আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
ইমাম তিরমিজির পূর্ণ নাম মুহাম্মদ ইবনে ইসা ইবনে ইয়াজিদ ইবনে সাওরা। উপনাম আবু ইসা। কারও মতে, তিনি ছিলেন জন্মান্ধ। কিন্তু এ দাবি সঠিক নয়। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে অতিরিক্ত কান্নার কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বর্তমান উজবেকিস্তানের আমু দরিয়ার নিকটবর্তী শহর তিরমিজে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক হাফেজ জাহাবির মতে, তিনি ২১০ হিজরির (৮২৪ খ্রি.) আগে জন্মগ্রহণ করেন।
ইমাম তিরমিজি শৈশব থেকেই হাদিস ও ফিকহ চর্চায় মনোযোগী হন। উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সমকালীনদের ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হন। জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে খোরাসান, ইরাক ও হারামাইনে ভ্রমণ করেন। সেখানকার নামকরা শিক্ষকদের কাছে হাদিসের পাঠ গ্রহণ করেন। তবে সিরিয়া ও মিসরে যেতে পারেননি। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহ, আহমদ ইবনে মানি, মাহমুদ ইবনে গাইলান, আমর ইবনে আলি আল ফাল্লাস, হান্নাদ ইবনে সারি প্রমুখ। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন জগদ্বিখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম বুখারির কাছ থেকে। তাঁর সংকলিত ‘জামে তিরমিজি’তে ইমাম বুখারির বহু বক্তব্য উল্লেখ করেছেন।
ইমাম তিরমিজি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। হাদিসের বিশাল সংকলন জামে তিরমিজি ছাড়াও তিনি লিখেছেন: কিতাবুল ইলাল ও শামায়েলে তিরমিজি। এ ছাড়া আরও কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি জামে তিরমিজি।
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ জাহাবি এ গ্রন্থটিকে মূল্যায়ন করে বলেন, ‘উপকারী জ্ঞান ও বিপুল তথ্যসমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ। এতে মৌলিক সব বিষয় স্থান পেয়েছে। ইসলামের একটি অন্যতম মৌলিক বই এটি। তিনি যদি কিছু অগ্রহণযোগ্য হাদিস উল্লেখ না করতেন, তাহলে আরও ভালো হতো। তবে সেগুলো সংখ্যায় খুব সামান্য।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১৩ / ২৭৪)
সুনানে তিরমিজিতে মোট ৩ হাজার ৯৫৬টি হাদিস সংকলিত হয়েছে। এই হাদিসগুলো বিভিন্ন বিষয়বস্তু যেমন ইমান, ইবাদত, আচার-ব্যবহার, সামাজিক সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। সুনানে তিরমিজির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে—
হাদিসের শ্রেণিবিভাগ: ইমাম তিরমিজি (রহ.) হাদিসগুলোকে ফিকহি অধ্যায় অনুযায়ী বিন্যস্ত করেছেন, যা পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য।
হাদিসের মান নির্ণয়: প্রতিটি হাদিসের সনদ (বর্ণনাসূত্র) বিশ্লেষণ করে হাদিসের মান (সহিহ, হাসান, দুর্বল) উল্লেখ করেছেন। এটি তাঁর কিতাবের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
ফিকহি মতামত: তিনি হাদিসের আলোকে বিভিন্ন ফিকহি মাজহাবের মতামত তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের জন্য একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ প্রদান করে।
হাদিসের ব্যাখ্যা: কিছু হাদিসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণও তিনি সংযুক্ত করেছেন, যা হাদিসের বোধগম্যতা বাড়ায়।
হাসান হাদিসের সংকলন: ইমাম তিরমিজি (রহ.) ‘হাসান’ হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর সংকলনে প্রচুর হাসান হাদিস রয়েছে, যা অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে কম দেখা যায়।
ইমাম তিরমিজি জ্ঞানে-গুণে সমৃদ্ধ একটি জীবন কাটানোর পর ২৭৯ হিজরির (৮৯২ খ্রি.) রজব মাসের ১৩ তারিখে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মাতৃভূমি তিরমিজেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
ইমাম তিরমিজির পূর্ণ নাম মুহাম্মদ ইবনে ইসা ইবনে ইয়াজিদ ইবনে সাওরা। উপনাম আবু ইসা। কারও মতে, তিনি ছিলেন জন্মান্ধ। কিন্তু এ দাবি সঠিক নয়। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে অতিরিক্ত কান্নার কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বর্তমান উজবেকিস্তানের আমু দরিয়ার নিকটবর্তী শহর তিরমিজে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক হাফেজ জাহাবির মতে, তিনি ২১০ হিজরির (৮২৪ খ্রি.) আগে জন্মগ্রহণ করেন।
ইমাম তিরমিজি শৈশব থেকেই হাদিস ও ফিকহ চর্চায় মনোযোগী হন। উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সমকালীনদের ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হন। জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে খোরাসান, ইরাক ও হারামাইনে ভ্রমণ করেন। সেখানকার নামকরা শিক্ষকদের কাছে হাদিসের পাঠ গ্রহণ করেন। তবে সিরিয়া ও মিসরে যেতে পারেননি। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহ, আহমদ ইবনে মানি, মাহমুদ ইবনে গাইলান, আমর ইবনে আলি আল ফাল্লাস, হান্নাদ ইবনে সারি প্রমুখ। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন জগদ্বিখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম বুখারির কাছ থেকে। তাঁর সংকলিত ‘জামে তিরমিজি’তে ইমাম বুখারির বহু বক্তব্য উল্লেখ করেছেন।
ইমাম তিরমিজি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। হাদিসের বিশাল সংকলন জামে তিরমিজি ছাড়াও তিনি লিখেছেন: কিতাবুল ইলাল ও শামায়েলে তিরমিজি। এ ছাড়া আরও কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি জামে তিরমিজি।
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ জাহাবি এ গ্রন্থটিকে মূল্যায়ন করে বলেন, ‘উপকারী জ্ঞান ও বিপুল তথ্যসমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ। এতে মৌলিক সব বিষয় স্থান পেয়েছে। ইসলামের একটি অন্যতম মৌলিক বই এটি। তিনি যদি কিছু অগ্রহণযোগ্য হাদিস উল্লেখ না করতেন, তাহলে আরও ভালো হতো। তবে সেগুলো সংখ্যায় খুব সামান্য।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১৩ / ২৭৪)
সুনানে তিরমিজিতে মোট ৩ হাজার ৯৫৬টি হাদিস সংকলিত হয়েছে। এই হাদিসগুলো বিভিন্ন বিষয়বস্তু যেমন ইমান, ইবাদত, আচার-ব্যবহার, সামাজিক সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। সুনানে তিরমিজির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে—
হাদিসের শ্রেণিবিভাগ: ইমাম তিরমিজি (রহ.) হাদিসগুলোকে ফিকহি অধ্যায় অনুযায়ী বিন্যস্ত করেছেন, যা পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য।
হাদিসের মান নির্ণয়: প্রতিটি হাদিসের সনদ (বর্ণনাসূত্র) বিশ্লেষণ করে হাদিসের মান (সহিহ, হাসান, দুর্বল) উল্লেখ করেছেন। এটি তাঁর কিতাবের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
ফিকহি মতামত: তিনি হাদিসের আলোকে বিভিন্ন ফিকহি মাজহাবের মতামত তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের জন্য একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ প্রদান করে।
হাদিসের ব্যাখ্যা: কিছু হাদিসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণও তিনি সংযুক্ত করেছেন, যা হাদিসের বোধগম্যতা বাড়ায়।
হাসান হাদিসের সংকলন: ইমাম তিরমিজি (রহ.) ‘হাসান’ হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর সংকলনে প্রচুর হাসান হাদিস রয়েছে, যা অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে কম দেখা যায়।
ইমাম তিরমিজি জ্ঞানে-গুণে সমৃদ্ধ একটি জীবন কাটানোর পর ২৭৯ হিজরির (৮৯২ খ্রি.) রজব মাসের ১৩ তারিখে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মাতৃভূমি তিরমিজেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
ইমাম তিরমিজির পূর্ণ নাম মুহাম্মদ ইবনে ইসা ইবনে ইয়াজিদ ইবনে সাওরা। উপনাম আবু ইসা। কারও মতে, তিনি ছিলেন জন্মান্ধ। কিন্তু এ দাবি সঠিক নয়। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে অতিরিক্ত কান্নার কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বর্তমান উজবেকিস্তানের আমু দরিয়ার নিকটবর্তী শহর তিরমিজে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক হাফেজ জাহাবির মতে, তিনি ২১০ হিজরির (৮২৪ খ্রি.) আগে জন্মগ্রহণ করেন।
ইমাম তিরমিজি শৈশব থেকেই হাদিস ও ফিকহ চর্চায় মনোযোগী হন। উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সমকালীনদের ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হন। জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে খোরাসান, ইরাক ও হারামাইনে ভ্রমণ করেন। সেখানকার নামকরা শিক্ষকদের কাছে হাদিসের পাঠ গ্রহণ করেন। তবে সিরিয়া ও মিসরে যেতে পারেননি। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহ, আহমদ ইবনে মানি, মাহমুদ ইবনে গাইলান, আমর ইবনে আলি আল ফাল্লাস, হান্নাদ ইবনে সারি প্রমুখ। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন জগদ্বিখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম বুখারির কাছ থেকে। তাঁর সংকলিত ‘জামে তিরমিজি’তে ইমাম বুখারির বহু বক্তব্য উল্লেখ করেছেন।
ইমাম তিরমিজি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। হাদিসের বিশাল সংকলন জামে তিরমিজি ছাড়াও তিনি লিখেছেন: কিতাবুল ইলাল ও শামায়েলে তিরমিজি। এ ছাড়া আরও কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি জামে তিরমিজি।
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ জাহাবি এ গ্রন্থটিকে মূল্যায়ন করে বলেন, ‘উপকারী জ্ঞান ও বিপুল তথ্যসমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ। এতে মৌলিক সব বিষয় স্থান পেয়েছে। ইসলামের একটি অন্যতম মৌলিক বই এটি। তিনি যদি কিছু অগ্রহণযোগ্য হাদিস উল্লেখ না করতেন, তাহলে আরও ভালো হতো। তবে সেগুলো সংখ্যায় খুব সামান্য।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১৩ / ২৭৪)
সুনানে তিরমিজিতে মোট ৩ হাজার ৯৫৬টি হাদিস সংকলিত হয়েছে। এই হাদিসগুলো বিভিন্ন বিষয়বস্তু যেমন ইমান, ইবাদত, আচার-ব্যবহার, সামাজিক সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। সুনানে তিরমিজির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে—
হাদিসের শ্রেণিবিভাগ: ইমাম তিরমিজি (রহ.) হাদিসগুলোকে ফিকহি অধ্যায় অনুযায়ী বিন্যস্ত করেছেন, যা পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য।
হাদিসের মান নির্ণয়: প্রতিটি হাদিসের সনদ (বর্ণনাসূত্র) বিশ্লেষণ করে হাদিসের মান (সহিহ, হাসান, দুর্বল) উল্লেখ করেছেন। এটি তাঁর কিতাবের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
ফিকহি মতামত: তিনি হাদিসের আলোকে বিভিন্ন ফিকহি মাজহাবের মতামত তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের জন্য একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ প্রদান করে।
হাদিসের ব্যাখ্যা: কিছু হাদিসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণও তিনি সংযুক্ত করেছেন, যা হাদিসের বোধগম্যতা বাড়ায়।
হাসান হাদিসের সংকলন: ইমাম তিরমিজি (রহ.) ‘হাসান’ হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর সংকলনে প্রচুর হাসান হাদিস রয়েছে, যা অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে কম দেখা যায়।
ইমাম তিরমিজি জ্ঞানে-গুণে সমৃদ্ধ একটি জীবন কাটানোর পর ২৭৯ হিজরির (৮৯২ খ্রি.) রজব মাসের ১৩ তারিখে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মাতৃভূমি তিরমিজেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
ইমাম তিরমিজির পূর্ণ নাম মুহাম্মদ ইবনে ইসা ইবনে ইয়াজিদ ইবনে সাওরা। উপনাম আবু ইসা। কারও মতে, তিনি ছিলেন জন্মান্ধ। কিন্তু এ দাবি সঠিক নয়। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে অতিরিক্ত কান্নার কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বর্তমান উজবেকিস্তানের আমু দরিয়ার নিকটবর্তী শহর তিরমিজে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক হাফেজ জাহাবির মতে, তিনি ২১০ হিজরির (৮২৪ খ্রি.) আগে জন্মগ্রহণ করেন।
ইমাম তিরমিজি শৈশব থেকেই হাদিস ও ফিকহ চর্চায় মনোযোগী হন। উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সমকালীনদের ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হন। জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে খোরাসান, ইরাক ও হারামাইনে ভ্রমণ করেন। সেখানকার নামকরা শিক্ষকদের কাছে হাদিসের পাঠ গ্রহণ করেন। তবে সিরিয়া ও মিসরে যেতে পারেননি। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহ, আহমদ ইবনে মানি, মাহমুদ ইবনে গাইলান, আমর ইবনে আলি আল ফাল্লাস, হান্নাদ ইবনে সারি প্রমুখ। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন জগদ্বিখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম বুখারির কাছ থেকে। তাঁর সংকলিত ‘জামে তিরমিজি’তে ইমাম বুখারির বহু বক্তব্য উল্লেখ করেছেন।
ইমাম তিরমিজি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। হাদিসের বিশাল সংকলন জামে তিরমিজি ছাড়াও তিনি লিখেছেন: কিতাবুল ইলাল ও শামায়েলে তিরমিজি। এ ছাড়া আরও কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি জামে তিরমিজি।
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ জাহাবি এ গ্রন্থটিকে মূল্যায়ন করে বলেন, ‘উপকারী জ্ঞান ও বিপুল তথ্যসমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ। এতে মৌলিক সব বিষয় স্থান পেয়েছে। ইসলামের একটি অন্যতম মৌলিক বই এটি। তিনি যদি কিছু অগ্রহণযোগ্য হাদিস উল্লেখ না করতেন, তাহলে আরও ভালো হতো। তবে সেগুলো সংখ্যায় খুব সামান্য।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১৩ / ২৭৪)
সুনানে তিরমিজিতে মোট ৩ হাজার ৯৫৬টি হাদিস সংকলিত হয়েছে। এই হাদিসগুলো বিভিন্ন বিষয়বস্তু যেমন ইমান, ইবাদত, আচার-ব্যবহার, সামাজিক সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। সুনানে তিরমিজির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে—
হাদিসের শ্রেণিবিভাগ: ইমাম তিরমিজি (রহ.) হাদিসগুলোকে ফিকহি অধ্যায় অনুযায়ী বিন্যস্ত করেছেন, যা পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য।
হাদিসের মান নির্ণয়: প্রতিটি হাদিসের সনদ (বর্ণনাসূত্র) বিশ্লেষণ করে হাদিসের মান (সহিহ, হাসান, দুর্বল) উল্লেখ করেছেন। এটি তাঁর কিতাবের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
ফিকহি মতামত: তিনি হাদিসের আলোকে বিভিন্ন ফিকহি মাজহাবের মতামত তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের জন্য একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ প্রদান করে।
হাদিসের ব্যাখ্যা: কিছু হাদিসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণও তিনি সংযুক্ত করেছেন, যা হাদিসের বোধগম্যতা বাড়ায়।
হাসান হাদিসের সংকলন: ইমাম তিরমিজি (রহ.) ‘হাসান’ হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর সংকলনে প্রচুর হাসান হাদিস রয়েছে, যা অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে কম দেখা যায়।
ইমাম তিরমিজি জ্ঞানে-গুণে সমৃদ্ধ একটি জীবন কাটানোর পর ২৭৯ হিজরির (৮৯২ খ্রি.) রজব মাসের ১৩ তারিখে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মাতৃভূমি তিরমিজেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
২৫ জুলাই ২০২৫
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সাভারদিয়া ঈদগাহ মাঠে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোহরদী উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সজিব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের মধ্যে নামাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কারণে এটি এলাকায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানায়, এমন আয়োজন তাদের নিয়মিতভাবে জামাতে নামাজ আদায়ে আরও বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সাভারদিয়া ঈদগাহ মাঠে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোহরদী উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সজিব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের মধ্যে নামাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কারণে এটি এলাকায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানায়, এমন আয়োজন তাদের নিয়মিতভাবে জামাতে নামাজ আদায়ে আরও বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
২৫ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

দোয়া ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। মুমিনের জীবনে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মুমিন তার সকল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই হাত তোলেন।
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ওহি মুখস্থ করতেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কষ্ট হতো। সেই সময় আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি নাজিল করেন—‘রাব্বি জিদনি ইলমা।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’ (সুরা তোহা: ১১৪)
এই দোয়াটি নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) এটি বেশি বেশি পাঠ করা শুরু করেন। এর ফলে তিনি ওহি আয়ত্ত করে প্রশান্তি লাভ করেন। এই ছোট্ট দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া, গুনাহ বর্জন, জিকির এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

দোয়া ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। মুমিনের জীবনে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মুমিন তার সকল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই হাত তোলেন।
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ওহি মুখস্থ করতেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কষ্ট হতো। সেই সময় আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি নাজিল করেন—‘রাব্বি জিদনি ইলমা।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’ (সুরা তোহা: ১১৪)
এই দোয়াটি নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) এটি বেশি বেশি পাঠ করা শুরু করেন। এর ফলে তিনি ওহি আয়ত্ত করে প্রশান্তি লাভ করেন। এই ছোট্ট দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া, গুনাহ বর্জন, জিকির এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
২৫ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের ইতিহাসে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক, প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফেজ্জী হুজুর দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাঁর অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।’
এ সময় হাফেজ্জী হুজুরের নাতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক, প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফেজ্জী হুজুর দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাঁর অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।’
এ সময় হাফেজ্জী হুজুরের নাতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মনীষী তাঁদের অবদান ও কীর্তির কারণে প্রোজ্জ্বল হয়ে আছেন এবং আজ পর্যন্ত মুসলিম জাতি তাঁদের কীর্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম আবু ইসা তিরমিজি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’ হাদিসশাস্ত্র ও ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম রেফারেন্স গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
২৫ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
১৭ ঘণ্টা আগে