ডা. আবু ইলিয়াস প্রধান

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক দিক, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানির ঈদ উদ্যাপনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের নামাজ: আধ্যাত্মিক সংহতির সূচনা
ঈদের দিনটির সূচনা হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। এরপর মুসল্লিরা ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ একদিকে যেমন ধর্মীয় দায়িত্ব, অন্যদিকে সামাজিক মিলনের মাধ্যম। অনেকে পুরো বছরে ঈদের দিনেই পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ঈদের নামাজের মূল বার্তাই হলো—ঐক্য, সংহতি, ও ধৈর্য।
ঈদের নামাজের পরে ইমামের খুতবা শ্রবণ একটি সুন্নত। অনেকেই খুতবার মধ্যে কোরবানির তাৎপর্য, সমাজে দরিদ্রের অধিকার, এবং নিজেকে কীভাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা শোনেন। আধুনিক দিনে এই খুতবা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কোরবানি: আত্মত্যাগ থেকে সহানুভূতির যাত্রা
হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেটি ছিল নিছক পশু জবাই নয়—বরং অন্তরের পরীক্ষা। এই কোরবানির মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়—নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিসটিও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানি এখন অনেক ক্ষেত্রেই আড়ম্বর ও প্রতিযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠছে। অনেকে বড় গরু, দামি পশু, অথবা বিরল জাতের পশু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। অথচ প্রকৃত কোরবানির শিক্ষা হলো নম্রতা, প্রচার বিমুখতা ও আত্মত্যাগ।
পশু নির্বাচন ও প্রস্তুতি: সচেতনতা ও করুণার অনুশীলন
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির পশু হতে হবে সুস্থ, সুন্দর এবং নির্দিষ্ট বয়স সম্পন্ন। আজকাল অনেকেই পশুর প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছেন—সঠিকভাবে খাবার দিচ্ছেন, পরিষ্কার রাখছেন এবং পশুকে ভয় না পাইয়ে আদর করছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন। শিশুদের কাছেও এটি একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়—তারা দেখছে কীভাবে পশুর সঙ্গে করুণা ও সহানুভূতির আচরণ করা উচিত।
তবে এখনো শহরের অনেক জায়গায় পশু হাটে অব্যবস্থা, পশুর ওপর অমানবিক আচরণ বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব জায়গায় প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
কোরবানি ও স্বাস্থ্যবিধি: যত্নে থাকুক পরিবার
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা। পশু জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার না করা, বর্জ্য সঠিক স্থানে না ফেলা, কিংবা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অনেকে এখন প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহার না করে পেপার প্যাকিং করছেন, কিংবা কাপড়ে মুড়ে দিচ্ছেন মাংস। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকাসহ অনেক শহরে স্থানীয় প্রশাসন কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আমাদের উচিত নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলা।
মাংস বণ্টন: আত্মীয়তা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য, এবং এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মটিও আধুনিক রূপ নিচ্ছে। কেউ কেউ এখন কোরবানি করছেন গরিবদের জন্য একচেটিয়াভাবে, নিজেরা খান না। অনেকে মাংস পাঠাচ্ছেন এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম বা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি কিছু উদ্যোগ এখন ‘মাংস ব্যাংক’-এর মাধ্যমে সারা বছর সংরক্ষিত মাংস গরিবদের মাঝে বিতরণ করছে।
এই ঈদে যদি আমাদের চারপাশে এমন কেউ থাকে, যিনি হয়তো কোরবানির মাংস পাচ্ছেন না—তবে তাকে সবার আগে মনে রাখা উচিত। কোরবানি তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সুফল সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ঈদের সংবেদনশীলতা
ঈদের দিনে অনেকেই কোরবানির পশুর জবাইয়ের মুহূর্ত বা মাংসের স্তূপ ছবি শেয়ার করেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। এটি একদিকে আনন্দ ভাগাভাগি, কিন্তু অপরদিকে সংবেদনশীলতাও জরুরি। কেউ কেউ হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি, কেউ বা পশুপ্রেমী হয়ে এমন দৃশ্যকে কষ্টকর মনে করতে পারেন। শিশুদের মধ্যেও এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। তাই যদি কেউ ছবি শেয়ার করেনও, তবে সেটি যেন সংযত হয়—এমন সচেতনতা কাম্য।
সংরক্ষণ: কোরবানির স্মৃতি টিকুক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফ্রিজে রাখার পাশাপাশি অনেকেই মাংস সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করছেন। কেউ কেউ ভাজা করে বাটিতে রেখে দিচ্ছেন, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও নষ্ট না হয়।
গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় এখনো ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ (smoked meat) করা হয়, যা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টিকে। শহরে এই পদ্ধতিটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটাও একটা পরিবেশবান্ধব উপায়।
তবে যেকোনো সংরক্ষণের আগে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ভাগ করে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং অপচয় না হয়।
শেষ কথা: ঈদ হোক অন্তর্দৃষ্টি ও দায়িত্ববোধের মিলনস্থল
ঈদুল আজহা একটি উৎসব—কিন্তু এটি উৎসবের বাইরেও অনেক বড় কিছু। এটি আত্মসংযমের, আত্মত্যাগের, সহানুভূতির এবং সামাজিক সংহতির উৎসব।
আধুনিক জীবনে এই উৎসবকে ঘিরে যদি আমরা আরও সচেতন হই—পরিচ্ছন্নতা, সংবেদনশীলতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের বিষয়ে—তবে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিকভাবেও আমরা ঈদুল আজহাকে একটি পরিপূর্ণ উৎসবে পরিণত করতে পারি।
চলুন, এবার ঈদ হোক কেবল আনন্দ নয়—উৎসর্গ, ভালোবাসা, যত্ন আর মানবিকতার রঙে রঙিন।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক দিক, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানির ঈদ উদ্যাপনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের নামাজ: আধ্যাত্মিক সংহতির সূচনা
ঈদের দিনটির সূচনা হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। এরপর মুসল্লিরা ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ একদিকে যেমন ধর্মীয় দায়িত্ব, অন্যদিকে সামাজিক মিলনের মাধ্যম। অনেকে পুরো বছরে ঈদের দিনেই পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ঈদের নামাজের মূল বার্তাই হলো—ঐক্য, সংহতি, ও ধৈর্য।
ঈদের নামাজের পরে ইমামের খুতবা শ্রবণ একটি সুন্নত। অনেকেই খুতবার মধ্যে কোরবানির তাৎপর্য, সমাজে দরিদ্রের অধিকার, এবং নিজেকে কীভাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা শোনেন। আধুনিক দিনে এই খুতবা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কোরবানি: আত্মত্যাগ থেকে সহানুভূতির যাত্রা
হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেটি ছিল নিছক পশু জবাই নয়—বরং অন্তরের পরীক্ষা। এই কোরবানির মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়—নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিসটিও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানি এখন অনেক ক্ষেত্রেই আড়ম্বর ও প্রতিযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠছে। অনেকে বড় গরু, দামি পশু, অথবা বিরল জাতের পশু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। অথচ প্রকৃত কোরবানির শিক্ষা হলো নম্রতা, প্রচার বিমুখতা ও আত্মত্যাগ।
পশু নির্বাচন ও প্রস্তুতি: সচেতনতা ও করুণার অনুশীলন
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির পশু হতে হবে সুস্থ, সুন্দর এবং নির্দিষ্ট বয়স সম্পন্ন। আজকাল অনেকেই পশুর প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছেন—সঠিকভাবে খাবার দিচ্ছেন, পরিষ্কার রাখছেন এবং পশুকে ভয় না পাইয়ে আদর করছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন। শিশুদের কাছেও এটি একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়—তারা দেখছে কীভাবে পশুর সঙ্গে করুণা ও সহানুভূতির আচরণ করা উচিত।
তবে এখনো শহরের অনেক জায়গায় পশু হাটে অব্যবস্থা, পশুর ওপর অমানবিক আচরণ বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব জায়গায় প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
কোরবানি ও স্বাস্থ্যবিধি: যত্নে থাকুক পরিবার
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা। পশু জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার না করা, বর্জ্য সঠিক স্থানে না ফেলা, কিংবা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অনেকে এখন প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহার না করে পেপার প্যাকিং করছেন, কিংবা কাপড়ে মুড়ে দিচ্ছেন মাংস। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকাসহ অনেক শহরে স্থানীয় প্রশাসন কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আমাদের উচিত নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলা।
মাংস বণ্টন: আত্মীয়তা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য, এবং এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মটিও আধুনিক রূপ নিচ্ছে। কেউ কেউ এখন কোরবানি করছেন গরিবদের জন্য একচেটিয়াভাবে, নিজেরা খান না। অনেকে মাংস পাঠাচ্ছেন এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম বা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি কিছু উদ্যোগ এখন ‘মাংস ব্যাংক’-এর মাধ্যমে সারা বছর সংরক্ষিত মাংস গরিবদের মাঝে বিতরণ করছে।
এই ঈদে যদি আমাদের চারপাশে এমন কেউ থাকে, যিনি হয়তো কোরবানির মাংস পাচ্ছেন না—তবে তাকে সবার আগে মনে রাখা উচিত। কোরবানি তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সুফল সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ঈদের সংবেদনশীলতা
ঈদের দিনে অনেকেই কোরবানির পশুর জবাইয়ের মুহূর্ত বা মাংসের স্তূপ ছবি শেয়ার করেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। এটি একদিকে আনন্দ ভাগাভাগি, কিন্তু অপরদিকে সংবেদনশীলতাও জরুরি। কেউ কেউ হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি, কেউ বা পশুপ্রেমী হয়ে এমন দৃশ্যকে কষ্টকর মনে করতে পারেন। শিশুদের মধ্যেও এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। তাই যদি কেউ ছবি শেয়ার করেনও, তবে সেটি যেন সংযত হয়—এমন সচেতনতা কাম্য।
সংরক্ষণ: কোরবানির স্মৃতি টিকুক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফ্রিজে রাখার পাশাপাশি অনেকেই মাংস সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করছেন। কেউ কেউ ভাজা করে বাটিতে রেখে দিচ্ছেন, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও নষ্ট না হয়।
গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় এখনো ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ (smoked meat) করা হয়, যা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টিকে। শহরে এই পদ্ধতিটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটাও একটা পরিবেশবান্ধব উপায়।
তবে যেকোনো সংরক্ষণের আগে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ভাগ করে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং অপচয় না হয়।
শেষ কথা: ঈদ হোক অন্তর্দৃষ্টি ও দায়িত্ববোধের মিলনস্থল
ঈদুল আজহা একটি উৎসব—কিন্তু এটি উৎসবের বাইরেও অনেক বড় কিছু। এটি আত্মসংযমের, আত্মত্যাগের, সহানুভূতির এবং সামাজিক সংহতির উৎসব।
আধুনিক জীবনে এই উৎসবকে ঘিরে যদি আমরা আরও সচেতন হই—পরিচ্ছন্নতা, সংবেদনশীলতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের বিষয়ে—তবে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিকভাবেও আমরা ঈদুল আজহাকে একটি পরিপূর্ণ উৎসবে পরিণত করতে পারি।
চলুন, এবার ঈদ হোক কেবল আনন্দ নয়—উৎসর্গ, ভালোবাসা, যত্ন আর মানবিকতার রঙে রঙিন।
ডা. আবু ইলিয়াস প্রধান

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক দিক, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানির ঈদ উদ্যাপনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের নামাজ: আধ্যাত্মিক সংহতির সূচনা
ঈদের দিনটির সূচনা হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। এরপর মুসল্লিরা ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ একদিকে যেমন ধর্মীয় দায়িত্ব, অন্যদিকে সামাজিক মিলনের মাধ্যম। অনেকে পুরো বছরে ঈদের দিনেই পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ঈদের নামাজের মূল বার্তাই হলো—ঐক্য, সংহতি, ও ধৈর্য।
ঈদের নামাজের পরে ইমামের খুতবা শ্রবণ একটি সুন্নত। অনেকেই খুতবার মধ্যে কোরবানির তাৎপর্য, সমাজে দরিদ্রের অধিকার, এবং নিজেকে কীভাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা শোনেন। আধুনিক দিনে এই খুতবা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কোরবানি: আত্মত্যাগ থেকে সহানুভূতির যাত্রা
হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেটি ছিল নিছক পশু জবাই নয়—বরং অন্তরের পরীক্ষা। এই কোরবানির মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়—নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিসটিও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানি এখন অনেক ক্ষেত্রেই আড়ম্বর ও প্রতিযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠছে। অনেকে বড় গরু, দামি পশু, অথবা বিরল জাতের পশু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। অথচ প্রকৃত কোরবানির শিক্ষা হলো নম্রতা, প্রচার বিমুখতা ও আত্মত্যাগ।
পশু নির্বাচন ও প্রস্তুতি: সচেতনতা ও করুণার অনুশীলন
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির পশু হতে হবে সুস্থ, সুন্দর এবং নির্দিষ্ট বয়স সম্পন্ন। আজকাল অনেকেই পশুর প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছেন—সঠিকভাবে খাবার দিচ্ছেন, পরিষ্কার রাখছেন এবং পশুকে ভয় না পাইয়ে আদর করছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন। শিশুদের কাছেও এটি একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়—তারা দেখছে কীভাবে পশুর সঙ্গে করুণা ও সহানুভূতির আচরণ করা উচিত।
তবে এখনো শহরের অনেক জায়গায় পশু হাটে অব্যবস্থা, পশুর ওপর অমানবিক আচরণ বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব জায়গায় প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
কোরবানি ও স্বাস্থ্যবিধি: যত্নে থাকুক পরিবার
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা। পশু জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার না করা, বর্জ্য সঠিক স্থানে না ফেলা, কিংবা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অনেকে এখন প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহার না করে পেপার প্যাকিং করছেন, কিংবা কাপড়ে মুড়ে দিচ্ছেন মাংস। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকাসহ অনেক শহরে স্থানীয় প্রশাসন কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আমাদের উচিত নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলা।
মাংস বণ্টন: আত্মীয়তা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য, এবং এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মটিও আধুনিক রূপ নিচ্ছে। কেউ কেউ এখন কোরবানি করছেন গরিবদের জন্য একচেটিয়াভাবে, নিজেরা খান না। অনেকে মাংস পাঠাচ্ছেন এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম বা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি কিছু উদ্যোগ এখন ‘মাংস ব্যাংক’-এর মাধ্যমে সারা বছর সংরক্ষিত মাংস গরিবদের মাঝে বিতরণ করছে।
এই ঈদে যদি আমাদের চারপাশে এমন কেউ থাকে, যিনি হয়তো কোরবানির মাংস পাচ্ছেন না—তবে তাকে সবার আগে মনে রাখা উচিত। কোরবানি তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সুফল সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ঈদের সংবেদনশীলতা
ঈদের দিনে অনেকেই কোরবানির পশুর জবাইয়ের মুহূর্ত বা মাংসের স্তূপ ছবি শেয়ার করেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। এটি একদিকে আনন্দ ভাগাভাগি, কিন্তু অপরদিকে সংবেদনশীলতাও জরুরি। কেউ কেউ হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি, কেউ বা পশুপ্রেমী হয়ে এমন দৃশ্যকে কষ্টকর মনে করতে পারেন। শিশুদের মধ্যেও এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। তাই যদি কেউ ছবি শেয়ার করেনও, তবে সেটি যেন সংযত হয়—এমন সচেতনতা কাম্য।
সংরক্ষণ: কোরবানির স্মৃতি টিকুক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফ্রিজে রাখার পাশাপাশি অনেকেই মাংস সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করছেন। কেউ কেউ ভাজা করে বাটিতে রেখে দিচ্ছেন, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও নষ্ট না হয়।
গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় এখনো ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ (smoked meat) করা হয়, যা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টিকে। শহরে এই পদ্ধতিটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটাও একটা পরিবেশবান্ধব উপায়।
তবে যেকোনো সংরক্ষণের আগে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ভাগ করে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং অপচয় না হয়।
শেষ কথা: ঈদ হোক অন্তর্দৃষ্টি ও দায়িত্ববোধের মিলনস্থল
ঈদুল আজহা একটি উৎসব—কিন্তু এটি উৎসবের বাইরেও অনেক বড় কিছু। এটি আত্মসংযমের, আত্মত্যাগের, সহানুভূতির এবং সামাজিক সংহতির উৎসব।
আধুনিক জীবনে এই উৎসবকে ঘিরে যদি আমরা আরও সচেতন হই—পরিচ্ছন্নতা, সংবেদনশীলতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের বিষয়ে—তবে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিকভাবেও আমরা ঈদুল আজহাকে একটি পরিপূর্ণ উৎসবে পরিণত করতে পারি।
চলুন, এবার ঈদ হোক কেবল আনন্দ নয়—উৎসর্গ, ভালোবাসা, যত্ন আর মানবিকতার রঙে রঙিন।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক দিক, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানির ঈদ উদ্যাপনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের নামাজ: আধ্যাত্মিক সংহতির সূচনা
ঈদের দিনটির সূচনা হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। এরপর মুসল্লিরা ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ একদিকে যেমন ধর্মীয় দায়িত্ব, অন্যদিকে সামাজিক মিলনের মাধ্যম। অনেকে পুরো বছরে ঈদের দিনেই পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ঈদের নামাজের মূল বার্তাই হলো—ঐক্য, সংহতি, ও ধৈর্য।
ঈদের নামাজের পরে ইমামের খুতবা শ্রবণ একটি সুন্নত। অনেকেই খুতবার মধ্যে কোরবানির তাৎপর্য, সমাজে দরিদ্রের অধিকার, এবং নিজেকে কীভাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা শোনেন। আধুনিক দিনে এই খুতবা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কোরবানি: আত্মত্যাগ থেকে সহানুভূতির যাত্রা
হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেটি ছিল নিছক পশু জবাই নয়—বরং অন্তরের পরীক্ষা। এই কোরবানির মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়—নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিসটিও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানি এখন অনেক ক্ষেত্রেই আড়ম্বর ও প্রতিযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠছে। অনেকে বড় গরু, দামি পশু, অথবা বিরল জাতের পশু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। অথচ প্রকৃত কোরবানির শিক্ষা হলো নম্রতা, প্রচার বিমুখতা ও আত্মত্যাগ।
পশু নির্বাচন ও প্রস্তুতি: সচেতনতা ও করুণার অনুশীলন
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির পশু হতে হবে সুস্থ, সুন্দর এবং নির্দিষ্ট বয়স সম্পন্ন। আজকাল অনেকেই পশুর প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছেন—সঠিকভাবে খাবার দিচ্ছেন, পরিষ্কার রাখছেন এবং পশুকে ভয় না পাইয়ে আদর করছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন। শিশুদের কাছেও এটি একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়—তারা দেখছে কীভাবে পশুর সঙ্গে করুণা ও সহানুভূতির আচরণ করা উচিত।
তবে এখনো শহরের অনেক জায়গায় পশু হাটে অব্যবস্থা, পশুর ওপর অমানবিক আচরণ বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব জায়গায় প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
কোরবানি ও স্বাস্থ্যবিধি: যত্নে থাকুক পরিবার
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা। পশু জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার না করা, বর্জ্য সঠিক স্থানে না ফেলা, কিংবা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অনেকে এখন প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহার না করে পেপার প্যাকিং করছেন, কিংবা কাপড়ে মুড়ে দিচ্ছেন মাংস। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকাসহ অনেক শহরে স্থানীয় প্রশাসন কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আমাদের উচিত নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলা।
মাংস বণ্টন: আত্মীয়তা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য, এবং এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মটিও আধুনিক রূপ নিচ্ছে। কেউ কেউ এখন কোরবানি করছেন গরিবদের জন্য একচেটিয়াভাবে, নিজেরা খান না। অনেকে মাংস পাঠাচ্ছেন এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম বা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি কিছু উদ্যোগ এখন ‘মাংস ব্যাংক’-এর মাধ্যমে সারা বছর সংরক্ষিত মাংস গরিবদের মাঝে বিতরণ করছে।
এই ঈদে যদি আমাদের চারপাশে এমন কেউ থাকে, যিনি হয়তো কোরবানির মাংস পাচ্ছেন না—তবে তাকে সবার আগে মনে রাখা উচিত। কোরবানি তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সুফল সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ঈদের সংবেদনশীলতা
ঈদের দিনে অনেকেই কোরবানির পশুর জবাইয়ের মুহূর্ত বা মাংসের স্তূপ ছবি শেয়ার করেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। এটি একদিকে আনন্দ ভাগাভাগি, কিন্তু অপরদিকে সংবেদনশীলতাও জরুরি। কেউ কেউ হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি, কেউ বা পশুপ্রেমী হয়ে এমন দৃশ্যকে কষ্টকর মনে করতে পারেন। শিশুদের মধ্যেও এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। তাই যদি কেউ ছবি শেয়ার করেনও, তবে সেটি যেন সংযত হয়—এমন সচেতনতা কাম্য।
সংরক্ষণ: কোরবানির স্মৃতি টিকুক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফ্রিজে রাখার পাশাপাশি অনেকেই মাংস সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করছেন। কেউ কেউ ভাজা করে বাটিতে রেখে দিচ্ছেন, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও নষ্ট না হয়।
গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় এখনো ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ (smoked meat) করা হয়, যা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টিকে। শহরে এই পদ্ধতিটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটাও একটা পরিবেশবান্ধব উপায়।
তবে যেকোনো সংরক্ষণের আগে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ভাগ করে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং অপচয় না হয়।
শেষ কথা: ঈদ হোক অন্তর্দৃষ্টি ও দায়িত্ববোধের মিলনস্থল
ঈদুল আজহা একটি উৎসব—কিন্তু এটি উৎসবের বাইরেও অনেক বড় কিছু। এটি আত্মসংযমের, আত্মত্যাগের, সহানুভূতির এবং সামাজিক সংহতির উৎসব।
আধুনিক জীবনে এই উৎসবকে ঘিরে যদি আমরা আরও সচেতন হই—পরিচ্ছন্নতা, সংবেদনশীলতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের বিষয়ে—তবে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিকভাবেও আমরা ঈদুল আজহাকে একটি পরিপূর্ণ উৎসবে পরিণত করতে পারি।
চলুন, এবার ঈদ হোক কেবল আনন্দ নয়—উৎসর্গ, ভালোবাসা, যত্ন আর মানবিকতার রঙে রঙিন।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান...
০৪ জুন ২০২৫
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান...
০৪ জুন ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান...
০৪ জুন ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান...
০৪ জুন ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে