মাওলানা ইসমাইল নাজিম

নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ করেছেন। ইসলামের পরিভাষায় এসব শপথ অনুষ্ঠানকে বাইয়াত বলা হয়। এখানে নবীজীবনের তাৎপর্যপূর্ণ তিন বাইয়াত অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরা হলো।
আকাবার প্রথম শপথ
নবুয়তের একাদশ বছরে ইসলামের দাওয়াত মক্কার চৌহদ্দি পেরিয়ে মদিনায়ও পৌঁছে যায়। সে বছর মদিনা থেকে আসা ৬ জন হজযাত্রী ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। তাঁরা মহানবী (সা.)-কে কথা দেন, ইয়াসরিবে ফিরে তাঁরা মানুষকে ইসলামের পথে ডাকবেন। পরের বছর হজের মৌসুমে গত বছরের ৬ জনসহ মোট ১২ জন ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে আসেন এবং মিনার ময়দানের আকাবা নামের এক সুড়ঙ্গে তাঁর সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর হাতে একটি আনুষ্ঠানিক বাইয়াত তথা শপথ গ্রহণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে একে বাইয়াতুল আকাবা আলা-উলা বা আকাবার প্রথম শপথ বলা হয়।
এই শপথ অনুষ্ঠানে মহানবী (সা.) মদিনার ১২ জন সাহাবির কাছে বেশ কিছু বিষয়ে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন। হাদিসে সেই শপথের বাক্যগুলো এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে—‘এসো, আমার কাছে অঙ্গীকার করো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, সন্তানকে হত্যা করবে না, মনগড়া অপবাদ আরোপ করবে না এবং কোনো ভালো কথায় আমাকে অমান্য করবে না। যারা এসব কথা মানবে এবং পূর্ণ করবে, আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের পুরস্কার রয়েছে। যারা এসব কাজে লিপ্ত হবে এবং তার শাস্তি প্রদান করা হয়, তবে সেটা তার মুক্তিলাভের কারণ হবে। আর যদি কেউ এসবে লিপ্ত হয় এবং আল্লাহ তা গোপন রেখে দেন, তবে তার ব্যাপারটি আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে—তিনি শাস্তি দেবেন বা ক্ষমা করবেন।’ (বুখারি)
আকাবার দ্বিতীয় শপথ
আকাবার প্রথম শপথের ফলাফল পরের বছর তথা নবুয়তের ত্রয়োদশ বছরে প্রতিভাত হয়। সেই ১২ জন মুসলমান এবার ৭৫ জনের কাফেলা নিয়ে হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন। তখনো মক্কায় ইসলাম প্রচারে বাধাবিপত্তি ছিল। তাই তাঁরা পৌত্তলিক হজযাত্রীদের সঙ্গেই ছিলেন এবং গোপনে নবীজির সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। আগের মতো এবারও তাঁরা আকাবার সুড়ঙ্গে একত্র হতে সম্মত হলেন। রাতের গভীরে অন্যান্য হাজির অজ্ঞাতে সুড়ঙ্গে উপস্থিত হন। নবীজি সেখানে তাশরিফ আনলেন।
এই অনুষ্ঠানে নবীজি তাঁদের কাছ থেকে যে অঙ্গীকার নেন, তা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, জাবির (রা.) বলেন, আমরা আরজ করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমরা আপনার কাছে কোন বিষয়ে শপথ গ্রহণ করব?’ তিনি বললেন, ‘সুখে-দুঃখে সব সময় আনুগত্য করবে, অভাব ও সচ্ছলতায় একইভাবে ব্যয় করবে, ভালো কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলবে, আল্লাহর পথে অটল থাকবে এবং এ ব্যাপারে কারও ভর্ৎসনার পরোয়া করবে না, যখন আমি তোমাদের কাছে হিজরত করব, তখন আমাকে সাহায্য করবে এবং যেভাবে নিজেদের জানমাল ও সন্তানদের হেফাজত করছ, সেভাবেই আমার হেফাজত করবে। এসব করলে তোমাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (ইবনে হিশাম)
মুমিনদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল।
সুরা ফাতহ: ১৮
এই শপথ অনুষ্ঠানকে বাইয়াতুল আকাবা আস-সানিয়া বা আকাবার দ্বিতীয় শপথ বলা হয়। এতে দীর্ঘ আলোচনা এবং নানা নাটকীয়তার অবতারণা হয়েছিল। সবশেষে উপস্থিত আনসার সাহাবি মহানবীর প্রতি কৃত অঙ্গীকার রক্ষার শপথ করেন। এই অনুষ্ঠানে দুজন নারীও উপস্থিত ছিলেন। পুরুষদের সবাই নবীজির হাতে হাত রেখে বাইয়াত গ্রহণ করেন। আর উপস্থিত দুই নারীকে (হাত স্পর্শ না করে) মৌখিকভাবে শপথ পড়ানো হয়। (মুসলিম) শপথ অনুষ্ঠান শেষ হলে নবীজি ১২ জন ব্যক্তিকে তাঁদের নেতা নির্বাচন করেন, যাঁরা মদিনায় গিয়ে ইসলামের কাজে নিজ নিজ সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দেবেন। নেতা নির্বাচনের পর তাঁদের কাছ থেকে আবার বিশেষভাবে অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়।
বাইয়াতুর রিজওয়ান
ষষ্ঠ হিজরির জিলকদ মাসে বাইয়াতুর রিজওয়ান সংগঠিত হয়েছিল। মহানবী (সা.) স্বপ্নের মাধ্যমে ওমরাহ করার ব্যাপারে আদিষ্ট হলে ১ হাজার ৪০০ সাহাবির একটি দল নিয়ে মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। মক্কার অদূরে হুদাইবিয়া এলাকায় গিয়ে যাত্রাবিরতি করেন এবং মক্কার নেতৃত্বে থাকা কুরাইশ সরদারদের কাছে এ ব্যাপারে খবর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তখনো মুসলমানদের সঙ্গে মক্কার কাফিরদের যুদ্ধাবস্থা ছিল।
নবী (সা.) হজরত ওসমান (রা.)-কে দূত বানিয়ে মক্কায় পাঠান এবং নির্দেশনা দেন, ‘তুমি গিয়ে তাদের বলে দাও—আমরা যুদ্ধ করার জন্য আসিনি; ওমরাহ পালন করার জন্য এসেছি। তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াতও পেশ করো।’ ওসমান (রা.) নবীজির বার্তা নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের পৌঁছে দিলেন। কুরাইশ নেতারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল এবং ওসমানকে দীর্ঘসময় মক্কায় আটকে রাখল। এতে হুদাইবিয়ায় অবস্থানরত মুসলমানদের মধ্যে হজরত ওসমান (রা.)-কে শহীদ করে দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এ কথা রাসুল (সা.)-এর কানে পৌঁছালে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, ‘যুদ্ধের মাধ্যমে যতক্ষণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে না, ততক্ষণ আমরা এ স্থান ত্যাগ করব না।’
এরপর সব সাহাবিকে ডেকে শপথাবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন। তাঁরা অঙ্গীকার করলেন যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবেন না এবং নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে যুদ্ধে অবিচল থাকবেন। শপথের পর দেখা গেল, ওসমান (রা.) সুস্থভাবে ফিরে এলেন। ফলে আর যুদ্ধের পথে যেতে হলো না।
এই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল হুদায়বিয়ার একটি গাছের নিচে। সাহাবিদের এভাবে জানের বিনিময়ে শপথ করার ব্যাপারটি মহান আল্লাহর ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। তিনি পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করলেন এবং বাইয়াতুর রিজওয়ানে অংশ নেওয়া সবার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির ঘোষণা দেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল।’ (সুরা ফাতহ: ১৮)

নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ করেছেন। ইসলামের পরিভাষায় এসব শপথ অনুষ্ঠানকে বাইয়াত বলা হয়। এখানে নবীজীবনের তাৎপর্যপূর্ণ তিন বাইয়াত অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরা হলো।
আকাবার প্রথম শপথ
নবুয়তের একাদশ বছরে ইসলামের দাওয়াত মক্কার চৌহদ্দি পেরিয়ে মদিনায়ও পৌঁছে যায়। সে বছর মদিনা থেকে আসা ৬ জন হজযাত্রী ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। তাঁরা মহানবী (সা.)-কে কথা দেন, ইয়াসরিবে ফিরে তাঁরা মানুষকে ইসলামের পথে ডাকবেন। পরের বছর হজের মৌসুমে গত বছরের ৬ জনসহ মোট ১২ জন ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে আসেন এবং মিনার ময়দানের আকাবা নামের এক সুড়ঙ্গে তাঁর সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর হাতে একটি আনুষ্ঠানিক বাইয়াত তথা শপথ গ্রহণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে একে বাইয়াতুল আকাবা আলা-উলা বা আকাবার প্রথম শপথ বলা হয়।
এই শপথ অনুষ্ঠানে মহানবী (সা.) মদিনার ১২ জন সাহাবির কাছে বেশ কিছু বিষয়ে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন। হাদিসে সেই শপথের বাক্যগুলো এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে—‘এসো, আমার কাছে অঙ্গীকার করো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, সন্তানকে হত্যা করবে না, মনগড়া অপবাদ আরোপ করবে না এবং কোনো ভালো কথায় আমাকে অমান্য করবে না। যারা এসব কথা মানবে এবং পূর্ণ করবে, আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের পুরস্কার রয়েছে। যারা এসব কাজে লিপ্ত হবে এবং তার শাস্তি প্রদান করা হয়, তবে সেটা তার মুক্তিলাভের কারণ হবে। আর যদি কেউ এসবে লিপ্ত হয় এবং আল্লাহ তা গোপন রেখে দেন, তবে তার ব্যাপারটি আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে—তিনি শাস্তি দেবেন বা ক্ষমা করবেন।’ (বুখারি)
আকাবার দ্বিতীয় শপথ
আকাবার প্রথম শপথের ফলাফল পরের বছর তথা নবুয়তের ত্রয়োদশ বছরে প্রতিভাত হয়। সেই ১২ জন মুসলমান এবার ৭৫ জনের কাফেলা নিয়ে হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন। তখনো মক্কায় ইসলাম প্রচারে বাধাবিপত্তি ছিল। তাই তাঁরা পৌত্তলিক হজযাত্রীদের সঙ্গেই ছিলেন এবং গোপনে নবীজির সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। আগের মতো এবারও তাঁরা আকাবার সুড়ঙ্গে একত্র হতে সম্মত হলেন। রাতের গভীরে অন্যান্য হাজির অজ্ঞাতে সুড়ঙ্গে উপস্থিত হন। নবীজি সেখানে তাশরিফ আনলেন।
এই অনুষ্ঠানে নবীজি তাঁদের কাছ থেকে যে অঙ্গীকার নেন, তা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, জাবির (রা.) বলেন, আমরা আরজ করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমরা আপনার কাছে কোন বিষয়ে শপথ গ্রহণ করব?’ তিনি বললেন, ‘সুখে-দুঃখে সব সময় আনুগত্য করবে, অভাব ও সচ্ছলতায় একইভাবে ব্যয় করবে, ভালো কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলবে, আল্লাহর পথে অটল থাকবে এবং এ ব্যাপারে কারও ভর্ৎসনার পরোয়া করবে না, যখন আমি তোমাদের কাছে হিজরত করব, তখন আমাকে সাহায্য করবে এবং যেভাবে নিজেদের জানমাল ও সন্তানদের হেফাজত করছ, সেভাবেই আমার হেফাজত করবে। এসব করলে তোমাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (ইবনে হিশাম)
মুমিনদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল।
সুরা ফাতহ: ১৮
এই শপথ অনুষ্ঠানকে বাইয়াতুল আকাবা আস-সানিয়া বা আকাবার দ্বিতীয় শপথ বলা হয়। এতে দীর্ঘ আলোচনা এবং নানা নাটকীয়তার অবতারণা হয়েছিল। সবশেষে উপস্থিত আনসার সাহাবি মহানবীর প্রতি কৃত অঙ্গীকার রক্ষার শপথ করেন। এই অনুষ্ঠানে দুজন নারীও উপস্থিত ছিলেন। পুরুষদের সবাই নবীজির হাতে হাত রেখে বাইয়াত গ্রহণ করেন। আর উপস্থিত দুই নারীকে (হাত স্পর্শ না করে) মৌখিকভাবে শপথ পড়ানো হয়। (মুসলিম) শপথ অনুষ্ঠান শেষ হলে নবীজি ১২ জন ব্যক্তিকে তাঁদের নেতা নির্বাচন করেন, যাঁরা মদিনায় গিয়ে ইসলামের কাজে নিজ নিজ সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দেবেন। নেতা নির্বাচনের পর তাঁদের কাছ থেকে আবার বিশেষভাবে অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়।
বাইয়াতুর রিজওয়ান
ষষ্ঠ হিজরির জিলকদ মাসে বাইয়াতুর রিজওয়ান সংগঠিত হয়েছিল। মহানবী (সা.) স্বপ্নের মাধ্যমে ওমরাহ করার ব্যাপারে আদিষ্ট হলে ১ হাজার ৪০০ সাহাবির একটি দল নিয়ে মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। মক্কার অদূরে হুদাইবিয়া এলাকায় গিয়ে যাত্রাবিরতি করেন এবং মক্কার নেতৃত্বে থাকা কুরাইশ সরদারদের কাছে এ ব্যাপারে খবর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তখনো মুসলমানদের সঙ্গে মক্কার কাফিরদের যুদ্ধাবস্থা ছিল।
নবী (সা.) হজরত ওসমান (রা.)-কে দূত বানিয়ে মক্কায় পাঠান এবং নির্দেশনা দেন, ‘তুমি গিয়ে তাদের বলে দাও—আমরা যুদ্ধ করার জন্য আসিনি; ওমরাহ পালন করার জন্য এসেছি। তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াতও পেশ করো।’ ওসমান (রা.) নবীজির বার্তা নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের পৌঁছে দিলেন। কুরাইশ নেতারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল এবং ওসমানকে দীর্ঘসময় মক্কায় আটকে রাখল। এতে হুদাইবিয়ায় অবস্থানরত মুসলমানদের মধ্যে হজরত ওসমান (রা.)-কে শহীদ করে দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এ কথা রাসুল (সা.)-এর কানে পৌঁছালে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, ‘যুদ্ধের মাধ্যমে যতক্ষণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে না, ততক্ষণ আমরা এ স্থান ত্যাগ করব না।’
এরপর সব সাহাবিকে ডেকে শপথাবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন। তাঁরা অঙ্গীকার করলেন যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবেন না এবং নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে যুদ্ধে অবিচল থাকবেন। শপথের পর দেখা গেল, ওসমান (রা.) সুস্থভাবে ফিরে এলেন। ফলে আর যুদ্ধের পথে যেতে হলো না।
এই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল হুদায়বিয়ার একটি গাছের নিচে। সাহাবিদের এভাবে জানের বিনিময়ে শপথ করার ব্যাপারটি মহান আল্লাহর ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। তিনি পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করলেন এবং বাইয়াতুর রিজওয়ানে অংশ নেওয়া সবার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির ঘোষণা দেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল।’ (সুরা ফাতহ: ১৮)
মাওলানা ইসমাইল নাজিম

নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ করেছেন। ইসলামের পরিভাষায় এসব শপথ অনুষ্ঠানকে বাইয়াত বলা হয়। এখানে নবীজীবনের তাৎপর্যপূর্ণ তিন বাইয়াত অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরা হলো।
আকাবার প্রথম শপথ
নবুয়তের একাদশ বছরে ইসলামের দাওয়াত মক্কার চৌহদ্দি পেরিয়ে মদিনায়ও পৌঁছে যায়। সে বছর মদিনা থেকে আসা ৬ জন হজযাত্রী ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। তাঁরা মহানবী (সা.)-কে কথা দেন, ইয়াসরিবে ফিরে তাঁরা মানুষকে ইসলামের পথে ডাকবেন। পরের বছর হজের মৌসুমে গত বছরের ৬ জনসহ মোট ১২ জন ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে আসেন এবং মিনার ময়দানের আকাবা নামের এক সুড়ঙ্গে তাঁর সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর হাতে একটি আনুষ্ঠানিক বাইয়াত তথা শপথ গ্রহণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে একে বাইয়াতুল আকাবা আলা-উলা বা আকাবার প্রথম শপথ বলা হয়।
এই শপথ অনুষ্ঠানে মহানবী (সা.) মদিনার ১২ জন সাহাবির কাছে বেশ কিছু বিষয়ে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন। হাদিসে সেই শপথের বাক্যগুলো এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে—‘এসো, আমার কাছে অঙ্গীকার করো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, সন্তানকে হত্যা করবে না, মনগড়া অপবাদ আরোপ করবে না এবং কোনো ভালো কথায় আমাকে অমান্য করবে না। যারা এসব কথা মানবে এবং পূর্ণ করবে, আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের পুরস্কার রয়েছে। যারা এসব কাজে লিপ্ত হবে এবং তার শাস্তি প্রদান করা হয়, তবে সেটা তার মুক্তিলাভের কারণ হবে। আর যদি কেউ এসবে লিপ্ত হয় এবং আল্লাহ তা গোপন রেখে দেন, তবে তার ব্যাপারটি আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে—তিনি শাস্তি দেবেন বা ক্ষমা করবেন।’ (বুখারি)
আকাবার দ্বিতীয় শপথ
আকাবার প্রথম শপথের ফলাফল পরের বছর তথা নবুয়তের ত্রয়োদশ বছরে প্রতিভাত হয়। সেই ১২ জন মুসলমান এবার ৭৫ জনের কাফেলা নিয়ে হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন। তখনো মক্কায় ইসলাম প্রচারে বাধাবিপত্তি ছিল। তাই তাঁরা পৌত্তলিক হজযাত্রীদের সঙ্গেই ছিলেন এবং গোপনে নবীজির সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। আগের মতো এবারও তাঁরা আকাবার সুড়ঙ্গে একত্র হতে সম্মত হলেন। রাতের গভীরে অন্যান্য হাজির অজ্ঞাতে সুড়ঙ্গে উপস্থিত হন। নবীজি সেখানে তাশরিফ আনলেন।
এই অনুষ্ঠানে নবীজি তাঁদের কাছ থেকে যে অঙ্গীকার নেন, তা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, জাবির (রা.) বলেন, আমরা আরজ করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমরা আপনার কাছে কোন বিষয়ে শপথ গ্রহণ করব?’ তিনি বললেন, ‘সুখে-দুঃখে সব সময় আনুগত্য করবে, অভাব ও সচ্ছলতায় একইভাবে ব্যয় করবে, ভালো কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলবে, আল্লাহর পথে অটল থাকবে এবং এ ব্যাপারে কারও ভর্ৎসনার পরোয়া করবে না, যখন আমি তোমাদের কাছে হিজরত করব, তখন আমাকে সাহায্য করবে এবং যেভাবে নিজেদের জানমাল ও সন্তানদের হেফাজত করছ, সেভাবেই আমার হেফাজত করবে। এসব করলে তোমাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (ইবনে হিশাম)
মুমিনদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল।
সুরা ফাতহ: ১৮
এই শপথ অনুষ্ঠানকে বাইয়াতুল আকাবা আস-সানিয়া বা আকাবার দ্বিতীয় শপথ বলা হয়। এতে দীর্ঘ আলোচনা এবং নানা নাটকীয়তার অবতারণা হয়েছিল। সবশেষে উপস্থিত আনসার সাহাবি মহানবীর প্রতি কৃত অঙ্গীকার রক্ষার শপথ করেন। এই অনুষ্ঠানে দুজন নারীও উপস্থিত ছিলেন। পুরুষদের সবাই নবীজির হাতে হাত রেখে বাইয়াত গ্রহণ করেন। আর উপস্থিত দুই নারীকে (হাত স্পর্শ না করে) মৌখিকভাবে শপথ পড়ানো হয়। (মুসলিম) শপথ অনুষ্ঠান শেষ হলে নবীজি ১২ জন ব্যক্তিকে তাঁদের নেতা নির্বাচন করেন, যাঁরা মদিনায় গিয়ে ইসলামের কাজে নিজ নিজ সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দেবেন। নেতা নির্বাচনের পর তাঁদের কাছ থেকে আবার বিশেষভাবে অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়।
বাইয়াতুর রিজওয়ান
ষষ্ঠ হিজরির জিলকদ মাসে বাইয়াতুর রিজওয়ান সংগঠিত হয়েছিল। মহানবী (সা.) স্বপ্নের মাধ্যমে ওমরাহ করার ব্যাপারে আদিষ্ট হলে ১ হাজার ৪০০ সাহাবির একটি দল নিয়ে মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। মক্কার অদূরে হুদাইবিয়া এলাকায় গিয়ে যাত্রাবিরতি করেন এবং মক্কার নেতৃত্বে থাকা কুরাইশ সরদারদের কাছে এ ব্যাপারে খবর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তখনো মুসলমানদের সঙ্গে মক্কার কাফিরদের যুদ্ধাবস্থা ছিল।
নবী (সা.) হজরত ওসমান (রা.)-কে দূত বানিয়ে মক্কায় পাঠান এবং নির্দেশনা দেন, ‘তুমি গিয়ে তাদের বলে দাও—আমরা যুদ্ধ করার জন্য আসিনি; ওমরাহ পালন করার জন্য এসেছি। তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াতও পেশ করো।’ ওসমান (রা.) নবীজির বার্তা নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের পৌঁছে দিলেন। কুরাইশ নেতারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল এবং ওসমানকে দীর্ঘসময় মক্কায় আটকে রাখল। এতে হুদাইবিয়ায় অবস্থানরত মুসলমানদের মধ্যে হজরত ওসমান (রা.)-কে শহীদ করে দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এ কথা রাসুল (সা.)-এর কানে পৌঁছালে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, ‘যুদ্ধের মাধ্যমে যতক্ষণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে না, ততক্ষণ আমরা এ স্থান ত্যাগ করব না।’
এরপর সব সাহাবিকে ডেকে শপথাবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন। তাঁরা অঙ্গীকার করলেন যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবেন না এবং নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে যুদ্ধে অবিচল থাকবেন। শপথের পর দেখা গেল, ওসমান (রা.) সুস্থভাবে ফিরে এলেন। ফলে আর যুদ্ধের পথে যেতে হলো না।
এই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল হুদায়বিয়ার একটি গাছের নিচে। সাহাবিদের এভাবে জানের বিনিময়ে শপথ করার ব্যাপারটি মহান আল্লাহর ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। তিনি পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করলেন এবং বাইয়াতুর রিজওয়ানে অংশ নেওয়া সবার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির ঘোষণা দেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল।’ (সুরা ফাতহ: ১৮)

নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ করেছেন। ইসলামের পরিভাষায় এসব শপথ অনুষ্ঠানকে বাইয়াত বলা হয়। এখানে নবীজীবনের তাৎপর্যপূর্ণ তিন বাইয়াত অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরা হলো।
আকাবার প্রথম শপথ
নবুয়তের একাদশ বছরে ইসলামের দাওয়াত মক্কার চৌহদ্দি পেরিয়ে মদিনায়ও পৌঁছে যায়। সে বছর মদিনা থেকে আসা ৬ জন হজযাত্রী ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। তাঁরা মহানবী (সা.)-কে কথা দেন, ইয়াসরিবে ফিরে তাঁরা মানুষকে ইসলামের পথে ডাকবেন। পরের বছর হজের মৌসুমে গত বছরের ৬ জনসহ মোট ১২ জন ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে আসেন এবং মিনার ময়দানের আকাবা নামের এক সুড়ঙ্গে তাঁর সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর হাতে একটি আনুষ্ঠানিক বাইয়াত তথা শপথ গ্রহণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে একে বাইয়াতুল আকাবা আলা-উলা বা আকাবার প্রথম শপথ বলা হয়।
এই শপথ অনুষ্ঠানে মহানবী (সা.) মদিনার ১২ জন সাহাবির কাছে বেশ কিছু বিষয়ে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন। হাদিসে সেই শপথের বাক্যগুলো এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে—‘এসো, আমার কাছে অঙ্গীকার করো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, সন্তানকে হত্যা করবে না, মনগড়া অপবাদ আরোপ করবে না এবং কোনো ভালো কথায় আমাকে অমান্য করবে না। যারা এসব কথা মানবে এবং পূর্ণ করবে, আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের পুরস্কার রয়েছে। যারা এসব কাজে লিপ্ত হবে এবং তার শাস্তি প্রদান করা হয়, তবে সেটা তার মুক্তিলাভের কারণ হবে। আর যদি কেউ এসবে লিপ্ত হয় এবং আল্লাহ তা গোপন রেখে দেন, তবে তার ব্যাপারটি আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে—তিনি শাস্তি দেবেন বা ক্ষমা করবেন।’ (বুখারি)
আকাবার দ্বিতীয় শপথ
আকাবার প্রথম শপথের ফলাফল পরের বছর তথা নবুয়তের ত্রয়োদশ বছরে প্রতিভাত হয়। সেই ১২ জন মুসলমান এবার ৭৫ জনের কাফেলা নিয়ে হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন। তখনো মক্কায় ইসলাম প্রচারে বাধাবিপত্তি ছিল। তাই তাঁরা পৌত্তলিক হজযাত্রীদের সঙ্গেই ছিলেন এবং গোপনে নবীজির সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। আগের মতো এবারও তাঁরা আকাবার সুড়ঙ্গে একত্র হতে সম্মত হলেন। রাতের গভীরে অন্যান্য হাজির অজ্ঞাতে সুড়ঙ্গে উপস্থিত হন। নবীজি সেখানে তাশরিফ আনলেন।
এই অনুষ্ঠানে নবীজি তাঁদের কাছ থেকে যে অঙ্গীকার নেন, তা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, জাবির (রা.) বলেন, আমরা আরজ করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমরা আপনার কাছে কোন বিষয়ে শপথ গ্রহণ করব?’ তিনি বললেন, ‘সুখে-দুঃখে সব সময় আনুগত্য করবে, অভাব ও সচ্ছলতায় একইভাবে ব্যয় করবে, ভালো কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলবে, আল্লাহর পথে অটল থাকবে এবং এ ব্যাপারে কারও ভর্ৎসনার পরোয়া করবে না, যখন আমি তোমাদের কাছে হিজরত করব, তখন আমাকে সাহায্য করবে এবং যেভাবে নিজেদের জানমাল ও সন্তানদের হেফাজত করছ, সেভাবেই আমার হেফাজত করবে। এসব করলে তোমাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (ইবনে হিশাম)
মুমিনদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল।
সুরা ফাতহ: ১৮
এই শপথ অনুষ্ঠানকে বাইয়াতুল আকাবা আস-সানিয়া বা আকাবার দ্বিতীয় শপথ বলা হয়। এতে দীর্ঘ আলোচনা এবং নানা নাটকীয়তার অবতারণা হয়েছিল। সবশেষে উপস্থিত আনসার সাহাবি মহানবীর প্রতি কৃত অঙ্গীকার রক্ষার শপথ করেন। এই অনুষ্ঠানে দুজন নারীও উপস্থিত ছিলেন। পুরুষদের সবাই নবীজির হাতে হাত রেখে বাইয়াত গ্রহণ করেন। আর উপস্থিত দুই নারীকে (হাত স্পর্শ না করে) মৌখিকভাবে শপথ পড়ানো হয়। (মুসলিম) শপথ অনুষ্ঠান শেষ হলে নবীজি ১২ জন ব্যক্তিকে তাঁদের নেতা নির্বাচন করেন, যাঁরা মদিনায় গিয়ে ইসলামের কাজে নিজ নিজ সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দেবেন। নেতা নির্বাচনের পর তাঁদের কাছ থেকে আবার বিশেষভাবে অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়।
বাইয়াতুর রিজওয়ান
ষষ্ঠ হিজরির জিলকদ মাসে বাইয়াতুর রিজওয়ান সংগঠিত হয়েছিল। মহানবী (সা.) স্বপ্নের মাধ্যমে ওমরাহ করার ব্যাপারে আদিষ্ট হলে ১ হাজার ৪০০ সাহাবির একটি দল নিয়ে মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। মক্কার অদূরে হুদাইবিয়া এলাকায় গিয়ে যাত্রাবিরতি করেন এবং মক্কার নেতৃত্বে থাকা কুরাইশ সরদারদের কাছে এ ব্যাপারে খবর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তখনো মুসলমানদের সঙ্গে মক্কার কাফিরদের যুদ্ধাবস্থা ছিল।
নবী (সা.) হজরত ওসমান (রা.)-কে দূত বানিয়ে মক্কায় পাঠান এবং নির্দেশনা দেন, ‘তুমি গিয়ে তাদের বলে দাও—আমরা যুদ্ধ করার জন্য আসিনি; ওমরাহ পালন করার জন্য এসেছি। তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াতও পেশ করো।’ ওসমান (রা.) নবীজির বার্তা নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের পৌঁছে দিলেন। কুরাইশ নেতারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল এবং ওসমানকে দীর্ঘসময় মক্কায় আটকে রাখল। এতে হুদাইবিয়ায় অবস্থানরত মুসলমানদের মধ্যে হজরত ওসমান (রা.)-কে শহীদ করে দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এ কথা রাসুল (সা.)-এর কানে পৌঁছালে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, ‘যুদ্ধের মাধ্যমে যতক্ষণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে না, ততক্ষণ আমরা এ স্থান ত্যাগ করব না।’
এরপর সব সাহাবিকে ডেকে শপথাবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন। তাঁরা অঙ্গীকার করলেন যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবেন না এবং নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে যুদ্ধে অবিচল থাকবেন। শপথের পর দেখা গেল, ওসমান (রা.) সুস্থভাবে ফিরে এলেন। ফলে আর যুদ্ধের পথে যেতে হলো না।
এই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল হুদায়বিয়ার একটি গাছের নিচে। সাহাবিদের এভাবে জানের বিনিময়ে শপথ করার ব্যাপারটি মহান আল্লাহর ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। তিনি পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করলেন এবং বাইয়াতুর রিজওয়ানে অংশ নেওয়া সবার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির ঘোষণা দেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল।’ (সুরা ফাতহ: ১৮)

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে