ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। তবে বিভিন্ন কারণে এই উপহার কলুষিত ও অবৈধ হয়ে যায়। এতে সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় না হয়ে বরং পারস্পরিক বিভেদ তৈরি হয়। যথা—
চাপে ফেলে উপহার গ্রহণ
উপহার স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার বিষয়। কাউকে চাপে ফেলে বা বাধ্য হওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে উপহার নেওয়া অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) উপহার আদান-প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত সন্তুষ্টির শর্ত দিয়েছেন। সুতরাং সামাজিকতার চাপে দেওয়া উপহার প্রকৃত উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে না। এমন সব অপকৌশল অবলম্বন করাও বৈধ হবে না, যার মাধ্যমে মানুষের অসন্তোষ সত্ত্বেও তার থেকে অর্থ বা সম্পদ আদায় করা হয় বা সে দিতে বাধ্য হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
উপহারের জন্য ধনীদের আমন্ত্রণ
আমন্ত্রণ জানানো এবং তা গ্রহণ করা ইসলামি শিষ্টাচারের অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) দাওয়াত কবুলকে মুসলমানের অধিকার আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি অধিকার, যার অন্যতম হলো, কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা।’ (বুখারি: ১২৪০) তবে ভালো উপহার পেতে কেবল বিত্তবানদের দাওয়াত দেওয়া নিন্দনীয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যে ওয়ালিমায় কেবল ধনীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় আর গরিবদের বর্জন করা হয়, সেই ওয়ালিমার খাবার নিকৃষ্ট খাবার।…’ (বুখারি: ৫১৭৭)
হারাম বস্তু উপহার দেওয়া
সরাসরি হারাম বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া ও নেওয়া—দুটোই হারাম। যেমন—মাদকদ্রব্য, কুকুর-শূকর ইত্যাদি হারাম প্রাণীর মাংস খাওয়া বা উপহার দেওয়া-নেওয়া হারাম। মহান আল্লাহ কেবল হালাল বস্তুই গ্রহণ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের আমি যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে হালালগুলো খাও।’ (সুরা বাকারা: ১৭২)
হারাম উপার্জন থেকে উপহার
হারাম পথে পাওয়া বা হারাম উপার্জন দিয়ে কেনা বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া-নেওয়া নিষেধ। যেমন—চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বা সুদ ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া জিনিস বা হারাম পথে উপার্জন করা টাকাপয়সা দিয়ে কেনা জিনিস। এসব উপহার দেওয়া এবং জানা থাকলে তা নেওয়া জায়েজ নয়। আবু বাকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না এবং হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ থেকে দান-সদকা কবুল করেন না।’ (ইবনে মাজাহ: ২৭৪)
তদবির করে উপহার গ্রহণ
সুপারিশ, সালিস বা তদবির করে উপহার নেওয়া জায়েজ নয়। পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়া বা বদলি করার তদবির করে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা হারাম। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করে, পরে সেই ব্যক্তি সুপারিশের জন্য তাকে কোনো উপহার দেয় এবং সুপারিশকারী তা গ্রহণও করে; তবে উপহার গ্রহণকারী যেন সুদের একটি বড় দরজার মধ্যে প্রবেশ করল।’ (আবু দাউদ: ৩৫৪১)
ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপহার গ্রহণ
ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা বা পদ-পদবি ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় অন্যায় ও জুলুম। আবু হুমাইদ আস-সাঈদি (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আস্দ গোত্রের ইবনে লাতবিয়া নামক এক ব্যক্তিকে জাকাত উসুলের জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করে কোথাও পাঠালেন। তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে বললেন, এগুলো আপনাদের অর্থাৎ রাষ্ট্রের আর এগুলো আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘সে তার বাবা-মায়ের ঘরে বসে থেকে দেখে না কেন, তাকে উপহার দেওয়া হয় কি না?’ (বুখারি: ২৪৯৭; মুসলিম: ৪৮৪৩)
উপহার যখন কষ্টের কারণ হয়
উপহার একটি সুন্নত ও আন্তরিকতার বিষয়। এর জন্য কোনো উপলক্ষ বা আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। উপহারের পরিমাণ বা মূল্যমানও বড় বিষয় নয়। যখন যাকে ইচ্ছা তাকে যেকোনো পরিমাণের উপহার দেওয়া যায়। কিন্তু সমাজে বিয়ে, আকিকা, ওয়ালিমার মতো অনুষ্ঠানে উপহার বাধ্যতামূলক মনে করা হয়। দাওয়াত প্রদান ও গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রে উপহার দিতে পারা ও না পারার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। অতিথিদের উপহার ও অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে অনেকেই মানসিকভাবে কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। কষ্ট নিয়ে উপহার আদান-প্রদান সঠিক নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা বলে দেওয়া ও ক্ষমা করা সেই সদকার চেয়ে উত্তম, যার পর কষ্ট দেওয়া হয়।…’ (সুরা বাকারা: ২৬৩)
বিনিয়োগ হিসেবে উপহার প্রদান
উপহার কোনো বিনিয়োগ বা ঋণ নয়। কাউকে কোনো উপলক্ষে উপহার দিয়ে এমন আশা করা উচিত নয় যে ওই ব্যক্তিও আমার বা আমাদের কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে এমন উপহার দেবেন। তাই উপহারকে বিনিয়োগ মনে করা জায়েজ হবে না। এর বিনিময়ে কোনো উপকারভোগের শর্তারোপ করা যাবে না। কারণ হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অন্যকে উপহার দাও। এটি মনের শত্রুতা ও বিদ্বেষ দূর করে দেয়। এক নারী প্রতিবেশী অন্য নারী প্রতিবেশীকে উপহার দিতে যেন অবহেলা না করে এবং কেউ যেন উপহারকে তুচ্ছ মনে না করে; যদিও তা ছাগলের এক টুকরা খুরও হয়।’ (তিরমিজি: ২১৩০)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। তবে বিভিন্ন কারণে এই উপহার কলুষিত ও অবৈধ হয়ে যায়। এতে সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় না হয়ে বরং পারস্পরিক বিভেদ তৈরি হয়। যথা—
চাপে ফেলে উপহার গ্রহণ
উপহার স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার বিষয়। কাউকে চাপে ফেলে বা বাধ্য হওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে উপহার নেওয়া অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) উপহার আদান-প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত সন্তুষ্টির শর্ত দিয়েছেন। সুতরাং সামাজিকতার চাপে দেওয়া উপহার প্রকৃত উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে না। এমন সব অপকৌশল অবলম্বন করাও বৈধ হবে না, যার মাধ্যমে মানুষের অসন্তোষ সত্ত্বেও তার থেকে অর্থ বা সম্পদ আদায় করা হয় বা সে দিতে বাধ্য হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
উপহারের জন্য ধনীদের আমন্ত্রণ
আমন্ত্রণ জানানো এবং তা গ্রহণ করা ইসলামি শিষ্টাচারের অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) দাওয়াত কবুলকে মুসলমানের অধিকার আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি অধিকার, যার অন্যতম হলো, কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা।’ (বুখারি: ১২৪০) তবে ভালো উপহার পেতে কেবল বিত্তবানদের দাওয়াত দেওয়া নিন্দনীয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যে ওয়ালিমায় কেবল ধনীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় আর গরিবদের বর্জন করা হয়, সেই ওয়ালিমার খাবার নিকৃষ্ট খাবার।…’ (বুখারি: ৫১৭৭)
হারাম বস্তু উপহার দেওয়া
সরাসরি হারাম বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া ও নেওয়া—দুটোই হারাম। যেমন—মাদকদ্রব্য, কুকুর-শূকর ইত্যাদি হারাম প্রাণীর মাংস খাওয়া বা উপহার দেওয়া-নেওয়া হারাম। মহান আল্লাহ কেবল হালাল বস্তুই গ্রহণ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের আমি যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে হালালগুলো খাও।’ (সুরা বাকারা: ১৭২)
হারাম উপার্জন থেকে উপহার
হারাম পথে পাওয়া বা হারাম উপার্জন দিয়ে কেনা বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া-নেওয়া নিষেধ। যেমন—চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বা সুদ ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া জিনিস বা হারাম পথে উপার্জন করা টাকাপয়সা দিয়ে কেনা জিনিস। এসব উপহার দেওয়া এবং জানা থাকলে তা নেওয়া জায়েজ নয়। আবু বাকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না এবং হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ থেকে দান-সদকা কবুল করেন না।’ (ইবনে মাজাহ: ২৭৪)
তদবির করে উপহার গ্রহণ
সুপারিশ, সালিস বা তদবির করে উপহার নেওয়া জায়েজ নয়। পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়া বা বদলি করার তদবির করে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা হারাম। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করে, পরে সেই ব্যক্তি সুপারিশের জন্য তাকে কোনো উপহার দেয় এবং সুপারিশকারী তা গ্রহণও করে; তবে উপহার গ্রহণকারী যেন সুদের একটি বড় দরজার মধ্যে প্রবেশ করল।’ (আবু দাউদ: ৩৫৪১)
ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপহার গ্রহণ
ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা বা পদ-পদবি ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় অন্যায় ও জুলুম। আবু হুমাইদ আস-সাঈদি (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আস্দ গোত্রের ইবনে লাতবিয়া নামক এক ব্যক্তিকে জাকাত উসুলের জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করে কোথাও পাঠালেন। তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে বললেন, এগুলো আপনাদের অর্থাৎ রাষ্ট্রের আর এগুলো আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘সে তার বাবা-মায়ের ঘরে বসে থেকে দেখে না কেন, তাকে উপহার দেওয়া হয় কি না?’ (বুখারি: ২৪৯৭; মুসলিম: ৪৮৪৩)
উপহার যখন কষ্টের কারণ হয়
উপহার একটি সুন্নত ও আন্তরিকতার বিষয়। এর জন্য কোনো উপলক্ষ বা আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। উপহারের পরিমাণ বা মূল্যমানও বড় বিষয় নয়। যখন যাকে ইচ্ছা তাকে যেকোনো পরিমাণের উপহার দেওয়া যায়। কিন্তু সমাজে বিয়ে, আকিকা, ওয়ালিমার মতো অনুষ্ঠানে উপহার বাধ্যতামূলক মনে করা হয়। দাওয়াত প্রদান ও গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রে উপহার দিতে পারা ও না পারার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। অতিথিদের উপহার ও অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে অনেকেই মানসিকভাবে কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। কষ্ট নিয়ে উপহার আদান-প্রদান সঠিক নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা বলে দেওয়া ও ক্ষমা করা সেই সদকার চেয়ে উত্তম, যার পর কষ্ট দেওয়া হয়।…’ (সুরা বাকারা: ২৬৩)
বিনিয়োগ হিসেবে উপহার প্রদান
উপহার কোনো বিনিয়োগ বা ঋণ নয়। কাউকে কোনো উপলক্ষে উপহার দিয়ে এমন আশা করা উচিত নয় যে ওই ব্যক্তিও আমার বা আমাদের কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে এমন উপহার দেবেন। তাই উপহারকে বিনিয়োগ মনে করা জায়েজ হবে না। এর বিনিময়ে কোনো উপকারভোগের শর্তারোপ করা যাবে না। কারণ হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অন্যকে উপহার দাও। এটি মনের শত্রুতা ও বিদ্বেষ দূর করে দেয়। এক নারী প্রতিবেশী অন্য নারী প্রতিবেশীকে উপহার দিতে যেন অবহেলা না করে এবং কেউ যেন উপহারকে তুচ্ছ মনে না করে; যদিও তা ছাগলের এক টুকরা খুরও হয়।’ (তিরমিজি: ২১৩০)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। তবে বিভিন্ন কারণে এই উপহার কলুষিত ও অবৈধ হয়ে যায়। এতে সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় না হয়ে বরং পারস্পরিক বিভেদ তৈরি হয়। যথা—
চাপে ফেলে উপহার গ্রহণ
উপহার স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার বিষয়। কাউকে চাপে ফেলে বা বাধ্য হওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে উপহার নেওয়া অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) উপহার আদান-প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত সন্তুষ্টির শর্ত দিয়েছেন। সুতরাং সামাজিকতার চাপে দেওয়া উপহার প্রকৃত উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে না। এমন সব অপকৌশল অবলম্বন করাও বৈধ হবে না, যার মাধ্যমে মানুষের অসন্তোষ সত্ত্বেও তার থেকে অর্থ বা সম্পদ আদায় করা হয় বা সে দিতে বাধ্য হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
উপহারের জন্য ধনীদের আমন্ত্রণ
আমন্ত্রণ জানানো এবং তা গ্রহণ করা ইসলামি শিষ্টাচারের অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) দাওয়াত কবুলকে মুসলমানের অধিকার আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি অধিকার, যার অন্যতম হলো, কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা।’ (বুখারি: ১২৪০) তবে ভালো উপহার পেতে কেবল বিত্তবানদের দাওয়াত দেওয়া নিন্দনীয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যে ওয়ালিমায় কেবল ধনীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় আর গরিবদের বর্জন করা হয়, সেই ওয়ালিমার খাবার নিকৃষ্ট খাবার।…’ (বুখারি: ৫১৭৭)
হারাম বস্তু উপহার দেওয়া
সরাসরি হারাম বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া ও নেওয়া—দুটোই হারাম। যেমন—মাদকদ্রব্য, কুকুর-শূকর ইত্যাদি হারাম প্রাণীর মাংস খাওয়া বা উপহার দেওয়া-নেওয়া হারাম। মহান আল্লাহ কেবল হালাল বস্তুই গ্রহণ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের আমি যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে হালালগুলো খাও।’ (সুরা বাকারা: ১৭২)
হারাম উপার্জন থেকে উপহার
হারাম পথে পাওয়া বা হারাম উপার্জন দিয়ে কেনা বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া-নেওয়া নিষেধ। যেমন—চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বা সুদ ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া জিনিস বা হারাম পথে উপার্জন করা টাকাপয়সা দিয়ে কেনা জিনিস। এসব উপহার দেওয়া এবং জানা থাকলে তা নেওয়া জায়েজ নয়। আবু বাকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না এবং হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ থেকে দান-সদকা কবুল করেন না।’ (ইবনে মাজাহ: ২৭৪)
তদবির করে উপহার গ্রহণ
সুপারিশ, সালিস বা তদবির করে উপহার নেওয়া জায়েজ নয়। পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়া বা বদলি করার তদবির করে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা হারাম। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করে, পরে সেই ব্যক্তি সুপারিশের জন্য তাকে কোনো উপহার দেয় এবং সুপারিশকারী তা গ্রহণও করে; তবে উপহার গ্রহণকারী যেন সুদের একটি বড় দরজার মধ্যে প্রবেশ করল।’ (আবু দাউদ: ৩৫৪১)
ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপহার গ্রহণ
ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা বা পদ-পদবি ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় অন্যায় ও জুলুম। আবু হুমাইদ আস-সাঈদি (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আস্দ গোত্রের ইবনে লাতবিয়া নামক এক ব্যক্তিকে জাকাত উসুলের জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করে কোথাও পাঠালেন। তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে বললেন, এগুলো আপনাদের অর্থাৎ রাষ্ট্রের আর এগুলো আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘সে তার বাবা-মায়ের ঘরে বসে থেকে দেখে না কেন, তাকে উপহার দেওয়া হয় কি না?’ (বুখারি: ২৪৯৭; মুসলিম: ৪৮৪৩)
উপহার যখন কষ্টের কারণ হয়
উপহার একটি সুন্নত ও আন্তরিকতার বিষয়। এর জন্য কোনো উপলক্ষ বা আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। উপহারের পরিমাণ বা মূল্যমানও বড় বিষয় নয়। যখন যাকে ইচ্ছা তাকে যেকোনো পরিমাণের উপহার দেওয়া যায়। কিন্তু সমাজে বিয়ে, আকিকা, ওয়ালিমার মতো অনুষ্ঠানে উপহার বাধ্যতামূলক মনে করা হয়। দাওয়াত প্রদান ও গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রে উপহার দিতে পারা ও না পারার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। অতিথিদের উপহার ও অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে অনেকেই মানসিকভাবে কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। কষ্ট নিয়ে উপহার আদান-প্রদান সঠিক নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা বলে দেওয়া ও ক্ষমা করা সেই সদকার চেয়ে উত্তম, যার পর কষ্ট দেওয়া হয়।…’ (সুরা বাকারা: ২৬৩)
বিনিয়োগ হিসেবে উপহার প্রদান
উপহার কোনো বিনিয়োগ বা ঋণ নয়। কাউকে কোনো উপলক্ষে উপহার দিয়ে এমন আশা করা উচিত নয় যে ওই ব্যক্তিও আমার বা আমাদের কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে এমন উপহার দেবেন। তাই উপহারকে বিনিয়োগ মনে করা জায়েজ হবে না। এর বিনিময়ে কোনো উপকারভোগের শর্তারোপ করা যাবে না। কারণ হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অন্যকে উপহার দাও। এটি মনের শত্রুতা ও বিদ্বেষ দূর করে দেয়। এক নারী প্রতিবেশী অন্য নারী প্রতিবেশীকে উপহার দিতে যেন অবহেলা না করে এবং কেউ যেন উপহারকে তুচ্ছ মনে না করে; যদিও তা ছাগলের এক টুকরা খুরও হয়।’ (তিরমিজি: ২১৩০)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। তবে বিভিন্ন কারণে এই উপহার কলুষিত ও অবৈধ হয়ে যায়। এতে সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় না হয়ে বরং পারস্পরিক বিভেদ তৈরি হয়। যথা—
চাপে ফেলে উপহার গ্রহণ
উপহার স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার বিষয়। কাউকে চাপে ফেলে বা বাধ্য হওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে উপহার নেওয়া অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) উপহার আদান-প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত সন্তুষ্টির শর্ত দিয়েছেন। সুতরাং সামাজিকতার চাপে দেওয়া উপহার প্রকৃত উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে না। এমন সব অপকৌশল অবলম্বন করাও বৈধ হবে না, যার মাধ্যমে মানুষের অসন্তোষ সত্ত্বেও তার থেকে অর্থ বা সম্পদ আদায় করা হয় বা সে দিতে বাধ্য হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
উপহারের জন্য ধনীদের আমন্ত্রণ
আমন্ত্রণ জানানো এবং তা গ্রহণ করা ইসলামি শিষ্টাচারের অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) দাওয়াত কবুলকে মুসলমানের অধিকার আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি অধিকার, যার অন্যতম হলো, কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা।’ (বুখারি: ১২৪০) তবে ভালো উপহার পেতে কেবল বিত্তবানদের দাওয়াত দেওয়া নিন্দনীয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যে ওয়ালিমায় কেবল ধনীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় আর গরিবদের বর্জন করা হয়, সেই ওয়ালিমার খাবার নিকৃষ্ট খাবার।…’ (বুখারি: ৫১৭৭)
হারাম বস্তু উপহার দেওয়া
সরাসরি হারাম বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া ও নেওয়া—দুটোই হারাম। যেমন—মাদকদ্রব্য, কুকুর-শূকর ইত্যাদি হারাম প্রাণীর মাংস খাওয়া বা উপহার দেওয়া-নেওয়া হারাম। মহান আল্লাহ কেবল হালাল বস্তুই গ্রহণ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের আমি যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে হালালগুলো খাও।’ (সুরা বাকারা: ১৭২)
হারাম উপার্জন থেকে উপহার
হারাম পথে পাওয়া বা হারাম উপার্জন দিয়ে কেনা বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া-নেওয়া নিষেধ। যেমন—চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বা সুদ ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া জিনিস বা হারাম পথে উপার্জন করা টাকাপয়সা দিয়ে কেনা জিনিস। এসব উপহার দেওয়া এবং জানা থাকলে তা নেওয়া জায়েজ নয়। আবু বাকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না এবং হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ থেকে দান-সদকা কবুল করেন না।’ (ইবনে মাজাহ: ২৭৪)
তদবির করে উপহার গ্রহণ
সুপারিশ, সালিস বা তদবির করে উপহার নেওয়া জায়েজ নয়। পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়া বা বদলি করার তদবির করে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা হারাম। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করে, পরে সেই ব্যক্তি সুপারিশের জন্য তাকে কোনো উপহার দেয় এবং সুপারিশকারী তা গ্রহণও করে; তবে উপহার গ্রহণকারী যেন সুদের একটি বড় দরজার মধ্যে প্রবেশ করল।’ (আবু দাউদ: ৩৫৪১)
ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপহার গ্রহণ
ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা বা পদ-পদবি ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় অন্যায় ও জুলুম। আবু হুমাইদ আস-সাঈদি (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আস্দ গোত্রের ইবনে লাতবিয়া নামক এক ব্যক্তিকে জাকাত উসুলের জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করে কোথাও পাঠালেন। তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে বললেন, এগুলো আপনাদের অর্থাৎ রাষ্ট্রের আর এগুলো আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘সে তার বাবা-মায়ের ঘরে বসে থেকে দেখে না কেন, তাকে উপহার দেওয়া হয় কি না?’ (বুখারি: ২৪৯৭; মুসলিম: ৪৮৪৩)
উপহার যখন কষ্টের কারণ হয়
উপহার একটি সুন্নত ও আন্তরিকতার বিষয়। এর জন্য কোনো উপলক্ষ বা আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। উপহারের পরিমাণ বা মূল্যমানও বড় বিষয় নয়। যখন যাকে ইচ্ছা তাকে যেকোনো পরিমাণের উপহার দেওয়া যায়। কিন্তু সমাজে বিয়ে, আকিকা, ওয়ালিমার মতো অনুষ্ঠানে উপহার বাধ্যতামূলক মনে করা হয়। দাওয়াত প্রদান ও গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রে উপহার দিতে পারা ও না পারার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। অতিথিদের উপহার ও অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে অনেকেই মানসিকভাবে কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। কষ্ট নিয়ে উপহার আদান-প্রদান সঠিক নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা বলে দেওয়া ও ক্ষমা করা সেই সদকার চেয়ে উত্তম, যার পর কষ্ট দেওয়া হয়।…’ (সুরা বাকারা: ২৬৩)
বিনিয়োগ হিসেবে উপহার প্রদান
উপহার কোনো বিনিয়োগ বা ঋণ নয়। কাউকে কোনো উপলক্ষে উপহার দিয়ে এমন আশা করা উচিত নয় যে ওই ব্যক্তিও আমার বা আমাদের কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে এমন উপহার দেবেন। তাই উপহারকে বিনিয়োগ মনে করা জায়েজ হবে না। এর বিনিময়ে কোনো উপকারভোগের শর্তারোপ করা যাবে না। কারণ হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অন্যকে উপহার দাও। এটি মনের শত্রুতা ও বিদ্বেষ দূর করে দেয়। এক নারী প্রতিবেশী অন্য নারী প্রতিবেশীকে উপহার দিতে যেন অবহেলা না করে এবং কেউ যেন উপহারকে তুচ্ছ মনে না করে; যদিও তা ছাগলের এক টুকরা খুরও হয়।’ (তিরমিজি: ২১৩০)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৪২ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ।
২১ জুলাই ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ।
২১ জুলাই ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৪২ মিনিট আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ।
২১ জুলাই ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৪২ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ।
২১ জুলাই ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৪২ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৬ ঘণ্টা আগে