মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রাথমিক জীবন
জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁর পিতার কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইরাকের কুফায় চলে যান এবং খলিফা হারুন অর-রশিদের অধীনে কাজ করেন। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে অনেক তথ্যই কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক উৎস থেকে এসেছে, যা অনেক সময় পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে জাবির ছিলেন এক বিস্ময়কর মেধাবী এবং গবেষক। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
রসায়নে অবদান
জাবির ইবনে হাইয়ানের প্রধান খ্যাতি রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি রসায়নকে প্রাচীন ‘আলকেমি’ থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর কাজের মূল দিকগুলো হলো—
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ভূমিকা: জাবির প্রথমবারের মতো পরীক্ষানির্ভর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।’ (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি বহু রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যেমন: পাতন (ডিসটিলেশন), গলন (মেল্টিং), বিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন), স্ফটিকীকরণ (ক্রিস্টালাইজেশন) ইত্যাদি। তাঁর আবিষ্কৃত ‘আলেম্বিক’ যন্ত্রটি আধুনিক পরীক্ষাগারে পাতনের প্রাথমিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
অম্ল ও ক্ষারের গবেষণা: জাবির অম্ল (অ্যাসিড) ও ক্ষার (বেইজ) নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রথমবারের মতো সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করেন। (পি এম পেটেল, ২০১৬, জাবির ইবনে হাইয়ান: দ্য ফাদার অব দ্য কেমিস্ট্রি)
ধাতুর প্রকৃতি বিশ্লেষণ: তিনি ধারণা দেন যে ধাতুসমূহ মূলত এক ধরনের মৌলিক উপাদান থেকে গঠিত এবং বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটি রসায়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
সাহিত্যকর্ম
জাবিরের লেখা হাজারের বেশি বই রয়েছে বলে মনে করা হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোর অনুবাদ লাতিন ভাষায় করা হয়েছে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো:
কিতাব আল-কিমিয়া (দ্য বুক অব কেমিস্ট্রি) : এটি মধ্যযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গ্রন্থ। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
কিতাব আল-তাজমিয়াত: যেখানে ধাতুর স্ফটিকায়ন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
কিতাব আল-হিজাব: রসায়নের গভীরতর তত্ত্ব নিয়ে লেখা। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
রসায়নে জাবিরের প্রভাব
জাবিরের কাজ শুধু ইসলামি জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ইউরোপীয় রেনেসাঁর রসায়নবিদদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ‘গেবার’ নামে তাঁর কাজ লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাবির কেবল বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন গভীর দার্শনিকও ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও সাদৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ। তাঁর কাজ ‘তত্ত্ব ও গবেষণা’র মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
উত্তরাধিকার
জাবির ইবনে হাইয়ানের কাজ আজও বিজ্ঞান, বিশেষত রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত শাস্ত্রে পরিণত করেন। (ই মাসুদ, ২০০৯, সায়েন্স অ্যান্ড ইসলাম: আ হিস্টোরি)
উপসংহার
জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি যে জ্ঞান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল বিজ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং তা মানবসভ্যতার জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা দেয়।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রাথমিক জীবন
জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁর পিতার কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইরাকের কুফায় চলে যান এবং খলিফা হারুন অর-রশিদের অধীনে কাজ করেন। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে অনেক তথ্যই কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক উৎস থেকে এসেছে, যা অনেক সময় পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে জাবির ছিলেন এক বিস্ময়কর মেধাবী এবং গবেষক। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
রসায়নে অবদান
জাবির ইবনে হাইয়ানের প্রধান খ্যাতি রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি রসায়নকে প্রাচীন ‘আলকেমি’ থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর কাজের মূল দিকগুলো হলো—
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ভূমিকা: জাবির প্রথমবারের মতো পরীক্ষানির্ভর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।’ (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি বহু রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যেমন: পাতন (ডিসটিলেশন), গলন (মেল্টিং), বিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন), স্ফটিকীকরণ (ক্রিস্টালাইজেশন) ইত্যাদি। তাঁর আবিষ্কৃত ‘আলেম্বিক’ যন্ত্রটি আধুনিক পরীক্ষাগারে পাতনের প্রাথমিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
অম্ল ও ক্ষারের গবেষণা: জাবির অম্ল (অ্যাসিড) ও ক্ষার (বেইজ) নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রথমবারের মতো সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করেন। (পি এম পেটেল, ২০১৬, জাবির ইবনে হাইয়ান: দ্য ফাদার অব দ্য কেমিস্ট্রি)
ধাতুর প্রকৃতি বিশ্লেষণ: তিনি ধারণা দেন যে ধাতুসমূহ মূলত এক ধরনের মৌলিক উপাদান থেকে গঠিত এবং বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটি রসায়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
সাহিত্যকর্ম
জাবিরের লেখা হাজারের বেশি বই রয়েছে বলে মনে করা হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোর অনুবাদ লাতিন ভাষায় করা হয়েছে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো:
কিতাব আল-কিমিয়া (দ্য বুক অব কেমিস্ট্রি) : এটি মধ্যযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গ্রন্থ। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
কিতাব আল-তাজমিয়াত: যেখানে ধাতুর স্ফটিকায়ন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
কিতাব আল-হিজাব: রসায়নের গভীরতর তত্ত্ব নিয়ে লেখা। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
রসায়নে জাবিরের প্রভাব
জাবিরের কাজ শুধু ইসলামি জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ইউরোপীয় রেনেসাঁর রসায়নবিদদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ‘গেবার’ নামে তাঁর কাজ লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাবির কেবল বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন গভীর দার্শনিকও ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও সাদৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ। তাঁর কাজ ‘তত্ত্ব ও গবেষণা’র মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
উত্তরাধিকার
জাবির ইবনে হাইয়ানের কাজ আজও বিজ্ঞান, বিশেষত রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত শাস্ত্রে পরিণত করেন। (ই মাসুদ, ২০০৯, সায়েন্স অ্যান্ড ইসলাম: আ হিস্টোরি)
উপসংহার
জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি যে জ্ঞান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল বিজ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং তা মানবসভ্যতার জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা দেয়।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রাথমিক জীবন
জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁর পিতার কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইরাকের কুফায় চলে যান এবং খলিফা হারুন অর-রশিদের অধীনে কাজ করেন। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে অনেক তথ্যই কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক উৎস থেকে এসেছে, যা অনেক সময় পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে জাবির ছিলেন এক বিস্ময়কর মেধাবী এবং গবেষক। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
রসায়নে অবদান
জাবির ইবনে হাইয়ানের প্রধান খ্যাতি রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি রসায়নকে প্রাচীন ‘আলকেমি’ থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর কাজের মূল দিকগুলো হলো—
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ভূমিকা: জাবির প্রথমবারের মতো পরীক্ষানির্ভর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।’ (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি বহু রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যেমন: পাতন (ডিসটিলেশন), গলন (মেল্টিং), বিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন), স্ফটিকীকরণ (ক্রিস্টালাইজেশন) ইত্যাদি। তাঁর আবিষ্কৃত ‘আলেম্বিক’ যন্ত্রটি আধুনিক পরীক্ষাগারে পাতনের প্রাথমিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
অম্ল ও ক্ষারের গবেষণা: জাবির অম্ল (অ্যাসিড) ও ক্ষার (বেইজ) নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রথমবারের মতো সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করেন। (পি এম পেটেল, ২০১৬, জাবির ইবনে হাইয়ান: দ্য ফাদার অব দ্য কেমিস্ট্রি)
ধাতুর প্রকৃতি বিশ্লেষণ: তিনি ধারণা দেন যে ধাতুসমূহ মূলত এক ধরনের মৌলিক উপাদান থেকে গঠিত এবং বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটি রসায়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
সাহিত্যকর্ম
জাবিরের লেখা হাজারের বেশি বই রয়েছে বলে মনে করা হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোর অনুবাদ লাতিন ভাষায় করা হয়েছে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো:
কিতাব আল-কিমিয়া (দ্য বুক অব কেমিস্ট্রি) : এটি মধ্যযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গ্রন্থ। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
কিতাব আল-তাজমিয়াত: যেখানে ধাতুর স্ফটিকায়ন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
কিতাব আল-হিজাব: রসায়নের গভীরতর তত্ত্ব নিয়ে লেখা। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
রসায়নে জাবিরের প্রভাব
জাবিরের কাজ শুধু ইসলামি জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ইউরোপীয় রেনেসাঁর রসায়নবিদদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ‘গেবার’ নামে তাঁর কাজ লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাবির কেবল বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন গভীর দার্শনিকও ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও সাদৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ। তাঁর কাজ ‘তত্ত্ব ও গবেষণা’র মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
উত্তরাধিকার
জাবির ইবনে হাইয়ানের কাজ আজও বিজ্ঞান, বিশেষত রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত শাস্ত্রে পরিণত করেন। (ই মাসুদ, ২০০৯, সায়েন্স অ্যান্ড ইসলাম: আ হিস্টোরি)
উপসংহার
জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি যে জ্ঞান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল বিজ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং তা মানবসভ্যতার জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা দেয়।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রাথমিক জীবন
জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁর পিতার কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইরাকের কুফায় চলে যান এবং খলিফা হারুন অর-রশিদের অধীনে কাজ করেন। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে অনেক তথ্যই কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক উৎস থেকে এসেছে, যা অনেক সময় পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে জাবির ছিলেন এক বিস্ময়কর মেধাবী এবং গবেষক। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
রসায়নে অবদান
জাবির ইবনে হাইয়ানের প্রধান খ্যাতি রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি রসায়নকে প্রাচীন ‘আলকেমি’ থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর কাজের মূল দিকগুলো হলো—
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ভূমিকা: জাবির প্রথমবারের মতো পরীক্ষানির্ভর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।’ (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি বহু রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যেমন: পাতন (ডিসটিলেশন), গলন (মেল্টিং), বিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন), স্ফটিকীকরণ (ক্রিস্টালাইজেশন) ইত্যাদি। তাঁর আবিষ্কৃত ‘আলেম্বিক’ যন্ত্রটি আধুনিক পরীক্ষাগারে পাতনের প্রাথমিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
অম্ল ও ক্ষারের গবেষণা: জাবির অম্ল (অ্যাসিড) ও ক্ষার (বেইজ) নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রথমবারের মতো সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করেন। (পি এম পেটেল, ২০১৬, জাবির ইবনে হাইয়ান: দ্য ফাদার অব দ্য কেমিস্ট্রি)
ধাতুর প্রকৃতি বিশ্লেষণ: তিনি ধারণা দেন যে ধাতুসমূহ মূলত এক ধরনের মৌলিক উপাদান থেকে গঠিত এবং বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটি রসায়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
সাহিত্যকর্ম
জাবিরের লেখা হাজারের বেশি বই রয়েছে বলে মনে করা হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোর অনুবাদ লাতিন ভাষায় করা হয়েছে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো:
কিতাব আল-কিমিয়া (দ্য বুক অব কেমিস্ট্রি) : এটি মধ্যযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গ্রন্থ। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
কিতাব আল-তাজমিয়াত: যেখানে ধাতুর স্ফটিকায়ন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
কিতাব আল-হিজাব: রসায়নের গভীরতর তত্ত্ব নিয়ে লেখা। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
রসায়নে জাবিরের প্রভাব
জাবিরের কাজ শুধু ইসলামি জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ইউরোপীয় রেনেসাঁর রসায়নবিদদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ‘গেবার’ নামে তাঁর কাজ লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাবির কেবল বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন গভীর দার্শনিকও ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও সাদৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ। তাঁর কাজ ‘তত্ত্ব ও গবেষণা’র মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
উত্তরাধিকার
জাবির ইবনে হাইয়ানের কাজ আজও বিজ্ঞান, বিশেষত রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত শাস্ত্রে পরিণত করেন। (ই মাসুদ, ২০০৯, সায়েন্স অ্যান্ড ইসলাম: আ হিস্টোরি)
উপসংহার
জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি যে জ্ঞান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল বিজ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং তা মানবসভ্যতার জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা দেয়।

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৯ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১১ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১৩ ঘণ্টা আগেশায়খ আহমাদুল্লাহ

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা হলো, মানুষের জীবন ও সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথেই ব্যয় হওয়া উচিত। পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের সময়গুলোকে এমন সব আচার-অনুষ্ঠান ও বিজাতীয় উৎসবে খরচ করছি, যার ভেতর না আছে দুনিয়ার কল্যাণ, না আছে পরকালের মুক্তি। তেমনই একটি অনর্থক ও শরিয়ত বিবর্জিত উৎসবের নাম ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের গোড়ার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এর সঙ্গে পৌত্তলিকতা ও কুসংস্কারের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। প্রাচীন পারস্যের সম্রাট জামশিদ খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে এবং পরবর্তী সময়ে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে নববর্ষের প্রচলন করেন। মূলত এটি ইংরেজি নববর্ষ নয়, খ্রিষ্টীয় বা গ্রেগরিয়ান নববর্ষ, যা পোপ গ্রেগরির নামানুসারে প্রবর্তিত। প্রাচীনকালে পারস্যের প্রকৃতি পূজারিরা বিশ্বাস করত, বছরের প্রথম দিন আনন্দ-ফুর্তিতে কাটালে সারা বছর ভালো থাকা যাবে। সেই কুসংস্কার আজও আধুনিক সমাজের তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের মধ্যে গেঁথে আছে। অথচ বছরের প্রথম দিন উল্লাস করলে সারা বছর ভালো যাবে—এর চেয়ে অযৌক্তিক ও হাস্যকর বিশ্বাস আর কী হতে পারে!
