ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

আমার ১২ বছরের ছেলের কী রোজা রাখতে হবে, তাকে কীভাবে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করব?
কামরুন নাহার, ঢাকা
ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু দাউদ) তা সত্ত্বেও শিশুদের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত করা উচিত, যেন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং রোজা ফরজ হওয়ার পর একটি রোজাও ছুটে না যায়। সাহাবি ও তাবেয়িগণ এমনটাই করতেন।
সহিহ বুখারিতে এসেছে, হজরত ওমর (রা.) রমজান মাসে দিনের বেলা এক মাতাল ব্যক্তিকে দেখে বললেন, ‘আফসোস তোমার জন্য, তুমি মাতাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ, অথচ এখন আমাদের শিশুরাও রোজা পালন করছে।’ এ কথা বলে তিনি তাকে প্রহার করলেন।
রুবাইয়ি বিনতে মুআওয়িজ (রা.) বলেন, আশুরার দিন সকালে রাসুল (সা.) আনসারি সাহাবিদের গ্রামে সংবাদ পাঠালেন, যারা ইতিমধ্যে পানাহার করে ফেলেছে, তারা দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে, আর যারা এখনো পানাহার করেনি, তারা রোজা রাখবে। রুবাইয়ি (রা.) বলেন, এর পর থেকে আশুরার দিন আমরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুরাও রোজা রাখত। শিশুদের জন্য আমরা রং মাখা পশম দিয়ে খেলনা তৈরি করে রাখতাম। কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তার হাতে খেলনা তুলে দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় পর্যন্ত তাদের ভুলিয়ে রাখতাম। (বুখারি)
হিশাম ইবনে উরওয়া বর্ণনা করেন, তাঁর বাবা উরওয়া (রহ.) নিজ সন্তানসন্ততিদের মোটামুটি রোজা রাখার মতো সামর্থ্য হলেই রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। (কিতাবুল ইয়াল)
ঠিক কত বছর থেকে শিশুদের রোজা রাখায় অভ্যস্ত করতে হবে, এ নিয়ে আলেমগণের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ সাত বছর, কেউ দশ বছরের কথা বলেছেন। তবে ইবনে সিরিন, জুহরি, আতা, হাসান, কাতাদাহ (রহ.)-সহ অনেক ফকিহ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক গঠন ও শক্তিমত্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মোটকথা, শিশুর যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা এবং রোজা রাখার শক্তি-সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন থেকে তাকে রোজায় অভ্যস্ত করে তোলা বাঞ্ছনীয়। সন্তানের কষ্ট হবে, ওজন কমে যাবে, পড়াশোনার ক্ষতি হবে ইত্যাদি
সাধারণ অজুহাতে রোজা রাখতে সক্ষম শিশুদের রোজা রাখতে বাধা দেওয়া বা নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়। (আল মুগনি, আল মাজমু, আল-ফাতাওয়া) তবে শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। এর জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদশিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

আমার ১২ বছরের ছেলের কী রোজা রাখতে হবে, তাকে কীভাবে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করব?
কামরুন নাহার, ঢাকা
ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু দাউদ) তা সত্ত্বেও শিশুদের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত করা উচিত, যেন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং রোজা ফরজ হওয়ার পর একটি রোজাও ছুটে না যায়। সাহাবি ও তাবেয়িগণ এমনটাই করতেন।
সহিহ বুখারিতে এসেছে, হজরত ওমর (রা.) রমজান মাসে দিনের বেলা এক মাতাল ব্যক্তিকে দেখে বললেন, ‘আফসোস তোমার জন্য, তুমি মাতাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ, অথচ এখন আমাদের শিশুরাও রোজা পালন করছে।’ এ কথা বলে তিনি তাকে প্রহার করলেন।
রুবাইয়ি বিনতে মুআওয়িজ (রা.) বলেন, আশুরার দিন সকালে রাসুল (সা.) আনসারি সাহাবিদের গ্রামে সংবাদ পাঠালেন, যারা ইতিমধ্যে পানাহার করে ফেলেছে, তারা দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে, আর যারা এখনো পানাহার করেনি, তারা রোজা রাখবে। রুবাইয়ি (রা.) বলেন, এর পর থেকে আশুরার দিন আমরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুরাও রোজা রাখত। শিশুদের জন্য আমরা রং মাখা পশম দিয়ে খেলনা তৈরি করে রাখতাম। কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তার হাতে খেলনা তুলে দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় পর্যন্ত তাদের ভুলিয়ে রাখতাম। (বুখারি)
হিশাম ইবনে উরওয়া বর্ণনা করেন, তাঁর বাবা উরওয়া (রহ.) নিজ সন্তানসন্ততিদের মোটামুটি রোজা রাখার মতো সামর্থ্য হলেই রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। (কিতাবুল ইয়াল)
ঠিক কত বছর থেকে শিশুদের রোজা রাখায় অভ্যস্ত করতে হবে, এ নিয়ে আলেমগণের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ সাত বছর, কেউ দশ বছরের কথা বলেছেন। তবে ইবনে সিরিন, জুহরি, আতা, হাসান, কাতাদাহ (রহ.)-সহ অনেক ফকিহ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক গঠন ও শক্তিমত্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মোটকথা, শিশুর যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা এবং রোজা রাখার শক্তি-সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন থেকে তাকে রোজায় অভ্যস্ত করে তোলা বাঞ্ছনীয়। সন্তানের কষ্ট হবে, ওজন কমে যাবে, পড়াশোনার ক্ষতি হবে ইত্যাদি
সাধারণ অজুহাতে রোজা রাখতে সক্ষম শিশুদের রোজা রাখতে বাধা দেওয়া বা নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়। (আল মুগনি, আল মাজমু, আল-ফাতাওয়া) তবে শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। এর জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদশিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ১৩ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৬ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ১৩ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৬ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’
১৭ মার্চ ২০২৩
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’
১৭ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’
১৭ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’
১৭ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে