঘর ও বাথরুম স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ঘরের ভেতরে হতে হবে অথবা বাইরে হলেও তাতে অন্য কারও অংশীদারত্ব থাকা যাবে না।’ (রদ্দুল মুহতার) তবে স্ত্রীকে আলাদা ঘরে রাখলেও পরিবারের অন্য সদস্যের প্রতি কর্তব্য পালন করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না; বিশেষ করে মা-বাবার সেবায় কার্পণ্য করা কোনোভাবেই ইসলাম অনুমোদন করে না।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রশ্ন: আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে ইসলাম? বিস্তারিত জানতে চাই। আবদুল্লাহ কামিল, ঢাকা
উত্তর: বাবা-মায়ের সেবা করা, ভাইবোনের দেখাশোনা করা এবং আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যক্তির অন্যতম দায়িত্ব। তবে স্ত্রীর থাকার ঘর ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও একজন স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব। তাই বিয়ের আগেই তার জন্য আলাদা ঘর বা কক্ষ তৈরি করতে হবে অথবা বাসা ভাড়া নিতে হবে। বিয়ের পর স্বাভাবিক অবস্থায় স্ত্রী স্বামীর ঘরেই থাকবে, স্ত্রীর বাবার বাড়িতে নয়। এটাই ইসলামের নির্দেশ। ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এক ব্যক্তি বিয়ে করার সময় স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে দেওয়ার শর্তারোপ করে। তখন ওমর (রা.) সেই শর্ত নাকচ করে বললেন, ‘স্ত্রী স্বামীর ঘরেই থাকবে।’ (কানজুল উম্মাল)
স্বামীর দায়িত্ব হচ্ছে, স্ত্রীর জন্য উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, যেখানে সে স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবে এবং স্বাভাবিক চলাফেরার সময় গাইরে মাহরাম পুরুষের চোখের সামনে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। (আল মুগনি)
যৌথ পরিবারে থাকতে যদি স্ত্রীর কষ্ট হয়, তার স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয় বা পর্দার বিধান লঙ্ঘিত হয়, তাহলে স্ত্রীকে যৌথ পরিবারে রাখা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে যৌথ পরিবারে থাকতে বাধ্য করা জুলুম। যৌথ পরিবারে স্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে কি হচ্ছে না, তা যাচাই করার জন্য স্ত্রীর মতামতই যথেষ্ট। অন্য কোনো প্রমাণের প্রয়োজন নেই। (বাদায়ে আস-সানায়ে)
সুতরাং স্ত্রী যদি যৌথ পরিবারে থাকতে না চায়, তাহলে অবশ্যই তার জন্য স্বতন্ত্র আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশিষ্ট ফকিহ কাসানি (রহ.) বলেন, ‘যদি স্বামী তার স্ত্রীকে সতিন, সতিনের ছেলেমেয়ে, দেবর, শাশুড়ি, ননদ ও অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে এক ঘরে রাখতে চায়, আর স্ত্রী তাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তাহলে তার জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা আবশ্যক। (বাদায়ে আস-সানায়ে)
হাসকাফি (রহ.) বলেন, ‘একইভাবে স্ত্রীর জন্য স্বামীর সাধ্য অনুযায়ী স্বতন্ত্র বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ওয়াজিব। (দুররুল মুখতার) তবে স্বামী যদি অসচ্ছল হয়, স্বতন্ত্র থাকার ব্যবস্থা করা যদি তার পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর কাছে স্বতন্ত্র ঘর দাবি না করে ধৈর্য ধারণ করবে। (মাতালিবু উলিন নুহা)
স্বতন্ত্র আবাসস্থল বলতে স্বামীর পৈতৃক ভিটা থেকে দূরে গিয়ে নতুন ঘর নির্মাণ করতে হবে অথবা ভাড়া বাসায় চলে যেতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। পৈতৃক বাড়িতেই স্ত্রীর জন্য স্বতন্ত্র থাকার ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুমের ব্যবস্থা করে দিলেই যথেষ্ট। এটুকু পাওয়ার পর অন্য বাড়ির দাবি করা অথবা পৈতৃক ভিটা ছেড়ে শহরে বা অন্য কোথাও চলে যাওয়ার দাবি করার অধিকার স্ত্রীর নেই। (মাজমাউল আনহুর)
কাসানি (রহ.) বলেন, ‘যদি স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে বড় ঘরের একটি কক্ষে থাকে এবং স্ত্রীর মৌলিক প্রয়োজন এককভাবে পূরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়, তখন স্বামীর কাছে আলাদা ঘর দাবি করার অধিকার স্ত্রীর নেই।’ (বাদায়িয়ুস সানায়ি)
হাসকাফি (রহ.) বলেন, ‘বড় ঘরের একটি অংশে স্ত্রীকে রেখে তার জন্য আলাদা বাথরুম ও রান্নাঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া যথেষ্ট।’ এর টীকায় ইবনে আবেদিন (রহ.) বলেন, ‘রান্নাঘর ও বাথরুম স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ঘরের ভেতরে হতে হবে অথবা বাইরে হলেও তাতে অন্য কারও অংশীদারত্ব থাকা যাবে না।’ (রদ্দুল মুহতার) তবে স্ত্রীকে আলাদা ঘরে রাখলেও পরিবারের অন্য সদস্যের প্রতি কর্তব্য পালন করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না; বিশেষ করে মা-বাবার সেবায় কার্পণ্য করা কোনোভাবেই ইসলাম অনুমোদন করে না।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৬ ঘণ্টা আগে