ইসলাম ডেস্ক

গোটা পৃথিবী ছিল ঘন অমানিশায় আচ্ছন্ন। মজলুমের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছিল আকাশ-বাতাস। অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বঞ্চনার হিমালয়। গলাকাটা প্রাণীর মতো কাতরাচ্ছিলো মায়ের জাতি। বাতাসে ভেসে আসত নিপীড়িত মানুষের করুন আর্তনাদ। মানব সভ্যতা তখন ডুকরে কাঁদছিল। এমনি এক নাজুক সময়ে ন্যায় বিচারের উজ্জ্বল ধ্রুবতারা হয়ে আগমন করেন আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)। প্রতিষ্ঠা করেন ন্যায় বিচারের এক অপূর্ব সমাজব্যবস্থা। কারণ সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তার আগমনের অন্যতম লক্ষ্য।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচারের কিতাব এবং তা কার্যকর করার দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়ায় সব রাসুল প্রেরণ করেছি।’ (সুরা হাদিদ: ২৫)
আকাশের তারা হয়তো গুনে শেষ করা সম্ভব। কিন্তু ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় নবীজির আদর্শকে সীমিত শব্দে তুলে ধরা অসম্ভব। তবু ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় নবীজির উল্লেখযোগ্য কিছু দিক তুলে ধরা হলো—
জীবনের নিরাপত্তা বিধান
জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। তাই নবীজি জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঐশী কণ্ঠে ঘোষণা করেন, কোনো কারণ ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে, সে যেন দুনিয়ার সব মানুষ হত্যা করল। আর কেউ কাউকে প্রাণে রক্ষা করলে, সে যেন দুনিয়ার সকল প্রাণ রক্ষা করল। (সুরা মায়েদা: ৩২)
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা অতি জরুরি। তাই নবীজি (সা.) শতভাগ নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা চালু করেন। নবীজির বিচার ব্যবস্থায় চরম শত্রু বা প্রতিপক্ষও ইনসাফ বঞ্চিত হয়নি। ঐশী কণ্ঠে ঘোষণা দিয়ে নবীজি বলেন, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি তোমাদের বিদ্বেষ কখনো যেন ন্যায়বিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। ন্যায়বিচার করবে—কারণ তা তাকওয়ার নিকটবর্তী। (সুরা মায়িদা: ৮)
ন্যায়বিচার না করার ভয়ানক পরিণতির কথা ঘোষণা করে নবীজি বলেন, বিচারক তিন প্রকার। এক প্রকার বিচারক জান্নাতি আর দুই প্রকার বিচারক জাহান্নামি। জাহান্নামি বিচারক হলো যিনি সত্যকে জেনেও সে অনুসারে বিচার করে না। আরেক প্রকার বিচারক হলো, যে সত্যকে জানে না এবং বিচারে অনিয়ম করে। তারা উভয়ে জাহান্নামি। কিন্তু যে বিচারক সত্যকে জেনে সে অনুযায়ী বিচার করে সে জান্নাতি। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৫৭৩)
স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে অন্যতম বাধা হলো স্বজনপ্রীতি। তাই নবীজি সমাজের সর্বক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি বন্ধে কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেন। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি মুসলিম-অমুসলিম, অনুসারী বা বিরোধীর মাঝেও কোনো ধরনের প্রীতির আচরণ বরদাস্ত করতেন না। সমাজের উঁচু-নীচু সবার মাঝেও ন্যায় বিচার করতেন।
বৈষম্যমূলক বিচারকে ধ্বংসের কারণ সাব্যস্ত করে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী যুগের মানুষ ধ্বংস হওয়ার একটি কারণ ছিল, তাদের সম্মানিত ব্যক্তিরা চুরি করলে ছাড় দেওয়া হতো। আর দুর্বল শ্রেণির কেউ চুরি করলে সাজা দেওয়া হতো।... এক ঘটনার প্রেক্ষিতে নবীজি ঘোষণা করেন, যদি আমার মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবু আমি তার হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দিতাম। (সহিহ্ বুখারি: ৪৩০৪)
দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন
সুরাকা একজন ব্যক্তির নাম। তিনি এক বেদুইনের কাছ থেকে উট কিনে মূল্য পরিশোধের টালবাহানা করছিল। তখন বেদুইন নবীজি (সা.)-এর কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানায়। নবীজির দরবারে তাকে পাঠানো হয়।
মূল্য পরিশোধ না করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সুরাকা বলল, আমার কাছে টাকা নেই। তখন নবীজি বেদুইনকে বললেন, তোমার উট বাজারে বিক্রি করে টাকা উশুল করে নাও। (দারাকুতনি)
শিক্ষা সম্প্রসারণ
শিক্ষা মানুষের সুপ্ত প্রতিভা ও মানবীয় গুণের বিকাশ ঘটায়। মানুষের মাঝে উন্মেষ ঘটে ইনসাফ, সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব ও সমঝোতার বোধ। শিক্ষার আলোয় দূরে সরে যায় অন্যায় ও অনৈতিকতার কালো মেঘ। ছড়ায় ন্যায়ের সুরভি।
তাই নবীজি (সা.) নারী-পুরুষ সবার জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেন। এমনকি শিক্ষা অবৈতনিক ঘোষণা করে তিনি বলেন, হে আমার সম্প্রদায়, আমি তোমাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চাই না। (সুরা ফুরকান: ২০)
অপরদিকে অশিক্ষা হিংসা-বিদ্বেষ বিভেদের বীজ রোপিত করে। নবীজি এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন, যার ভিত্তি ছিল পারস্পরিক সম্মানবোধ, ন্যায় বিচার ও মানবিকতাবোধ। (আল হায়সামি, কাশফুল আসতার: ২/৩৫)
সম্পদের সুষ্ঠু আবর্তন নিশ্চিত করা
এখনকার মতো ইসলাম পূর্ব সমাজে ধনসম্পদ ছিল আভিজাত্যের মাপকাঠি। কামিয়াব ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। তাই মানুষ হালাল-হারাম, ন্যায়-নীতি তোয়াক্কা না করে সম্পদ অর্জনের পেছনে ছুটত।
নবীজি (সা.) অর্থ-সম্পদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে বুঝিয়ে দেন যে, জীবনে অর্থসম্পদ অপরিহার্য কিন্তু তা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। বরং ধনসম্পদ ও দুনিয়ার সবকিছুই মানুষের খাদেম। পৃথিবীর সব বস্তু নিশ্চয়ই মানুষের সেবার জন্য সৃষ্টি। (সুরা বাকারা: ২৯)
আল্লাহ তাআলার বাণী তিনি মানুষের মাঝে পৌঁছে দেন, ‘আর তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিছু অংশ জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিচারকদের কাছে পেশ করো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন
সমাজ থেকে নবীজি (সা.) বংশীয় গৌরব ও আভিজাত্যের দেয়াল ভেঙে দেন। প্রতিষ্ঠা করেন মানবতা ও তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠা করেন ন্যায় বিচার। স্পষ্ট ভাষায় নবীজি (সা.) ঘোষণা দেন, ‘আরবের ওপর অনারবের, অনারবের ওপর আরবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। সব মানুষ একে অপরের ভাই। সব মানুষ আদমের বংশধর আর আদম মাটি থেকে তৈরি। (মুসনাদে আহমাদ: ২/৩৩)
পবিত্র কোরআনের বাণী, ‘তোমাদের মধ্যে সেই বেশি সম্মানিত, যে বেশি তাকওয়ার অধিকারী।’ (সুরা হুজরাত: ১০)
লেখক: মুহাম্মদ এনায়েত কবীর
শিক্ষক, শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন চৌধুরীপাড়া মাদরাসা, ঢাকা-১২২৯

গোটা পৃথিবী ছিল ঘন অমানিশায় আচ্ছন্ন। মজলুমের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছিল আকাশ-বাতাস। অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বঞ্চনার হিমালয়। গলাকাটা প্রাণীর মতো কাতরাচ্ছিলো মায়ের জাতি। বাতাসে ভেসে আসত নিপীড়িত মানুষের করুন আর্তনাদ। মানব সভ্যতা তখন ডুকরে কাঁদছিল। এমনি এক নাজুক সময়ে ন্যায় বিচারের উজ্জ্বল ধ্রুবতারা হয়ে আগমন করেন আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)। প্রতিষ্ঠা করেন ন্যায় বিচারের এক অপূর্ব সমাজব্যবস্থা। কারণ সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তার আগমনের অন্যতম লক্ষ্য।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচারের কিতাব এবং তা কার্যকর করার দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়ায় সব রাসুল প্রেরণ করেছি।’ (সুরা হাদিদ: ২৫)
আকাশের তারা হয়তো গুনে শেষ করা সম্ভব। কিন্তু ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় নবীজির আদর্শকে সীমিত শব্দে তুলে ধরা অসম্ভব। তবু ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় নবীজির উল্লেখযোগ্য কিছু দিক তুলে ধরা হলো—
জীবনের নিরাপত্তা বিধান
জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। তাই নবীজি জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঐশী কণ্ঠে ঘোষণা করেন, কোনো কারণ ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে, সে যেন দুনিয়ার সব মানুষ হত্যা করল। আর কেউ কাউকে প্রাণে রক্ষা করলে, সে যেন দুনিয়ার সকল প্রাণ রক্ষা করল। (সুরা মায়েদা: ৩২)
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা অতি জরুরি। তাই নবীজি (সা.) শতভাগ নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা চালু করেন। নবীজির বিচার ব্যবস্থায় চরম শত্রু বা প্রতিপক্ষও ইনসাফ বঞ্চিত হয়নি। ঐশী কণ্ঠে ঘোষণা দিয়ে নবীজি বলেন, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি তোমাদের বিদ্বেষ কখনো যেন ন্যায়বিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। ন্যায়বিচার করবে—কারণ তা তাকওয়ার নিকটবর্তী। (সুরা মায়িদা: ৮)
ন্যায়বিচার না করার ভয়ানক পরিণতির কথা ঘোষণা করে নবীজি বলেন, বিচারক তিন প্রকার। এক প্রকার বিচারক জান্নাতি আর দুই প্রকার বিচারক জাহান্নামি। জাহান্নামি বিচারক হলো যিনি সত্যকে জেনেও সে অনুসারে বিচার করে না। আরেক প্রকার বিচারক হলো, যে সত্যকে জানে না এবং বিচারে অনিয়ম করে। তারা উভয়ে জাহান্নামি। কিন্তু যে বিচারক সত্যকে জেনে সে অনুযায়ী বিচার করে সে জান্নাতি। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৫৭৩)
স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে অন্যতম বাধা হলো স্বজনপ্রীতি। তাই নবীজি সমাজের সর্বক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি বন্ধে কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেন। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি মুসলিম-অমুসলিম, অনুসারী বা বিরোধীর মাঝেও কোনো ধরনের প্রীতির আচরণ বরদাস্ত করতেন না। সমাজের উঁচু-নীচু সবার মাঝেও ন্যায় বিচার করতেন।
বৈষম্যমূলক বিচারকে ধ্বংসের কারণ সাব্যস্ত করে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী যুগের মানুষ ধ্বংস হওয়ার একটি কারণ ছিল, তাদের সম্মানিত ব্যক্তিরা চুরি করলে ছাড় দেওয়া হতো। আর দুর্বল শ্রেণির কেউ চুরি করলে সাজা দেওয়া হতো।... এক ঘটনার প্রেক্ষিতে নবীজি ঘোষণা করেন, যদি আমার মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবু আমি তার হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দিতাম। (সহিহ্ বুখারি: ৪৩০৪)
দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন
সুরাকা একজন ব্যক্তির নাম। তিনি এক বেদুইনের কাছ থেকে উট কিনে মূল্য পরিশোধের টালবাহানা করছিল। তখন বেদুইন নবীজি (সা.)-এর কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানায়। নবীজির দরবারে তাকে পাঠানো হয়।
মূল্য পরিশোধ না করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সুরাকা বলল, আমার কাছে টাকা নেই। তখন নবীজি বেদুইনকে বললেন, তোমার উট বাজারে বিক্রি করে টাকা উশুল করে নাও। (দারাকুতনি)
শিক্ষা সম্প্রসারণ
শিক্ষা মানুষের সুপ্ত প্রতিভা ও মানবীয় গুণের বিকাশ ঘটায়। মানুষের মাঝে উন্মেষ ঘটে ইনসাফ, সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব ও সমঝোতার বোধ। শিক্ষার আলোয় দূরে সরে যায় অন্যায় ও অনৈতিকতার কালো মেঘ। ছড়ায় ন্যায়ের সুরভি।
তাই নবীজি (সা.) নারী-পুরুষ সবার জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেন। এমনকি শিক্ষা অবৈতনিক ঘোষণা করে তিনি বলেন, হে আমার সম্প্রদায়, আমি তোমাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চাই না। (সুরা ফুরকান: ২০)
অপরদিকে অশিক্ষা হিংসা-বিদ্বেষ বিভেদের বীজ রোপিত করে। নবীজি এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন, যার ভিত্তি ছিল পারস্পরিক সম্মানবোধ, ন্যায় বিচার ও মানবিকতাবোধ। (আল হায়সামি, কাশফুল আসতার: ২/৩৫)
সম্পদের সুষ্ঠু আবর্তন নিশ্চিত করা
এখনকার মতো ইসলাম পূর্ব সমাজে ধনসম্পদ ছিল আভিজাত্যের মাপকাঠি। কামিয়াব ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। তাই মানুষ হালাল-হারাম, ন্যায়-নীতি তোয়াক্কা না করে সম্পদ অর্জনের পেছনে ছুটত।
নবীজি (সা.) অর্থ-সম্পদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে বুঝিয়ে দেন যে, জীবনে অর্থসম্পদ অপরিহার্য কিন্তু তা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। বরং ধনসম্পদ ও দুনিয়ার সবকিছুই মানুষের খাদেম। পৃথিবীর সব বস্তু নিশ্চয়ই মানুষের সেবার জন্য সৃষ্টি। (সুরা বাকারা: ২৯)
আল্লাহ তাআলার বাণী তিনি মানুষের মাঝে পৌঁছে দেন, ‘আর তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিছু অংশ জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিচারকদের কাছে পেশ করো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন
সমাজ থেকে নবীজি (সা.) বংশীয় গৌরব ও আভিজাত্যের দেয়াল ভেঙে দেন। প্রতিষ্ঠা করেন মানবতা ও তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠা করেন ন্যায় বিচার। স্পষ্ট ভাষায় নবীজি (সা.) ঘোষণা দেন, ‘আরবের ওপর অনারবের, অনারবের ওপর আরবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। সব মানুষ একে অপরের ভাই। সব মানুষ আদমের বংশধর আর আদম মাটি থেকে তৈরি। (মুসনাদে আহমাদ: ২/৩৩)
পবিত্র কোরআনের বাণী, ‘তোমাদের মধ্যে সেই বেশি সম্মানিত, যে বেশি তাকওয়ার অধিকারী।’ (সুরা হুজরাত: ১০)
লেখক: মুহাম্মদ এনায়েত কবীর
শিক্ষক, শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন চৌধুরীপাড়া মাদরাসা, ঢাকা-১২২৯

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

গোটা পৃথিবী ছিল ঘন অমানিশায় আচ্ছন্ন। মজলুমের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছিল আকাশ-বাতাস। অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বঞ্চনার হিমালয়। গলাকাটা প্রাণীর মতো কাতরাচ্ছিলো মায়ের জাতি। বাতাসে ভেসে আসত নিপীড়িত মানুষের করুন আর্তনাদ।
২৮ মে ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গোটা পৃথিবী ছিল ঘন অমানিশায় আচ্ছন্ন। মজলুমের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছিল আকাশ-বাতাস। অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বঞ্চনার হিমালয়। গলাকাটা প্রাণীর মতো কাতরাচ্ছিলো মায়ের জাতি। বাতাসে ভেসে আসত নিপীড়িত মানুষের করুন আর্তনাদ।
২৮ মে ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১১ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

গোটা পৃথিবী ছিল ঘন অমানিশায় আচ্ছন্ন। মজলুমের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছিল আকাশ-বাতাস। অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বঞ্চনার হিমালয়। গলাকাটা প্রাণীর মতো কাতরাচ্ছিলো মায়ের জাতি। বাতাসে ভেসে আসত নিপীড়িত মানুষের করুন আর্তনাদ।
২৮ মে ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গোটা পৃথিবী ছিল ঘন অমানিশায় আচ্ছন্ন। মজলুমের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছিল আকাশ-বাতাস। অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বঞ্চনার হিমালয়। গলাকাটা প্রাণীর মতো কাতরাচ্ছিলো মায়ের জাতি। বাতাসে ভেসে আসত নিপীড়িত মানুষের করুন আর্তনাদ।
২৮ মে ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে