মাহমুদ হাসান ফাহিম
আমরা সাধারণত ধন-সম্পদ ও টাকাপয়সার মাধ্যমে ধনী কিংবা অসহায় নির্ণয় করি। এটিই দুনিয়ার রীতি। তবে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে ধনী বা অসহায় যাচাই করা হবে নিষ্ঠার সঙ্গে করা আমলের মাধ্যমে। তবে শুধু আমল বা ইবাদত করলেই কিয়ামতের মাঠে পার পাওয়া যাবে না, মানুষের প্রতি অন্যায়-অনাচার থেকেও পবিত্র হতে হবে। কোনো অনাচার করে থাকলে মৃত্যুর আগেই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কি বলতে পারো, অসহায় কে?’ তাঁরা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে যার টাকাপয়সা, ধন-সম্পদ নেই, সেই তো দরিদ্র-অসহায়।’ তখন তিনি বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত অসহায় সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা ও জাকাত নিয়ে আসবে; অথচ তার অবস্থা এমন যে দুনিয়াতে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারও নামে অপবাদ দিয়েছে, কারও ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে হত্যা করেছে বা মেরেছে। ওই সব (ভুক্তভোগী) ব্যক্তিকে তার নেক আমল থেকে (ক্ষতিপূরণ) দিয়ে দেওয়া হবে। এরপরও প্রাপ্য পূরণ করা না গেলে ঋণ হিসেবে ভুক্তভোগীর পাপের একাংশ দিয়ে দেওয়া হবে এবং ওই ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৩৪৩; সুনানে তিরমিজি: ২৪১৮)
সুতরাং যত ইবাদতই করি না কেন, অন্যের অধিকারের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অন্যায় যেন না হয়ে যায় এই ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর রক্তপাতের মতো ভয়াবহ গুনাহ করার তো প্রশ্নই আসে না। কখনো কোনো অন্যায়-অবিচার হয়ে গেলে, তৎক্ষণাৎ তা মাফ করিয়ে নিতে রাসুল (সা.) উম্মতকে পরামর্শ দিয়েছেন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমরা সাধারণত ধন-সম্পদ ও টাকাপয়সার মাধ্যমে ধনী কিংবা অসহায় নির্ণয় করি। এটিই দুনিয়ার রীতি। তবে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে ধনী বা অসহায় যাচাই করা হবে নিষ্ঠার সঙ্গে করা আমলের মাধ্যমে। তবে শুধু আমল বা ইবাদত করলেই কিয়ামতের মাঠে পার পাওয়া যাবে না, মানুষের প্রতি অন্যায়-অনাচার থেকেও পবিত্র হতে হবে। কোনো অনাচার করে থাকলে মৃত্যুর আগেই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কি বলতে পারো, অসহায় কে?’ তাঁরা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে যার টাকাপয়সা, ধন-সম্পদ নেই, সেই তো দরিদ্র-অসহায়।’ তখন তিনি বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত অসহায় সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা ও জাকাত নিয়ে আসবে; অথচ তার অবস্থা এমন যে দুনিয়াতে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারও নামে অপবাদ দিয়েছে, কারও ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে হত্যা করেছে বা মেরেছে। ওই সব (ভুক্তভোগী) ব্যক্তিকে তার নেক আমল থেকে (ক্ষতিপূরণ) দিয়ে দেওয়া হবে। এরপরও প্রাপ্য পূরণ করা না গেলে ঋণ হিসেবে ভুক্তভোগীর পাপের একাংশ দিয়ে দেওয়া হবে এবং ওই ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৩৪৩; সুনানে তিরমিজি: ২৪১৮)
সুতরাং যত ইবাদতই করি না কেন, অন্যের অধিকারের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অন্যায় যেন না হয়ে যায় এই ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর রক্তপাতের মতো ভয়াবহ গুনাহ করার তো প্রশ্নই আসে না। কখনো কোনো অন্যায়-অবিচার হয়ে গেলে, তৎক্ষণাৎ তা মাফ করিয়ে নিতে রাসুল (সা.) উম্মতকে পরামর্শ দিয়েছেন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
লজ্জা মোমিনের ভূষণ বা অলংকার। বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লজ্জাশীলতা কল্যাণ বয়ে আনে। হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লজ্জা মঙ্গল বয়ে আনে। (সহিহ্ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, লজ্জার সবটুকু মঙ্গলই মঙ্গল। (রিয়াজুস সালেহিন: ৬৮৭)
৫ ঘণ্টা আগেমানবতার এক মহান কাজ ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া । ইসলামে একে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে । এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ ( সা . ) - কে প্রশ্ন করলেন , ‘ ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ ? ” তিনি বললেন , ‘ ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো । ' ( সহিহ্ বুখারি : ১২ ,
১৫ ঘণ্টা আগেরমজান মাস এবং ফরজ রোজা শেষ হলেও বছরজুড়ে বিভিন্ন রোজা রয়েছে। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সেসব রোজার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
১ দিন আগেমানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এই সম্পর্ক আমাদের মাঝে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
১ দিন আগে