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো উৎসব পালন করতে হলে কোরআন-সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরামের আমলের প্রামাণ্যতা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা যায়, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সপক্ষে ইসলামে কোনো দলিল নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সঙ্গে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)। কোনো জাগতিক কাজ তখনই বৈধ হয়, যখন তা শরিয়তের বিধান লঙ্ঘন করে না এবং সৃষ্টির হক নষ্ট করে না। কিন্তু থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপনে এই দুটি শর্তই চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়। এটি একদিকে যেমন বিজাতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ, অন্যদিকে এর মাধ্যমে নাগরিক শান্তি ও মানুষের অধিকার ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়।
এই উৎসবের সামাজিক ও নৈতিক ক্ষতির দিকগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রথমত, এতে বিপুল অর্থের অপচয় হয়। যে রাতে আতশবাজি, ফানুস ও ডিজে পার্টির নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, সেই হাড়কাঁপানো শীতের রাতেই দেশের লাখো গরিব মানুষ এক টুকরো গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পায়। অপচয়কারীকে পবিত্র কোরআনে শয়তানের ভাই হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত বিকট শব্দে আতশবাজি ও সাউন্ডবক্স ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটে। শহরের ফ্ল্যাটে থাকা বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ রোগীরা এই শব্দদূষণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ে। এমনকি পটকার শব্দে শিশুর মৃত্যু কিংবা ফানুসের আগুনে দগ্ধ হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও প্রতিবছর আমাদের দেখতে হয়।
তদুপরি এই বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এক ভোগবাদী ও নৈতিকতাহীন পথে ঠেলে দিচ্ছে। মাদক, গান-বাজনা এবং নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মাধ্যমে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটছে, যা ইসলামের সুমহান দর্শনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ইসলাম আমাদের ত্যাগের উৎসব শিখিয়েছে, যেখানে ভোগের চেয়ে অপরের কল্যাণ ও গরিবের হক বেশি গুরুত্ব পায়। অথচ থার্টি ফার্স্ট নাইটের মতো উৎসবে আত্মকেন্দ্রিক ভোগবাদ ছাড়া আর কিছুই নেই। আমাদের নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থাকতে কেন আমরা অন্যের দেউলিয়া সংস্কৃতির দ্বারস্থ হচ্ছি, সেটি আজ এক বড় প্রশ্ন।
প্রকৃতপক্ষে নতুন বছর আসা মানেই নতুনের আগমন নয়, বরং জীবন থেকে একটি বছরের পাতা ঝরে যাওয়া। জীবনের বরফ প্রতিনিয়ত গলে যাচ্ছে। আমরা কি একবারও ভাবি, কবরের দিকে আমাদের পা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল! একজন ফাঁসির আসামির কাছে যেমন প্রতিটি সূর্যোদয় মৃত্যুর নিকটবর্তী হওয়ার সংকেত, আমাদের জীবনও ঠিক তেমনি ফুরিয়ে আসছে। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইটের রাতে নেশা ও উন্মাদনায় মত্ত না হয়ে বিগত জীবনের গুনাহের জন্য তওবা করা এবং আগামীর জন্য নেক পরিকল্পনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সন্তান, পরিবার ও সমাজকে এই ভ্রান্ত সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করা আমাদের ইমানি ও নাগরিক দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিহার করে ইসলামি জীবনাদর্শ গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন।
জুমার মিম্বর থেকে গ্রন্থনা: সাব্বির জাদিদ

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা হলো, মানুষের জীবন ও সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথেই ব্যয় হওয়া উচিত। পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের সময়গুলোকে এমন সব আচার-অনুষ্ঠান ও বিজাতীয় উৎসবে খরচ করছি, যার ভেতর না আছে দুনিয়ার কল্যাণ, না আছে পরকালের মুক্তি। তেমনই একটি অনর্থক ও শরিয়ত বিবর্জিত উৎসবের নাম ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের গোড়ার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এর সঙ্গে পৌত্তলিকতা ও কুসংস্কারের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। প্রাচীন পারস্যের সম্রাট জামশিদ খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে এবং পরবর্তী সময়ে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে নববর্ষের প্রচলন করেন। মূলত এটি ইংরেজি নববর্ষ নয়, খ্রিষ্টীয় বা গ্রেগরিয়ান নববর্ষ, যা পোপ গ্রেগরির নামানুসারে প্রবর্তিত। প্রাচীনকালে পারস্যের প্রকৃতি পূজারিরা বিশ্বাস করত, বছরের প্রথম দিন আনন্দ-ফুর্তিতে কাটালে সারা বছর ভালো থাকা যাবে। সেই কুসংস্কার আজও আধুনিক সমাজের তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের মধ্যে গেঁথে আছে। অথচ বছরের প্রথম দিন উল্লাস করলে সারা বছর ভালো যাবে—এর চেয়ে অযৌক্তিক ও হাস্যকর বিশ্বাস আর কী হতে পারে!
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো উৎসব পালন করতে হলে কোরআন-সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরামের আমলের প্রামাণ্যতা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা যায়, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সপক্ষে ইসলামে কোনো দলিল নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সঙ্গে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)। কোনো জাগতিক কাজ তখনই বৈধ হয়, যখন তা শরিয়তের বিধান লঙ্ঘন করে না এবং সৃষ্টির হক নষ্ট করে না। কিন্তু থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপনে এই দুটি শর্তই চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়। এটি একদিকে যেমন বিজাতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ, অন্যদিকে এর মাধ্যমে নাগরিক শান্তি ও মানুষের অধিকার ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়।
এই উৎসবের সামাজিক ও নৈতিক ক্ষতির দিকগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রথমত, এতে বিপুল অর্থের অপচয় হয়। যে রাতে আতশবাজি, ফানুস ও ডিজে পার্টির নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, সেই হাড়কাঁপানো শীতের রাতেই দেশের লাখো গরিব মানুষ এক টুকরো গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পায়। অপচয়কারীকে পবিত্র কোরআনে শয়তানের ভাই হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত বিকট শব্দে আতশবাজি ও সাউন্ডবক্স ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটে। শহরের ফ্ল্যাটে থাকা বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ রোগীরা এই শব্দদূষণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ে। এমনকি পটকার শব্দে শিশুর মৃত্যু কিংবা ফানুসের আগুনে দগ্ধ হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও প্রতিবছর আমাদের দেখতে হয়।
তদুপরি এই বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এক ভোগবাদী ও নৈতিকতাহীন পথে ঠেলে দিচ্ছে। মাদক, গান-বাজনা এবং নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মাধ্যমে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটছে, যা ইসলামের সুমহান দর্শনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ইসলাম আমাদের ত্যাগের উৎসব শিখিয়েছে, যেখানে ভোগের চেয়ে অপরের কল্যাণ ও গরিবের হক বেশি গুরুত্ব পায়। অথচ থার্টি ফার্স্ট নাইটের মতো উৎসবে আত্মকেন্দ্রিক ভোগবাদ ছাড়া আর কিছুই নেই। আমাদের নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থাকতে কেন আমরা অন্যের দেউলিয়া সংস্কৃতির দ্বারস্থ হচ্ছি, সেটি আজ এক বড় প্রশ্ন।
প্রকৃতপক্ষে নতুন বছর আসা মানেই নতুনের আগমন নয়, বরং জীবন থেকে একটি বছরের পাতা ঝরে যাওয়া। জীবনের বরফ প্রতিনিয়ত গলে যাচ্ছে। আমরা কি একবারও ভাবি, কবরের দিকে আমাদের পা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল! একজন ফাঁসির আসামির কাছে যেমন প্রতিটি সূর্যোদয় মৃত্যুর নিকটবর্তী হওয়ার সংকেত, আমাদের জীবনও ঠিক তেমনি ফুরিয়ে আসছে। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইটের রাতে নেশা ও উন্মাদনায় মত্ত না হয়ে বিগত জীবনের গুনাহের জন্য তওবা করা এবং আগামীর জন্য নেক পরিকল্পনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সন্তান, পরিবার ও সমাজকে এই ভ্রান্ত সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করা আমাদের ইমানি ও নাগরিক দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিহার করে ইসলামি জীবনাদর্শ গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন।
জুমার মিম্বর থেকে গ্রন্থনা: সাব্বির জাদিদ

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯ মার্চ ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৯ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১১ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯ মার্চ ২০২৫
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১১ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১৩ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯ মার্চ ২০২৫
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৯ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯ মার্চ ২০২৫
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৯ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১১ ঘণ্টা আগে